ফ্রি ল্যান্স জার্নালিজমের উপরে লেখা একটা বই পড়তে গিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য জানলাম, মূলত কপিরাইট নিয়ে।
বাংলাদেশে কপিরাইটের ধারণাটা ঠিক কি ভাবে কাজ করে? ধারণা, কাজ করে বা এইরকম শব্দ ব্যবহারের কারণ আছে। আমি জানি এ সংক্রান্ত আইন কানুন আছে ঠিকই, কিন্তু সেসবের প্রয়োগ হয় বলে খুব একটা জানি না। কদিন আগে আনোয়ার সাদাত শিমুলের একটা পোস্টে পড়লাম, ফটোকপি বা অননুমোদিত প্রিন্ট করা যাবে না কোন কিছুর, কপিরাইট আইনের এটাই নাকি প্রাথমিক শর্ত।
আমি অবশ্য ঠিক এই লাইনে যাচ্ছি না। লেখকের দিক থেকে ভাবছি এবং পত্রিকার দিক থেকেও। মানে, ধরা যাক, একজন সাংবাদিক কোন একটা পত্রিকায় একটা লেখা ছাপালেন, তো ছাপানোর পরে ওই লেখাটার স্বত্ব কার হাতে? লেখকের কাছে, নাকি পত্রিকার কাছে?
বা, একবার একটা পত্রিকায় লেখা ছাপালে সেটা পরবর্তীতে অন্য পত্রিকায় ছাপানোর ব্যাপারটাকে কী বলা যায়? ভালো, না মন্দ? নৈতিক, নাকি অনৈতিক?
জুন ওয়েন নামের এই ভদ্রমহিলা, যিনি একজন ফ্রি-ল্যান্স লেখক, এই বইটি লিখেছেন মূলত অস্ট্রেলিয়ার প্রেক্ষাপটে। তিনি উঠতি সাংবাদিকদের নানান রকম টিপস দিয়েছেন বইটাতে। তার মধ্যে কয়েকটা পড়ে আমি বেশ চমকিত হয়েছি।
এ দেশে একটা লেখার স্বত্ব দুভাবে বিক্রি হয়। লেখক বা সাংবাদিক সাধারণত কোন একটা পত্রিকায় লেখা বিক্রি করেন, তার মানে হলো, তিনি সেই পত্রিকাটিকে এই লেখাটি একবার ছাপানোর অনুমতি দিলেন। একবার ছাপানোর পরে লেখার ওপরে পত্রিকার আর কোন স্বত্ব থাকবে না, পুরোটাই চলে যাবে লেখকের কাছে।
জুনের অনেকগুলো পরামর্শের মধ্যে একটি হলো, একটা লেখাকে অনেক জায়গায় বিক্রি করো।
একটা পত্রিকায় লেখা গেলো, এবার অন্যদের কাছে সেটা পাঠাও, তবে অবশ্যই জানিয়ে দাও যে আগেও এটা একবার এখানে ছাপা হয়েছিল।
প্রয়োজনে নতুন করে ঘষামাজা করে লেখাটার ফরম্যাট বদলে অন্যদের কাছে বিক্রি করা যাবে। এই পর্যায়ে আরেকটা সাংঘাতিক পরামর্শ দেখলাম, যদি লেখাটি কোন সিজনাল বিষয়ের ওপরে হয়, যেমন ধরা যাক, ক্রিসমাস বা ইস্টার, তার মানে এই লেখার আবেদন প্রতি বছরই আছে। সুতরাং এই বছরে এই পত্রিকায় ছাপা হলে, পরের বছর লেখাটার উপরে আরেকবার কলম চালিয়ে প্রয়োজনে সেই একই পত্রিকায় আবার পাঠাও।
তবে কোন কোন পত্রিকা চায় যে লেখার পুরো স্বত্বটুকু কিনে নিতে। মানে, আর কোথাও ছাপা চলবে না, তাদের অনুমতি ছাড়া। এ ক্ষেত্রে জুনের পরামর্শ হলো, ভাল দাম পেলে ছেড়ে দাও।
এই ব্যাপারগুলো আমার কাছে বেশ নতুন ঠেকেছে। এমন নয় যে আগে থেকেই এই বিষয়ে আমার পূর্ণ ধারণা ছিলো, কিন্তু যতটুকু ছিলো, তার সাথে এদের কোন মিল নেই।
ভাবছি, বাংলাদেশের পত্রিকা আর সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো কীভাবে কাজ করে?
মন্তব্য
ভাল বিষয়। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে কিভাবে কাজ করে এই ব্যাপারটা?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পেট চালানোর তাগিদে হয়তো কথাটার গুরুত্ব থাকতে পারে, কিন্তু লেখালেখির নৈতিকতার প্রশ্নে জুনের পরামর্শটার সাথে ঠিক একমত হতে পারলাম না।
আর সত্যি কথা বলতে জুনের বেশিরভাগ পরামর্শ বা টিপস আমার কাছে মনে হলো কপিরাইট আইনের ফাঁক বের করা... আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা নয়।
তবে পোস্টটা অনেক ইন্টারেস্টিং। এইসব বিষয়ে আমার তেমন কোন পড়াশুনাই নাই... আশা করি, বাকিদের আলোচনা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবো।
প্রহরী,
এই নৈতিকতার ব্যাপারটাই ফোকাসে আনতে চাইছিলাম।
জুনের বইটা হচ্ছে ফ্রি-ল্যান্সারদের জন্যে একটা গাইড বইয়ের মতন। আসলে, বইটা নিয়া একটা ইন্ট্রো দেয়া দরকার ছিলো পোস্টে, তাহলে আপনার ভুল ধারণাটা হইতো না।
জুন নিয়মের মধ্যে থেকেই লেখকদের অপরচুনিটি ব্যাখ্যা করছেন মূলত। এই দেশের আইনেই বলে, স্বত্ব বিক্রি করা যাবে দুই উপায়ে। সে এই জিনিসগুলাই জানইছে।
দেখি, আর কেউ কিছু বলে কি না।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আচ্ছা... এইবার বুঝলাম ব্যাপারটা... দেখা যাক, বাকিরা কী বলেন.. বিশেষ করে দেশের সাংবাদিকরা... তাহলে আরো অনেক কিছুই জানা যাবে।
বাংলাদেশে এই বিষয়গুলা কাজই করে না। কপিরাইট বিষয়টা এখানে খুবই বেহালে আছে।
পত্রিকায় লেখা ছাপা হইলে সেটা পত্রিকার মালিকানাতেই থাকে। যেহেতু সাংবাদিক সেখানে টাকার বিণিময়ে চাকরি করেন।
তবে কলামের বেলায় সুনির্দিষ্ট কিছু নাই। সেটা লেখকেরো পত্রিকারো... হাঙ্গামা করে না কেউ... আপোষে হয়।
কপিরাইট বিষয়ে সচেতনতা নাই।
জারজি গ্রোটোস্কির মৃত্যু উপলক্ষ্যে একটা লেখা লেখছিলাম এক পত্রিকায়... তারপর থেকে উনার প্রতি মৃত্যুবার্ষিকীতেই সেই লেখা ছাপা হইছে বিভিন্ন পত্রিকায়। আমি খোঁজই জানি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রচুর কপিরাইট ভঙ্গ করছি। পত্রিকায় না, নেটে। দুইটা অভিজ্ঞতা বলি। অ্যামেরিকায় কোন লেখার কপিরাইট লেখকের কাছে থাকে না ম্যাগাজিনের কাছে থাকে সেটা নিয়েও একটা অভিজ্ঞতা আছে।
সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান এর একটা লেখা অনুবাদ করার অনুমতি চেয়েছিলাম লেখক শন ক্যারলের কাছে। উনি বললেন, লেখার কপিরাইট নাকি উনার না, ম্যাগাজিনের। তারপর সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান পত্রিকার ভারত অঞ্চলের সম্পাদকের কাছে মেইলটা ফরওয়ার্ড করে দিলেন। উনার কাছে অনুবাদের ধরণ, "মহাকাশ বার্তা" পত্রিকায় প্রকাশের কথা এবং কত কপি প্রকাশিত হবে জানালাম। উনি বললেন, এর অনুবাদ করে প্রকাশ করতে হলে ২৩০ ডলার লাগবে। আমার তো মাথায় হাত। খ্যামা দিয়ে কপিরাইট ভেঙেই অনুবাদ করে ফেললাম। যথারীতি মহাকাশ বার্তায় পাঠাইনি, নিজের ব্লগে রেখে দিয়েছি।
আরেকটা "স্ট্যানফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ফিলোসফি" নিয়ে। নেটের এই সাইটের সবগুলো লেখার স্বত্বও স্ট্যানফোর্ডের দর্শন বিভাগের। এক লেখকের কাছে অনুমতি চাইতে উনি স্ট্যানফোর্ডের এডিটরের কাছে মেইল ফরওয়ার্ড করলেন। আমি সেখানেই খ্যামা দিলাম।
মাঝে মাঝে ভাবি, এভাবে কপিরাইট ভাঙাটা কি ঠুক হচ্ছে। তারপরও অনুবাদ করতে থাকি। কোন উপায়ান্তর দেখি না।
মনে হয়, আমেরিকার ম্যাগাজিনগুলো লেখকের কাছ থেকে লেখার স্বত্ব সম্পূর্ণ কিনে নেয়।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
লেখা প্রকাশের আগে এটার শর্তসমূহ দেখে নিলেই হয়। সায়েন্টেফিক জার্নালে লেখা নির্বাচিত হলে প্রকাশের আগে কপিরাইট সংক্রান্ত একটা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। সেখানে কপিরাইট বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জার্নালের থাকে। পোষাইলে ছাপাবেন নাইলে নাই।
বেতনভুক্ত কোন কর্মচারী/বিজ্ঞানী কিছু আবিষ্কার করলে/লিখলে/সৃষ্টি করলে সাধারণত কপিরাইট মালিকের হয়। এটা জেনেছিলাম উইকির কপিরাইট বিষয়ক প্রবন্ধটা অনুবাদ করতে গিয়ে; অবশ্য কিছুদুর পর আইনগত কথার জটিলতায় আর এগোতে পারিনি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
কপিরাইট বিষয়ে আমার থিসিস সর্ম্পকিত একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমা মার্স্টাস থিসিস প্রকাশিত হয়েছে একটা প্রকাশনা সংস্থা থেকে। এটা বাই ডিফল্ট সব ছাত্রের জন্য করা হয়ে থাকে। সেখানে একটা অপশন ছিল -
১। $১৫০-২০০ (সঠিক সংখ্যাটা মনে নেই) ডলার দিয়ে কপিরাইট অপশন কিনে নাও।
২। টাকা দিও না। সেক্ষেত্রে থিসিসের কপিরাইট থাকবে উক্ত প্রকাশনা সংস্থার।
সব পোলাপাইন টাকা বাঁচানোর জন্য ২ নম্বর অপশন নেয়। পরে থিসিস বিখ্যাত হয়ে গেলে উল্টো সেই থিসিস প্রকাশের জন্য প্রকাশনা সংস্থাকে টাকা দিতে হয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার থিসিসের স্বত্ত্ব মালিক আপনি, যদি না কারো কাছে বিক্রি করে দিয়ে থাকেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ইচ্ছে করলে বিশেষ ব্যবস্থায় অন্য কিছু করতে পারে। এমনকি সাপ্রেস (suppress) ও করে দিতে পারে কমার্শিয়াল ভ্যালুর কথা ভেবে।
সহজ হিসাব:
১. লেখক/সাংবাদিক যদি মাসিক বেতনের বিনিময়ে পত্রিকায় চাকুরি করেন, তাহলে সব লেখার স্বত্ব যাবে পত্রিকার মালিকের।
২. লেখক/সাংবাদিক যদি ফ্রিল্যান্স ভিত্তিকে কাজ করেন (লেখা প্রতি পয়সা, কোন মাসিক চুক্তি না) তাহলে তা লেখকের থাকে।
৩. সব কিছুই পরিবর্তিত হতে পারে দুই-পক্ষের সম্মতিতে সম্পাদিত কোন চুক্তির মাধ্যমে।
IEEE এর কোন জার্নালে পেপার প্রকাশিত হলে, IEEE স্পন্সর করা কোন কনফারেন্সে পেপার প্রকাশ করলে তার কপিরাইট চলে যায় IEEE এর কাছে। ব্যপারটা নির্মম, কিন্তু পেপার প্রকাশের আগেই স্বত্ত ত্যাগ করে কাগজ সাইন করতে হয়।
বড় পত্রিকাঅলারা কপিরাইটের ব্যপারে খুব সচেতন।
লেখা না... গান বিষয়ে একটা উদাহরণ দেই।
'সে যে বসে আছে একা একা' এটা একটা নাটকের গান। অফবিট নাটকের জন্য এই গানটা তৈরি করা হয়। এবং গানের গীতিকার, সুরকার, কম্পোজার, গায়ককে আর্থিক মূল্য শোধ করা হয়। হিসাব মতে গানটা কৃষ্ণচূড়ার। এবং এর নির্বাহী প্রযোজক হিসাবে আমার।
নাটকের পরেই গানটার ব্যাপক পাইরেসি হইলো। জলে স্থলে অন্তরীক্ষে এইটা বাজলো।
টনি স্বপ্নচূড়া করার সময় এই গানটা নতুন করে গাইবার পার্মিশন চাইলো... মৌখিকভাবে তা আলাপ হইলো। জন গানটা নতুন করে গাইলো। এ্যালবাম কাভারে কৃতজ্ঞতায় আমার আর মিমি আপার নাম দিলো। এইটা নিয়া আমাদের কোনো ক্ষোভ নাই।
এরপরে এই গানটা করলো তাহসান। নিজ দায়িত্বেই করলো। তার এ্যালবামটা দেখি নাই, গানটা শুনি নাই ফলে বলতে পারবো না কৃতজ্ঞতাটুকু অন্তত স্বীকার করছে কি না।
অর্ণব তার প্রথম সলো এ্যালবামে এই গানটা রাখলো। কপিরাইটের কোনো তোয়াক্কা না কইরাই।
কোনো আক্ষেপ নাই। কথাগুলা এজন্য বললাম যে এইগুলা নিয়া এইদেশে খুব একটা ভাবে না কেউ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গানের গীতিকার, সুরকার, কম্পোজার, গায়ক শুরুতে কারা ছিলেন ?
জেমসের একটা গান কিন্তু সিনেমায় দেয়া নিয়ে ব্যাপক ঝামেলা হয়েছিল। সঞ্জীবদার উস্কানিতে জেমস উকিল নোটিশ করে দেয় , পরে আপোষ হয়েছিল ২০ হাজার টাকায় । শ্যালে-তে সেই ২০ হাজার টাকা ভাঙিয়ে অনেকগুলো বোতল কেনা হয়েছিল ।
গীতিকার সাহানা বাজপেয়ী, সুরকার কম্পোজার গায়ক অর্ণব।
এই গানটা বাবদ পুরো টাকা তাদের পরিশোধ করা হইছে। হিসাবে অর্ণব তার সলো এ্যালবামে কিন্তু গানটা দিতে পারে না। তাহসানো পারে না। টনি আর জন যেহেতু কাজটা করার আগে মৌখিক সম্মতি নিছে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে তাই তাদের কিছু বলার নাই।
কিন্তু বাকি কাজগুলা ঠিক হয় নাই।
এই বিষয় নিয়া ঘোট পাকানোর কোনো ইচ্ছাই নাই। পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখি হউক। কপিরাইটের দূরাবস্তা বোঝাইতে কথাটা তুললাম আর কি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই গান দিয়াই কিন্তু অর্ণব হিট । আর গানের আদি মালিক যে আপনি এটাই জানতাম না !!!
পাত্তা তো দেন না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার জন্য একটা স্ক্রিপ্ট লিখুম ভাবতাছি...তবে তার আগে স্ক্রিপ্ট লেখা শিখতো হইবো....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
লেইখা ফালান আগে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- আমিও (বড় হইলে) লিখুম। তয় সেইটা কী হয় আল্লায় মালুম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি তো জানতাম স্ক্রিপ্ট হইলো গিয়া পড়ার জিনিস, লেখার না !
এখন সবাই কয় স্ক্রিপ্ট লেখবো ! কেমনে ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধুগো'দা, আপনে "কাজের ছেলে নজরুল" সিনেমার স্ক্রিপ্টটা লিখে ফেলেন... হেল্প লাগলে নজু ভাই তো আছেই...
ধরেন,
একটি রবীন্দ্র সংগীত আমি নতুন করে সুর
দিলাম এবং গাইলাম |
আপনি প্রযোজক প্রকাশ করলেন |
আমি এবং আপনি দুজনেই জানি এটা অন্যায় |
এখানে কপিরাইট আইনের ভাষ্য কি ?
যদি একটু জানাতেন
বস... এইটা এখন আর অন্যায় না... এখন আপনে নতুন করে সুর দিলে গাইলে সেইটা আপনারই সম্পত্তি হইবো...
যদ্দুর জানি রবীন্দ্রনাথ এখন কপিরাইটের আওতা বহির্ভূত বিষয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বস বাদ দেন । আপনার ঐ গানটা মারাত্নক একটা সৃষ্টি ছিল । ওরা জল স্থলে অন্তরীক্ষে ঐটা প্রচার করল বলেই না আমার মত নাদান লোকেও ডাউনলোড করতে পারল, শুনতে পাইল, বন্ধু-বান্ধবেরে শুনাইতেও পারল । তারপর আজকে প্রকৃত স্রষ্টারে পাইয়া হাল্কা রেসপেক্টও দেখাইতে পারল
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
বাদ তো সেই কবেই দিছি... সেইটা নিয়া কথা নাই। তবে আপনার মন্তব্য নিয়া কথা আছে।
স্রষ্টা আর মালিক ভিন্ন বিষয়। কপিরাইট অনুযায়ী প্রডিউসার হয় মালিক... কিন্তু সে স্রষ্টা অবশ্যই না।
গানটার স্রষ্টা অবশ্যই অর্ণব। পূর্ণ কৃতিত্ব তার। আমার মতো একহাজার পিস জোড়া দিলেও এই বস্তুর এক ফোঁটাও পয়দা হইতো না। এই গানের যাবতীয় প্রশংসা অবশ্যই অর্ণবের প্রাপ্য।
কিন্তু ব্যবসায়ী মালিকানা ভিন্ন বিষয়। কৃতিত্ব পাইলেও এইটা নিয়া ব্যাবসা করার অধিকার কৃষ্ণচূড়ার... তার না। এই আর কি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দূর্দান্ত গানটির কপিরাইট মালিককে সম্মান জানিয়ে গেলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হিসাব করলে হাজারের উপরে রিপোর্ট, শ' তিনেক সম্পাদকীয় কোন ফাকে হারায়া গেল, বুঝবারও পারলাম না। জীবনের বিরাট একটা সময়কালও মিলায়া গেলো... শূন্যতা...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কপিরাইট কী?
এটা কি কাচের তৈরি জিনিস? নাহলে ভাঙে কেন?
(মুমুয়িত প্রশ্ন)
মুমুয়িত প্রশ্নের কপিরাইট মুমুর হলেও 'মুমুয়িত প্রশ্ন' কথাটার ১০০% কপিরাইট কিন্তু আমার
ইহা কি 'লিলাযিত' কপিরাইট ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
তাই তো মনে হইতাছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গানটির আর্থিক মূল্য পরিশোধ কি স্বত্ব কেনা বাবদ করা হয়েসিল? আপনারা কি লিখিত চুক্তির মাধ্যমে স্বত্ব কিনেনিয়েছিলেন?
তবে আমাদের দেশে যে বাজেটে নাটক, সিনেমা বানানো হয়, তাতে গানের স্বত্ব সংশ্লিষ্ট গীতিকার, সুরকারের নিকট হতে কিনে ব্যবহারের সুযোগ কম এবং সচরাচর এরকম হয়না। কাজেই একটি গান নাটক সিনেমাতে ব্যবহার হলেও, গানের স্বত্ব সংশ্লিষ্ট গীতিকার, সুরকারেরই থাকে।
না... লিখিত কোনো চুক্তি নাই। হয়ও না। সবই মৌখিক।
তবে সুযোগ কম থাকা সেত্ত্বেও গানটি আমরা কিনেই ব্যবহার করেছিলাম। আমরা তার প্রকাশিত এ্যালবাম থেকে গানটি নেইনি। নাটকেই গানটি আগে ব্যবহার করা হয়েছে।
আর এখানে কোনোভাবেই অর্ণবের উপর অভিযোগ করা হচ্ছে না। কপিরাইটের প্রসঙ্গে কথাটি উঠলো কেবল।
তবে এই গান নিয়ে মূল ব্যবসাটা আমরা অর্ণব কেউই না... করেছে নকলবাজরা। নাটক প্রচারের পরদিন থেকেই (ডিভিডি বের হওয়ারও আগে) এই গান বাজারে বিক্রি হইছে। নাটকের দুই প্রান্তে ছিলো গানের দুই অংশ... সেই দুই অংশ জোড়া দিয়া বাজারে বিক্রি করছে। তাদেরে কে আটকাইবো? হা হা হা হা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কপিরাইটের প্রয়োগের জন্য চুক্তি কোন শর্ত না।
@নজরুল ভাই
গানের স্বত্ত্ব কৃষ্ণচূড়ারও না, আপনার। কারণ আপনি প্রযোজক। সেমতে তাহসান,অর্ণব দুইজনেই অনুমতি না নিয়ে বেআইনি কাজ করেছে।
থাক বাদ দেন বস... সব তো আমরা আমরাই... ভাই বন্ধু স্বজন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- দুইজনরেই ধইরা ডলা দেন বস। শারীরিক না হইলে মানিব্যাগিক। আকুরাফাকুরাশাকুরায় নিয়া ইচ্ছামতো সীল মারেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- আমার 'বালছাল' সব লেখারই কপিরাইট কইরা ফেলুম তাত্তারি। লক্ষণ বেশি সুবিধার ঠেকে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে আপনি তো নিজেই বদনা-লোটাসহ কপিরাইট হইয়া আছেন !
ওরস্যালাইন ব্যবহারকারীগোরে এইটা মাঝে মাঝে মনে করাইয়া দিয়েন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কিন্তু সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তো কোন উত্তর পেলাম না।
আরিফ ( জেবতিক ) ভাই,
বিপ্লব (রহমান)দা,
আপনারা একটু খোলাসা করে আওয়াজ দেন। পিলিজ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
নতুন মন্তব্য করুন