গগণ আজ দেশে ফিরছে

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: রবি, ০৯/০১/২০১১ - ৫:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১/
প্রায় বছর ছয় আগের কথা।
আমি তখন ডারবানে, গোবেচারা বৈদেশি ছাত্র হিসেবে প্রথম ভিনদেশে প্রবাসী। সেসময় আমার একটা কম্পিউটার কিনবার দরকার হলো।
ডারবানের কিছুই চিনি না আমি, সুপারস্টোর বা ইলেক্ট্রিক্যাল স্টোর কোনটা কী বা কেমন সেসব নিয়ে কোন ধারণাই নেই। আরও মুশকিল হলো, ডারবান শহরের রাস্তায় একা একা চলাফেরা করাও নিরাপদ নয়। তবু এর মধ্যেই বেশ কয়েকবার নিজে নিজে কম্প্যুর দোকান খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে বিফল হলাম। অতঃপর সেখানকার সদ্য পরিচিত বাঙালীদের এ সমস্যার কথা জানাতেই তারা ব্যাপক সাহায্য করলেন। অতি দ্রুত আমার জন্যে একটা কম্পিউটার কিনে ফেললেন, এবং সেটা বয়ে নিয়ে এসে আমার হোস্টেলের রুমে সেট করে দিয়ে গেলেন। আমি তো মহা খুশি!

কিন্তু দুদিন পরেই বাঁধলো গোলযোগ। কম্প্যু মহাশয় বিগড়ে গেলো, নট নড়ন নট চড়ন। আমি তখন ডাক পাঠালাম, কেমন করে এটা ঠিক করা যায়। সেই বাঙালী বন্ধুরা এসে এবার কম্প্যু সহ আমাকে নিয়ে শহরে চললেন বিক্রেতার কাছে। সেই দোকানে গিয়ে আমার কলম্বাসের মত অনুভুতি হলো, আমি আবিষ্কার করলাম বিক্রেতা একজন পাকিস্তানী!
আমার ব্যাপক মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কম্পিউটার ঠিক করিয়ে হোস্টেলে ফিরে আসলাম। কিন্তু তাতেও শান্তি নেই। কোন এক আজব কারণে আমার তরতাজা যুবক কম্প্যুটা বুড়ো মানুষের মত ধুঁকে ধুঁকে চলতে লাগলো। দুদিন পরপরই সিপিইউ নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া করতে হয়। ঐ বিক্রেতার কাছে নিয়ে যাওয়াটাও একটা যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়ালো অবশেষে। মাঝে একদিন আমার সাথে উর্দুতে ‘বাত চিৎ’ করার চেষ্টা চালানোয় তাকে ব্যাপক ঝাড়ি দিলাম। ঝাড়ি খেয়ে ব্যাটা খানিকটা রুষ্ট হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘ তোমরা বাংলাদেশিরা মনে হয় পাকিস্তানীদের তেমন পছন্দ করো না, তাই না?’ আমি ততোধিক বিরক্তির সাথে উত্তর দিলাম, ‘ঠিক বলেছো, একদমই পছন্দ করি না, বিশেষ করে তখন যখন তোমরা উর্দুতে কথা বলতে আসো’!
কথাটা তার তেমন হজম হলো না। আমার কম্প্যু-সংক্রান্ত সকল দায় দায়িত্ব সে আর নিবে না বলে ঘোষণা দিলো, আমিও চোটপাট করে বগলে সিপিইউ চাপিয়ে বের হয়ে এলাম!
পরবর্তী ঘটনা সংক্ষিপ্ত। হোস্টেলে ফিরে গুগল কাকুর শরণাপন্ন হলাম। সার্চ করে করে হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যারের সকল জ্ঞান নিয়ে ফেললাম। র‍্যাম প্রসেসর আর হার্ড ডিস্ক, এবং যখন তখন অপারেটিং সিস্টেম বদলে ফেলা একসময় ডাল ভাত হয়ে গেলো, দেখলাম কম্প্যুও বেশ ভালই চলছে, তখন বুঝলাম আমি বেশ চলেবল একটা কম্প্যু-হাতুড়ে-ডাক্তার হয়ে গেছি!
সেই পাকিস্তানীর সাথে আর কখনো দেখা হয়নি। সেদিন মুখের উপর কথা শুনিয়ে দিয়ে বেশ শান্তি লেগেছিলো। যদিও ওই এলাকাটাই ছিলো পাকিস্তানীদের ডেরা, তবু সুস্থ শরীরেই সেখান থেকে ফিরে এসেছিলাম।
কিন্তু সবার ভাগ্য একরকম নয়। যেমন আলাদা ছিলো গগণের ভাগ্য। গগণের কথা কি মনে আছে?

২/
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটা নিবন্ধ সংকলন আছে, সেটারই একটা লেখা হিসেবে পড়েছিলাম গগণের কথা। বইটার নাম সম্ভবত প্রিয় গগণ ও অন্যান্য। সেখানে খুব বেশি কোন তথ্য ছিলো না। শুধু জানতে পেরেছিলাম গগণ নামে বাংলাদেশি এক যুবক বেলজিয়ামের মাটিতে নিহত হয়েছিলো। তাঁকে খুন করেছিলো দুই পাকিস্তানী নাগরিক। সেই পাকিস্তানিরা বাংলাদেশ নিয়ে অপমানজনক কথা বলছিলো, তারই প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিতে হয়েছিলো গগণকে।
সেই লেখাটি পড়ে বুকের গভীরে খুব বেদনা অনুভব করেছিলাম। ভিনদেশে একলা এক দেশপ্রেমিক যুবকের কথা ভেবে বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম, শোকার্ত ও একই সাথে ভীষণ আক্রোশে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম।

এই সবগুলো অনুভুতিই ক’দিন আগে আবার ফিরে এলো মনে, একদম হুট করেই, মেলবোর্নের মাটিতে বসে।

৩/
গগণকে নিয়ে একটা নাটক হয়েছে শুনেছিলাম। সেটাই দেখার সৌভাগ্য হলো কিছুদিন আগে। নাটকের নামটা চমৎকার, “গগণ আজ দেশে ফিরছে”। বানানো হয়েছে বেশ অনেকদিন আগে। নির্মাণ শৈলীর কথা চিন্তা করলে এটিকে খুব যে উচ্চমানের নাটক বলা যায় তা নয়। একেবারে ছক কাঁটা পরপর সংলাপ, অভিনয়শিল্পীদের কারও কারও আড়ষ্টতা, কারও কারও অতি-অভিনয়, অথবা সম্পাদনার আরও কিছু দুর্বলতা, কিন্তু এ সব কিছু ছাপিয়ে পুরো নাটকটিতেই নির্মাতাদের ভালোবাসা জ্বলজ্বল করছিলো সারাক্ষণ।

GOGON AJ DESHE FIRCHE from Abu Shahed Emon on Vimeo.

দু;খজনক হলেও সত্যি যে এরকম গল্প নিয়ে নাটক করার কথা সব নির্মাতারা ভাবে না, সবাই দেশকে নিয়েও এভাবে ভাবে না, দেশের প্রতি ভালবাসার কথা এভাবে তুলে আনার চিন্তাও সবসময় সবাই করে না।
এই প্রবাসে একটা ছোট্ট ঘরে বসে আমরা সবাই এই নাটকটি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম। নাটক শেষ হবার আগেই আমার ছায়াসঙ্গিনী ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো, আমি একটা নোনতা ঢোঁক গিলে ফেললাম অতর্কিতেই। এরকম একটি গল্প নিয়ে নাটক বানাবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ জানালাম পাশে বসে থাকা আবু শাহেদ ইমন-কে, যে কিনা এই নাটকটির পরিচালক।

৪/
ভার্সিটিতে ঢোকার অল্প কিছুদিন পরেই অবধারিত ভাবে আমার দ্বিতীয় নিবাস হয়ে উঠলো টিএসসি। সেখানেই সারাদিন আড্ডা পেটাই, দুনিয়া ভেঙে ওলট পালট করি।
আমি তখন অল্প অল্প লিখতে পারি এবং অল্প অল্প আঁকতে পারি। এই অল্প-র উপর পুঁজি করেই বামনের চাঁদ ছোয়ার স্বপ্ন দেখতাম। মনে মনে গুরু মানতাম সত্যজিৎ রায়কে। তো দুরু দুরু বুকে গুরুর চলা পথেই এগিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢুকে গেলাম ফিল্ম সোসাইটিতে।
সেখানেই পরিচয় হয়েছিল এক ব্যাচ জুনিয়র ইমনের সাথে। যে সময়ের কথা লিখছি সে সময় আমাদের সবারই রক্ত গরমের সময়। এর সাথে ইমনের আরও একটা জিনিসও ছিলো, সেটা হলো ‘গরম মাথা’। কিছু হলেই হাউ কাউ বা ধুম ধামে ইমনের জুড়ি নেই। সে সময়কার ইমনকে দেখে ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে যা যা ভাবতাম, তার কোন গলি ঘুঁপচিতেও ‘পরিচালক’ শব্দটা ছিলো না বলেই আমার সন্দেহ হয়।

ফিল্ম সোসাইটিতে কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রবল আশাভঙ্গ হলো। ফিল্ম নিয়েই সংগঠন যদিও, কিন্তু যখন টের পেলাম ওখানে ফিল্মের চেয়েও সংগঠনই বেশি গুরুত্বপূর্ণ- আশাভঙ্গের বেদনা নিয়ে সরে আসা শুরু করলাম। মাঝে একবার শুনলাম, টিএসসিতে বসে মাথা দুলিয়ে চুল ঝাঁকিয়ে জোরে জোরে চন্দ্রবিন্দু বা মহীনের ঘোড়াগুলি গাওয়া ইমন নাকি সিঙ্গাপুরে গিয়েছে পড়তে, তারপর আবার ফিরেও এসেছে সেখান থেকে। এর কিছুদিন পর আমি নিজেই দেশ ছাড়া হয়ে গেলাম।

তারপর দীর্ঘদিনের বাদে গতবছর আবার ইমনের সাথে দেখা মেলবোর্নে। দেখি অনেক বদলে গেছে ইমন। আগের সেই মাথা গরম ভাবটি একদম হাওয়া। অনেক বেশি ঠান্ডা মেজাজ, অনেক বেশি গোছানো, অনেক বেশি ফোকাসড। সিঙ্গাপুরের পরে ইমন ছ’মাসের জন্যে ইউএসএতেও গিয়েছিলো বৃত্তি নিয়ে। তারপরে দেশে ফিরেছে, অনেকগুলো নাটক আর ফিল্মে কাজ করতে করতে শিখেছে অনেক কিছু। এখানে সিডনি ফিল্ম স্কুলে এসে পড়েছে অজি সরকারের দেয়া বৃত্তিতে, সেখান থেকে আবারও বৃত্তি পেয়ে এসেছে RMIT মেলবোর্নে, ফিল্ম নিয়েই পড়বে বলে।
গত একবছর খুব কাছ থেকে দেখেছি ইমন-তন্বী দম্পতিকে। একদম যোগ্য জীবনসঙ্গিনী পেয়েছে ইমন। খুবই প্রাণবন্ত আর পরিশ্রমী মেয়ে তন্বী। নিজের পড়াশোনা বা চাকরির বাইরেও ইমনকে সাহায্য করে সবদিক দিয়ে, মোটামুটি দুই ডানা দিয়ে আগলে রাখে ইমনকে।
আমার দেখে খুব ভাল লাগলো, ইমনের চিন্তা ও চেতনায় এখন কেবলি ফিল্ম। যখনি আলাপ করি আমরা, যা নিয়েই হোক, সেই ‘গরু নদীতে ফেলার’ মত করে সেটা কেমন করে যেন ফিল্মে গিয়ে ঠেকে। কেমন করে একটা ভাল ছবি বানানো যায়, কবে কী ভাল ছবি দেখলো, দেশের স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পূর্তি কদিন বাদেই, সেটা নিয়ে কী চমৎকার একটা ফিল্ম হতে পারে! এইসব ভেবেই দিন কাটে ওর। সারাক্ষণই কত কত পরিকল্পনা, এবং মজা হলো এই উদ্দীপনা কেবল নিজের জন্যেই নয়, চারিদিকে ছড়িয়ে দিতেও ওস্তাদ সে। আমি যেন একটা চমৎকার স্ক্রিপ্ট লিখে দিই ওকে, অথবা একটা সুন্দর গল্প অথবা একটা প্লট। তিথি যেন মিউজিক নিয়ে আরেকটু কাজ শিখে, অথবা যেন কণ্ঠ দেয় ওর ছবিতে, এসব নিয়ে সারাক্ষণই কত পরিকল্পনা।

আমাদের বাসাটায় টিএসসি বা কার্জন হল মাঠের একটা টুকরো যেন উঠে এসেছিলো গত একটা বছর। বহুদিনের বাদে আমরা সেই স্বপ্নীল দিনগুলোয় ডুবোডুবি করছিলাম।

এখানে এসেও ইমন বারবারই প্রমাণ করছিলো যে ফিল্মটা আসলে ওকে দিয়েই হবে। এখানে পড়তে পড়তেই কোরিয়ার বুশান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দেয়ার জন্যে আবেদন করলো, দেখি সুযোগও পেয়ে গেল। সতের দিনের জন্যে সেখানে গিয়ে বাংলাদেশি তরুণ পরিচালকদের সম্পর্কে ধারণা অনেক উঁচুতে নিয়ে গেল ও, ফিরে এলো পঁচিশ হাজার ডলার সমমূল্যের পুরস্কার নিয়ে।

অস্ট্রেলিয়ায় ইমনের পড়াশোনার দুবছর পূর্ণ হলো গত ডিসেম্বরে। পড়াশোনা যেহেতু শেষ, ইমন আর তন্বী ঠিক করেছে ওরা দেশে ফিরে যাবে, দেশে গিয়ে অনেক পরিকল্পনা, অনেক কাজ করার আছে ওদের।

আমি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নই, তাই ইমন একদিন বিরাট পরিচালক হবে, এরকম কথা হয়তো নিশ্চিত করে বলতে পারবো না। কিন্তু আমি জানি যে সব ভালোবাসারই একটা প্রতিদান আছে, তাতে কখনোই ভুল হয় না। ফিল্ম নিয়ে ওর এবং দেশ নিয়ে ওদের দুজনের যে ভালবাসা, সেটা একদিন ওদেরকে অনেক দূর নিয়ে যাবে, সেই আশা করতেই পারি।

৫/
মাঝে মাঝে ভাবি আমাদের দেশটা আসলে খুব সৌভাগ্যবতী, পুরো পৃথিবী জুড়ে গগণের মত লক্ষ-কোটি সন্তান ছড়িয়ে আছে তাঁর, যারা তাঁকে মায়ের মতই ভালোবাসে, উঠতে বসতে সারাক্ষণই তাঁর মঙ্গলের কথা ভাবে। সুদুর প্রবাসে বসে তারা দেশের কথা ভেবে আবেগের কান্না লুকোয়।

কিন্তু সবাই সৌভাগ্যবান নয়, সেই ভালবাসাটার বহিঃপ্রকাশ সবার ভাগ্যে লেখা থাকে না। অনেকে সুযোগ পায় না, অনেকের সুযোগ হয় না, অনেকে চাইলেও দেশের কাছে ফিরে যেতে পারে না সহসাই।
ইমন সেদিক দিয়ে অনেক অনেক ভাগ্যবান। একগাদা স্বপ্ন চোখে দিয়ে, অনেক ভালোবাসা বুকে নিয়ে আজ রাতের প্লেনেই দেশের জন্যে যাত্রা করবে ওরা। অনেক গগণের প্রতিনিধি হয়ে আজ অন্তত একজন গগণ দেশে ফিরবে।
তাঁর জন্যে রইলো শুভকামনা।


মন্তব্য

রানা মেহের এর ছবি

অনেক সুন্দর লাগলো কনফু।
ইমনের আর কোন কাজ কি নেটে আছে?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কনফুসিয়াস এর ছবি

আছে বোধহয় আরও কিছু, খুঁজে নিয়ে এখানে তুলে দিবো।
আপনি কেমন আছেন?

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রানা মেহের এর ছবি

আমি ভালো আছি ভাইয়া। ২০১০ নামের যন্ত্রনা শেষ হয়েছে, এতেই মহা খুশি হাসি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ইমনের জন্য শুভকামনা রইল। ইমন অনেক বড় পরিচালক হোক আর আমরা ফোন ইন্টারভিউ নিয়ে ইমনের কাছে হাজির হই এই কামনা করি।

আবু শাহেদ ইমন এর ছবি

কিছূ কিছু মানুষের সাথে সময় কাটানো অনেক ভাগ্যের ব্যাপার...."বিদেশে সবাই যার যার মত" কথাটি মেলবোর্নে আমাদের অনেক শুভাকাঙ্খি ও বন্ধুদের জন্য প্রজোয্য নয়। নাম ধরে ধন্যবাদ দিতে গেলে এই মন্তব্যের পরিসর বিশাল হয়ে যাবে। তাই বাদ দিচ্ছি।
যে অপরিসীম মায়া ও ভালবাসা ছেড়ে যেতে হচ্ছে সেটি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে...সবাইকে অনেক অনেক মিস করব।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হুম, তোমার 'জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ' খুব ভাল হয়েছে। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ফাহিম হাসান এর ছবি

কনফুসিয়াস ভাই,

আপনার পোস্ট নিয়ে আমার দুইখান কথা আছে।

প্রথম কথা, যে স্পিরিট নিয়ে আপনার বন্ধু ইমন ভাই (ভাই বলেই ডাকলাম) নাটকটি বানিয়েছেন তা প্রশংসার যোগ্য। গতানুগতিক কাহিনীর বাইরে এই স্ক্রিপ্ট শুধু যে প্রাসংগিক তাই না, সেই সাথে প্রচন্ড প্রভাববিস্তারকারী। নাটক শেষে নিজেকে ধরে রাখা মুশকিল। বাঙ্গালী একটু আবেগপ্রবণ।এই অনুভূতির একতারাটা নিপুণভাবেই বাজিয়েছেন নির্মাতা। ধন্যবাদ দিয়ে তাঁকে খাটো করব না। শুভাশিস পোঁছে দিবেন।

নির্মাণ শৈলীর কথা চিন্তা করলে এটিকে খুব যে উচ্চমানের নাটক বলা যায় তা নয়। একেবারে ছক কাঁটা পরপর সংলাপ, অভিনয়শিল্পীদের কারও কারও আড়ষ্টতা, কারও কারও অতি-অভিনয়, অথবা সম্পাদনার আরও কিছু দুর্বলতা, কিন্তু এ সব কিছু ছাপিয়ে পুরো নাটকটিতেই নির্মাতাদের ভালোবাসা জ্বলজ্বল করছিলো সারাক্ষণ।

কথাটা সত্যি। বিশেষ করে মনে হল পুরো বাংলাদেশে বুঝি ছয়-সাতজন তরুণ-তরুণী। পাসিং শটে কয়েকজনকে (ছাত্রীর বাবা-মা) দেখালে ভাল হত। আরো দুর্বলতা আছে। থাকতেই পারে।

কিন্তু ভালবাসায় কোন খাদ নেই।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ঠিক। তবে এটা ওদের একদম প্রথম দিকের কাজ। এই কাজ দিয়ে এখনকার নির্মাতাকে বিচার করা ঠিক হবে না। আমি নিশ্চিত এখন এসব নিয়ে ওর ধারণা এবং অভিজ্ঞতা অনেক বেড়েছে, দেশে ফিরে কাজ করুক আরও কিছু, সেগুলো নিশ্চয়ই আরও অনেক অনেক বেশি ভাল হবে।

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অসাধারণ! গগনের জন্য শ্রদ্ধা। ইমন ভাই তন্বী আপুর জন্য অনেক শুভকামনা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

নাটকটা এখনো দেখিনি। দেখে ফেলবো। নাটকের নির্মাতাদের আমার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবেন আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্টের জন্য। -রু

তাসনীম এর ছবি

এনটিভির কল্যানে "গগণ আজ দেশে ফিরছে” নাটকটা দেখেছি। আপনি ঠিক যে রকম বলেছেন এর সম্বন্ধে আমার অভিমতও তাই। নির্মাতার দেশাত্মবোধট খুব ভালো লেগেছে।

ইমনের জন্য শুভকামনা রইল। আশাকরি অচিরেই উনার আরো অনেক সৃষ্টিশীল কাজ দেখতে পারবো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কনফুসিয়াস এর ছবি

আশাকরি অচিরেই উনার আরো অনেক সৃষ্টিশীল কাজ দেখতে পারবো।

আমিও। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সজল এর ছবি

লেখা এবং নাটক দুইটাই অসাধারণ লাগলো। নতুন ভোটাধিকার কাজে লাগালাম হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনার স্বপ্নের ফেরা আনন্দময় হোক ইমন।

পুরো নাটকটা দেখলাম। ইমনের জন্য শুভকামনা থাকলো অন্তরের একেবারে গহীন থেকে। তাঁর কাছ থেকে এমন আরও অনেক অনেক কাজ দেখার প্রত্যাশা জানিয়ে রাখলাম। আপনি অনেক দূর যাবেন ইমন।

এবার একটু সমালোচনা করি ইমনের। যদিও যথেষ্ট যত্নের ছোঁয়া ছিলো পুরো নাটকটি জুড়েই। তারপরেও কোনো ফাঁকে গগনের টেবিলে "ইউনিভার্সিটি অফ বেলজিয়াম" লেখা স্কলারশিপের আবেদনপত্রটি সেই যত্নে চোখ পাকিয়ে দিলো। এটা বড় কোনো কিছুই না। কিন্তু এমন যত্ন নিয়ে যে নাটক বানাতে পারে, তাঁর চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন কিছু বের হয়ে যাওয়া ঠিক না।

সবশেষে ইমন'এর জন্য একটা ‌স্যালুট আর কনফুকে অসংখ্য ধন্যবাদ "গগন আজ দেশে ফিরছে" দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

কনফুসিয়াস এর ছবি

জায়গামতন জানিয়ে দিলাম। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

নাটকটি দেখলাম, খুব ভাল লেগেছে। এমন একটি বিষয় নিয়ে নাটক করেছেন যেই নির্মাতা, তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, আর স্যালুট।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কনফুসিয়াস ভাই,
বহুজাতিক পরিবেশে পেশাগত ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মানুষের পাশাপাশি পাকিস্তানীদের সাথেও কাজ করেছি। তাঁদের উর্দুপ্রীতির প্রশংসা করি আমি, এইজন্য যে, সেটি তো তাঁদের মায়েরই ভাষা। সৈয়দ মুজতবা আলী বর্ণিত পানশিরের আব্দুর রহমানের 'ইনহাস্ত ওয়াতানাম' শব্দাবলীতে যে দেশপ্রেম সোনালী আলোর ঝিলিক দিয়ে উঠে বিভা ছড়ায়, এ তো তারই ভিন্নরূপ। তবে একটু প্রশ্রয় পেলেই ভিন্ন ভাষাভাষীদের পসন্দ-অপসন্দের তোয়ক্কা না করে উর্দু নিয়ে মাতোয়ারা হবার অসভ্য প্রয়াসও লক্ষ্য করেছি তাঁদের ভেতর। তবে সবথেকে লজ্জিত হয়েছি যখন দেখেছি আমাদেরই মাঝে কেউ কেউ বেহুদা পিরীতের তোড়ে ভাঙ্গা ভাঙ্গা উর্দু আউরিয়ে তাঁদের নৈকট্যলাভের নিলর্জ্জ প্রচেষ্টায় প্রাণপাত করেছেন। আমরা কি কখনই আত্মসম্মানবোধ নিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবো না? ইমন হয়তো আমাদের এই দৈন্য আত্মার অন্ধকার পথে আলো জ্বালাতে পারবেন। আপনার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সাদা মন এর ছবি

অসাধারণ লাগলো নাটকটা, ঠিক যেন আমাদের অনেকের মনের কথা। এদের মানুষ আর মাটি পাকিস্তানকে কোনোদিনই ক্ষমা করবে না। গগনের জন্য শ্রদ্ধা আর শাহেদকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ আর অনেক অনেক শুভকামনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইমন ভাইকে স্যালুট।
আমার নিজের মনেও সুপ্ত বাসনা আছে ফিল্ম বানানোর। এমন ফিল্ম যা শুধু চশমাওয়ালা বুড়োরা কিংবা নেই কাজ তো খই ভাজ কাপলরা দেখবে না---সব শ্রেণীর সবাই আনন্দ নিয়ে দেখবে। স্বপ্নটা হয়তো একটূ বেশি বড় হয়ে গেলো, দেখতে ক্ষতি কী?

---আশফাক আহমেদ

কনফুসিয়াস এর ছবি

স্বপ্ন বড় করে দেখাই ভালো। আপনি ঠিক পথেই আছেন, চিন্তা করবেন না। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার লাগল লেখাটা। ইমনের জন্য শুভকামনা রইল।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ইমনের জন্য শুভকামনা। আর আপনাকে মাইনাস অনেকদিন পর আসার জন্য।

...........................
Every Picture Tells a Story

কনফুসিয়াস এর ছবি

হে হে, পরের মাইনাসটা কবে দিবেন তাহলে?

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ইমনের জন্য শুভকামনা! যে স্বপ্ন দেখছে, তার সফল হোক!

অদ্রোহ এর ছবি

এই হতকুচ্ছিত সমাজে এ ধরনের খবর পাই বলে মাঝে মাঝে ক্ষণিকের জন্য হলেও এক পশলা স্বস্তির স্বাদ পাই, মনটা ভরে ওঠে তৃপ্তিতে। নাটকটা গেই খানিকটা দেখেছিলাম, আপনার লেখার পর সেটা মনে পড়ল। আর অনেক দিন বাদে হাজিরা দেওয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ কনফুদা।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

কনফুসিয়াস এর ছবি

থ্যাংকু অদ্রোহ। ( আপনার লেখার ভাষাভঙ্গিটা অন্যরকম, ভাল লাগে পড়তে। )

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অদ্রোহ এর ছবি

মন্তব্যে প্রাণিতবোধ করলাম কনফুদা হাসি

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

হিমু এর ছবি

আমাদের দেশের রুগ্ন সিনেমার জগতে কেউ নতুন কিছু করবে, এমন আভাস পেলেই উৎফুল্ল লাগে। ইমনের জন্যে শুভ কামনা রইলো। সচলায়তনে ফিল্ম নিয়ে লেখার আমন্ত্রণও জানাই।

নীলকান্ত এর ছবি

ইমন ভাইয়ের জন্য শুভকামনা।
নাটকটী দেখেছিলাম আগে, ভালো লেগেছিল।
গগণেরা আজও আছে, পৃথিবীর বিভিন্ন কোণে, এবং তারা থাকবে।


অলস সময়

দ্রোহী এর ছবি

কনফুর সুবাদে ইমন দম্পতির সাথে দেখা হয়েছিল। ওরা যখন বিখ্যাত হবে তখন গর্ব করে বলতে পারব যে আমি তাদের চিনি।

স্বপ্ন সফল হোক এই কামনা করি।

রেশনুভা এর ছবি

অসাধারণ নাটক। পরিচালককে অনেক অভিনন্দন।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

"সব কিছু সব কিছুর সাথে রিলেটেড" নাটকের এই ডায়লগটাই মূল কথা। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। নাটকের পরিচালককে অভিনন্দন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নাটকটি প্রচারের রাতেই দেখেছিলাম। পরিচালককে বিনম্র অভিনন্দন জানাই।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেকদিন পর লিখলেন। খুবই ভালো লাগলো, বরাবরের মতোই। ইমন ভাইকে অভিনন্দন। শুভেচ্ছা রইলো তাঁর ভবিষ্যত সমস্ত কাজের জন্য। দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য নিশ্চয়ই উনি মনের মতো অনেক কাজ উপহার দিতে পারবেন। নাটকটা দেখা হয় নি। পরে একসময় দেখে নিবো অবশ্যই।

কনফুসিয়াস এর ছবি

দেইখেন। ভাল লাগবে আশা করি।

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

নাটকটি দেখলাম। দারুন লাগল।
পরিচালক ইমনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

------------
তৌফিক
চিলেকোঠা

স্বপ্নহারা এর ছবি

ইমন ভাইয়ের জন্য শুভকামনা...অনেকককক ধন্যবাদ!
নাটকটির অনেক কিছুই বেশ কাঁচা কিন্তু দেশপ্রেমের তীব্রতাটা সবকিছুই ঢেকে দেয়। তাই বেশ ভাল লেগেছে...

আমার দেশের টিভি নাটক দেখা হয় না আজকাল, কারণ সবগুলো খুব সস্তা একই ধরণের মনে হয় (ফারুকী গ্রুপের কল্যাণে) দুঃখিত, ব্যতিক্রমীগুলোও দেখা হয়না একারণেই...খুব বেশি আশা করি না।
ধন্যবাদ কনফু ভাইকে, নাহলে এটাও দেখা হত না...

"একটি দেশকে সাপোর্ট করা মানে তার পতাকাকে সাপোর্ট করা"- এটাই আসল কথা!
অবশ্য পাকিস্তান কোন দেশ নয়, স্বয়ং খোদাতালাও এর চেয়ে খারাপ দোজখ বানাইতে পারবে না...আর দুনিয়ার সব খারাপ লোকেরা ওখানেই থাকে...পাকিস্তানে জন্ম বা তাদের কোন বিষয়ে সাপোর্টাররাও তাই কখনো ভাল মানুষতো দূরের কথা নরকের কীটের চেয়ে বেশি কিছু না...

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গগণের জন্য শুভকামনা!

আবু শাহেদ ইমন এর ছবি

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ...এত্ত এত্ত অনুপ্রেরনা আর সাহস দেবার জন্য। সাথে ধন্যবাদ সচলায়তন কে...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কালকে রাতে বসে পুরো নাটকটা দেখলাম। ওভারল ভাল লেগেছে। ইদানীং অল্পেই চোখে পানি চলে আসে, চোখ দেখানো দরকার... কাজেই আমি বরং ভালো-মন্দ যাই মনে হয়েছে দেখতে গিয়ে তা লিখে ফেলি -

১। নাটকের শুরু খুব ভালো লেগেছে, নতুনত্ব আছে উপস্থাপনে, শেষটাও। 'গগন আজ দেশে ফিরছে', খবরের কাগজের ভেতরের পাতার একটা নিউজ হয়ে... চলুক

২। রওনক-এর অভিনয় আমার খারাপ লাগে না, আর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করায় তাঁর নামটাই তিশার আগে গেলে ঠিক হতো মনে হয়েছে।

৩। অন্য আর কোন চরিত্র ছাড়াই, শুধুমাত্র গুটিকয় বন্ধুদের মাধ্যমেই গগনকে তুলে ধরা অতটা খারাপ লাগে নাই, হয়তো নাটকের স্বল্প পরিসরে এটাই ভালো হয়েছে। তবে স্ক্রিপ্টের দুর্বলতা আরেকটু দূর করতে পারলে আরো গ্রহণযোগ্য হতো হয়তো। যেমন বন্ধু্রা মিলে সিনেমা নিয়ে আলোচনা, ইত্যাদি। আসলে আমার মনে হয়েছে, অনেক কথাই বলার ছিলো, কিন্তু সবাই যেন তাড়াহুড়া করে, 'এটা এক পর্বের নাটক, অত কথা বলার দরকার নাই, শেষ করে দেই', এমন একটা ভাব নিয়ে আলাপ করছিলো, মানে আলাপগুলো বেশি রিয়ালিস্টিক মনে হয়নি।

৪। এত সুন্দর কাহিনির এবং অবশ্যই যত্ন নিয়ে বানানো নাটকে সবচেয়ে বিরক্তিকর লেগেছে তিশার একই জিন্স পরে পুরো নাটক পার করে দেয়াটা। সবার জামা-কাপড় পরিবর্তন হয় কিন্তু একটা প্রধান চরিত্রের স্যান্ডেল আর জিন্স সব সময়েই একই থেকে যায়, ব্যাপারটা ভারি অড লুকিং।

৫। ভালো ছাত্রের ঘরে পড়ার বই আর পড়ার টেবিলের অভাব, (ডায়েরি লেখার টেবিলের সামনেই আয়নার ব্যাপারটা একটু ক্লিশে মনে হয়েছে)।

৬। চেরী গগনের যে মেইলটা খুলে, সেটা পাঠিয়েছেন 'আবু শাহেদ ইমন'দেঁতো হাসি এটা ইচ্ছাকৃত কী? হিচকক-এর অ্যাপিয়ারেন্স স্ট্যাইল? হাসি নাকি আসলেই ভুল? এমনিতে আপত্তি ছিল না, আর খেয়ালও হতো না, যদি না এই পোস্ট আর ইমন ভাইদের সম্পর্কে পড়ে নাটক দেখতে শুরু করতাম, এমনকি গগনের ভালো নামটা না বললেও চলে যেত, কিন্তু খবরের কাগজের নিউজ যখন ভয়েসওভারে বাজে, তখন গগনের পুরো নাম বলা হয়েছে, নাটকের শেষেও আছে। (আর মেইলটা মনে হয় জিমেইলে ছিল, কিন্তু পিসি মনিটরে মনে হলো ইয়াহু মেইল খোলা। আর আরেকবার রিওয়াইন্ড করে দেখলাম, মেইলের নিচের মেইলটাই মেইল ডেলিভারি না হওয়া সংক্রান্ত কোন এরর মেসেজ, নাকি এটা আসলে অন্য কোন অর্থবহন করে?)। চিন্তিত

৭। একটা প্রশ্ন এসেছে মাথায়, গগনের খুনীদের শেষতক কী হয়েছে? বিচার হয়েছিল কোন? নাটকের শেষাংশে এ সংক্রান্ত আপডেট থাকলেও ভালো হতো।

৮। নাটকের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরগুলো ভালো লেগেছে।

আশা করি ইমন ভাই কিছু মনে নেবেন না আমার টুকিটাকি খুঁত ধরায়। এমন কাহিনি নিয়ে নাটক প্রতিদিন দেখিনা। নতুন অভিনেতারাও যথেষ্ট ভালো অভিনয় করেছেন। আর শুরু আর শেষ... আমার মত খুঁত ধরা দর্শকের চোখেও তো পানি চলে এসেছে... একদিন আপনার তৈরি ছবি দিয়ে বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে দিন পৃথিবীর চারিদিকে এই প্রত্যাশা করি। ভালো থাকুন। আর এত ভিন্নধর্মী কিছু তৈরি করায় আপনাকে ধন্যবাদ।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার লিখেছেন:
(আর মেইলটা মনে হয় জিমেইলে ছিল, কিন্তু পিসি মনিটরে মনে হলো ইয়াহু মেইল খোলা। আর আরেকবার রিওয়াইন্ড করে দেখলাম, মেইলের নিচের মেইলটাই মেইল ডেলিভারি না হওয়া সংক্রান্ত কোন এরর মেসেজ, নাকি এটা আসলে অন্য কোন অর্থবহন করে?)

এইটা নিয়ে বলতে গিয়েও আসলে বলি নাই। ঘটনাটা ১৯৯৭ সালের। ঐ সময়ে বাংলাদেশের একজন বাসিন্দা জিমেইল ব্যবহার করছে, একটু অন্যরকম লাগে বৈকি! তাছাড়া, ইয়াহু মেসেঞ্জারে ‌চেরি'র চ্যাট করার ব্যাপারটাও। ৯৭ সালে বাংলাদেশে নেট কানেকশনই কতোটা সুলভ ছিলো, সেইটা একটা প্রশ্ন। আর দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো ইয়াহু মেসেঞ্জারের এই লুক তো তখন ছিলো না।

আশা করছি ইমন বা কনফু, আমার এই কথাগুলো ধনাত্বক অর্থেই নিবেন। ইমনের কাজে আরও অনেক অনেক পরিপক্কতার ছোঁয়া দেখার আশা নিয়েই এগুলো বলা।

প্রদীপ্ত এর ছবি

লেখাটা আজই প্রথম পড়লাম। ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখার জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।