কিছু বিষাদ হলো পাখি। সম্ভবত প্রতিটি বাঙালি কিশোরের প্রথম ঈশ্বর দর্শন হয় জীবনানন্দের কবিতা পড়ে।
বছর কুড়ি বা তারও বেশি আগে, কোন এক মেঘলা মফস্বলের চুপচাপ দুপুরে, প্রায় হঠাতই হাতে আসা নিউজপ্রিন্টের দুর্বল কাগজে ছাপা একটা বইয়ের ভেতর আমি প্রথম চোখ মেলে দেখি, সেখানে অলস গেঁয়োর মত এক টুকরো ভোরের রোদ মাথা পেতে শুয়ে আছে ধানের উপরে। একটা ইগনরেন্ট দানবের মত অবহেলাভরে সেই যে জীবনানন্দ আমাকে ছুঁয়ে দিলেন, সেই ঘোর আমার আজও কাটেনি, মনে প্রাণে চাই, কখনও যেন না কাটে।
আকাশের ওপারে আকাশ ভেসে বেড়ায় যার হাতে, হৃদয়ের আদিগন্ত জুড়ে ঝুলে থাকে যে এক বিপন্ন বিস্ময়, এই নোংরা পৃথিবীকে অবলীলায় যিনি মায়াবী পারের দেশ বলে ঘোষণা দিতে পারেন, তাঁর চেয়ে অপার্থিব চোখ কারও নেই, জানি, তাঁর চেয়ে বেশি পার্থিব আর কোন মানুষের হবার সম্ভাবনা নেই, তাও জানি।
শাহাদুজ্জামানের লেখা ‘একজন কমলালেবু’ যেন একটা নিঃসঙ্গ সেতারের বাজনা। খুব ভালো লেগেছে বইটি পড়ে। একটা নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তিনি জীবনানন্দকে বইয়ের পৃষ্ঠায় বিছিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন, তবু এটি পড়তে গিয়ে সারাক্ষণ বুকের ভেতরে একটা কষ্ট দম চেপে আটকে ছিল ঠিক গলার নিচটায়। কিছু কিছু সিনেমা দেখি আমরা, কিছু বই পড়ি, যেখানে নায়কের দুঃখ দুর্দশা আমাদের মন ভিজিয়ে দেয়, আমরা আন্দোলিত হই, কিন্তু সেই সাথে মনের ভেতরে এ-ও জানি যে এটা সাময়িক, খুব শীঘ্রই তার দেখা হয়ে যাবে কোন রূপবতী নায়িকার সাথে, অথবা পেয়ে যাবে কোন মোটা বেতনের চাকরি। এই সুখময় যবনিকার সম্ভাবনা আমাদেরকে নিষ্কৃতি দেয় সেই মন খারাপ থেকে। কিন্তু, একজন কমলালেবু-তে সেটার কোন উপায় নেই। একটা হতাভাগা জীবনানন্দের কাহিনী আমরা সেখানে পড়ি, যার শেষমেশ সিনেমার নায়ক হয়ে ওঠা হয় না। প্রতি পৃষ্ঠা ওলটাতে হয় এটা জেনেই যে, এই কষ্টানুভুতি থেকে কোন নিস্তার নেই, কখনও মিলবে না।
নানা ভাবে জীবনানন্দকে জানা যায় এখানে। তাঁর প্রথম কবিতা, বরিশালের জীবন, সমসাময়িক শিল্পাঙ্গনের মানুষদের অবহেলা...। তাঁর নগণ্য সংখ্যক বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ করি নানা সময়ে। কিন্তু সর্বোপরি, খুব কষ্ট হয় সেই মানুষটার জন্যে। কবিতারা কেমন ভুতের আছর হয়ে নেমেছিল তাঁর ওপরে। সেই যন্ত্রণা মাথায় নিয়ে একটা পুরো জীবন তিনি কাটিয়ে দিলেন। পরের এক শতকে অগণিত মানুষের মনের প্রভুত্ব রইবে যার হাতে, সেই মানুষটি তবু মন পেলেন না একজন শোভনার। কিছু কবিতাহত মানুষের সবচেয়ে আপনজন যিনি, তিনি তবু আপন হয়ে উঠতে পারলেন না একজন লাবণ্যর।
অনেকগুলো কবিতার প্রেক্ষাপট জানা হলো বইটির মাধ্যমে। আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য করে। কবিতার পাশে সেগুলোকে বসিয়ে তাকাই যখন, কবির প্রতি মায়া বেড়ে যায় আরও। কবির জীবনকে খণ্ড খণ্ড দৃশ্যাবলীর সমন্বয়ে একটা চলচ্চিত্রের মত করে দেখার চেষ্টা যেন। শাহাদুজ্জামান সফল হয়েছেন তাতে। এর চেয়ে তথ্যবহুল জীবনী হয়তো পাওয়া যাবে খুঁজলে, কিন্তু এই বইটিতে লেখকের আন্তরিকতাটুকু অনন্য।
‘একজন কমলালেবু’ বইটি পড়া শেষ হলে আমরা দেখি অসীম প্রতিভাবান কিন্তু আদ্যোপান্ত এক ব্যর্থ ও হতাশ মানুষকে। সুখ নামের জটিল হিসাবকে যিনি মিলিয়ে উঠতে পারেননি। যার কলম থেকে ঝরনাধারার মত ঝরে ঝরে পড়ে ভালোবাসা, কিন্তু কী রুঢ় একটা ভালবাসাহীন জীবন তিনি যাপন করে চলে গেলেন একটা অথর্ব অভিমান নিয়ে।
তবু পৃথিবীর প্যারাডক্স এই, প্রিয় জীবনানন্দ, আমি তবু আজীবন আপনার লেখা আমার প্রিয়তম কবিতাটিকেই করে নিবো অবারিত আলোর উৎস।
“ এখন রজনীগন্ধা-প্রথম-নতুন-/ একটি নক্ষত্র শুধু বিকেলের সমস্ত আকাশে;/ অন্ধকার ভালো বলে শান্ত পৃথিবীর/ আলো নিভে আসে।
অনেক কাজের পরে এইখানে থেমে থাকা ভালো;/ রজনীগন্ধার ফুলে মৌমাছির কাছে;/ কেউ নেই, কিছু নেই, তবু মুখোমুখি / এক আশাতীত ফুল আছে।”
( শব্দ কৃতজ্ঞতাঃ মেঘদল, শাহাদুজ্জামান এবং জীবনানন্দ)
- তারেক নূরুল হাসান - ১২/০৭/২০১৮
মন্তব্য
শুধু মন্তব্য করতেই অনেক দিন পর এপাড়ায় পা রাখা।
অনবদ্য আর হৃদয়স্পর্শী! অভিবাদন আপনাকে।
সেই সাথে একটা প্রশ্নও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ ক'দিন ধরেই এই বইটা নিয়ে--- জীবনবাবু'র জীবন নিয়ে লেখা এই বইটা কেন 'উপন্যাস' হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে সব খানে? আপনারও কি মনে হয়েছে এইটি উপন্যাসের মত কোন ফিকশন্যাল এলিমেন্ট আছে এইটিতে? সাধারনত জীবনী গুলো নন-ফিকশন গোত্রের হয় বলেই জানি। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে অনেক যেমন সমরেশ বসুর যুগ যুগ জীয়ে এবং আরো বেশ কিছু। কিন্তু 'একজন কমলালেবু'-র ফরম্যাট ও লেখার ভঙ্গি অত্যন্ত নন-ফিকশন্যাল মনে হয়েছে। একে উপন্যাস বলে মানতে মন চাইছে না।
আপনার কী মতামত?!
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বইটি নিয়ে আমি আলোচনা তেমন পড়িনি। উপন্যাস হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে কি না সবখানে তাই জানি না। তবে বইয়ের ফ্ল্যাপে এটাকে উপন্যাস বলা হয়েছে, সেটা সত্যি।
আমি আসলে এটা উপন্যাস নাকি জীবনী এই নিয়ে তেমন করে ভাবিনি। পড়তে পড়তে জীবনানন্দকে দেখার চেষ্টা করেছি, অনেকগুলো খন্ডচিত্রের সমন্বয়ে লেখক একটা চলচ্চিত্রের মত করে জীবনানন্দকে দেখিয়েছেন, সেটাই উপভোগ করেছি। সম্ভবত উপন্যাস এবং জীবনীর মিশ্রণে নতুন একটা কিছু হয়েছে এটা, অনেকটা ক্র্যাচের কর্নেল এর মতই হয়তো। লেখক বা অন্য কেউ এটাকে যেই ক্যাটাগরিতেই ফেলুক আমার কোনটাতেই আপত্তি নেই। এটা আমার কাছে শেষমেশ একটা সুখপাঠ্য বই-ই, জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
"যার কলম থেকে ঝরনাধারার মত ঝরে ঝরে পড়ে ভালোবাসা, কিন্তু কী রুঢ় একটা ভালবাসাহীন জীবন তিনি যাপন করে চলে গেলেন একটা অথর্ব অভিমান নিয়ে।"--- ভালো লাগলো পড়ে।
-তারেক সিফাত
ধন্যবাদ।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আপনার অন্য আলোচনাগুলো যত প্রসারিত ও বিশ্লেষনমুখর,
এ লেখাটা সে তুলনায়
একটু সংক্ষিপ্ত-
ঠিক বলেছেন। আসলে এই লেখাটা সম্ভবত আমার ৫ নম্বর প্রচেষ্টা, যতবারই লিখতে যাই দেখেছি বই এর বদলে জীবনানন্দকে নিয়ে লিখে ফেলেছি অনেক। এই লেখাটায় অনেক কেটে মেটে এই চেহারায় এনেছি। ঠিক আলোচনা হয়নি এটা, মানি।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আলোচনাটা খুব ভালো লাগলো, সেই সাথে এই বইটা সম্পর্কে জানাও হয়ে গেলো। জীবনানন্দ নিয়ে যে যাদুময় অনুভব তীব্র হয়ে আছে মনের ভেতর, কৌতুহলও কম নেই। এই বইটা সংগ্রহ করতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই বইটা সম্পর্কে জানানোর জন্য।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বইটা উপন্যাস হিসাবে লেখক দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছে জানলাম। উপন্যাসে রেফারেন্স আশা করা যায় না। তবুও জিজ্ঞেস করি, লেখক কি তথ্যসূত্র দিয়েছেন বইটার কোন অংশে?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দিয়েছেন। বইয়ের শেষে ৫৬ টি বইয়ের একটি তালিকা আছে।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এমন ব্যাপার ক্রাচের কর্নেলের শেষেও আছে। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে -
এগুলো যদি উপন্যাসই হয় তাহলে শেষে এই প্রকার গ্রন্থতালিকা/তথ্যসূত্র দেয়া কেন?
আর এগুলো যদি উপন্যাস না-ই হয় তাহলে বাস্তবের চরিত্রের জীবন মোটামুটি পুরোপুরি অনুসরণ করে লেখা রচনাকে 'উপন্যাস' ঘোষণা দেয়া কেন?
আর এটা যদি 'আপন মনের মাধুরী মিশায়ে করিলাম ইতিহাস রচনা' গোত্রের কিছু হয় এবং আইনী ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য 'উপন্যাস' ঘোষণা দেয়া হয় তাহলে কি সেটা পাঠকের সাথে প্রতারণা হয় না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি এগুলোকে ফাঁকিবাজি লেখা মনে করি। বাঙ্গালি কষ্ট করে কিছু দাঁড় করাতে চায় না এটা তার একটা উদাহরণ। আর গ্রন্থতালিকাকে রেফারেন্স বলা যায় কিনা সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে। কোথা থেকে কী ব্যবহৃত হল সেটা জানতে আপনাকে লেখার মাঝে সাইটেশন করতে হবে। সেটা না করলে সূত্র আসলে কোথায় সেটা জানা সম্ভব না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
লেখার মাঝখানে সাইটেশন করলে তো আর 'উপন্যাস' ঘোষণা দেয়া যাবে না। শেষে গ্রন্থতালিকা দেয়াটা রেফারেন্স হয় না, বরং পাঠকদের এটা দেখানো হয় যে - দেখেন আমি কতো বই পড়ে এই উপন্যাসটা লিখেছি। ইউনিভার্সিটি অভ গ্লাসগো'র রিসার্চ ফেলো ডঃ শাহাদুজ্জামান নিজে থিসিস লিখেছেন, তিনি খুব ভালো করে জানেন রেফারেন্স কী করে দিতে হয়, কিন্তু তিনি তা করেননি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অনেক সময় এই ধরনেের ইতিহাস থেকে নেয়া প্রেক্ষাপটে উপন্যাস লিখতে গেলে ঠিক রেফারেন্স না-
লেখকের মধ্যে ঐ সময় চেতনা কীসের ভেতর থেকে গড়ে উঠেছে, তা পাঠকদের জানানোর প্রয়োজন বোধ লেখক করতে পারেন। নিজের মনের ভেতর যে প্রেক্ষাপট তৈরি হলো এই লেখাটি লিখে ওঠার জন্য - তা পরিষ্কার করার জন্য- এই বইগুলোর নাম দিয়ে উঠতে পারেন। এ নিয়ে কোন বিধি নেই, আর তাই একই লেখক, নানা সময় নানা চিন্তা দ্বারা আচ্ছন্ন হয়েও পড়তে পারেন।
লিখতে গিয়ে এমন অবস্থার মধ্যে একজন লেখক পড়তে পারেন-
এত বেশি মৌলিক প্রেক্ষাপট তিনি রচনা করেন নি, যার জন্য তিনি কোন দায় স্বীকার করবেন না
আবার এতখানি বাস্তবতার প্রতি তিনি অনুগত ছিলেন না, যে ঠিক তথ্যসূত্র উল্লেখ করবেন।
তিনি তার এই দুই অবস্থার একটা সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করলেন- এভাবে-
আপনার প্রথম প্রশ্নটার উত্তর নীচে কর্ণজয় চমৎকার ভাবে দিয়েছেন। তবে আমার মতে এখানে একটাই শর্ত - বাস্তব মানুষের জীবন ভিত্তিক উপন্যাসে কাহিনির কেন্দ্রীয় ড্রাইভিং ফোর্স হিসেবে লেখকের নিজস্ব কোনো যথেষ্ট গুরুত্বপুর্ণ ইন্টারপ্রিটেশন, উপলব্ধি, দৃষ্টিভঙ্গি, পার্স্পেক্টিভ, ইত্যাদি কিছু (এবং হয়তো তজ্জনিত ঘটনাবলী) থাকতে হবে যা জীবনীতে পাওয়া যাবে না বা "জীবনী" হওয়ার শর্ত পালন করে লেখা যাবে না। তা না হলে বা এটা স্রেফ ঐ ব্যক্তির জীবনের স্বীকৃত ও জানা ঘটনাবলীর পুনর্বিবরণ হলে, অর্থাৎ নতুন বোতলে পুরনো মদ হলে - এধরণের উপন্যাসের কোনো প্রয়োজন নেই। জীবনীই যথেষ্ট। তখন এটা সত্যিই, নীচে হাসিব যেমন বলেছেন - "ফাঁকিবাজি লেখা" - হয়ে যাবে। তবে আমি কর্ণজয় উল্লেখিত "দুই অবস্থার" মাঝামাঝি অবস্থার সাহিত্যিক বৈধতা রিকগনাইজ করি। এই "মাঝামাঝি" অবস্থাটাকে ঐ লেখককেই সফল ভাবে সৃষ্টি করতে হবে উপরের শর্ত পূরণ করার মাধ্যমে।
****************************************
"তবে আমি কর্ণজয় উল্লেখিত "দুই অবস্থার" মাঝামাঝি অবস্থার সাহিত্যিক বৈধতা রিকগনাইজ করি। এই "মাঝামাঝি" অবস্থাটাকে ঐ লেখককেই সফল ভাবে সৃষ্টি করতে হবে উপরের শর্ত পূরণ করার মাধ্যমে।" -
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
'আমি এগুলোকে ফাঁকিবাজি লেখা মনে করি।'
'দেখেন আমি কতো বই পড়ে এই উপন্যাসটা লিখেছি।'
রেফারেন্স নিয়ে এ ধরনের কমেন্টগুলোর সাথে একমত না। সুনীলের 'সেই সময়', 'প্রথম আলো' বা যে কোনো এ ধরনের পপুলার লেখাতে এভাবেই রেফারেন্স দেয়া হয়। এটা যদি একাডেমিক কোনো প্রবন্ধ হয় সেখানেই কেবল বাক্যের সুত্র ধরে রেফারেন্স দেয়া হয় - লেখক নিশ্চয়ই সেটা জানেন যেহেতু তার ৩০ এর অধিক গবেষনা প্রবন্ধ আছে।
আর লেখার ক্লাসিফিকেশন যেমন উপন্যাস, প্রবন্ধ, গল্প এগুলো তো কোনো 'রিজিড' বিষয় না - উপন্যাস এসেছে ২০০-৩০০ বছর, ছোটগল্প ১৫০ বছর, এরকম। এখন নানা জনরের লেখা হয়। লেখক উপন্যাস নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন - একই ফরমাটের মধ্যে সাহিত্য আলোচনা, জীবনালেখ্য, কল্পনার মিশেল দিয়ে। এই ব্লগারের এই কথাকেই বরং আমার যথার্থ মনে হয়েছে - "লেখক বা অন্য কেউ এটাকে যেই ক্যাটাগরিতেই ফেলুক আমার কোনটাতেই আপত্তি নেই। এটা আমার কাছে শেষমেশ একটা সুখপাঠ্য বই-ই, জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা।" রিভিউটা ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
‘একজন কমলালেবু’ আদৌ কোন উপন্যাস হয়তো হয়নি, কিন্তু চমৎকার লেগেছিল পড়তে।
প্রাক্তন কামলাঘরে গত বছর শাহাদুজ্জামান এসেছিলেন দিন দুয়েকের এক ওর্য়াকশপে, স্যারের সঙ্গে কথা বলেও খুব ভাল লেগেছিল।
রিভিউ এবং ছবিতে তারা দাগিয়ে গেলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ইতিহাস না উপন্যাস সে আলোচনায় না যাই। এই পুস্তক পাঠের একটা আগ্রহ ছিলো। আলোচনা পড়ে সেটা তীব্র হলো। যন্ত্রণাময়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
লেখা ভাল লাগল। বইটি পেলে পড়তে হবে অবশ্যই।
অনেককাল আগে দেশ পত্রিকায় জীবনানন্দকে নিয়ে একটি ধারাবাহিক প্রকাশিত হত - অধীর অপেক্ষায় থাকতাম। বইয়ের নাম, লেখক/লেখিকার নাম সব ভুলে গেছি এখন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ভূমেন্দ্র গুহের লেখা 'আলেখ্য : জীবনানন্দ দাশ'?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তাই হবে মনে হয়! আবার পড়তে পারলে কি যে ভাল হত!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বইটা সুলভ। দেশী বই বিক্রি করে এমন কোন সাইটে অর্ডার করে আনিয়ে নিতে পারেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একটা বার্তা পাঠাইছি।
কিন্তু আইজ রাতে আর উত্তর পড়া হইবনা। এখন ঘুমাইতে না গেলে কাইল আর দপ্তরে জাইগা থাকন যাইবনা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
নতুন মন্তব্য করুন