ঘটনাটি বছর বারো আগের অথচ এখনো মনে হয় কিছুদিন আগে ঘটেছে।
ক।
২০০০ সালে বড় আপার বিয়ের মাস খানেক পড়ে দুলাভাই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রান্সফার হন। আপার শ্বশুর-শ্বাশুরী আমেরিকা থাকে। তাই, আপার শ্বশুর বাড়িতে থাকার চাপ ছিল না।
আপারা মার্চে চট্টগ্রামের হালিশহরের কে ব্লকে কোম্পানী হতে সদ্য ভাড়া করে দেয়া একটি বাড়িতে উঠে। আমাদের বাসা জে ব্লকে, মানে আপার নতুন বাসা হতে আমাদের বাসা হাঁটা পথ। আম্মা আপাদের বলেছিলেন আমাদের বাসায়ই উঠতে কিন্তু দুলাভাই স্বাভাবিক কারনে রাজি হননি।
আপাদের নতুন বাড়িটা বেশ বড়। একতলা বাড়ি। চার বেডের বিশাল বাসা। তবে, বাসাটা অনেক পুরনো। বাড়ির সামনে এড্রেস লগে লেখা, প্রতিষ্ঠা: ১৯৫৭ সাল। দুলাভাই থেকে শুনলাম বাড়ির মালিক অস্ট্রেলিয়া থাকে। এখানে কেউ নেই নাকি। কোম্পানী সদ্য বাড়িটি ভাড়া নিয়েছে সিনিয়র কর্মকর্তাদের জন্য। এর আগে সাত বছর নাকি এই বাড়িতে কেউ থাকত না। বলতে পারেন পরিত্যাক্ত বাড়ি ছিল ওটা। আপারা ওঠার আগে কোম্পানী প্রয়োজনীয় রিপেয়ার কাজ করিয়েছে।
বাড়িটার বর্ণনা দিয়ে ফেলি, তাহলে বুঝতে সুবিধে হবে। বাড়িতে ঢুকতেই একটা সোজা রাস্তা, মেঝে পাথরে বাঁধাই করা। রাস্তার দুপাশে বাগান। রাস্তা শেষে বাসার দরজা। বাসায় ঢুকতেই সোজা করিডোর। করিডোরের বামদিকে প্রথম ঘরটি হল ড্রইং-রুম। ড্রইং-রুমের সাথে লাগানো গেস্ট-রুম, ড্রইং-রুমের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। করিডোরের ডানদিকে ফ্যামিলি কম্বাইন্ড ড্রইং-ডাইনিং রুম আর কিচেনসহ তিনটি বেডরুম। করিডোরের শেষ মাথায় ছোট বারিন্দার মত বসার জায়গা আছে। ওদিক দিয়ে একটা দরজা আছে, ওটা দিয়ে বাগানে যাওয়া যায়। কেউ না থাকার কারনে বাগানটা অযত্মে পড়ে আছে। এখানে ওখানে ভাঙা টব আর আগাছার ছড়াছড়ি। আর আছে প্রকান্ড বড় একটা মেহগনি গাছ; গাছটা গেস্টরুমের জানালা ঘেঁষে লাগানো।
গেস্টরুমটারও একটু বর্ণনা দেয়া দরকার। গেস্টরুমটাতে ঢুকতে হয় ড্রইংরুম দিয়ে। করিডোর দিয়ে ঢুকবার কোন রাস্তা নেই। এটাচ টয়লেট আছে। রুমের বামদিকে বিশাল পুরনো ধাঁচের একটা জানালা। জানালা ঘেঁষে বিশাল মেহগনি গাছ।
আপারা যেদিন ফ্ল্যাটে উঠলেন, সেদিন আমি আপাদের হেল্প করার জন্য ওখানে ছিলাম। আপা, দুলাভাই আর আমি মিলে সন্ধ্যার মাঝে পুরো বাসা গুছিয়ে ফেলি।
এরমাঝে আম্মা বাসা থেকে দারোয়ান চাচাকে দিয়ে রাতের খাবার পাঠালো। রাত সাড়ে ন'টার দিকে ফ্রেশ হয়ে আমরা তিনজন একসাথে খেতে বসলাম।
খেতে খেতেই দুলাভাই বলতে লাগলেন, শালাবাবু, রাত তো অনেক হল, আজ আর বাসায় যেয়ে কাজ নেই, তুমি এখানে থেকে যাও।
পরদিন সকালে আমার স্কুল ছিল। তাই, বাসায় চলে যাওয়া দরকার ছিল। আমি বললাম, দুলাভাই, কাল তো স্কুল আছে, বাসায় চলে যাওয়াটা দরকার।
সঙ্গে সঙ্গে আপা বলল, তোর আজ আর যেয়ে কাজ নেই। থেকে যা। আমি সকালে তুলে দিবোনে।
আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম। দুলাভাই বলে উঠলেন, শালা মিয়া আর কোন কথা নয়। তুমি আজ থাকছ।
আপার বাসায় সেই রাতে থেকে যাওয়া থেকেই ঘটনার সূচনা। সে রাতটির কথা আজো ভুলিনি। মনে পড়লে এখনো গা শিরশির করে উঠে।
রাতে খাওয়া শেষ করে আমি আর দুলাভাই হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির পিছনের বাগানে গেলাম। ওখানে বসার জন্য সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা বেঞ্চ আছে। দুজনে যেয়ে ওখানে বসলাম।
দুলাভাইকে বললাম, আপনারা দুজন এই প্রাচীন প্রাসাদপ্রদোম বাড়িতে থাকবেন, ভয় করবে না? রাতের আঁধারে আমার এখনই ভয় করতেছে। চারপাশটা কেমন যেন ভুতুড়ে।
দুলাভাই হেসে বললেন, ধুর শালা মিয়া, কি যে কও! ভূত আবার কি?
