আমার নানির মায়ের দুটো ভয়াবহ যোগ্যতা ছিল। এক- বনাজি ঔষধ তৈরি; যার সবগুলোই বিদঘুটে তিতা। আর দুই- কথায় কথায় হাড্ডি জ্বালানো গালি দেয়া। প্রায়ই তিনি একটা গালি দিতেন- হারামজাদা বানু মোল্লার জাত। দাঁত ভাঙলে লেজ দিয়ে কামড়ায়...
তখন আমরা মাত্র কুত্তার বাচ্চা- শুয়োরের বাচ্চা জাতীয় প্রাথমিক গালিগুলো শিখতে শুরু করেছি। সেই সময়ে বানু মোল্লা আবার কোন ধরনের প্রাণী?
কিন্তু যাকে গালি দেয়া হলো সে যদি গালির মানে না বোঝে তাহলে তা গালিবাজের ঘাড়ে গিয়ে পড়ে উল্টো গালি হয়ে। তাই একদিন বড়ো মা নিজেই আমাদেরকে বানু মোল্লার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন-
বানু মোল্লা গান গাইতেন। বাংলাদেশের কোনো এক অঞ্চলে কোনো এক কালে। কিন্তু গান জিনিসটা পরিষ্কার হারাম। তাই...
মসজিদে কোরান ছুঁয়ে তওবা করেন বানু মোল্লা। কিন্তু বের হয়ে মসজিদের উঠানে দাঁড়িয়েই সুরে টান দেন-
এত্তো বড়ো সাহস? তওবা করেও গান? তেড়ে আসে হুজুরের দল। কিন্তু বিনীত বানু মোল্লা জানান- আমি যে গান ছাইড়া দিছি সেইটা সবাইরে জানান দেওয়াটাওতো আমারই দায়িত্ব? কিন্তু আমার তো-
বানু মোল্লার যুক্তি অকাট্য। আর তার উদ্দেশ্যটাও মহৎ। সে তো আর গান গাইছে না। বরং সে গান ছেড়ে দেবার ঘোষণা দিচ্ছে...। সুতরাং হুজুররা তাকে গান ছেড়ে দেয়া সংক্রান্ত গানের অনুমোদন দিলেন। আর বানু মোল্লা হাটে মাঠে ঘাটে ঘুরে ঘুরে গাইতে লাগলেন-
এবং জীবনের বাকি সবগুলো দিন পার করে যখন বানু মোল্লা মারা গেলেন তখন হুজুররা আবিষ্কার করলেন- হারামজাদা তো গান ছাড়ে নাই। উল্টা গান ছাড়ার কথা বইলা গানরেই জায়েজ কইরা নিছে
২০০৮.০৩.০৪ মঙ্গলবার
মন্তব্য
ভালোলাগলো লোককাথায় আধুনিকতা ...
....................................
বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
হা.........হা......দারুন মজা পাইছি!!!
কালবেলা
মন ভাল করা গল্প। এক কথায় চমৎকার । আচ্ছা, আজকাল এই বানু মোল্লারা কোথায় হারিয়েছে লীলেন ভাই?
মৌরি নিষাদ
বানু মোল্লারা ঠিকই আছে
স্মরণ করা যেতে পারে আইয়ুব খানের সময় ছাত্র ইউনিয়নের গোপন সমাবেশ যখন মিলিটারিরা খুঁজে বের করে ফেলল তখন সবাই মিলে মিলাদ পড়া শুরু করল
আর ঠোলারা রিপোর্ট লিখল- এখানে তো কোনো মিটিং নাই। এটা একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান...
০২
মওলানা ভাসানী রাজপথে নামাজ পড়তে পড়তে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গেছিলেন। যখনই ঠোলারা তার দিকে এগিয়ে আসে তিনি আল্লাহুআকবর বলে নামাজে দাঁড়িয়ে যান। তার সাথে বাকিরাও দাঁড়িয়ে যায় নামাজে। নামাজ শেষ করে এগিয়ে যান কয়েক পা। তারপর আবার দাঁড়ান নামাজে...
গান ছাড়া উপায় নাই
সুর ছাড়া বিদ্যা নাই
ঢোল ছাড়া যন্ত্র নাই
(তাই) গানে গানে গানে কই....
আমার মতোই অবস্থা। ভাল লগলো লেখাটি।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
চমৎকার বাণীবন্দনা ।
শওকত ওসমানের লেখা উপন্যাস "ক্রীতদাসের হাসি" পুরস্কৃত হয় পাকিস্তান সরকারের আমলে। ব্যাটারা ধরতেই পারেনি যে এটা তাদের বিরুদ্ধে লেখা !
বানু মোল্লার পিচ্ছিল টেকনিকটাও আমার ওরকম মনে হয় । আর খুব বেশী প্রয়োজন অনুভব করি তাঁর.. অন্তত: এই সময়ে
ধন্যবাদ লীলেন ভাই
জনৈক "বেক্কল ছড়াকার"
শওকত ওসমান হচ্ছেন গিয়ে গুরুদের গুরু
সাম্প্রকি সময়ের একটা ঘটনার উপর একটা গল্প আমি শুরুই করেছি শওকত ওসমানকে স্মরণ করে
লাইনগুলো এরকম- শ্রদ্ধেয় শওকত ওসমান। বুটের টো এবং হিলের মাঝখানে যতটুকু ফাঁকা জায়গা থাকে সেই জায়গাটাতে আপনি ক্রীতদাসের হাসির মতো একটা এটম বোমা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। তাই আপনার দেখাদেখি আমি খুঁজে বের করেছি বুটের ফিতাগুলো যখন বাঁধা হয় তখন সেখানেও দু এক সেন্টিমিটার জায়গা ফাঁকা থাকে। আপনার নাম নিয়ে আমি সেই জায়গাটাতে দাঁড়াচ্ছি। একটু খেয়ালা রেখেন গুরু....
কমলাকান্তের দপ্তরের কথা মনে পড়লো। বেচারা উকিল সাক্ষ্য দিতে কমলাকান্তকে কোর্টে এনেছিলো কিন্তু কমলাকান্ত শপথ নিতে গিয়ে কো ন মতেই বলতে নারাজ " আমি পরমেশ্বরকে প্রত্যক্ষ জানিয়া...'
বলবে কেন ? পরমেশ্বরকে যে প্রত্যক্ষ করা যায় না ! অবশেষে জজসাহেব বাধ্য হলেন প্রচলিত ভাষা বাদ দিয়ে সহজ করে শপথের পাঠ কমলাকান্তকে শোনাতে। তারপর আরো কাহিনী..
লীলেনের গল্পটা খুব ভালো লাগলো.. বানু মোল্লা শেষ পর্যন্ত জিতে গেছে এজন্যই..
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
বাউল শাহ আব্দুল করিমকেও একবার মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তওবা করানোর জন্য। তিনি বললেন- আপনারা যদি বলেন যে আল্লার ঘরে বসে মিথ্যা কথা বলা জায়েজ তাহলে আমি তওবা করব
- কেন কেন? মিথ্যে বলবে কেন?
- বলব কারণ এখন যদি আমি তওবা করে বলি যে গান ছেড়ে দেবো তাহলে সেটা হবে আপনাদের ভয়ে মিথ্যা বলা। কিন্তু আমি তো গান ছাড়ব না। এখানে না হোক অন্যখানে গাইব। এবার বলেন- আল্লার ঘরে বসে মিথ্যা বলব কি না...
শাহ আব্দুল করিম বের হয়ে এসেছিলেন তওবা না করেই...
আপনাকেও প্রায়ই বানু মোল্লার পিচ্ছিল টেকনিক অবলম্বন করতে দেখা যায় মশাই !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হুজুরানি যে এইখানে আছেন সেইটাতো খেয়াল করি নাই....
দেন মাপ কইরা দেন...
.
আপনার এই লেখাটি পড়তে পড়তে আমার মনে পড়ে গেলো রব বাউলের কণ্ঠে শোনা আরেকটি গান:
কেউ বলে, আল্লা আছে
কেউ বলে, নাই --
আমি বলি, থাকলে আছে
না থাকলে নাই।...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কেউ বলে, আল্লা আছে
কেউ বলে, নাই --
আমি বলি, থাকলে আছে
না থাকলে নাই।...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
@ বিপ্লব রহমান
গানটা দ্বিজ দাসের
আপনি যে লাইনগুলো লিখেছেন তাতে কিছু এদিক সেদিক আছে
লাইনগুলো হলো
কেউ বলে আছে খোদা/ কেউ বলে নাই
আমি বলি থাকলে থাকুক/ না থাকিলে নাই
তারে নয়নেও দেখি নাই/ শ্রবণেও শুনি নাই
দরশন পাই না তবু/ করিযে প্রণাম
শোনো দ্বিজ দাসের গান....
