কাস্টমার বেনিফিট সার্ভিস

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০১/২০০৮ - ২:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্রাট আকবর নাকি কোনো সামন্তকে গিলে ফেলতে চাইলে তাকে দু-তিনশো হাতি পুরস্কার দিয়ে বসতেন
মৃত্যুদণ্ড- নির্বাসনদণ্ড- কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বাইরে এ ছিল সম্রাটের এক দূরদর্শী চুতিয়া-দণ্ডের মৌলিক আবিষ্কার;
কেননা সম্রাটের হাতি দিয়ে কামলা খাটানো নিষেধ- বিক্রি করাও নিষেধ আবার ফেরত পাঠানোও নিষেধ
সম্রাটের উপহারকে বসিয়ে বসিয়ে পুষতে হয়- রং মাখিয়ে শোভাযাত্রায় নিতে হয় এবং ঘরের সামনে সাজিয়ে রাখতে হয় বংশের গৌরব জেনে
তাই তালুক-মুল্লুক নিলামে তুলে- ঘানিতে চৌদ্দগুষ্ঠির কাঁধ জুড়ে দিয়ে ধরে রাখতে হয় সম্রাটের প্রীতি উপহারের ভার

কিন্তু বাবর-বংশের এই বুদ্ধিমান নৃপতি ঘুন্নাক্ষরেও বোঝেননি যে
কলম্বাসবংশ তার আইডিয়া মেরে দিয়ে বহুজাতিক কোম্পানির হাতি ঢুকিয়ে দেবে ইঁদুরের গর্ত দিয়ে

নইলে এই উদারবাদী রাজা উত্তর প্রজন্মকে রক্ষার জন্য নিশ্চয়ই কোনো বিশেষ আইন তৈরি করে যেতেন


মন্তব্য

ধূপছায়া এর ছবি

বেশ জটিল!

নজমুল আলবাব এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

তুমুল লাগলো।

সৌরভ এর ছবি

ঝাঞ্জাশ!


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

বজলুর রহমান এর ছবি

আকবর দি গ্রেটও এই কাজ করেছেন না কি ? তবে হ্যাঁ, এই অশিক্ষিত মুগল সম্রাট দারুন বুদ্ধিমান ছিলেন সন্দেহ নেই। ভারতের সব মানুষকে তাঁর উদ্ভাবিত দীন-ই-ইলাহী ধর্মও নিতে আহবান করেছিলেন একতার খাতিরে। ভয়ে কিছু দরবারী লোক তা করেছিলেন, কিন্তু আকবরের মৃত্যুর পরে আর টেঁকে নি।

আমি শুনেছিলাম থাই রাজা এই কাজ করতেন, "প্রিয়" উঠতি সামন্তকে সাইজ করতে পাঠাতেন শ্বেতহস্তী। এখন প্রবাদ হয়ে গেছে।

রানা মেহের এর ছবি

ভালোই তো।
আমরা তো হাতি পুষতেই ভালোবাসি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

দিগন্ত এর ছবি

"ভয়ে কিছু দরবারী লোক তা করেছিলেন"
- দ্বীন-ই-ইলাহী ধর্ম প্রচার করেছিলেন আকবর এরকম কথা কখনো শুনিনি (পাকিস্তানী এক গবেষকের কথা ছাড়া)। আর ভয় দেখিয়ে যদি উনি ধর্ম প্রচার করতেন তাহলে দরবার কেন, লাখে লাখে ভারতবাসী ছিল ধর্ম গ্রহণ করার জন্য।
আকবর যেভাবে দূরদর্শিতা দেখিয়ে গেছেন, আরো কয়েকজন মুঘল সম্রাট তা দেখালে ভারতের মাটিতে ঔপনিবেশিকতার ঘাঁটি গাড়া শক্ত ছিল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমিও একেবারে একমত
আকবরের রোমান্টিক দিক বাদ দিয়ে বোধ হয় তার রাজনৈতিক চিন্তাগুলোর দিকে আমাদের একটু নজর দেয়া দরকার
বৃটিশরা আকবরের সাম্রাজ্য কাঠামো গ্রহণ করেই ভারত শাসন করেছে তাদের দ্বিতীয় একশো বছর (দিল্লিতে রাজধানী যাবার পর)
আমাদের দেশের ভূমি আইন এখনও আকবরের
বাংলা ক্যালেন্ডার...

আকবরের রাজনৈতিক এবং উদারনৈতিক (তার দীনই ইলাহি সহ) আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়

তাপস শর্মা এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।