ঘটনাটি অনেক দিন আগে আমার এক বন্ধুর মুখ থেকে শোনা।
তাদের গ্রামের নাম ছিলো নোয়াগাঁও। মাঘ মাসের ঝিরিঝিরি এক কুয়াশাঘেরা রাতে সেই গ্রামের কোন একটা মেঠো পথ ধরে হাঁটছিল সে সেদিন।
একই শহরে অফিস আমাদের, ছুটিতে যাচ্ছে সে, আমি জেনেছিলাম আগেই। যাবার আগের দিনই টাউন হলের পেছনের রেস্তোরায় নাস্তা করতে গিয়ে দেখা তার সাথে। কথায় কথায় জানালো, কাল গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। আমি যাবো কি না জিজ্ঞেস করতেই মাথা নেড়ে জানিয়েছিলাম, এবার যাওয়া হবে না আমার। সে চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলেছিলো, সে আমার নয়, তাদের বাড়ির কথা জানতে চাইছে। আমি যাবো কি না সেখানে, বেড়াতে?
এরকম নিমন্ত্রণের জন্যে একদমই প্রস্তুত ছিলাম না আমি। তাই তাৎক্ষণিক কোন উত্তর মাথায় আসেনি। তাদের বাড়ির কথা শুনেছি অনেক, কখনও যাওয়া হয়নি। মনে মনে দ্রুত একটা হিসেব করে নিয়েছিলাম, অফিসে যথেষ্ঠ ছুটি পাওনা ছিলো আমার। তাই অল্প খানিক চিন্তা ভাবনার পরেই আমি তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম, ঠিক এক সপ্তাহ পর তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাব আমি।
সে রাজি হয়েছিল।
বাজারে গিয়েছিলো সে। আজই সকালের দিকে এসে পৌঁছেছে কুমিল্লা থেকে। দুপুরে বেশ খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেলের মুখে গিয়েছিলো বাজারে আড্ডা দিতো। গিয়ে ভালই করেছে, পরিচিত অনেকের সাথেই দেখা হয়েছে সেখানে। দুলালের চায়ের দোকানে ধুন্ধুমার আড্ডা দিয়েছে তার পুরনো কিছু সহপাঠী সহ। গ্রামে আগের মত নিয়মিত আসতে পারে না, এই নিয়ে পুরনো বন্ধুরা অনুযোগ করছিলো কেউ কেউ। কয়েকজন তার জন্য আফসোস করেছে- আর অল্প কিছুদিন আগে এলেও নাকি 'রঙিলা বাইদানী' যাত্রাপালাটি দেখতে পেত। সেই যাত্রা পালায় এবারে এসেছিলো প্রিন্সেস মণিকা, তার রঙীন উড়নি কোথা থেকে কোথা গিয়ে পড়েছিলো বারবার, তারও সরস বর্ণনা চলছিলো অনেকক্ষণ।
এরপর অবধারিতভাবেই চলেছে তাসের আসর। টুয়েন্টি নাইনে ওর বন্ধুরা অনেকেই এখনো সড়গড় নয়, তবু কলব্রীজ খেলতে খেলতেই দু'তিনবার হৈ হৈ করে মারামারি লেগে যাবার যোগাড়। আবার পরক্ষণেই শান্ত হয়ে সবাই খেলতে বসে গিয়েছিলো। সব মিলিয়ে মোটামুটি ভালই কেটেছে সময়। আড্ডা, হট্টগোল আর তাস পেটানোর ফাঁকে ফাঁকেই অনেক নতুন পুরাতন খবর শুনেছে । আসবার সময় দুলাল আবার দু'টি সিগারেটও গছিয়ে দিয়েছে হাতে, অবশ্যই বাকি সবার অলক্ষ্যে, এবং পুরনো ভালবাসার টানেই হয়তো পয়সাও নিতে রাজী হয়নি।
তো এইসব ভাললাগা নিয়ে একা একা ফিরছিলো সে। বাড়ি থেকে বাজার মোটের ওপর মাইল তিনেকের পথ। ঠিকমত দুদ্দাড় হাঁটতে পারলে এক ঘন্টায় চলে আসা যায়। কিন্তু মাঘের রাতে হাওয়া ঢুকে কামড় দেয় চাদরের ভেতরে, খানিক পর পর হাড়ের ভেতরে গিয়ে ঝাপটা মারে শীত, তাই ধীর লয়ে হাঁটতে গিয়ে অনেকক্ষন লেগে যায়।
গাঁয়ের এ পথটা একটু নির্জন, দূর দূর পর্যন্ত কোন ঘর বাড়ি নেই। বরফের মত ঘন অন্ধকার চারপাশে। অসময়ের বৃষ্টি হয়েছে এক পশলা, কী জানি কোথাকার বর্ষার মেঘ পথ ভুলে চলে এসেছিলো হয়তো। এখানে সেখানে পানি জমে আছে। এঁটেল মাটির রাস্তা, কাদা হয়ে আছে নানা জায়গায়। খানিক আনমনা ছিলো হয়তো, পথ চলতে চলতে সেরকমই একটা কাদায় হঠাৎ ওর স্যান্ডেল দেবে গেল। কিছুটা বিরক্ত হয়ে থেমে গেলো সে, টেনে ওঠাল স্যান্ডেলটা। তারপর পাশের ভেজা ঘাসে স্যান্ডেল ঘষে পরিষ্কার করে নেবার জন্যে উবু হতেই ঘটল ব্যাপারটা, কে যেন ঠিক ঘাড়ের ওপর নি:শ্বাস ফেলল। একটা শীতল দীর্ঘশ্বাস, যেন কারও বুক থেকে বিশাল পাথর নেমে গেছে! পাব কি পাব না,এরকম একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে হঠাৎ পেয়ে যাওয়ার ফলে সুখের একটা নি:শ্বাস!
তবে তার জন্য ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই সুখকর ছিলো না। বরং গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল ভীষণ। শিউরে উঠেই ঝট করে মাথা তুলল বিষ্ণু - মানে, আমার বন্ধু।
মাথা তুলে এদিক ওদিক তাকায় সে -নাহ, কিছু নেই তো, কিছুই নেই। চারপাশে ফাঁকা, কেউ কোথাও নেই। নিশ্চিত মনে স্যান্ডেল পায়ে গলিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়ায় আবার। শিস দিতোে দিতোে, আকাশের তারা গুনতে গুনতে যাচ্ছে সে, হঠাৎ কেন যেন মনে হলো যে ঠিক এক্ষুণি নিচের দিকে তাকানো দরকার। বলা বাহুল্য, বিষ্ণু সাথে সাথেই তাকাল। এবং দেখল ছোট্ট একটা সাদা বেড়াল ওর পায়ের ঠিক একহাত সামনেই শুয়ে আছে। হুট করে কোত্থেকে এলো ওটা, ঠিক তার সামনেই, এই চিন্তাটা তখন তার মাথায়ই এলো না একদম। বরং আচমকা দুষ্ট বুদ্ধি খেলে যায়! ছোট বেলার বদ অভ্যাসটা তখনও যায়নি তার। হাঁটু গেড়ে নিচু হয়ে বসে পড়ে বিষ্ণু। তারপর নিঃশব্দে, যেন কিছুতেই টের না পায়, তেমনি আলতো করে বেড়ালের সাদা কালোয় ডোরা কাটা লেজের মাথাটা ধরল সে, পুরোটা নয়- কেবল কয়েকটা লোম মাত্র। তারপরই মারল হ্যাঁচকা টান! 'ম্যাও' শব্দে চিৎকার করে দাঁড়িয়ে গেল বেড়ালটা। গলা দিয়ে গরগর করে রাগত শব্দ করলো খানিকক্ষণ, একবার বিষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো বিষ্ণুর দিকে। তারপর সোজা রাস্তা ধরে ছুটতে শুরু করলো।
আকাশের দিকে তাকিয়ে হা হা করে একবার হেসে ওঠে বিষ্ণু। তারপর মাথা হেলিয়ে আবার সামনে তাকায়।
নেই বেড়ালটা! আশ্চর্য, এত তাড়াতাড়ি চলে গেল! একটু অবাক হয়ে ভাবলো বিষ্ণু, তবে তেমন পাত্তা না দিয়ে আবার হাঁটা দেয়।
সামনের বাঁকা রাস্তা পেরোলেই পড়বে পুরনো ভাঙা কালী মন্দিরটা। তার পাশেই ছোট্ট পুকুর, জানে ও। হঠাৎ খেয়াল পড়তেই মনে মনে মা কালীকে স্মরণ করতে লাগলো সে। ধর্মে কোথাও লেখা নেই, তবু তার বাবা বিশ্বাস করতেন, মা কালী নাকি পুরনো মন্দিরের পাশ দিয়ে যাওয়া একলা পুরুষ পথিককে দেখা দেন মাঝে মাঝে। যদি সেদিন তাঁর মন ঠিক থাকে, আর পথিক যদি হয় ভাল কোন মানুষ, পুরুষ পথিকদের অমূল্য বর দেন তিনি।
লোকে বলাবলি করে তার বাবা নাকি এই বরের আশায় সারা জীবনই মন্দিরের আশেপাশে কাটিয়েছিলেন। তার বাবা অলস প্রকৃতির ছিলেন, এ কথা সত্য। দৈব-দেবেও ঘোর বিশ্বাসী ছিলেন। পরিশ্রম করতে চাওয়ার ব্যাপারে ভীষণ অনীহা ছিলো তার। এমন অনেক দিন গিয়েছিলো, যখন বিষ্ণুকে দুপুর বেলা এই মন্দিরের কাছে এসে বাবাকে ডেকে নিতে হয়েছে বাড়িতে। জ্ঞান হবার পর থেকে বাবাকে এই এলাকার আশপাশেই সময় কাটাতে দেখেছে সে, তবে বাবা বোধহয় শেষমেষ বর পাননি। পেলে মৃত্যুর সময় তিনি প্রাপ্তবয়স্ক তিন সন্তানের জন্যে নিশ্চয়ই শুধুমাত্র একটি কুঁড়ে ঘর এবং মাটির ব্যাংকে জমানো আড়াইশো টাকা রেখে যেতেন না!
মোড় পেরিয়ে কালী মন্দিরটা চোখে পড়তেই বিষ্ণু লম্বা প্রণাম করলো। তারপর ত্রস্ত চোখে এদিক ওদিক তাকাল, হয়তো মা কালীর খোঁজেই, কিন্তু কালী তাকেও দেখা দিলেন না। আরেকটু এগুতেই হঠাৎ বিষ্ণু দেখল,পুকুর ঘাটে কে যেন বসে আছে !
ঘাটের আরও কাছে এগিয়ে গেলো সে।
আরে,বিমলদা না? হ্যাঁ, বিমলদা-ই তো! গায়ে জড়ানো সেই শাল, সেই লম্বা কালো বাবরি চুল। চাঁদের আলো খুব জোরালো নয়, তবু এমনকি ঘাড়ের দাদের সাদা দাগগুলোও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে!
ভীষণ আনন্দে বিমলদার দিকে ক্রমশ এগিয়ে যায় বিষ্ণু।
পাঠক, আমার বিশ্বাস - স্বভাবে বুদ্ধিমান আমার বন্ধু বিষ্ণু যদি দুলালের দোকানে বসে আজকের আড্ডার সব কথা ভালমতন শুনতো, অথবা নিদেনপক্ষে, গল্পের ছলে বলা কালীপুকুরে ডুবে বিমলের মৃত্যুর খবরটায় আরেকটু বেশি মনোযোগ দিতো, তবে সে এভাবে পুকুরঘাটের দিকে নিশ্চিন্তে এগিয়ে যেত না।
কিন্তু নিয়তি ঠেকাবে কে? কেউ নয়, সম্ভবত, সেটি তাকে টেনে নিয়ে গেল বিমলের কাছে। এবং সেই নিয়তিই আবার তার মুখ দিয়ে বলাল,'কেমন আছ,বিমলদা?'
বিমল ঘাড় ফেরালো।
বিষ্ণু লক্ষ্য করলো একদম আগের মতই আছে বিমলদা। সেই চেহারা, সেই নাক, মেয়েদের মত সেই পাতলা ঠোঁট। কেবল প্রাণবন্ত চোখ দু'টি আজকে কেমন যেন নিষ্প্রাণ বলে মনে হয়।
ছমছমে গলায় বিমল বলে ওঠে, 'আয়, বোস। কখন এসেছিস শহর থেকে? '
'এই তো, আজই,' বলে বসে পড়ল বিষ্ণু বিমলের পাশে।
দু'জনে গল্প করতে লাগলো। ছোটবেলার গল্প; কত মজারই না ছিলো সেসব দিন! চেয়ারের পায়ায় লেগে বিপিন স্যারের ধুতি খুলে যাবার কথা মনে করে পেট চেপে হাসতে লাগলো দু'জন। শেষ মুহুর্তে হাত দিয়ে গোলপোস্টে বল ঢুকিয়ে দিয়ে নিজেদের দলকে জিতিয়ে দেয়ার আনন্দ স্মৃতিও রোমন্থন করলো অনেকক্ষণ।
এক সময় হঠাৎ বিমল বলে উঠল,'চল বিষ্ণু, স্নান করি! '
বিমলের আচমকা প্রস্তাবে অবাক হয়ে গেল বিষ্ণু!- 'তুমি কি পাগল হয়ে গেলে বিমলদা! এখন স্নান করবে? এই শীতে?!! '
'আরে ধ্যুৎ,আয় তো! কিস্যু হবে না', বলে বিষ্ণুর হাত ধরে টান দিল বিমল।
অল্প শীতে কাঁপতে কাঁপতেই নিজের ঠান্ডা হাতে বিষ্ণু অনুভব করলো একটি বরফ শীতল হাতের স্পর্শ।
পাঠক,এর ঠিক এক সপ্তাহ পর এই একই রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে বিষ্ণু আমাকে বলেছিলো এই ঘটনা।
বলেছিলো, পরদিনই নাকি লোকে কালীপুকুরে ওর লাশ খুঁজে পায়। ফুসফুসে পানি ঢুকে মারা গিয়েছিলো সে। সে মানে, হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, বিষ্ণু।
ওর গল্প এখানেই শেষ।
কিন্তু আমার নয়।
আমি এখন বহু রাত ধরে অপেক্ষা করছি,আমার গল্পটা শোনাবো কাউকে।
কেউ শুনতে আসবে, এমনই কোন কুয়াশা ঘেরা শীতের রাতে, একা।
কালীপুকুরের ঘাটে বসে তাকে শোনাবো আমি আমার গল্প।
আসবেন নাকি আপনি?
আসুন না একবার, মাত্র একটি বার?
আমার নিমন্ত্রণ রইল।
---------------
ছবি: শিল্পি শাহাবুদ্দিনের - থার্স্টি ( তৃষ্ণার্ত)
মন্তব্য
মন্তব্যটীকা । অথবা মন্ত-বটিকা
------------------------
গল্পে তথ্যগত কিছু বিভ্রান্তি আছে (ভুল নয়)। লিখেছিলাম অষ্টম শ্রেণীতে পড়বার সময়। সেই সময়ের জ্ঞান এবং ধারণার উপর লেখা। সুতরাং সেগুলো মার্জনীয় হবে আশা করি।
অতি দুর্বল গল্প। তবু ভালোবাসি। দশম শ্রেণীতে উঠে রহস্য-পত্রিকায় পাঠিয়েছিলাম। নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাস নি:শ্বাস আটকে অপেক্ষা করেছিলাম। সপ্তম মাস থেকে নি:শ্বাস নেয়া শুরু করি।
তার ঠিক দু' বছর পরে, জুন ২০০০ তখন, টুয়েলভ পাশ করেছি। সানরাইজ কোচিং থেকে আত্মিয়ের বাড়ি ফিরে দেখি, কুমিল্লা থেকে আমার নামে একটা প্যাকেট। ভেতরে একটা রহস্যপত্রিকা। সাথে টাইপ করা একটা ছোট চিঠি। গল্পের সম্মানী ৭০ টাকা। আমি যেন অনুগ্রহ করে সেটা সেবা প্রকাশনী থেকে গিয়ে নিয়ে আসি।
স্কুল ম্যাগ-এর বাইরে সেই প্রথম ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা। সাথে- সেই প্রথম উপার্জন। হোক না ৭০ টাকা!
ভালোবাসি বলে নিজেকে দোষ দেই না।
-
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
দারুন গল্প। তবে প্লটটা অনেকবেশী জনপ্রিয়........তবুও বলবো, যথারীতি কনফুসিয়াসীয়।
কি মাঝি? ডরাইলা?
অষ্টম শ্রেনীতেই এমন তুখোড়? জিনিয়াস!
××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
এইটেই এই অবস্থা? আজ তিরিশ বছর পার হলেও এমন কাহিনী আমি লিখতে পারবনা। ভাল না লাগার কোন কারণ নেই।
কচি হাতের কলম থেকে
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
পড়তে পড়তে জায়গামতো দু'তিনবার গায়ে কাঁটা দিলো। তাহলে আর কাঁচা গল্প বলি কী করে?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
চমৎকার! ,,, আগেও পড়েছিলাম যদিও ,,,তবুও বারবার পড়া যায় ,,,সাথে জ্ঞানী কনফুসিয়াসের স্মৃতিচারণ
নেমন্তন্ন গ্রহন করলাম ,,, কবে যেতে হবে কালীপুকুরের ঘাটে?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
দ্রোহী বস,
ঠিক কথা। ভয়ের গল্পের সবচেয়ে কমন প্লট এটা। কিন্তু ঐ সময়ে এর চেয়ে ভাল কিছু মাথা থেকে বের হয় নাই।
বাকি সবাইরে 'ভয়' পাবার জন্যে ধন্যবাদ।
-
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
জীতে রহো
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
পোলা পুচকা বেলা থেইকাই পাকনা ছিলো বুঝা গেছে।
--তিথি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
কথা সইত্য ...
গল্পের ভাষাগত কিছু ছোটোখাটো সমস্যা চোখে পড়লো যেগুলো নেহাৎই কসমেটিক, কিন্তু গল্পটা খুব ভালো লাগলো। এর ফরম্যাট (আমার লেখার নিচে মন্তব্যে যেমন লিখেছেন) কিন্তু আমার কমন মনে হলো না, হয়তো কম পড়েছি ভৌতিক গল্প তবু এর অভিনবত্বে মুগ্ধ হতে বাধা পেলাম না। গল্পটি পুণর্লিখনের দাবি রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন