গল্প লেখার কলাকৌশল

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৬/২০০৭ - ১:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এইখানে অনেকেই প্রতিষ্ঠিত গল্পকার আছেন। কেউ কেউ আছেন আমার মতন, সদ্যই হাতেখড়ি যাদের, শিক্ষানবীশ।
আজ বসে বসে ভাবছিলাম, গল্প লেখার জন্যে কারো কোন সুনির্দিষ্ট ওয়ার্কফ্লো বা কার্যপদ্ধতি আছে কি?
না থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবু যদি থেকে থাকে, তাহলে সেটা জানতে পারলে খুব ভাল হয়। হয়ত অনেকগুলো পদ্ধতি থেকে বেছে নিয়ে নতুন কোন লেখক পেয়ে যেতে পারে তার জন্যে উপযোগী সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি!
অথবা, থাকুক, গাইডলাইন নাই বা হোক, নিছক আড্ডার মেজাজেও তো আমরা জেনে নিতে পারি হাসান মোরশেদ, শিমুল, জুবায়ের কিংবা হিমু কেমন করে জাদুকরী গল্প লিখেন? অথবা অমিত আহমেদের মতন চুম্বক-টানের লেখা কেমন করে আসে? আরিফ জেবতিক, নজমুল আলবাব, সুমন রহমান, সুমেরু এবং কর্ণজয়ও লিখুন। লিখুন আরো যারা গল্প লিখেন বা লিখতে চান।

আমি আমারটা দিয়ে শুরু করতে পারি।
আমি যেটা করি, পুরো গল্পটা আগে মাথায় সাজিয়ে নিই। সব খুঁটিনাটি। তারপর সিনেমার মত করে গল্পটা মনে মনে কয়েকবার দেখে নিই। তারপর গল্পের কথা পুরোপুরি ভুলে গিয়ে আয়েশ করে অনেকক্ষণ ধরে কবিতা পড়ি বসে বসে। প্রিয় অপ্রিয় নতুন পুরোন শক্ত সহজ নানা জাতের কবিতা।
একটা সময়ে কবিতারা যখন মাথার ভেতরে হুড়োহুড়ি শুরু করে, তখন কলম নিয়ে বসে যাই। এবং তারপরে আর ওই গল্পটা লিখি না। লিখি মনে মনে দেখা সিনেমাটা, দৃশ্যগুলোর বর্ণনা করে যাই শুধু।


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এ ব্যাপারে আমার লেখাটা পড়ো নাই?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আসলে ঠিক এব্যাপারে বলাটা ঠিক হবে না। রিলেটেড বলা যেতে পারে বড়জোর।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

কনফুসিয়াস এর ছবি

পড়েছি আগেই। আজ আরেকবার পড়লাম। জম্পেশ।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অমিত আহমেদ এর ছবি

পোস্টটা মোক্ষম হয়েছে! শীক্ষানবিশ হিসেবে আমার নিজেরই জানার একটা আগ্রহ ছিল ব্লগের ঘাঘু লেখকরা কিভাবে লেখেন।

তাঁরা লিখুন আগে, আমি না হয় পরে একটা সম্পুরক পোস্ট মেরে দেবখন।

************************
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

রেফারড:
মার্জিনে মন্তব্য/গল্পের কলকব্জা

(সৈয়দ হকের লেখা নবীন লেখকদের জন্য টিপস জাতীয় বিশ্লেষন গ্রন্থ)

-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...

কনফুসিয়াস এর ছবি

আরিফ ভাই,
সচলায়তনে ফাঁকিবাজদের জায়গা নেই!হাসি
আপনার নিজের কৌশল বলেন।
( আপনার নাম মিস করে গেছিলাম, এখন আবার তুলে দিলাম।)
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এই জাতীয় আলোচনার জন্য বলেছিলাম আড্ডাঘর। তা কেউ দেখি ওই পথ এখন মাড়ায় না।
কনফুর পদ্ধতিটা দারুণ। চেষ্টা করে দেখতে হবে একবার। অনেকে অবশ্য ছবি দেখতে পান না। আমি পাই। কিন্তু সবটুকু বর্ণনায় আনলে অহেতুক লম্বা হয়ে যাবে বা ঝুলে যাবে বলে সাধারণত: লেখকেরা সব আনেন না। কনফু কী করে?
এইজন্য স্ক্রিপ্ট রাইটারের সাথে পরিচালকের ইন্টারপ্রিটেশন মিলে না। মানুষ আলাদা করে ছবি বানায়। কিন্তু পুরো গল্পটা আগে ঠিক করে ফেললে মুশকিল। কিছুটা কলমের হাতে ছেড়ে দিলে পরিশ্রম কম হবে মনে হয়।
আমি জীবনে গল্প লিখেছি খুব কম। ছোটবেলায় লিখেছিলাম একটা। শেক্সপিয়ারের কায়দায় (!)। অর্থাত্ পড়া গলপকে নিজের মত করে নতুন করে লেখা।
একবার টেপরেকর্ডারে ডিকটেশন দিয়ে একটা গল্প লিখেছিলাম। এইটা আমার সাথে ভালো যায় মনে হয়েছিল।
তবে টিভি নাটক লেখাটা গল্পের মত না। এখানে দৃশ্য লিখতে হয়। মূলগল্প আগে লিখে নেই। সবগুলো দৃশ্যের জন্য মূলগল্প থেকে একলাইন করে বরাদ্দ করি। তারপর চরিত্রগুলোকে এনে সংলাপ। বেশ সোজা।

-----------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

কনফুসিয়াস এর ছবি

শোমচৌ,
ডিক্টেশন থেকে গল্প লেখাটা এই সময়ের জন্যে উপযোগী মনে হয়। বিশেষ করে যাদের মাথায় অনেক আইডিয়া।

আমি সবটুকু বর্ণনায় আনি না। এইটা অবশ্য আগে থেকে বলতেও পারি না। গল্প লেখার সময়ই ঠিক করে নিই কতটুকু আসবে আর কতটুকু বাদ যাবে। লিখতে লিখতে আবার অনেক কিছু বদলেও ফেলি।
তবে মূল ব্যাপারটা এরকমই। মাথায় পুরোটা না দেখে লিখতে পারি না।

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ঝরাপাতা এর ছবি

আইচ্ছা। মুই গপ্পো লিখবার ফারি না।

_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মুই ও ফারি না দেঁতো হাসি
মনে যা আসে তাতক্ষণিক কীবোর্ডে খটাখট মাইরা দেই। দেরী করলে আগে কি মনে হইছিলো সেইটা ভুইলা যাই হাসি
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>

সৌরভ এর ছবি

আমিও শিখতে চাই।
আগে যে আবজাবগুলো লিখতাম, ইদানিং সেইগুলোও লিখতেই পারতেছিনা।
কিছুই নাযিল হয় না, ব্যাপক যন্ত্রণায় আছি।

------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ঝরাপাতা এর ছবি

তার মানে অতি সহসা পারবেন @ সৌরভ। প্রসবকালীন বেদনা চলছে আপনার .... লোল।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

??? এর ছবি

আমি ব্লগের লেখক এখনো হই নাই, "ঘাঘু" লেখকতো আরো দূরের মামলা। এই ফোরামে আমার একটামাত্র গল্প দেখা গেছে, তাও ভাস্করের বদান্যতায়। এরই সুবাদে এই এলিট তালিকায় নাম দেখলাম, তালিকা প্রণয়নকারীর ঔদার্য নিঃসন্দেহে। অবশ্য তালিকায় থাকা না-থাকা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নাই, এবং কোনো বাধা-ধরা কৌশল আমি ফলো করি না গল্প লেখার ক্ষেত্রে। সর্বসাকুল্যে গল্প লিখছি সাড়ে সাতটা, প্রতিটা গল্পের কৌশল আমার কাছে ভিন্ন ভিন্ন লাগে। তবে, লেখা, বা কোনো একটা প্রেক্ষিতে লেখক নিজেকে কোথায় লোকেট করবেন, সেটি শিখেছিলাম রাসুল গামজাতভ নামের এক বিস্মৃতপ্রায় রাশান কবির কাছ থেকে। হাতের কাছে পেলে "মাই দাগেস্তান" নামে তার যে গদ্যের বইটা আছে, সেটা পড়ে ফেলতে পারেন। আমার অবশ্য প্রায় বিশ বছর আগে পড়া, এখন পড়লে কেমন লাগবে জানি না।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

সুমন, আপনার 'ডুমরি' গল্পটা এখানে যদি শিগগির পোস্ট না করেন, আমি নিজ দায়িত্বে করে দেবো। আমার কাছে কপি আছে, আপনি জানেন। চাই কি লেখক হিসেবে নিজের নামও বসিয়ে দিতে পারি। হাসি

এই হুমকিতেও কাজ হবে না? আমি চাই এই লেখাটি নিয়ে কথাবার্তা হোক।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

??? এর ছবি

হা হা হা... জুবায়ের ভাই! এখানকার পরিবেশ একটু বদলায়া গেছে মনে হৈল। সিঙ্গার-এর গল্পেই সাড়াশব্দ নাই, সুমন রহমান কোন্ ছার!

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

সুমন, আমি সিঙ্গারে আগ্রহী না হয়েও সুমন রহমান পড়তে পারি।

হুমকিটা কিন্তু আমি প্রত্যাহার করিনি। বড়োজোর স্থগিত রাখতে পারি। হাসি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

প্রিয় কনফুঃ
তোমার এই লেখার উস্কানীতে আরেকটা লেখা তৈরী হয়েছে আমার ব্লগে ।
সময় করে ঘুরে এসো একবার
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কনফুসিয়াস এর ছবি

দেখেছি বস। পড়েছি।
কিন্তু আমার এই পোষ্টের উদ্দেশ্য সিদ্ধি হইলো না তো!
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কারুবাসনা এর ছবি

ঠিক করে নিলাম, সচলায়তনে কেবল লেখালিখি নিয়েই কথা বলব।
ঠিক?


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

সেইরকম কিছু না মনে হয়। আমি তো সব কিছু নিয়াই প্যাচাল পাড়ি।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অমিত আহমেদ এর ছবি

ঘাঘু লেখকরা মনে হয় রহস্য ফাঁস করতে চাচ্ছেন না খাইছে

************************
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

কনফুসিয়াস এর ছবি

সুমন রহমানরে বলি,
লেখক হবার জন্যে কাড়ি কাড়ি লেখার দরকার হয় না মনে হয়। অনেকের হয়, অনেকের এক দুইটা লেখা পড়লেও বুঝা যায়। আপনারে সে কারণেই এই লিষ্টিতে রাখছি। উদারতা দেখাই নাই।
সিঙ্গারের গল্পটা অনেক আগে একবার পড়েছিলাম। অনুবাদেই, তবে সেইটা কার করা ছিলো মনে নাই। আপনারটাও পড়লাম আবার, এক্ষুনি কোন মন্তব্য করতে মন চাইলো না, তাই কিছু লিখি নাই। তবে আপনার প্রতি অনুরোধ, সিঙ্গারের গল্পে সাড়া শব্দ নাই দেখে আপনি গল্প দিবেন না, এইরকম ভাবাটা সমর্থন করি না। সচলায়তনের মত কম্যুনিটির মজাটা এই যে, কোন লেখা কাকে আকৃষ্ট করে, সেইটা যাচাই করে নেয়া যায় সহজে। এইখানে পাঠক যারা, তারা লেখা খুজে খুজে নিয়ে পড়ে। আমি বড় লেখাগুলা ছুটির দিনের জন্যে জমিয়ে রাখি, ধীরে সুস্থে পড়ি। আজ যেমন আপনার গরীবের বিনোদন আর আয়না পড়লাম।
তাই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নিয়া খুব বেশি চিন্তিত হইয়েন না, আমার মত নিশ্চয়ই আরো অনেকেই আছে যারা এইরকম রয়েসয়ে পড়ে!

আর এই পোষ্ট নিয়া বলি- আমার গল্প লেখার যেই কলাকৌশলটা বললাম, এইটাই স্বতঃসিদ্ধ না। এইভাবেই সবসময় লিখি তাও ঠিক না। কিন্তু এই পোষ্ট লিখতে গিয়ে যখন ভাবলাম , আচ্ছা আমি কেমন কইরা গল্প লিখি? তখন ভাবনাগুলা এইরকম সুন্দর একটা সিকোয়েন্সওয়ালা ফরম্যাট দাড় করাইয়া দিলো!
এইটারে আমার ওলটপালট গল্প-কৌশলের প্রমিত রূপ বলতে পারেন! হাসি
আপনারে শুভেচ্ছা।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

??? এর ছবি

ভাই কনফুসিয়াস, সচলায়তনিক প্রতিক্রিয়ায় আমি খুব চিন্তিত না। ব্লগে আমি এক কৌতুহলী পথিকমাত্র, আমার জায়গা অন্যত্র। আর সাহিত্য ওভারনাইট রিঅ্যাক্ট করার মামলা না, ফলে আমি সাহিত্যের ব্লগীকরন নিয়েই সার্বিকভাবে চিন্তিত। কদিন আগে এক ব্লগার বলছিলেন, দৈনিক কাগজে স্পেস নাই, আর নানারকম রশি টানাটানি আছে বলেই এই বিকল্প ব্যবস্থার দিকে এসেছেন! কিন্তু এখানে তো দেখতেছি, দৈনিক-এর লেংথ-এর লেখা দিলেই পাঠকের নাভিশ্বাস! যে গল্প দৈনিক কাগজের সাহিত্য পাতায় অনায়াসে জায়গা করে নেয়, এই আনলিমিটেড ব্লগীয় স্পেসে তাকে তিন/চার শিফটে হাজির করতে হয়, বা লেখকেরা করেন। তার মানে সমস্যাটা স্পেসের না, এপ্রোচের। বিষয়টা নিয়ে আরো ভাবতে হবে...

হিমু এর ছবি

সবাই নিশ্চুপ, কেউ গুহ্যকথা ফাঁস করছে না। আমি বলি কিছু, যদিও তেমন কিছুই লিখতে পারি না।

আমি একটানে লিখে শেষ করতে না পারলে পরবর্তীতে আর এগোতে পারি না। যে কারণে লেখার জন্য বেশ এনার্জি লাগে আমার, একটানা বেশ কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বসতে হয়। প্রথমে মনে মনে একটা রেখা আঁকি। এই রেখা বরাবর কাহিনী এগোবে। সেই রেখার সমান্তরালে আরো ছোটখাটো কিছু রেখার কথা ভাবি, যারা বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে বিভিন্ন জায়গায় শেষ হয়। তারপর আড়াআড়ি রেখা টেনে দাগগুলিকে যোগ করি। তারপর রেখাকে শব্দ দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা করি। বাংলা পদ্ধতি আর কি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

কনফুসিয়াস এর ছবি

সবার আইডিয়া পড়তেই ভাল লাগছে, আপনারটাও।
বাংলা পদ্ধতির আউটপুট যেগুলো আসে, আমার কাছে কিন্তু এটার ডিমান্ড অনেক হাই!

-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমি গল্প লিখি না,তাই আমার কোন চিন্তাও নাই এই বিষয়ে।

-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...

অমিত আহমেদ এর ছবি

কইলেনও একটা কথা... চুলগুলো তার বুকপকেটে ছিল কে লিখেছে শুনি?

************************
আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমাকে লিস্টে দেখে বিব্রত বোধ করছি।
গল্প লেখার চেষ্টা যা করি ওখানে সিরিয়াস কিছু নেই। একটা ঘটনা হয়তো মাথায় ক্লিক করলো, হতে পারে - আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা, শোনা ঘটনা, পেপারের ছোট কোনো নিউজ কিংবা এরকম কোনো সুত্র। ওটাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থিম হিসেবে রাখি। থিমের আশেপাশে কল্পনা জুড়ে দিই, সাম্প্রতিক উপাদান চলে আসে কখনো। কোথাও স্বাস্থ্যবান হয়, কোথাও কঙ্কালসার বিবরণ। চেষ্টা করি শেষ পর্যন্ত ঐ মূলপ্রবাহের কিনারায় থাকতে। সহজাত তাড়াহুড়ার কারণে অনেক সময় মনে হয় যা লিখতে চাইলাম তা হয়নি। এক কথায়, চেষ্টা করি খুব সহজ ভাষায় লিখতে, সহজ বিবরণে - - -।
পাঠকের ভালো লেগেছে জানলে খুশি হই, ভালো না লাগলে কেনো লাগেনি ওটা জানার জন্য উদ্গ্রীব থাকি আরো বেশী।

কনফুসিয়াস এর ছবি

শিমুল,
আপনার এই ক্ষমতাটা ভাল লাগে আমার। চারপাশ থেকে খুব দ্রুতই উপাদান টেনে নেন। আমি এরকমটা পারি না।
লিখবার সময় তাড়াহুড়া না করাই ভাল। ধীরে সুস্থে নিজের মনের মত করে লেখা দাঁড় করানোর পক্ষপাতী আমি।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

দ্রোহী এর ছবি

হায়রে, যদি আপনাদের মত লিখতে পারতাম!
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?

তিন লাইনের কবি এর ছবি

তারেক ভাই, ভালো আইডিয়া দিছেন। থ্যাংকস হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।