• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

তারেক মাসুদ-এর অন্তর্যাত্রা

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৬/২০০৭ - ৭:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoএখানকার বাংলাদেশী দোকান থেকে অনেকদিন আগেই কিনে এনেছিলাম সিডি-টা। কিন্তু এতদিন সময় করে উঠতে পারি নি। অবশেষে গত পরশু দেখে ফেললাম তারেক মাসুদ-এর অন্তর্যাত্রা।

সিনেমার শুরুতে যখন এ ছবির ইংরেজী নাম দেখালো 'হোমল্যান্ড'- অর্থটা বুঝি নি ভাল করে। কিন্তু পুরোটা দেখবার পরে মনে হলো, এর চেয়ে সুন্দর নাম আর হয় না।

গল্পটা অনেক সুন্দর। একদম সুলভ (নাকি সহজলভ্য) কোন কাহিনি নয় এটা, তবে সেরকম অনেকগুলো কাহিনিকে জোড়া দিয়ে বানানো বলা চলে। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছে এ ছবির পাত্র-পাত্রীরা। আমি সিলেটী ভালো বুঝি না, তারপরেও যখন কারো সংলাপ বুঝতেই কোন কষ্ট হয় নি, ভাবছিলাম, আসল সিলেটী কথাবার্তা এরকমই তো ? নাকি সিনেমার খাতিরে খানিকটা প্রমিতকরণ করা হয়েছে?

সিনেমাটা, এককথায়, সাবলীল নয়। দৃশ্যান্তরে যাবার সময়গুলোকে প্রায়শই জাম্প-কাট মনে হয়েছে। ঘড়ি দেখি নি, কিন্তু খুব বেশি লম্বা নয় বোধহয় দৈর্ঘ্যে, শেষ হতে তাই সময় লাগলো না বেশি। এবং হয়তো একারণেই শেষ হবার পর মনে হচ্ছিলো, শেষ করার তাড়াহুড়ায় ছিলেন না তো পরিচালক?

কোন চরিত্রই পূর্ণতা পাবার সুযোগ পায় নি যেন, এবং পুরো সিনেমার প্রতিটি চরিত্রের পেছনে যে নিজস্ব গল্প থাকে, তার কোনটাই স্পষ্ট হয় নি এখানে, কোনটা শেষও হয় নি। বাড়ির ভৃত্য লক্ষণকে দেখে মনে হয়েছিলো একটা কিছু গল্প আছে এখানে, খানিক বাদে তাঁকে আর পাওয়া গেল না। খুব অল্প সময় পর্দায় ছিলেন জয়ন্ত, এখানেও একটা গল্পের জন্যে মন উৎসুক হবার আগেই নিভে গেল। এরকম আরো আছে, জয়ন্ত-র স্ত্রীর চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন, আমি গল্প খুঁজেছিলাম সেখানেও, অথবা প্রাচী ও তার ছোট্ট মিষ্টি মেয়েটা, সবাই কেমন করে যেন দূর থেকে বুড়ি ছুয়ে গেল, ভাল করে স্পর্শ করার আগেই।

তবু শেষমেষ ভাল লেগেছে, মনোলগের মত করে সারা যাকের, ও তাঁর ছেলের ভাবনাগুলো জানতে পেরেছি বলে। কোন কোন মৃত্যু মানুষকে কাছে টেনে আনে, নাকি বিচ্ছেদে পোড়ায়, এই জিজ্ঞাসাটুকু মনে জমে ওঠে। রামের জন্মস্থান অযোধ্যা নয় জানি, কবির মনভূমেই, তবু নিজেকে রামের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে যখন চমকে যাই, তখন হোমল্যান্ড আর তার ভেতরে আমাদের অন্তর্যাত্রা একাকার হয়ে যায়। কোথাও এতটুকু স্পর্শ না করেও তবু সেটা গভীর কোন দাগ রেখে যায়।


মন্তব্য

ভাস্কর এর ছবি

আমার এই বিষয়ে একটা লেখা সামহোয়্যারে আছে...ঐটা দিমু? আপনের লগে আমার অনেক্ষানিই মিলছে...


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দেখেছি অনেক আগে। যতদূর মনে পড়ে, অসাবলীল মেকিংয়ের ধরনটাই বেশি ভালো লেগেছিলো। "কোনো দৃশ্যে একটা বন্দুক থাকলে বন্দুকের ব্যবহার গল্পে দেখাতেই হবে" আমি এ নীতির সমর্থক না। আপাত ইম-পারফেক্ট ধরন, ছাড়া ছাড়া কিছু চিত্র, যার অনেকটাই আলো আঁধারীতে; কিন্তু পুরোটা মিলে মূল মেসেজটা ঠিকই দেওয়া হয় - এরকম একটা মেকিং খারাপ লাগে না।

সবটাই গল্পকারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে হবে কেন?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কনফুসিয়াস এর ছবি

হ, তা হবে না, আমি অবশ্য সেইরকম দাবীও করি নাই, কি হইছে সেইটারই বর্ণনা করছি মাত্র।
তবে যে কোন চরিত্রই, বিশেষ করে সিনেমায়, নির্মাণ করার একটা ব্যাপার থাকে। এইটা দর্শকরে এক ধরণের সুতা ধরাইয়া দেয়ার মত আর কি, ভাবনা চিন্তায় সুবিধার জন্যে। এই ব্যাপারটাই এই সিনেমায় নাই।
ভাস্করের আলোচনাটা পড়লাম মাত্র, ঐটা অনেক ডিটেইলে, আমার ভাল লাগছে, পইড়া দেখতে পারেন।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কিছু কিছু মুভি আছে, যেগুলা একবার দেখে আসল স্বাদ পাওয়া টাফ। এটাকে আগার সেইরকমই মনে হয়েছে। প্রথমবার দেখলে অবশ্যই খাপছাড়া অনেক সময়ই পারস্পরিক সম্পর্কের সূতা মিসিং কিছু চিত্রের সমাহার মনে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসেজটা ঠিকই দেওয়া গেছে।

এই টাইপের আরেকটা উদাহরণ দেই। প্রথমবার 'বাটারফ্লাই ইভেন্টস' দেখার পর মনে হয়েছিলো, পুরো সময়টাই জলে গেলো। আবার দেখলাম। (এই কাজটা আমি খুব কম করি)মনে হলো, নাহ, একেবারে খারাপ না। ঘটনাগুলো একেবারে বিচ্ছিন্ন নয়। আরো ২/§ বার দেখার পরে, 'বাটারফ্লাই ইফেক্টস' আমার কাছে শুধু একটা মুভি নয়; একটা 'জীবন দর্শন'।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ঠিক।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

কনফুসিয়াস এর ছবি

বলাই ব্রো,
এই কথাগুলায় আমার আপত্তি নাই। ইন ফ্যাক্ট, আমিও ভাবছি এই সিনেমা আরেকবার দেখমু। শেষে এসে দুইজনের কথাগুলাই আমার অসম্ভব ভাল লাগছে।
তবে একটা কথা কই, এই সিনেমা, বা বাটারফ্লাই ইফেক্ট আপনি দ্বিতীয়বার দেখছেন, সেইটা কিন্তু এমনি এমনি না, দেখার পরে হাত ধুইয়া ফেললে কিন্তু আর দেখতে ইচ্ছা হইতো না, কিন্তু সিনেমাটায় এমন কিছু ছিল, একটা শেষ না হওয়া রেশ, যেইটা একবার দেইখাই কোন ডিসিশান নিতে মানা করতেছে। এবং প্রথমবারে জোড়াতালি মনে হইলেও আরেকবার দেখার জন্যে লোভী করতেছে। এইটাই আসলে সিনেমা!
বাটারফ্লাই দেখা হয় নাই। খুব শিগগীর দেখমু। নো ওয়ারিজ!

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হ, দর্শককে দ্বিতীয়বার দেখানোর জন্য মোটিভেট করতে পারাটাও নির্মাতার ক্রেডিট। :)

আমার ক্ষেত্রে অবশ্য বাটারফ্লাই ইফেক্টের নির্মাতা খুব লাকি। আমি হইলাম গিয়া শোয়ার্জেনেগার, জেট লি বা ব্রুস লি টাইপ ধুমধাম মুভির ফ্যান। মুভি শেষ, ইফেক্ট শেষ। ২ ঘন্টা টাইম পাস। ব্যস!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কনফুসিয়াস এর ছবি

বাটারফ্লাই ইফেক্ট নিয়া আসলাম গতকাল। সময় করে উঠলেই দেখে ফেলমু।

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

অন্তর্যাত্রা নিয়ে এত আলোচনার কোনো কারণ দেখি না।

থার্ড জেনারেশনের আত্মপরিচয় সংকট ইউরোপে বিশেষ করে ব্রিটেনে মিডিয়ার কাছে একটা আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক জটিলতা। এটাকে উপন্যাস, টিভি ফিল্ম ইত্যাদির জন্য বেশ এক্সপ্লয়েটেবল একটা বিষয় মনে করা হয়। এসব বিষয়ে ছবি বানাতে এখানকার টিভি বা ফান্ডিং এজেন্সিগুলো উত্সাহ দিয়ে থাকে। এগুলোকে বলা যায় অনুরোধের ছবি।
অন্তর্যাত্রাও তেমন একটা ছবি।

একই বিষয়ে উপন্যাস লিখতেও ‌এখানকার প্রকাশনা সংস্থাগুলো উত্সাহ দেয়। সেরকম একটা উপন্যাস মনিকা আলীর ব্রিকলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের টাকায় গিয়াস উদ্দিন সেলিমও এরকম বিষয়ে একটা টিভি-নাটক বানিয়েছেন। আমি সেলিমের যতগুলো নাটক দেখেছি তার মধ্যে এই অনুরোধের নাটকটাই সবচেয়ে দুর্বল।

থার্ড জেনারেশনের আত্ম-পরিচয় সংকট নিয়ে লেখাটাকে আমি খারাপ বলছি না। কিন্তু টাকা নিয়ে বিষয়ভিত্তিক ছবি বানাতে গেলে ফর্মুলার যে দুর্বলতা থাকে অন্তর্যাত্রাতেও সে দুর্বলতা পরতে পরতে। পরিচালকের নির্মাণ বা সৃষ্টিশীলতার জন্য কোনো প্যাশন ছবিতে দেখা যায়নি। জোড়াতালির চেষ্টা ব্যাপক। আনুশেহ ও বুনোর অংশ এমনকি হ্যারল্ড রশিদের অংশও একেবারে অযত্নে জোড়া দেয়া।

ছবিটির ফিল্মিক আবেদন একেবারে নেই। পরিচালক কোনো স্বকীয় ভাষা-ভঙিও উপহার দিতে পারেন নি। শেষ পর্যন্ত আমার কাছে এটাকে অযত্নে নির্মিত অনুদান পাওয়া অনুরোধের ছবিই মনে হয়েছে।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

গুগল বা ইউটিউবে দেখার কোন সিসটেম নাই?
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>

কনফুসিয়াস এর ছবি

থাকারতো কথা। সার্চ মাইরা দেখতে পারেন!
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইউটিউবে আছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ভাস্কর এর ছবি

শোহেইল ভাই এই গরীবের দেশে বছরে হয় দুইটা বা একটা ছবি...তাও যদি মন খুইলা কিছু কইতে না করেন তাইলে আর কি কমু।(হুদাই কইলাম)।

তয় অনুদান পাওয়া ছবি যে খারাপ বানাইতে হইবো এইরমতো কোন কথা নাই। মাখমালবাফের গাব্বেও কিন্তু সরকারী অনুদানের ছবি আছিলো।


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার কাছেও অতটা ভালো লাগে নাই।

====
মানুষ চেনা দায়!

কনফুসিয়াস এর ছবি

বিগ সি-র কথা ঠিকাছে, তবে সেইটা ভাস্করের ফুটনোট সহ। সিনেমাটা খাপছাড়া টাইপ হইলেও মেসেজটা ঠিকঠাক পাওয়া গেছে। এই কারণেই শেষমেষ খারাপ লাগে না!
তবে আসল কথা হইলো, সেকেন্ড বা থার্ড জেনারেশানের এই টানাপোড়েনটা কিন্তু অস্বীকার করার মত না। এইটা এখন খুব জোরেশোরেই আমাদের দরজা ধাক্কায়, সুতরাং এই নিয়া গল্প বা সিনেমা করাটা দোষের কিছু দেখি না।
সিনেমাটা আরেকটু যত্ন কইরা বানান যাইতো, এইটা ঠিক!

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ভাস্করের এই মন্তব্যটা ঠিক আছে যে গরীবের দেশে ছবি হয় বছরে দুইটা।

কিন্তু অনুদানের ছবি খারাপ হবে তা আমি বলি নাই।
আমি বলেছি বিষয় ঠিক করে দেয়া অনুরোধের ছবিগুলো।
যেমন বিভিন্ন ডোনার বা ট্রাস্টগুলো বিষয় ঠিক করে দেয়, যেমন, তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জীবিকা। আফ্রিকার জাতিগত দ্বনদ্ব। বা ধরেন এইডস্ এইরকম আরকি।

তবে ছবি নিয়া আরো ডিটেইলসে আলোচনা হওয়া উচিত এখানে। তবে তা আলোচনা করার মত ছবি হইলে হয়।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সৌরভ এর ছবি

ব্যস্ততা কমলেই দেখবো।

------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অমিত আহমেদ এর ছবি

কনফুসিয়াস ব্রাদার, আপনার প্রোফাইল ছবির বিষয়ে জানতে চাচ্ছি। ছবিটা আমার এক বান্ধবীর, কেনিয়ার মেয়ে, নাম ট্রিকসি। একসাথে ট্রেন্টে পড়েছি। ওর ছবি আপনার প্রোফাইলে কেন? ওর অনুমতি নিয়েছেন? না নিয়ে থাকলে দয়া করে ছবিটা পাল্টান।

************************
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

কনফুসিয়াস এর ছবি

ডিয়ার অমিত আহমেদ,
আপনি কোন ছবির কথা বলছেন বুঝি নি। আমার প্রোফাইলে অন্য কারো ছবি নেই তো! একটা কার্টুন ধরণের ছবি আছে, ওটা কেমন করে কোন মানুষের ছবি হয় বুঝছি না। নাকি ছবিটা আপনার বান্ধবীর 'আঁকা' সেটাই বুঝিয়েছেন?
না অনুমতি নিই নি। আপনি কনফার্ম করুন এটা আপনার বান্ধবীর আঁকা, তাহলে অনুমতির জন্যে আবেদন করবো, আপাতত পাল্টানোর ইচ্ছা নেই।
ধন্যবাদ।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অমিত আহমেদ এর ছবি

বুঝেছি কি হয়েছে... আমার এক দোস্ত একটু আগে আমার ল্যাপটপে ইচ্ছে করে ক্যাড়া বাঁধিয়ে রেখে গেছে। সব উল্টো পাল্টা দেখাচ্ছে। শালার ধারনা বিশাল একটা মজা করা হয়েছে। কাল ওর খারাবি আছে।

সিওর না হয়ে গলাবাজী করেছি... করজোরে মাফ চাইছি।

************************
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

কনফুসিয়াস এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

আমার ব্লগস্পটের এই পোষ্টটায় 'তেলাপোকা' একটা কমেন্ট করে গেছে। প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় এখানে তুলে দিলাম।
---------------------------
কনফু ভাই, মিস করি আপনারে। ব্লগে আমার অবস্থান যদিও একটু বিতর্কিতই। যাকগা, এখানেতো পড়তে পারতাছি।

অন্তর্যাত্রা নিয়ে কিছু বলার জন্য কমেন্ট করতে হলো।
আপনাকে আদর্শ সিনেমা দর্শক বলা যায় :) হুম, ঠিক ধরেছেন, কম বাজেটের ছবি। ব্যক্তিগত ঘটনাগুলো জোড়াতালি দিয়ে করা হয়েছে। সময় বেশি নেন নাই @ তারেক মাসুদ। লন্ডনের দৃশ্যায়ন নিজের ড্রইংরুমেই বসে করেছেন ;)

তারেক মাসুদের প্রতিভা আছে, কিন্তু ব্যবসায়ীক চিন্তাধারার সাথে তার প্রতিভার সংঘাত রয়েছে। তার সাথে কিছুদিন কাজ করার অভিজ্ঞতার উপর ভর করে বলছি, ভেতরের ব্যপারগুলো আমি জানি।

তিনি এ ছবি নিয়ে যথেষ্ঠ প্রচারণা করেছেন, বলেছেন কালার কারেকশনের কথা। অ্যামেরিকায় নিয়ে গিয়ে একে অন্য জীবনদান করার কথাও বলেছেন, ব্যাপারটা ভূয়া। কেবলমাত্র ভিন্ন ফ্ল্যাটফর্মে কাজ করে যে সুবিধাটা ক্যাথরীন মাসুদ পেয়েছেন সেটাই লাভের উপর লাভ। অন্য কিছু নহে।

তাদের আরো একটু পোক্ত হতে হবে, আমি যতদূর মনে করি। ক্যাথরীন মুভি এডিটিংয়ের ব্যাপারটা একাই সামলান, কিন্তু আমি মনে করিনা তিনি অত দক্ষতার সাথে তা করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক ছেলে এই কাজটা খুব ভালো ভাবে করতে পারতো আমার বিশ্বাস।

আরো কিছু কথা বলতে ইচ্ছা করতাছে, একটু বাইরে যেতে হবে, ফিরে শেষ করতে পারি।

ভালো থাকবেন। আবারো বলেছি, আপনারে মিস করি ;)

ইতি
না-মানুষ
-------------------------

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমার মন্তব্য
------------
এতদূরে এসে ভেতরের সব তথ্যাদি জানিয়ে গেলেন, সেজন্যে ধন্যবাদ আপনাকে অনেক। ভাল লাগলো।
তারেক মাসুদের মাটির ময়না-তে কিন্তু অনেক যত্নের ছাপ ছিলো, এবারেরটার মত এলেবেলে মনে হয় নি সেটাকে।
ওনার ব্যবসায়ীক চিন্তাটাকে এই মুহুর্তে দোষও দিতে পারছি না, তৌকির আহমেদকে দেখেন, বেচারা সিনেমা বানিয়ে ফতুর হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পড়তে চান না বোধহয় তারেক মাসুদ!
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
সামহোয়্যারে ইদানীং লেখা হচ্ছে না। তবে সচলায়তনে রেগুলার যাই, ওখানেই স্বচ্ছন্দ বোধ করছি অনেক বেশি।
ভাল থাকবেন।
--------------

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিঘাত তিথি এর ছবি

এই মুভিটা নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি বেশ কয়েকবার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত লেখার মত কিছু পাই নি কেন যেন!

মুভিটা দেখার পর ভালো লাগার একটা রেশ থেকে যায় বেশ কিছুক্ষন, আমার তাই মনে হয়েছে। তবে অনেকগুলো দৃশ্যই সমন্বয়হীন ছিলো। আর একটা দৃশ্যের কথা মনে আছে, আনুশেহ আর বুনো গান শেষ করে কেন যে অতক্ষন হাসছিলো! আমার পাশে বসা বন্ধু আমাকে বোদ্ধা শ্রেণীর কিছু মনে করে খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো, হাসির কারণ কি? আমি বেশ কিছুক্ষন চিন্তা করে ভ্যাবলা মার্কা হাসি দিয়ে পার পেয়েছিলাম। :)

এই সিনেমায় আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে, সিনেমা শেষের সাঁওতালি গান, সারা যাকেরের অভিনয়।

--তিথি

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।