সচলায়তন সংকলন; আনাড়ি প্রকাশনার খপ্পরে প্রাণবন্ত লেখা

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০২/২০০৮ - ৭:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক.
কাল বইমেলায় ঢুকেই শুনলাম আহমেদুর রশীদ সচলায়তন সংকলন খুঁজে পায়নি। অমিতকে ফোন করলাম- জরুরি দরকার
অমিত এসে হাজির- এটার জন্য খোঁজ করছিলেন?
অমিতের হাতে সচলায়তন সংকলন

খ.
ধরেই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। কোন বেক্কলের হাতে পড়েছিল এই ঢাউস বইটি প্রকাশের ভার? প্রকাশনার মিনিমাম অভিজ্ঞতাতো দূরের ব্যাপার ধারণাও নেই যে এই বইটি করেছে তার
অনেক খুঁজলাম। কোনো নাম ঠিকানা নেই। একটা পাওয়া গেলো। দেখি তাও হিটলারের দেশের। জার্মানির

গ.
ঠিক করলাম বইটা নেবোই না। আনাড়ি পাবলিকেশন আমি সাধারণত পড়ি না। ফেলে দেই। বিরক্তি লাগে
এটাও নেবার কোনো মানে নেই। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো এটা একটা স্বপ্নময় সংকলন। যাদের লেখা এখানে আছে তারা কেউ জানেই না যে তাদের লেখাগুলোকে রিমান্ডে নিয়ে কারা কী করছে। সবাই শুধু একে ওকে জিজ্ঞেস করেছে- কবে আসছে? কারা করছে?
আচ্ছা দেখি। নিয়ে নেই। লেখাগুলো দেখি

ঘ.
বইটা উল্টে একলাইন দুলাইন করে যত এগোতে থাকলাম প্রকাশকদের উপর রাগের কথা ভুলে যেতে থাকলাম দুর্দান্ত লেখাগুলোর ভেতরে ডুবে যেতে যেতে। অসাধারণ। এই লেখাগুলো যদিও ব্লগারদের তবু লেখা নির্বাচনের জন্য প্রকাশক গোষ্ঠী প্রশংসার দাবি রাখেন

ঙ.
ব্লগের লেখা ব্লগে পড়া আর বইয়ে পড়ার আলাদা টেস্ট। সাধারণত যারা লেখালেখি করেন তারা অনেক ভাব ধরে থাকেন। ভাব ধরে লেখেন। আর সব ক্ষেত্রেই একটা ভড়ং মেনে চলেন বলে প্রাণ খুলে লিখতে পারেন না সহজেই। হোক তা বিষয়ে হোক তা শব্দে
কিন্তু ব্লগের গদ্যে এই জিনিসটা একেবারেই নেই। মনের কথা একেবারেই মন দিয়ে বলা কিংবা লেখা। অনেকগুলো গল্প হয়তো খুবই সাধারণ কিন্তু বলার ধরনটা প্রাণ ছুঁয়ে যায়...
দারুণ

চ.
প্রজ্ঞা দিয়ে নয়। প্রাণ দিয়েও সাহিত্য হয় কাল আবারও আবিষ্কার করলাম সচলায়তন সংকলন পড়তে পড়তে

কিন্তু এই সংকলনের মারাত্মক কিছু আনাড়িপনা আছে যা পরের বইয়ে প্রকাশক/সম্পাদকদের খেয়াল রাখা দরকার

০১
অত বড়ো বইয়ে কোনো সূচিপত্র নেই। কোথায় কী আছে তার ঠার করা কঠিন

০২
লেখাগুলোকে কোনো ভাবেই কোনো ক্লাস্টার করা হয়নি। মনে হয়েছে গুদামে মাল রাখার মতো ব্লগ থেকে এনে বইয়ের পাতায় ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। কোনটা কোথায় গেলো তার কোনো খবর নেই

০৩
বলা হয়েছিল পুরো সংকলনটি একটি বানান শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। কিন্তু বানানের অবস্থা যাচ্ছেতাই হাবিজাবি। কোথাও বানান সংশোধনের কোনো লক্ষণ তো পাই-ইনি বরং উল্টোটাটই ঘটেছে
অনেক ক্ষেত্রে ভুল বানান শব্দের অর্থ বদলে দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একই বানান একাধিক ভাবে লেখা হয়েছে।
আর সবচে বড়ো কথা বইটির অনেক জায়গাতেই শব্দের মাঝখানে গোল্লা গোল্লা কিংবা বক্স বক্স হয়ে আছে। কনভার্ট করার পরে আর ঠিককরা হয়নি ফন্টগুলো

০৪
ফর্মেটিংয়ের কোনো নাম গন্ধও নেই। একজনের নাম চলে গেছে আরেকজনের পায়ের নিচে।
একটা পাতার নিচের লাইনে নাম ছাপা হয়েছে তো লেখা রয়ে গেছে পরের পাতায়।
আবার পুরো লেখা এক পাতায় তো এক লাইন চলে গেছে অন্য পাতায়
একটু খেয়াল করলেই এই জিনিসটা এড়ানো যেতো

০৫
এই অবস্থায় দাদৈতিহাসিক ছবিগুলো না দিলেই বরং ভালো হতো। কারণ ব্লগ থেকে খামছে খামছে নামিয়ে নিয়ে এসে ছবিগুলো ছাপানো আর না ছাপানো একই কথা। বিন্দুমাত্র কিছু দেখা যায় না। সম্ভবত ব্লাগের লোরেজ ছবিগুলো থেকে সরাসরি ট্রেসিং বের করার ফলে এই অব্স্থা

০৬
অনেক জায়গায় অনেক লেখার শুরুতে অন্য কোনো লেখার কিংবা ছবির রেফারেন্স দেয়া আছে। যেগুলো ব্লগের পোস্ট হিসেবে ঠিক ছিল। কারণ ব্লগে থাকলে সবাই হয়তো উপরের ছবি কিংবা লিংকা দেখে নিতে পারে। কিন্তু যখন বইয়ে সেটা ছাপা হয় এবং প্রথম লাইনটাই থাকে এরকম

উপরের ছবিটা দেখে আমার মনে হলো....

কিন্তু বইয়েতো আর লেখার উপরে কোনো ছবি নেই। (এই ঘটনাটা টয়লেট নোরা করা নিয়ে একটা লেখার শুরুতে। স্যরি। লেখকের নামটা মনে পড়ছে না)
একই ভাবে অনেক লেখায় ভিন্ন কোনো পোস্টের রেফারেন্স দেয়া আছে। এক্ষেত্রে সম্পাদকরা ছবি কিংবা রেফারেন্সগুলোর নোট দিতে পারতেন। তাহলে পাঠকের জন্য বিষয়টা ধরতে সুবিধা হতো

০৭
এখন কিছুই করার দরকার নেই। বইটা বের করার জন্য অবশ্যই আয়োজকরা ধন্যবাদ পেতে পারেন (বেক্কল সম্পাদক ছাড়া। তার জন্য মাইর আছে। যেখানে নাগাল পায় না সেখানে চুলকাতে যায় কেন?)

০৮
ধন্যবাদ হাসান মোর্শেদকে যে আমাকে সচলায়তনের লিংক পাঠিয়েছিল। ধন্যবাদ আরিফ জেবতিককে যে আমাকে সচলায়তনের আড্ডা ঘরে আনাড়ির মতো উঁকিঝুঁকি দিতে দেখে কোথায় কোথায় কী কী সিস্টেম করে আমাকে সদস্যপদ পাইয়ে দিয়েছিল। আর আরো অনেক যারা আস্তে আস্তে আমাকে সচলায়তন ব্যবহার শিখিয়ে দিয়েছেন। তা না হলে এই সচলায়তন সংকলনটা আমার পড়া হতো না

০৯
ভবিষ্যত প্রকাশকদের জন্য সাবকান্ট্রি (উপ-দেশ)

প্রিন্টিং এবং পাবলিকেশন প্রেম করার মতো রোমান্টিক কিছু না। যে তলে তলে করে এসে একদিন সবাইকে দেখিয়ে দেবো আমার পিরিতি কী কঠিন। আর সবাই আহারে আহারে করবে
পাবলিকেশন একটা বারো ঘাটের কাজ। তলে তলে কিংবা মনে মনে এটা না করে অন্যদের সাথে শেয়ার করলে পাবলিকেশনের সতীত্ব নষ্ট হয় না বরং সৌন্দর্য বাড়ে।


মন্তব্য

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

তাহলে? চিন্তিত

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

মুজিব মেহদী এর ছবি

গেরিলা কায়দা সবসময় সুফলপ্রসূ হয় না।

.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বেশ বিস্তারিত সমালোচনা। আশা করি ভবিষ্যতে কাজে আসবে এই সাবকান্ট্রিগুলো (দুর্ধর্ষ একটা শব্দ শেখালেন!)। তবু আফসোস হচ্ছে নিজের হাতে বইটা ধরতে না পেরে। আমি নিশ্চিত আগামী সংস্করনের আগে সম্পাদকেরা শুধরে নেবেন সব।

বানান আর ফরম্যাটিং নিয়ে আলাদা করে কাজ হওয়া উচিত, যাতে সুফলগুলো প্রকাশায়তনে সীমিত না থাকে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার খারাপ লাগাটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি রকমেরই হয়ে গেছে
তার কারণও আছে
প্রতি বছর আমি পাবলিকের বিশ-পঁচিশটা বইয়ে বেগার খাটি। শুধু বইগুলো যেন টেকনিকেল কারণে মার না খায় তার জন্য
পরিচিত অর্ধপরিচিত তো অবশ্যই। অনেক অপরিচিত লোক আমাকে রাস্তায় ধরে বইয়ের কাজ করিয়ে নেয় আমার বিড়ি আর আমার পয়সায় চা ডালপুরি খেয়ে

প্রতিটা বইমেলার আগে রাতের পর রাত যায় বইয়ের প্রুফ দেখা আর ফর্মেটিংয়ে (যদিও এরপরেও কিছু ছাগল আউটপুট নেবার সময় ছাগলামি করে বইটা নষ্ট করে দেয়)
এর কারণ একটাই-

বাংলায় নিখুঁত প্রকাশনা সম্ভব নয়'

অনেকের বলা এই কথাটাকে মিথ্যে প্রমাণ করা
যদিও আমার বইগুলোও এখনও ৯০% শুদ্ধতা পায়নি। কারণ আমার হাত থেকে বের হবার পরে অন্য যে ঘাটগুলো ঘুরে যায় সেই ঘাটগুলোতে অনেক হাবিজাবি ঘটে যায় অনেকের অবহেলায়

কিন্তু আমি বিশ্বাস করি বাংলায় নিখুঁত প্রকাশনা সম্ভব। আর সব সময় মনে মনে আব্দুল্লা আবু সাইদের একটা কথা স্মরণ করি-

আরও একটু ভালো। আরও একটু ভালোর জন্য আরও একটু নজর দেওয়া

এহেছান লেনিন এর ছবি

যাক ইদানিং আমার একটা অভ্যাস হয়ে গেছে আর তা হলো লেখা না পড়ে কমেন্ট পড়া। আর সেক্ষেত্রে লীলেন ভাই সবচে এগিয়ে। তার কমেন্টগুলো থেকে যা শিখি অন্য অনেকের লেখা পড়েও তা শিখতে পারি না (বিনয়ের সঙ্গে বলছি)।

তবে লীলেন ভাই এজন্য ধন্যবাদ পেতেই পারেন। কারণ লীলেন ভাইয়ের সমালোচনাগুলো একেবারেই সরল স্বীকারোক্তি।

ধন্যবাদ।

আর একটা কথা, এটি একান্ত আমার নিজের। এটি সচলদের নিয়ে। না থাক, এই কথাটা বললে হয়তো আমাকে অন্য কিছু ভাববেন। তাই আর না।

লীলেন ভাই ভালো থাকবেন।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

অমিত এর ছবি

ধুর বইটা পামু যে কবে ??!!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নাহ আমার বেচারা প্রকাশকের প্রতি মায়াই হচ্ছে। খুব বড় একটা সারপ্রাইজ দিতে চাচ্ছিলেন। এখন নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গেছেন। আমার যদিও ঠিক ওই মুর্হুতে সময় ছিল না, তবু সাহায্য চাইলে কিছুনা কিছু করতে পারতাম। পরবর্তীতে এই ব্যাপারে আরো ওপেনলী করতে হবে।

কিছু ব্যাপার ক্লারিফাই করা দরকার:
১। প্রত্যেক লেখকের অনুমতি নেয়া হয়েছিল ব্যক্তিগত ভাবে।
২। বইটার আকার বড় কেননা প্রচুর লেখকের লেখা অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।
৩। তিনটি ভিন্ন জিওগ্রাফিক্যাল লোকেশন থেকে পুরো প্রসেসটি করায় ব্যারাছ্যারা লেগে গেছে।

প্রকাশকরা যতই ভুল করুক আমি উদার কণ্ঠে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এবং ভবিষ্যতে যাতে আরো নিপুন ভাবে কাজটা করতে পারে সেই কামনা করি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সাধুবাদ না জানানোর কোনো কারণ নেই
সাধুবাদ জানানোর জন্যই এই দীর্ঘ আখ্যান

লেখকের অনুমতি- সম্মানী না দেয়ার অনুমতি- আকার সবই ঠিক আছে
লুকিয়ে করাতেও আপত্তি নেই
তবে করার আগে কী কী করা হবে
আর কী কী করা ঠিক না তা ব্লগেই সবার সাথে আলোচনা করা যেত
তাতে একটা স্মার্ট প্রকাশনা আসতো পাঠকদের হাতে (যারা ব্লগার তাদের হয়তো এতে খারাপ লাগবে না। কারণ এই প্রকাশনাটার সাথে সবার অনুভূতি যুক্ত। কিন্তু যারা এই বইয়ের মাধ্যমে সচলায়তন এবং তার ব্লগারদেরকে চিনবেন তারা বিরক্ত হতে পারেন)

আর এখন বিদেশ থেকে প্রকাশনা একেবারে জলবৎ তরলং

হাসিব এর ছবি

ওকে, নেক্সট টাইম ।

অনিন্দিতা এর ছবি

সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ সংকলনের জন্য।
বড় কঠিন সমালোচনার মুখে পড়া প্রকাশককে সমবেদনা জানানো ছাড়া কিছু করার নেই।
কি আর করা। সমালোচনাকে ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করা ছাড়া উপায় ও নেই।
আশা করি পরের সংস্করণে সব ঠিক হয়ে যাবে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এটা আর তেমন কী?
একসময় প্রিন্টিং এর ব্যবসা করতাম
এক লোকের ভিজিটিং কাড ডেলিভারি দেবার পরে আমার সামনে সে কার্ড নিয়ে টুথপিক হিসেবে দাঁত খোঁচাতে শুরু করল- বলল এটা দিয়ে তো আর টয়লেট টিস্যু বানানো যাবে না। তাই টুথপিক হিসেবেই ব্যবহার করি
ঝামেলাটা ছিল কাটিংএর

এহেছান লেনিন এর ছবি

হা..হা..হা...

এবার আমার একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স লাস্ট সেমিস্টারে। তো সবাই যাবে স্ট্যাডি ট্যুরে। স্যুভেনির বের করা হবে, আর তার জন্য চাই বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের টাকা থেকে যা বাচবে তা চলে যাবে ট্যুর ফান্ডে।

আল্লা-বিল্লা করে আমি একাই সিলেট থেকে তুলে ফেললাম ত্রিশ হাজারের মতো। যথারীতি স্যুভেনির বের হলো। সবাই আমার হ্যাভি প্রশংসা করলো। জাফর ইকবাল আর তার বউ আমাকে পুরষ্কার হিসেবে দিল ৬০০০ টাকা।

তবে বিপত্তিটা ঘটলো দ্বিতীয় দিন, মানে ট্যুরে যাওয়ার একদিন আগে। আমাদের মধ্যে একজনের নাম, ছবি, সব বাধ পড়ে গেছে।

ওই দিন সবাই আমার উপর হ্যাভি খ্যাপা। পারলে আমারে পাইলে মারধর করে। সবার ধারণা হলো আমি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার সেই বন্ধুটার নাম, ছবি বাধ দিয়ে দিয়েছি। বুঝুন কি অবস্থা?

পরদিন আমি সোজা চলে গেলাম যে প্রেস থেকে ছাপিয়েছিলাম সেখানে। কোনো রকমে স্ক্রিণ প্রিন্ট করে সেবার বেঁচেছিলাম।

এই অভিজ্ঞতার কথা এ জন্য বললাম কারণ হলো, একা একা বড় কাজ করলে সেখানে ভুল ভ্রান্তি থাকতেই পারে। এ অবস্থায় তাকে তিরস্কার করলে মনের যে অবস্থা হয় তাতে জীবনে এ পথে এগুনোর সাহস আর সে দেখাবে না।

অথচ আমাদের উচিত তাকে অথবা তাদের অভিনন্দন জানানো।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সাবকান্ট্রির ভাষাশৈলী তো অসাধারণ !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

নিঃসন্দেহে স্যার
অনেক আগে আমি একটা চেকলিস্ট তৈরি করেছিলাম ছাপাখানার ভূত তাড়ানোর জন্য
চিন্তা করছি ওটাকে আরেকটু আপডেট করে একটা পোস্ট দিয়ে দেবো
তাতে অন্তত অনেকগুলো দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে

এহেছান লেনিন এর ছবি

লীলেন ভাই তাড়াতাড়ি এই পোস্টটা দেন। প্লিজ ভাই।

রক্তে নেবো প্রতিশোধ...

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মনটা খারাপ হলো। প্রকাশনার সাথে আমারও টুকটাক সম্পর্ক একসময় ছিল। আমি জানি ভুলবিহীন একটা প্রকাশনা কতোখানি সতর্কতার পরেও বের করা প্রায় অসম্ভব!

আশা করি পরবর্তি খন্ডের সময় অন্ততঃ সেই সতর্কতাটুকুন উপস্থিত থাকবে।

বইটি হাতে পাবার অপেক্ষায় আছি। আজ সম্ভবতঃ আমার পরিবার মিছিল করতে করতে যাবে বইটা কিনতে।

সবকিছুর পরেও যারা শ্রমসংকুল পথ পাড়ি দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

অমিত আহমেদ এর ছবি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সুমন চৌধুরী এর ছবি
আহমেদুর রশীদ এর ছবি

বুঝতে পারছি বইটা কেন খুঁজে পাইনি।
আমার অনুমতি নেয়া হয়েছিলো কিন্তু লেখা তো দেখলাম না।

আশা করবো প্রকাশক মন খারাপ করবেন না।কারণ, লীলেনের এক ঘায়ে ১বছরের ডিপ্লোমার চেয়ে বেশি শেখা যায়।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব হাসান এর ছবি

গতকাল ভালো লাগছিলো এই ভেবে যে, একটা দারুন কাজ হয়েছে, কিন্তু এখন লীলেন ভাইয়ের লেখা পড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল! এত যদি ভুল থাকে একটা প্রকাশনাতে তবে তা প্রকাশ না হওয়াই ভালো; কারণ এতে ভালো উদ্যোগও মার খেয়ে যায়। প্রকাশক বা সম্পাদককে একজন ভালো ডাক্তারের মতো প্রফেশনাল হতে হয় এই কাজে, নইলে রোগীর মৃত্যু ঠেকাতে পারে না কেউ! ধন্যবাদ লীলেন ভাইকে ব্যাপারটি সবার নজরে আনার জন্য; যেহেতু অনেকের লেখা এখানে রয়েছে তাই সবারই বিষয়টা জানা উচিত। আমারতো মনে হয় সবাই মিলে আলোচনা করে এখনো এই বিষয়ে কিছু করা যায়। আমার প্রস্তাব হলো যদি সম্ভব হয় বাজার থেকে সমস্ত সংকলন (কতগুলো প্রকাশিত জানি না) তুলে নিয়ে, আবারো একটা অভিজ্ঞ সম্পাদনা পরিষদ করে আগামী দু'মাসের ভেতর একটা স্মার্ট প্রকাশনা বের করা। এক্ষেত্রে যদি অর্থগত সংকটটা মূল ব্যাপার হয় সেক্ষেত্রে সবার কাছে খোলামেলাভাবে সাহায্য চাওয়াও যেতে পারে, তাছাড়া কিছু টাকাতো বাকী রাখাই যায়(যা বিক্রীর পর শোধ করে দেয়া যায়)! সেক্ষেত্রে অবশ্য প্রকাশনার দাম ৩০০টাকা থেকে বাড়াতে হবে। কিন্তু তবুও তা হতে পারে ফলপ্রসু কাজ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হযবরল এর ছবি

দূর্দান্ত সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ লীলেন ভাই।
প্রকাশক এবং সম্পাদককে সাহস দিই, আগামী বছরের সঙ্কলনের জন্য।

অমিত আহমেদ এর ছবি

লাখ কথার এক কথা।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একমত@ পোস্ট।
---
সচল কর্তৃপক্ষের কাছে (ফিটার লীলেন) নামে একটি নতুন আইকন দাবি করছি। চোখ টিপি


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তাপস শর্মা এর ছবি

বইটা নিশ্চয়ই এখন নূতন আকারে বের হয়েছে ত্রুটি সেরে। পড়ার আশা রাখি বরাবর।

আর লীলেন ভাই এর সমালোচনা তো এ-প্লাস!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।