দুলাভাইয়ের সাথে আমিও হাসলাম।
তখন ঘুরনাক্ষরেও মনে আসেনি আর ঘন্টাখানেক পড়ে আমার ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা হবে।
পুরোনো ধাঁচের বিশাল বাড়ি। গেইটের সামনে দুটো ইউনিকর্নের মুখোমুখি মাথা। বিশাল কাঁচের জানালা। বাগানে বিশাল মেহগনি গাছ। ঢাল পালা ছড়িয়ে আছে। অন্ধকারে ভয়াবহ লাগছিল গাছটা। অন্ধকার রাত। আধো-আলো আধো-ছায়ায় বাড়িটিকে পুরো্ই ভুতুড়ে লাগছে। মনে হচ্ছে নি:স্তব্ধ বাড়িটির মাঝে চাপা দু:খ আছে।
দুলাভাই গুন গুন করে গান গাইছিলেন আর আমি বাড়ি নিয়ে আবোল তাবোল ভাবছিলাম।
এমন সময় আপা এসে বলল, ওই ছোট, তোর বিছানা করে দিয়েছি গেস্ট রুমে। সাড়ে দশটা বেজে গেছে, শুতে যা। কাল সকালে আমি তোকে ঢেকে দেবো।
আপার বিছানা করে দেয়ার কথা শুনে দুলাভাই বিশাল এক হাই তুলে বললেন, শালা বাবু, গুড নাইট। আমিও শুতে গেলাম।
সারাদিন বাসা গুছানোর কারনে খুব ক্লান্ত ছিলাম। বেশ ঘুম পাচ্ছিল। তাই, দেরী না করে আপা-দুলাভাইকে গুড নাইট বলে শুতে চলে গেলাম।
গেস্টরুমটা বেশ বড়। বিশাল জানালায় পর্দা লাগানো হয়নি। ভিতর থেকে বাগানটা দেখা যাচ্ছে আর দেখা যাচ্ছে ঢাল পালা ছড়ানো বিশাল সেই মেহগনি বৃক্ষ। রুমের ভিতর থেকে গাছটাকে বিশাল আকৃতির মানুষের মত লাগছিল। গা ছমছম করা ব্যাপার।
তখন গরমকাল ছিল। রুমে ফ্যান লাগানো হয়নি। তাই, অনিচ্ছা সত্বেও জানালা খোলা রাখতে হল।
অনেক ক্লান্ত ছিলাম। চোখে ঘুম খেলা করছিল। তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুয়ে বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়লাম।
খ।
রাত তখন কত জানি না। হঠাৎ ঘুমটা পাতলা হয়ে এলো। ঘুমিয়ে আছি ঠিকই কিন্তু আশেপাশের সব বিষয়গুলো টের পাচ্ছিলাম। কেমন যেন অস্বস্তিকর অনুভূতি হচ্ছিল। আস্তে আস্তে সজাগ হয়ে এলো চেতনা। সত্যিই কেমন যেন অস্বস্তি লাগছে। গুমোট হয়ে আছে চারপাশ। চোখ মেলে তাকালাম। অন্ধকার চারপাশ। শুধু বাহির থেকে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের ক্ষীণ একটু আলো আসছিল ঘরে। সেই আলোতে রুমটাকে আরো অন্ধকার লাগছে। চারপাশটা চোখ বুলিয়ে নিলাম। হঠাৎ রুমের ডানকোনে মানুষ আকৃতির কিছু দেখে বুকটা জোরেসোরে ধুক করে উঠল। চোখ ফিরিয়ে নিলাম সাথে সাথে।
আমি ভূতে বা, অশরীরী কখনও বিশ্বাস করিনি। তখনও করতাম না, আজো করি না। চোখের ভুল হয়েছে ভেবে নিয়ে আবারো তাকালাম ঘরের ডানকোনে। এবার যা দেখলাম তাতে আমার সারা শরীর শীতল হয়ে এলো। পাগুলো অনেক ভারী মনে হতে লাগল। সারা শরীরে ভয়ের এক শীতল অনুভূতি খেলে গেল।
দেখলাম, ঘরের ডানকোনে মানুষের মত হাঁটু গেড়ে কি যেন বসে আছে। আকৃতি মানুষের মত। দেখতে ধোঁয়াটে সাদা। মুখের অবয়ব বুঝতে পারছিলাম। মনে হচ্ছিল লালচে চোখও দেখতে পাচ্ছি।
উঠে বসতে চাইলাম। সারা শরীর ভীষণ ভারী হয়ে আছে। উঠতে পারলাম না। আবার তাকালাম রুমের কোনায়। এবার মনে হল সাদা ছায়ামূর্তিটি বসা থেকে উছে দাঁড়িয়ে আছে। স্পষ্ট বুঝতে পারলাম জিনিসটা আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
ধুপ ধুপ করতে থাকা নিজের হার্টবিট নিজেই স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। উঠে বসে বাতি জ্বালানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু শরীর সাড়া দিল না। মাথা শূণ্য বোধ হল। শির শির করছে সারা শরীর। হার্টবিট দ্রুত থেকে দ্রুততর হয়ে গেল। শরীর অচল হয়ে উঠল। অসহ্য হয়ে উঠল চারপাশ।
স্পষ্ট দেখলাম কন্কালসাড় সাদা ধোঁয়াটে এক মানুষ আমার বিছানায় হাঁটু গেড়ে বসে আমার মুখের উপর নিজের মুখ এনে এক দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে বসে আছে। নারী বা, পুরুষ বুঝতে পারলাম না। চেহারা শীর্ণ। মুখের চামড়া ঝুলঝুলে, মনে হল এখনই খসে পড়বে। চোখ দুটো কোটরে ঢুকানো, লালচে রঙের। চোখে-মুখে রাগান্বিতভাব। মনে হল সাদা ধোঁয়াটে শরীরটা জমাট বাঁধছে। তারপর, জীর্ণশীর্ণ একটা হাত দিয়ে আমার মুখটা স্পর্শ করতে চাইল সাদা ছায়ামূর্তি। হাতের নখগুলো বড় বড়। আমি প্রাণপণে ছায়ামূর্তির হাতের নাগালের বাইরে শরীরটা নিয়ে যেতে চাইলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে শরীরে এক ফোঁটা শক্তি নেই। বুকে অসহ্য ব্যাথা অনুভব করলাম। মাথায় প্রচন্ডভাবে ঝাঁকুনি বোধ করলাম। নি:শ্বাস আটকে আসতে চাইল। মনে হল জ্ঞান হারাচ্ছি বা, মারা যাচ্ছি।
চেতনা হারানোর আগে দেখলাম, সাদা ধোঁয়াটে ছায়ামূর্তি তার কুৎসিত বিশাল নখওয়ালা হাত দিয়ে আমার মুখ স্পর্শ করতে চাইছে। ছায়ামূর্তির বিভৎস বিকট সদৃশ চেহারা শেষবারের মত আমার ঘোলাটে চোখে দেখলাম।
গ।
এরপর কি হল জানি না। আমার জ্ঞান ফিরল দু'দিন পর। চোখ মেলে দেখি মা-আপা-বড় ভাই-ছোট বোন-দুলাভাই-আব্বা চিন্তাগ্রস্থ চেহারা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
ঘ।
দুলাভাই হতে পরে শুনেছি, পরদিন সকালে আপা আমাকে ঘুম থেকে ঢাকতে গিয়ে দেখে আমার সারা মুখে ফেনা, চোখ আধা খোলা, শরীর এলোমেলো, কপালে সোজা একটা লম্বা বড় কাটা দাগ, মুখ রক্তারক্তি অবস্থা। এ অবস্থা দেখে আপা চিৎকার করে উঠলে দুলাভাই ছুটে আসে।
এরপর আমার জ্ঞান ফিরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু চেতনা কয়েক সেকেন্ডের জন্য আসে, এরপর আবার আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে, সেদিন সকাল দশটার দিকে হসপিটালে ভর্তি করা হয় আমাকে।
ঙ।
আপারা মাসখানেক থাকার পর সেই বাড়িটা ছেড়ে দেয়। আপারা বেশ কিছু ভয়ংকর জিনিস দেখে ওই বাড়িতে। সেই গল্প অন্য কোনদিন বলব।
চ।
আমি আজও অশরীরী কোন কিছুতে বিশ্বাস করি না। তবে, আমার কপালের কাটা দাগটা দেখলে কেমন যেন ছমছম করে উঠে শরীরটা। আমার কপাল কেটে যাওয়ার কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। ডাক্তারও কিভাবে কপাল কেটেছে সেটা বলতে পারেনি। পুরো ঘটনার কোন পরিস্কার ব্যাখ্যাও আমার কাছে নেই। সেই সাদা ধোঁয়াটে ছায়ামূর্তি আর আমার কপালে কাটা দাগ আমার জীবনের বড় মিস্ট্রি।
আজও মাঝে মাঝে সেই রাতের কথা মনে পড়লে বুকটা ধক করে উঠে। এখনো মাঝে মাঝে রাতে স্বপ্নে সেই বিভৎস ছায়ামূর্তি দেখি, বিছানায় আমার মাথার কাছে বসে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে লাল চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে।
আজ রাতেও আমার ঘুম হবে না। সেই নিশুতি রাতের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে বার বার। মনে পড়ে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়াটে ছায়ামূর্তির শীর্ণ ভয়ংকর সেই চেহারা।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ছবিসূত্র: গুগুল ইমেজ আর্কাইভ।
বি.দ্র.: এটি কোন ভূতের গল্প/ ভৌতিক কাহিনী বা, ঘটনার বর্ণনা নয়। এটি দৃশ্যত: অতি-প্রাকৃত একটি ঘটনার বর্ণনা মাত্র। ঘটনাটি স্লিপিং ডিজ-অর্ডার 'প্যারাসোমনিয়া'র কারনে হতে পারে।
অতি প্রাকৃত=SuperNatural=যা আমরা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাখ্যা করতে পারি না।
মন্তব্য
পুরোনো বাড়িটা আপনার কিশোর মনে নাড়া দিয়েছিলো। ঘুম ভেঙ্গে (কিংবা আধো ঘুমে) একটা ছায়া আকৃতি দেখে ভয় পেয়ে খুব সম্ভব খাটের সাথে বাড়ি খেয়ে কপাল কেটে যায়।
ভাল ব্যাখ্যা
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মুর্শেদ ভাই,
এটিই হবার সম্ভাবনা বেশি অথবা, নিচে উচ্ছলা দি'র কথাটিও হতে পারে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হুম্ম অতি ভয়ঙ্কর। জ্বীন-ভুত যতই অবিশ্বাস করেন, অন্ধকারে কিন্তু কেমন যেন একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। রাতের বেলা অনেক সাধারন শব্দও অস্বাভাবিক মনে হয়।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তনের প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে মানুষকে বনে জঙ্গলে কাটাতে হয়েছে। অন্ধকার যাদের ভয় লাগতো না তারা ক্রমাগত অন্ধকারে থাকা বিপদের কারণে মারা পড়েছে। বেঁচে থেকেছে অন্ধকার ভয় পাওয়া মানুষগুলো। ন্যাচারাল সিলেকশনে বাছাই হওয়া আমরা তাই এখনো অন্ধকারকে ভয় পাই, ছায়া দেখে অদ্ভুত জিনিস কল্পণা করে বসি।
আর ফাঁকা বাড়িতে একা থাকলে যে কেমন একটা গা ছমছমানি ভাব আসে, সেটার কি ব্যাখ্যা হতে পারে মাহবুব ভাই?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
দলবদ্ধভাবে না থাকলে বিপদে পড়ার বেশি চান্স ছিল -- এটা হতে পারে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
যেচে পড়ে একটুখানি বলতে এলাম
ভয় পাওয়া বিবর্তনের ফসল এবং ভয় পাওয়া প্রয়োজনীয়। নিরাপত্তার ব্যবস্থা যতো বেশী থাকবে আপনি ভয় তত কম পাবেন। খুব ফাঁকা জায়গা অথবা ঘণ জঙ্গলে থাকলে ভয় পাবেন বেশি। ফাঁকা স্থানে শিকারীর থেকে পালানো কঠিন আবার ঘন জঙ্গলে গোপন শিকারী থাকে। ফাঁকা জায়গা, কিন্তু দৌড়ে আশ্রয় নেয়ার উপায় (যেমন সহজে উঠে যাওয়ার মতো গাছ) থাকলে ভয় কম পাবেন, গাছের উঁচু শক্ত ডালে উঠে গেলে নিরাপদ বোধ হবে। ঠিক যে কারণে ফাঁকা বাড়িতে নিচতলার দরোজা বন্ধ করে দোতলায় উঠে গেলে খানিকটা নিরাপদ বোধ হতে পারে। শিকারী ঠেকানোর মত অস্ত্র (লাঠি, বল্লম, ধারালো পাথর ইত্যাদি) থাকলে নিরাপদ বোধ করবেন। শিকারীর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ার মত বিশ্বস্থ সঙ্গী বা দল থাকলে নিরাপদ বোধ করবেন। শক্ত অবকাঠামোর ভেতরে নিরাপদ বোধ করবেন। অন্ধকারের চাইতে আলোতে বেশি নিরাপদ বোধ করবেন যেহেতু আলোতে শিকারীর সঙ্গে লড়াই করা সহজ। সব মিলিয়ে মোটাদাগে ভয় হচ্ছে নিরাপত্তার অভাব! নিরাপত্তার ব্যবস্থা যত শক্ত বয় তত কম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ডুপ্লি ঘ্যাচাং
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
অনার্য দা,
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মুর্শেদ ভাই,
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
কল্যাণ,
ঠিক কথা বলেছেন। আমরা যতই যুক্তিবাদী, বাস্তববাদী হই না কেন, অন্ধকারে আমাদের মন কিন্তু ঠিকই আনচান করে উঠে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আপনার কপালের জখমটি সেল্ফ-ইনফ্লিক্টেড অর্থাৎ নিজের অজান্তে নিজেই নিজেকে আঘাত দিয়েছেন ঘুমের ঘোরে
আত্মবিশ্বাস থাকলে এসব ভূত-মুত ব্যাপার না। সাহসের দরকার হলে আমার কাছ থেকে নিয়েন
সুন্দর গল্পের জন্য ধন্যবাদ
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
জখমটি সেল্ফ-ইনফ্লিক্টেড হতে পারে, আবার উপরে মুর্শেদ ভাই যা বলেছেন সেটাও হতে পারে।
ভূত-অশরীরী বলে আসলে কিছু নেই, সবই তো মনের ব্যাপার।
৫ কেজি সাহস আমাকে পার্সেল করে পাঠায় দিয়েন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
উচ্ছলা, ভুতে আপনারে পেলে হয়। ভুত বলে কি ইজ্জত-সন্মান নেই!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আগে খেয়াল করিনি।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মানহানির মামলায় পড়বেন যে!
ঐ বাসার এখন কী অবস্থা? এখনো খালি? দু'এক রাতের জন্য থাকার ব্যাবস্থা করা যায়?
আপাদের পর আরো দুই অফিসার ফ্যামিলি নিয়ে ছিল। কেউ বেশিদিন থাকতে পারেনি।
পরে, কোম্পানী বাড়িটা ছেড়ে দেয়।
এরপর থেকে বাড়িটা খালি।
ওটাকে এখন আর বাড়ি না বলে ধ্বংসাবশেষ বললেই ভাল হয়।
আপনি থাকতে চাইলে ব্যবস্থা করতে পারি, তবে, অনাথ বাবুর মত না আবার কি করে বসেন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
june.noon (at) জিমেইল... দয়া করে একটা মেইল দিবেন কী?
দিলাম।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
খুব ভালো লাগলো রহস্যময় গল্পটি পড়তে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনিচ্ছাতে হলেও, একটা আধিভৌতিক ব্যপার প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেছেন বলে ভালো লাগেনি। বিশ্বাস অনেকক্ষেত্রেই ব্যধি। এবং সেটা সংক্রামক। সেই জন্যেই ব্যক্তিগতভাবে ভয়ের "অভিজ্ঞতা" পড়তে গেলে আমার কপাল কুঁচকে যায়! পড়লে নেতিবাচক মনোভাব নিয়েই পড়ি! "গল্প" ট্যাগ থাকলে না পড়ে এড়িয়ে যেতাম। ভূতের/ভয়ের গল্প পছন্দ করি না, হরর সিনেমাও দেখা হয় না! আপনি যদি আপনার কাছে একটি আপাত ব্যাখ্যাহীত ঘটনা/অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা নিয়ে আলাপ করতে চাইতেন তাহলে হয়তো অন্যভাবে আলোচনা করতাম।
কিন্তু এসব কেবল নিজের ব্যক্তিগত ভাবনার কথা বললাম, আপনাকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়! আপনার অভিজ্ঞতা আপনি যেভাবে ইচ্ছে প্রকাশ করতে পারেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি নিজেও এসব ভূত/অশরীরী বিষয়ে বিশ্বাস করি না।
সবকিছুর পিছনেই যুক্তিযুক্ত কারন থাকে।
আমার কাছে ঘটনাটি অস্বাভাবিক লেগেছিল দুটো কারণে।
০১। আমার নখ ছিল না বা, হাতের কাছে আঘাত করার মত কোন কিছু ছিল না যা দিয়ে আমি নিজেকে আঘাত করব।
০২। মাথার কাটা দাগটা ছিল ফাড়ানো, মানে, ছুরি/ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফাড়লে যেরকম দেখাবে, ওইরকম। সুতরাং, খাটের সাথে ধাক্কা খাওয়ার চান্সও কম।
উপরের দুটি সম্ভাবনা অর্থাৎ বা, নখ দিয়ে বা, খাটের সাথে বাড়ি খেয়ে আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটতে হতে পারে, তবে, না ঘটার চান্স বেশি।
আমি ঘটনাটিকে ব্যাখ্যা করি: 'প্যারাসোমনিয়া' হিসেবে।
কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করলে, সেটি ঘুমের মধ্যে একটি কাঠামোতে রূপ দেয় আর তার বাস্তব প্রতিফলন পাওয়া যায়।
যেমন, আমি সেদিন বাড়িটির ভুতুড়ে ব্যাপার নিয়ে হয়তো মাত্রাতিরিক্ত ফ্যান্টাসীতে ছিলাম, আবার একলা ভুতুড়ে পরিবেশে ঘুমিয়ে ছিলাম আর তার প্রতিফলন ভায়োলেন্টলি ঘুমের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। অর্থাৎ, স্বপ্নে ভূত দেখি আর আঘাতটি কোনভাবে আমার নিজেরই করা।
প্যারাসোমনিয়া কোন রোগ নয়, যেকোন মানুষেরই এটি হতে পারে। প্যারাসোমনিয়ার কেন হয়, তা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও নেই।
বাই দা ওয়ে, আমি কিন্তু কোন আধিভৌতিক ব্যপার প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করিনি। আমি যে শব্দটি ব্যবহার করেছি, তা হল অতি প্রাকৃত অর্থাৎ, SuperNatural (যা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাখ্যা করতে পারি না)।
প্যারাসোমনিয়ার কারনে হয়েছে বা, হতে পারে বিষয়টি আমরা অনুমান বা, দাবি করতে পারি কিন্তু প্যারাসোমনিয়া কেন হয়, তার প্রতিষ্ঠিত কারণ আমরা এখনও পাইনি। সুতরাং, প্যারাসোমনিয়া জাতীয় ইনসিডেন্টগুলোকে অতি প্রাকৃত বলতে অসুবিধা দেখি না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অতিপ্রাকৃত বিষয়ও আসলে আধিভৌতিক বিষয়ের অন্য নাম। তবে সেটা নিয়ে তর্ক নয়। আপনি বিশ্বাস করেন না সেটা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু এরকম ক্ষেত্রে সমস্যা হয় যে, যুক্তিশীল মানুষের আপাত বুঝতে না পারাটা বিশ্বাসীদের রোগ বাড়াতে সাহায্য করে
আপনার কপালের কাটা দাগ বুনো বেড়াল আথবা অন্য প্রানীর লম্বা আঁচড়ের হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তখন গরমকাল ছিল। আবার, সেই রুমে ফ্যানও ছিল না। তাই, জানালা খোলা ছিল। বিড়াল আসতে পারে। এই সম্ভাবনাও থাকতে পারে।
আবার, আজ সকাল হতে আরেকটি বিষয় মনে হল। এটি চামচিকা বা, বাদুরের কাজও হতে পারে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
চামচিকা বা বাদুড় হইতে পারে না, কারণ সেক্ষেত্রে চামচিকা বা বাদুড় কে আপনার ঘরে ঢুকে বিনা প্ররোচনায় (কারণ আপনি ঘুমাচ্ছিলেন) আক্রমণ করে আপনাকে জখম করা লাগে যেটা খুব একটা যুক্তিযুক্ত না যদি না ব্যাটারা রক্তচোষা হয়। কিন্তু ঐ জাত আমাদের দেশে নাই বলেই জানি, আর তেনারা ছোট্ট ছিদ্র করে রক্ত চেটে খান। চোর টোর হইতে পারে না?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কিছু তো চুরি যায়নি।
আর চোর ব্যাটা খামোখা আমাকে আঘাত করবে কেন?
আমার মনে হয় ঘুমের মধ্যে আমি নিজেই কিছু দিয়ে নিজেকে আঘাত করি আর স্বপ্নে ভূত দেখি।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমি ভাবছিলাম হয়ত কেউ আপনাদের হটিয়ে বাড়ি দখলের পায়তারা করতেছিল, এখন দেখি একাধিক পার্টি জড়িত
চট্টগ্রামের লাভলেনে কিছুদিন আগে ড়্যাব এই কাজটি করতে চেয়েছিল।
আগে শুনতাম ব্রিটিশ পিরিয়ডে ডাকুরা নোটিশ দিয়ে ডাকাতি করতে যেত। এখন শুনি, ড়্যাব নোটিশ দিয়ে মাজার লুট করতে যায়, বাড়ি দখল করতে আসে।
বাহ! এই না হলে হিরক রাণীর দেশ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
দারুণ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অতি প্রাকৃত ঘটনার আসলে সহজ ব্যাখ্যা নাই।
তবে বিশ্বাস করি আপনার বেলায় অন্যরকম কিছু ঘটেছিলো। উপরের দুইটা ব্যাখ্যা ছাড়াও এমন হতে পারে শিয়াল টাইপের কোন জন্তু ঢুকেছিলো ঘরে যা দেখে উভয়েই ভয় পেয়েছিলেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
হালিশহরে ২০০০ সালে শিয়াল আসবার সম্ভাবনা নাই।
এরকম হতে পারে:
যেহেতু আমরা ওইদিন ঘর গুছিয়েছি এবং বাসাটি অনেক পুরাতন, স্বাভাবিকভাবেই করিডোরে হয়ত কাঠের কোন টুকরো পড়েছিল, হয়ত ধারালো কোন কাঠের টুকরো দিয়ে আমি নিজেই ঘুমের মধ্যে কপাল কেটেছি আর আমার অবচেতন মন ঘুমের মধ্যে পুরো বিষয়টিকে ভৌতিক একটি দৃশ্যপট দিয়েছে।
আমার ধারণা প্যারাসোমনিয়া।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নিঃসন্দেহে অদ্ভূত !
অতিপ্রাকৃতিক ব্যপারে বিশ্বাস করি না, আবার অনেক ভৌতিক অভিজ্ঞতার সামনে পড়ে বিস্মিত হই।
অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন নাকি তার 'ভৌতিস্ট' টিম নিয়ে সারা বাংলাদেশ চষে ফেলেছেন।
৫২টি (বা ৫৭টি) ভৌতিক জায়গা ঘেঁটে ৯টি জায়গায় weird 'কিছু একটা'র দেখা পেয়েছেন।
ঠিক বুঝছি না, কী বলব।
আপনার কপালের দীর্ঘ কাটা দাগটা যদি সত্যিই 'তেনাদের' কাজ হয় তাহলে বলতে হবে
শুধু ছায়া নয়, কায়া শরীরেরও অস্থিত্ব আছে।
ঘটনাটি অদ্ভুত ঠিকই কিন্তু এটি 'তেনাদের' কাজ নয়।
'তেনারা' আছেন বলে বিশ্বাস হয় না।
অর্থহীন ব্যান্ডের সুমন ও তার 'ভৌতিস্ট' টিমের পুরো কাজটিকেই ভাঁওতাবাজি বলে মনে হয়।
হা হা।
কপালে কাটা দাগের মিস্ট্রিটা বরং থাকুক, বিভূঁইয়ে একটু ভয় পেতে দোষ কি?
তবে, ব্যাখ্যা যদি খোঁজেনই, তবে, আমার মতে, এটি প্যারাসোমনিয়ার কারনে হয়েছিল। মুর্শেদ ভাই, উচ্ছলা দি, অনার্য দা, মুস্তাফিজ ভাই ঘটনাটি ব্যাখ্যা করেছেন। সেগুলো হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বাহ , সবাই দেখি সবকিছুর ব্যাখ্যা জানেন !
বাঁচতে হলে জানতে হবে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আচ্ছা এলিয়েন বলে কি কিছু আছে? ভুত না, ওই দিন হয়ত কোন এলিয়েন আপনাকে আক্রমন করেছিল। হতে পারে ঐ বাসাটা কোন এলিয়েনের বাসা এবং সে কোন গুরুত্বপূর্ণ গবেষনার কাজ করসে ঐ বাসাটিতে। ব্যাঘাত ঘটার কারনে সে বিরক্ত হয়েছে
হা হা।
মজার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এই ধরনের অভিজ্ঞতার সব থেকে গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে "হ্যালুসিনেশন" এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় আক্রান্ত ব্যাক্তি নিজেই তার শরীরের আঘাতগুলোর জন্য দায়ী, তবে এটাও ঠিক যে পৃথিবীর সব ঘটনারই ব্যাখ্যা এখনও করা সম্ভব হয়নি। ভয় এমন একটা জিনিস যা অতি সাহসী মানুষের জীবনেও কখনো না কখনো ঠিকই হানা দিয়েছে। তবে পুরনো বাড়ি নিয়ে এধনের কিছু অভিজ্ঞতা আমি নিজেও শুনেছি, আর খুব পুরনো কোনো বাড়িতে থাকতে গেলে মানুষের নিজের মনের ভেতর থেকেই একটা অনুভূতির তৈরী হয়, যা আমাদের বিভিন্ন সময়ের পড়া কিংবা দেখা ভূত ও অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা সংক্রান্ত বই কিংবা চলচ্চিত্রের ছায়া।
তবে এধরনের অভিজ্ঞতার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা হয়তো দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা, তুমি এটাও বললে যে তোমার বোন-দুলাভাইও এধরনের কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনার সম্মুখীন এবং আরও দুইটি পরিবারও সেখানে খুব বেশিদিন থাকতে পারেনি। তবে হয়তো তোমার বোনের পরিবারের দেখা ঘটনাগুলো বিস্তারিত লিখলে কিছু একটা সিদ্ধান্তে আসা যেতেও পারে।
আমি নিজে অনেকবার একা বড় বাড়িতে থেকেছি, কিছুদিন আগেও এক সপ্তাহ থেকে আসলাম, তবে ভূতুড়ে কোনো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইনি আর বাড়িটা এরকম পুরনোও ছিলোনা তবে গ্রামের দিকে ছিলো। আমাদের ঢাকার আগের বাসাটার পেছনে ঘন জঙ্গলে ঢাকা একটা বাগান ছিলো, যার কিছু কিছু গাছের ডাল-পালা আমাদের পেছনের বারান্দাতেও ঢুকে পড়তো। ওই বাগানে পাশের বাসার ৭ তলা ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে একজন আত্মহত্যা করেছিলো, এরপর থেকে আমি প্রায়শই রাতে ওই বারান্দায় ঘুরঘুর করতাম অতিপ্রাকৃত কিছু দেখার আশায়, কিন্তু সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য তেমন কিছুই দেখা হয়নি। তবে ওই ঘরে ঘুমাতে গেলে একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি কাজ করতো তাই জানালা খোলা রেখে ঘুমাতে পারতামনা।
তোমার গা ছমছম করা লেখাটা ভালোই লাগলো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঘুমের মধ্যে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে একে 'প্যারাসোমনিয়া' বলে। আমারও ধারণা সম্ভবত: এরকম কিছু ঘটেছিল সেই রাতে।
আমার কাছে মনে হয়েছে, আমার জ্ঞান হারানোর অস্বাভাবিক ওই ঘটনার কারণে আপা-দুলাভাইয়ের মনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে, ওনারাও অস্বাভাবিক কিছু বিষয় দেখেন। পরবর্তীতে ওরা বাসা ছেড়ে দিলে বিষয়টি নিয়ে দুলাভাইয়ের অফিসে গুন্জন উঠে যে ওটা হানাবাড়ি। তো, স্বাভাবিকভাবেই, পরবর্তীতে যে দু অফিসার ফ্যামিলি নিয়ে ওখানে ছিলেন ওনাদের উপরও এই বিষয়টি মানসিক চাপ হিসেবে দেখা দেয়। যার ফলশ্রুতিতে, মানসিক চাপে হ্যালুসিনেশন।
ভৌতিক ভয়টি আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে ইনহেরিট করেছি। আমাদের আদি প্রজন্মগুলো যখন কোন অতি-প্রাকৃত ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারেনি, তখনই তারা বিষয়গুলোকে ভৌতিক বলে মনে করেছে, মনের মধ্যে সৃষ্টি করেছে ভূত-পেত্মী জাতীয় কাল্পনিক এই সব বিষয়ের, যার কোন বাস্তবিক ভিত্তি নেই।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অরফিয়াস, এই রকম ঘটনা আপনার ঘটলে ব্যাখ্যা করা জলবৎ তরলং, কারণ আপনি অপরাধী চক্রের সদস্য সুতরাং আপনার বিপক্ষ দল যে ঘটনা ঘটায়া যাবে সেটা বলাই বাহুল্য
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আররে ভুইলাই তো গেছিলাম রে ভাই, মনে করায় দিছেন,
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
লেখা এবং মন্তব্য ভাল লাগল।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ভুতেদের চোখ লাল, বড় নখ আর সাদা কাপড় পড়তে হয় কেন?
মানুষ ভূতদের ওরকম করে কল্পনা করে বলে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এটা সিম্বল।
ডাকঘর | ছবিঘর
মিঁয়াও
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আসলে যুক্তির বাইরে গিয়ে কোন কিছুর ব্যাখ্যা খুঁজতে ইচ্ছে করেনা। করিও নি কখনো। আপনার এই ঘটনার বেলায়ও তা করব না। জানিনা ঠিক কি হয়েছিল আপনার সাথে। উপরে মন্তব্যে অনেকে অনেক যুক্তিগ্রাহ্য কথা বলেছেন। সেগুলিও হতে পারে। নিজের কিছু অভিজ্ঞতা শুনাই, আমার দাদু এই ধরণের অনেক গল্প শুনিয়েছেন, উনার সাথে নাকি 'তেনাদের' নিয়মিত উঠবস ছিল, ছোটকাকার একবার তেনাদের দর্শনের পর যা অবস্থা করে বাসায় ফিরেছিল তা আর কহতব্য নয়, তাছাড়া আমার মা নিজেও নাকি অনেকবার উনাদের নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন। এইবার কথা হল এতগুলি মানুষ কি মিথ্যে কথা বলে??? জানিনা! কারণ আমার মন এগুলিকে মানতে নারাজ। এর একটা কারণ আমি নিজে, বহুবার রাতের অন্ধকারে আমি এদিকে ওদিকে নানা পরিত্যক্ত যায়গায় জঙ্গলে ঘুরাঘুরি করেও তেনাদের দর্শন পাইনি। একটা মজার ঘটনা বলি, কলেজে পড়ার সময় আমি একটা বাসা ভাড়া নিয়েছিলাম কলেজের পাশে, বাসার পেছনেই বিশ মিটার দূরত্বেই ছিল ঐ বাড়ির পূর্বপুরুষদের মহা-শ্মশান। প্রায় গোটা কুড়ি মঠ ছিল। খানিকটা আঁধার,জঙ্গল। রাতের বেলা নাকি ওখানে অনেকে বাতি জ্বলতে দেখেছে। প্রথম প্রথম ভয় যে লাগত না, তা নয়, রাতে জানালাই খুলতাম না। এরপর ধীরে ধীরে গরমের সময় আর না পেরে জালানা খুলতেই হত। কত রাত সেই জালানা দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম, কিন্তু কোন কিছুই চোখে পড়েনি। এরপর আরেকটা বিষয় জানতে পারলাম এই বাসারই আরেক প্রাক্তন বাসিন্দার কাছে, তখন প্রায় শেষের দিকে, তিনি জানালেন - আমি যে ঘড়টিতে থাকি তার নিজেই নাকি আরও গোটা দশেক কবর আছে! বুঝো ঠেলা!! এই ঘড়টিতেই নাকি আগে বাসার মালিকের বড় ছেলে থাকত, কিন্তু প্রায় রাতেই নাকি তাকে 'বোবা' ধরত। মানে কোন অশরীরী এসে তার মুখ চেপে ধরত, আর সে অজ্ঞান হত। খানিকটা টাস্কি খেয়েছিলাম বৈকি। কিন্তু সেই ঘড়ে তিন বছর কাটানোর পরেও কোন অশরীরী আমাকে দর্শন দেয় নি। এরপরেও আরও বহুবার অনেক বনে জঙ্গলে কত রাত দুপুর কাটিয়েছি, কত পরিত্যক্ত 'তেনাদের অঞ্চল' বলে পরিচিত যায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু দেখা মেলেনি।
ডাকঘর | ছবিঘর
'ভূত-প্রেত-পেত্নী-অলৌকিক' এইসবের কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই।
আমাদের আদি প্রজন্মগুলো যখন কোন অতি-প্রাকৃত ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারেনি, তখনই তারা বিষয়গুলোকে ভৌতিক বলে মনে করেছে, মনের মধ্যে সৃষ্টি করেছে ভূত-পেত্মী জাতীয় কাল্পনিক এই সব বিষয়ের, যার কোন বাস্তবিক ভিত্তি নেই।
"বোবায় ধরা" এক ধরণের স্লিপিং ডিজ-অর্ডার। সম্ভবত: একে 'কাটাপ্লেক্সি' বলে।
আমার সাথে ওই রাতে যা ঘটেছিল সেটা সম্ভবত: প্যারাসোমনিয়া। উপরে অনার্য দা'র সাথে কথায় সেটির উল্লেখ করেছি।
প্যারাসোমনিয়া নিয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে। কেন প্যারাসোমনিয়া হয় বা, কিভাবে কাজ করে এটি এখনো এক মহা মিস্ট্রি, এখনো অতি-প্রাকৃত একটি বিষয়।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
তুমি মিয়াঁ নিজেই যে চিজ তোমার গন্ধে তেনারা সব দেয় ভোঁদৌড়
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
তাপস দা কল্যাণ দা এ কি কয়?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষের যুগে শিক্ষিত সমাজ আর 'তেনাদের' অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা। আর আমি আপনার এ ঘটনার বিশ্লেষণেও যাবনা। আমি বলতে চাই, 'তেনাদের' অস্তিত্ব থাকুক আর নাই থাকুক, 'তেনাদের' গল্প বেঁচে থাকুক। ছোটবলায় ঝুম বৃষ্টির দিনে দাদী-নানীর কোলের মধ্যে শুয়ে 'তেনাদের' গল্প যে কি আনন্দ দিতো, তাতো বুঝিয়ে বলার নয়। কিছুকাল আগেও ঘুম পাড়াতে গেলে বাচ্চাদের আব্দার ছিলো ঐ 'তেনাদের' গল্পেরই।
ভূত-প্রেত বলে কিছু নেই। এসব সবই আমাদের মনের সৃষ্টি।
আমাদের আদিপুরুষরা অতি-প্রাকৃত কোন ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে না পেরে এইসব ভূত-প্রেতের সৃষ্টি করেছে।
ভূত বিষয়ক গল্পগুলো টিকে থাকুক যুগ যুগ ধরে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
লেখা পড়ে ভৌতিক আনন্দ হল!
****************************************
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
খাইছে, ইমোটাতো জব্বর
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লেখা ভালো লেগেছে রাজা যদিও তেনাদের ব্যাপারে আমার বিশ্বাস নেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভূত বলে কিছু নেই। সবই আমাদের মনের সৃষ্টি। আমাদের আদিপুরুষরা অতি-প্রাকৃত কোন ঘটনাকে ব্যাখ্যা করতে না পেরে এইসব ভূত-প্রেতের সৃষ্টি করেছে। তবু ভূতের গল্পগুলো টিকে থাকুক যুগ যুগ ধরে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমার কাছে মনে হয় এটা ছায়ার কারসাজি, শুধু রক্তাক্ত হওয়ার বিষয়টা বুঝতে পারলামনা। এমন একটা ঘটনা আমার আছে। ফুপুর বাড়ী বেড়াতে গেছি, গ্রামে দুর্গাপূজা চলছে, ব্যাটারই দিয়ে টিউব-লাইটগুলো জ্বালানো দূরে দূরে। মণ্ডপ থেকে এসে ভাত খেয়ে একা ফিরে যাচ্ছি, বাকিরা একটু আগেই চলে গেছে।
যেতে একটা একটু দূরে একটা খাল, পাড়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়, তার বারান্দায় তাকিয়ে দেখি উবু হয়ে বসে আছে কে যেন, বন্ধু কেউ হবে ভেবে মাঠে নেমে একদম কাছাকাছি যেতেই প্রথমে একটা শিহরণ তারপর একদম স্থাণু, মূর্তিটা দুলছে মৃদু মৃদু। কয়েকটা নাম ধরে ডাক, জমে বরফ, তারপর একদৌড়ে গিয়ে হামলে পড়তেই দেখি কিছু নেই, টিউব-লাইটের আলোগুলো গাছের শাখা আর পাতার ভিড় ঠেলে কিভাবে যেন এরকম একটা আকৃতি তৈরি করে ফেলেছিল। তবে হামলে পড়ায় হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছিলাম।
রাজাসাহেব, ভুতের সাথে মশকরা
ভূত বলে কিছু না থাকলেও ভূতের ভয় আমরা সকলেই পাই।
আমার যখমটির বিষয়ে মনে হয় ঘুমের মধ্যে আমি নিজেই কিছু দিয়ে নিজেকে আঘাত করি আর স্বপ্নে ভূত দেখি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ভয় পেলুম গো দাদা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আপনার লেখাটি পড়ার পর থেকেই অই পোড়োবাড়ীটি আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
যাবেন নাকি? আমি ধান্দায় আছি। এখন আমাদের রাজা মশাই যদি আয়োজন করেন।
পাঁঠা ভাই,
মাস তিনেক আগে আপিস আর পরীক্ষার ঝামেলাই ওই বাড়িতে আপনাকে ঘুরাতে পারিনি। রোজার ঈদের পর দিন পনেরোর জন্য ছুটি আছে। চলে আসুন না তখন একবার।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
রোমেল দা,
চলে আসুন একবার।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন