ভুল পথে ঘুরতে ঘুরতে আমরা যখন কাওয়ালজীনির কাছাকাছি তখন দূর থেকে শুনতে পেলাম মাইকে ক্ষুদিরামের ফাঁসির গান বাজছে। কামাল উদ্দিন কবীরকে জিজ্ঞেস করলাম- চৈত্রপূজার অনুষ্ঠানে ক্ষুদিরামের গান কেন?
কবীর ভাইও বোকার মতো একটা চাউনি দিলেন। বিষয়টা তার মাথায়ও ঢোকেনি। জায়গায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের কানে আরো অনেকগুলো স্বদেশী গান এলো। কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করেই যখন মাঠে পৌঁছালাম তখন দেখি পুরো মাঠের চারপাশে লোকে লোকারণ্য আর বাঁশের ঘের দেয়া মাঠটা বড়ো কাপড় দিয়ে ঢাকা। কাপড়ের নিচে বিভিন্ন উঁচু নিচু। মাঝে মাঝে কেউ কাপড়ের নিচ থেকে বের হয়ে আসছে । আবার কেউ গিয়ে ঢুকছে কাপড়ের নিচে। শুনলাম এখনও শুরু হয়নি। প্রস্তুতি চলছে
আমরা এদিক ওদিক ঘুরছি হঠাৎ অন্য পাশ থেকে দেখলাম যুদ্ধংদেহী কালী যুদ্ধ করতে করতে এলো দলবল সহ। তার সাথে সাথেই রাধা এবং সখী সহ এলেন কৃষ্ণ।
আমরা ভাবলাম হয়তো এটা আলাদা কিছু। একটু পরে এসে হাজির ঘোড় সওয়ার ইংরেজ সাহেব
আমরা যখন এদেরকে দেখছি তখন মাঠে শোনা গেলো উলুধ্বনি। তাকিয়ে দেখি মাঠ থেকে কাপড় সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর সারা মাঠ জুড়ে পড়ে আছে বীভৎস সব লাশ
এক পাশে ফাঁসিতে ঝোলানো ক্ষুদিরাম
যুদধ করতে করতে কালী- দলবল সহ কৃষ্ণ এবং ঘোড়া নিয়ে ইংরেজ সবাই গিয়ে ঢুকে পড়লো মাঠে
সারা মাঠ জুড়ে শুরু হলো তাণ্ডব....
০২
টাঙ্গাইল মির্জাপুর থেকে মটর সাইকেলে আধাঘণ্টার পথ। তারপর ১৫ মিনিটের হাঁটা এই কাওয়ালজীনি গ্রাম। প্রতি বছর পৌষ পূজায় এখানকার সবচে বড়ো আয়োজন এই মণিহাজরা
কবে থেকে শুরু কেউ বলতে পারে না। সবাই জানে তাদের জন্মের আগে থেকেই এখানে মণিহাজরা হয়। তবে তার আগের রাতে শ্মশানে হয় হাজরা
যারা রাতে ভয় পায় তাদের জন্য এই গ্রামে শুরু হয়েছিল বিকেল বেলার এই মণি হাজরা
০৩
মা কালী থেকে ক্ষুদিরাম। সকল যুদ্ধ- সকল স্বাধীনতার সংগ্রাম এসে এক মাঠে সংকলিত হয়েছে এই মণিহাজরায়
কারা করেছে কেউ জানে না। কবে থেকে হয়েছে কেউ জানে না
অথচ এই অনুষ্ঠানটা প্রতি বছরই করে আসছে এই গ্রামের লোক
বিন্যাস-মেকাআপ- পারফরমেন্স এবং ব্যবস্থাপনা যেকোনো আধুনিক থিয়েটার ফর্ম থেকে হাজারগুণ কৌশলী এবং আধুনিক। শুধু যা পার্থক্য তা হলো এই আয়োজনের থিউরি কেউ কপচায় না
কেউ কৃতিত্ব নেয় না
সবাই একসঙ্গে করে
একসঙ্গে উদযাপন করে সকল অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির বিজয়উৎসব
মন্তব্য
দুর্দান্ত ।
পরবর্তীতে চিত্রের সাথে চলচ্চিত্র ও আসুক ।
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ওখানে গিয়ে আফসোস করেছি ভিডিও সেটাপ না নিয়ে যাওয়ার জন্য
আসোলে আমি জানতাম আমি এমনি বেড়াতে যাচ্ছি
ওখানে কী হয় কিছুই জানতাম না
আগামী বছর পুরোটার উপর একটা ডকুমেন্টারি করব
দারুন! প্রথমে অন্যকিছু মনে করেছিলাম! মনটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
বৌরে কন আপনার বুকে থুতু দিতে
ভয় কাটবে
আমি ভয় পেয়ে গেছি, ব্রাদার !
তবে লেখাগুলো প্রাণবন্ত ।
দারুণ একটা জিনিস শেয়ার করলেন .... কোনদিন হয়ত জানাই হতোনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
গাড়িতে উঠে না ডেকে - আগে থেকে থেকে বললেই হতো। এখন আর মনে হতো না আহা মিস করেছি।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
মাই গড !
সামনে থেকে দেখার ব্যাপারটা নিশ্চয়ই শ্বাসরুদ্ধকর?
ভয় পাননি আপনি?
আমি ভাবতে পারছি না ওই পরিস্থিতিতে আমি কি করতাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি হইলে চোখ বন্ধ করে দেখতাম...
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ইসসিরে....
যেন একেবারে মঙ্গল গ্রহ থেকে আসলেন ইনারা...
কেন হলিউডের এ্যাকশন ফিল্ম যখন দেখেন কিংবা হরর
এটা কি তার থেকেও ভয়নাক?
আপনি কিভাবে এই বিষয়টার কথা জানলেন?
কত কিছু যে আমাদের চারপাশে ঘটছে? অথচ আমরা কোন খবরও রাখি না। চা বাগানের পূজা বা যাত্রা নিয়ে আপনার কোন অভিজ্ঞতা থাকলে প্লীজ এখানে ছবি সহ লেখা দিন। শুনেছি বাগানে ও চমৎকার কিছু অনুষ্ঠান হয়।
ধন্যবাদ অভিনব বিষয় নিয়ে আসার জন্য।
আমি গিয়েছিলাম টাঙ্গাইল-মির্জাপুরের ভাতগ্রামে পৌষপূজা দেখতে
ওখানে কিছু বিশেষ আয়োজনের কথা শুনেছি
সবগুলোই মহাদেবের পূজা এবং তাণ্ডব কেন্দ্রিক
চড়ক- বানাম-কাচ এর সাথে সংযাত্রার এক অদ্ভুত সমন্বয়
(রাতের বেলার প্রোগ্রাম বলে আমার মোবাইলে ছবি তুলতে পারিনি। অন্য একজন তুলেছেন। সেই ছবিগুলো হাতে এলে শেয়ার করব)
পরেরদিন শুনলাম পাশের গ্রাম কাওয়ালজেনীতে মণিহাজরা হয়
কিছুই না জেনে রওয়ানা দিলাম
গিয়ে দেখি....
০২
আমার নিজের জন্ম এবং শৈশব কেটেছে চা বাগানে
কিন্তু বাগানকে নিয়ে লেখা হয়নি কিছুই...
তবে লিখব স্যার...
মারাত্মক!!!
ওরে খাইসে রে !!
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
১৭ এপ্রিলের প্রথম আলোতে বিশাল বাংলার একটা খবরে চোখ আটকে গেল। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ঝালপুকুর গ্রামে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে চরক মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলা নাকি তিনশ বছরের পুরোনো। এখানে আদিবাসি যুবক রা জীবনসঙ্গী বাছাই করতে আসে। আগে নাকি মেয়ে পছন্দ হয়ে গেলেই সিথিঁতে সিদঁুর পরিয়ে দিত, আর সিদুঁর পরিয়ে দিলেই বিয়ে হয়ে যেতো। এখন অবশ্য নিয়ম খানিকটা পাল্টেছে। তবে পুরো বিষয়টা খুব ইন্টারেষ্টিং মনে হয়েছে। এই পোষ্টের লেখা পড়ে মনে হলো আপনাকে এই মেলার উপর লেখা তৈরীর একটা assignment দেয়া যায়। খুব চমৎকার হবে সচিত্র পোষ্ট। আপনি নতুন কাজের জন্য রেডী তো?।
রেডি মানে?
একেবারে এক পায়ে খাড়া
শুধু সকালে ঘুম থেকে উঠতে প্রায়ই সন্ধ্যা হযে যায়
একটু ডেকে দিতে হবে এই আর কি...
ঠিক আছে। ডেকে দেয়া যাবে। তারপর ও যদি ভাল জিনিস পাওয়া যায়..
কেৌশলগুলো স্পস্ট।
তাই ভয় পেয়েও....
আমার নিজের বাড়ী টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে, তাই এগুলো সম্পর্কে আগের থেকেই জানি।
শেয়ার করার জন্য সাধুবাদ !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অসাধারণ।
প্রিয় পোস্টে অ্যাডিত।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন