সারাদিন মেয়েটা যখন গার্মেন্টসে খাটে তখন সে চোখে পড়ে না আমার
সারাদিন বুয়া খাটনি দিয়ে যখন সে নিজেকে ক্ষয় করে তখনও সে চোখে পড়ে না আমার
ক্লান্ত শরীরে যখন সে দীর্ঘ পথ ভেঙে বাড়ি যায় কিংবা ঘুম ঘুম চোখে সকালে ঝড় বৃষ্টি ঠেলে বের হয়
তখনও সে আলাদাভাবে চোখে পড়ে না আমার
সে শুধু আমার চোখে পড়ে যখন তাকে দেখে আমার হিংসে হয়
তাকে দেখে আমার হিংসে হয় যখন সে প্রেমিকের হাতে ধরে খিলখিল করে হাসে
আমাদের সুশ্রী প্রেমিকারা এরকম হাসতে জানে না কেউ
২০০৭.০৭.২৬
মন্তব্য
খাইছে! কয়টা প্রেমিকা আপনার!! আর আমি একটা ও খুইজা পাই না...
সম্পদের সুষম বন্টন চাই। লীলেন ভাইয়ের কালো মুখ ভোঁতা করে দাও।
~সংগ্রামী রেনেট
দুঃখ করার কিছু নেই
বাসের সিটের পেছনে
হোটেলের বাথরুমে
চন্দ্রিমা উদ্যানের গাছের গায়ে নিজের ফোন নম্বর লিখে রাখেন
দেখবেন প্রেমিকায় প্রেমিকায় ভরপুর
টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কি?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
একবার এই কাম করসিলাম আমরা ফ্রেন্ড্ররা মিল্লা স্বপন নামের এক ফ্রেন্ডের সাথে, অর নাম স্বপ্না লেইখা সাথে সেল নাম্বার দিয়া বাসে লেইখা দিসি, সামনের মাসটা বেচারার অনেক কষ্টে গেসে, সবাই নাকি অনেক ডিস্টাপ দিসে অরে
- খেকশিয়াল
জ্বি হয়
আপনেও দেখি লাইনের লোক
আমরা একবার আমাদের এক ললিপপ মার্কা দোস্তের কয়েকটা পিপি সাইজ ফটোর পেছনে তার নাম ঠিকানা লিখে কয়েকটা মেয়ের গাড়িতে ফেলে দিয়েছিলাম
তার মধ্যে এক মেয়ের বাবা ছিল মিলিটারির ব্রিগ্রেডিয়ার
সে পুরা ফোর্স নিয়া দোস্তের বাড়ি হাজির
তার বড়োভাই হাত পা ধরে রক্ষা পেলেও পরে দোস্তকে চ্যালাকাঠ দিয়ে যে প্যাদানি দিয়েছিল তাতে দোস্ত তিন চারদিন বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি
বাসে ফোন নম্বর দেয়া আর কোনো মেয়ের গাড়িতে নাম ঠিকানা লিখে ছবি ফেলে দেয়া দুটোই বড়ো ভাইটামিনযুক্ত ওষুধ
আপনার ফোন নম্বরটা বলেন তো দেখি?
ক্ষেমা চাই গো...
"আমাদের সুশ্রী প্রেমিকারা এরকম হাসতে জানে না কেউ"
এখানে "আমাদের" খেয়াল করি নাই...সারা কবিতায় আমি, আমি দেখে শেষ লাইনে ও "আমাদের" জায়গায় "আমার" পড়ে ফেলেছিলাম!
~অশিক্ষিত পাঠক রেনেট
(মডু রা...তাড়া তাড়ি আমার মন্তব্য পোষ্টু করুন...লীলেন ভাইয়ের সাথে মারামারি লাগিলে আমি পারিব না!)
দুঃখটাতো এইজায়গাতেই
সুষম বণ্টন করতে গিযেই ধরা খাই কিন্তু পাবলিকে তাও বোঝে না
মনে করে আমি খালি আমার গানই গাই
(দেশ স্বাধীন হবার পরে নাকি শেখ মুজিব তার নিজের কম্বল খুঁজে পাননি রিলিফের কম্বলের সুষম বণ্টন করতে করতে)
আবারো পড়লাম।
থ্যাকং ইউ স্যার
আপনে কি এইখানে খালি মুদ্রিত কাব্য গল্পই দিয়া যাইবেন? উদ্দেশ্য কি আপনের???
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
উদ্দেশ্য একেবারেই মহত
বাংলাদেশের বাজারে রিকন্ডিশন্ড কবিতার বাজার যাচাই করা
উদ্ধৃতি:
"আমাদের সুশ্রী প্রেমিকারা এরকম হাসতে জানে না কেউ"
অতীব সত্য কথা..
কবিকে বিপ্লব !
