লেখার শুরুতেই আমার সীমিত জ্ঞান থেকে বকবক করার জন্য ক্ষমা চাইছি। সেই সাথে তথ্যগত কোন ভুল যদি চোখে পড়ে তবে জানিয়ে বাধিত করবেন সে আশাও ব্যক্ত করছি।
আর যদি বিজ্ঞানের কচকচি শুনতে না চান, তবে লেখার শেষের দিকে চলে যান, যেখানে কিছু করণীয় বিষয় উল্লেখ করেছি।
দেশে মুঠোফোন অর্থাৎ মোবাইল বা সেলফোনের ব্যবহার অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই সাথে কানে আসছে এই স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রশ্ন যার পক্ষে বিপক্ষে অনেক মতামত আছে। ব্যাপারটার গভীরে যেতে চাইলে বিজ্ঞানের কচকচিতে যেতেই হচ্ছে, তবুও সাধারণ ভাষায় কিছু কথা লেখার চেষ্টা করছি। মুঠোফোনে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, তাতে রেডিয়েশন বা বিকিরণের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় করা হয়।
প্রশ্নঃ রেডিয়েশন কি জিনিস?
ছোটবেলায় আমি নিজে এই বিষয়টিকে রেডিও-এক্টিভিটির সাথে গুলিয়ে ফেলতাম। রেডিও-এক্টিভিটি বা তেজস্ক্রিয়া হলো কিছু বিশেষ পদার্থের স্বতন্ত্র বিকিরণ, যার কয়েকটি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আর ‘রেডিয়েশন’ অর্থাৎ ‘বিকিরণ’ হলো যে কোন উৎস থেকে ‘শক্তি’ নির্গমণ, যেটা কিনা কোন মাধ্যম ছাড়াই হতে পারে। আমাদের প্রিয় সূর্যের আলো সেটাও বিকিরণের মাধ্যমে মহাশূন্য পরিভ্রমণ করে আসছে, কোন মাধ্যম ছাড়াই। খুঁজে দেখুন, আমাদের চারপাশে রেডিয়েশন এর উৎসের অভাব নাই।
প্রশ্নঃ রেডিয়েশন ক্ষতি করে কি না?
উত্তর দেবার আগে তাকিয়ে দেখতে হবে রেডিয়েশন এর প্রকৃতি ও উৎস কি সেই দিকে। সাধারণ কথায় বলা যায় যে যদি এই বিকিরণের শক্তি একটা মোটামুটি নিম্ন পর্যায়ে থাকে, যেটা কিনা গমনের সময় মাধ্যমের আণবিক পরিবর্তন ঘটাতে অক্ষম, তবে ভয়ের কিছু নেই। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে NON-IONIZING RADIATION। আমাদের চেনা বেশ কিছু উদাহরণ আছে যেমন- সূর্যের আলো, বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ, অবলাল (Infrared) প্রভৃতি বিকিরণ। এসব বিকিরণে আমাদের দেহের কোষ (আরও নিঁখুতভাবে বলতে গেলে আমাদের ডি-এন-এ) এর কোন গঠনগত পরিবর্তন বা মিউটেশন (Mutation) হয়না, যদি এবং কেবল যদি এই বিকিরণের শক্তি কম হয়।
একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন এই শক্তির ব্যপারটা। সূর্যে অনেক দূরে বিধায় আমরা পর্যাপ্ত আলো পেলেও সে আলোতে পর্যাপ্ত ক্ষতিকারী শক্তি থাকে না। কিন্তু সূর্যের কাছাকাছি গেলে অবস্থা ব্যাড়াছ্যাড়া হবেই। একইভাবে আপনার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে একটা জীবিত প্রাণী বা সজীব কোষ থাকলে কি অবস্থা হবে সেটা আলাপ না করাই ভালো।
প্রসঙ্গ যেহেতু এসেই পড়লো, তখন আরেকটু প্যাঁচাল বাড়াই, আপনার ঘরের যে মাইক্রোওয়েভ ওভেন রয়েছে, তার ক্ষমতা (Power Rating) কত সেটা খেয়াল করে দেখুন। সাধারণত সেটা ৫০০ ওয়াট থেকে ১৪০০ ওয়াটের মধ্যেই হয়। আমি কিন্তু সনাতন ওভেন এর কথা বলছি না। মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এটা ব্যবহার করে মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ প্রযুক্তি। আমরা যখন কোন বস্তু (এক্ষেত্রে খাবার) এই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে দেই, তখন যন্ত্রটি মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ উৎপাদন করে, যেটার শক্তি অত্যাধিক বেশী। এই বিকিরণের কম্পনের ফলে বস্তুটি গরম হয়ে ওঠে। আমার মাইক্রোওয়েভ ওভেনের শক্তি গ্রহণ ১২০০ ওয়াট ও উৎপাদন ৮০০ ওয়াট এবং এটি যে বিকিরণ করে তার কম্পাঙ্ক হলো ২৪৫০মেগাহার্টজ (2450MHZ অর্থাৎ 2.45 GHz)। এই বিকিরণ সরাসরি যদি সজীব কোষে আপতিত হয়, সেটা মর্মান্তিক ব্যাপার হবে। তাই এই যন্ত্রে রান্নার প্রকোষ্ঠের বিশেষ Shielding বা আবরণ থাকে। একটু চিন্তা করে দেখুন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন এর দরজা না লাগিয়ে যদি এটি চালু করা হয়, কি ভয়াবহ ব্যাপার ঘটতে পারে!
প্রশ্নঃ মোবাইল ফোনের কথা বাদ দিয়ে এসব কেন?
আসছি সে প্রসঙ্গে। মাইক্রোওয়েভ নিয়ে এতো কথা বললাম কারণ আমাদের সেলফোন বা মুঠোফোনের বার্তা আদান-প্রদানের যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, সেটাও মাইক্রোওয়েভ বিকিরণের মাধ্যমে ঘটে। এই বিকিরণের কম্পাঙ্ক হয় সাধারণত ৮০০ মেগাহার্টজ থেকে ১৮৫০ মেগাহার্টজ এর মধ্যে। তবে শক্তির ব্যাপারটা দেখা বেশী জরুরী। কিছুদিন আগেও ছিলো এনালগ সেলফোন, আর এখন আমরা পেয়েছি ডিজিটাল সেলফোন। এনালগ আর ডিজিটাল এর পার্থক্য কেবল মাত্র প্রযুক্তিগত, যার বিস্তারিত এখানে লেখার প্রয়োজন দেখছি না, তবে শক্তির ব্যাপারটা বলি। এনালগ সেলফোনের সর্বোচ্চ বিকিরণ ক্ষমতা হয় এক দশমিক তিন ওয়াট (1.3Watts) এবং ডিজিটাল সেলফোনের ক্ষেত্রে এটা শূন্য দশমিক ছয় ওয়াট (0.6Watts)। সতর্ক পাঠকরা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে আমার মাইক্রোওয়েভ ওভেন এর ক্ষমতা ছিলো আট শত ওয়াট। পার্থক্যটা এখানেই। মুঠোফোনের বিকিরণের শক্তি অনেক কম।
প্রশ্নঃ আসল কথা কও! মোবাইল ফোন ক্ষতি করে কি না?
