আমি কি কয়েকটা মিনিট আপনাকে ‘তুমি’ বলতে পারি? এই চিঠিটা লিখতে যতক্ষণ তার থেকে এক লাইনও বেশি না। ‘তুমি’ না বলতে পারলে কথাগুলো গুছিয়ে বলতে পারব না আমি। আমি কি একটু বেশি বেসামাল হয়ে গেছি? হয়তোবা তাই। কিন্তু আমার এই বেসামাল হয়ে থাকার মূল কারণটাই বোধহয় অত বছর ধরে আপনাকে ‘তুমি’ বলতে না পারা
তোমাকে দেখি না আমি। তাকাইও না। তোমার সামনে গেলে তোমার দিকে তাকিয়েও চোখ ঘুরিয়ে রাখি অন্যদিকে। কেন জানো? ...তোমার চোখে চোখ পড়লেই আমার চোখ জ্বালাপোড়া করে। কেন জ্বলে আমি জানি না। আর তার চেয়েও বেশি জানি না এই জ্বলনটা কেন আমার অত বেশি প্রিয়
কেউ কেউ বলে সৌন্দর্যে নাকি আগুন থাকে। সৌন্দর্যবিদ্যার অনেকগুলো বই ঘেঁটেও আমি বের করতে পারিনি তোমার সৌন্দর্যে কোনো আগুন আছে কি না। ...তুমি কি সত্যিই সুন্দর? সুন্দরতো তুলনা করে ঠিক করতে হয়। কিন্তু কার সাথে তোমাকে তুলনা করব আমি?
মহামতি টলস্টয় হয়তো আমাকে বাঁচিয়ে দেবেন। বড়ো সহজ করে তিনি সৌন্দর্যকে ব্যাখ্যা দিলেন অথবা বড়ো সহজ কৌশলে সৌন্দর্যকে এড়িয়ে চলে গেলেন অন্যদিকে। আর যাবার আগে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললেন- যা মনকে তৃপ্তি দেয় তাই সৌন্দর্য
কিন্তু তৃপ্তির সংজ্ঞা কী?
অস্বস্তিও কি তাহলে তৃপ্তি? যদি হয় তবে টলস্টয়কে সাক্ষী রেখে বলতে পরি সৌন্দর্য কখনও কখনও অস্বস্তিকরও হয়। আর কিছু কিছু অস্বস্তি কখনও অনেক বেশি প্রিয় হয়ে উঠে। কখনও কখনও ইচ্ছা হয় বিশেষ কোথাও গিয়ে বারবার বিব্রত হতে
তুমি কি আমাকে বিব্রত হবার এই অধিকারটুকু দেবে?
সামনে না হোক; মনে মনে যদি আপনাকে আমি ‘তুমি’ করে ডাকি তবে কি রাগ করবে তুমি?
২০০৮.০৩.০৬ বিষুদবার
..........................
বাঙ্গালের জাতিগত অজুহাত
০১
বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধুবান্ধবরা গালাগাল করছে- আমার লেখা ভরে গেছে বীভৎসতা আর বিষণ্নতায়। তাদেরকে বলেছিলাম দেখি অন্য কিছু করা যায় কি না; তখন থেকেই মাথায় ঘুরছে একেবারে পুতুপুতু টাইপের কিছু লিখলে হয়তো এই বিষণ্নতা কাটবে;
০২
এক সময় প্রচুর চিঠি লিখতাম আমি। কিন্তু আমার সেইসব প্রাপকরা কেউ মরে গেছে। কেউ বদলে গেছে। আর কেউ চলে এসেছে ফোন কিংবা নেটের আওতায়। ফলে চিঠি লেখা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে আমার। তাই ভাবলাম অন্য ফর্মেটে কিছু ট্রাই করা যায় কি না
০৩
স্কুল ছেড়ে দেবার সময় কিছুদিন প্রফেশনালি প্রেমপত্র লিখেছিলাম দুজন ক্লায়েন্টের জন্য। খুবই সোজা কাজ ছিল সেটা। ফুল-পাখি-লতাপাতার ভেতরে কয়েক চিমটি শরৎচন্দ্র আর রবীন্দ্রনাথ ঢুকিয়ে দিলেই ওদের মনমতো চিঠি হয়ে যেত। প্রতি চিঠি ৫০ টাকা। কিন্তু নিজের জন্য কোনোদিন লেখাতো দূরের কথা আমার কোনো লেখার ভেতরেও ওই বস্তুটার কোনো অস্তিত্ব নেই। এখন দেখি কোথাও গিয়ে দাঁড়ায় কি না এই পুতুপুতু প্রজেক্ট
মন্তব্য
১.এত যুক্তি দিচ্ছেন কেন?
২. নাম পছন্দ হয় নি। প্রেম পত্রের মত শৈল্পিক বিষযকে পুতু পুতু বলাটা একটু অপমানজনক হয়ে গেল কিনা ভাবছি।
যুক্তি দিচ্ছি না
মনে মনে ধরে নিচ্ছি কেউ আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছে আর আমি ভাব নিয়ে তার উত্তর দিচ্ছি
এখানে প্রশ্নপত্রটা দেয়া হয়নি। তাই দেখতে পারছে না
০২
কী নাম হতে পারে বলেন তো? দেন একটা নাম দিয়ে দেন
০২.০০১
প্রেম জিনিসটা শৈল্পিক নাকি পাশবিক সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে
@ অনিন্দিতা
প্রশ্ন ১.এত যুক্তি দিচ্ছেন কেন?
উত্তর: যুক্তি মুছে ফেললাম
মন্তব্য ২. নাম পছন্দ হয় নি। প্রেম পত্রের মত শৈল্পিক বিষযকে পুতু পুতু বলাটা একটু অপমানজনক হয়ে গেল কিনা ভাবছি।
উত্তর: নামটা চেঞ্জ করে ফেললাম
এ তো দেখি ফিলোসফিক্যাল প্রেমপত্র মশাই !
ভিন্ন স্বাদ পেলাম।
পরেরটা আসতে কতক্ষন ?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মেরেছে রে...
এখানেও যদি ফিলোসফি চলে আসে তবে তো আর উপায় নাই
দেখি পরেরটাকে ফিজিওলজিক্যাল (=দেহতত্ত্ব) করা যায় কি না
ভাল লাগলো আপনার "পুতুপুতু প্রেমপত্র" ....
"
হাহাহা .... তাহলেতো "পুতুপুতু প্রজেক্ট" আপনার জন্য কোনও ব্যাপারই না
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
না অনেক কঠিন
প্রেমপত্র মানেই হলো বানিয়ে বানিয়ে মানুষকে তেল মেরে মেরে কথা বলা
যার চোখ প্যাঁচার মতো তাকে বলতে হয় হরিণের মতো
যার দাঁত হাতির মতো। তাকে বলতে হয় ইঁদুরের মতো
আর কথায় কথায় বলতে হয়- তোমাকে না পেলে মরে যাবো আমি (এই কথা কিন্তু একসঙ্গে সবাইকেই বলা হয়)
হাহাহাহা ... খুব মজার উদাহারন দিলেন... কখনও কোনও প্রেমপত্র পাইনি আর লিখিওনি ... আমার মনেহয় বানিয়ে বানিয়ে বলাটাইতো সোজা, আসলটাইতো বলা কঠিন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- মহামতি লীলেনের কথা ছাড়ুক মুমু। প্রেমপত্র না পাওয়ার অভিজ্ঞতায় অভিসিক্ত হওয়া থেকে মুমুকে বাঁচিয়ে দিতে পারে এই গরীব।
বলি, দেবো নাকি পাঠিয়ে তবে ই-ডাকপিয়নকে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার ঘরে এসে ফুসলানো ফাসলানো কিন্তু শান্তির লক্ষণ না
একবার করেছেন এজন্য মাফ করে দিলাম
আর একবার যদি দেখি তাহলে কিন্তু আপনার বাড়িতে আক্রমণ করার জন্য শুধু নিজেই যাবো না
লোকও পাঠাবো
হাহাহাহা .... কিন্তু ই-ডাকপিয়ন এ তো হবেনা, নাটক সিনেমাতেতো দেখি কাগজে লিখে কুচিমুচি করে মেয়েটার দিকে ছুরে মারে... এখন আপনি ই-ডাকপিয়ন দিয়ে দিলেতো হবেনা
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
লীলেন ভাই, আপনার দাড়ি না দেয়ার রোগ সারাতে হবে।
দাঁড়ি না দেয়াটা রোগ না ওষুধ
ছোটবেলায় শুনেছিলাম কথা শেষ হয়ে গেলে বাংলা বাক্যের শেষে দাঁড়ি দিতে হয়
কিন্তু আমার মনে হয় আমার কোনো কথাই শেষ হয় না। এজন্য শেষে দেই না
তবে ভেতরে দেই
বদনেই যার এতো দাঁড়ি, তিনি বাক্যের শেষে দাঁড়ি না দিলেই বা কী!
পতুপতু প্রকল্প জাঝা লাগছে। নেক্সট প্লিজ। ...
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এখন আর দাড়ি নাই রে ভাই
গ্রুপের নাটক ছিল। তাই মাত্র একদিন আগে একেবারে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছি
আরো তিন সপ্তা লাগবে চেহারা আগের জায়গায় ফিরে যেতে
আহারে চিঠি লেখার সময় কালটা কতই না চমেৎকার ছিল
এই পুতুপুতু টাইপটা "যাহ দুষ্টু" টাইপের হইলে পড়ার কনসেনট্রেশনটা আরো বাড়তো বলে মনে হয়
তয় আপনার মন্তব্য দেখে বড়ই আশান্বিত হইলাম।দেহ টেহ নিয়া কি জানি বললেন।নেক্সট পর্বের জন্য একেবারে দুই হাত লম্বা জিভ বের করে বসে রইলাম।
---------------------------
দুঃখ সুখের স্পর্শ নীরে
সাঁতরে বেড়াই;
নিঃসংগ এক,নিঃসংগ মেঘ।
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হবে হবে
মাত্র তো ওয়াজ মাহফিল শুরু হলো
মূল বয়ান তো হবে শেষরাতে
থাকেন। দোয়া দরুদ পড়েন আর ঘাপটি মেরে বসেন জায়গা নিয়া
পুতুপুতু চলুক
কুতুকুতু লাগুক। (হাসি)(হাসি)
কালবেলা
পুতুপুতু প্রেমে কাতুকুতু লাগে না রে ভাই
পুতুপুতু প্রেম শরীরে লাগলে চর্মরোগ হয়
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ঝামেলাটা এই বাংলা রং আর ইংলিশ wrong এর মধ্যেই
সবাই রং চড়াতে গিয়ে ক্রমাগত wrong করতে থাকে
"ভালোবাসা মানে - আমরা দু'জন কাছাকাছি
ভালোবাসা মানে - তুমি আছ তাই আমি আছি !!"
লীলেন ভাইয়ের পুতুপুতু প্রেমপত্র পড়িয়া পুতুপুতু লাইন দুইটা মনে পড়িয়া গেল । উল্লেখ্য, ঘটনার পাত্র-পাত্রী বিগত প্রায় চার বছর ধরিয়া একই ঘরে সুখে শান্তিতে সংসার করিতে লাগিল... !
পুতুপুতু প্রেমপত্র। ০২ এর অপেক্ষায় ...
জনৈক "বেক্কল ছড়াকার"
আমি 'অনিন্দিতা'র দলে। এত সুন্দর একটা মনগলানো প্রেমপত্র লিখলেন, অথচ তার একটা বিশেষণ দিলেন নেতিবাচক। আপনাকে বিব্রত করতে আসবার আগে প্রেমিকার নিজেরই তো বিব্রত হবার জোগাড় দেখছি।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
নামটা নিয়ে নিজের কাছেও কেমন যেন খটকা লাগছিল
তার পরে অনিন্দিতা আর মুজিব মেহদীর মতো দুজন বিশেষজ্ঞ পাঠকের কমেন্ট পেয়ে মনে হলো চেঞ্জ করি
করে দিলাম
আমার লেখা যেখান থেকেই শুরু হোক না কেন শেষ পর্যন্ত যেহেতু পাণ্ডুবর্ণই ধারণ করে
তাই পাণ্ডুবর্ণ পত্রলিপিই করে দিলাম
১.যাক ধন্যবাদ, নামটা অন্তত চেঞ্জ করেছেন। তবে এবারের নামটা আমার এন্টেনায় ধরছে না। তবু ও মন্দের ভাল।
২.
আপনার এ কথাও মানতে পারলাম না। মানুষকে পশুর (প্রাণী অর্থে)সাথে তুলনা করলে মোটা দাগে একটা বিষয়েই (দৈহিক সম্পর্ক)মিল আছে। সেটা কি ঢালাও ভাবে প্রেমের ক্ষেত্রে বলা চলে? এটা একটা অংশ হতে পারে তবে মানুষের প্রেমে মানবিক অনুভূতি তো প্রাধান্য পাবে। হয়ত অনেকে প্রেমকে বায়বীয় ব্যাপার বলতে পারেন তবে এর প্রকাশ তো শৈল্পিক হতেই পারে । শুধু পাশবিক হলে সেটা কি প্রেম থাকে?
সত্যিকার অর্থে প্রেম একজন মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় , কেন নিয়ে যায় সেটা বোধ হয় ব্যখ্যা করা মুশকিল। অনেক সময় সেটা নিয়ে ঠাট্টা পরিহাস করা যায় কিন্তু প্রেমিক/প্রেমিকার অনুভূতি কে কখনও স্পর্শ করা যায় না।
এই রে আমার বকবকানির চোটে নিশ্চয়ই আপনার কান ঝালাপালা?
খামোখাই বকছি ,আপনি একটা ইস্যু তৈরী করে দিয়ে আরামসে মজা দেখছেন!
আপনার ঝাড়ি খেয়ে আবারও নাম চেঞ্জ করলাম স্যার
এবার আপনি কয়েকটা নাম সাজেস্ট করেন না প্লিজ
.. লীলেন ভাই কোন নাট্য দলের ?
জনৈক "বেক্কল ছড়াকার"
দেশ নাটক
বুঝতে পারছি প্রেম পত্র শব্দ নিয়ে আপনার একধরনের অনীহা (এলার্জি ও হতে পারে)আছে। তাই কি আবার ও আনাড়ি যোগ হলো?
অসুবিধা নাই আপাতত এটাই চলুক।
বি:দ্র:- পরবর্তী লেখা না পড়ে শিরোনাম নিয়ে বোধহয় কমেন্ট করা ঠিক হবে না।
দিলাম
আবারও চেঞ্জ করে দিলাম নাম
এর পরে যদি না পোষায় তাহলে....
একটা প্রেমেই এতো পরিবর্তন!!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এটাইতো প্রেমের মূল সূত্র
সংসারে মানুষ একই রকমভাবে লেপ্টা মেরে বসে থাকে
কিন্তু প্রেমে বদলায়
না বদলালে যে প্রেম পানসে হযে যায় ভাইজান
এই প্রকল্প আমার মনে ধরেছে গুরুজী। চালিয়ে যান।
৫০ টাকার বিনিময়ে লেখাগুলোর কি স্বত্বও খুইয়েছেন নাকি দেয়া যাবে এখানে ২/১টা?
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ওগুলোর স্বত্ব এবং সাকিন কোনোটাই নেই
একটা পর্যায়ে দুটো প্রেমই ভেঙে যায় আর সাথে সাথে আমার ক্লায়েন্টও ছুটে যায়
তবে দুয়েকটা রিকুইজিশন মনে আছে (লেখানোর আগে ওরা মাঝে মাঝে দুয়েকটা জিনিস যোগ করতে বলতো) সেগুলো আশা করি এই সিরিজে আসবে
আর ওদের বান্ধবীদের লেখা চিঠির ফটোকপি আমাকে দিতো উত্তর লেখার জন্য (বিশেষ বিশেষ জায়গা ফ্লুইড দিয়ে মুছে) সেগুলোরও কিছু কিছু মনে আছে
ওগুলোও আনবো
তাহলে কি মাইর দেবেন?
আমি তো আর বদলাতে বলিনি তবে এই হুমকির কারন কি জনাব?
আপনি বললেন দ্বিতীয নামটা আপনার চান্দির উপর দিয়ে চলে গেছে
তাই ভাবলাম লো এন্টেনায় ধরা যায এমন একটা নাম দেই
আমি লো এন্টেনার মানুষ বুঝেন ই তো মশাই। এত high thought তো মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। তাই বলেছিলাম আরকি.....
পরের পর্ব কখন?
জ্বি
মাথার উপর দিয়ে যাতে না যায় সেজন্য পরের পর্বগুলোতে কোনোভাবেই মাথার কাছাকাছিও যাবো না
পায়ের নখ থেকে গলার নিচ পর্যন্ত সীমিত রাখবো সকল বর্ণনা
বলা যায় না আপনাকেও প্রেমপত্র লিখে বসতে পারি যে কোনো এক পর্বে
(পারমিশন প্লিজ!)
পতুপতু থেকে পাণ্ডুবর্ণ, এরপর আনাড়ি প্রেমপত্র... খারাপ না। শাবাশ জনমত!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কী আর কবর বলেন
একা একা বহুবার চেষ্টা করে কিছুই করতে পারিনি
তাই চিন্তা করছি এখন সবার মতামত এবং এপ্রুভাল নিয়ে
সবার কাছ থেকে চিঠিটা পাশ করিয়ে এবং গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তারপর সাবমিট করব
দেখি এবার কাজ হয় কি না
দেখি এবার সাড়া পাই কি না
মজা আছে ।
প্রতি চিঠি ৫০ টাকা?
বিজনেসের শেষ ফলাফল জানতে আগ্রহী।
(আগামী পর্বগুলোর শেষে এরকম নোট দিতে পারেন।)
আমার মতো সরল পাঠকের আপনার সব কৌশল হজম নাও হতে পারে। আপনার মতলব বেশ বুঝতে পারছি-শিরোনাম যতই চেঞ্জ করেন না কেন ভেতরের মাল-মশলা খুব মশলাদার করতে চাচ্ছেন। কিন্তু এতে তো আপনার রোগ সারবে না।
আপনি বরং এক কাজ করুন। এমন একজনের কথা কল্পনা করে একটা কাব্যিক প্রেমপত্র লিখুন যে আপনার প্রেমপত্র পেলে পৃথিবীতে কিছুই চাইবে না অথচ আপনার ক্ষেত্রে কি হবে বলা যায় না!!
খুব রোমান্টিক অথচ ইনোসেন্ট প্রেম পত্র হবে সেটি। ধারাবাহিক হলে ধীরে ধীরে তাতে মশলা যুক্ত হবে। তবে সাবধান! প্রেম পত্রে হঠাৎখুব ভয়ানক কিছু লিখে ফেললে কিন্তু আপনার প্রজেক্ট ফেল করবে। তখন আপনার জীবন নিয়ে ই টানাটানি হতে পারে। আমরা ও আপনাকে চিনব না।হা, হা, হা।
সুতরাং রয়ে সয়ে লিখুন............
আপনি অতদিন কই ছিলেন বলেন তো স্যার?
আপনার মতো একজন কনসালট্যান্ট যদি সময়মতো পেতাম তাহলে অতদিনে আমি প্রেমের বিশাল আড়ত বানিযে ফেলতে পারতাম
এবং পুরো জাতি দুর্ভিক্ষ পার করে দিতে পারতো আমার আড়তের উপর ভরসা করে...
আহারে...
বাংলা সিনেমার পুলিশের মতো মানুষ মরে ভূত হয়ে যাবার পরে এসে বললেন- আইন হাতে তুলে নেবে না...
আফসোস
০২
দেন তো। তার নাম- ঠিকানাটা দেন। আমি এক্ষুণি লিখছি
০৩
কযেকটা পয়েন্ট দেন না। আমি অনেকের কাছ থেকেই পয়েন্ট নিচ্ছি
(এটা ১০০% সিরিয়াস কথা)
০৪
একটা পারমিশন চেয়েছিলাম। সে ব্যাপারে কোনো আওয়াজ পেলাম না...
১.
লেখকরা তো খুব সংবেদনশীল মনের মানুষ। তো সেই মন নিয়ে ভাবুন,দেখুন,ঠিকই পাবেন। (১০০% সিরিযাস কথা।)
২. আগাম পয়েন্ট দেয়া যাবে না। লেখার পর কমেন্ট দিব।
৩. কোন পারমিশন নাই।
৪.রম্য রচনার একটা প্রজেক্ট করলে কেমন হয়? আপনার এই জাতীয় সব মন্তব্য নিয়ে। আপনার গদ্য তো অসাধারন!
দারুণ হবে কিন্তু!ভেবে দেখেন।
নাম পাওয়া গেছে অনিন্দিতা। এখন একটু হেল্প করলে ঠিকানাও পাওয়া যেতে পারে....
লাঠি ঘোরানোর সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না তাই না?
নিজের বুঝ পাগলেও বোঝে
এই প্রজেক্টের সম্পদক এবং সংকলক একমাত্র আপনিই হতে পারেন
শুরু করে দিন
জাতিগত অজুহাত বাদ দিয়ে চলুক প্রেমপত্র।
...এখনো চিঠি খুঁজি পুরনো বাক্সপেটরায়...
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমারও প্রচণ্ড অভ্যাস ছিল চিঠি লেখার
তাই চেষ্টা করছি পুরোনো অভ্যাসটাকে অন্য ফর্মেটে ফিরিয়ে আনার
নতুন মন্তব্য করুন