১৭৬৯ সালে মাদ্রাজ যুদ্ধে পরাজিত হবার পর ব্রিটিশরা দেখলো আর কোন উপায় নেই। কারন, কোন অবস্থাতেই মাদ্রাজ কুঠি বেদখল হতে দেয়া যায় না। তাই তারা বাধ্য হয়ে মহীশুর সালতানাতকে সন্ধি চুক্তি পাঠালো। মহীশুর-ব্রিটিশদের মাঝে চুক্তি হলো। চুক্তি অনুসারে ব্রিটিশরা হায়দার আলীকে কথা দিলো তারা মহীশুর আক্রমন করবে না এবং মহীশুরকে যেকোন সময় যেকোন সামরিক সাহায্য দিবে, বিনিময়ে সুলতান ব্রিটিশদের মাদ্রাজ ফেরত দিবেন।
কিন্তু পরবর্তীতে এই সন্ধিই মহীশুর সালতানাত, হায়দার আলী ও টিপু সুলতানের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়ায়।১
প্রথম এ্যাংলো-মহীশুর যুদ্ধের সমাপ্তির পর হায়দার-টিপু মহীশুরের সামরিক উন্নয়নের কাজ জোরেশোরে শুরু করেন। ফরাসীদের সাথে মৈত্রী স্খাপন করা হয়। সেকালের সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র দিয়ে মহীশুরের সৈন্যবাহিনীকে সজ্জিত করা হয়। ইউরোপীয় সামরিক কর্মকর্তা (বিশেষত: ফ্রেঞ্চ) রাখা হয় সৈন্যদের ইউরোপীয় যুদ্ধের কায়দা শিখাবার জন্য। আমদানী করা হলো বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ-কামান-আধুনিক বন্দুক।
১৭৭০ সালে মহীশুর সীমান্তবর্তী অঞ্চলের দখল নিয়ে মারাঠাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নভেম্বর, ১৭৭০ সালে মারাঠারা পঁয়ত্রিশ হাজার সৈন্য নিয়ে মহীশুর আক্রমন করে২। হায়দার প্রথম এ্যাংলো-মহীশুর যুদ্ধের মাদ্রাজ চুক্তি অনুসারে ব্রিটিশদেরকে সৈন্য নিয়ে মহীশুর বাহিনীর সাথে যুক্ত হতে বলেন। কিন্তু বিধি বাম! ব্রিটিশরা এলো না মহীশুরের সাহায্যে। সদ্য গঠিত মহীশুর বাহিনী নিয়ে মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়া ঠিক হবে না, তাই হায়দার-টিপু পুরাতন এক রণকৌশল অবলম্বন করলেন৩।
মারাঠারা মহীশুরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল আক্রমন করে। হায়দার-টিপু পরিকল্পনামাফিক মহীশুরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনবসতি মহীশুরের অন্য অঞ্চলে সরিয়ে নেন এবং ওই অঞ্চলের সমস্ত বসতি-দূর্গ-রসদাদি-ফসল ধ্বংস করে দেন। মারাঠারা মহীশুরের উত্তর পূর্বাঞ্চলে এসে স্থানীয় রসদের অভাবে আর না এগুনোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং পাল্টা মহীশুর বাহিনীর আক্রমনের ভয়ে পিছু সরে আসে।
পরের বছর, ১৭৭১ সালে বর্ষায় সময় মারাঠা বাহিনী বিপুল পরিমাণ সৈন্য নিয়ে ঝটিকা মহীশুর আক্রমন করে। হঠাৎ আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়ে মহীশুর সালাতানাত। মারাঠা বাহিনী মহীশুরের ব্যাঙ্গালোর অঞ্চল দখল করে নেয়। অসহায় হায়দার ব্রিটিশদের কাছে আবারো “মাদ্রাজ সন্ধি” সন্ধি অনুযায়ী সাহায্য চায়। কিন্তু ব্রিটিশরা আবারো বেঈমানী করে। অবশেষে, নিরুপায় হায়দার আলী মারাঠাদের সাথে চুক্তি করলেন; শর্ত হলো: ৫০ লক্ষ রূপী এবং ব্যাঙ্গালোর পর্যন্ত মহীশুরের সমস্ত অঞ্চল মারাঠাদের নিকট সমর্পণ করতে হবে।
এ সময় মারাঠারাজ প্রথম মাধব রাও পেশবা হায়দার আলীকে প্রস্তাব দেন মারাঠা-মহীশুর বাহিনী একত্রিত করে ব্রিটিশদেরকে হটিয়ে ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের সমস্ত কলোনী দখল করার। কিন্তু হায়দার আলী এ প্রস্তাবকে মারাঠাদের মহীশূর দখল করবার কূটচাল ভেবে ’না’ করে দেন। আর এখানেই করেন জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।
হায়দার আলী দ্বিতীয় মারাঠা-মহীশুর যুদ্ধে ব্রিটিশদের বেঈমানী আর মারাঠাদের কাছে লজ্জাজনক হার কখনই ভুলতে পারেননি। ১৭৭২ সালে মারাঠারাজ মাধব রাও পেশবা মারা যায়; সাথে সাথে মারাঠা সিংহাসন নিয়ে শুরু হয় উত্তারাধিকারীদের লড়াই। আর এই সুযোগটাই নেন হায়দার আলী। ১৭৭৩ সালে হায়দার আলী মারাঠাদের দখল হতে মহীশুরের উত্তরাঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য পুত্র টিপু সুলতানকে পাঠান। তেইশ বছর বয়সী তরুন টিপু মারাঠাদের কাছ হতে একে একে মহীশুরের উত্তরের সব অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন। এদিকে হায়দার আলী কুরগ দখল করে মালাবার অঞ্চলে মারাঠা দখলকৃত অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করেন। ১৭৭৩ সালের শেষ দিক নাগাদ বাপ-বেটা মিলে মারাঠাদের কাছ থেকে মহীশুরের সব দখলকৃত অঞ্চল উদ্ধার করেন।
১৭৭৪ সালে দ্বিতীয় মাধব রাও মারাঠারাজ হিসেবে ক্ষমতায় বসেন কিন্তু মূল ক্ষমতা ছিলো মন্ত্রী নানা পদনাবীশের হাতে। নানা পদনাবীশ ১৭৭৫ সালে হায়দ্রাবাদের নিজামের সাথে জোট বেঁধে মহীশুর আক্রমন করলো৪ কিন্তু এবার তারা সুবিধে করতে পারলো না।
১৭৭৬ সালে সম্মিলিত মারাঠা-নিজাম বাহিনী মহীশুরের কাছে পরাজিত হয়। এরপর শুধু মহীশুরের বিজয়। ১৭৭৭ সালের মাঝে হায়দার-টিপু কর্নাটক পর্যন্ত মহীশুর সালতানাত বিস্তার করেন।
মারাঠা ও নিজামকে পরাজিত করে হায়দার-টিপু নজর দেন ব্রিটিশদের দিকে। মারাঠা-মহীশুর যুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের বিশ্বাসঘাতকতা ভুলেননি হায়দার-টিপু। ১৭৭৮ সালে কর্নাটকের ভাটখালে ফ্রেঞ্চ ও ডাচদের সহযোগীতায় মহীশুর নৌবাহিনী গঠন করা হলো; উদ্দেশ্য- ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের নৌঘাঁটি ও স্থাপনাগুলোতে আক্রমন চালানো।
কিন্তু পরিস্খিতি ধীরে ধীরে জটিল হতে জটিলতর হচ্ছে।
মন্তব্য
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
"ইউরোপীয় সামরিক কর্মকর্তা (বিশেষত: ফ্রেঞ্চ) রাখা হয় সৈন্যদের ইউরোপীয় যুদ্ধের কায়দা শিখাবার জন্য। আমদানী করা হলো বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ-কামান-আধুনিক বন্দুক।"
এটা পড়লে মনে হবে ফরাসী ছাড়াও হা্য়দারে অন্য় ইউরোপিয় মিত্র ছিল, এবং ফরাসিরা এখানে ভাড়া করা সৈন্য় ছিল।
বরং এটাই কি সত্য় নয় যে দিল্লীর দুরবলতা সুযোগ সবচাইতে ভাল কাজে লাগিয়েছিল ফরাসিরা। দাক্ষিনাত্য়ের যাবতীয় রাজন্য় ও নবাবের ফরাসি গভরনর ডুপ্লের খেলনায় পরিনত হয়েছিল। ডুপ্লের সুপারিশেই নিজাম উড়নচন্ডি হায়দার ও তার বড় ভাইকে চাকুরি দেয়। ডুপ্লের লোক স্টেনেট কি হায়দারের গোলন্দাজ বাহিনীর প্রধান ছিল না? পন্ডিচেরির যুদ্ধের কি একটি আস্ত ফরাসি সেনাদল লেঃ কঃ হুগেলের অধিনে হায়দারের পাশে থেকে যুদ্ধ করেনি? ম্য়াংগালোরে কি কঃ দু মুই ও কঃ মঁস এরমত অফিসারের অধিনে সুবিশাল ফরাসি বাহিনী হায়দারের সাথে ছিলনা?
