ইউনিভার্সিটি হলগুলোয় পরিচিত এক দৃশ্য ছিলো, আমাদের স্বাভাবিক বহুল তরংগায়িত জীবনে আরেক তরংগ আর কি। সেটা হলো, দুপুরের খাবারের পরে হয়তো সবাই চুপচাপ, বেডে শুয়ে আরাম করছে, কোথাও কোন রুমে হয়তো চলছে আড্ডা, এরকম অবস্থায় হুট করেই পুরো ফ্লোরে ফিসফাস করে ছড়িয়ে পড়লো খবর, "ঐ আইছে, আইছে রে, ভাগ সবাই!"
ব্যস, সবাই শোয়া বসা ছেড়ে হুড়মুড় করে গায়ে শার্ট চাপিয়ে পড়িমড়ি করে দে ছূট।
তা কে সেই সুধীজন, যার আগমনে এই পলায়ন নাটিকা?
না,ক্যাডার বা ঐ গোত্রীয় কেউ নন, তারা হলেন তাবলীগী জামাতের মানুষ।
লাঞ্চের পরপরই মূলত তারা 'হামলা' চালাতেন। মুখে অমায়িক হাসি, কথার শুরুতেই হাত মিলানোর জন্যে হাত চেপে ধরেন, এবং অলৌকিক ভাবে সেই হাত ছাড়ার কথা পুরোপুরি ভুলে যান। একদম মাগরিবের নামাজের পরে আজকের জমায়াতে হাজির থাকবো- এইরকম একটা অদৃশ্য সনদে সম্মতিসূচক দস্তখত না করা পর্যন্ত মুক্তি মিলে না।
তাবলীগি জামাতের পেছনের মূল কাহিনিটা আমার জানা নেই। তবে ধারণা করতে পারি, বিপথে যাওয়া মুমিনদের যায়-যায়-ঈমানকে পাকাপোক্ত করতেই তারা নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। আমার অবশ্য কোনই আপত্তি নেই তাতে। তবে বার তিনেক প্রায় একই ধরণের লম্বা লেকচারের মাঝে ঐ অমায়িক হাসিওয়ালা মানুষদের বিরক্ত করতে পারিনি বিধায় আমার টিউশানীর বাস ছুটে গেছিলো, তারপর থেকে আমিও সেই আতংকায়িত দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলাম। সেই অমায়িক হাসি দেখলেই আমার পিলে চমকে যেত, রাত বিরেতে দুয়েকটা দুঃস্বপ্ন দেখে ফেলেছিলাম কি না মনে পড়ছে না, তবে রুমের দরজায় লাগানো হ্যাঙারে একটা তৈরি শার্ট সবসময়েই ঝুলতো। যেন তাহাদের আগমনী বার্তা কানে এলেই নাগাল সীমার বাইরে চলে যেতে পারি।
মনে আছে, বন্ধু রানা এইরকম ক্রিটিকাল সময়ে একবার শেষমুহুর্তে ওদের হাতে পাকড়াও হয়ে গিয়েছিলো। ওর উপস্থিত বুদ্ধি খুব ভাল, মুহুর্তেই মুখ করুণ করে বলেছিল, "আমি ভাই জগন্নাথ হলে থাকি,এমনিই এসেছিলাম এখানে!'
ব্যস, ইতিহাসে সম্ভবত ওর হাতই সবচে দ্রুত সেই নাগপাশ থেকে মুক্তি পেয়েছিলো!
--------------
ক'দিন আগে বিকেলে, কাজ নেই তাই বাসায় বসে আছি আরাম করে। দরজায় ঠকঠক। বউ উঠে গেলো দরজা খুলতে। গিয়েই সাথে সাথে ফিরে এলো। "তুই যা।" আমি চোখে মুখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঝুলিয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি মাথায় টুপি, লম্বা পাঞ্জাবী পরনে, শ্মশ্রুমন্ডিত দুইজন মানুষ। ঢাকা থেকে মেলবোর্ণ আসতে আসতে পরিবেশ আবহাওয়া আর মানুষের ধরণ ধারণ সবই বদলে গেছে, কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সেই অমায়িক হাসি বদলায় নি। এতদিন বাদে সেই চিরচেনা হাসির ধরণ দেখেই চিনলাম, যদিও ঠিকঠাক বিশ্বাস হচ্ছিলো না আমার, এখানেও?!?
আমি তখন আমার সবচেয়ে প্রিয় পোশাক পরা, হাফপ্যান্ট আর টি-শার্ট। খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা অবস্থা আমার। দু'জনের মধ্যে একজনই কথা বললেন সব। কথা না বলে প্রশ্নবান চালালেন বলা চলে। বাংলায়। কি করি, পড়ি না পি আর, বাড়ি কই, কোথায় পড়েছি, স্কুল কলেজ, এখানে কোথায়, কি জব করি...। সর্বশেষ ভিসা ফরম বাদে নিজের সম্পর্কে এওসব ব্যাক্তিগত প্রশ্নের উত্তর আর কোথায় দিয়েছি আমার মনে পড়ে না!
ভদ্রলোক এখানকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। এটুকু শুনে বসতে বললাম ভেতরে। হাজার হোক, শিক্ষক মানুষ। আমাকে জানালেন তিনি বুয়েটে পড়েছেন, শিক্ষকতাও করেছেন সেখানে বেশ কয়েক বছর।
ঘরে ঢুকতেই টিভি-র সাথে লাগানো এক্সবক্স গেইম স্টেশান দেখে উনি বোধহয় আন্তরিক হতে চাইলেন একটু, জিজ্ঞেস করলেন, 'কার এটা, আপনার বাচ্চার?'
আমি বিষম খেলাম। ভূঁড়িটা বেড়েছে ইদানীং জানি, এবং খানিকটা গাট্টাগোট্টাও হয়ে গেছি, কিন্তু তাই বলে বাচ্চার বাপ!
হাসিমুখে জানালাম, না, ওটা আমারই। বাচ্চা কাচ্চা এখনো নেই।
তারপরে লম্বা আলাপ হলো। প্রায় বছর পাঁচেক আগে শোনা কথাগুলোর সাথে কোন তফাত নেই। পার্থক্য এই যে এইবারে টিউশানী ধরার তাড়া ছিলো না, তাই মুখে হাসি ধরে রেখে সব শুনলাম। তবে এখন আমিও অনেক বদলে গেছি, হাসিমুখে 'না' বলে দিতে পারি। স্পষ্ট করেই জানালাম যে আমি নিজের মত করেই ধর্মকর্ম করি, এবং এইরকম মজলিশে যাবার ব্যাপারে উৎসাহী নই।
আগের বারের গুলোর তুলনায় ইনি আসলেই নিতান্তই ভদ্রলোক। খানিক চেষ্টার পরে বুঝলেন, হবে না, তাই জোরও করলেন না আর। পাশের মানুষটা এতক্ষণ কোন কথা বলে নি, প্রতি কথায়ই শুধু হেসে হেসে মাথা নাড়ছিলো, তাই এতক্ষণ বুঝিই নি উনি বাংগালী নন। যাবার আগ মুহুর্তে ইংরেজীতে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আশপাশে পরিচিত কোন মুসলিম ব্রাদার আছে কি না?
তা আছেন বেশ ক'জন। তবে ঠিক কোনজনের বিকেলের আরাম মাটি করবো সেই সিদ্ধান্ত নিতে খানিকটা দেরি হলো, অবশেষে একজনের বাড়ির হদিশ দিয়ে বিদায় জানালাম।
বুঝতে পারছি না, এই অমায়িক হাসি কি এখন থেকে নিয়মিতই দেখতে হবে কি না!
মন্তব্য
বুয়েটে এখন আওয়ামী লীগের চেয়ে তাবলীগের সংখ্যা বেশি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান…
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
দে পানা দে...
- পানা থুইয়া পান খাইতে দে।
এখানেও পড়েছিলাম এমন হাসির কবলে। আমার অবস্থা এমন করুন হয়, না পারি ছুটতে না পারি থাকতে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দেশে থাকার সময় আমি বারদুয়েক এমন সমস্যায় পড়েছিলাম। তবে আমি হেদায়েত-able বান্দা নই বলে আমার পেছনে সময় নষ্ট না করাটাই সমীচীন হবে বলে পার পেয়ে গেছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের এক সিনিয়র ভাই ছিলেন, নাম রাসেল। থাকতেন শহীদুল্লাহ হলে।
একদিন বিকাল বেলায় রাসেল ভাই তার ৩/৪ জন বন্ধুর সাথে শহীদু্ল্লাহ হলের পুকুর পাড়ের কোনায় দাড়িয়ে আড্ডা মারছেন। এমন সময় বলা নেই কওয়া নেই, কোথা থেকে ৩/৪ জন হুজুর টাইপ স্বল্প পরিচিত সহপাঠীর আগমন ঘটলো। হুজুরদের একেকজন রাসেল ভাইদের একেকজনকে পাকড়াও করলেন।
একজন হুজুর রাসেল ভাইয়ের ডান হাত নিজের দুই হাতের ভেতর ফেলে ডলতে লাগলেন আর বলতে লাগলেন, "বুঝলেন রাসেল সাহেব, মনের জমি চাষ করতে হবে। জমি চাষ না করে ফেলে রাখলে যেমন সেই জমি আগাছায় ভরে যায়। তেমনি মনের জমি চাষ না দিয়ে ফেলে রাখলে সেখানে শয়তান এসে ভর করে।”
জবাবে রাসেল ভাই বললেন, “হুজুর হাত ডইলেন না। সেক্স উঠে যায়!”
কি মাঝি? ডরাইলা?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দ্রোহী ভাইয়ের জন্যে সবসময় বিপ্লব বরাদ্দ করে দিমু নাকি ভাবতাছি! অসাধারণ সব কমেন্ট!
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমি বিভিন্ন বিচারে একজন পাপী মানুষ। আমার এক সহপাঠী, আমার দেখা অনেক ভালো মানুষদের মধ্যে একজন, সে আমার রিপুতাড়িত জীবনে একটা পরিবর্তন আনার মক্সদ নিয়ে একদিন অনেক কিছু বোঝালো। নারী, মদ, টাকা, এগুলি সবই সাময়িক মোহ। সব মায়া। নিজেকে লাইনে আনতে হবে। সোজা পথে উঠতে হবে। কিভাবে ওঠা যায়? উঁহু, তাড়াহুড়ায় কিছু হবে না। সাধনা করতে হবে।
আমি ব্যাকুল গলায় বলি, "কোন শর্টকাট নাই?"
সে রহস্যময় হাসি উপহার দেয় একটা। বলে, "আছে, কিন্তু শর্টকাটের পথও কষ্টময়।"
জানলাম, চিল্লায় গেলে কিছু কাজ হতে পারে।
আমি রাজি। তখন নিয়মিত ট্রেকিং হাইকিং ইত্যাদি করি। পারলে বান্দরবনে চিল্লায় যাই।
সহপাঠী জানালো, চল্লিশ দিন খোদার রাস্তায় থাকতে হবে।
আমি একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম। খানিক ভেবে বললাম, আচ্ছা চিল্লায় গিয়ে কি হাতে কাজ নেয়া যায়?
সহপাঠী বললো, হাতে আবার কী কাজ?
আমি তাকে হাতের কাজ কি বুঝিয়ে বললাম। চল্লিশদিন নারীসংসর্গ না পেলে যে হাতে অনেক কাজ জমে যেতে পারে, এ ব্যাপারটাও তাকে ব্যাখ্যা করে বললাম।
সে চরম ঘৃণাভরে বললো, "তওবা তওবা! তুমি সংশোধনের অযোগ্য!"
বড়ই দুঃখ পেয়েছিলাম। আজ অবধি লাইনে আসতে পারলাম না।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমি বলি, ওটা লাইন নয়, বেলাইন। আপনি সঠিক পথেই আছেন।
আর হাতের কাজ বিষয়ে একটা কথা মনে পড়লো। মফস্বল এক শহরের ব্যাংকের ভেতরে দেয়ালে একটা নির্দেশনা-বার্তা লেখা ছিলো কর্মচারিদের উদ্দেশে: দ্রুত হাতের কাজ সেরে ফেলুন।
চিন্তার লাইন আমার কামপ্রধান বলেই কি না কে জানে, আমার ভীষণ হাসি পেয়েছিল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
যাই বলেন আমরা (ভারতীয়রা) এই সব সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্ত। প্রতি পাড়ায় পাড়ায় ভিন্ন ভাষা আর ধর্মের লোক থাকলে কাঁহাতক ধর্মপ্রচার করা সম্ভব? কলেজেও একই অবস্থা। তাই কসমোপলিটন সমাজে হয়ত জায়গা করতে পারছে না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
কারণটা আমার দ্বিতীয় চিন্তার পরে মনে হল যে হিন্দু ধর্মে এত দেবদেবী যে ঠিকঠাক কার অনুগামী হলে সঠিক ফল মিলবে সে নিয়ে জনগণ কনফিউসড থাকে।
বলেই মনে পড়ল যে এখানে সমস্যাটা চাঁদার। সবাই এসে চাঁদা চায়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হাহা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
I have experienced similar experience in Montreal, but with Christian preachers. They used to come to my place to teach me about religion. Once I debated with them for half an hour, afterwards they never came back.
ক্রিশ্চিয়ান মিশনারীদের খপ্পরে আমিও পড়েছিলাম, কিন্তু বাসায় নয়, রেলওয়ে স্টেশানে। ঐ ভদ্রলোক আর দুই মিনিট সময় পেলেই আমাকে হ্যাভেন এর টিকেট দিয়ে দিতেন, ট্রেন চলে আসায় তাৎক্ষণিক রক্ষা পেয়েছিলাম!
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ঘটণাটা আমার এক বড় ভাই ( কাজিন) এর কাছ থেকে শোনা। ও অস্ট্রেলিয়াতে থাকে এখন। ও যখন প্রথম অস্ট্রেলিয়াতে যায়, তখন কার ঘটণা। ওর কিছু বন্ধুবান্ধব ছিল তখন , যাদের ডারউইনীয় বিবর্তন সম্পূর্ণ হয়নি। তো, ওরাও এই রকম তাবলীগের উৎপাতে যারপরনাই চিন্তিত।
একদিন ওরা একটা পরিকল্পনা করল।
এরপর যেদিন তাবলীগের পোলাপান এসে দরজা নক করল, ওরা বলল একটু দাড়ান। কিছুক্ষণ পর , বললো আসেন।
ঘরে ঢুকে হুজুরের চক্ষু ছানাবড়া !!
ঘরের মধ্যে সব পোলাপান সম্পূর্ণ দিগম্বর হয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছে !
হুজুর নাউজুবিল্লাহ বলে সেই যে ঐ বাসার পথ ছাড়লেন, আর সে পথ মাড়াননি।
--------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই দুর্দান্ত আইডিয়ায় বিপ্লব না দিয়া পারা গেলো না!
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
=))
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান…
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
এই তরিকার লোকজন আমারে খুব একটা ধরতে পারেনি কখনও। ছোটবেলাটার অনেকটা সময় কাটিয়েছি উপজেলা সদরে। সেখানে আব্বারে প্রায় সবাই চিনত। সেই সূত্রে আমাদেরও। আব্বা এমনিতে হুজুর টাইপ মানুষ। হেন নামাজ নাই যা তিনি পড়েননা। কিন্তু তাবলিগ দেখলে আব্বার হুশ ঠিক থাকেনা। পারেনতো লাঠি নিয়া তেড়ে যান অবস্থা। এমন গাইল দিতেও শুনছি,
বায়তুল মোকাররমের খতিব ওবায়দুল হক'র নাতি ছিল আমার বন্ধু। দুই বন্ধু আকাম কুকাম সবি একসাথে করি। তো একদিন ইমাম সাহেব বল্লেন, মসজিদে মেহমান এসেছেন। তাদের যদি একটু সেবা করি। এতে পাড়ারতো ইজ্জত বাড়বেই সাথে অশেষ সোয়াব হবে। আমরা দুই বন্ধু গেলাম সোয়াব হাসিলে। শীতের সকাল। ঠান্ডায় জমে জমে প্লেট গ্লাস ধুয়ে মোল্লাদের খেতে দিলাম। বড় ডেকচিতে রাখা ভুনা খিচুড়ি। সব শেষের দিকে কোনমতে দু-প্লেট জোগাড় করে আমরা সবে খেতে বসেছি তখনি হাজির এক মোল্লা... প্রায় ছোঁ মেরে সেই বেটা প্লেট দুটো নিয়ে নিল! বলে কিনা বড় হুজুর আরও খাইতে চায়...
এরপর আর কি কিছু বলতে হবে?
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমার এমনিতে তবলিগের আইডিয়াটা খারাপ লাগে না। কিন্তু হায়দ্রাবাদে এসে শুনলাম তবলিগ নাকি কিছু আন-ইসলামিক ধারা পালন করে। তাই এখানে তাদের কি একটা সভা হয়েছিল, তাতে বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মজার বিষয় হচ্ছে জার্মানীতে এসে আমিও এদের খপ্পড়ে পড়েছি, কিন্তু সেটা ছিল জার্মান-ক্রিশ্চিয়ান তাবলীগ। ২ জন লোক স্যুটেড বুটেড হয়ে আসতেন। আমরা প্রথমবার “মাইনকা চিপা“য় পা দেই উহাদের না চিনিয়া। এরপর থেকে আর সেই ভুল হতো না! আমরা সবাই মিলে একজনের রুমে ঢুকে গুম মেরে থাকতাম। বেটারা একগাদা করে চটি নিয়ে আসতো। সেগুলো পড়ে কি মনে হইলো সেটা আবার জানার জন্য পরে আসার অঙ্গীকার কর যেত।
আমি প্রথমবার যখন ধরা খেলাম, মোটামুটি আধাঘন্টা চোট করে দিয়েছিল। মুসলীম পরিচয় দিয়ে প্রথমবার মুক্তির জন্য সত্যিই খুব আকুতি ছিল মনে। বাট লাভ হয় নাই কিছুই। মুসলীম শুনে মনো হলো যেন আরোও ঝাপিয়ে পড়লো। সেই থেকে উহাদের দেখিবামাত্র সবাই লুকিয়ে পড়তাম।
ওরা ঠিক ক্রিশ্চিয়ান না । ওরা মরমন । সুটেড বুটেড উইথ নেইমপ্লেট ইন বুক ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই প্রজাতী মনে হয় আমাদের দেশেও আছে। একবার বাসে আমারে প্রায় ২০/২৫টা বই ধরায়া দিছিল
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ইতিহাসে সম্ভবত ওর হাতই সবচে দ্রুত সেই নাগপাশ থেকে মুক্তি পেয়েছিলো!
হাহাহা - অফিসে এমন বোরিং একটা দিনে জোরে জোরে হাসাইলেন তাই থ্যাংকু। আমি কাকরাইলের উইলস লিটলে পড়তাম - বিকালে হালার চায়ের দোকানে আড্ডা দিমু কি - কাকরাইল মসজিদের তাবলীগি মোল্লার জ্বালায় ফুটপাথে বসা যাইতো না। ঐখান থেকেই 'না' বলার প্রথম হাতে-খড়ি।
আর এই মোল্লা দেখছিলাম ড্যালাসে থাকার সময় - তবে মুসলিম মোল্লা না, খ্রীস্টান মিশনারি। মরমন (Mormon) গীর্জা থেকে দুইটা ছেলেমেয়ে আমাদের ফ্ল্যাটে আসতো, ট্রেনিংরত মিশনারি। তারা ঘরে বইসা নানান রকম কথা জিগ্যেস করতো, আবার যীশুকে আমার personal saviour হিসাবে নিতে চাই কি না এইসবও। আমরা হাসিমুখে না বলতাম। যদিও প্রতিবারই আমাদের ঘরে ঢুকতে দিতাম। কারন ছিল মরমন মাইয়াটা। লম্বা আর দেখতে হেভী ফাইন ছিল। যদিও অসম্ভব ভদ্র পোশাক আশাক পরা দুইজনই। ছেলেটা স্যুট-টাই, মেয়েটা একদম জুতা অব্দি লম্বা ড্রেস। কিন্তু কি সুরত! আমরা রুমমেটরা খালি আফসোস করতাম যে টেক্সাসের এই ঘিলু-সিদ্ধ করা গরমে এইরকম একটা hot মেয়ে কেন ভারসিটির অন্যান্য দশটা মেয়ের মতন স্বল্পবসনা হইলোনা।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকার সময় টয়লেটের সামনে সব সময় দেখা তাম দুএক জন লুঙ্গী পড়া লোক ঘুর ঘুর করতেছে, ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যেতো ,তাদের একটা হাত লুঙ্গির নীচে ঢুকানো থাকতো। প্রথম প্রথম বুঝতাম না তারা মুত্র ত্যাগ করবার পর কেন লুঙ্গির নীচে হাত দিয়ে হাটে....??
অতঃপর জানলাম ইহা তাবলিগী কায়দা। মূত্র ত্যাগ করিবার পর একখানা মাটির ঢিলা কিংবা টিস্যু নিয়া গোপন অঙ্গে কুলুপ আটিয়া চল্লিশ কদম হাটিতে হয়... একেই বলে টিলা কুলুপ
----------------------------------------
জল ভরো সুন্দরী কইন্যা, জলে দিছ ঢেউ।
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
মরমনরা খুব পেইন দেয়। ক্যাথলিকরাও। মাঝে মাঝে ইস্কনের ফ্রি বই-টই পাই। মাওলানাদের হাতে পড়েছিলাম পিটারব্রো আর থান্ডারবে তে। টরন্টোতে না।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
অবজ্ঞা/বিদ্রুপ ভরা চোখে তাবলীগের লোকদের চোখে চোখ রেখে কথা শুনলেই ওরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলতো। তবে কয়েকজন ছিল যারা মাটির দিকে তাকিয়ে কথা বলতো। ইগনোর করতাম ... পাশে কেউ আছে বলেই মনে করতাম না।
রাস্তায় রিকশা/গাড়ি থামলেও কিছু ভিক্ষুক এসে ঘ্যান ঘ্যান করতে থাকবে... যতই বলবেন নাই/মাফ করেন -- এরা আরও পেয়ে বসবে। সবাই আপনার escaping attitude এর সুযোগ নিবে। আমি পরীক্ষা করে দেখেছি ... ওদের চোখের দিকে তাকিয়ে বলতে হয় -- দিব না। একবার না বুঝে আবার ঘ্যান ঘ্যান শুরু করলে। ভাল করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করি - বাংলা বোঝেন? তারপর বলি দিব না। এখানে eye contact টা জরুরী।
এ বিষয়ে আমার শতভাগ সফলতার পেছনে হয়তো আমার নিষ্ঠুর ও ভাবলেশহীন চোখের দৃষ্টির কোনো কেরামতি আছে। পাথর চোখ/দৃষ্টি - উপাধিটা অন্যের দেয়া; নিজে মনে করি এটা আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টি ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
একটা তরিকা আমি আবিস্কার করছি
মাথায় টুপি চাপিয়ে (আগে থেকেই গালে যদি দাড়ি থাকে বদ্দার মতো তাইলে তো খাপের খাপ) বিরাট ধার্মিক ধার্মিক ভাব নিয়ে স্বাগতম জানাবেন, নিজে থেকেই কোরান হাদীস নিয়ে জ্ঞানগর্ভ দুচারটা কথা বলবেন, দেখবেন এরপর থেকে আর আপনাকে ঘাটাবেনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
তাবলীগ ওয়ালাদের থেকে তো বাচার জন্য কত বুদ্ধি বের করেন। কিন্তু একবার চিন্তা করছেন যে, তাবলীগ ওয়ালারা যারা আল্লাহর পথে, নবীর পথে মানুষকে ডাকে। তার বিনিময়ে কি মানুষদের কাছ থেকে কিছু নেয়। কোন টাকা পয়সা বা অন্য কিছু। নাকি বলে যে দয়া কইরা আমাদের কিছু দিয়েন। শুধু মাত্র আল্লাহর দিকে মানুষকে ঢাকে। পরকালে যাতে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে। কারণ এই দুনিয়াই তো শেষ না। আমি যদি মুসলমান হই তাহলে এটা বিশ্বাস করতে হবে যে, আখেরাত আছে। নাহলে আপনি তো মুসলমানই না। আর তাবলীগ ওয়ালাদের কাছে থেকে তো বাচতে ছুটা ছুটি করেন। মৃত্যুর থেকে বাচার জন্য কি করতাছেন। নাকি কোন দিন মরবেন না। সারা জীবন বেচে থাকবেন। যদি সারা জীবন বেচে থাকেন তাহলে তো কোন কথাই নেই। আর যদি মৃত্যু বরণ করতেই হয় তহলে তো সেখানের জন্য কিছু নিয়ে যাওয়া দরকার। তাবলীগ না করেন। মুসলমান এর উপরে পুরাপরি উঠেন। নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ঠিকমত পালন করেন। সত্য পথে চলেন। ইসলামের পথে চলেন। কি দরকার দিগম্বর হওয়ার। মরার পর তো আপনাকে এমনিতেই দিগম্বর করা হবে। এক কাপড়ে সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে রেখে আসবে। তখন ওখান থেকে কিভাবে পালাবেন। তখন ঐ ধরা হবে শক্ত ধরা।
এক্কেবারে হক কথা - আপনার মত বুজুর্গব্যক্তির কমেন্ট পড়েও সুখ। কিন্তু ভাইসাহেব, ইসলামের পথের গোটাকয় তরীকা যে বলতে ভুলে গেলেন। নামাজ রোজা হজ্জ্ব যাকাতের সাথে ইসলামের পথে আরো তো কিছু আছে - এই ধরেন চারটা বিয়ে করা, যৌনদাসী রাখা - সেটাও আবার কোন লিমিট ছাড়া, তারপরে ধরেন বউ কথা না শুনলে ধরে আচ্ছামত দু'ঘা দিয়ে দেয়া, এত ভালো ভালো কাজের পরে মরে গিয়ে বাহাত্তরটার সাথে সেই কর্মই করা যেটার নাম পৃথিবীতে শুনলে নাউজুবিল্লাহ বলতে হয়...এগুলো না বললে চলবে?
আমার তরীকা আরো সোজা।
প্রথমে কথা বলতে এলে ভদ্রভাবেই বলি, "যদি দয়া করে একটু সংক্ষেপে বলতেন..."
যেহেতু প্রিরেকর্ডেড মেসেজ অল্টারেশনের কোন ক্ষমতা এদের নেই, এরপরেও ওই মেসেজই চলে। এইবার আমি দ্বিতীয় পর্যায়ে যাই, "আল্লাহ আমাদেরকে পৃথিবীতে কেন পাঠিয়েছেন আমি জানি, বেহেস্ত দোজখের নামের লিস্টিও জানা আছে। এইসব বাদ দিয়ে আর কিছু থাকলে বলেন"। এরপরেও যেহেতু রেকর্ড বাজানো থামে না, তৃতীয় ধাপ হলো, "আপনাকে কিচ্ছু বলতে হবে না, আমিই বলে দিচ্ছি, মসজিদে দ্বীনের কথাবার্তা হচ্ছে এই তো? কোন মসজিদ আর কখন বলে যান, যদি যাই তো যাবো - দাওয়াতের জন্য ধন্যবাদ"। এবং এই পর্যায়ে এসে প্রতিবারই ব্যাপারটা দাঁড়ায়, "এখন তো আপনার কোন কাজ নেই, এখন আমাদের সাথেই একটু..." এবং এই তারপরেই এসে আমি আসল চেহারা ধরি, "আমার কাজ আছে কি নেই সেটা ঠিক করার ঠিকাদারী আপনাকে কে দিয়েছে? বেরিয়ে যান, আর কখনো এই ফ্ল্যাটে নক করলে ঘাড় ধরে বের করে দেবো"
আজ পর্যন্ত কোনবারই ভালো কথায় কাজ হয়নি এদের সাথে।
নতুন মন্তব্য করুন