মনিপুরিদের শানাম্যাহি ধর্ম ও 'রিভাইভেলিজম' (শেষ পর্ব)

কন্থৌজম সুরঞ্জিত এর ছবি
লিখেছেন কন্থৌজম সুরঞ্জিত (তারিখ: শনি, ১২/০১/২০০৮ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'মণিপুরি' বা 'মণিপুর' শব্দটির সাথে সেই অঞ্চলকে প্রচলিত ও পরিচিত আখ্যানের আলোর ভেতর দিয়ে দেখার যে ঐতিহাসিক প্রবণতা তা শুরু হয়েছিল রাজপ্রাসাদ দখল করার মধ্য দিয়ে। রাজপ্রাসাদ দখল করে ঔপনিবেশিক মিশন সফল করার সহজ কৌটিল্য-চিন্তার সাথে সেখানকার মাটিলগ্ন ধ্যান ধারণা, লোক সাহিত্য, লোক চিন্তন সর্বোপরি তাদের নিজস্ব জগতের সাথে সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে। তাই পাঙল('মেইতেই পাঙল'/মনিপুরি মুসলমান)সমাজে তো বটেই মেইতেই সামজে ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়বাদের দ্রুত মূলোত্পাটনের একটা কারণ প্রথিত আছে তাদের মাটিলগ্ন ঈশ্বর চিন্তায়।

মনিপুরে প্রথমে 'রামান্দি ধর্ম' প্রবেশ করে রাজ দরবারে। রাজপরিবার কেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনাই ছিল ধর্ম প্রচারকদের সামগ্রিক তত্পরতার মূল নিশানা। রাজপরিবারের পর আখ্যানভূক্তির নিশানার মধ্যে এল অন্য আদিবাসী ও মেইতেইরা। অপরাপর আদিবাসী এবং মেইতেইরাই অঞ্চলটির রাজনৈতিক-সমাজিক-ঐতিহাসিকভাবে সক্রিয় আদিবাসী। আবার এই আদিবাসী সমাজের বেশ কিছু অর্জন ছিল। নিজস্ব চিন্তাপদ্ধতি, রীতি-নীতি দর্শন তো ছিলই। এবং যেহেতু রামান্দি ধর্মান্তর প্রক্রিয়াটাই ওদের কাছে আরোপিত তাই তাদের যা কিছু অর্জন তা দিয়েই তারা দ্রোহী হয়ে ওঠে। এ তত্পরতার পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেছিল মহারাজ গরীব নেওয়াজের (পামহেইবা) সময়।

সামগ্রিক মনিপুরি ইতিহাসের প্রধান অংশ জুড়ে জারি আছে মেইতেই বা পাঙন ভাষাভাষীদের কৃতি-কর্ম। কারণ, সে অঞ্চলে মূলতঃ ইম্ফলকে কেন্দ্র করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠে বা যে স্বরাজ্য ছিল তার সামগ্রিক কাঠামোতে এ ভাষাই ব্যবহৃত হয়েছে। উদাহরণ সরূপ, সমগ্র প্রাগঔপনিবেশিক দলিলাদি নিজস্ব অরে লিখিত। গরীবনেওয়াজের সময় সেই সব প্রাকঔপনিবেশিক দলিলাদি ভষ্মিভুত করার মহান ঊত্সব পালিত হলেও ভিন্ন গোত্র, গোষ্ঠীগত স্বায়িত্বশাসন, কেন্দ্রের সাথে ওদের দ্বান্দ্বিক অবস্থান সাথে কালজয়ী চিন্তক ও জনসাধারণের প্রায়োগিক অথচ নীরব তত্পরতায় সেগুলোর অনেকটাই রয়ে যায়। যা এখন প্রকাশ হয়ে চলছে ক্রমশ।

সাধারণ মেইতেইদের আরাধ্য দেবতা হচ্ছে শানাম্যহি। ওদের ধর্মের নামও তাই শানাম্যহি। অথচ রাজপ্রাসাদের আরাধ্য দেবতা হচ্ছে পাখ্যংবা। মনিপুরি লিখিত পুরাণ-কাহিনী জুড়ে তাই পাখ্যংবার জয়গান। অথচ প্রতিটি ঘরে সাধারণ মেইতেই এখনো শানাম্যহি আরাধনা করে। এইই হচ্ছে সেই দ্রোহের মূল কারণ- ভ্রুণ, যার কথা আগে উল্লেখ করেছি। একই ভাষাভাষির ভেতর ধর্মীয় ভাবনায়, তাদের চিন্তা চেতনায় পারস্পরিক দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব আবহমান কাল ধরে ছিল, আছে।

নিজস্ব সংস্কৃতিকে সংরণের জন্যে লোকসমাজের ক্রম ধাবমান আন্দোলন দৈবাত্ক্রমে হঠাত্ জ্বলে ওঠা কোনো বিষয় না। হলেও তা পরিমাণগত পরিবর্তন থেকে গুণগত পরিবর্তন হবে। পামহেইবা রাজার সময় মহাত্মা (মাইচৌ পুরেল) খোংনাংথাবার বিখ্যাত প্রতীকি উক্তি স্মর্তব্য। উনি বলছেন- যে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে তাকে তো নেভানো যায়। কিন্তু জনসাধারণের মনে যে অদৃশ্য আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে তাকে কোন শক্তি দিয়ে নেভাবে? শান্তিদাস গোস্বামীর বশংবদ পামহেইবা রাজাকে কথাগুলো শোনান তিনি। একদিকে অর্থনৈতিকভাবে শোষন, মতা জঘন্য প্রয়োগ ও পররাজ্যনীতিতে দখলদার নীতি গহণের কারণে লোকসাধারণের মনে সত্যি সত্যি তখন আগুনের কুণ্ডলী পাকাচ্ছিল। পামহেইবা ও শান্তিদাস গোস্বামীকে হত্যার ঘটনা সেই আগুনের সহিংস প্রকাশ।

এই ঘটনার পরবর্তী পর্যায়ে বৈষ্ণববাদ এই দুই বর্গের তুমুল দ্বন্দ্বকে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসে। সহনীয়, কারণ এ ধর্মীয় মূলভাব ও কৃত্যের সাথে সেই মাটিলগ্ন সামগ্রিক চিন্তার তেমন পার্থক্য নেই। এবং অবশ্যই সহাবস্থান চলে। কিন্তু পরবর্তীকালে নব্য বৈষ্ণববাদের প্রভাব, উঠতি ব্রাহ্মণশ্রেণী ও আচারসর্বস্ব কাঠামোর কারণে এ সমাজে বৈষ্ণব দর্শন চর্চা ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ে। সে অঞ্চলের প্রান্তে যাদের জীবন যাপন তাদেরকে 'বৈষ্ণব' ধর্মের নামে অর্থনৈতিকভাবে কি পরিমাণ শোষণ-নির্যাতন করতো তার অনুপুঙ্খ দলিলের কিছু অংশ আমরা পেয়েছি।

এসব কারণে প্রাকঔপনিবেশিক নিজস্ব কীর্তি, অর্জনকে খোঁজে ফেরা বা সংক্ষরণের প্রত্যয় ও তার জন্যে যুগপত্ তত্পরতা... বিশেষ করে এই নিম্নবর্গীয় সমাজের প্রেক্ষিত সেটা আর যাই হোক অন্ততঃ 'রিভাইভেলিজম' নয়।

আরও কিছু কথা:
উল্লিখিত ঘটনাগুলো ঘটেছে মূলত সমাজ শাসিত ভারতবর্ষ যুগে। তার সাথে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এমনকি ১৮৯১ সালের এংলো-মনিপুরি যুদ্ধ, ভানুবিলের কৃষক আন্দোলন বা ক্ ত্রিম খাদ্যসংকটের ফলে ইম্ফালে নারীবিদ্রোহের ঘটনার সময় পর্যন্ত স্থান-বর্গ নির্বিশেষে তাদের নিজস্ব একটা সামগ্রিক সাহিত্য-সংস্কৃতি-ধর্মীয় ও চিন্তার জগত্ ছিল। এসব কারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যূদয়-পূর্ববর্তী সময়েই 'মণিপুরি' শব্দ দিয়ে এ জনগোষ্ঠীকে চিনে নেয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন এক জাতিরাষ্ট্রের অভ্যূদয় হলেও আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের ধর্মের কারণেই অপরায়নের কথা আসে। এখানে প্রান্তিকায়নের নানা ক্ষেত্রে সক্রিয়। পাঙল ও বিষ্ণুপ্রিয়াদের চেহারার কারণে তাদেরকে এদেশের মূল সমাজ থেকে সহজে আলাদা করা যায় না। মেইতেইদের কয়েকটা গোষ্ঠী ছাড়া মোটামুটি সবাইকে আলাদা করা যাবে। বিষ্ণুপ্রিয়ারা বাঙালি হিন্দুদের সাথে সহজেই ধর্মীয় ও চেহারাগত মিলের কারণে যুক্ত হতে পারে। কিন্তু মেইতেইরা বর্ণ, উচ্চারণভঙ্গি, জটিল ধর্ম-কর্ম-কৃত্যের অবগুন্ঠনে আলাদা হয়। এই সূত্র ধরে অনেক পন্ডিত আবার 'এথনিক মণিপুরি' শব্দবন্ধটি দিয়ে শুধু একটি অংশকে 'মূল মণিপুরি' হিসেবে প্রচার করে। কিন্তু কি ভানুবিল কৃষক আন্দোলনে, কি মুক্তিযুদ্ধে ও বিভিন্ন সংগ্রামে এরা পরস্পর সহগামীই হয়েছে। সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছে এদেশের স্থানিক ও নিম্নবর্গ, জাতীয় চিন্তক ও প্রগতিশীলদের। তাই বি-উপনিবেশায়ন প্রক্রিয়ায় যদিও প্রাগঔপনিবেশিক অর্জনগুলোই প্রধান অস্ত্র, তদুপরি উপনিবেশিক অভিজ্ঞতার মূল্য অনেক।

ক্ষমতাবলয়ের সাথে সংলগ্ন হওয়ার ফলে নিম্নবর্গীয় মনিপুরিদের ভাষা আজকাল অনূদিত হচ্ছে কিছু কিছু। জারি থাকা কাঠামোর ছিদ্র ও অলিগলি দিয়ে এবং যুপপত্ সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছে ওদের জীবন যাপন, চর্চা ও চর্যা। আমরা দেখবো 'মণিপুরি' শব্দটির পাশাপাশি বিষ্ণুপ্রিয়া, মেইতেই/মীতেই ও পাঙন শব্দগুলো আমাদের মতায়িত শব্দভান্ডারে ঢুকে যাচ্ছে যদি এ সমাজ টিকে থাকে। এ রাষ্ট্রের শক্তি সঞ্চয় আরো পোক্ত হলে 'মণিপুরি' শব্দটির আবার কী মানে? দূর্বল রাষ্ট্রব্যবস্থায় ক্ষমতা ও অথনৈতিক সুষমবন্টনের অভাব এবং অপরায়নের চলতি প্রকৌশলের প্রতিক্রিয়াই হয়তো শব্দটির নব্য প্রাণভ্রমরা। অথচ আমরা চাই দূর্বল রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নয়, মূলতঃ অংশীদারমূলক জাতিরাষ্ট্রের মধ্যেই ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা মনিপুরি শব্দটিও সজাগ থাকুক। বাংলাদেশ যেনো বিষ্ণুপ্রিয়া, মীতেই, পাঙন শব্দগুলোকেও আপন করে নেয়।

এখানে যে ঐতিহাসিক ঘটনা ও কিছু পাল্টা জ্ঞানভাষ্য ব্যবহৃত হল সেগুলোর হদিস মিলে লিখিত কিতাবের প্রান্তিকায়িত স্পেসে। আর এদেশে এখনো সেগুলো তাদের লোকসংস্কৃতি, গল্প, গান, টোটেম-ট্যাবু ও কুসংস্কারে সক্রিয়। দেখি, তাদের সামগ্রিক লৌকিক ধর্ম চর্চায় এদেশের লোকায়ত সহজীয়া ও দেহতাত্ত্বিক প্রায়োগিক দর্শনের মিল। কথা হচ্ছে, এ নিম্ন মধ্যবিত্ত শাসিত এ সামজে যেভাবে অবিশ্বাস, হীনম্মন্যতা ও ঔপনিবেশিক জ্ঞানভাষ্য জারি থাকছে সেখানে এ লোকভাষ্য ভাষান্তর করার সাহস ও কর্মতত্পরতা কই? কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এ ভাষান্তরও এক ধরনের উদ্ভাবন, প্রকৃত ভাষাকে আধিপত্যবাদী প্রকরণ বা ভাষিক সীমানায় সাপ্লিমেন্ট বা জুড়ে দেওয়ার প্রকল্পই বটে। আর এরকম প্রকল্পে লোকসমাজের কী বা এসে যায়? কর্মতত্পর সাধারণের ওপর উদ্ভাবিত 'মণিপুরি' ডিসর্কোস আরোপ করার ঔপনিবেশিক প্রকল্পের বিরোদ্ধে বরং রুখে দাড়ানো জরুরি।
_________________
ছবি: ইম্ফালে ঔপনিবেশিকতা-বিরোধী নারীবিদ্রোহ, ১৯৩৯।


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

শহর সিলেটে জন্ম ও বেড়ে উঠার কারনে 'মনিপুরী'দের প্রতিবেশী হিসেবে পেয়েছি । শিলং এ পড়ালেখার সুবাদে মেইনল্যান্ড মনিপুরীদের সাথে ও দেখা হয়েছে । ২০০০ সালে একবার ইম্ফল ও ঘুরে এসেছি ।
বিষ্ণুপ্রিয়া(সঠিক বানান আসছেনা) ও মৈতেয়ী দ্বন্ধ প্রকট দেখেছি ওখানে । শিলচরের মনিপুরীদের সাথে ইম্ফলের মনিপুরীদের অনেক পার্থক্য ।

বাংলাদেশে যারা 'মনিপুরী'- যেমন সিলেটের শিবগঞ্জের,রাজবাড়ীর, কমলগঞ্জের মনিপুরীরা কি একই গোত্রভুক্ত নয়?
আর আমি যাদের দেখেছি-বাংলাদেহস ভারত মিলিয়ে সকলকে তো হিন্দুধর্ম অনুসারীই দেখলাম ।

----------------------------------------
শমন,শেকল,ডানা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কন্থৌজম সুরঞ্জিত এর ছবি

১।

আমি যাদের দেখেছি-বাংলাদেহস ভারত মিলিয়ে সকলকে তো হিন্দুধর্ম অনুসারীই দেখলাম ।

আপনি ঠিকই বলেছেন। এরা অধিকাংশই বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বি। কিন্তু আপনি ঘরের ভেতর গিয়ে দেখবেন তাদের প্রাকৃত ধর্মের যুগপত্ সক্রিয়তা(শানাম্যাহি)।

আমার মূল নিশানা সেই সব নিম্নবর্গদের ধর্মদর্শন ও তাদের নিজস্বতা সংরক্ষনের আন্দোলনকে 'রিভাইভেলিম' হিসেবে উপস্থাপনের বিরোধীতা করা।

২।

বাংলাদেশে যারা 'মনিপুরী'- যেমন সিলেটের শিবগঞ্জের,রাজবাড়ীর, কমলগঞ্জের মনিপুরীরা কি একই গোত্রভুক্ত নয়?

একই গোত্রের। তবে আরও ভালো হতো যদি আপনি 'গোত্র' বলতে কিসের ওপর জোর দিচ্ছেন তা জানালে।

কন্থৌজম সুরঞ্জিত

অতিথি লেখক এর ছবি

একটি অফ টপিক প্রশ্নঃ

উল্লুকের (gibbon) উপর একটি ছবির বই করছি। মনিপুরী এবং অন্যান্য পুর্বভারতীয় ও পুর্ববাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতিতে উল্লুকের বিভিন্ন উপকথা (legends and myths) রয়েছে। কেউ কিছু রেফারেন্স দিতে পারেন কি?

- সিরাজুল হোসেন
উল্লুকের ছবির জন্য http://www.sirajul.com

কন্থৌজম সুরঞ্জিত এর ছবি

আমারও 'legends and myths' খুবই প্রিয় বিষয়। 'উল্লুক'এর চরিত্র আছে এরকম লোক কাহিনি তো আছেই। কিন্তু এই মুহূর্তে ওদের ওপর লেখা বইয়ের হদিস নাই। তবে আপনি ওদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে: http://www.manipurresearchforum.org/index.htm

আর মনিপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসরদের কাছে আমি ব্যাক্তিগতভাবে খো(ন)জ নিতে পারি।

কন্থৌজম সুরঞ্জিত

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আমি মনে করি 'legends and myths' ই আমাদেরকে বিজ্ঞান পড়ার পর্যায়ে এনেছে। এখনও জীবনের কঠিন প্রশ্নের উত্তর সেখানেই, এগুলোকে হারিয়ে ফেলা যাবে না।

মনিপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসরদের কাছে খোঁজ নিয়ে আমাকে জানালে খুবই খূশী হবো।

আমার সাইটে ই-মেইল ঠিকানা পাবেন।

আবারও ধন্যবাদ।

- সিরাজুল হোসেন

কন্থৌজম সুরঞ্জিত এর ছবি

আমি মনে করি 'legends and myths' ই আমাদেরকে বিজ্ঞান পড়ার পর্যায়ে এনেছে। এখনও জীবনের কঠিন প্রশ্নের উত্তর সেখানেই, এগুলোকে হারিয়ে ফেলা যাবে না।

-মিথ ও মিনিং ব্যাপারে লেভি স্ত্রস এর বক্তব্যে 'মিখ ও বিজ্ঞান' নিয়ে বলা কথাগুলো মনে পড়ে গেল। শুভেচ্ছা আপনাকে।

কন্থৌজম সুরঞ্জিত

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সবগুলো পর্বই খুব মন দিয়ে পড়লাম। এই গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ @কন্থৌজম সুরঞ্জিত।।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

কন্থৌজম সুরঞ্জিত এর ছবি

আমিও 'মনিটরিং' বিষয়ে আপনার দাবির সাথে সহমত।
এম এন লারমা নিয়ে আপনার লেখাটা ভালো লাগলো।

শুভেচ্ছা আপনাকে।

কন্থৌজম সুরঞ্জিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।