রাতের গায়ে ইদানিং দুধের সরের মতন কুয়াশা জমে থাকে, মাত্রই বৃষ্টি হয়ে গেলো যেন- ভেজা আর সতেজ ভাব চারিদিকে।
এই রকম রাতগুলোয় আকাশে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বারে বারে চমকে উঠি।
চাঁদের নানান রূপ দেখেছি আমি-রূপসী বা রূপালী, ময়লা কিংবা বুড়ি চাঁদ।
নির্মলেন্দুর চোখ চোখে নিয়ে একসময় চাঁদকে কাঁচুলিবিহীন উলংগ বুকের যুবতীও ভেবে নিয়েছি;
কিন্তু আর, কোথাও কখনও, এরকম ভৌতিক চাঁদ দেখিনি আমি।
মাথা থেকে হাত দেড়েক উপরে ঝুলে আছে খুব বিশ্রী ভাবে, অনাহুত মাকড়শার অবিন্যস্ত জালের মত।
একটা কালো রঙের এক চোখা নেকড়ে যেন ঘোলাটে সাদা চোখ মেলে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। খানিক পর যখন গা শিউরে ওঠে, ত্রস্তে জানালার পর্দা টেনে সরে দাঁড়াই।
বড়ই অভাগা মনে হয় এই শহরটাকে তখন, চাঁদও যেখানে তার রূপ ভুলে ফেলে আসে।
আহা, কেউ যদি আজ আমাকে শহীদুল্লাহর পুকুর পাড়ের সেই মায়াবিনী চাঁদকে এনে দিত, তার সারাজীবনের কাঠি লজেন্সের পয়সা দিয়ে দিতাম।
অথবা, শালবন বিহারের পাহাড়ের বুক ঘেঁষে আড়মোড়া ভেঙ্গে হাতছানি দিয়ে ডাকতো যে কিশোরী চাঁদ, তার বিনিময়ে দিয়ে দিতে পারতাম গোটা একটা শিমুল গাছ।
আহা, কেউ যদি এনে দিত তারে।
------------
২১ মে, ২০০৮
মন্তব্য
আহা, কেউ যদি এনে দিত তারে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
রাতের গায়ে ইদানিং দুধের সরের মতন কুয়াশা জমে থাকে,
.....
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
নস্টালজিক হয়ে নিজেকে দারুন করে মেলে ধরলেন। আরেকবার নিয়ে গেলেন পুরোনো স্মৃতির কাছে। ওইসব সময়ের কথা, আজকাল আর ভাবতে চাইনা...ভাবতেই চাইনা। জানি দেশে সহসায় ফেরা হবে না তাই কষ্টটা আরেকটু বেড়ে গেলো। মনে পড়ে গেলো আমি আর প্রিয় বন্ধু তানিম ঢাকা টু চাঁদপুর যাবার পথে লঞ্চের ছাদে শুয়ে , চাঁদের দিকে তাকিয়ে " মিলিত কবিতা" বানাচ্ছিলাম। যেমন, আমি যখন বলছিলাম ... "আজ চাঁদ টাকে বড় বেশী বুড়ো মনে হয়", তানিম তখন ( যেহেতু সে ছড়াকার আর আমি পাতি কবি) ছন্দ মেলায়-
"আবার কয়...আবার কয়...।" এই লাইনের পরে আমার যদিও আর কোন লাইন মনে আসেনি।(আমার কবিতা নিয়ে রসিকতা আমার ভালো লাগে না) তার পরেও আজ অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে ওই রাতটা ফেরত চাই। বিনিময়ে না হয় আমিও আপনার মত কিছু দিয়ে দিব...
যা আছে এই আমার।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেকক্ষণ পরে প্রাণ খুলে হাসলাম,
মনে হয় এর পরে আবার কয় দেখে আর সামলাতে পারিনি।
আজ সত্যিই আকাশের দিকে তাকিয়ে পুরনো সেই চাঁদটারে খুব মিস করছি!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমাকে যদি কেউ জাহাঙ্গীরনগরের বড়ই গাছটা এনে দিতে পারতো, তাহলেও অনেক কিছুই দিয়ে দিতাম।
নষ্টালজিক সময়গুলো বেশ ভাবায় ইদানীং, আপনার মতোই। আমাদেরকেও নষ্টালজিক করে ফেলেছেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
কি অসাধারণ লেখা। বর্তমান জীবনটাকে একদিন আমিও হয়তো এমন মিস করবো...
---------------------------------
সবই তো অতীত কনফু ভাই, বর্তমানের মর্তমান কলার বেইল বুঝতে বুঝতেই তো সব পাস্ট টেন্স হইয়া যায় । দারুন লিখসেন ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধুর, এইগুলান মানুষ ক্যামনে ল্যাখে!
আমার এক ছড়াকার বন্ধু, তার নাম আবদুর রহমান, এক চাঁদনী রাতে মুখে মুখে এক লাইন বানিয়ে ফেললো - 'চাঁদ দেখলে চাঁদের আলোয় মন যে ভেসে যায়'।
কী কারণে কে জানে, ওই এক লাইনেই ঠেকে গেলো সে, যুৎসই পরের লাইন আর খুঁজে পায় না। তার সহজাত প্রতিভা তাকে সাহায্য করে না। শেষে জীবনে ছন্দ না মেলানো আমি যোগ করে দিলাম একটি লাইন - 'তাতে কার কী আসে যায়!'
মনে পড়ে গেলো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
অনুভুতির কী চমৎকার বহিঃপ্রকাশ!!!!!!! আমি এভাবে লিখতে পারবো কবে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
ক্যা, বিয়ার বাদে ল্যাখেন নাই-
জানালাতে বসিয়া
পাদ দিলাম কষিয়া
চাঁদ নয়, ফুল নয়, নয় পশুপাখি
কেউ যদি দিতো এনে মুড়িমাখামাখি !
হাঁটুপানির জলদস্যু
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী পদ্যময়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বিয়াই একমাত্র সমাধান (অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি)।
কি মাঝি? ডরাইলা?
অট: গত দু্প্তাহ ধরে আমি আপনার কমেন্ট খুঁজে যাচ্ছি। কোথাও কোন পু . চু . নাই। বিষয়টা কী?
যা পেতে এত কষ্ট
পেলে তা হবে উচ্ছিষ্ট।
বিয়া অর্ধেক সমাধান,
আর কনফু তো মনে হয় অলরেডি ডান।
চাঁদের বুকে পা রেখে নীল আর্মস্ট্রং'এর ও হয়তো পৃথিবীর জন্য এরকম মায়া জন্মেছিলো।
অফটপিকে - কনফু, আপনার দেশচিন্তা-সমসাময়িক-ইদানিংযাহচ্ছে টাইপ লেখা মিস করি।
চাঁদ ডুবেছে নদীর জলে
ভোমরা ফুলে ফুলে
আমার গান বন্ধু কেন বোঝে না
বোঝে না...
আমার গান বন্ধু কেন বোঝে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক ভালো লাগলো। এই সময়ে দাঁড়িয়ে ছোটবেলাকে মিস করছি। এমন দিন আসবে যখন এই সময়টাকে মিস করবো।
-নিরিবিলি
নতুন মন্তব্য করুন