• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

উকুন বাছা দিন। ১৫। ফিনিক্স

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: সোম, ২৪/০৩/২০০৮ - ১১:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফিনিক্স

নোটবুকের বাইরে
হঠাৎ করেই দেখা। একইভাবে আবার বিচ্ছিন্নতা। মাঝখানে তার মুখে তার কিছু গল্প শোনা। তারপর অন্য কারো মুখে তার মৃত্যুর গল্প শোনা। এবং তারপর তার মৃত্যু নিয়ে এই গল্পটি লেখা

নোটবুক থেকে
পাশ দিয়ে বয়ে যায় মধুমতি। ভরা তরঙ্গে যুবতী নদী। কখনো রাক্ষুসী; রতিসুখে টেনে নেয় ঘরবাড়ি- গ্রাম; বুকে পিষে বিলীন করে হাসে খিলখিল। কখনো শীতে যৌবনখসা বেশ্যা; হাঁটে শান্ত এঁকেবেঁকে সাবেকি চালের ব্যর্থ ঢংয়ে হেলে দুলে

এ নদীর মুঠোয় জন্ম আমার। বেড়ে ওঠা; তাও। রৌদ্রপোড়া দুপুরে লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে যখন পড়তাম তার বুকে; পেশাদার পতিতার দেহে প্রথম রমণসুখ পেত যেন তৃপ্ত কিশোর। আর কোনো বিশ্ব ছিল না আমার এ গণ্ডির বাইরে কোথাও। সংসারে বাবা নির্ভরযোগ্য বলিষ্ঠ পুরুষ

একদিন সরে গেল রং রুপালি পর্দা থেকে। ক্রমশ ফিকে হতে হতে সাদা হলো দৃশ্যমান সকল অবয়ব। এবং এক ঝটকায় নগ্ন অস্তিত্বের কথা জানিয়ে গেল আমাকে আমার সময়

যে জোয়ালের টান টেনেছে বাবা একা এতদিন; সে বাবার পিঠ কুঁজো ইদানীং। যে হাতে লাঙল ধরেছে শক্ত মুঠোয়। সে হাত কাঁপে তিরতির; ক্রমশ বেড়ে যাবে কাঁপন...
বাবার বৃদ্ধ কাঁধ আমাকে বানাতে চায় জোড়ার দ্বিতীয় বলদ। প্রথম সন্তানের কর্তব্যের সংবিধান

১৯৮১। কাঁধ দিতে হবে পেতে। কিন্তু কোথায় পাতব কাঁধ। মধুমতির যৌবন- লোহাগড়ার অলিগলি আর এক গোয়ালের দোস্ত-ইয়ার আমাকে দেয়নি ডিঙোতে হাই স্কুলের বেঞ্চ। আসাদ স্যারের মুখে খাতা ছুঁড়ে বের হয়ে আসার পর আর কলম ধরিনি কখনো। খুলিনি কোনো বই। সিঁড়ি বেয়ে উঠিনি স্কুলে আর। কিন্তু এখন। যৌবন মিশে গেছে মজ্জায়। এর স্বাদ যেমন পাই তেমনি অনুভব করি তার ভার

বাংলাদেশ রাইফেলস্। আমি সেপাই হলাম। আগে যেখানে জোয়ান মানে ছিল কিছুই না মানা। এখানে যারা সবার সব কথা মানে তাদেরকেই বলে জোয়ান। এখানে ধরে এনে তাদেরকে জড় করা হয় সবকিছু মানার জন্য। আমিও এখন পিঞ্জিরায় চুপচাপ পাখি। প্রথম পোস্টিং খুলনায়
কমান্ডারের কমান্ড। হাঁস মুরগির সকাল-সন্ধ্যা। লেফট-রাইট রক্তে গেল মিশে। শুধু ইউনিফর্ম পরে রাইফেলে হাত বোলালে কোথায় যেন উঁকি মারে মধুমতি নদী। খানিকটা বদলে গেলাম আমি

সীমান্তে কোনো আইন নেই। সীমান্তরক্ষীরা নির্দোষ। এবং আমার কোনো বাধ্যকতা নেই। টাকা- মেয়েদের মাংস; সব মিলে দেবরাজ ইন্দ্রের স্বর্গ জীবন। এখানে কারো কোনো অভিযোগ নেই কারো প্রতি। ভুল-ত্রুটি-দোষ; সব সীমান্তের শর্তে ক্ষমা করে দেয় সবাই। কারণ অভিযোগ দিলে পাল্টা অভিযোগ মোকাবেলা; আর ফলাফল; সীমান্তের স্বর্গ থেকে নির্বাসন

চৌদ্দ মাস পর কুমিল্লায়। নিরামিষ গেল বেশ কয়েকদিন। ঘড়ির কাঁটায় ডিউটি; ব্যবসায়ীদের পকেট থেকে আমাদের হিসেব নেয়া; অর্ধেক তুলে দেয়া কোম্পানি-কমান্ডারের হাতে। বাকি অর্ধেক সমান ভাগ করে নেয়া যতজন আছি

হয়। অনেক হয়। বেশ হয়
বাড়িতে পাঠাই। নিজে উড়াই; আর সিগ্রেট ফুঁকতে ফুঁকতে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি। সহজলভ্য সীমান্তবেশ্যা নাড়াচাড়া করি। ব্যাস

কোম্পানি কমান্ডার নির্দেশ দেন- খুব গরিব যারা; দু-চারটে টুকিটাকি কিছু আনে-নেয়; ওদের দেখেও দেখো না তোমরা । ছেড়ে দিও। করে খাক মানুষগুলো

আমরাও দেখি না। শুধু মাঝে মাঝে মেয়েদের দেখি। যাদের শরীরটা গরিব নয়। যাদেরকে না দেখলে প্রকৃতির প্রতি অন্যায় করা হয়। তাদেরকে ডাকি। কমিশন চাই। কমিশন ছাড় দেবার চেয়ে শরীর ছেড়ে দেয়া তাদের কাছে সহজ। তারা অন্যভাবে কমিশন দেয়

কুমিল্লার আড়াই বছরে রাইফেল ধরা হাতে স্পষ্ট হলো কালো কড়া অমাবস্যার মতো। এখন স্যালুটে উঠে হাত অনায়াসে; মধুমতির কোনো বাধা আর নেই তাতে। এখন চিনি টাকার সব অক্ষর- গলি ঘুঁপচি- ইশারা। বহুদিনের লেনদেনের বন্ধু যে; তারও মাল আটকাই গড়মিল পেলে। হিসেব নিকেশ করি গুণে গুণে আঙুল

তারপর সিলেট। জাফলং। পাথুরে সীমান্ত। স্থানীয়েরা খাকি পোশাকের কাউকে মানুষের হিসেবে ধরে না কেউ। তবু আসে কিছু লোক। আমাদের সাথে থাকে ওদের খুব বেশি দরকার। নাড়ির টান। আমরা সীমান্তরক্ষী ছা-পোষা সেপাই। ওদেরকেও আমাদের প্রয়োজন। যারা আসে সারা দেশে এরা একই চেহারার। কথা বলে একই ভাষায়। তাকায় একই রকম চোখ টিপটিপ করে

বাড়িতে যাই। ছোট দুটি ভাই আটকে আছে এখনো মধুমতির দরজা খিল দেয়া কামরায়। মধুমতি হাসে আমাকে দেখে। হাসি আমিও। দিন যায়। আমার বাবা হাসে। হাসে মা। স্বচ্ছন্দের ঝিলকানি তাদের গালে। বোনদের একে একে বিয়ে হয়ে গেলে আসে আমার পালা। মায়ের পাশ কেটে যাই সময়ের কথা বলে। আমার চোখে নাচছে তখন বনজ পাহাড়। উদ্দাম উঁচু-নিচু হিলট্যাক্স। ঘুরে আসি হিলট্যাক্স পরে দেখা যাবে বলে পিছলে যাই মায়ের হাত গলিয়ে

হিলট্র্যাক্টস পৃথিবীর স্বর্গ। হিলট্র্যাক্টস পৃথিবীর নরক। ওখানে পৃথিবীর আইনের পৃষ্ঠাগুলো যায়নি পাহাড় ডিঙিয়ে। খড়ের চাল ঘেরা মাটির ট্র্যাঞ্চে ঘরবাড়ি। পৃথিবী বিচ্ছিন্ন এক উৎকণ্ঠার দ্বীপান্তর। আছে শান্তিবাহিনী। আছে সহজ মৃত্যু। তাই... ওখানে গুলির হিসেব নেই; চাইতে আসে না কেউ। আমার চাইনিজ গান মধুমতির রক্তের উষ্ণতায় ছোট ছোট টার্গেট করে হরিণের মাংস-চামড়ায়। আমাদের সময় কাটে বেসুমার চাঁদমারি আর নারীহীন নির্বাসনে সময়ে অসময়ে নিজেকে নিজেই নাড়াচাড়া করে

কপ্টারে চড়া অফিসার ছাড়া বাইরের পৃথিবী থেকে দুটি লোক দেখি সপ্তায়। মংসুন আসে আট মাইল দূরের পোস্টাফিস থেকে। সাথে আনে টুকটাক। দুটো দুটো টাকা প্রত্যেকের চাঁদা জড় করে আবার ফিরে যায় ফিরতি চিঠি সমেত। আসে ডাক্তার। টিপেটুপে দেখে নাড়ি। লিংক প্রসেসে তুলে দেই তাকে অন্য ক্যাম্পের হাওলায়। আসে শান্তিবাহিনী। অতর্কিতে হঠাৎ ছোটখাটো দল। তছনছ করে দেয় অসতর্ক পেলে

কারো কোনো ছুটি নেই হিলট্যাক্সে। স্বর্গের মেয়াদে কাটায় অফিসাররা সময়। আমরা কাটাই বন্দীত্ব। মাঝেমাঝে পুষি হরিণ-খরগোশ কিংবা ভালুকের ছানা। আবার হঠাৎ কোনো অফিসারের তার বসকে খুশি করার জন্য লাগে এইসব। আমাদের বলার কিছু নেই

ফেরার পালা আসে। চার বন্ধুকে রেখে এলাম ওখানে মাটিতে শুইয়ে। ঝাঁঝরা হয়ে গেছে ওরা। আমাদের চলে আসাটাও একটা কাহিনী। আমরা যারা মধুমতির যৌবন বন্ধক রেখে হই সেপাই। গাড়ির পর গাড়ি বোঝাই হয় একেকটা ওপরওয়ালাদের শৌখিন বিলাসে। সেগুন কাঠ... ফার্নিচার...। আমাদের নির্জন নিঃসঙ্গতার সঙ্গী হরিণ ছানা- খরগোশ-ভালুকের জন্য একটুও জায়গা থাকে না কোথাও। কাঠের স্তুপের ফাঁক-ফোঁকরে বসে ফিরতে হয় আমাদের। একটা মাত্র খাট আমার; তাও আসলাম ফেলে; জায়গার অভাব

আমি সেপাই। স্যালুট করা ছাড়া কোনো অধিকার থাকতে পারে না কোনো সেপাইর। কতবার চেয়েছি রাইফেল ঘুরিয়ে ধরে বলি- আমারো আছে শখ। আছে শক্তি। এসো। কিন্তু পারিনি। ধমনীতে মধুমতি ম্লান থেকে ম্লানতর হয়ে গেছে। তারপর সেই ৯১’র এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়। কক্সবাজারে আমি তখন। আরেকবার চেয়েছি উঠাতে রাইফেল; যখন অফিসারের স্লিপে ঢেউটিন- রিলিফ- ওষুধ- বিস্কুট হাসতে হাসতে ব্ল্যাকার নিয়ে গেছে হেলেদুলে। এই দুই হাতে দিয়েছি তুলে সব; প্রতিবাদের একটুও হয়নি সাহস। মজ্জায় মিশে গেছে আনুগত্যের ধারা। আমি সেপাই। জোয়ান

হয়ত তখনো মুমূর্ষু মধুমতি বেঁচেছিল বুকের গভীরে কোথাও। তাই একদিন দাঁড়ালাম সমস্ত রুটিন ভেঙে ক্যাপ্টেনের মুখোমুখি- স্যার। আপনার ওর্ডারে যাদের হাতে তুলে দেই এসব; ঝড়তো এদের নেয়নি কিছুই স্যার। যাদের নিয়েছে স্যার। ওদের হাতে কিছুই পড়ছে না। স্যার। এটা কীরকম কথা? স্যার

ক্যাপ্টেন কোনো উত্তর দিলেন না সেদিন। পরদিন পেলাম উত্তর। কক্সবাজার থেকে বদলি আমি

আবারো নোটবুকের বাইরে
সে আর কিছুই বলেনি সেদিন। শুধু বলেছে আবার চলে যাব আমি হিলট্র্যাক্টসে। মধুমতির যৌবন নিয়ে যার জন্ম তার আত্মসমর্পনের লজ্জা মিশিয়ে দেবো পাহাড়ে-পাহাড়ে চাইনিজ গানের গুলি বৃষ্টির মাঝে। তার ছ’মাস পর একটা চিঠি পাই তার- আমি ফের এসেছি উদ্দাম যৌবনের মুখোমুখি ফিরে। বনের ঝরা পাতার শব্দে মিশে যায় এখন সমস্ত লজ্জা আমার। তারপর আর কোনো খোঁজ নেই তার। অনেক দিন পর অন্য এক সেপাই যখন গল্পে গল্পে এমন এক মানুষের গল্প বলল হিলট্র্যাক্টসের; যার সাথে এক হয়ে মিশে গেল সেই বন্ধুটির মৌখিক গল্পের প্রতিটি পরিচ্ছদ। তখন অসমাপ্ত গল্পের শেষটুকু টুকে নিলাম আমি

এবং তারপর
আরো বেপরোয়া হলো সে চালে-চলনে-অভিযানে। ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি অপারেশন যেন ছিল তার জন্য বাঁধা। হরিণ শিকার তার নিত্য রুটিন। এরকম একদিন সীমান্ত সূর্যের সাথে মুখোমুখি হবার সময়ে টহলে ছিল সে। নিস্তব্ধ ভোরের আকাশ চিরে ছুটে এল বৃষ্টির বুলেট। ক্রলিং করতে করতে ওরাও ছুঁড়ছিল গুলি। ঘটনাচক্রে সে ছিল তার দল থেকে বহুদূর। হঠাৎ একপাশ থেকে ব্রিটিশ গানের একটা বুলেট শুয়ে থাকা ওর পেটের চামড়া চিরে মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে গেল। পলকেই উঠে দাঁড়াল সে। সাথীদের ডাক অগ্রাহ্য করে ছুটল বুলেটের উৎসের দিকে। সঙ্গীরা দেখল ঝোপ-ঝাড়ে লেগে ওর ঝুলে থাকা নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যাচ্ছে মুহূর্ত থেকে মুহূর্তে। সামনের ঝাঁক ঝাঁক গুলিও থামাল না তাকে

থামল সে ট্র্যাঞ্চের একেবারে সামনে। তখনো ট্র্যাঞ্চ থেকে বেরুচ্ছে সচল বুলেট। পাড়ে দাঁড়িয়ে সে ছুঁড়ল পাঁচটা খুলি লক্ষ্য করে পাঁচটা বুলেট। এবং ট্র্যাঞ্চের পাড়েই পড়ে গেল ঘুরে। হাত পা ছড়িয়ে
১৯৯২.০৪.১২-১৯৯৩.০৩.০৩ রোববার/বুধবার

উকুন বাছা দিন

প্রকাশক- শুদ্ধস্বর। প্রচ্ছদ- শিশির ভট্টাচার্য্য। ২০০৫

............................................

উকুন বাছা দিন। ০১। ফসিল
উকুন বাছা দিন। ০২। মাকড়া
উকুন বাছা দিন। ০৩। টিকটিকি
উকুন বাছা দিন। ০৪। ঘুণপোকা
উকুন বাছা দিন। ০৫। নখর
উকুন বাছা দিন। ০৬। সমাবর্তন
উকুন বাছা দিন। ০৭। বংশ
উকুন বাছা দিন। ০৮। নির্বাণ
উকুন বাছা দিন। ০৯। অশোক বন
উকুন বাছা দিন। ১০। রাজসাক্ষী
উকুন বাছা দিন। ১১। অতল
উকুন বাছা দিন। ১২। উদ্বাস্তু
উকুন বাছা দিন। ১৩। অনির্ধারিত
উকুন বাছা দিন। ১৪। অপারেশন ক্লিন হার্ট
উকুন বাছা দিন। ১৫। ফিনিক্স
উকুন বাছা দিন। ১৬। জন্মান্তর


মন্তব্য

অনিন্দিতা এর ছবি

মানুষের ভেতরের মানুষকে বোধ হয় কোন কিছুই ধ্বংস করতে পারে না। কোন না কোন সময় সে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে জ্বলে উঠবেই।
গল্পটা পড়ে আমার কেন জানি এটাই বার বার মনে হল।
আপনার কি মনে হয় ?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই বিষয়টা নিয়ে আমার ভাবনা অনেকটা অগোছালো
অনেক হাবিজাবি
প্রতিদিন অনেক অনেক বোধ এবং মানুষকে ভেতরে ভেতরে মরে যেতে দেখি
আর নিজের কাছেই প্রশ্ন জাগে- কয়টা মানুষ পারে নিজের বোধ ধরে রাখতে

জানি না

অতিথি লেখক এর ছবি

...বরাবরের মতোই উজ্জ্বল !

শেখ জলিল এর ছবি

গল্পগুলো আলদাভাবে ভাবাচ্ছে আজকাল। লেখকের সাথে সময় করে একটু আলোচনা বা গল্প বিষয়ে জানারও আগ্রহ আছে...।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার জন্য লোভনীয় একটা প্রস্তাব দিলেন জলিল ভাই
আমি বই ছাপার আগে পুরো সেট ফটোকপি করে লোকজনের মধ্যে বিলি করি কমেন্ট পাবার আশায়
যাতে আরেকটু ঘষামাজা করা যায়
কিন্তু খুব কম লোকেরই সময় হয় কমেন্ট করার
বেশিরভাগই পুরো বাণ্ডিল ফেরত দিয়ে বলে- ঠিকইতো আছে

নিজেকে আরেকটু ঝালিয়ে নেবার জন্য একদিন বসবো আপনার সাথে

অনিন্দিতা এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে কেন জানি মনে হলো - কোন মানুষ যদি শেষ পর্যন্ত মানুষ থাকে অর্থাৎ তার বিবেক,অপরাধবোধ যদি কোন ও দিন ও তাড়া করে তবে সে কোন না কোন দিন নিজের বৈশিষ্ট্যের কাছে ফিরবেই। তার উপলব্ধি হবেই। আর মনুষ্যত্ব চলে গেলে ভিন্ন কথা। তবে এটা বোধহয় বিরল।
আমি বোধহয় শেষ পর্যন্ত ও মানুষের উপর বিশ্বাস রাখতে চাই।
হা. হা.হা.।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনার প্রাণশক্তি হয়তো ঈর্ষণীয় রকম বেশি এজ্ন্যই আপনি এরকম বলতে পারেন

আমি কিংবা আমরা হয়তো পারি না

তবে আপনার আশাবাদকে স্যালুট ম্যাডাম

অনিন্দিতা এর ছবি

আমি অসম্ভব ক্ষেত্রে ও আশাকরি একসময় সব ঠিক হয়ে যাবে।
এটা কি দিবা স্বপ্ন?জানি না। আর এক সময় টা ঠিক কখন তাও জানি না।
বোধহয় আশা ছাড়তে ভয় পাই! হা.হা.।
কাজেই ঈর্ষার কিছু নেই।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

খুব ভালো তো বুঝি না। কবিতার ব্যাপারটা এই গল্পে একটু মার খেল মনে হয়। কিঞ্চিত। খুউব সামান্যই।

এতো সুন্দর ভয়াবহ একটা ফিগার গল্পটার, অথচ এরকম একটা লাইন সামান্য ঘরঘরে লাগলো - unsmooth

অনেক দিন পর অন্য এক সেপাই যখন গল্পে গল্পে এমন এক মানুষের গল্প বলল হিলট্র্যাক্টসের; যার সাথে এক হয়ে মিশে গেল সেই বন্ধুটির মৌখিক গল্পের প্রতিটি পরিচ্ছদ।

যেহেতূ, নোটবুকের বাইরের ও ভেতরের গল্পের লেখনী অভিন্ন, সেহেতূ এই লাইন ক'টা কোনও দোষ করে নাই। শুধু শুধু বেসুরো হয়েছে।

ওস্তাদজী, পুরোটাই আমার একান্ত নিজস্ব মতামত। এই ব্যাপারে অবশ্যই গুস্তাখি মাফ করবেন।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই গল্পের সেন্টেন্স কিছুটা আমি এডিট করেছি মূল ফাইলে। কিন্তু যেহেতু বই থেকে দিচ্ছি সেহেতু ইনফরমেশন ছাড়া কোনো জায়গাতেই হাত দিচ্ছি না

পুরোনো ফাইল থেকেই তুলে তুলে দিচ্ছি
তবে এই গল্পটার উপর আমি আরো কাজ করব
এবং নোটবুক এবং নোটবুকের বাইরে যাতায়াতটা যে স্মুথ হয়নি সেটা আমার চোখেও পড়েছে
ধন্যবাদ আবারও ধরিয়ে দেবার জন্য

এই গল্পটাতে আসতে পারে এরকম আরো অনেকগুলো নোট আছে। কিন্তু ঠিক টিউনিং হচ্ছিল না বলে বাদ দিয়েছিলাম
হয়তো এডিট করতে গেলে তারও দুয়েকটা ঢুকে যেতে পারে

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারন হয়েছে গল্পটা। কথাগুলোর ওজন অনেক বেশী....

কল্পনা আক্তার
kalponaakter@hotmail.com

...................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

তাপস শর্মা এর ছবি

এক মুঠো বিবর্ণ বিস্ময় নিয়ে সময় দাঁড়িয়ে থাকে। (Y)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।