আমার দুই হাত ভর্তি একগাদা জিনিস, মাত্রই বাংলাদেশী একটা দোকান থেকে বের হয়ে ফিরতি পথ ধরেছি, গাড়ির দরজা খুলতে গিয়ে ঝামেলায় পড়লাম। কী করবো ভেবে না পেয়ে শেষমেষ দাঁত দিয়ে একটা পলিথিনের ব্যাগ কামড়ে ধরে কোনমতে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে গেলাম। খানিকক্ষণ বড় বড় নিশ্বাস ফেলে একটু স্বাভাবিক হয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়েছি কি দেইনি, হুট করে মাথায় পাগড়ী আর মুখ ভর্তি দাঁড়ি এক শিখ ভদ্রলোক প্রায় লাফিয়ে আমার জানলার পাশে এসে দাঁড়ালো! আমি বেশ খানিকটা চমকে উঠলাম!
আমি জিজ্ঞাসু চোখে তাকাই লোকটার দিকে, এবং তাকিয়ে আরও অস্বস্তিতে পড়ি। লোকটা তীব্র দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে। অল্প কয়েক সেকেন্ড এভাবেই কেটে যায়, তারপর হুট করে হিন্দীতে বলে উঠে, আমি তোমার ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি, দেখতে পাচ্ছি!
আমার ভ্রু কুঁচকে যায়।
হিন্দী বুঝি না তা নয়, বেশ ভালই বুঝি। কিন্তু অচেনা অজানা কেউ একেবারে প্রথম আলাপে হিন্দীতে আলাপ জুড়তে চাইলে চরম বিরক্ত হই। তার উপর এই লোক পারে তো গায়ের উপর উঠে এসেছে!
খানিকটা সেই রাগে, খানিকটা রোদে আর গরমে আমার ভ্রু দুটো বেঁকেই থাকে, সোজা আর হয় না।
লোকটা ঠিক দুই সেকেন্ড সময় নিল। তারপর দ্বিতীয় বাক্যটা বললো বাংলায়, বাঙালী? বাংলাদেশ? ভাল আছো?
আমি এইবার পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাই। বাংলাই বলেছে বটে, কিন্তু কথায় টান শুনে বুঝে ফেলেছি বাংলা বলে অভ্যস্ত নয় সে। আমি মাথা নাড়িয়ে বলি, হ্যাঁ, বাংলাদেশ।
আমার প্রত্যুত্তর শুনে এইবার লোকটা খুশী হয়ে যায়। মনের আনন্দে আবার হিন্দীতে বলে উঠে, বেটা, আমি তোমার ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি, তকদীর দেখতে পাচ্ছি।
তার এই ঘোষণায় আমি তেমন কোন পুলক বোধ করি না। ভাগ্য যারা দেখতে পায় বলে দাবী করে, আমি বরং তাদের চশমার পাওয়ার নিয়ে দূর্ভাবনায় পড়ি। অনেক ছোটবেলায় এরকম এক ভাগ্যদর্শী বানরের কবলে পড়েছিলাম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সে সংগী মানুষ-মনিবের সাহায্যে লোকেদের ভাগ্য বলে বেড়াতো। আমার ভাগ্য দেখে বলেছিলো, আমি বিদ্যার জাহাজ হবো, আমার মামার ভাগ্য দেখে বলেছিলো, মামা বিদেশে যাবে, শ্বশুরের টাকায়।
আমার বিদ্যার্জন ডিঙি নৌকার ধারে কাছেও যায়নি, জাহাজ দুরে থাক। আমার সেই মামা প্রায় ছ বছর ধরে প্রবাসী, তবে এখনো অবিবাহিত!
শিখ লোকটা, সম্ভবত কিছু একটা শোনার আশায় আমার মুখের দিকে তাকায়, আমি অসম্ভব বিরক্ত হই। কন্ঠে সেই বিরক্তির পুরোটা এনে আমি ইংরেজিতে বলি, "ঠিক আছে, বুঝলাম। কিন্তু আমার ভবিষ্যৎ জানবার কোন তাড়া নেই।"
লোকটা এবার লম্বা শ্বাস টানে, আমার জানলার আরও কাছে এসে দাঁড়ায়। তারপরে ঘোরলাগা গলায় বলে, "খুব রাগ তোমার, খুব রাগী তুমি। রাগ হয়ে যাও হুট করে।"
আমার বেদম হাসি আসে। খুবই বাজে স্টার্টিং। একেবারে প্রথম বলেই উইকেট হারানোর মত নড়বড়ে একটা ইনিংস যেন প্রত্যক্ষ করছি আমি। আর এই টেকনিকটাও বহু বহু পুরানো। আমাদের দেশের হাতুড়ে-হাত-দেখিয়েরা সবার প্রথমে এই কথাই বলে, "আপনি খুব অভিমানী, কেউ আপনার মন বুঝে না, সবাই শুধু ভুল বুঝে!" পৃথিবীর সবচেয়ে বদরাগী মানুষও এই কথায় গলে যাবে, মনে হবে সত্যিই, চারপাশের সব মানুষ কী অন্যায়ই না করছে আমার সাথে!
আমি গললাম না। বরং লোকটার বাণীকে মুহুর্তেই বাস্তবে রূপ দিলাম। গলায় রাগ এনে বললাম, "আপনি ভুল বলছেন, আমি রাগী না, আমি খুব ঠান্ডা মাথার মানুষ।"
সামারে এখানে গরম পড়ে খুব। আমার পাশে সিটে রাখা ব্ল্যাক ফরেস্ট কেকটা গলতে শুরু করেছে কি না এই নিয়ে ভাবনায় পড়ে গেলাম। এই আপদটাকে কীভাবে বিদায় করে দেয়া যায় ভাবছি।
" অনেক প্ল্যান করো তুমি, না? বড় বড় প্ল্যান, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। অস্থির হয়ে থাকো।"
আমার অসহ্য লাগে। এই কথাটা অবশ্য ঠিক। কিন্তু ঝড়ে দুয়েকটা বক তো মরেই। আমার আর শুনতে ইচ্ছা করে না। মাথার ভেতরে ব্ল্যাক ফরেস্ট ঘুরে।
"আগামী তিন বছর খুব ইম্পর্ট্যান্ট তোমার কাছে। খুব জরূরী, সমঝে চলো।"
আমি, হঠাৎ করেই দৃশ্যমান হয়ে ওঠা আমার তকদীর আর ভবিষ্যৎ ধারণ করে থাকা কপালটায় অনেকগুলো ভাঁজ ফেলে দিই, আর অস্থির হয়ে অনবরত মাথা ঝাঁকাতে থাকি। আমার মাথার ভেতরে অসম্পূর্ণ পরিকল্পনারা রাজহাঁসের মত ঘুরপাক খেতে থাকে, যেন বা আমাকে ব্যাঙ্গ করেই।
লোকটা আরও কী কী সব যেন বলে যায়, বলতেই থাকে। আমার ভাবনা জুড়ে গলে যাওয়া ব্ল্যাক ফরেস্টের আবরণ, সেসব ভেদ করে এই ভবিষ্যত-পড়ুয়ার অমোঘ কথাবার্তা খুব একটা কানে ঢোকে না।
আরও কিছু মুহুর্ত দ্রুত কেটে যায়, আমি এইবার সত্যিই অভদ্র হই। বলি, "দুঃখিত, আর দেরী করতে পারছি না। আমাকে যেতে হবে। "
এক্সিলারেটরে পায়ের চাপ বাড়াই, হুঁশ করে আগে বাড়ি। লোকটা জানলার কাছ থেকে দুরে সরে যেতে যেতে শুধু বলে, "সমঝে"।
আমি মনে মনে বলি, হুম, সমঝেই।
মন্তব্য
সমঝে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
হুম, খুব খিয়াল কইরা!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমারে দেইখা একবেটায় কইলো, মাথাটা গরম, খুব গরম। আমার আম্মায় বলে, হ্যা, সবসময় গরম থাকে। আমি তার দিকে তাকায়া বল্লাম, আমার বিশ্রি ধরনের জ্বরের বাতিক আছে। সবসময় মাথা গরম থাকে... চোখও লাল হয়।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নিজের ছেলের সম্পর্কে যেকোন সচেতন মায়ের কিছু সাধারণ ধারনা থাকে । যেমন,
১) লেখা পড়ায় অমনোযোগী ।
২) ঠিক মত খাওয়া দওয়া করেনা ।
৩) খুব মাথা গরম ।
৪) ইত্যাদি ...
তো যেকোন সাধারণ ছেলের সাধারণ মায়ের সামনে এগুলা বললেই তো মাজননী কুপোকাত । কত বড় কামেল লোক, না বলতে বুঝে ফেলেছে আমার ছেলের সমস্যা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ, সেটাই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
তবে আমার কিন্তু সন্দ অয়, আলবাব ভাইরে লইয়া বেটা সব হাচা কথাই কইছিলো!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমিও সমঝিলাম। তবে ব্ল্যাক ফরেস্ট কেকের কথা মনে করায় দিয়া আমারে বিপদে ফেললেন, খালি ব্ল্যাক ফরেস্ট খাইতে ইচছা করতেসে।
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আগে জানলে একটা ছবিসহ পোস্ট দিতাম!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ভাগ্যিস ছবি দেননাই... দিলে তো আমার পকেট থেইকা কড়কড়া ইউরোগুলো হাওয়া হইত...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
এটা প্রথমবার হলে আপনি হয়ত গলতেনই।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
সত্যি কথা হলো, পরের বেশ কয়েকটা দিন লোকটার কথাগুলো মাথায় ছিলো। বেশ ভাবছিলাম।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমার মাথা সত্যিসত্যি গরম। আমি হৈলে ব্যাটারে খাইয়া ফেলতাম।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এইখানে আরও কী সব সাংঘাতিক জিনিস হয় জানো না তো! পত্রিকার পাতায় বিজ্ঞাপন দেয়, একেবারে আমাদের দেশের শেষ চিকিৎসার চেয়েও ভয়াবহভাবে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ছোটবেলায় আমার হাত দেখে একজন বলেছিলো আমি নাকি শ্বশুরের টাকায় বড়লোক হবো। আমার শ্বশুর গত হয়েছেন বহুদিন হয়, আমার আর বড়লোক হওয়া হলো না।
যাক, আপনার শ্বশুরের অনেকগুলো টাকা বেঁচে গেলো!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আহা পুরোটা জেনে নিলেই পারতিস৷
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
কী যে বলো, লাইফের চার্মই তো কমে যেত তাহলে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
চাচায় এতকিছু কইলো আর আমরা কবে চাচা হমু সেইটা কইলো না?
সেইটাও বলছে। বলছে যে তাত্তাড়ি লাইনে দাঁড়াও।
আমি লাইনে আইসা দেখি আমার আগে আছে, দ্রোহী ভাই, তার আগে মুর্শেদ ভাই, তার আগে অরূপদা। আর কী তামশা, লাইন টাইন সব ব্রেক কইরা কোন ফাঁকে জানি সবার আগে বদ্দা দাঁড়াইয়া গেছে!
এইবার বুঝেন!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কবে'র কাহিনী এটা?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আপনার প্রশ্ন শুনে মনে হইলো মজা করি!
পোস্টের মধ্যেই হিন্ট দেয়া আছে, বলেন দেখি এইটা কবের কাহিনী?
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
- কি মিয়া, মেম্বর কী কয়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরেকটু জোরে আওয়াজ দ্যান। নাইলে কনফুর কানে পৌঁছাবে না।
- মজিদ মিয়ার ডায়লগে কাম না হৈলে দলবল নিয়া জিকিরে-আসগারে মন্দিমু নাকি?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো,
এইটা হইলো দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি ভিত্তিক একটা প্রক্রিয়া। তৃতীয় পক্ষ যতই আওয়াজ দিক, কুনো লাব নাই!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
- কোনো দ্বিপাক্ষিক-বহুপাক্ষিক নাই এইবার। লন, মেম্বররে প্রেশার দেই। ব্যাটা খালি আরেকজনের দিকে আঙুল দেখায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্ল্যাক ফরেস্ট না থাকলে কি হতো বলা মুশকিল
গুড পয়েন্ট। আমি নিজেও এই ব্যাপারে সন্দিহান।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মনে হয় 'ব্ল্যাক ফরেস্ট'-টাই চেয়েছিল... আপনি বুঝতে পারেন নাই...
...বর্ণচোরা
ইশ, তখন তো সমঝি নাই।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
গুলাফী ভাই, ব্ল্যাক ফরেস্ট আমার ফ্রিয় ফ্লেভার।
কবে জানি কইসিলেন কি কি খাওয়াইবেন। লিস্টিতে এটাও রাইখেন।
---------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
লিস্টি আপডেটিত হইলো।
কিন্তু গুলাফীটা কি জিনিস?
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমিও একদা জ্যোতিষী আছিলাম, গুলাফী ভাই।
(জিনিসটা যাই হোক, নামটা আমার পসন্দ হইছে।)
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি তো দেখি লোকটি কনফুভাই সম্পর্কে সবগুলো কথাই ঠিক বলেছিলো ! তাইলে কোন্ আগাম কথা শুনার ডরে কনফু ভাই পালাইলো ! ব্ল্যাক ফরেস্ট উছিলা...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমার সাবেক এক বসকে থাইল্যান্ডে এরকমই এক ইন্ডিয়ান শিখ বলছিল, 'তোর কপালে দুঃখ আছে, বিপদ আছে, আমার থেকে রিং কিনে নে'।
বস চারঅক্ষরেরগালি দিয়ে চলে আসছে।
আসার পরে তার মোটর বাইক থেকে বাজারের থলি রাস্তায় পড়ে গেছে। বাসায় এসে বলার পরে বসের বৌয়ের কী আফসোস, বস নাকি বোকা লোক, কোন মণীষিকে পায়ে ঠেলে এলো, এইসব।
কালোবন খেতে মন চায়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বেবাকেই দেখি ব্ল্যাক ফরেস্ট নিয়া হামলায়া পড়লো! ব্যাপারটা কী?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধানমন্ডির দিকে গেলেই ব্ল্যাক ফরেস্ট খাওয়া হয়। আইইউটিতে এসে ব্যাটাকে মিস করতেছি।
=============================
কালো-বনের কি কোনো "ট্যাগ করা" ফটো আছে ফেইসবুকে?
নতুন মন্তব্য করুন