গল্পঃ কাঠের সেনাপতি

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০৪/২০০৯ - ৬:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আব্বার সাথে রাশেদের আজ আশ্চর্য শত্রুতা। আজ সারাদিন, দিনমান। ছোট্ট চায়ের টেবলের দু'পাশে ওরা দু'জন ঠিক দুই যুযুধানের মতন দাবার গুটি নিয়ে বসে আছে সকাল থেকে। কখনও গালে হাত, কখনও বাঁকানো ভ্রু, কখনও চুপচাপ।

আব্বার অফিস ছুটি আজ, রাশেদের ইশকুলও তাই। ওদের সারা ঘরে ছুটির আমেজ এলিয়ে আছে, বসার ঘর থেকে রান্নাঘর, সেখান থেকে বারান্দায়, সবখানে। আপাতত শুধু ছুটি নেই দুজনের মাথার ভেতর, তুমুল তান্ডব তাতে, যুদ্ধ পরিকল্পনায় ব্যস্ত, আর বাইরে তবু বেশ নিরাবেগ, অথবা ভঙ্গিটা সেরকমই, খাঁজ কাটা সুন্দর কাঠের সাদা কালো সৈন্যদের ওরা লেলিয়ে দেয় একে অপরের দিকে। একটা অদ্ভুত দৃশ্য যেন টুপ করে বসে পড়ে টেবলের চারপাশ ঘিরে, যেন ঢাল-তলোয়ার হাতে দুই সৈন্য, যুদ্ধের ময়দানে পরস্পরের মুখোমুখি।

দাবা, আসলে বুদ্ধিরই খেলা, দু'জনের কেউ তাই হার মানতে রাজি নয়। কেউ কেউ জানে, কেউ জানে না, দাবার ছক কাটা বর্গাকার ঘরগুলোকে পেরিয়ে যেতেও বাস্তবিক, যোদ্ধাসুলভ একটা দক্ষতার খুব প্রয়োজন হয়। আব্বার সাদা গুটি হয়ত পেছন থেকে তাড়া করে আসতে থাকে রাশেদের কালোর দিকে, আর রাশেদ তখন তার অলক্ষ্যে কাগজের ময়দানের অন্য কোন পার্শ্বে হয়তো তার অন্য কোন গুটি মেরে ফেলার তীব্র ষড়যন্ত্রে টগবগ করছে!

তাদের এই লড়াইয়ের মূল দর্শক রাশেদের আম্মা। দু'জনের ঠিক পাশেই একটা ইজি চেয়ারে আম্মা শুয়ে-বসে পা দুলিয়ে দুলিয়ে চা খাচ্ছে। পা দোলানো এবং চা খাওয়া, এই দুটো কাজ একসাথে কী করে হয় এই নিয়ে অনেক ভেবেছে রাশেদ, কিন্তু কোন কূল কিনারা পায়নি, যেমন পায়নি খেলার সময় আব্বার ক্রমশ কঠিন হয়ে ওঠা মুখের কারণও।

আম্মাকে জিজ্ঞেস করে রাশেদ, আম্মা, আপনি কার দলে, আমার না আব্বার?
আম্মা চা খাবার ফাঁকে ফিক ফিক করে হাসে। বলে, ইশ, আসছে রে আমার সোহরাব আর রুস্তম!

ঘরের পাশটিতেই একটা লম্বা ছাতিম গাছ। লম্বা মানে উঁচু, অনেক উঁচু; মোটামুটি চারপাশের সবাইকে ছাড়িয়ে সোজা ওপরে উড়াল দেবার চিন্তায় মশগুল সে। বাইরে থেকে বাউন্ডুলে হাওয়ারা মাঝে মাঝে ছাতিম গাছটার কাছ থেকে তীব্র কিছু গন্ধ ধার করে নিয়ে আসে ঘরে। সেই গন্ধ বাপ-ব্যাটার এই যুদ্ধক্ষেত্রে বারুদের গন্ধ হয়ে ভেসে বেড়ায়। দুয়েকটা পথভোলা চড়ুই যখন ঘরে ঢুকে পড়ে বেরুবার আর জায়গা পায় না, তারপর অস্থির হয়ে এ দেয়াল থেকে ও দেয়ালে ছুটে বেড়ায়, রাশেদের মনে হয়, ওরা যেন গুপ্তচরের মত টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে শত্রুপক্ষের খবর নিতে।

বসার ঘরে, এই দুই অসমবয়েসী সেনাপতির গম্ভীর যুদ্ধের আর একজন দর্শকও আছেন। দৃশ্যপটে উপস্থিত তিনি, তবে এক পাশে, মানে বাম দিকের দেয়ালে তিনি বসে, একটা আঙুল শূণ্যে উঁচিয়ে অনেকগুলো মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। একটা কালো কোট পরণে তাঁর, একটা চারকোণা ফ্রেমের কালো চশমা, কাঁচা পাকা গোঁফ। সামনের মানুষগুলোর মুখ স্পষ্ট নয়, রাশেদ তবু যতবার এই ছবির দিকে তাকায়, মনে হয়, প্রত্যেকেই কেমন যেন ঘোরের মধ্যে আছে তারা। একটা সম্মোহনী দৃষ্টি নিয়ে তারা তাকিয়ে আছে সবাই কালো কোটের দিকে। বাঁশী নেই হাতে, তবু শৈশবের অনেকগুলো দিন রাশেদ ভেবে এসেছে, এই ছবির লোকটাই হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালা।

এই ছবিটা আব্বার খুব প্রিয়। এরকমই জানে রাশেদ, তবু মাঝে মাঝে খানিকটা গোলমেলে লাগে ওর কাছে। যখন কোন কোন রাতে খুব শ্রান্ত হয়ে আব্বা বাড়ি ফিরে, এবং হয়ত দাপ্তরিক কোন কাজে তার ভীষণ বিরক্তি এসেছে, হয়তো কোন কারণে খুব ক্ষিপ্ত কারও ওপর, আব্বা কাপড় না বদলেই সোজা ঐ ছবিটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, অনেকক্ষণ অপলক তাকিয়ে থাকে ছবিটার দিকে, নির্নিমেষ, চোখে অভিমান, তাই কী? রাশেদ নিশ্চিত নয়।

বারুদের গন্ধ চারপাশে, যুদ্ধের ময়দান, ফুরসত নেই, তবু দাবার বোর্ড থেকে মাঝে মাঝে চোখ সরিয়ে নিয়ে রাশেদ দেখে, ছবির ভেতরকার সেই সুদর্শন মানুষটার মুখের ভাবের কোন পরিবর্তন হয় না, অবিচল একই ভাবে আঙুল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি, আর ছবির বাকি মানুষেরাও একই ভাবে মন্ত্রমুগ্ধের মতন তাকিয়ে থাকে সেই আঙুলের দিকে, যেন নড়ে উঠলেই, একটা খুব গভীর কিছু হয়ে যাবে, একটা ভীষণ ওলট পালট কিছু।

আব্বা খুব সময় নিচ্ছে আজ প্রতি চালে, মাথা একটু ঝুঁকিয়ে বোর্ডের দিকে তাকিয়ে আছে সারাক্ষণ। রাশেদ একটু অস্থির হয়ে ওঠে। ও গলায় তাড়া এনে বলে, আব্বা, চাল দাও।
টিভিতে তখন অনেক পুরনো দিনের ছবি দেখাচ্ছে, অগণিত সাদা কালো মানুষের ছড়াছড়ি; অনেক চীৎকার, সবাই খুব দৌড়ুচ্ছে দিকবিদিক, মাঝে মাঝে গুলির শব্দও। আব্বা তার মাঝ থেকেই মাথা ঝাঁকিয়ে ওঠে, হুম, দিচ্ছি।

মজার ব্যাপার হলো, ও নাকি পড়তে চাইতো না ছোটবেলায়, কিন্তু কি আশ্চর্য, বড় হতে হতে রাশেদ ক্রমশ উইপোকা বনে যায়। একেকটা বই হাতে পেলে দিন রাত ভুলে গিয়ে সারাদিন শুধু পড়তে থাকে। আম্মা খানিকটা বকা ঝকা করে এই নিয়ে, কিন্তু আব্বা খুব খুশি।

পড়তে পড়তে, কোন একদিন, সম্ভবত সেদিন ছাতিমের গন্ধ আবারও ভুল করে ঢুকে পড়েছিলো ওদের ঘরে, দুয়েকটা চড়ুইয়ের ডানায় চেপে। আর রাশেদ সেদিন, ওর আশপাশে চড়ুইয়ের মতই উড়তে থাকা অনেকগুলো ওলটপালট শব্দকে ধরে ধরে খাতায় বসিয়ে দিয়েছিলো। বিকেল হলে আব্বা যখন বাড়ি ফিরে, রাশেদ ভীষণ সংকোচে সেই সার-বাঁধা চড়ুইগুলো নিয়ে আব্বার সামনে হাজির হয়, আর আব্বা সেদিকে এক পলক তাকিয়েই বলে ওঠে, ওরে বাবা, কী সর্বনাশ, তুই কবিতা লিখে ফেলেছিস!

তারপরে একটা কান্ড হলো, রাশেদকে প্রায়শই লজ্জায় ফেলে দিয়ে আব্বা ওদের বাসায় বেড়াতে আসা সব অতিথিদের একদম ঢাক বাজিয়ে জানিয়ে দিতো যে ও ইদানিং কবিতা লিখে। কী লজ্জা কী লজ্জা! একবার শীলু খালাদের বাসায় ওরা বিকেলে বেড়াতে গেছে, চা খেতে খেতে আব্বা ঠিক ফুটবল রেফারীর তীব্র বাঁশীর মত করে ঘোষণা দিয়ে বসে, শীলু, আমাদের রাশেদ তো খুব সুন্দর কবিতা লিখে।
রাশেদ তখন কেবলই একটা মজার বিস্কুট মুখে তুলেছে, সেখানেই ওর হাতটা আটকে যায়। শীলু খালা উচ্ছ্বসিত গলায় বলে, তাই নাকি রে রাশেদ, সত্যি?
ও কিছু বলার আগেই আব্বা বলে ওঠে, হ্যাঁ তো, এই রাশেদ, এক্ষুণি একটা কবিতা লিখে দে তো।
ওর রীতিমত কান্না পেয়েছিলো তখন। আব্বাটা এমন বোকা কেন? এরকম হুট করে যে কবিতা লেখা যায় না এটা আব্বা জানে না!
শীলু খালা ঠিক বুঝতে পারে, বলে, থাক থাক, এখুনি লিখবে কি? সময় লাগে না ওসবে? পরে লিখে আমাকে দেখালেই হবে।

এই সব ভাবতে ভাবতে কালো ঘরের হাতিটাকে আব্বার নৌকার কোনাকুনি তিন ঘর পেছনে এনে বসায় রাশেদ। একটা শুষ্ক হুমকির মতন ওটা সেখানে বসে থাকে। রাশেদ আড়চোখে তাকিয়ে দেখে, আব্বার মাথার চুল এমনিতেই সব এলোমেলো হয়ে আছে, আর এবারের চাল দেবার পরে চোখ একবার ছোট হয়ে যাচ্ছে, আবার বড়ো। চালটা তাহলে বেশ ভাল হয়েছে, ভাবতে থাকে সে।

রাশেদের কবিতারা আজকাল যত্নে গড়া একেকটা পাখির বাসার রূপ নিচ্ছে প্রায়শই। একদম আনাড়ি বা পাখিদের ওড়াওড়ি আপাতত নেই আর ওগুলোয়। তারচেয়ে বরং বেশ আরামপ্রদ চেহারা পাচ্ছে কবিতাগুলো, পড়তেও প্রশান্তিবোধ হয়, আব্বার ভাল লাগে। সেগুলো পড়বার সময় আব্বার ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে আসা চোখের দিকে তাকিয়ে রাশেদ মনে মনে ভাবে, একদিন কোনদিন রাশেদ আব্বার যুদ্ধজীবনের গল্প নিয়েও এরকমই পাখির বাসা বানাবে, নিশ্চয়ই। পরিপাটী যত্নে লিখবে কী দুর্মর সাহস নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস আব্বা ছুটে বেড়িয়েছে সারা দেশে, লড়েছে শত্রুর সাথে।

দু'জনের মাথায়ই নির্ঘাত এরকম বিচ্ছিন্ন ভাবনারা নাগরদোলার মতন দুলতে থাকে, কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশ নেই একদম। বরং দ্বৈরথ ক্রমশ জমে ওঠে। যুদ্ধ পরিকল্পনা বদলে বদলে যায়। অদৃশ্য বর্মের আড়ালে দুজনের দৃশ্যমান ঘাম আম্মাকে বেশ আনন্দ দেয়। আম্মা আরেক কাপ চা আনতে ভেতরে যায় তখন।

সপ্তাহের মাঝামাঝি এরকম আলটপকা ছুটির দিনগুলো কীরকম ছটফটে ভালোলাগায় কেটে কেটে যায়। পাড়ার মাইকে আজ সারাদিনই গমগমে কন্ঠের বক্তৃতা বাজছে, চলতি বাংলায় কেউ একজন প্রাণোচ্ছ্বল ভঙ্গিতে কথা বলে যাচ্ছেন। আর সোফার অন্য পাশে বসে রাশেদ দেখতে পাচ্ছিলো দেয়ালের ওই লোকটাই কেমন করে যেন টিভির ভেতরে আজ ঢুকে পড়েছেন, প্রায় সারাক্ষণই ঘুরে ফিরে তাঁকেই দেখা যাচ্ছে পর্দায়। মাঝে মাঝে সাথের মানুষদেরও। ওখানে উনি হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলছেন, আর এক সমুদ্র মানুষ সেখানে তাঁর সাথে সাথে সাড়া দিচ্ছে।

ঠিক সামনে বসেই খেলছে আব্বা, তবু যেন মাঝে মাঝে সেই জনসমুদ্রের মাঝখান থেকে তাকে তুলে আনছিলো রাশেদ। ও বুঝতে পারে, আনমনা হয়ে থাকা আব্বার আজ খেলায় একদমই মন নেই, এর মাঝে একটা ভুল চাল দিয়ে ফেলেছে, এবং অন্য যে কোন দিনের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে আব্বা সেটা এখনও টের পায়নি। যখন মৃদু স্বরে রাশেদ ডাকছিলো মাঝে মাঝে, আব্বা তখন যেন ঠিক দেয়ালের ওপাশ থেকে সাড়া দিচ্ছিলো।
ক্রমশ খেলা জমে ওঠে। যুদ্ধ থামে না ওদের, বরং চাল পাল্টা চালে সেটা দৃপ্ত ভঙ্গিতে এগুতে থাকে। রাশেদদের বসার ঘরে ছাতিমের গন্ধ, আর টিভির ভেতরে একটা মানুষ, হাজার মানুষ, লাখো মানুষ নড়ে চড়ে যায়।

টিভি পর্দায় হুট করে একটু আলোড়ন হয়। সেই চশমা পড়া লোকটাকে দেখা যায় একটা ধবধবে সাদা রঙের বিমান থেকে নামছেন। আব্বা এবারে ঘাড় ফিরিয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে থাকে, সেই কালো কোট আর চারকোণা চশমার দিকে। রাশেদ টের পায়, হুট করেই আব্বার মন সরে গেছে যেন, সাদা রঙের মন্ত্রীটা দুম করে খেয়ে ফেলে সে, কিন্তু কোন ভাবান্তর দেখে না প্রতিপক্ষের, তার চোখ তখনো অপলক টিভি পর্দার সাদা-কালো ছায়ার দিকে।

চারপাশ খানিক দেখে শুনে নিয়ে রাশেদ তার ঘোড়া এগিয়ে দেয় আব্বার সাদা রাজার দিকে।
ঘোড়ার সঙ্গী হয় রাশেদের মন্ত্রী, অন্যপাশে রাজার পিছুবার পুরো পথ জুড়ে দাঁড়িয়ে একটা শুটকো পটকা হাতি।
আব্বা একবার চোখ ফিরিয়ে তাকায় সেদিকে, ভুরু বেঁকে যায়। রাশেদ একটা মুচকি হাসি দেয়, এটা একেবারে মোক্ষম একটা চাল।
আব্বা একটু ঝুঁকে আসে দাবা বোর্ডের দিকে, আব্বাকে কেমন গুটিয়ে পড়া লাগে রাশেদের কাছে, কেমন ছোট হয়ে আছে যেন। কিন্তু সেটা কেবল এক পলকের জন্যে, আব্বা আবারও চোখ ঘুরিয়ে নেয় টিভির দিকে, পর্দায় তখন দেয়ালের ওই লোকটার ছবি।
রাশেদ দেখে আব্বা কেমন হাঁসফাস করে ওঠে, তখুনি হঠাৎ পর্দার ছবি বদলে যায়, এতক্ষণের প্রাণোচ্ছল ছবির লোকটাকে হঠাৎই দেখা যায় সিঁড়ির ওপর অদ্ভুত ভঙ্গিতে বসে আছে, চিরকালীন কালো ফ্রেমের চশমা নেই চোখে, চোখ দুটো বোজা, চুল এলোমেলো। দেয়াল ধরে উড়তে থাকা চড়ুইগুলো কখন যেন থেমে গেছে, ছাতিমের গন্ধটা ঘরের মাঝামাঝি কোথাও মেঝে অব্দি ঝুলে আছে ছাদ থেকে। আব্বার থমথমে মুখ খেয়াল করে না রাশেদ, ও অস্থির হয়ে ওঠে, কিস্তি মাতের চাল, তবু দেখছে না কেন! ও বলে ওঠে, আব্বা, তোমার রাজা বাঁচাও!
আব্বা হঠাৎই সম্বিত ফিরে পায়, চকিতে টিভি থেকে চোখ সরিয়ে দাবার বোর্ডের দিকে কেমন অচেনা দৃষ্টিতে তাকায়। দু'বার বিড়বিড় করে রাশেদের কথার প্রতিধ্বনি করে ওঠে আব্বা, রাজা বাঁচাও, রাজা বাঁচাও!

অকস্মাৎ কী হয় তার, সোজা দাঁড়িয়ে আব্বা অস্ফুট একটা চিৎকার দেয়, আর হাতের এক জোরালো ঝাপটায় মেঝেতে উল্টে ফেলে দেয় দাবার বোর্ড!

বিমূঢ় হয়ে রাশেদ তাকিয়ে থাকে মেঝের দিকে, এক পাশে উল্টে পড়ে আছে সাদা রঙের রাজা। চারপাশে কেউ নেই, কিছু নেই, তবু যেন কিছু ছোপ ছোপ রক্ত।

-----------------

মার্চ, ২০০৯

( গুরুচন্ডা৯ পত্রিকায় প্রকাশিত )


মন্তব্য

জিফরান খালেদ এর ছবি

হুমম...

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার বোধ হয় এর আগে কোনদিন বলা হয়নি ।
যে ক'জনের গল্প তৈরীর গল্প আমি মুগ্ধ হয়ে পর্যবেক্ষন করি, আমাদের কনফু তাদের একজন ।
এই ইনক্যাপ্সুলেশনটা চমৎকার । মুল ম্যাসেজ লুকিয়ে থাকে অনেক গভীরে । এক্সিপ্লিসিটি কম । কম বলেই হ্যামারিং হয় ।

দুর্দান্ত ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক হাসান এর ছবি

সহমত

কনফুসিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ হাসান ভাই। খুব ভাল লাগলো শুনে।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার লেখা, ভালো লাগলো।

কনফুসিয়াস এর ছবি
পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

কিছু না বলেও কতকিছু বলা যায়!

কনফুসিয়াস এর ছবি
আকতার আহমেদ এর ছবি

দুর্দান্ত কনফু ভাই! কতো সহজেই সব বলে দিলেন কোন কিছু না বলেই।
অসাধারণ...

কনফুসিয়াস এর ছবি

ছড়া সম্রাট, পড়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আশ্চর্য কোইনসিডেন্স! গতকালই গুরুচন্ডালীতে পড়ে আসলাম। ভাবছিলাম ব্যক্তিগত মেইলে চমৎকার গল্পের জন্য অভিনন্দন জানাবো। আর সচলে সবার সাথে শেয়ার করার জন্য পোস্ট দিতে বলব। সন্ধ্যাবেলা নানা ভেজালে পইড়া মেইলটা করা হয় নাই। আজ সকালে এসে পেলাম পোস্টখানা।
চলুক

কনফুসিয়াস এর ছবি

টেলিপ্যাথি হতে পারে। এ জন্যেই আপনি বলার আগেই এখানে দিয়ে দিলাম। হাসি

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সবজান্তা এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ সবজান্তা। কিন্তু আপনার নতুন গল্প কই?
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ভুতুম [অতিথি] এর ছবি

আপনার নিক যার নামে, উনি বলেছিলেন, সবার মরার আগে তিনটা কাজ করা উচিত - একটা ভালো সন্তান রেখে যাওয়া, একটা গাছ পুঁতে যাওয়া আর একটা বই লিখে যাওয়া। বই লেখার সময় যদি নাও পান, এরকম দুই-একটা লেখা লিখলেই শর্তটা পূরণ হয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়। চমৎকার লাগলো।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ভুতুম, অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে আগে কোথাও দেখেছি বলে মনে হচ্ছে। মানে, নাম শুনে....
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গল্পটা আগেই পড়েছিলাম। যা বলার তখনই বলে দিয়েছি।

আমি আসলেই কনফুর লেখার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকি মাঝে মাঝে। অনেক পছন্দের একজন লেখক।

অনেকদিন পরে আপনার লেখা পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কনফুসিয়াস এর ছবি

থ্যাংক্স নজরুল ভাই। খানিকটা বদলেছে কিন্তু, পড়লে ধরতে পারবেন। হাসি

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নজমুল আলবাব এর ছবি

চিরন্তন গল্পের সাধ পেতে চাইলে কনফু পড়তে হবে।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

কনফুসিয়াস এর ছবি

বাউলের কাছ থেকে এমন সাট্টিফিকেট! বাঁধাই করে রাখতে হয় তাহলে। হাসি

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দারুণ!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

কনফুসিয়াস এর ছবি
তারেক এর ছবি

দূর্দান্ত হইছে তারেক ভাই!
আপনার গল্প পড়লে সবসময় মনে হয় একটা গল্প পড়লাম, মনে রাখার মতো।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

কনফুসিয়াস এর ছবি

হাসি যেমন তোমার কবিতাগুলা পড়লে আমার মনে হয় ....

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বেশ।
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

কনফুসিয়াস এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

কিন্তু মন্তব্যটা ধুসরীয় হইলে আরও ভাল হইতো। হাসি

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রানা মেহের এর ছবি

কনফুসিয়াস খুব পরিপূর্ণ গল্প লেখেন
গল্প পড়ে মনে হয় উপন্যাস পড়লাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কনফুসিয়াস এর ছবি

থ্যাংকু রানা মেহের। এরকম কথা শুনলে আমার খালি জুবায়ের ভাই এর কথা মনে পড়ে....

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জুলফিকার কবিরাজ [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে হয়েছে শেখ সাহেবকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যের এটিই সেরা উপস্থাপন। নান্দনিক প্রকাশ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

সর্বনাশ! এ তো বিরাট কথা! অনেক ধন্যবাদ। হাসি
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

চলুক

কনফুসিয়াস এর ছবি
তুলিরেখা এর ছবি

অসাধারণ গল্প! ভাষার মুনশীয়ানা দারুণ! সেই লোককথার তরবারির মতন, বিদ্যুতের মতন কেটে বেরিয়ে যাওয়ার কিছু পরে বোঝা যায় কোথায় কী গভীর মোচড় লেগেছিলো। কখনো ভোরের নদীর ছলছল ঢেউয়ের মতন, হীরের কুচির মতন রোদ ঝলকায় মাথায় মাথায়।
অভিনন্দন হে কনফু। বাংলা সাহিত্যকে সঞ্জীবিত করার জন্য এমন কলম গোটকত খুব প্রয়োজন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কনফুসিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ। বিরাট প্রশংসা পেয়ে গেলাম তোমার। হাসি
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

মুগ্ধ হলাম ... একটু হিংসেও হলো চোখ টিপি
পাখির পাখায় ভর করে ছাতিমের গন্ধ ঘরে ঢুকালেন -- এত ক্রিয়েটিভ চিন্তা আসে কোথা থেকে, ভাবি!চলুক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কনফুসিয়াস এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জ্বি বা!

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিবিড় এর ছবি

লেখাটা পড়ে অনেক কথা মনে এসে গেল কনফু ভাই। গল্পের রাশেদ কিংবা ছুটির দিনের দাবা খেলা বা দূরে বসে থাকা মা সবি কেন যেন পুরান সব স্মৃতির সাথে দারুন মিলে যায়।
আপনার লেখার একটা দারুন ব্যাপার হল কোন সাধারণ ঘটনা কে কেন্দ্রে রেখে আসল গল্পটি বলা। দারুন লাগে ব্যাপারটা। সচলে অনেকদিন পর লিখলেন মনে হয়। কেন যে এত কম লিখেন?


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

থ্যাংকু নিবিড়।
বেশি বেশিই লিখতে চাই, কিন্তু মাথায় আসলে তেমন কিছু আসে না। তাই লেখাও হয় না। হাসি
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সুমন সুপান্থ এর ছবি

জিফরান খালেদই প্রথম আমাকে বলছিলো, গল্প নিয়ে খুব বাতচিত হচ্ছিলো, ফোনে । বাংলা গল্প...আখতারুজ্জামান ইলিয়াস...সন্দীপন ... কিংবা ইদানীং কালে তার ( বাংলা গল্পের ) ক্রম 'কিচ্ছা পরিনতি ', এই সব কিছু নিয়েই । এমন কি সেদিনও , গরিবি অমরতার মাত্রা নিয়ে কথা বলার কালে ।
বলছিলো, কনফুর গল্প , 'গল্প'ই । আমারও তার আগেই জানা হয়ে গিয়েছিলো সমান্তরাল পড়ে । রেখেছিলাম 'প্রিয়'তে যুক্ত করে ।
আজ আবার, এটা পড়ে মনে হলো, কনফু আমার জন্য একটা হার্ডল হয়ে উঠবে সহসাই ।
ব্রাভো তারেক ।
আবার পড়বো । ভালো থেকো ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

কনফুসিয়াস এর ছবি

আজ আবার, এটা পড়ে মনে হলো, কনফু আমার জন্য একটা হার্ডল হয়ে উঠবে সহসাই ।

অকুন্ঠ প্রশংসার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। সেরকমটা হতে পারলে আমি আসলেই খুশি হবো। হাসি
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাল লাগল কাঠের সেনাপতি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নাঈম এর ছবি

তারেক,

তোর লেখা দিন দিন অন্য রকম সুন্দর হচ্ছে। সাধারন ভাবে (সহজ ভাবে) তুই অনেক অসাধারন কথা কথা প্রকাশ করলি। লিঙ্ক টা অসাধারন লাগলো। সব সময়ের মতো আবার বলছি, ছোট গল্পটা দারুন লিখিছ তুই।

শুভ কামনা রইল। আল্লাহ তোর সহায় হঊন।

জুলফিকার কবিরাজ [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতি
শুভ কামনা রইল। আল্লাহ তোর সহায় হঊন।

আমিন।

কনফুসিয়াস এর ছবি

নামস, থ্যাংকু দোস্ত। এতদুর এসে কমেন্ট লেখা পড়িস আবার কমেন্টও করিস, এটুকুই আমার জন্যে অনেক। হাসি

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমার তো অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে করে।
এত কমেন্টের পরে কিছু বোধ হয় আর বলার থাকে না।
...এ তো আমার প্রিয় একজন লেখক কনফু'র গল্প!

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনার জন্যে একগাল হাসি। হাসি
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শিমুল ভাইয়ের কমেন্টটা ধার নিলাম। সাথে যোগ করি - আবারও পড়ব... হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দুর্দান্ত !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কনফুসিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ বাকিদেরও, যারা যারা পড়লেন।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হায়! হায়! কীভাবে মিস হয়েছিল গল্পটা!
ভালো লাগলো খুব।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অর্জুন মান্না [অতিথি] এর ছবি

আপনাকে অনেকগুলো তারা দিতে ইচ্ছে করছে। আর নিজেকে গালি দিতে ইচ্ছে করছে, কেন লেখাটা আগে পড়া হলোনা বলে।
দুটো্র একটা এখন দেয়া যাবে।

তানিম এহসান এর ছবি

খুঁজে বের করে পড়লাম। মুগ্ধতা! ভালো থাকবেন তারেক ভাই। শুভেচ্ছা হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।