• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

হাওয়াই মিঠাই ১৭: নেপালি পরিবার

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বুধ, ২০/০৪/২০১১ - ৭:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডারবানে পৌঁছে এয়ারপোর্ট থেকে নেমেই সোজা আমার ডিপার্টমেন্টে চলে গেলাম। সব সময়ের মত ওখানেও আমি লেইট, ক্লাশ শুরু হয়ে গেছে এক সপ্তাহ আগেই। আমার ভিসা অফিসার কুম্ভকর্ণের মত দ্রুতগতিসম্পন্ন হওয়ায় আমার প্লেনে চাপতেও দেরি হয়ে গেলো।
ইউনি-র কোন একটা হল-এ থাকবো আমি। জানা আছে আগেই, কিন্তু তার আগে ডিপার্টমেন্টে গিয়ে কাগজ পত্রের ফর্মালিটি সারতে হবে।
অফিসের করণিক মহিলা হাসিমুখে আমাকে একটা ফরম দিলো, সেই ফরম পূরণ করতে গিয়েই লাগলো প্রথম গোলযোগ। নাম-ধাম ঠিকানা পরিচয়ের পরে একটা ঘর আছে সেখানে, এথনিসিটি। পৃথিবীর আর কোন দেশে এই অদ্ভুতুড়ে তথ্য জানতে চায় কি না জানি না, কিন্তু ওদের ওখানে এটাই স্বাভাবিক।
অপশান মাত্র চারটা। সাদা, কালো, কালারড এবং ইন্ডিয়ান।

তো আমি এইখানে এসে খানিকটা থমকে গেলাম, এর কোনটাই তো আমি নই।
অফিসের দরজাটায় চমৎকার বাহারি কাঁচ লাগানো। সেখানে, নিজের প্রতিবিম্বর দিকে তাকিয়ে আমি কলম কামড়াচ্ছি আর ভাবছি, এইখানে কী লিখবো? সাদা নই আমি, কালোও নই, ইন্ডিয়ান তো নইই। সুতরাং আরও খানিক ভেবে টেবে আমি ‘কালারড’ অপশানে টিক দিয়ে ফরম জমা দিয়ে দিলাম।

ছবির মতন বাঁধাই করা মুখে মহিলা আমার ফরম চেক করতে লাগলো। কিন্তু যেই না এথনিসিটিতে চোখ পড়েছে অমনি একেবারে হা হা করে উঠলো। বললো, ‘তুমি কালারড লিখেছো কেন?’
আমি বললাম, ‘তো? কী লিখবো?’
বললো, ‘কেন, ইন্ডিয়ান?’
আমি মুখ গম্ভীর করে ফেললাম, ‘উহু, তুমি ভুল করছো, আমি বাংলাদেশি।’
মহিলা এইবারে হেসে আমাকে বলে, ‘তা তো ঠিকই আছে, আমি তো জানিই তুমি বাংলাদেশি, কিন্তু তোমার অরিজিন তো ইন্ডিয়ান, তাই না?’
আমি তখনও ঘাড় গোঁজ করে দাঁড়িয়ে বললাম, ‘না। আমার অরিজিনও বাংলাদেশি। আমি ইন্ডিয়ান নই। তোমাদের এখানকার সাদাদের মত সাদাও নই, আবার কালোদের মত কালোও নই। আমার গায়ের রঙ অনুযায়ী আমাকে খুব বেশি হলে যেটা বলা যায় সেটা হলো ‘কালারড’।’
মহিলা খানিকক্ষণ হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। পরে ঠোঁট উলটে বললো, ‘কী মুশকিলে ফেললে বলো তো। কেমন করে যে তোমাকে বোঝাই।’

আসলে পরবাসে সেটাই আমার প্রথম দিন ছিলো, মহিলা সে জন্যে বোঝাতে পারেনি আমাকে। কিন্তু তারপর থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন অনিচ্ছাস্বত্তেও বুঝে গেছি ইন্ডিয়ান বলতে এরা যা বোঝে, সেটা কেবলই আমাদের প্রতিবেশি দেশের লোকেরা নয়, এর মানে পুরো উপমহাদেশের সবাই।

আমার মতন আর সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের বোধকরি এরকম অভিজ্ঞতা প্রচুর।
প্রথম দেখাতেই হিন্দিতে কথা বলে ফেলে, এটা আমার প্রায় প্রতিদিনকার ঘটনা। বেশিরভাগ সময়েই হাসিমুখে জানান দেই যে আমি ভারতীয় নই, মাঝে মাঝে বিরক্তও হই। দু একজন সর্দারজী আবার উৎসাহের আতিশয্যে পাঞ্জাবীও চালিয়ে দেয়।

গায়ের রঙ নিয়ে আরেকটা মজার ঘটনা মনে পড়ে গেল।
ডারবানেই থাকতাম তখন। আমার কিছু মালদ্বীপিয়ান বন্ধু হয়েছিলো সেখানে। গায়ের রঙ কাছাকাছি, তার উপরে রমজান মাসে আমরা একসাথে ইউনির মসজিদে বসে মোঘলাই ইফতারি সাবাড় করি, সব মিলিয়ে খাতির ভালই। ওদের একজনের নাম সুমাইস।
একদিন ইউনির কম্প্যু ল্যাবে ইন্টারনেট ঘাঁটছি। হঠাৎ করে শুনি কে যেন দরজার কাছ থেকে আমার নাম ধরে ডাকছে। পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা মুশকো ইউরোপিয়ানকে সাথে নিয়ে সুমাইস দাঁড়িয়ে। আমি মুখে প্রশ্ন নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লাম। ও হাসিমুখে হাত ইশারায় বোঝালো, ঠিক আছে, উঠতে হবে না। আমিও হাসি ফিরিয়ে দিয়ে কম্প্যুতে মন দিলাম।
পরে ওর সাথে দেখা হলে আমাকে বললো, ‘তোমাকে কেন ডেকেছিলাম জানো?’ আমি বললাম, ‘কেন?’ সুমাইস বললো, ‘ আমার সাথের ঐ ছেলেটা বলছিলো বাংলাদেশিরা নাকি কালো হয়। আমি তাই তোমাকে দেখিয়ে ওর ভুল ভাঙিয়ে দিলাম, বাংলাদেশিরা সাদাও হয়!’

ঠিক এর উলটো একটা ঘটনা ঘটেছিলো মেলবোর্নে এসে।
কাজের ফাঁকে খাবার খেতে খেতে আড্ডা চলছে। আমার সহকর্মী, মেয়েটা লিবিয়ান বা লেবানীজ, ঠিক মনে নেই। কী একটা ঘটনা বলছে সবাইকে, “ জানো, তারপরে হলো কী, একটা লোক এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো..., খুব কালো ছিলো লোকটা, একদম এই যে, এই তারেকের মতো কালো।’’
হা হতোস্মি!

ছাত্র থাকাকালীন কামলা খাটতাম প্রচুর। নানা জায়গায় নানা কাজের অভিজ্ঞতা ঝুলিতে জমানো আমার। এরকম এক জায়গায় কাজের সময় এক বাংলাদেশি ভদ্রলোক প্রথম দেখায় আমার মুখে বাংলা শুনে চমকে উঠেছিলেন। অনেকদিন বাদে জানলাম, উনি ভেবেছিলেন আমি মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশের লোক।

আবার আমি নিজেও এরকম কান্ড করেছিলাম।
আরেক জায়গায় বেশ কিছুদিন কাজ করি আমরা দুই বাঙালী, অন্যজন ছুটিতে গেলো দু সপ্তাহের জন্য। এর মধ্যে আরেকজন এসে যোগ দিলো কাজে। সেই ভদ্রলোকের নাম শুনে এবং চেহারা দেখে আমার কেন যেন মনে হলো সে ব্যাটা নির্ঘাত পাকিস্তানী। টানা দু সপ্তাহ থমথমে মুখ করে আমরা দুজন দুজনের সাথে ইংরেজিতে কথা চালিয়েছি। দুসপ্তাহ পরে ছুটি শেষে আমার বাঙালী সহকর্মী ফেরত এসে আমাদের দু’জনকে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখে চমকে গেলো! অতঃপর বাংলাদেশি হিসেবে নতুন করে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো। :)

এ পর্যন্ত যা কিছু ঘটনা বললাম, তার প্রায় সবই কাছাকাছি। একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতাও হয়েছে।

মেলবোর্ন মূল শহর থেকে বাসায় ফিরবো ট্রেনে। ফ্লিন্ডার্স স্ট্রিট স্টেশানের একটা বেঞ্চে একা একা বসে আছি। এমন সময় আমার পাশে এক বুড়ি চাইনিজ মহিলা এসে বসলো। আমি আড়চোখে তাকিয়ে দেখি খানিক পর পর আমার দিকে হাসিমুখে তাকাচ্ছে। আমি একটু সাবধান হলাম। কদিন আগেই এখানে এক খ্রিস্টান ‘তাবলিগি’র সাথে দেখা হয়েছিলো। ভদ্রলোক আরেকটু হলেই আমার হাতে ‘হ্যাভেন’ এর টিকেট ধরিয়ে দিচ্ছিলো, এই মহিলা সেই গোত্রীয় কি না তা-ই ভাবছিলাম। কিন্তু বেশিক্ষণ লাগলো না ভুল ভাঙতে। মিনিট দুয়েক যেতেই মহিলা আমার আরেকটু পাশ ঘেঁষে বসল, তারপর ব্যাগ থেকে একটা চীনে হরফে লেখা কাগজ বের করে নিয়ে আমাকে দেখিয়ে একদম ‘খাস’ চাইনিজে কী যেন জিজ্ঞেস করতে লাগলো! আমি তো হতভম্ব। প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি, পরে হাত পা নেড়ে তাকে ইংরেজিতে বললাম, তুমি কী বলছো আমি কিছুই বুঝছি না।
সেই বুড়ি মহিলা এবারে তেলেবেগুণে জ্বলে উঠলো। আরও খানিকক্ষণ চাইনিজে তুবড়ি ছুটিয়ে সমাপ্তি টানলো চারটা বোধগম্য শব্দে, ‘ হোয়াই টক ইংলিশ? চাইনিজ চাইনিজ’!
আমি সেদিন বাড়ি ফিরে আয়নায় বারবার নিজের ভুতের মতন ভেসে থাকা মণিওয়ালা চোখ আর ভোঁতা নাক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছিলাম, ঠিক কোন কোণা থেকে তাকালে আমাকে চাইনিজ মনে হয়? কে জানে!

আমার বউয়ের বোঁচা নাক নিয়ে বিয়ের আগে থেকেই ওকে নিয়মিত ক্ষেপাই। সেটা পূর্ণতা পেল মেলবোর্নে এসে।
অফিসে বসে আছি। শেষ মুহুর্তের কাজ, দ্রুত শেষ করে উঠবো। তখুনি আমার এক নেপালিজ সহকর্মী আমার কাছে এসে খুব উৎফুল্ল স্বরে আমাকে বলে, ‘জানো জানো, আমাদের অফিসে না একটা খুব মিষ্টি দেখতে নেপালিজ মেয়ে ঘুরঘুর করছে!’
আমি বললাম, ‘তাই নাকি? কই দেখে আসি।’
বাইরে গিয়ে দেখি আমার বউ এসে বসে আছে, কাজ শেষে একসাথে বাড়ি ফিরবো তাই।
ফিরে গিয়ে বললাম, ‘ব্যাটা হাঁদারাম, ওইটা নেপালিজ কেউ না, ওইটা আমার বউ।’
সেই ছেলে এইবার জিবে কামড় দিয়ে বললো, ‘স্যরি মাইট, কিন্তু ও দেখতে একদম নেপালিজ!’
সে কথা মনে করে আমরা প্রায়ই হাসাহাসি করি।

আজ ঘটলো সর্বশেষ ঘটনা।
কার পার্কে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি, বৃষ্টিটা একটু ধরে এলেই দৌঁড় দিবো গাড়ির কাছে। তখন এক ভদ্রলোক এগিয়ে এসে খুব সংকোচের সাথে আমাকে কী যেন জিজ্ঞেস করলো। ভাষা বুঝিনি, ভাবভঙ্গি দেখে বুঝলাম কোন রাস্তার ঠিকানা জানতে চাইছে। আমি হেসে ইংরেজিতে বলতে অনুরোধ করলাম। ভদ্রলোক এবারে সংকোচে প্রায় মাটির সাথে মিশে গেলো, বারবার স্যরি বলতে বলতে বললো, ‘আমি ভেবেছিলাম তুমি নেপাল থেকে এসেছো!’

আমি ভাবলাম যা বাবা! এটাই তবে বাকি ছিল? আফ্রিকা, চীন, জাপান আর মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে টুরে আমরা অবশেষে একদম নেপালি পরিবার হয়ে গেলাম!


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

:))

আপনি দেখি খাঁটি আন্তর্জাতিক! গ্লোবাল ভিলেজের মানুষ তো...

কনফুসিয়াস এর ছবি

=(( =((

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

দময়ন্তী এর ছবি

:)) :)) :))

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

কনফুসিয়াস এর ছবি

=(( =(( =(( =((

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

:)

ব্রেশ ব্রেশ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

:-?

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নিশ্চয়ই আমাদের সাথে ওদের অনেক মিল আছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলে কয়েকবার গিংয়েছিলাম। প্রথমবার বন্ধু সীট পেয়েছে সেখানে সেজন্য। রিক্সা থেকে নেমে বন্ধুর বন্ধু এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করে
- তোর সাথে ওই নেপালিটা কে
: ও আমার ক্লাসমেট
‌- তোদের ডিপার্টমেন্টে ইন্টারন্যাশনাল ছাএও ভর্তি করে! দারুণ তো।

আমি চুপ করে থাকি :)

উল্লেখ্য, ইন্টারন‌্যাশনাল হোস্টেলে বেশ কিছু নেপালি থাকে। তখন প্রথমবারের মত জেনেছি বাংলাদেশে অনেক নেপালি পড়াশুনা করে।

কনফুসিয়াস এর ছবি

পিপিদা, নেপালি পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা। :)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আমাকে আমেরিকায় এসে প্রথম যে প্রশ্নটা ইণ্ডিয়ান ক্লাসমেইটদের কাছ থেকে প্রায়ই শুনতে হত সেটা হল, "আর ইউ ফ্রম দ্য সাউথ?" প্রথম দিন আমার উত্তর ছিলো, "সাউথ অফ হোয়াট?!!" আসলেই বুঝিনি। এটার মানে যে "ধরেই নিচ্ছি তুমি ইণ্ডিয়ান, জানতে চাইছি সাউথ ইণ্ডিয়ান কি না" সেটা বুঝতে কিছুটা সময় লেগেছিলো। পরে বুঝতে পারলেও ওই একই উত্তর দিতাম ওদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

অবশ্য ওদেরও দোষ দেয়া যায় না, পরে খেয়াল করে দেখলাম রং-আকৃতি মিলিয়ে আমাকে আসলেই সাউথ ইণ্ডিয়ানদের মত লাগে! :-)

আরেকটা কথা, বিভিন্ন ফর্মে এথনিসিটি তথ্যটা এখানেও চায়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই উত্তর দেয়া বা না দেয়াটা "অপশনাল" বলে দেয়া থাকে। তাছাড়া উত্তরের চয়েসও বেশি থাকে। আমি "এশিয়ান" লিখি।

ashraf এর ছবি

তাও ভালো, অস্ট্রেলিয়াতে "এশিয়ান" লিখতে হলে নাকটা চ্যাপ্টা হতে হবে।

প্রিয় কনফু ভাই, বড়ই আমোদ পেলাম আপনার লেখা পড়ে।

আশরাফ

কনফুসিয়াস এর ছবি

সেটাই। এশিয়ান লিখতে পারলে তবু স্বস্তি বোধ করতাম, কিন্তু এ দেশে এশিয়ান মানে নাক বোঁচা। :(

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নৈষাদ এর ছবি

:)) , খাঁটি আন্তর্জাতিক...।

মার্জার এন্ড এক্যুজিসন প্রসেসে একটা প্রতিষ্ঠানে সেকন্ডেড হয়েছিলাম খোদ এই ঢাকা শহরে। দেখি বাংলাদেশী লোকজন ইংরেজীতে কথা বলে, ঘটনা কী? দুদিন পরে জানলাম লোকজন ভেবেছে আমি ভারতীয়... :( বুঝলাম নামেই সমস্যা।

কনফুসিয়াস এর ছবি

:) আমাদের এক্স-প্রধানমন্ত্রীই এই ভুল করেন, আর লোকেদের দোষ দিয়ে লাভ কী! :)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নজমুল আলবাব এর ছবি

মোটা হইতে থাকো, তখন আর লোকে সন্দো করবো না, ডাইরেক্ট সুমো মামা কয়া বুলাবেনে। :D

কনফুসিয়াস এর ছবি

অভিশাপ দেন ক্যান বস? :(

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মারভিন এর ছবি

আমার অভিজ্ঞতাও একই, খালি আমার গায়ের রংটা একটু(!) চাপা দেখে মানুষজন একটু ভিন্ন দেশের ভাবে। আর এইটা নিয়ে মজাও কম হয়না। একবার কাজে এক উল্লুক খদ্দের বিনা কারণে আমার উপরে ক্ষেপে নালিশ দিয়েছিল যে এক young black guy আমাকে সাহায্য করে নাই। আর যায় কই আমাদের ম্যানেজার ডিপার্টমেন্টে সদ্য জয়েন করা এক কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেকে নিয়ে ১৫ মিনিটের লেকচার দিয়ে দিলো। আমি ওর ব্যাজার মুখ দেখে ঘটনা জানতে পারলাম। পরে ম্যানেজারকে গিয়ে পুরো ঘটনা বলার পর মহিলার যা চেহারা হয়েছিলো তাতে ওইদিন পুরা সময়ই দাঁত কেলিয়ে কাজ করেছিলাম।

আর একবার একজনকে সাহায্য করার পর লাঞ্চে চলে গিয়েছিলাম, এর মধ্যে ওই মহিলা এসে আমার এক সহকর্মী বন্ধুকে বললো ওই লিটিল মেক্সিকান বয়কে আমার হয়ে ধন্যবাদ দিয়ে দিও। আমি ফিরে এসে দেখি ওই ব্যাটা তাব্দা মেরে বসে আছে। ও নিজে হিস্প্যানিক, আমাকে মেক্সিকান বলছে এই কথাটা মেনে নিলেও আমার এই বিশাল বপুকে কিভাবে লিটল আখ্যায়িত করলো এইটা ওর মাথায় ঢোকে নাই।

আমাকে হিস্প্যানিকরাও মেক্সিকান ভাবে আর আমার তাতে মজাই লাগে কিন্তু একবার এক বাঙালি দোকানে ঢুকতেই শুনি Como estas amigo! পরে যখন জিনিস কিনে বের হয়ে যাই তখন শুনি ওরা বলালাবলি করছে রঙ নাম্বার!

আশ্চর্য ব্যাপার হল এখন পর্যন্ত দুইজন বুল্গেরিয়ানের সাথে দেখা হয়েছে যারা প্রথম দেখাতেই জিজ্ঞেস করেছে আমি বাংলাদেশের কিনা। আর কেউই একবারে বলতে পারেনি।

কনফুসিয়াস এর ছবি

মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। :)
আমাকে মেক্সিকান শুনতে হয়নি। তবে একজন আমাকে সরাসরি বাংলাদেশি বলে চিনতে পেরেছিলো। সে এক মহাসুন্দরী, কলাম্বিয়ায় বাড়ি। এবং সেই আমার জীবনের একমাত্র বিদেশি যে একদম ঠিকঠাক আমার নাম উচ্চারণ করে পেরেছিলো, প্রথমবারেই।
পরে অবশ্য জেনেছিলাম যে সেই মেয়ের বয়ফ্রেন্ড বাংলাদেশি। :(

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অপছন্দনীয় এর ছবি

চায়নীজ প্রতিষ্ঠানে আমার এক সহকর্মী ছিলেন, ভদ্রলোক চাকমা - এক্স নেভী অফিসার এবং এঞ্জিনিয়ার।

প্রথমদিন রিফ্রেশমেন্ট রুমে ওনাকে দেখে আমার আরেক সহকর্মী চায়নীজ ভেবে মন্তব্য করে বসেন, "এই বা...ত আবার এখানে কি করতে এসেছে?" উনিও সেইরকম ঘোড়েল, মন্তব্যটা বুঝেছেন এরকম কোন ভাবই দেখান নি - দুই দিন পরে বাংলা বলতে দেখে মন্তব্যকারীর অবস্থা কি হয়েছিলো বুঝতেই পারছেন...

ওনার সাথে চীনে ট্রেনিং-এ গিয়েও একই কেচ্ছা, চীনারা বাংলাদেশীকে কিছু বোঝাতে না পেরে ওনাকে ধরে চৈনিক কিচির মিচির করে যায় - আর উনি প্রাণান্ত পরিচ্ছেদ করে তাদের বোঝান যে উনি বাংলাদেশী এবং চায়নিজ বোঝেন না।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হা হা হা! ওনাকে ঐ বুড়ির পাল্লায় ফেলতে পারলে ভালো হতো। :)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

দিফিও-1 এর ছবি

হাহাহা, প্রবাসে এরকম কয়েকটা অভিজ্ঞতা আমারো হয়েছে, তবে আপনার মত এত দিক কাভার করি নাই :)

এখানকার ফর্মগুলায় এথনিসিটি অংশটা দেখি ঐচ্ছিক করা থাকে, আর "আদার" বলে একটা অপশন থাকে। কোন কোন জায়গায় "এশিয়ান" বলে একটা অপশন থাকে।

আর চেহারা দেখে ভারতীয় ভাবা তো আছেই, সথে নাক বোঁচা থাকায় একজন ইন্দোনেশীয়-ও বলেছিল। তবে সবচেয়ে বেশী ভাবে মেক্সিকান বা ল্যাটিন। যে শহরে থাকি, সেখানে মেক্সিকান প্রচুর, তাই গায়ের চামড়া বাদামী আর নাক বোঁচা হওয়ায় প্রথম দর্শনে অনেকেই ল্যাটিন মনে করে। আমার বৌএর এই ব্যাপারটা আরো বেশী, অনেকেই তার সামনে এসে হড়বড়িয়ে মেক্সিকান বলা শুরু করে :)

কনফুসিয়াস এর ছবি

নেপাল পর্যন্ত যেহেতু গেছি, দেখা যাক, আপনার ইন্দোনেশিয়ায় বেড়িয়ে আসতে পারি কি না। :)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

হ, আপনার চেহারা একটু নেপালি নেপালি। :P

কনফুসিয়াস এর ছবি

তাই তো দেখি! :(

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সায়ন (১) এর ছবি

=)) =))

কনফুসিয়াস এর ছবি

:)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

‘ আমার সাথের ঐ ছেলেটা বলছিলো বাংলাদেশিরা নাকি কালো হয়। আমি তাই তোমাকে দেখিয়ে ওর ভুল ভাঙিয়ে দিলাম, বাংলাদেশিরা সাদাও হয়!’ :))

এ দেশে থাকলে তোমাকে সবাই 'আমিগো' ডাকতো। আর মলোশিয়াতে থাকলে 'মালে'। সত্যিই আন্তর্জাতিক চেহারা কোন সন্দেহ নাই। :D

--------------------------------------------------------------------------------

কনফুসিয়াস এর ছবি

ভাবী, আমিগো কী জিনিস? :O
আর, মালে শুনতে রাজি নই, জীবনেও মালেশিয়ায় যাবো না! :)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সাফি এর ছবি

এমিগো = বন্ধু। স্প্যানিশ শব্দ। মেক্সিকানদের বলে অনেকে।

সাফি এর ছবি

তাওতো কপাল ভাল পাকিস্তানী বলেনি। আমাকে তো পাকিস্তান, আফগানী, ইন্ডিয়ান (হর-হামেশা), মেক্সিকান, টার্কিশ(!!), মিডল ইস্টার্ন ও হতে হয়েছে

মীর মোশাররফ হোসেন এর ছবি

জয় বাংলা.....না আর্য আর দ্রাবিড়রা শেষ জোড়াটা এখানেই লাগাইয়া গেছিল

কনফুসিয়াস এর ছবি

:)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

=)) :)) (গুলি)

আপনার ফেসটা মনে হচ্ছে মাস্টারকার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে যেকোনো জায়গায় :D :D :D

কনফুসিয়াস এর ছবি

হুম, ক্রেডিটকার্ড হতে পারলে আরও ভালো হতো। :)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সুপ্রিয় দেব শান্ত (অতিথি) এর ছবি

আপনার লেখা সবসময়ই সুপাঠ্য।

সুপ্রিয় দেব শান্ত

কনফুসিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ। :)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ফাহিম হাসান এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

=((

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনি কয়েকটা ক্লোন করায়ে ন্যান। ভ্যাটিকান বা তিব্বতী বলে ভবিষ্যতেও চালায়ে দিবো :D

কনফুসিয়াস এর ছবি

কোরিয়া বাদ দিলা ক্যান রে ভাই?

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কনফুসিয়াস এর ছবি

=((

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

(হোহোহো)

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ছবির মতন বাঁধাই করা মুখে মহিলা আমার ফরম চেক করতে লাগলো। কিন্তু যেই না এথনিসিটিতে চোখ পড়েছে অমনি একেবারে হা হা করে উঠলো। বললো, ‘তুমি কালারড লিখেছো কেন?’
আমি বললাম, ‘তো? কী লিখবো?’
বললো, ‘কেন, ইন্ডিয়ান?’
আমি মুখ গম্ভীর করে ফেললাম, ‘উহু, তুমি ভুল করছো, আমি বাংলাদেশি।’
মহিলা এইবারে হেসে আমাকে বলে, ‘তা তো ঠিকই আছে, আমি তো জানিই তুমি বাংলাদেশি, কিন্তু তোমার অরিজিন তো ইন্ডিয়ান, তাই না?’
আমি তখনও ঘাড় গোঁজ করে দাঁড়িয়ে বললাম, ‘না। আমার অরিজিনও বাংলাদেশি। আমি ইন্ডিয়ান নই। তোমাদের এখানকার সাদাদের মত সাদাও নই, আবার কালোদের মত কালোও নই। আমার গায়ের রঙ অনুযায়ী আমাকে খুব বেশি হলে যেটা বলা যায় সেটা হলো ‘কালারড’।’

আপনার মেরুদণ্ডের দৃঢ়তাকে স্যালুট!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কনফুসিয়াস এর ছবি

উমমম। না, এই স্যালুটটা আমার নেয়া ঠিক হবে না। এমনিতে দেশ বিষয়ে এরকম গোয়ার্তুমি সবসময়েই করি, কিন্তু এখানে যেটার উল্লেখ করলাম, পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী সেটা আসলে আমারই ভুল।
আপনাকে তবু অনেক ধন্যবাদ। :)

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াইল? মানে আসলে আপনে কোনদেশি, এই জরুরি তথ্যটা না দিয়াই তো দেখি লেখা শেষ করে ফেললেন!
তথ্যটা জরুরি, কারণ বাংলায় লিখেছেন দেখে অনেকেই ভেবে বসবে আপনি বাঙালি।

কনফুসিয়াস এর ছবি

তাই তো, লোকেদের এই ভুল কেমন করে যে আটকাই! :-?

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দারুন ভালো লাগলো আপনার লেখাটা। আমারও এমন একটা গল্প এই মুহুর্তে মনে পড়ছে। সাইক্লোন সিডর হওয়ার পরে যখন বাংলাদেশে কাজ করতে আসলাম তখনকার ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের থেকে ফাস্ট ও সেকেন্ড সেক্রেটারী আসলে আমি ছিলাম তাদের সাথে আমার প্রোগ্রামের কাজকাম দেখানোর জন্যে। প্রোটোকলে বাগেরহাটের একজন সহকারী পুলিশ সুপার অশোক বাবু ছিলেন। আমি ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে ভিজিটরদের কথাবার্তা অনুবাদ করছিলাম। আমার তখন ওয়ারফেজ ব্যান্ডের কমল ভাইএর মতো মোচবিহীন ছাগুলে দাড়ি। এক বিরতিতে এএসপি সাহেব আমার দিকে এগিয়ে এসে যেচে পড়ে আলাপ শুরু করলেন। বললেন, "আপনার বাংলা কথা অসাধারন। আমি আমার জীবনে কোনও ফরেনারকে এতো সুন্দর বাংলা বলতে শুনিনি। আপনি কোন দেশের মানুষ জনাব?" আমি তার কাছে জানতে চাইলাম যে আমাকে কোন দেশের বলে মনে হয়? তিনি বললেন, "আপনি সম্ভবত সুদানীজ হবেন। ইউএন মিশনে সুদানে গিয়ে দেখেছিলাম আপনার মতো মানুষদের।"

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হা হা হা। হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম একদম। =)) =))

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

যেভাবে হাসি শুরু করলেন কনফুসিয়াসদা, সাবধান, হাসির শেষ হয় কিন্তু ইয়ের মধ্যে দিয়ে (কপিরাইটঃ দ্রোহী) :))

সবথেকে খারাপ লাগে যখন বিদেশের বেশিরভাগ জায়গায় মানুষ আমাকে ইন্ডিয়ান মনে করে। খুবই বিরক্তিকর। ইন্দোনেশিয়ায়তো একবার জেরোমে ফাং নামের একজন চায়নিজ-সিঙ্গাপুরী আমাকে 'তেমিল' মনে করে কান্নাড়াপ্পা পেরুম্পুদুম ত্রেরিনাচিরিন্নোপ্পাল্লী খুরাম্বারাপ্পা, আরও কতো কি বলতে শুরু করলো। ওই ব্যাটা সিঙ্গাপুরে ওদের ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইন্ডিয়ান কালচারাল সোসাইটির সেক্রেটারী ছিলো এবং তখন তামিল ভাষা শিখেছিলো। পরে আমার ন্যাশনালিটি শোনার পর ব্যাটা বেশ শরম পেলো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমি ভাবছিলাম আপনে সিলোটি

...........................
Every Picture Tells a Story

আয়নামতি1 এর ছবি

মজারু লেখা :D

ধুসর গোধূলি এর ছবি

গতবার মিউনিখের অক্টোবর ফেস্ট থেকে ফেরার পথে তো ঠোলারা আটকাইলো। আমারে ডাইকা বললো, "তোমার লগে এরা কারা! কৈত্তে আইছে?"

আমি কৈলাম, "ঐযে হৈলদা পালং ভুড়িবাগানেঅলা দেখতাছেন, ঐটা আইছে সুদান থাইকা। আর ঐযে বাউলের মতো লম্বালম্বা চুল, ইট্টু পরপর নাওমি ক্যাম্পবেলের মতো ডানেবামে ঝাকি মারতাছে, তিনি আশিছেন নামিবিয়া থাইকা। আর ঐযে তালগাছের লাগান লম্বা ঠ্যাঙঅলা- উনি ফ্রম নাইজেরিয়া।"

তো, হালার ঠোলা এইবার আমারে কয়, "তোমাগো দেশের রাজধানী রাবাত না?" :(

সাফি এর ছবি

আপনেই তাহলে ঠোলা ম্যাগনেট?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম লেখা আর কমেন্টের অভিজ্ঞতা পড়ে। তবে ওই বিদেশী লোকগুলারে দোষ দেয়া যায় না, আমাদের পূর্বপুরুষের সাথে ওদের পূর্বপুরুষের কোন না কোন আত্মীয়তা ছিল হাজার দুয়েক বছরের মধ্যে :))

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

আমার সব চে রাগ লাগে যখন, বাংলাদেসি জানার পর উরদু বা হিন্দিতে কথা বলে।

guest_writer এর ছবি

আমার এক পাকি হাইজমেট ছিল, আমি বাংলাদেশ থেকে আসছে শুনেই লাফাইয়া লাফাইয়া আসল আমার সাথে কথা বলার জন্য; শুরুটা এমন ছিল:

আমি বাংলাদেশকে খুব ভাল করে জানি। ১৯৭১'র আগে আমরা আর তোমারা এক ছিলাম, আমরা তো তাহলে ভাই ভাই। কেয়সে হো?

আমি ভ্রু কুচকে বললাম, আমি বাংলা আর ইংরেজি ছাড়া অন্য কোন ভাষায় কথা বলি না, আর আমার অনেক ভাই আছে, নতুন কোন ভাইয়েরও আমার আর দরকার নাই।

এরপর একই বাসায় আরও ৩ মাস থাকা সত্ত্বেও ঐ পাকি আমার সাথে কোন কথা বলার চেষ্টা করে নাই, আমার তো প্রশ্নই আসে না।

========
আমি জানি না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।