যা হারিয়ে যায় তা আগলে বসে রইবো কত আর-

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/০৩/২০০৯ - ৯:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সূচীপত্রের সিঁড়ি বেয়ে আমি টপাটপ নামতে থাকি, আটাশে গিয়ে থামবার কথা, কিন্তু তেইশ পর্যন্ত গিয়েই থেমে যেতে হলো! মাওলা ব্রাদার্স থেকে বের হওয়া গাট্টাগোট্টা আকৃতির বই, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের রচনাসমগ্র প্রথম খন্ড। বইয়ের শেষের ফ্ল্যাপে প্রকাশক বলে দিয়েছেন ইলিয়াসের আটাশটা গল্প নিয়ে এই সমগ্র, এমনকি ভুমিকায় লেখকের ছোট ভাই খালিকুজ্জামান ইলিয়াসের বক্তব্যও তাই, গল্প আছে এখানে আটাশটি। কিন্তু আসলে তা নেই! এক দুই তিন চার করে বেশ কবার আঙুল বুলিয়ে গুনে গুনে গেলাম, উচ্চারণ করে করে পড়তে গিয়ে দুয়েকবার কবিতা বলে ভ্রম হলো, কিন্তু কিছুতেই তেইশের ওপরে যেতে পারলাম না! পাঁচটি গল্প তাহলে কোথায় গেলো, নেই?

আমার নিজেকে খানিকটা প্রতারিত মনে হলো। আটাশ সংখ্যাটা বেশ করে মাথায় গেঁথে গেছে। আমি কোথাও ভুল হচ্ছে ভেবে আবারও গুনতে থাকি।
ফেইসবুকে কে একজন টোকা দিয়ে জানালো, মাযহার ভাইয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমি গোনা থামাই। কলেজের গ্রুপ-ইমেইলে আরেকজন বললো, হায়দার ভাইও নাকি নিখোঁজ। আমি আবারও গুনি, একুশ বাইশ তেইশ।

মাযহার ভাই আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র। দুই তিন। আর হায়দার ভাই তিন ব্যাচ। মাযহার ভাই ভাল এথলিট ছিলেন। মাযহার ভাই দ্রুত দৌড়াতেন, একশ মিটার দৌড়ে কি ওনার রেকর্ড ছিলো কলেজে? মনে নেই। একশ দুশ চারশ মিটারের দৌড় হতো। আমি আবার গুনি প্রথম থেকে। প্রথম বইয়ের প্রথম গল্প, নিরুদ্দেশ যাত্রা। তারপরে উৎসব, প্রতিশোধ। নেমে যাই আবার। আট নয় দশ। মাযহার ভাইকে শেষ কবে দেখেছি, দশ বছর আগে? না না, পাঁচ বা ছয় হবে, শেষ রিইউনিয়নেই তো দেখলাম। ফেইসবুকে নাফিজ ভাই বললো, মাযহার সকালে এসএমএস করেছিলো পিলখানা থেকে, তারপরে খবর নেই। সকাল কয়টায়? সকাল এগারোটায়। এগারো, এগারো নম্বর গল্পের নাম মিলির হাতে স্টেন গান। আমার অসম্ভবর প্রিয় গল্প। মাযহার ভাইয়ের বিয়ের ছবি খুলে বসলাম ফেইসবুকে, মাত্র দুমাস আগেই বিয়ে হলো ওনার। হয়েছিলো দরবার হলে। নাফিজ ভাই বললো, এখন নাকি দরবার হলেই আছেন উনি। তবে যোগাযোগ হচ্ছে না।

কিন্তু বাকি পাঁচটা গল্প কোথায়? বই ধরে ধরে এগুবো নাকি? ইমেইলে অবশ্য হায়দার ভাইয়ের খোঁজ শুরু হলো তখন। হায়দার ভাই আমার টেবলেই বসতেন ডাইনিং এ। না, আমার না, হয়তো পাশের টেবিলে। হায়দার ভাই অসম্ভব সুদর্শন ছিলেন। হায়দার ভাই আমাদের কলেজের বারোতম ব্যাচের। বারো নম্বর, আমরা পনের। আচ্ছা বারো নম্বর গল্পের নাম কী? হুম, দুধভাতে উৎপাত। মনে হচ্ছে বই ধরে ধরে এগুলেই পাওয়া যাবে।
পাওয়া যায়নি, জানালেন আরেকজন, ইমেইলে, হায়দার ভাই বা মাযহার ভাই কারও খোঁজই পাওয়া যায়নি। হায়দার ভাই যখন বাস্কেটবল খেলতেন, আমার কাছে মনে হত জুয়েল আইচ যেন যাদু দেখাচ্ছেন, অসম্ভব স্টাইলিশ। থ্রি স্কোর একদম অহরহ, যেন দুধভাত।

পত্রিকায় ছবি এসেছে অনেক, দেখছি। এনটিভির নিউজ, এটিএন বাংলায় মুন্নী সাহা দৌঁড়ুচ্ছে ঐ। কিন্তু পাঁচটা গল্প হাপিশ।

বইয়ের প্রথম সংস্করণ এসেছে ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯। সর্বশেষ সংস্করণ এপ্রিল ২০০৩। এই দশ বছরে কেউ টের পেল না যে জলজ্যান্ত ৫ টা গল্পের কোন খোঁজ নেই? না কেউ টের পায়নি। মুনওয়ার ভাই জিগ্গেস করছেন, ডিবি টের পেল না কেন? বা ডিজিএফআই? ওরা কী করেছে বসে বসে? এত বড় একটা ম্যাসাকার ঘটে গেলো!

আমার রোখ চেপে গেলো, পাঁচটা গল্প যদি না পাই? অথবা মাযহার ভাই বা হায়দার ভাই।

মুহাম্মদ সিসিবিতে একটা তালিকা ঝুলিয়ে দিলো। আমি তালিকা দেখি, বইয়ের শেষেও একটা তালিকামতন আছে। ওখানে সবগুলো গল্প বইয়ের নাম দেয়া সূচী সহ। তালিকার মাঝামাঝি গিয়ে মাযহার ভাইকে পাওয়া গেলো। উনি আর নেই। আমি গুনতে শুরু করলাম গল্পের নাম গুলো, সূচীতে না, বইয়ের নাম দিয়ে।

ইমেইলে কে যেন আবার মাযহার ভাইয়ের ছবি দিলো একটা, ওনার এক পাশের চোখ নেই। আমার গলা ধরে এলো ক্রমশ। হায়দার ভাইয়ের ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে শুনলাম। কিন্তু শুনলাম হায়দার ভাইও আর নেই। মুহাম্মদের তালিকায় কনফার্ম হলো সামিয়ার আব্বুর নামও। আমি ঝাপসা চোখে পুরো তালিকা গুনে শেষ করলাম, বইয়ের নাম ধরে ধরে।

গল্প আসলে তেইশটাই, বইয়ের সংখ্যা যদি ঠিক থাকে। সুতরাং পাঁচটা গল্পের হয়ত অস্তিত্বই নেই আসলে, অথবা আছে হয়ত, হারিয়ে গেছে।


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

অসাধারণ !

কিছুই বোধ হয় হারায় না। অন্ততঃ স্বজন হারানোর বেদনা, তা কি চাইলেও হারানো যায়? সহমর্মিতার মূল্য যৎসামান্যই, তবু জানালাম।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কেমন! তারেক ভাই, সত্যি কেমন!
লিখে পাগল করলেন, মাথায় চাপিয়ে দিলেন।

অসাধারণ!!!!!!!!!!!!!!!!!!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রণদীপম বসু এর ছবি

দারুণ ! কী অদ্ভুত প্যারালালিজম...!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আকতার আহমেদ এর ছবি

অদ্ভুত... অসাধারণ...!
নতজানু শ্রদ্ধা দুর্দান্ত এই লেখার জন্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শিউরে ওঠার মত বর্ণনা।

পলাশ দত্ত এর ছবি

ভয়ঙ্কর, কনফুসিয়াস।। ভয়ঙ্কর।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

ফারুক হাসান এর ছবি

...

রায়হান আবীর এর ছবি

বাসায় ফিরি রাতে। আর ঢাকা শহরের রাত মানে তো জানেনই ... দশ নম্বর সেনপাড়ার সামনে ভয়ংকর জ্যাম। তখন আমি ৩৬ নম্বর বাসে জানালার পাশে বসে ফলের দোকানগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি ...

ঠিক তখন আমার মনে হয়, মানুষগুলো আসলেই হারিয়ে গেলো? সামিয়ার আব্বা আসলেই আর নেই? এটা কিভাবে হয় ...

তারপর, স্ট্রবেরি আইসক্রীম খেলেই আমার মনে হয়, আরে মেয়েটা তো এই আইস্ক্রীম খেতে খুব পছন্দ করতো। আংকেল কত কিনে এনেছেন। ও নিশ্চয়ই আর কখনওই খুব মজা করে আইস্ক্রীমটা খেতে পারবেনা ...

কিংবা একজন মানুষ যিনি ২৪ বছর একজনের সাথে নিঃশ্বাসের বাতাস ভাগাভাগির পর একদিন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখলেন সব শেষ। পূর্ণদৈঘ্য চলচ্চিত্রের মতো শেষ না যে, চাইলে আরেকবার দেখে ফেলা যাবে- একদম শেষ ...

মাযহার ভাবীর হাতের মেহেদী হয়তো একদিন ম্লান হয়ে যাবে, কিন্তু মাযহার ভাই নিশ্চয়ই তার মন থেকে কখনও হারাতে যাবে না। মাযহার ভাই তাকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেই স্বপ্নগুলোর কথাও নিশ্চয়ই তিনি কখনও ভুলতে পারবেননা ...

*****************************************

চোখে পানি চলে আসলো তারেক ভাই আপনার লেখা পড়ে ... তারপরও কেন জানি লেখাটা কয়েকবার পড়লাম। ভেতরটা পাথর হয়ে আছে। একটু আদ্র করার জন্যই মনে হয় ...

নিবিড় এর ছবি

হুম......


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

আলাভোলা এর ছবি

নজমুল আলবাব এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বস্‌!
এটা কী লিখলেন!!!
বিষাদের মাঝেও লেখনীকে স্যাল্লুট।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এত্তো ছুঁয়ে যাওয়ার মতো একটা লেখা।
কিছু লেখা থাকে, যেগুলোতে মন্তব্য করার মতো পর্যাপ্ত শব্দ পাওয়া যায় না। এটাও তেমন।

এই লেখাটা পড়ে কতটা কষ্ট অথবা/এবং ভাল লেগেছে, তা হয়ত কখনোই বলে বোঝাতে পারব না।

আপনাকে স্যালুট।

অনিকেত এর ছবি

আমার আসলে বলার মত কিছু নেই। বহুদিন সচলায়তনে এই রকম লেখা আসে নি।যদিও উপলক্ষ বড় মর্মন্তুদ,যদিও পুরো লেখাটা এক বিষাদের স্বরলিপি, কিন্তু এসবের পরও এই লেখা অসাধারন, প্রায় অলৌকিক। খুব কম লেখাই আছে যা আমাদের জীবনের ধুসর রঙ কে এভাবে তুলে আনতে পারে।

আমার প্রিয়তম পোষ্টে যুক্ত হল।

আমার বিনম্র শ্রদ্ধা---

তারেক এর ছবি

খুব আঘাত করে এ ধরণের লেখা... আমার এমনিই মন খারাপ ছিলো, আমি এখন জানি না আমি কী করব। তারেক ভাই, আপনি খুব খারাপ। ভীষণ খারাপ মানুষ। মন খারাপ
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সবজান্তা এর ছবি

আপনি কনফুসিয়াস বলেই বোধহয় পারেন নিজের দুঃখগুলিকে এতো চমৎকার ভঙ্গিতে তুলে ধরতে।

পাঠ শেষে চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না।


অলমিতি বিস্তারেণ

সুমন সুপান্থ এর ছবি

খুব ভালো লাগলো তারেক । লেখা আর লেখার এই ধরণটা ।
বিষন্নতা ছাপিয়ে নির্মাণের কৌশল জ্বলছিলো খুব । অভিনন্দন ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এরকম একটা লেখার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করে বসে থাকি।
কিন্তু এরকমম অঘটন ছাড়া যদি এরকম লেখা না আসে, তাহলে এরকম লেখা আর কখনোই লেখার উপলক্ষ্য তৈরি না হউক...

অসাধারণ কনফু... আগে থেকেই আমি আপনার ভক্ত... এবার নতুন করে আবার হলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মৃন্ময় আহমেদ এর ছবি

হে নাথ!

=========================================
অনিকেত প্রান্তরে ভেসে বেড়াই

'

=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা

রানা মেহের এর ছবি

কী কষ্টা দেয়া একটা লেখা
কী ভয়াবহ একটা ঘটনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

স্তদ্ধ হয়ে গেলাম!

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

অসাধারন লেখা.....কষ্টকর অনুভূতি।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অতিমানবীয় লেখা। অমানুষদের পক্ষেই লেখা সম্ভব! আর কিছু বলতে পারছি না এই মুহুর্তে!

___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

স্বপ্নাহত এর ছবি

বেশ কয়েকবার এসে ঘুরে গেছি। কি লিখবো ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি...

---------------------------------

তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মইনুল এর ছবি

খুব সুন্দর লিখেছ তারেক। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।
মইনুল (১৩)

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ভাল লাগলো।
***************
শাহেনশাহ সিমন

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

কনফুসিয়াস এর ছবি

সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ, যারা যারা পড়লেন।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কীর্তিনাশা এর ছবি

এমন লেখা পড়ে সত্যি ভাষা খুঁজে পাওয়া দুস্কর...........

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

chapal এর ছবি

khub valo laglo..

স্নিগ্ধা এর ছবি

লেখাটা এতখানিই অসাধারণ, যে ওরকম একটা বেদনাদায়ক বিষয়কেও ছাপিয়ে যায়, কষ্ট হেরে যায় মুগ্ধতার কাছে!

রদেলা এর ছবি

জীবনের গল্পগুলো ও হয়তো এইভাবেই হারিয়ে যায় বা অসমাপ্তই রয়ে যায়।
জীবন মৃতু্্যর ব্যবধান আসলে কতটুকু?
অনেক শ্রদ্ধা ।

তিথীডোর এর ছবি

কি অসাধারণ একটা লেখা!!!
প্রিয় পোস্টে যোগ করলাম...

--------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীলকান্ত এর ছবি

মন খারাপ

কত তাড়াতাড়ি আমরা ভুলে যাই!!!
আজ আবার মনে পড়ে গেল।
অসাধারণ লেখা।


অলস সময়

নীলকান্ত এর ছবি

মন খারাপ

আমরা কত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই। দেখতে দেখতে দুটো বছর চলে গেল।
লেখা অসাধারণ।


অলস সময়

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

চোখে পানি চলে আসলো! মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।