ঙ.
জলহস্তি আজ সমুদ্রের কাছে যাবে।
যেন দাদীর গল্পে
ব্যাঙের নকশি মুখে ঝরে মণিমুক্তো
অথচ এরা
বিলের পাশে, রাস্তায়
মাঝেমাঝে দেখেছে শুধু ক্যারাভান।
একদিন, মনে পড়ে-
ক্যারাভান থেকে বের হলে কাঁসার শিঙা
ভাবে-
এই বিলে, পাশগ্রামে
মহিষের শিঙার ওপর
কেরামতি করা যাবে!
চ.
সকালের বাঁশঝাড়ে ঝুলে থাকা সূর্য
ছুঁয়ে আসে এরা দলে দলে
লম্বিত দুপুর এলে আকাশের রূপে
এই মাঠ, এই বিল
ধারন করে যুগপত্ চঞ্চল ও স্থির
আবর্তিত মেঘ
সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে
বিভিন্ন বয়েসী ঘুর্ণিরূপ খেলা
তবে জলহস্তি আবার মেঘের রূপ নিল!
ছ.
রাতে এবার শকুন বের হলে
প্রথমে পাহাড়
ভুলিয়ে রাখে ওর সমস্ত আভরনে
তবে সেও উদোম হলে
দু’পাশের গ্রামে যুবক-তরুন
পুনরায় শুরু করে পাহারা দেওয়ার চল;
নকশির কাহিনিও এভাবে জলহস্তি হল।
কত জন এল, মিশে গেল ফিরে...
গেড়ে বসে গেছে আলো পাহাড়-চূড়ায়।
এতদিন লাউয়াছড়া
এসেছিল ফেলে কিছু পবিত্র জল
পাহাড়ের ভাঁজে।
আজ সযতন পাহারায়
সারি সারি টোটেম, ভাষা ও আখর...
যা কিছু সেই জলহস্তির মতো, স্মৃতি
নিয়ে এল মিনারেল-
লাওয়ারিশ ছড়ায় জমে ওঠা চরে
মন্তব্য
লাউয়াছড়া কাহিনী মনে বেশ দাগ কাটছে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
সুন্দর ও সাজানো হোক জীবন। জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নতুন মন্তব্য করুন