এই ফরাসিরা শুধু 'যুদ্ধের কায়দা' শেখায়নি, রীতিমত হায়দারের সাথে ও সম্মুখে মারাঠাদের সাথে যুদ্ধ করেছে।
মারাঠা-ব্রিটিশরা ফরাসিদের যেসব স্থাপনায় আক্রমন বা বানিজ্য়ে বাধা দিয়েছে, হায়দার ও টিপু শুধু সেসব জায়গাতেই কেন যুদ্ধ করেছে - খেয়াল করে দেখুনতো।
হায়দার-টিপু কে বড় করে দেখিয়ে ও তাদের পেছনের ফরাসিদের সরিয়ে রেখে ভিক্টোরিয়ান ঐতিহাসিকেরা আতাত-করডিয়ালের মরযাদা রক্ষা করে মাত্র।
হায়দারের সাথে ফরাসীদের সর্ম্পকটাকে ঠিক মিত্র বলা যায় কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পলাশীতে ফরাসীরা বাংলার নবাবের সাথে লড়েছিল, এর মানে এই নয় যে তারা বাংলার নবাবের মিত্র। মহীশুরের বিষয়টাও ঠিক এরকম। ফরাসী সৈন্য, গোলন্দাজ, প্রশিক্ষক হায়দারের বাহিনীতে ছিলো। মহীশুর নৌবাহিনীর সরন্জাম দেয় ডাচরা আর প্রশিক্ষণ দেয় ফরাসীরা। ইংরেজদের সাথে সে সময় ফরাসীদের সাপে নেউলে সর্ম্পক ছিল; তাই, হায়দারের সাথে ফরাসীদের সর্ম্পক ভাল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। ইউরোপীয়দের মধ্যে ফরাসীদের সাথে সুলতানের সবচেয়ে ভালো সর্ম্পক ছিলো।
আপনি মনে হয় পন্ডিচেরীর মাহী পোর্টের কথা বলছেন। পন্ডিচেরীর মাহী পোর্ট দিয়ে হায়দারের অস্ত্র গোলাবারুদ আসতো। ১৭৭৯ সালে ব্রিটিশরা এটা দখল করে নেয় মারাঠা আর নিজামকে সাথে নিয়ে। হায়দার এটি পুনরুদ্ধার তো করবেনই, তাই না!
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো: আপনি বলতে চাইছেন, এ্যাংলো-মহীশুর যুদ্ধ ভারতে ফরাসী-ব্রিটিশদের আধিপত্যের যুদ্ধ।
এটা ঠিক ধারণা না। এখানে সব ঘটনায় পরস্পরের সাথে জড়িত। এটা ভাবার কোন কারন নেই মারাঠা, নিজাম, মহীশুর ক্রিড়ণক হয়ে খেলেছে ব্রিটিশ-ফরাসীদের হাতে। এটা ভাববেন না, ফরাসীদের জন্য হায়দার-টিপু ইংরেজদের সাথে লড়েছে। রাজ্য বিস্তার নিয়ে নিজাম, মহীশুর,মারাঠাদের সংঘর্ষ হয়। আর এর সুযোগ নেয় ইউরোপীয়রা।
ভারতীয়রা রেড ইন্ডিয়ান নয় যে এক বোতল মদের জন্য আরেকজনের যুদ্ধ করবে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
জ্বী, ভারতীয়রাও মদের জন্য যুদ্ধ ও সন্ধি করেছে। ১৭৪০ সালে কর্নাটকের দোস্ত আলী খাঁ কে মেরে তার ছেলে ও জামাতা যথাক্রমে সফদর আলী ও চান্দ সাহেব মারাঠাদে ধাওয়া খেয়ে পন্ডিচেরি কুঠিতে গিয়ে ওঠে, তখন ফরাসি গভর্নর দুমা (ডুপ্লের পূর্বসুরি) মারাঠা সেনাপতি রাঘুজি কে মাত্র ত্রিশ বোতল নঁ কর্ডিয়াল (ফরাসি লিকার) এর বিনিময়ে সন্ধিতে রাজী করাতে সক্ষম হয়েছিল।
এতে খুশি হয়ে আবার কর্নাটকের সফদর আলী ফরাসিদের থাডুভানাথম, আবিসেকাপাক্কাম, ওড়িয়ামপাত্তু ও তিরুকাঞ্জি নামক চারটি তালুক দান করেছিল।
আমি বলে ছিলাম-ভারতীয়রা রেড ইন্ডিয়ান নয় যে এক বোতল মদের জন্য আরেকজনের যুদ্ধ করবে। ১৭৪০ সালের এই ঘটনা তো আরেকজনের যুদ্ধ করা জাতীয় কিছু নয়।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এখানে ইউরোপীয় স্বার্থে কোন ভারতীয় যুদ্ধ করলো?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ডুপ্লি ঘেচাং।[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এতবার মন্তব্য সম্পাদনা করলে উত্তর দিতে যে সমস্যা হয় দাদা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মন্তব্যের রিপ্লাই এলে সম্পাদন করা যায় না। এরকম আলটপকা মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন।
তা তো জানি।
আমি যে মন্তব্য দেখে উত্তর লিখেছি, সেই উত্তর পোস্ট করার আগে পেজ রিফ্রেশ দিয়ে ওই একই মন্তব্য পাইনি।
এটাতে আলটপকার কিছু দেখলাম না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ভারতে ফরাসি-ইংরেজ আধিপত্যের কোন্দল নিয়ে আরো জানতে দেখুন এখানে।
ভারতীয় সিরিজ দেখে হায়দার-টিপু-মারাঠা নিয়ে কিছু উত্তেজনা আসলে সেটা দোষের কিছু নয়। তবে ঘটনা হল, সে সময়ে স্থানীয় প্রশাসন - সেটা হিন্দু হোক আর মুসলমান, সেটা আসলেই ভেতর থেকে পঁচে এসেছিল। সেটা হায়দারের মত স্থানীয় 'নায়েক' থেকে শুরু করে দিল্লী পর্যন্ত সবার জন্যই প্রযোজ্য।
মোঘল-আফগান-তুর্কীরা ভারতীয় হলে তো ইংরেজ-ফরাসি-ওলন্দাজ-পর্তুগীজরাও ভারতীয়। নাকি?
এখানে বইটার পিডিএফ পাওয়া যেতে পারে।
একদম খাঁটি কথা বলেছেন। হায়দারের সাথে মারাঠা-নিজামদের সংঘর্ষের সূচনা কিন্ত রাজ্যবিস্তারকে কেন্দ্র করেই। ভারতের রাজ্যগুলো নিজেরা মারামারি করেই নিজেদের শক্তি শেষ করেছে। আর এর সুযোগ নিয়েছে ব্রিটিশরা।
মুঘল-তুর্কি-আফগানরা ভারতীয় হবে কেনো? এরকম কথা তো বলা হয়নি।
এই জন্যেই তো জানতে চাইলাম আপনি ’ভারতীয়’ সংজ্ঞায়িত করেন কিভাবে?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
৪৭ এর আগে 'ভারতীয়' বলে কোন কিছু ছিল বলে মনে হয়না।
ছিল না এ কথা ঠিক না।
