গল্পঃ ইঁদুর

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৩/২০০৮ - ১:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রান্নার ঘরটাতে একটা হুটোপুটির মতন শব্দ হলো। বিছানায় শুয়ে সিলিং-এ নানারকম অদৃশ্য আঁকিবুকি কাটছিলাম আমি। খুব জোরে ঘুরতে থাকা পাখাটা অবশ্য প্রায়শই বাগড়া দিচ্ছিলো। মনে মনে একটা বাঘ কিংবা ভাল্লুক এঁকে শেষটানে হয়তো আঁকবো তার গোঁফ কিংবা লেজ, অমনি বিচ্ছিরি শব্দ করে ডেকে ওঠে সেটা। আর মনোযোগ নড়ে যায় আমার।

কী করে হতচ্ছাড়া পাখাটাকে সাজা দেয়া যায় ভাবছিলাম, ঠিক তখন গুটুরমুটুর শব্দে কান খাড়া করে ফেললাম ঝট করে। শব্দটা চিনতে পেরে খানিকটা প্রশান্তি এলো মনে, আমি জানি আর ঠিক ১৫ কিংবা ২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে আমাকে। এবং খুব দীর্ঘক্ষণ নয় সেটা। কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই সিলিং-এ নতুন করে একটা হরিণের অর্ধেকটা এঁকে ফেললাম আমি। বাহ, চমৎকার লাগছে দেখতে! শিং-এ ঠিক কতগুলো শাখা-প্রশাখা বসাবো, এই নিয়ে ভাবনা শুরু করতেই চিঁই চিঁইই করে করুণ আওয়াজ ভেসে এলো রান্নাঘর থেকে। হুম, ব্যাটা আটকেছে ফাঁদে তাহলে!

আটকাবেই, জানতাম। আজ অথবা কাল। প্রতিদিন আমার ভাগের মাখনের টুকরোটা টেবিলের ওপর থেকে টেনে নিয়ে চলে যায় সোজা রান্নাঘরে। ফ্রিজটার নিচে, অথবা সিঙ্কের ওপাশটায়।

প্রথম দিন অবশ্য একেবারে পুরোটা নিয়ে যায়নি। সকালে উঠে সেদিন দেখি, আমার আগেই কে যেন ছোট ছোট দুটো দাঁতের দাগ রেখে গেছে মাখনের গায়ে। প্রথমে বিরক্ত হয়েছিলাম, পরে রাগ হলো। দ্বিতীয় দিন পুরো মাখনের টুকরোটাই গায়েব। সকালে উঠে বাসী পাউরুটি শুকনো খেতে খেতে পরিকল্পনা করেছি, আর সহ্য করা ঠিক হবে না এই যন্ত্রণা।

এই ছোট্ট উপশহরের গোটা পাঁচেক চাইনীজ দোকানগুলোয় খুঁজতেই পেয়ে গেলাম বেশ টেকসই একটা ইঁদুর মারার কল।

তারপরে সেটা জায়গামতন বসিয়ে, সবমিলিয়ে আরো দিন সাতেকের অপেক্ষা। অবশেষে আজকের এই সুন্দর সকালে, মহামান্য আটকালেন ওখানটায়।

চিঁ চিঁ শব্দ বন্ধ হয়নি। তারমানে মরেনি এখনো শয়তানটা!

কনুইয়ের পাশে অনবরত খুঁচিয়ে চলেছে প্রায় বছরখানেক পুরনো পেন্টহাউসের একটা কপি। প্রচ্ছদ থেকে একটা নীলনয়না রূপসী হাত তুলে ডাকছে আমাকে, ডাকে, রোজই। বেচারী আমার বন্ধু মানুষ, তবু এই মুহুর্তে খানিকটা বিরক্তি লাগলো ওর ওপর, ছুঁড়ে ফেলে দিলাম বিছানার ওপাশটায়। হাঁটুর কাছে নেমে আসা হাফপ্যান্টটাকে ঝট করে টেনে উপরে তুলে বিছানা ছাড়লাম অবশেষে।

ফ্রিজের নীচেই আছে জিনিসটা। পা দিয়ে টেনে বের করে আনতেই চিঁ চিঁ শব্দ আরও বেড়ে গেলো।

বাহ, মাখন খেয়ে খেয়ে বেশ নধর আর চকচকে বানিয়েছে তো শরীরটাকে। গলার ওপর দিয়ে লোহার শিকটা চেপে বসেছে একদম। ওখানটায় আটকে থাকায় নড়তে পারছে না একটুও, তবু চার হাত পা ছুঁড়ে বিফল চেষ্টা করে চলেছে ফাঁদ থেকে বের হবার। লাল লাল চোখ দুটো ঘোলাটে হয়ে গেছে এরমধ্যেই।

কি বাছাধন, আর খাবে আমার মাখন, হু? কেমন শিক্ষা হলো তোমার?

বাথরুমে গিয়ে চটপট কুলি করে এসে দেখি চিঁ চিঁ শব্দ অনেক ক্ষীণ এখন। নড়া চড়া থেমে গেছে, এখন তুলে নিয়ে বাইরের গারবেজ ক্যানে ফেলে দিলেই চলে। কিন্তু সেরকম ইচ্ছে করলো না আমার। থাকুক এভাবে আটকে, আরও খানিকটা শিক্ষা হোক। হুঁ হুঁ বাবা, আমার সাথে শত্রুতা!

আজ দিনে কী কী কাজ আছে? হাই তুলতে তুলতে মনে মনে হিসেব করার চেষ্টা করলাম একটু।
তেমন কিছু নয়। মাছের ক্যান শেষ সব, তিন চারটে নিয়ে আসতে হবে। সসেজ রোলও লাগবে কয়েকটা। মোজা লাগবে দু'জোড়া, আর একটা রুমাল হলেই চলবে আপাতত।

গত পরশুর আধা খাওয়া পিৎজার শেষ টুকরোটা খেয়ে নিয়ে বের হয়ে এলাম ঘর থেকে।

বাইরে ঝা চকচকে রোদ একদম। হাত ওপরে তুলে ধাঁধিয়ে যাওয়া চোখ ঢাকতে ঢাকতেই মনে হলো, একটা ক্যাপও লাগবে আমার। এই রোদে তা না হলে বের হওয়া যাবে না আর। লিস্টিতে এটাও যোগ করে নিলাম।

ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে লাগলাম ভিড় ঠেলে। আপাত গন্তব্য সবচেয়ে কাছের সুপারস্টোর।

কিন্তু ঠিক আয়েশ করে হাঁটাও যাচ্ছে না। আজ কী বার? ইস্টার নয়, ক্রিসমাসও না, তবু শহরের সব লোক কি আজ এই ফুটপাথ ধরেই হাঁটা ধরেছে নাকি? গায়ের উপর প্রায় চড়ে বসছে কয়েকজন। কনুই দিয়ে বেশ শক্ত করে দু'তিনজনের পেটে চালিয়ে দিলাম। উফ করে কঁকিয়ে উঠে সরে গেল অনেকে। কেউ কেউ বিষ দৃষ্টিতে তাকালো আমার দিকে। মনে মনেই খেঁকিয়ে উঠলাম আমি, 'ভাগ ব্যাটা।' আমার বেঁকে চুরে যাওয়া রাগী চেহারা দেখেই হয়তো কেউ আর সাহস করলো না কিছু বলার।

স্টোরে পৌঁছতেই ভেতরের ঠান্ডা বাতাসে শরীর জুড়িয়ে গেল। বাইরে ভীষণ গরম, টের পেলাম সেটা ভেতরে ঢোকার পরেই।

চট করে একটা ট্রলি টেনে নিয়ে কেনাকাটা শুরু করে দিলাম।
মোজা দু'টো সাদা হবে না রঙিন? নাহ, লাল লাল কিনি বরং, বেশ একটা নেশা আছে রংটায়। অবশ্য রুমাল কিনলাম কালো রঙের, ইচ্ছে করেই।

একটা সাদা রঙের মাথার ক্যাপ বেশ পছন্দ হলো। মাথায় পরে টরে আরো ভালো লাগলো। এদের আয়নাটা বেশ ছোট, ভালমতন দেখা যাচ্ছে না। তবু ঐটুকুতেই দেখে মনে হলো, ঠিকই আছে। এটাতেই আমাকে মানাচ্ছে বেশ। সামনের শেডটুকু টেনে দিলে চোখ ঢেকে যাচ্ছে, চমৎকার।
এটাই নেবো, ফাইনাল।
আপাতত ক্যাপটা ওখানেই রেখে সামনে এগুলাম, ফিরবার সময় তুলে নিলেই হবে।

টুনা মাছের ক্যানগুলো ট্রলিতে ফেলতেই দেখি পাশ থেকে কর্ণড বীফের টিনগুলোও অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এমনিতে খেতে ভালই লাগে। কিন্তু গতবার একটা টিন কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে গিয়েছিলো একটু।

মনে পড়তেই বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো আমার মুখে। একটা বীফ ক্যান হাতে তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে বললাম, 'তবে রে শয়তান, গতবার কী করেছিলি মনে আছে? হাহ! আজ যতই কাঁদিস, নেবো না তোদের একটাকেও আমি। উচ্ছন্নে যা!'

শেলফের গায়ে একরকম ছুঁড়েই ফেলে দিলাম ওটাকে। ধাক্কা লেগে আরো কয়েকটা বীফের ক্যান গড়িয়ে পড়লো এদিক ওদিক। আমি পাত্তাই দিলাম না। মরুক গে!

নেবো না নেবো না করেও একপিস তরমুজ নিয়ে ফেললাম শেষমেষ। বেশ ভাল লাগে খেতে, বিশেষ করে এই গরমের দিনে।

কেনাকাটা আপাতত শেষ। দাম দিতে যেতে হবে কাউন্টারে। আর তার একটু আগেই ক্যাপের স্ট্যান্ডটা। রেডিওতে বহুল প্রচারিত একটা গানের সুর শিষ দিতে দিতে কাউন্টারের দিকে এগুতে থাকলাম।

ক্যাপের ওখানটায় এসে থেমে যেতে হলো। জায়গামতন নেই ওটা। বোধহয় অন্যপাশে। স্ট্যান্ড ঘুরিয়ে দেখি ওখানেও নেই। বেশ বিরক্ত হলাম। আমার পছন্দের ক্যাপ! কে নিলো?
আশপাশে চোখ বুলিয়েও কাউকে নজরে পড়লো না। ট্রলিটাকে ওখানে রেখেই পুরো স্টোরে একটা জরিপ চালাতে ছুটলাম।

শাক-সব্জির জায়গাটায় আসতেই পেয়ে গেলাম অপরাধীকে।
বুড়ো মতন একটা লোক। মোটা করে, কালো কুতকুতে চোখে একটা ব্রকোলি পরখ করে দেখছে। মাথায় পরে আছে আমার পছন্দ করা সেই সাদা ক্যাপ।
লোকটা চোখে কম দেখে মনে হলো, ব্রকোলিটাকে নাকের সাথে ঠেসে ধরেছে একেবারে।
কিন্তু তুই আমার ক্যাপটাই নিলি কেন? আর কিছু ছিলো না ওখানে?

কী করা যায় ভাবছি। ভদ্রভাবে গিয়ে চাইবো নাকি, 'দেখুন মহাশয়, আপনি সাদা রঙের যে ক্যাপটি মাথায় পরে আছেন, সেটা আসলে আমার পছন্দ করা। আমি কি সেটা ফেরৎ পেতে পারি?'
নাহ, এভাবে বলা যাবে না। তারচেয়ে বড় কথা এরকম ভালোমানুষের মতন কথা-বার্তা আমার মুখ দিয়ে মরে গেলেও বের হবে না।

কিছু না বলে বুড়োর পেছন পেছন হাঁটতে লাগলাম আমি। বেশ যন্ত্রণাদায়ক ঙ্কাজটা। একবার এদিকে থামছে তো আবার অন্যদিকে। অনেক সময় নষ্ট করছে একটা জিনিস বেছে নিতেই। আমি অস্থির হয়ে আছি, কতক্ষণ আর এটা সেটা বেছে দেখার ভান করা যায়?

অবশেষে বুড়ো ফিরে চললো কাউন্টারের দিকে। কোটের হাতা দিয়ে নাক মুছে নিয়ে একবার, বাম পায়ে খানিকটা ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে।

ক্যাপের স্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাবার সময় ট্রলিসহ আরেকবার থামল বুড়োটা। মাথার ক্যাপটা খুলে নিয়ে অন্য একটা সবুজ রঙের ক্যাপ তুলে নিয়ে মাথায় পরল। আমি মনে মনে বললাম, 'ঠিক আছেরে বুড়ো। তোকে এটাতেই বেশি ভালো লাগছে, ডাইনীর দাঁতের মতন সবুজ রঙের এই ক্যাপটাতেই। আমারটা বরং রেখে যা তুই।'

কিন্তু বুড়ো সবুজ ক্যাপটাও খুলে ফেললো। দু'হাতে দুটা ক্যাপ নিয়ে, মনে হচ্ছে, যেন ওজনই করলো খানিকক্ষণ, তারপরে সবুজটা রেখে দিলো স্ট্যান্ডে। আর আমার সেই সাদা ক্যাপটা নিয়ে চললো কাউন্টারের দিকে।
কমলা রঙের ড্রাগনগুলোর মতন ফোঁস করে একটা গরম দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এলো আমার বুক থেকে। ব্যাটা বজ্জাতের হাঁড়ি।

কাউন্টারে সব জিনিসের দাম মিটিয়ে দিয়ে ট্রলি ঠেলে বাইরে বের হয়ে এলো বুড়ো। তার পিছু নিয়ে আমিও।
এর মধ্যেই দেখি একটা বিড়ি ধরিয়ে ফেলেছে। এই গনগনে গরমে বুড়োর বিড়িটা আমার বুকের ভেতরে কয়লার মত জ্বলতে থাকলো শুধু।
কেমন করে যে ক্যাপটা ফিরে পাই। এটাই চাই আমার, অন্যগুলো নয়।

ল্যাম্পপোস্টের যে পাশটায় পাবলিক বাস এসে থামে, বুড়ো সেখানটায় এসে ট্রলিটাকে পোস্টের গা ঘেঁষে দাঁড় করালো। তারপর সেটাতে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আরাম করে বিড়ি টেনে চললো।
আমি রাগে চিড়বিড় করতে করতে বুড়োর ট্রলিটার পাশেই এসে দাঁড়ালাম। চোখের কোনা দিয়ে ক্যাপটা দেখছি বার বার, আর আগুন জ্বলে উঠছে মাথায়। কিছু একটা করতেই হবে, ক্যাপটাকে এভাবে চলে যেতে দেয়া ঠিক হবে না।

রাস্তার শেষ মাথায় একটা বাস দেখা গেলো অবশেষে। বুড়ো সোজা হয়ে দাঁড়াল তাই দেখে, আমিও। কিন্তু ওটা সম্ভবত অন্য লাইনের বাস। মাথা নেড়ে বুড়ো আবার ঠেস দিলো ট্রলিটায়। আর এই তিনসেকেন্ডের মধ্যে আমি খুব ছোট্ট একটা হিসেব কষে ফেললাম।

যে ট্রলিটায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বুড়ো, সেটা আটকে আছে ল্যাম্পপোষ্টের গায়ে। কোনভাবে যদি আমার ট্রলিটায় একটু ধাক্কা লাগে, তবে বুড়োর ট্রলির চাকাটা সরে যাবে ল্যাম্পপোস্টের গা থেকে। ব্যালান্স সরে গেলে বুড়োর পড়ে যাবার জায়গা আছে একটাই, সামনের ঐ রাস্তাটুকু।

হিসেব পরিষ্কার হতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম দ্রুত। অবশ্য সময়ও ছিলো না হাতে, বাস চলে এসেছে খুব কাছে।

ঠিক জায়গায় বাসটা আসতেই মনে মনে দুরত্ব মেপে নিয়ে আমি অন্যদিকে তাকিয়ে আমার ট্রলিটাকে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে দিলাম।

খুব একটা কঠিন হলো না কাজটা আসলে। অন্তত পক্ষে, পাঁচটে দোকান ঘুরে টেকসই একটা ইঁদুর মারার কল কেনার চেয়ে সহজ তো বটেই।

পরবর্তী চার সেকেন্ডে আমার রান্নাঘরের মতনই একটা হুটোপুটি হলো এখানটায়। আমি দেখলাম, খুব শক্ত ব্রেক কষে থেমে গেল বাস। লোকজনের হৈ হৈ শোনা গেলো সাথে সাথেই।

বুড়োটা আওয়াজ করার সময় পেয়েছিলো কিনা জানি না। ঘাড় ফিরিয়ে দেখি রাস্তায় উবু হয়ে আছে সে। মাথাটা অক্ষতই আছে, শুধু পিঠের ওপর দিয়ে চলে গেছে বাসের চাকা।

আমি সন্তর্পনে রাস্তায় নেমে দাঁড়ালাম। লোকজন এসে ঘিরে ফেলেছে জায়গাটা। কাছে গিয়ে হাত বাড়িয়ে বুড়োর মাথা থেকে খুলে নিলাম ক্যাপটা। সাদা রঙের ক্যাপটায় খানিকটা ধুলো লেগে গেছে রাস্তার, আর পেছন দিকে ছিটকে আসা অল্প কিছু রক্ত।

সমস্যা নেই, এটুকু ধুয়ে ফেললেই চলবে।
কিন্তু বাসায় কি ওয়াশিং পাউডার আছে? নাহ, শেষ মনে হয়, কেনাও হচ্ছে না অনেকদিন। তারমানে আবার আমাকে এখন যেতে হবে স্টোরটায়, ধ্যুত!

মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে আমি ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে ঢুকে গেলাম ভেতরে। আমার পেছনে একটা ধাড়ী ইঁদুরের মতন মরে পড়ে থাকা বুড়ো লোকটাকে ঘিরে অকম্মা লোকগুলো শুধু শুধুই কিচির মিচির করতে থাকলো।
-----------

১৩/০৩/ ২০০৮


মন্তব্য

পরিবর্তনশীল এর ছবি

জটিল
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নজমুল আলবাব এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

হাসি
লেখার প্রাণভোমরা তো বস আপনাদের কৌটায়! আমি আর কি করতে পারি বলেন?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নজমুল আলবাব এর ছবি

হ, আপনে বেশি বুঝেন।

আপনে যেইটা পারেন সেইটা হইল, এইরম গল্প লেইখা নিয়মিত ঝিম ধরায়া দিতে পারেন।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

গৌতম এর ছবি

অন্যবিষয়ে মন্তব্য: সোমেন চন্দ'র বিখ্যাত ইঁদুর গল্পটি কি আছে আপনার কাছে? থাকলে যদি দেন উপকৃত হবো। এতো প্রশংসা শুনেছি, বিশেষ করে সরদার ফজলুল করিম এই গল্পটির এতো প্রশংসা করেন যে পড়তে ইচ্ছে হয়। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

কনফুসিয়াস এর ছবি

অন্য বিষয়ে উত্তরঃ
না, গল্পটি নেই আমার কাছে। আমিও পড়ি নি। আপনি পেলে আমাকেও পড়তে দিবেন আশা করি।

এই বিষয়ে প্রশ্নঃ
মন্তব্য কই?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

No names এর ছবি

সোমেন চন্দের "ইঁদুর" ঠিক এই গল্পের সাথে যায় না। বরং ডব্লিউ ডব্লিউ জ্যাকবস-এর "মাংকিজ প" (Monkey's Paw) নামে একটা গল্প আছে, সেটা বেশ যায়। আগাথা কি্রিস্টর একটা গল্প মনে পড়ছে, ইঁদুর নিয়ে। সেই ইঁদুর ছিল এক নিষ্ঠুর বিচারকের প্রেতশরীর। মনে পড়তে পারে, এই গল্প পড়ার সময়।

সুখপাঠ্য গল্প।

কনফুসিয়াস এর ছবি

এইবার আমি একটু বিব্রত বোধ করছি। ইয়ে, মানে...
সৌমেন চন্দ-র লেখাটা পড়ি নি। ওটার ঘটনা কি এরকমই কিছু নাকি? তবে তো বেশ চিন্তার বিষয়।
তবে মাঙ্কিজ প' পড়েছি অনেক আগে। কিন্তু সেটাতো ম্যাজিক, ইচ্ছাপূরণ বা এরকম কিছু উপাদানে তৈরি গল্প। তার সাথে এর মিল কোথায়?
যাদের পড়া আছে, কেউ আরেকটু বিষদে বললে ভালো হয়।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

মাঙ্কি'জ প আর ইঁদুর, দু'টোই পড়েছি। এই ইঁদুরের সাথে কোন সাদৃশ্য তো চোখে পড়ছে না।

তবে এই গল্পটা ভয়ঙ্কর। কিছুটা সিনেমেস্কও। এর চলচ্চিত্রায়ন করা গেলে বেশ হতো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

কনফুসিয়াস এর ছবি

হিমু ভাই,
ধন্যবাদ।
একটু ভয়ংকর গেছে, কথা সত্য।
কিন্তু সিনেমস্ক কি জিনিস? এটা কি জার্মান শব্দ?

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

না রে ভাই, জার্মান না। যা সিনেমার কথা মনে করিয়ে দেয়, মানে সিনেমোচিত, তা-ই Cinemesque। গল্পটা একটা "বীভৎস রস" এর সিনেমার জন্য বেশ উপযোগী। বিশেষ করে শেষটাতে গিয়ে দর্শক একটা হোঁচট খাবে। গোটা গল্পের নির্মাণে কোথাও উত্তম পুরুষের (বা উত্তম মহিলা, আমি হলে হয়তো কোন মেয়েকে রাখতাম ঐ ভূমিকায়) নৃশংসতার ব্যাপারটা তেমন চোখে পড়ে না, একটা ইঁদুরকে ফাঁদে আটকে মারার ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকই মনে হবে দর্শকের কাছে। দোকানে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করার দৃশ্যগুলো, বা একটা টুপির জন্যে তার ছটফটানি, এগুলোও দর্শকের মনকে অন্যদিকে টেনে নিয়ে যাবে। কিন্তু টুপির জন্যে একটা মানুষকে গাড়ির নিচে ঠেলে পিষে মারার ব্যাপারটা গালে চড় মারার মতো করে ধাক্কা দেবে দর্শককে।

আমি যদি কখনো এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের সাথে জড়িত হই, তোমার সাথে যোগাযোগ করবো এই গল্পটার ব্যাপারে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

কনফুসিয়াস , গল্পটা বেশি জোস হইসে, অক্করে বেশি জোস !

- খেকশিয়াল

ফারুক হাসান এর ছবি

স্যালুট!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অমিত আহমেদ এর ছবি

ভাল লাগেনি বললে খুব ভুল বলা হবে, তবে একটু আশাহতও হয়েছি বটে। কনফুগদ্যের সহজাত ধরণটা বদলানো কি ঠিক হলো?

কনফুসিয়াস এর ছবি

প্রিয় অমিত,
এখনও তো বস লিখতে শিখছি। নিজের কোন গদ্য-স্টাইল এখনো গড়তে পারি নি যে। তাই এক্সপেরিমেন্ট করে চলেছি নানারকম।
এই গল্পের ভাষা খানিকটা কাঠখোট্টা হয়েছে সত্যি, তবে আমি সবসময়েই যেটা করি, সাবলীলতা রাখতে চেয়েছি। এটায় কি তবে ব্যার্থ হলাম?
আপনি যদি সময় পান, আরেকটু খোলাসা করে বললে উপকৃত হব।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অমিত আহমেদ এর ছবি

না সাবলীলতা একদম ঠিক আছে তবে লেখার ধরণটা কেমন জানি আরোপিত বলে মনে হয়েছে। সেটা মনে হয়েছে অবশ্য আপনার লেখার সাথে পরিচিত বলেই। আমি পাঁচে দেবো সাড়ে তিন।

আরেকটা ব্যাপার হলো প্রধান চরিত্রের ব্যক্তিত্বটা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। তাই হয়তো মনে একটু খচখচ করেছে। প্রথমে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে তার কল্পনায় ছবি আঁকা দেখে ভেবেছিলাম সে "কল্পনাপ্রবণ"। পরে ইঁদুর মাখন খেয়ে যাবার পরেও ফাঁদ কিনতে গড়িমসি দেখে ভেবেছিলাম "নরম মনের মানুষ", কিংবা এমন কেউ যে "সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না"। পরে অবশ্য ছেলেটার একটা রাগী ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে, সেই সাথে এনটানে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবার ক্ষমতাটাও।

কনফুসিয়াস এর ছবি

'আরোপিত' কথাটা নিয়ে আমি কখনো সুযোগ পেলে আপনার সাথে আরেকটু আলাপ আলোচনা করবো।
আপাতত জানাই, চরিত্র নিয়ে আপনার মতই একই পরামর্শ পেয়েছি তিথির কাছ থেকেও। আমি তাই খানিকটা বদলেছি শুরুটা।
আপনাদের দু'জনকেই ধন্যবাদ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আংশিক সহমত, অমিতের সাথে। কিন্তু একটু খানি হলেও হিন্ট ছিলোই শুরুতে।

এখন তুলে নিয়ে বাইরের গারবেজ ক্যানে ফেলে দিলেই চলে। কিন্তু ইচ্ছে করলো না আমার। থাকুক এভাবে আটকে, আরও খানিকটা শিক্ষা হোক।

এটা সেই কাজটা অনেকটা করে দিয়েছে।

ভালো লেগেছে আপনার গল্প। সাবলীলতা আছে, যদিও খুব একটা সহ্য করতে পারি নাই ... ... হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

শেখ জলিল এর ছবি

গদ্য লেখার স্টাইলটা হিংসে জাগায়। গল্পটাও বেশ মনকাড়া।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

কনফুসিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

টানা পড়ে গেলাম। এতোটা নিষ্ঠুরতা? কিন্তু ইঁদুরের বেলায় তেমন কিছুই মনে না হলেও বুড়োর জন্যে খারাপ লাগে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

কনফুসিয়াস এর ছবি

জুবায়ের ভাই,
বুড়োর জন্যে কষ্ট হবে ভেবে এই বেচারার বেশি বর্ণনা আমি নিজেও দিই নি।
আর নিষ্ঠুরতা..., মনের ভেতরে অনেকেই আছে যারা এরকম চিন্তা করে। গল্পের ভেতরে আমি সেটাই বাস্তবায়িত করে ফেলেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জাহিদ হোসেন এর ছবি

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে তারপর মন্তব্য করছি।
আমি ভেবেছিলাম (বা আমি লিখলে গল্পটি এরকম হোত), ছেলেটি বুড়োর কাছ থেকে টুপিটি ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করবে। এবং সে কাজ করতে গিয়ে সে আটকা পড়বে ল্যাম্পপোস্ট এবং ট্রলির মাঝখানে। পাবলিকে তখন তাকে ধোলাই-টোলাই দেবার জন্য এগিয়ে আসবে। এমন অবস্থায় তার মনে হবে কলে আটকা পড়ার ইঁদূরটির কথা।

সোমেন চন্দের 'ইঁদুর' গল্পটি আমার কাছে আছে। যদি সময় পাই তাহলে স্ক্যান করে দেবার চেষ্টা করবো। সে গল্পটি পড়লে বোঝা যায় যে হুমায়ূন আহমেদ চন্দের দ্বারা কতখানি অনুপ্রানিত।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বুড়ার পিঠের ওপর দিয়ে বাসের চাকা গড়িয়ে যাবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি ভেবে রেখেছিলাম, এটা কুংফু নিজে। প্রতিটা ধাপেই। কিন্তু ব্যাটা পুরা ইউটার্ণ করে দিলো আমার ভাবনার রেলগাড়ির।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

কনফুসিয়াস এর ছবি

বুঝি নাই বস, কোনটারে আমি ভাবছিলেন? বুড়োটা?

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হৈ মিয়া, বালাই ষাট! আপনে বুইড়াটা হইতে যাইবেন ক্যা?
(অ)তিথি কি ইদানিং বুইড়া কইয়া গাইলায় নিকি? চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অয়ন এর ছবি

এই ধারাটাকে কি ব্ল্যাক কমেডি বলা হয়?

গল্প ভালো লেগেছে।

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমি ঠিক নিশ্চিত নই কি বলে এটাকে।
ধন্যবাদ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রায়হান আবীর এর ছবি

চরম!!!!

---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...

দ্রোহী এর ছবি

হুম। মাঝে মাঝে কেন জানি মনে হয় আমি ঠিক এইরকম! জানি না কেন মনে হয়। হাসি


কি মাঝি? ডরাইলা?

কনফুসিয়াস এর ছবি

এই জন্যেই তো আপনার ছবির নীচে গিয়া কমেন্টাইলাম- 'চেনা চেনা লাগে...' হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বেশ ভাল লাগলো। মনে খবিশ অংশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ! খাইছে

কনফুসিয়াস এর ছবি

ওহ আচ্ছা, আপনার বাসায় যে আয়না নাই সেটা তো জানতাম না!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আয়না কিন্তু আসলেই নাই! তবে আরো কাউকে আমার মত করে চিন্তা করতে দেখে নিজেকে বেশ "সুস্থ" মনে হচ্ছে। ডার্ক দেখেই ভাল লেগেছে গল্পটা।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

উদেশ্যহীন এর ছবি

বরাবরই কনফুসিয়াসের লেখা অসাধারন, একটানে পড়া হয়ে যায়। যদিও এই গল্পটা অনেক অন্যরকম। অনুভূতিগুলো কী খুব বেশি Dark !!! ইয়ে, মানে...

কনফুসিয়াস এর ছবি

ডার্কই বটে। খুনাখুনির মামলা যেহেতু!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিঘাত তিথি এর ছবি

অনেকদিন কনফুর একটা লেখা আমি ড্রাফট না পড়ে সোজা ব্লগে পড়লাম!
জনাব কনফুসিয়াস, গল্পখানা আমার ভালো লাগলো। ইউনিক। একটি সাইকো মানুষেরর নৃশংসতা ভালোই ফুটিয়ে তুলেছেন। সব গল্পের নায়ক মহান হবে এমন তো নয়, সব গল্প ঈশপের গল্প হবে উপদেশসহ এমনও নয়। এটি খারাপ মানুষেরই গল্প।
আমারও মনে হয়েছে, এটা সিনেমস্ক (শব্দটা হিমু ভাইয়ের কাছে নতুন শিখলাম!)।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

হিমু এর ছবি

ওরে, সিনেমস্ক না, সিনেমেস্ক! শব্দের শেষে একটা এস্ক লাগিয়ে দিলেই হয়, যেমন পিকচারেস্ক, রুবেনেস্ক, সচলেস্ক ... তারপর ছাগুরামেস্ক, মুখফোড়েস্ক ...


হাঁটুপানির জলদস্যু

কনফুসিয়াস এর ছবি

নিঘাত তিথি,
আপনার মূল্যবান মন্তুব্যের দ্বারা আমাকে ধন্য করিবার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রানা মেহের এর ছবি

গল্প টা খুব ভালো হয়েছে।
শুধু প্রথম আর শেষ অংশ মনে হয়েছে
ঠিক খাপ খাচ্ছেনা।
তারপরও চমতকার

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গল্পের চমক এবং ঝলক অনন্য।
তবে বারবার মনে হচ্ছিলো - অনুবাদ গল্প।
স্টোরে পৌঁছতেই ভেতরের ঠান্ডা বাতাসে শরীর জুড়িয়ে গেল। বাইরে ভীষণ গরম, টের পেলাম সেটা ভেতরে ঢোকার পরেই। বাক্য গঠনে এ রকম নতুন ধারাই মূল কারণ কি!
মন্তব্যের ঘরে কনফু বলেছেন - 'এক্সপেরিমেন্ট'। সেক্ষেত্রে এটা যদি নতুন রীতি হয়, তবে নিয়মিত পাঠক হিসেবে কড়া নজর রাখতেই হবে । চোখ টিপি

কনফুসিয়াস এর ছবি

শিমুলের লম্বা একটা মন্তব্যের জন্যে মনে মনে অপেক্ষায় ছিলাম। দৈর্ঘ্য বেশি হয় নি, তবু ঠিকাছে। দিল খুশ।
শিমুল, ঠিক ধরেছেন। বাক্য গঠন, এবং বিষয়- দুইয়েরই এক্সপেরিমেন্ট। খানিকটা দ্বিধায় ছিলাম, এখানে লম্বা গল্পের পাঠক কম, এই আশংকাও ছিলো। কিন্তু অনেকগুলো মন্তব্য পেয়ে আমার জন্যে খুব ভালো হলো।
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নাঈম এর ছবি

প্রিয় কনফু,

আমার যতটকু মনে পরছে, এই গল্পের আইডিয়াটা তোর অনেক আগে থেকেই ছিলো, কলেজেই তুই এই গল্পের থিমটা আমাকে বলেছিলি। তখন পুরোপুরি বুঝিনি। সেই থিমটা এখন গল্পে রুপ পেল...খুব ভালো লাগছে। একটা বড়সড় ধন্যবাধ প্রাপ্য তুই।

আগের লিখাগুলু থেকে ভিন্ন, এটা ঠিক...এমনকি লেখকের জিবনের ( চরিত্রের ) সাথেও খাপ খায় না...কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। তোর কবিতার চেয়ে আমার গল্প গুলোই ভালো লাগে বেশি।

নায়কের বাসায় কেউ নাই, এটা ভেবেই ভালো লাগছে...সবচেয়ে কঠিন ছিলো..." সাদা রঙের ক্যাপটাতে খানিকটা ধুলো লেগে গেছে রাস্তার, আর পেছন দিকে ছিটকে আসা কিছু রক্ত।
সমস্যা নেই, এটুকু ধুয়ে ফেললেই চলবে।"

স্টাইল টা ভিন্ন, কিন্তু আগের স্টাইল্টা যেন হারিয়ে না যায়...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।