ব্যাপারটা এতো সহজে ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ
অন্যদিকে
সত্য কথা বলতে গেলে এই প্রসঙ্গে বিতর্ক চলছেই। তার কারণ এতো কম শক্তির বিকিরণে ক্যান্সার হবার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া গিয়েছে বলে শুনিনি। তবে প্রতিনিয়ত পরীক্ষণ চলছে। তাই এক্ষেত্রে পরিসংখ্যানগত সম্পর্ক দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই বিকিরণ ক্যান্সার ঘটাবে এমনটা সরাসরি বলা যাচ্ছে না, তবে বিকিরণের ফলে যে ক্ষতি হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে সেটাও সত্য। বিভিন্ন পরীক্ষায় এ সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
আরেকটি প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু বলা উচিত, আমাদের দেশে সেলফোন নেটওয়ার্ক করা হয়েছে অসংখ্য টাওয়ারের মাধ্যমে। এসব টাওয়ার পরস্পরের মাঝে তথ্য আদানপ্রদানে অনেক উচ্চ কম্পাংকে উচ্চ শক্তি ব্যবহার করছে। এছাড়া আমাদের মুঠোফোন এগুলির সাথে বার্তা আদানপ্রদান করছে। যদিও মুঠোফোনের শক্তি বিকিরণ কম, কিন্তু এসব টাওয়ারের শক্তি বেশী বিধায় ঝুঁকির কারণ থাকে। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিবেদনও পাওয়া গিয়েছে। এমন এন্টেনা/টাওয়ারের একশত মিটারের মাঝে আবাসিক ভবন ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রশ্নঃ আমাদের করণীয় কি?
কিছু সমাধান এখানে উল্লেখ করছি। লেখার শেষে এর সামান্য বর্ণনা দিতে চেষ্টা করবো।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও সমস্যাঃ
স্পীকারফোন ব্যবহারে গোপনীয়তা নষ্ট হবে, তাছাড়া বাইরের কোলাহলে আলাপ করা কষ্টসাধ্য হবে। তবুও এটাই সবচেয়ে নিরাপদ সমাধান।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে হেডসেটটি নিজেই এন্টেনা (Antenna) হিসাবে কাজ করে, বিকিরণ বাড়িয়ে ঝুঁকি অনেকগুনে বাড়িয়ে দেয়।
শিশুদের ঝুঁকির কারণ হলো যে তাদের দেহের বৃদ্ধি অনেক বাকি। এমন বর্ধনশীল অঙ্গে বিকিরণের প্রভাব বেশী। তাদের মস্তষ্কের ক্ষতির সম্ভাবনাও বেশী। আর মুঠোফোনপ্রীতি যেন না হয় সেটাও কাম্য।
নেটওয়ার্কের শক্তি কম হলে যেমন ধরুন মুঠোফোনে এন্টেনার ছবিতে মাত্র একটি দাগ দেখা গেলে কি হবে? ডায়াল করার সময় ফোনটি বেশী চেষ্টা করবে ফলে বেশী বিকিরণের সম্ভাবনা হচ্ছে। আর তাছাড়াও সকল সময়েই ডায়াল করার সময় ফোনটি মাথার থেকে দূরে রাখাই ভালো।
দেহের নিম্নাংশে পরিবাহিতা ও বিকিরণ শোষনক্ষমতা বেশী। তাই ফোনে কথা বলার সময় দেহের নিম্নাংশে বা পকেটে ফোনটি না রাখাই নিরাপদ।
অনেক বেশীই লিখে ফেললাম। তথ্যগত কোন ভুল যদি চোখে পড়ে তবে জানিয়ে বাধিত করবেন। ধন্যবাদ।
Some Sources:
http://www.ehso.com/ehshome/cellphonecancer.php
http://en.wikipedia.org/wiki/Mobile_phone_radiation_and_health
http://www.radiationtalk.com/info/radiation_cancer.php
http://www.emf-health.com/articles-10tips.htm
http://well.blogs.nytimes.com/2008/06/11/how-much-radiation-does-your-phone-emit/
http://cellphones.about.com/library/weekly/aa080600b.htm
http://www.emf-health.com/airtube-headset.htm
http://www.bbc.co.uk/dna/h2g2/A283213
মন্তব্য
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য। সচেতনতা প্রয়োজন ...
আপনাকেও ধন্যবাদ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
লেখাটি ভালো লেগেছে। সহজ ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখা কঠিন কাজ, সেই কাজ ভালো ভাবেই করা হয়েছে। আরো ভালো লেগেছে বিষয়টি নিয়ে লেখকের নিরপেক্ষতা। এ ধরণের তথ্যসমৃদ্ধ লেখার জন্য
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
নিরপেক্ষতার ব্যাপারটি খেয়াল করেছেন দেখে আনন্দিত হলাম। এমন বিতর্কিত বিষয়ে লিখতে সাহস হচ্ছিল না...
ধন্যবাদ আপনাকে।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
খুব কাজের লেখা, লিখেছেনও প্রাঞ্জল ভাষায়। আমার পরিচিত যারা সেলফোন-বিহীন জীবন কল্পনা করতে পারে না তাদের দেখাচ্ছি মজা এইবার।
জয় হোক সচেতনতার।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
তথ্যপূর্ণ লেখা। আমি মুঠোফোন ব্যবহার করি, তবে সেটা না করার মতোই। প্রতি মাসে ৭০০ মিনিট দু'জনে মিলে ব্যবহার করেও কুলিয়ে উঠতে পারি না।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার তো মাসে পঞ্চাশ টাকার বেশী লাগে না।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
বাহ, খুবই চমৎকার লেখা। ঝরঝরে এবং নিরপেক্ষ। কিন্তু তথ্যে কোন ঘাটতি নেই। বিজ্ঞানের উপর লেখা আসলে এমনি হওয়া উচিৎ।
আমি শুধু একটি লাইনের উপর কমেন্ট করব-
উপরের বাক্যটি বোধ হয় একটু পরিবর্তন করা উচিৎ।
আমি দেশের বাইরে আসবার আগে মাইক্রোওয়েভ তেমন ব্যাবহার করিনি। জ্ঞান আমার সীমিত। তবু যত মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করেছি - দরজা না লাগিয়ে যদি এটি চালু করা হয় তাহলে তেমন কোন বিপদের ঝুঁকি নেই, কারণ মাইক্রোওয়েভ চলবে না। মাইক্রোওয়েভের সেফটি সংক্রান্ত ব্যাপারে এটি বোধ হয় অত্যাবশকীয় শর্ত। তবে আমার ভুল হতে পারে।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
আপনার কথা আমি যতোদূর জানি সত্যি। আমি আমার বাসার এল জি র মাইক্রোওয়েভ অভেনের ম্যানুয়ালেও তাই পড়লাম। আর ইঞ্জিনিয়ারিং কমন সেন্সেও কিন্তু আসলে এমনটা অত্যাবশকীয় বলেই মনে হয়...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
একমত।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
অসংখ্য ধন্যবাদ এ ব্যাপারটি খেয়াল করার জন্য। আমি লিখতে গিয়ে পরবর্তী বিষয়ে এতোটাই মগ্ন ছিলেন যে এভাবে চিন্তা করার সুযোগ হয়নি।
আমার একাউন্ট সচল নয় বলে পরিবর্তন করতে পারছি না। মডুরা করবেন কি না জানি না।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
হ্যাঁ হ্যাঁ দরজা খুলে চালাতে চাইলে চলে না৷ আমি অনেকবার মনের ভুলে দরজাখোলা অবস্থায় চালাতে গিয়ে দেখেছি চললই না৷ এখন অভ্যেস হয়ে গেছে দ্দাম করে বন্ধ করা৷
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
চমৎকার পোস্ট!
----------------------------------------
শুধু শরীরে জেগে থাকে শরীরঘর
মধ্যবর্তী চরকায় খেয়ালী রোদের হাড়
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
অনেক ধন্যবাদ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
প্রতিদিন গড়ে ২/৩ ঘন্টা তো কথা বলা হয়ই! আমার তো এখন শুধু এলাহী ই ভরসা!
এলাহী ভরসা, তবে নিজের জীবনধারা নিজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ধন্যবাদ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
বা: লেখাটা খুব কাজের৷
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ধন্যবাদ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
লেখাটা ভালো হয়েছে। টেকনিক্যাল বিষয়গুলি টেকি এবং নন টেকি উভয় ধরনের লোকের জন্য বোধগম্য লেখার হ্যাপা আছে !
তুমি সেই কঠিন কাজটা ভালো মতো করেছো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
থ্যাংকু ভাইজান।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
খুবই প্রান্জল লেখা। এই ব্যাপারে ইউএস এফডিএর ওয়েব সাইটে কিছু তথ্য আছে যাতে বলা হয়েছে যে মুঠোফোনের এখনো পর্যন্ত তেমন কোন খারাপ এফেক্ট দেখা যায়নি। কিছু তথ্য পাওয়া যাবে এখানে :
http://www.fda.gov/ForConsumers/ByAudience/ForWomen/ucm118505.htm
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
লিংকটির জন্য ধন্যবাদ। এখনও পর্যন্ত কোন খারাপ ইফেক্টকে মুঠোফোনের সাথে সম্পর্কিত করা যায়নি। তবে ক্ষতি হবে না এমন নিশ্চয়তা এখনও কেউ দিতে চাইছে না।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
দাদা, দারুন একখানা পোস্ট, তবে একটা জিনিষ যোগ করে দেই। ক্যান্সারের সাথেও সম্পর্কহীন, তাও বলে রাখাই ভালো। নিচের ছবিটা দেখুন।
হৃৎপিন্ডের বিদ্যুৎ সন্চালন পথ
ছবিটির নীল স্থানটি (SA NODE) থেকে বিদ্যুতের (৬০-৯০ মিলিভোল্ট) একটি সিগনাল নেমে আসে নিচের বেগুনী অংশে (AV node, যে ফাইবার দিয়ে নামে, তার নাম inter-nodal pathway) , তারপর বাকি রাস্তা দিয়ে গিয়ে নামতে নামতে সারা হৃৎপিন্ডে ছড়িয়ে পড়ে, প্রতি সেকেন্ডে এ জিনিষ ৬০-১০০ বার ঘটছে, অর্থাৎ আপনার হৃৎপিন্ডের গতি এভাবে নির্ধারন হচ্ছে। আমার এই বকবকের সাথে আপনার লেখার সম্পর্ক কী?
মুঠোফোন যখন বুক পকেটে রাখবেন, তখন কি হবে, সেটা বুঝানোর জন্যই এত কথার অবতারণা। এনালগ ফোন গুলো এজন্যে World Health Organization এর দ্বারা সার্টিফায়েড ছিল না। তার মানে হল যে, নতুন ফোন গুলো একটু বেশী নিরাপদ, আর এই রিস্ক বেড়ে যায় যখন আপনার হৃৎপিন্ড এমনিতেই দুর্বল (যেমন পেস মেকার)। আর মানুষ যে ভাবেই মারা যাক না কেন, তার হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া হল "end of the road"
যেহেতু সেলফোন আপনার হৃৎপিন্ডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন কমাতে বাড়াতে পারে, কাজেই বুক পকেটে ফোন রাখাটা কোন ভাবেই নিরাপদ নয়, কিন্তু তারপরেও আমরা রাখি, ফোন কোথায় রাখবেন, সে উত্তর আমিও জানি না। কিন্তু আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সাবধান বানী জানানোর একটু চেষ্টা করলাম আরকি।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
SA Node, AV Node, Purkinjie Fiber, Bundle of HIS...