৪৭' এর বহু আগে থেকেই প্রচলিত হিন্দুস্থানী, ভারতীয়, ইন্ডিয়ান শব্দগুলো দিয়ে বৃহত্তর অর্থে এই ভারত উপমহাদেশের মানুষদের বুঝানো হত। স্থানীয় মানুষরা ভারতীয় শব্দটি ব্যবহার করত, ইউরোপীয়ানরা ইন্ডিয়ান শব্দটি ব্যবহার করত আর মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার মানুষরা হিন্দুস্থানী শব্দটি ব্যবহার করত বৃহত্তর অর্থে এই ভারত উপমহাদেশের মানুষদের বুঝানোর জন্য।
ভারতীয় শব্দটি দ্বারা এখানে আমি ভারত রাষ্ট্র নয় বরং ভারত উপমহাদেশকে বুঝিয়েছি।
এছাড়া, ভারতবর্ষে ভূমিপুত্র বলে কিছু নেই। কারন, ভারতে সবাই বাইরে থেকে এসেছে। আর্য বলেন আর অনার্যই বলেন সবাই বাইরে থেকেই এখানে এসেছে। যুগ যুগ ধরে ভারতে থেকে স্খায়ীনিবাস গড়ে তোলা মানুষকে অভারতবর্ষীয় বলা যায় না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বইয়ের জন্য লন
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
দুর্দান্ত দা,
এ্যাংলো-মহীশুর যুদ্ধ শুধুমাত্র ভারতে ফরাসী-ব্রিটিশদের আধিপত্যে বিস্তারের যুদ্ধ নয়। এখানে মহীশুর, নিজাম, মারাঠা, ইংরেজ, ফরাসী প্রত্যেকে যুদ্ধ করেছে নিজ নিজ স্বার্থে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বাহ বাহ, সবুজ পাহারের রাজার নাম ফাঁকিবাজের লিস্টে উঠে গেছিলো দেখছিলাম, এখন দেখি এক মাসে মামু ৩ টা লেখা দিয়ে দিলো। জটিল হচ্ছে
পাহার নারে ভাই পাহাড়।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ওই হইলো একটা, ড এর তলে ফুটকি না দিয়া ব এর তলে ফুটকি দিলেই কি পাহাড়ের উচ্চতা কমবো রে ভাই?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
লেখা ভাল, কিন্তু সাথে আগের পর্বের লিঙ্কটাও থাকলে ভাল হত। খুঁজে বের করা সমস্যা
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
উপরে দেয়া আছে দিগন্ত দা।
তবু আবার দিলাম।
মহীশুরের বাঘ, পর্ব-এক
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ডাকঘর | ছবিঘর
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বেশ ঝরঝরে আপনার লেখা ।
তরতর করে পড়ে চলেছি ।
খুব ভাল লাগছে ।
চালিয়ে যান ।
শুভেচ্ছা ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ইতিহাসের পোস্ট পড়তে ভালোই লাগে।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
দ্যা সোর্ড অফ টিপু সুলতান! অনেক আগে একটা টিভি সিরিয়াল হত, কাহিনি স্পষ্ট মনে নাই। যা মনে আছে, মহীশুরের বাঘ টিপু সুলতান আর বাবা নবাব হায়দার আলী ছিলেন ইংরেজদের সাক্ষাৎ যম। পরে কয়েক বছর আগে এটিএন বাংলায় দেখাত।
'দ্যা সোর্ড অফ টিপু সুলতান' ছোটবেলায় আমারও খুব প্রিয় সিরিজ ছিল।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
টিপু সুলতান এর কথা উঠলেই বিটিভি তে দেখানো সিরিয়ালটার ইন্ট্রো মিউজিকের কথা মনে পড়ে যায়।শব্দটা শুনলেই দুদ্দাড় করে সবাই গিয়ে টিভির সামনে হাজির হতাম। আমার এক কাজিন আকবর কে নিয়ে একটা সিরিয়াল শুরু হওয়ার পর টিপু সুলতানের পক্ষ ত্যাগ করে যোগ দিল আকবরের পক্ষে। এই নিয়ে তার সাথে প্রবল ঝগড়া চলত। কিছুদিন আকবর সিরিয়ালটা চলার পর সে যখন বুঝতে পারল বাদশাহ আকবরের চরিত্র বিশেষ সুবিধার না, সে টিপু সুলতানের পক্ষে ফেরত আসার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাকে আর সুলতান টিপুর দলে নেয়া হয় নাই।
মজা পাইলাম ভাই।
এই লন
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
পড়তে ভাল লাগছে। চলুক।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন