মাহমুদুল হকের "কালো বরফ" পড়তে পড়তে, সম্ভবত, বার তিনেক আমাকে পাতা উল্টে প্রথম প্রকাশের তারিখটা দেখে নিতে হয়েছে। ১৯৯২ সালে বেরিয়েছিলো এই বই। ঠিক সতের বছর আগে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ব্যাপার হলো, এটির রচনাকাল আরও পেছনে, অগাস্ট ১৯৭৭! তিরিশ কিংবা তারও বেশি বছর বাদে, আমার নিজের চেয়েও বেশি বয়েসী এই বইটা হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে ভাবছি, মাহমুদুল হক কেমন করে এত বছর আগেই এরকম একটা চির-আধুনিক উপন্যাস লিখে গেলেন!
চারপাশের পাওয়া বইগুলোকে চিরকালই আমি উঁইপোকার চেয়েও বেশি যত্নে আর আদরে গিলে নিয়েছি। লেখক বা বইয়ের সংখ্যা হিসেব করলে সেটা অ-নে-ক ল-ম-বা একটা লিস্টি হয়ে দাঁড়াবে কোন সন্দেহ নেই। এবং, কে জানে, মনের গভীরে কোথাও এই নিয়ে হয়তো কোন আত্মতৃপ্তিও কাজ করে আমার মধ্যে। কিন্তু সেটি যে আসলে অনেকটা বোকার স্বর্গের মতই ব্যাপার, এটা টের পেলাম সম্প্রতি "প্রতিদিন একটি রুমাল" আর "কালো বরফ" পড়ার পরে।
লেখায় জাদু-টাদুর কথা শুনেছি অনেক। কালো বরফের প্রতিটা পাতায় আমি মনে হলো সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। উত্তম পুরুষে লেখা একটানা উপন্যাস। আবার ঠিক একটানা নয়। একটা জীবনেরই দুটি সময়ের কথা পরপর অথবা পাশাপাশি বলে যাওয়া, অবলীলায়। এরকমটা অবশ্য অনেক দেখেছি। এই মুহুর্তেই মনে পড়ছে দূরবীন এর কথা, শীর্ষেন্দুর, আমার খুবই পছন্দের একটা লেখা। কিন্তু সেখানে একটা আয়োজন ছিল। একটা মানুষের জীবনের গল্প ফুটিয়ে তুলবার জন্যে যে বিপুল বিস্তারের দরকার, যতখানি আড়ম্বরের দাবীদার সেটা, শীর্ষেন্দু সেসবে একেবারেই অকৃপণ। কালো বরফে তার একদম উল্টো। কোন আয়োজন নেই, যেন, আমি বলে যাচ্ছি, তুমি শুনলে শুনো না শুনলে নেই, এরকম একটা ড্যাম কেয়ার ভাব।
একটু আগে বলেছিলাম উত্তম পুরুষে লেখা, আসলে পুরোপুরি তা নয়। শৈশবের অংশটুকু উত্তম পুরুষে, কিন্তু সাথে সাথেই বড় হয়ে যাবার অংশটুকু লেখকের বয়ানে বলা। কিন্তু কোথাও বেসুরো লাগেনি। বেসুরো, এই শব্দ ব্যবহারের কারণ, প্রতিটা চমৎকার গল্প বা উপন্যাসই আমার কাছে খুব যত্ন নিয়ে গাওয়া গানের মত মনে হয়। ঠিক সুরে, তালে মিলিয়ে মিশিয়ে একটা চমৎকার সঙ্গীত। কালো বরফও তাই।
প্রচ্ছদ আকর্ষণীয় নয়, রঙের বাহুল্য চোখে লাগে। আমাদের এখনকার বইগুলোর মত ব্যাক কাভারে ছবিসুদ্ধ লেখক পরিচিতি নেই। কিন্তু বাইরের সৌন্দর্যের পুরো ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে বইটার ভেতরকার সৌন্দর্যটুকু।
হক সাহেব শুনেছি ব্যক্তিজীবনে রত্ন বা পাথর নিয়ে কাজ করতেন। ওনার লেখা পড়ে আমার সন্দেহ হচ্ছে, উনি গোপনে গোপনে সাপুড়ে ছিলেন না তো? তা নইলে এরম অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তির খোঁজ উনি কেমন করে পেলেন! লেখা পড়ে যাই, কিন্তু লেখা তো নয় যেন সাপের চোখে চোখ ফেলে বশ হয়ে গেছি!
তো পড়ে টড়ে, সবমিলিয়ে, নিজের প্রতি আমার গভীর অনুকম্পা হলো। এরকম দুর্দান্ত লেখা পড়তে আমার জীবনের সাতাশটা বছর খরচ করে ফেললাম, দুর!
আমায় দিয়ে আসলে কিসসু হবে না।
মন্তব্য
কত লেখা যে পড়া হয় নি, আর কত কত লেখকের লেখার সাথে তো এখনো পরিচয় হয় নি, আফসোস। আশায় আছি পড়তে পড়তে একদিন পড়া হয়ে যাবে অনেক কিছুই। আর বই এর যে দাম, আমাদের মত ছাত্রের জন্য ঠিক পোষায় না তাই নীলক্ষেতই ভরসা। আশায় আছি একটা চাকরী পেলে বইয়ের দাম কে বুড়া আঙ্গুল দেখাব
ভাইয়া মাহমুদুল হক নাকি জীবনের শেষ অনেক গুলো বছর কিছুই লিখেন নি, এই ব্যাপারে কিছু জানেন নাকি?
অফটপিকঃ আজকে খোমাখাতায় ঢুকার পর থেকে আপনার একটা গল্পের আশায় ছিলাম
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
তাই তো শুনেছি, সম্ভবত ১৯৮২ এর পরে উনি আর কিছু লিখেননি।
অটঃ গল্প একটা এসেছে মাথায়, কিন্তু আমার তো সেটারে খাতায় নামাতে অনেক সময় লেগে যায়!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বাংলা উইকিপিডিয়া বলছে:
মাহমুদুল হক (বন্ধুমহল ও কনিষ্ঠ অনেকের কাছে তিনি বটু ভাই হিসেবে পরিচিত) (১৯৪০ - জুলাই ২১, ২০০৮) বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান বাংলাদেশী কথাশিল্পী।
মাহমুদুল হক ১৯৪০ সালে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে জন্ম গ্রহণ। ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের সময় পর তার পরিবার পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়ায় বসবাস শুরু করেন। তার পিতা সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছয় ভাই চার বোনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন। তিনি পঞ্চাশের দশকে স্কুলে থাকাকালীনই লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন।
তিনি শিশুদের কাগজ আলাপনী, শাহীন সেতারা প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। তার কিছু সাড়া জাগানো উপন্যাসের মধ্যে খেলাঘর, জীবন আমার বোন, নিরাপদ তন্দ্রা, কালো বরফ, অনুর পাঠশালা, মাটির জাহাজ, অশরীরী প্রভৃতি উল্লেখ্যযোগ্য। কিন্তু তিনি ১৯৮২ সালের পর আর লেখেননি।
২১শে জুলাই, ২০০৮ রোববার গভীর রাতে রাজধানীর লালবাগের তার শ্বশুরের বাসায় মারা যান নিভৃতচারী এ কৃতী লেখক।
বইটার প্রচ্ছদ এখানে।
বিডিআর ভাই তথ্যের জন্য ধন্যবাদ কিন্তু মনের কৌতূহল তো মিটল না। এই তথ্য মতে লেখক তার জীবনের প্রায় শেষ ২৬ বছর কিছুই লিখেন নাই। দারুণ দারুণ কিছু উপন্যাসের পর হঠাৎ চুপ করে যাওয়া, কিন্তু কেন? জানেন নাকি কোন সচল লেখক বা পাঠক? নজু ভাই আপনার স্টকে তো অনেক গল্প থাকে, মাহমুদুল হক এর ব্যাপারে আছে নাকি এমন কিছু?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কারো একজনের স্মৃতিকথায় জানি পড়ছিলাম যে, মাহমুদুল হক বলতেন তার সকল সৃষ্টিশীলতা হারায়া গেছে। ভেতর থেকে লেখা আসে না। তাই লেখেন না।
উনি লোকজনের সঙ্গে মিশতেন কম। সাহিত্য আড্ডায় থাকতেন না। সাক্ষাত্কার টাক্ষাত্কারো কিছু তেমন দেন নাই। তাই এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা কঠিন। হয়তো মফিদুল হক ভাই ভালো বলতে পারবেন এই বিষয়ে।
এখন ফেসবুকে আহমদ মাযহার ভাইয়ের সঙ্গে মাহমুদুল হক বিষয়েই কথা বলতেছিলাম। তাঁর মতে পাথর ধারণ করা, পাথরমুখী ব্যাবসা... এসব একটা কারন হতে পারে সৃষ্টিশীলতা হারিয়ে যাবার পেছনে।
তবে আমার কেন জানি মনে হয় তার ভেতরে কোনো এক অভিমান কাজ করেছিলো। অকৃতদার অন্তর্মূখী মানুষ, কোনোদিন কারো কাছে অভিমানের কথা বলেন নাই। এটা একেবারেই আমার অনুমান।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজু ভাই। আপনার দেওয়া একটা তথ্য কি একটু চেক করে দেখবেন? সম্ভবত উনি অকৃতদার নন, উপরে অপ্র ভাইয়ের দেওয়া তথ্য সেই কথাই বলে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
স্যরি... আমি সম্ভবত এই ইনফর্মেশনে আইসা শহীদুল জহিরের সঙ্গে গুলায়া ফেলছিলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি যদ্দুর জানি, মাহমুদুল হকের লেখা ছেড়ে দেয়ার কারণটা সম্পূর্ণই অন্যরকম। তার জবানিতেই উদ্ধৃতি করছিঃ
সূত্রঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/amkamal/28805998
আহমাদ মোস্তফা কামালের এই লেখাটা আমি পড়েছি। তবে সামুতে না। অন্য কোথাও। ঠিক মনে করতে পারছি না। আপনার লিঙ্ক ধরে গিয়ে একটু পড়ে বুঝতে পারলাম।
যাহোক... এখানে যেমন ডিটেইলে বলা আছে, আমি তাই হয়তো সংক্ষেপে দুই লাইনে বলেছি। দুটো সম্পূর্ণ অন্যরকম কি?
তার জবানীটাই পড়ুন। স্পষ্ট যে তিনি লেখালেখিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। একসময় কিন্তু আগ্রহ ছিলো, যেজন্য লিখতে পেরেছেন। তারপর আগ্রহ হারিয়ে ফেললেন। বিতশ্রদ্ধ হয়ে গেলেন লেখালেখি নিয়ে। এটাকেই আমি বলেছি যে ভেতর থেকে লেখার উত্সাহ পাচ্ছিলেন না। হচ্ছিলো না। ক্লান্ত হয়ে গেছিলেন, জীবনটা অর্থহীন মনে হচ্ছিলো। এটাই কি জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, আমি আপনার মন্তব্যটা দেখিনি যখন লিখেছি। আসলে আমি মূল মন্তব্যের জবাবে লিখেছিলাম, যেখানে প্রশ্নটা ছিল। দেখেন আপনার আর আমারটা একই লাইনে। পোস্ট করে দেখি আপনিই বলে দিয়েছেন। "অন্যরকম" বলতে 'সাধারণের মত নয়' বুঝিয়েছি।
গুড!
'কালো বরফ' আমার অসম্ভব প্রিয় একটা বই। অসম্ভব প্রিয়। একাধিকবার পড়েছি। বইটা যে সত্যিই এতো আগে প্রকাশিত হয়, তা আগে খেয়াল করিনি। এখানে দেখেই বইটা উল্টে দেখে নিলাম। আমার কাছে এটার দ্বিতীয় মুদ্রণ আছে। আসলেই অবাক লাগে ভাবতে, এতো বছর আগেও মাহমুদুল হক কীভাবে এমন আধুনিক একটা উপন্যাস লিখে গেলেন! তাও আবার মাত্র দশ দিনে (২১-৩০ আগস্ট, ১৯৭৭)! আপনার লেখাটা পড়ে মাহমুদুল হকের বাকি বইগুলোও পড়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে।
'দূরবীন' আমার পড়া অন্যতম ভালো লাগা একটা বই, অন্যতম সেরা। মনে হয় পাঁচ-ছয় বারের বেশি পড়েছি।
হাওয়াই মিঠাই আর গল্প কই?
মিঠাই বেশি খাওয়া ভাল না, আর গল্পের কথা তো আপনি জানেনই, আজকে মাত্র মাথায় আসলো। সুতরাং ...
শীর্ষেন্দুর পারাপার পড়েন, বহু বহুবার পড়া, সবচেয়ে পছন্দের বই আমার।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
গল্পটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। এবারও কি আগেরবারের মতো হতে পারে?
হা হা হা! দেখা যাক, সবুর করেন আর কটা দিন, রসুন বুনেছি।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কনফু ভাই/ প্রহরী ভাই, বইটা কোন প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে ??
আর মাহমুদুল হকের কোন সমগ্র আছে কি ?? যাতে তাঁর অন্ততঃ বিখ্যাত উপন্যাসগুলা একত্রে পাওয়া যাবে ?? ... এতে দামের কিছু সাশ্রয় হয়- বোঝেনতো...।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
কালো বরফ বের করেছে সাহিত্য প্রকাশ।
বাকিগুলো এই মুহুর্তে নিশ্চিত নই।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমার কাছে মাহমুদুল হকের সবচেয়ে ভাললাগা উপন্যাস হচ্ছে 'জীবন আমার বোন' আর 'খেলাঘর'। উনার প্রতিটা সৃষ্টি-ই অনন্য, অতুলনীয়। আর কী আশ্চর্য, আমি আজ-ই আবার 'কালো বরফ' পড়ছি!
এ সত্যি-ই এক অন্যরকম মুগ্ধতা!
পড়িনি এগুলো। এবার দেশে গিয়ে বগলদাবা করে নিয়ে আসবো।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
পড়ি নাই ... সহসা পড়ার সম্ভাবনাও দেখি না
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
দেশ থেকে বই আনানো বাদে আর কোন উপায় নাই।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এবার বইমেলা থেকে কিনেছিলাম "জীবন আমার বোন", "খেলাঘর", "কালো বরফ", আরেকটা যেন কী... "এক সময় আরাম করে পড়বো" এটা ভাবতে ভাবতেই চলে গেল অনেকগুলা মাস!
নাহ্... এইবার পড়া শুরু করতেই হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ
আহ্ কালো বরফ...
অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম, মানে পাভেল ভাইয়ের হাতে প্রথম দেখি বইটা। প্রথম দেখায় একেবারেই অনাকর্ষণীয়। লেখকের নামটা দেখেও আগ্রহ পেলাম না। কিন্তু পাঠক হিসেবে পাভেল ভাইকে আমি অনেক গুরু মানি। উনি যখন বললেন এই উপন্যাস না পড়লে জীবনের আধেকটাই মিছা, তখন অবাক হইছিলাম। কিন্তু তারপরও তখন পড়া হয় নাই।
প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক শাহরিয়ার এক বিরাট গপ্পবাজ। তার স্টকে কাহিনীর কোনো শেষ নাই। তার কাছে শুনলাম মাহমুদুল হকের বিচিত্র জীবনের নানান গল্প। মনে হইলো এইবার পড়ে ফেলতে হবে।
হাতে নিলাম কালো বরফ... অদ্ভুত বিস্ময়ে আবিষ্কার করলাম আমি ডুবে যাচ্ছি। মাহমুদুল হকে আসলেই সম্মোহন আছে। হাতড়ে তার সব বই কিনে কিনে পড়ে ফেললাম। আর তার উপর তৈরি হতে লাগলো প্রচণ্ড রাগ। কেন তিনি লিখবেন না? কেন তিনি ৮২র পর থেকে আর লিখেননি? কীসের এতো অভিমান তার?
আমিও পাভেল ভাইয়ের কথাটাই কপি মারি সবখানে... মাহমুদুল হক না পড়লে জীবনের আধেকটাই মিছা।
কনফু... ভালো লাগলো আপনার এই অনুভূতিময় লেখা। এবার গল্পটা আস্তে ধীরে নামায়ে ফেলেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পাভেল ভাইয়ের হাতে প্রথম দেখি বইটা।
পাভেল ভাই`র-ই একটা নাটক, একুশে টিভিতে; দীপা খন্দকারের সঙ্গে, `অপেক্ষা অথবা একটা গোল্ডফিসের মৃত্যুতে` , প্রথম বইটার প্রচ্ছদ দেখি । তারও আগে সিলেটের `বইপত্র` থেকে যে `কালো বরফ` কিনেছিলাম, মাঝাখান থেকে তার অনেকগুলো পৃষ্টা হাওয়া হয়ে যাওয়ায়, দেশ ছাড়ার আগে আবার কিনি এনেছিলাম। এক বন্ধু পড়তে নিয়ে আর ফিরিয়ে দেন নি !
ছোট ভাইকে বলে এই বার বই মেলায় থেকে কিনে আনিয়েছি !
মাহমুদুল হকের এই উপন্যাস এই নিয়ে তাই আমারো ৩ বার পড়া হলো! আর পড়ানো হলো অন্তত ১৩ জনকে ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
নজরুল ভাই,
আমি পড়ে টড়ে একটা কিছু নিয়ে লিখলেই দেখি আপনি পড়ে ফেলেছেন। মুশকিল!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আপনি আমার অপড়া বইগুলা নিয়া লেখলেই পারেন। তা তো লেখেন না, বছর খানেক পর পর একটা করে লেখা দেন।
আবার ধরেন এই পোস্ট পড়ে জানলাম একটা উপন্যাসের কথা, পারাপার। এটা আপনার পড়া সেরা উপন্যাস বলছেন। বইটা আমার পড়া নাই। আপনার পড়াপড়ির উপর আমার ব্যাপক আস্থা আছে। ফলে এই বই আমি অচিরেই পড়ে ফেলবো বলে তরপাইতেছি। নেহায়েত আজকে কালকে সময় হাতে নাই বলেই বইয়ের দোকানে যাচ্ছি না।
আপনি পারাপার নিয়ে একটা লেখা নাজেল করলে কিন্তু আমি এতো বড় বড় কথা কইতে পারতাম না। চুপ কইরা দোকানে গিয়া বইটা কিনে পড়তে বসতাম কেবল...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কালো বরফ আমার অনেক প্রিয় একটা বই।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
কিংকং অবস্থা আমারও
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
তোমারে একটা উপদেশ দেই , ঠকা খাবা না।
লেখালেখি যখন করোই দুই হক অবশ্যই পড়ে শেষ করবা।
সৈয়দ হক আর মাহমুদুল হক।
মাহমুদুল হকের কালো বরফ ছাড়াও আরেকটা বই পড়া প্রয়োজনীয়" জীবন আমার বোন।"
দেশে যখন আছো তখন কিনে পড়ে ফেল।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তোর কথাগুলো শুনে বহুকাল আগের একটা স্মৃতি মনে প'ড়ে গেলো আরিফ ।
তোর মতো করেই, আনিসুল হক, কোথায় জানি, কোন এক লেখাজোকা কর্মশালায় বলছিলেন বাংলা দেশের কথা সাহিত্যে ৩ হক
সৈয়দ শামসুল হক
হাসান আজিজুল হক
আর মাহমুদুল হক ...না পড়লে সব বৃথা
সঙ্গে এ ও যোগ করেছিলেন, " আরেক 'হক' উঠি উঠি করছেন ! "
লেখাই বাহুল্য, সেদিন ও যেমন বিশ্বাস করি নি, আজো পারি না- আনিসুল হক ও তেমন কোন 'হক' !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
হক কথা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কমেন্ট করার পর আমিও ভাবছিলাম ওরকম কথা কোথায় যেন শুনেছিও আগে। তোর কথায় মনে পড়ল।
এ জীবনে অনেক কিছুই ভুলে গেছি, কিন্তু কিছুকিছু স্মৃতি একদম পাথরে খোদাই করা। ডিনামাইট দিয়েও তাকে উড়িয়ে দেওয়া যাবেনা। তেমনি একটি সময় ছিল ১৯৭৭ সালের ঈদসংখ্যা বিচিত্রা পড়ার স্মৃতি। যতদূর মনে পড়ে, সংখ্যাটির প্রচ্ছদে নারকেল পাতার পিছনে হাসিমুখ একটি পল্লীবালিকার ছবি ছিল। আর ছিল মাহমুদুল হকের "কালো বরফ" উপন্যাসটি। যদি স্মৃতি প্রতারণা না করে, তাহলে একই সংখ্যায় বোধকরি আল মাহমুদের "কালো নৌকা" ছোটগল্পটিও ছিল (সেটিও দুর্দান্ত! "সতী- তুই কালী হইয়া যা!" লাইনটি বন্ধুমহলে তুমুল পপুলার ছিল)।
"কালো বরফ" পড়ে আমি আর আমার এক বন্ধু অনেকদিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এ কি ধরণের লেখা? এত ভালো লাগছে, এত ভালো লাগছে। কি এক অপার নির্লিপ্ততায় বলে গেছেন সবকিছু। আহা-কেমন করে লিখলেন লেখক! বুকের ভিতর হুহু করে উঠেছে বারবার। বারবার আবদুল খালেক আর তার ছেলেবেলা লুকোচুরী খেলেছে আমার উঠোনে। এইদূর বিদেশে বসে মাঝে মাঝেই বইটি আবার খুলে দেখি। বইটিতে শুধু আবদুল খালেক নয়, যেন আমারও সেই বয়েসটি আটকে আছে। বইটিতে নিজেকে খুঁজে ফিরি তাই। মাহমুদুল হকের "জীবন আমার বোন"টিও ভয়ানক ভালো বই।
একই ভাবে মনে পড়ে শীর্ষেন্দুর "পারাপার" পড়বার কথা। তখন সবে ঢাবির মাস্টার হয়েছি। সে আমলে মাস্টার্স এর রেজাল্ট ভালো হলে ঢাবি তিনশো টাকার বই প্রাইজ দিতো। সেই সুবাদে পেয়েছিলাম বইখানি। একলা থাকি তখন শংকরে। আড়াইদিন ধরে বইটি পড়েছি। আড়াইদিন পর যেন আমার নবজন্ম হয়েছিল। একটুও বাড়িয়ে বলছিনা, পারাপার বইটি পড়েই মনে হয়েছিল সোজা বর্ডার ক্রস করে কোলকাতা চলে যাই। গিয়ে লেখককে শুধোই, কি করে পারেন আপনি গুরু? ললিতের জন্যে, ললিতের শিয়রে জেগে থাকা রমেনের জন্যে এখনো চোখে জল আসে। তারপর সেই ছেলেটি যার মাথায় আকাশ ঢুকে গিয়েছিল। আহা-লিখতে যদি হয় কখনো- তাহলে এই রকম একখানা জিনিস লিখতে হয়। কি মায়া-কি প্রচন্ড ভালোবাসা।
দূরবীন এবং পরে মানবজমিনও পড়েছি। এদুটোও আমার প্রবল ভালোলাগা বই, তবে পারাপারের মতোন নয়। অনেক কথা লিখে ফেললাম। অনেকদিন পর। আজকাল এইসব অনুভূতি থেকে দূরে থাকতে চাই।
কেন যে আপনারা এইসব টপিক তোলেন? খেয়েদেয়ে আর কোন কাজ নেই আপনাদের? শুধুশুধু মানুষের মনে কষ্ট বাড়ানো। ধুত্তুরি!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
মাহমুদুল হকের এতো প্রাচীন পাঠক আমি আগে দেখি নাই। আপনি তো একেবারে প্রথম কাতারের।
আর আপনি যখন কালো বরফ পড়ছেন, তখন আমি ২ বছর বয়সের নাবালক। মোটে কথা কইতে শিখছি আবোল তাবোল...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঐসব বই পড়াই তো কাল হোল আমার। ওগুলো পড়ার আগে ভালই ছিলাম। পড়ার পর থেকেই আবোল-তাবোল চিন্তা করা শিখলাম। কি সমস্যা একটা!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আমি তখন জন্মাইনাই
জাহিদ ভাই,
পারাপার আমার সবচেয়ে প্রিয় বই। ঠিক কতবার পড়েছি এখন আর মনে করতেও পারি না। আর এখনতো একেকটা চ্যাপ্টার আলাদা আলাদা ভাবে পড়ি নিয়মিত।
আপনার মন্তব্যে পারাপারের উল্লেখ দেখে খুব ভাল লাগলো। শীর্ষেন্দুর শ্রেষ্ঠ লেখাগুলোর তালিকা করলে কোথাও পারাপারের নাম দেখি না। অথচ আমার নিজের ধারণা, খোদ বাংলাতে এত ভাল লেখা আর খুব বেশি লেখা হয়নি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আপনার মাথায় ১৯৭৭-এর ঈদ সংখ্যা বিচিত্রা আছে আর আমার মাথায় আছে ১৯৭৮-এর ঈদ সংখ্যা বিচিত্রা। বৃষ্টি-উইপোকা-ইঁদুর-নাবালক ছোটভাই এদের কবলে না পড়লে আজ সেটার সূচীপত্র স্ক্যান করে পোস্ট করে দিতে পারতাম। একজন মানুষকে সাহিত্যানুরাগী করার জন্য অমন একটা সংকলন যথেষ্ঠ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি নীলক্ষেত থেকে বিচিত্রার ৭০/৮০র দশকের বেশ কয়েকটা ফাইল কিনেছিলাম। মিরপুরের বাড়ির অনেক অনেক বইয়ের সঙ্গে সেগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আহ, আপনেরা কত সুন্দর সুন্দর সব লেখা লইয়া কথা কন।
পারাপার বড় প্রিয়, দূরবীন ও পড়া, তবে তত প্রিয় না। কালো বরফ যোগাড় কইরা পড়তে হইবো।
এইখানের আলোচনায় আইসা আমার অবস্থা হইলো তাব্ধা! এক্কেরে ত্যাবোধাও বলা যায়। আমি তো জাহিদ হোসেনেরে তরুণ এক প্রায়কিশোর ভাবতাম, ট্রেনে বাবা যারে চাদর ঢাকা দিয়া দেয় শীতে পোলায় কষ্ট পায় দেইখা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাংলাদেশের কথা সাহিত্যের সব চেয়ে ঊর্বর সময় ষাটের দশকের শক্তিমান, বলবান প্রতিনিধি শওকত আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বা হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে মাহমুদুল হকের নাম উচ্চারিত হলেও, এঁদের মতো, বিশেষতঃ ইলিয়াস বা হাসান আজিজুল হকের মতো আর্থ-সমাজ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের রচয়িতাদের চেয়ে তাঁর যাত্রাপথ অনেক বেশী ভিন্ন ছিলো । ছিলো সাহসের । পশ্চিমে প্রায় ত্যানা হয়ে পড়া 'অ্যাবসার্ডিটি ও সুররিয়্যালিজম, ব্যক্তির মনোজগতের টানাপোড়েনের নিদাঘ সাইকো-অ্যানালিসিস' কিংবা ফরাসী ঘরানার প্রতীকবাদ ও চেতনাপ্রবাহ রীতিকে তিনি বাংলায় উপস্থাপন করেছিলেন কব্জির জোরেই ।
নিরাপদ তন্দ্রা থেকে শুরু করে জীবন আমার বোন, কালোবরফ, খেলাঘর, মাটির জাহাজ, অশরীরী, অনুর পাঠশালা'য় তিনি, তাঁর এই শক্তি আর মনোযোগী পাঠকের দৃষ্টিকে এক বিন্দুতে এনেছিলেন বলেই বাংলদেশের গদ্যে আলাদা একটা ধারা পাওয়া যায় এখন। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মতো সেই অর্থে হয়তো মাহমুদুল হকের অনুসারী তৈরী হয়নি, কিন্তু মামুন হুসাইন, শাদুজ্জামান, কি অদিতি ফাল্গুনীর গদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মাহমুদুল হক নামের অমিত শক্তিমান এক কথাকার ছিলেন আমাদের ।
তাঁর গল্পের বই প্রতিদিন একটি রুমাল আমাদের ছোটগল্পের উল্লেখযোগ্য সংযোজন- সন্দেহাতীত ভাবে ।
আর, আলোচ্য এই উপন্যাস তো আমাদের দেশবিভাগ নিয়ে রচিত উপন্যাসগুলোর প্রথম সারিতেই থাকবে ।
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কনফু , ইলিয়াসের পর মাহমুদুল হক কে নিয়ে এমন একটা লেখা লেখার জন্য ! এ ও এক কাকতাল বোধ করি, ইলিয়াসের পর মাহমুদুল হক-ই আমদের সবচেয়ে শক্তিশালী উপন্যাসিক... তোমার লেখার ধারাবাহিকতাও সেই দিকে গেলো !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ধারাবাহিকতাটা ইচ্ছাকৃত না আসলে। ইলিয়াসের পরে এই মাহমুদুল হক পড়েই দেখি আমার মাথা খারাপের মত লাগলো!
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ভাই বইটির কি ইলেক্ট্রনিক কপি পাওয়া যায়? যেভাবে সবাই লেখেছেন জীবনের অর্ধেক তো মিছা হইতে দিতে পারি না। পড়ার প্রচন্ড আগ্রহ হচ্ছে। আহারে কতদিন বই পড়ি না। ভুলেই গেছি শেষ কবে বিছানায় শুয়ে বই পড়েছি। না পেলে কি আর করা অপেক্ষায় করতে হবে কবে দেশে যাই তার জন্য।
মাহমুদুল হক ঐ অর্থে দেশে জনপ্রিয় না। তার বই দেশেই সর্বত্র পাওয়া যায় না। কিছু বইয়ের দোকান ছাড়া অন্য সব দোকানে মাহমুদুল হকের বই আছে কি না জানতে চাইলে দোকানী মাইর দিতে পারে।
সে হিসেবে ইলেকট্রনিক সংস্করণ থাকার সম্ভাবনা দেখি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সারা জীবনে যে কয়টা উপন্যাস পড়েছি সেগুলোর মাঝে ভালোলাগার দিক থেকে সবচাইতে উপরের দিকেই থাকবে "জীবন আমার বোন"।
মাহমুদুল হক একসময় ছাত্র ইউনিয়নের সাথে সক্রিয় ছিলেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
বাংলা সাহিত্যের ক্লাসিক পড়া শুরু আমার' জীবন আমার বোন' দিয়ে। ক্লাশ টেনের টেস্ট পরীক্ষার পর পর লাল মলাটের ঐ বইটি আমার পাঠরুচি বদলে দিয়েছিলো।
ধন্যবাদ কনফু- মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার বয়স তো ২৩ পার হয়ে গেল! এখনো পড়ি নাই!
২৭ হবার আগে পড়ে ফেললে কি আমাকে দিয়ে কিছু হইতে পারে?!
পাঠক হিসেবে যে কতটা দরিদ্র তা দিন কে দিন বুঝতে পারতেছি
লেখা ভালু পাইলাম । তবে ভূমিকাতেই বা শুরু হতে হতেই কিন্তু রিভিউ শেষ হয়ে গেছে!
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
নতুন মন্তব্য করুন