হা হা... আপনি আমার লাস্ট সেমিস্টারের বায়োমেডিক্যাল কোর্সের কথা মনে করায়া দিলেন...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
তাহলে তো আরো ভালো, একজন হলেও আমার কথা বুঝতে পারতেসে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক আগে বেতার সংবাদে এমন একটা ব্যাপারে শুনেছিলাম, কিন্তু কিছুই মনে ছিলোনা। বিস্তারিত উল্লেখ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
আরে ভাই, তথ্য সংগ্রহ করে লেখলেন আপনে, ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য, আমরাতো জোড়া তালি দিচ্ছি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
"যেহেতু সেলফোন আপনার হৃৎপিন্ডের বিদ্যুৎ সঞ্চালন কমাতে বাড়াতে পারে"
এটা কীভাবে হয় দয়া করে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলুন। আমি বুঝতে পারছিনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সেলফোন যখন বুক পকেটে রাখবেন, তখন তা আপনার হৃৎপিন্ডের কাছে একখানা ফোর্সফিল্ড তৈরি করে বলে ধরে নেয়া হয়, তা বিদ্যুৎ চৌম্বকিয় বলে আমার ধারনা, অনেক আগে একখানা AHA (american heart assoc) জার্নালে পরেছিলাম, তারা এক স্টাডিতে সেল ফোনের কাছে পেস-মেকার রেখে তার কার্যক্রম মনিটর করেছে, (আসলে পেসমেকার একটি ব্যাটারী ছাড়া কিছুই নয়, যার তারগুলো গিয়ে হার্টের এস এ নোডে সংযুক্ত। আর পেস মেকারের উপর এমন এফেক্ট থাকলে হার্টের উপরে থাকাও বিচিত্র নয়, কিন্তু FDA রেগুলেশনের বিপক্ষে থাকায় তারা মানব দেহের উপর পরীক্ষা চালাতে সক্ষম হননি । সারাদিন সেলফোন পকেটে নিয়ে ঘুরতে পারবেন অথচ লিগালি স্টাডি করতে দিবে না। আর ব্যাপারটা আসলে কিভাবে ঘটছে তা মনে হয় সচলে যারা পদার্থবিজ্ঞানী আছেন, তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আর রিসার্চে কিছু দেখলেই আমি আর বিশ্বাস করি না, যা পড়েছিলাম, তাই শেয়ার করলাম, কয়দিন আগে জানতে পারলাম, সব রিপোর্ট বলে স্পন্সরের হাত ঘুরে আসে, ফলে ফলাফল তাদের মাধ্যমে পরিবর্তিত হওয়া অস্বাভাবিক না। কয়দিন আগেও এক ড্রাগ ট্রায়ালে এক সাবজেক্ট মারা গেল, যে সেন্টারে মারা গেল, স্পন্সরিং কম্পানি সেই সেন্টারকে স্টাডি থেকে বাদ দিয়েছে, যাতে ঐ মৃত্যটি এড়ানো যায়। ভাই, দুর্নীতি খালি বাংলাদেশে হয় না !!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি আমাকে যে উত্তরটা দিলেন সেটা নিজেই আর একবার পড়ুন, তারপর পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র/পাঠক হিসেবে নিজেকেই জিজ্ঞেস করুন এমন "যদি-তবে-ধারণা" ধরণের উত্তর পদার্থবিজ্ঞানে গ্রহনযোগ্য কিনা।
[h
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার জীবনের ২য় বা ৩য় লেখাটি ছিলো এই বিষয় নিয়ে 'রহস্য পত্রিকা'য়।
পয়সার বিনিময়ে লেখা, তাই পড়াশুনা করেই লিখেছিলাম
সে সময় মুঠোফোন একেবারেই নতুন প্রযুক্তি। তাই ভয়ডরও বেশী ছিলো।
আমার দুই পয়সা সেখান থেকেই যোগ করে দেই এই সুযোগে,
বিখ্যাত ফোন কোম্পানী মোটোরোলা নিজেরাই এই নিয়ে বিস্তর পয়সা ফান্ডিং দিয়ে গবেষণা করিয়েছে। ফলাফল অনেকটা এমন যে, নাহ তেমন ভয়ের কারণ নাই!
বেশি কথায় বললে, জগতের প্রতিটি বস্তুর মতোই মস্তিষ্কের নিউরোণদেরও একটা Natural Frequency থাকে। যারা পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র নন তাদের জন্য বলছি, 'সব কিছুই কম্পমান'। তবে আমাদের দৃষ্টি বা অনুভূতি দিয়ে অধিকাংশ কম্পনই আমরা ধরতে পারি না।
যাহোক, দুইটা কাছাকাছি কম্পাঙ্কের (Frequency) বস্ত যদি শারিরীকভাবেও কাছাকাছি অবস্থান করে তাহলে লঙ্কাকান্ড বেঁধে যেতে পারে, কারণ কাছাকাছি কম্পাঙ্কের ২টা তরঙ্গ একসাথে হলে তাদের প্রত্যেকের কম্পাঙ্ক প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, ফলে আরোও বেশী করে কাঁপতে থাকে। এই নীতির ওপর ভিত্তি করে কিছু মশা মারার কলও বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো কোনও ওষূধ দিয়ে মশা মারে না, মারে কম্পন দিয়ে। এই যন্ত্রগুলো এমন কম্পাংকের শব্দ তৈরি করে যা মশাদের পাখার কম্পাঙ্কের খুব কাছাকাছি। ফলে মশা যখন সেই যন্ত্রের কাছে এসে পরে তখন তার পাখার কম্পাংক হঠাৎ ব্যপকভাবে বেড়ে যায়, মশা সেই কম্পন সামলাতে পারে না, পাখা ভেঙ্গে মাটিতে পরে যায়!
২টা কম্পাঙ্কের এমন কাছাকাছি হয়ে তুলকালাম বাধানোর ঘটনাকে বিজ্ঞানের ভাষায় Resonance বা অনুনাদ বলে।
যাহোক, আমাদের নিউরোণের কম্পাঙ্কের সাথে ফোনের কম্পাঙ্কের পার্থক্যটা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরা পরস্পর কাছাকাছি হলেই বিপদ, মাথায় নিউরোণদের নাচানাচি বেড়ে গিয়ে বিপত্তি হবার সমূহ সম্ভাবনা। স্বস্তির বিষয় হলো, এই ২ তরঙ্গ পরস্পর থেকে এতোই আলাদা যে এদের মাঝে অনুনাদ হবার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ। সুতরাং ভয় নেই।
তবে, সাইফ ভাইয়ের কথাটা মনে রাখা জরুরী। বুকের কাছে কখোনই মুঠোফোন রাখা ঠিক নয়। আপনার পরাণপাখী ওখানেই বাস করে, তার জন্য এইটুকুন সাবধানতা অবলম্বন করাই ভালো।
তারাহুরো করে এবং মনে করে লিখলাম, পড়ুয়া এবং বিজ্ঞ কেউ নিশ্চই সেরকম হলে ভুল শুধরে দেবেন। বড় মন্তব্যের জন্য দুখিত।
চমৎকার মন্তব্য। অনেক ধন্যবাদ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
ধন্যবাদ আরেফিন ভাই, মোবাইলের ফ্রিকোয়ন্সির সাথে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাপাকাপির ব্যাপারটা পরিষ্কার হল। আর বেঁচেই যদি না থাকলেন তো ক্যান্সার হবে কিভাবে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাল হইছে লেখাটা। অনেক কিছু জানলাম!
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ধন্যবাদ, তবে আপনার স্বাক্ষর দেখে আমি হতাশ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
- মাইক্রোওয়েভের রেডিয়েশনের ব্যাপারে একটু বিষহদ বলবেন কি? আমি আগে জানতাম এই ব্যাটা মোটামুটিভাবে কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে না। কিন্তু সম্প্রতি আমার পরিচিত একজনের বাসায় মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার হাসবেণ্ডের হৃদয়যন্ত্র স্বাভাবিকের চেয়ে কিঞ্চিৎ দুর্বল হওয়ার কারণে। বলা হয়েছে, ঘরে মাইক্রোওয়েভ চললে তার জন্য ভয়ানক ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে। জার্মান একজন ডাক্তার যখন এই মর্মে সার্টিফিকেট দেয় তখন একটু কেমন করেই ওঠে বৈকি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কথাসত্য, পেসমেকারের সাথে মাইক্রওয়েভ এর গুতাগুতির সম্ভাবনা আছে, সমস্যা হল, রিস্ক নিয়ে কেউ পরীক্ষা করতে চান বলে মনে হয় না। ১০ মিনিটে আমেরিকাতেও ডিসপ্যাচ করতে পারবে, তেমন গ্যারান্টি নাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আমিও এমন ক্ষতির ব্যাপারে শুনিনি। সন্তোষজনক সমাধান পেলে অবশ্যই পোস্ট করবো। ধন্যবাদ চিন্তার ও গবেষণার খোরাক দেওয়ার জন্য।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
একবার এক কোম্পানি নিজস্ব গবেষনায় বের করলো... অন্য কোম্পানির মোবাইলের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ একেবারে কানের ভেতর গিয়ে ঢুকে। ব্যাপারটা তারা চেপে যায়। কারণ... অন্য কোম্পানিও জানে যে প্রথম কোম্পানির ফোনের অবস্থা একই। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এরকম টুকিটাকি অনেক কিছুই চেপে যায় মোবাইল কোম্পানিগুলো।
আমি সাধারণত বাম পকেটে সেলফোন রাখি। ইদানীং ফোন পকেটে না থাকলেও মনে হয় যেন ওখানকার মাস্ল একটু কেঁপে ওঠে। এরকম ফোন-লেস ভাইব্রেশন নিয়ে কোন ব্যাখ্যা আছে ডাক্তারদের কাছে?
দারুন তথ্যনির্ভর লেখা। দেশে পোলাপানগুলারে দেখি সারাদিন মোবাইল নিয়া পইড়া থাকে, ঐগুলার যে কি হইব !!
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচেতন হবার এখনই সময়।
ধন্যবাদ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
ইয়া আল্লাহ, ওয়ারিদের কল্রেট আরেকটু বাড়াইলে তো তাইলে বাঁচার সম্ভাবিলিটি আরেকটু বাড়ে...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
আমার দুইটা সিম আছে, কিন্তু কই আমি তো দুইটা মিলায়াও পঞ্চাশ টাকাও খরচ করি না। নিয়ন্ত্রণ নিজেরই হাতে...
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
ক্যান্সার শব্দটা শুনতে শুনতে এখন মনে হয় ক্যান্সার আর চর্মরোগের মধ্যে মূলত কোনো ফারাক নেই
হাঁটলে ক্যান্সার বসলে ক্যান্সার জোরে শ্বাস নিলে ক্যান্সার...
এই ক্যান্সারের হিসাব করতে করতে হার্টফেল করে মরার চেয়ে দুচারটার ক্যান্সার চাষাবাদ করাও অনেক শান্তির
আপনার মন্তব্য পইড়া ব্যাপক মজা পাইলাম।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
সহজ ভাষায় এধরনের তথ্যমূলক লেখা লেখার জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে দেখার জন্য ও মন্তুব্য করার জন্য।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
দারুন একটা লিখা।আগেও অনেককিছু জানতাম+এখন নতুন করে সহজভাবে জানলাম।আসলে এই নিয়ে বিতর্ক আছে অনেক,তবে একটা জিনিস ভুললে চলবে না,মোবাইল নির্মাতারা তাদের গাটের পয়সা খরচ করে যখন কোনো গবেষণা চালায় তার ফলাফল কেমন হতে পারে বা কেমন না হলে তা প্রকাশে অনুমতি মিলবে না তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে।তবে যাই হোক শরীরের খুব কাছ থেকে বেশিক্ষণ মোবাইল ব্যবহার কোনো সুফল বয়ে আনবে না তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
কিন্তু আমি যাই কই?ওয়ারিদ পোস্টপেইড,২০টা এফএনএফ.......তাও ২০০০ টাকার মতো বিল আসে!!!!!!তবে বেশিরভাগ সময় হেডফোন দিয়েই সেট টেবিলের উপর বা বেশ দূরে রেখেই কথা বলি।
আর কমদামি হেডফোন দিয়ে গান বা মিনিটখানেকের উপর কথা!!!!!!কান গরম হয়ে লাল হয়ে যায়।সত্যি বলছি আমি।সুতরাং এই ব্যাপারে সাবধান!
নতুন মন্তব্য করুন