পুরো গানটি এখানে দিয়ে দিলাম। শুনতে পারেন
http://www.sendspace.com/file/h6bjjv
আরে দারুন তো @ মাহবুব লীলেন!
সঠিক গানটি উল্লেখ করায় আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করবো? না থাক।
আমি কিন্তু অনেক বছর আগে বাউল কন্ঠে শোনা গানটিই স্মৃতি থেকে লিখেছিলাম। আশাকরি অধমের এই ত্রুটিটুকু মার্জনা করবেন।
অনেক শুভেচ্ছা।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হ , লেজ দিয়ে কামড়ানোই ভালো ।
দাতের দাগ ফুটে না , কিন্তু বেশ কামড়ানো যায় ।
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
এবার অন্য স্বাদ পাচ্ছি। দেখেছেন আমি বলেছিলাম না আপনি অবশ্যই পারবেন?জীবনজয়ী লেখা আরও চাই।
দারুণ! দারুণ!
এটা কি সত্যি ঘটনা? গানগুলো কার?
জ্বি স্যার
ধন্যবাদ
০২
বানু মোল্লা নামে আদৌ কেউ কোথাও ছিল কি না আমি অনেক খোঁজ করেও বের করতে পারিনি। আর বড়োমার মুখ ছাড়া এই নামটাও আর কারো মুখে শুনিনি। কেউই বলতে পারেনি তার সম্পর্কে কিছু
০৩
বানু মোল্লা নাম এবং তার গানের প্রথম লাইন 'লেখাপড়া জানি না মুই বানু মোল্লা নাম' এই শব্দগুলো ছাড়া বাকি সবগুলোই আমার। গানের এই প্রথম লাইনটা বড়ো মার মুখেই শুনেছিলাম
আমি এটাকে পিচ্ছিল টেকনিক না বলে স্মার্টনেস বলবো।
বানু মোল্লারা কি এখনো আছে?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সব জায়গাতেই আছে
কৌশল না করে এই পৃথিবীতে ক্রমাগত লড়াই করে কি আর মানুষের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব?
লড়াই যেমন জিতায় তেমনি শক্তিও নিঃশেষ করে দেয়
মাওলানা ভাসানীর গল্পে শুনেছি যে তিনি মিটিং এ নামাজ পড়তেন। শেষে শুরু করতেন মোনাজাত। সেই দীর্ঘ মোনাজাতের ভিতর থাকতো তার বক্তৃতাটি। পাশে দাড়িঁয়ে থাকা পুলিশ মিলিটারী কিছুই করতে পারতো না। মাওলানার মোনাজাত থামাবে এমন সাধ্য কার?
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
দারুণ লেখা এবং সেরকম সব মন্তব্য।
গানের সংযোগসূত্রের জন্য লীলেনকে বাড়তি ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
'বড়দুঃখে বাংলাদেশের বাউল মইরাছে'
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বলো ও গো সাঁই
এক জীবনে অত দুঃখ
কে দিয়াছে বলো চাই
জিগার করি....
দোষ করিলে বিচার আছে
সেই ব্যবস্থা রয়ে গেছে
দয়া চাই না তোমার কাছে
আমরা উচিত বিচার চাই
- শাহ আব্দুল করিম
চিঠি দিয়া হুমকি দেখাইন
ফোনে দেখাইন ডর
তলে তলে বিছাই দিও
ইন্দুর মারার কল.....
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ছবির বাউলকে আমার বানু মোল্লা ই মনে হয়েছে।
লেখার সাথে ছবিটাও খুব যুতসই হয়েছে।
এই লীলেন ভাই, আপনি তো ধারণার চেয়েও কঠিনতম চিজ... বানু মোল্লা নামে আদপেই কেউ ছিল কিনা না জানলেও আপনিই আমাদের বাণী মোল্লা! পিচ্ছিল এই টেকনিক অবলম্বন করে আপনিও নিশ্চয় কিছু বলতে চাইলেন... কী সেটা?
মৃদুল আহমেদ
যাক
টেকনিকটা ধরতে না পারলেও আমার যে কোনো না কোনো পিচ্ছিল উদ্দেশ্য ছিল তা যে ধরতে পেরেছেন তার জন্য ধন্যবাদ
ঘটনাটা হলো- এই ব্লগে জলিল ভাই দাপটের সাথে গান পোস্ট করেন। এই অবস্থায় আমি যদি বলি যে আমিও মাঝোমাঝে গান লেখার চেষ্টা করি তাহলে পাবলিকের কিল একটাও আর মাটিতে পড়বে না
তাই ভাবলাম বানু মোল্লার কাহিনীর ভেতরে নিজের একখান গান ঢুকিয়ে দেই
কেউ ভালো বললে কলার ঝাড়িয়ে আওয়াজ দেবো- ইহার মালিক আমি
আর কেউ তেড়ে এলে বলব- মুই তো কিছু জানি না। হেইয়া তো বানু মোল্লায় কইছে। আমনেরা আমারে ধমকান ক্যা?
ইহাকে বলে ধরি মাছ না ছুঁই পানি...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পিচ্ছিল টেকনিকটা ভালৈছে। আর স্বরচিত গান সেটা মারাত্মক!
...তা ভাই ঠিক, দাপটের সাথে গান, কবিতা যাই পোস্ট করি সচলে। তবে এখানে অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের কোনো পিচ্ছিল টেকনিক আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারিনি বউয়ের কাছে!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
বৌরে বুঝিয়ে দেন যে অফিসে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এখন সিস্টেম করেছে ৮০% কাজ অনলাইনে করতে হবে
আপনি সেই কাজগুলো অফিসে না করে বাসায় বসে করেন
দেখবেন তখন সে-ই আপনাকে টাইম বের করে দেবে সচলাযতনে বসার
আমার জানা মতে বানু মোল্লার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার ৫নং কাঁচেরকোল ইউয়িনের বৃত্তিপাড়া গ্রামে। আমার এক আত্মীয়ের কাছে উনার সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছিলাম। তখন জানতাম না। এখন মনে হচ্ছে ভাল করে বিস্তারিত জেনে রাখা উচিত ছিল। কারণ আমার সেই আত্মীয় কিছুদিন আগে মারা গেছে। উল্লিখিত গানটিও আমার আত্মীয়র কাছে শুনা। তবে কিছুটা পরিবর্তিত। উনি আমাকে বলেছিলেন- তৎকালিন সময় এ অঞ্চলে ইংরেজদের নীলচাষের প্রচলন ছিল এবং এখানে বৃত্তিপাড়াতে একটি নীল কুঠিও ছিল। তো একবার নীলকুঠির সাহেব (উনার কাছে শুনা তার নাম ছিল কেনি সাহেব) বানু মোল্লাকে কুঠিতে ধরে নিয়ে যায় এবং অত্যারচার করতে থাকে। একসময় তার পরিচয় জানতে চান কেনি সাহেব। তো বানু মোল্লা গানে গানে পরিচয় দেন।
“কেনি সাহেবের কান সরনী
বৃত্তিপাড়া ধাম
লেখাপড়া জানি না
বানু মোল্লা না।”
অবশ্য নীলচাষের ইতিহাসে কুমারখালি এলাকায় কেনি সাহেবের নাম পাওয়া যায়। আর বৃত্তিপাড়া থেকে কুমারখালি নিকটে। এক্ষেত্রে আমার ঐ আত্মীয়র কথা সঠিক বলে আমার মনে হয়।
এইখানে গানের কথাগুলা আমার সাজানো। 'লেখা পড়া জানি না' আর 'বানু মোল্লা নাম' এই দুইটা বাক্য ছাড়া আর কোনো বাক্য সরাসরি মনে নাই। বাড়তি কোনো তথ্যও জানি না। অনেক ধন্যবাদ। দেখেন আর কিছু পান কি না
বানু মোল্লার বুদ্ধি তো সেইরাম
নতুন মন্তব্য করুন