জনৈক "বেক্কল ছড়াকার"
প্রেমিকাদের হাসি বোঝার মতো আক্কেল তো দেখি ঠিকই আছে
কবিতাখানি ভালো লাগিয়াছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শুনিয়া প্রীত হইলাম
- এট্টা সুশ্রী প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমে মজে দেখা যায়, শালি হাসে না কান্দে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেইডাও তো মুশকিল
হাসে না লিবিস্টিক ধুইয়া যাইবার ডরে
আর কান্দে না গালের বার্নিশ খইসা যাওয়ার ডরে
খলি ক্যাঁ কু করে
বীজগণিক-পাটিগণিত- জ্যামিতি কইরা বুইঝা লইতে হয় সে হাসে না কান্দে
- এখনতো অমুক-তমুক প্রুফ লিপিস্টিক আর ঝাকানাকা প্রুফ গালঠুয়া পাওন যায়। সুশ্রীরা নিঘ্ঘাত ঐগুলা ইউজ করে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চরম মামু চরম
এক্কেরে খাটি কথা।
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
.... সুশ্রী প্রেমিকারা.... হাসতে জানে না কেউ
পড়লাম...।
....................................
বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
বুঝতে পারলাম না
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বুঝতে পারেননি? ঠিকআছে বুঝিয়ে দিচ্ছি। বিষয়টা হলো-
শীতে ঠোঁট ফেটে গেছে কিন্তু সাথে ভেসলিন নেই
এখন হাসতে গেলেই ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়
এজন্য তারা শীতের দিন হাসে না
আর দাঁতগুলোও পোকায় খাওয়া; হাসলেই বের হয়ে পড়ে বলে তারা গরমের দিনও হাসে না
সোজা না?
এক্কেবারে সোজা...
এখন বুঝলাম, অনেক কষ্টের ব্যাপারটা খুব। খুব ভালো লিখেছেন।
সরি আমার এই ছোট ব্রেইন এ আপনার এত আপারক্লাস লেখা বুঝতে পারিনি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হা গণেশ
এখনতো দেখি বিপদেই পড়লাম
কারো সাথে মশকরা করার পরে সে যদি ইনোসেন্টলি তাকে সত্যি সত্যি মেনে নেয় তখন সন্দেহ হয় সে আমারে নিয়া মশকরার ফাঁদে ফেলে ক্লাসিক্যাল মশকরা করছে কি না
(সক্রেটিস তাই করতেন। তিনি প্রথমে প্রতিপক্ষের কাছে নিজেকে নাদান হিসেবে পরিচয় করাতেন। এবং তাকে নাদান ভেবে প্রতিপক্ষরা যখন বিদ্যা জাহির করতে থাকতো তখন সক্রেটিস একেকটা মশকরার এটোম বোম ছেড়ে একেবারে নাস্তানাবুদ করে দিতেন)
আমার সত্যি সন্দেহ হচ্ছে মুমু আমারে কোন মশকরার ফাঁদে ফেলার জন্য এমন নাদান উত্তরটা দিয়েছে
হায় হায়, আমি সত্যি মশকরা করিনি নাদান শব্দের মানেইতো আমি জানিনা, নাদান উত্তর দিবকি, আমি আর প্রশ্ন করবনা , আমি তো এখন আরো কনফিউসড, আপনি কি তাহলে মশকরা করে প্রথম উত্তরটা দিয়েছেন? তবে সবার কমেন্টস দেখে আর আমার না বোঝা থেকে বুঝতে পারছি আপনি হাই থটের খুব ভাল কিছু লিখেছেন।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমাদের সুশ্রী প্রেমিকারা এরকম হাসতে জানে না কেউ.....
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমরাও কি পারি?
আমরাইতো সারাদিন হাসির এ্যাকটিং করি
হাসতে পারি কই?
কঠিন... অসাধারণ...অদ্ভুত...ফাটাফাটি...
সেইরকম...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তাইলে আমারে কয়টা টেকা ধার দেন
হিংসা করা ভালো না...
নিজের গুলানরে হাসি শিখাইয়ালন
কল্পনা আক্তার
..................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
কেমনে শিখাই
নিজেই তো সারাদিন প্লাস্টিক হাসি দিয়া দিন পার করি
অরিজিন্যাল হাসি যে কোন দোকানে পাওয়া যায় তাওতো জানি না
আর হিংসা এখনও সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত
সুতরাং করতে অসুবিধা কোথায়?
কবি নির্মলেন্দু গুনের একটা কবিতা আছে যেখানে ফহৃদপুরের এক হোটেলে গিয়ে কবি হোটেলের ঝাড়ুদার মহিলার প্রেমে পড়েন,নিজের গায়ে মাখার সাবানটা সেই মহিলা দিয়ে আসেন,শরীর না হোক সাবান তো তাকে স্পর্শ করবে ।
হ্যাঁ,নির্গুন ফরিদপুরকে ফহৃদপুরই লিখেছিলেন । লীলেন আপনার কবিতা ভালো লাগলো,সেই সাথে প্রানবন্ত মন্তব্যগুলো । আধুনিক বাংলা কবিতার পাঠক নেই-এ আশংকা তাহলে পুরোপুরি ঠিক নয় ।
কথাটা সত্যি
বাড়িতে দুয়েকখান কবিতার বই না থাকলে বাঙালির স্ট্যাটাস থাকে না সেজন্য বাঙালি নতুন বাড়ির পর্দা-কার্পেট কেনার সময় দুচারটা কবিতার বইও কেনে
আর কবি নামটা বাঙালির খুবই প্রিয়। সেকারণেই তারা রবীন্দ্রনাথে শোনে গান কিন্তু বলার সময় বলে কবি
এবং তার সাথে- তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে' টাইপের দুচারটা লাইন মুখস্থ করার জন্য মাঝেমধ্যে কবিতার পাতাও উল্টায়
ফলে কবিদের বাজার একেবারেই খারাপ যে তা কিন্তু বলা যায় না
(বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ হওযার পরে ঠোঙা বানানোর জন্যও কবিতার বইয়ের ডিমান্ড এখন আগের থেকে বেশি)
কিন্তু কিন্তু কিন্তু
প্রকাশক যে নেই....
অত প্রশংসা যখন করেলন তখন দেন না কয়েকটা টেকা
বাজারে আরেকখান অচল মাল আমদানি করি?
হা হা হা! কল্পনা ভালোই বলেছেন! তবে বিতর্কটা একটু ফানি দিকে চলে গেলেও 'আমাদের সুশ্রী প্রেমিকারা এরকম হাসতে জানে না কেউ' কথাটির মধ্যে সূক্ষ্ন একটা হাহাকার আছে! অনেকটা সেই তারাশঙ্করের 'কবি' গল্পে 'কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কাঁদ কেনে' টাইপের। কবির লড়াইয়ে সেই কথা বিপরীতে অন্য কবি দাঁত খিঁচিয়ে বলে উঠেছিল, 'কাঁদি না তো, কলপ মাখি!' এরপর তারাশঙ্কর অনেকটা এরকমই লিখেছিলেন যে, প্রতিপক্ষ কবির কথায় সবাই হাসিয়া উঠিলেও 'কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কাঁদ কেনে' কথাটির ভিতরে যে নিগূঢ় হাহাকার লুকাইয়া আছে, তাহা সকলকেই স্পর্শ করিল!
মৃদুল আহমেদ
আপনার মন্তব্যে আমি খুশি হলেও সচলের লোকজন কিন্তু আতংকিত হয়ে পড়বে
তারা ভাববে এরকম বাতাস পাওযার পরে আমি নিশ্চয়ই আরো কয়েকটন অচল কাব্য আনলোড করে পুরো সচলায়তনটাকেই অচল বানিয়ে দেবো
তাহলে কিন্তু সেই দায় দাযিত্ব আপনার
আমি কিছু জানি না
'আমাদের সুশ্রী প্রেমিকারা এরকম হাসতে জানে না কেউ' কথাটির মধ্যে সূক্ষ্ন একটা হাহাকার আছে! অনেকটা সেই তারাশঙ্করের 'কবি' গল্পে 'কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কাঁদ কেনে' টাইপের।
একশত ভাগ খাঁটি কথা।
eru
==================
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।
আপনি কি খেরোখাতার সব কবিতা ই পড়তে দিচ্ছেন? কেউ বই থেকে পড়ুক এটা কি চান না?
নাকি উল্টো টা?
মাত্থা খারাপ?
একটা একটা করে যদি ৫৮টা অচল পদ্য দিতে শুরু করি তাহলে পাবলিক আমার হাড্ডিগুড্ডিশুদ্ধ পিটিয়ে পাউডার বানিয়ে ফেলবে
হাসি টা অকৃত্রিম হলে তো কথাই নেই !
কোথায় পাবো তারে !!!!
কবিতাটা আমার অনেক আগেই পড়া। দারুন লেগেছিল এবং এক বন্ধুকেও দেখিয়েছিলাম এবং অতঃপর এই মতে এসে পৌছেছিলাম যে আসলেই পরিপার্শ্বের মেয়েরা এমন ভাবে হাসতে পারে না।
আমি একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি, মেয়ে বিষয়ক অবজারভেশনে লীলেন ভাই এর জুড়ি নাই
( এইটা কিন্তু কম্পলিমেন্ট )
মিলিটারির প্যাদনি খেলে মিলিটারি বিষয়ক অবজারভেশন বাড়ে
আর মেয়ে বিষয়ক অভিজ্ঞতা বাড়ে মেয়েদের লাত্থি গুতা খেলে
ইহা অতিশয় ভাইটামিন যুক্ত খাবার
খাইয়া দেখিতে পারেন
ভালো
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
নতুন মন্তব্য করুন