এই খাণ্ডবে এসো পুষ্পিতা আদিম কালের মৌলিক নারী
ইস্রাফিলের শিঙ্গার চোখ বুড়ো আঙুলে অন্ধ বানাও
ঝুড়ির তলার বাকি সঞ্চয়ে হবে না সদাই সব দরকারি
তাই ফেলে রাখো হিসেব নিকেশ; পাই-কানাকড়ি কৃপণ বাজার
যা কিছু সময় আছে আগুনের খেয়ে যেতে এই নশ্বর দেহ
তারি মাঝে এসো সাজাই দুজনে স্বচ্ছ সত্য প্রেমের মাজার
মেরো না সস্তা প্রশ্নের তীর ক'রো না প্রাচীন কিশোরী কসম
কোনো লেনদেন কোনো দর-দাম কোনো আয়োজন থাকবে না আজ
আজ সন্যাস; ঘর বাড়ি ছেড়ে লজ্জার গায়ে পশুর পশম
শ্রীকৃষ্ণ রাধা হয়েছে অমর না করে কবুল বিবাহের বিষ
বিশুদ্ধ প্রেম এই সুরে তোলে বাঁশের বাঁশিতে ঘর-ছাড়া টান
মনের বাগানে সঙ্গত করো অতিথি পাখির মৌসুমী শিষ
চেয়ো না দলিল ধর্ম কিংবা সমাজের নামে নোংরা চুক্তি
আমাদের মাঝে ধরে রাখো নারী আদি পৃথিবীর প্রেম প্রযুক্তি
১৯৯৫.০১.৩০ সোমবার
মন্তব্য
খুব চমৎকার লাগলো।
আপনার বাঁক ফেরা খুব ভালো লাগলো প্রিয় কবি ।
অসাধারণ!!!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
তুই কেমন করে যাবি
পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া
আমাকেই তুই পাবি......
........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ছবিটা কার?
কি মাঝি? ডরাইলা?
অতিশয় উত্তম জিনিস! তৃপ্তি পেলাম।
-জাহিদ হোসেন (নির্বাসিত)
_______________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ছবি দেখে না কবিতা পড়ে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
ভালো দাদা ভালো, চালিয়ে যান আদি ও অকৃত্রিম পেম যতদিন পারা যায়...!!
সচলায়তন এর খোঁজ পেয়েছি মুক্তমনা থেকে । এ জন্য মুক্তমনার অভিজিত রায়কে ধন্যবাদ। এ তত্থ্যটি আমার মন্তব্যের সাথে সংযোজন করার অনুরোধ রইল।
লেখাটা ৯৫ এর লেখা? উফ! তখন আমি ছড়া কাটি।
চমৎকার লাগলো। বিশেষত শেষ দুটি লাইন -
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন