মিনু যদি সবাইকে বিদায় করে ঠেলে তাকে বাসরঘরে ঢুকিয়ে না দিতো তাহলে হয়তো পুরো বাসর রাতটাই মিথুন ড্রয়িং রুমে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে কাটিয়ে দিতো। বন্ধুরা যখনই যাবার কথা বলেছে তখনই সে জোর করে আটকে রেখেছে আর খামাখাই হেসেছে- হেহে হো হো
কিন্তু দোষটা বুঝতে পারে বাসরঘরে পা দিয়েই। নতুন বৌ বিয়ের সাজ খুলে বসে আছে। পুরো বাসরঘর লণ্ডভন্ড। মিথুন কিছু একটা বলতে চেষ্টা করে কিন্তু লিজা চিৎকার দিয়ে উঠে- আপনি ওখানে দাঁড়ান
মিথুন জড়িয়ে প্যাঁচিয়ে আবারও কিছু একটা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু লিজা আতঙ্কে চিৎকার করে উঠে- আমি বিয়ে করতে চাইনি। আমাকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে...
দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে লিজা তাকিয়ে আছে তার দিকে। মিথুন ঘামছে- তুমি কি অন্য কাউকে পছন্দ করতে?
- না
অনেক্ষণ দুজন দাঁড়িয়ে থাকে। পুরো বাসা নিশ্চুপ হয়ে গেছে। মিথুন কথা বলে- আমি কি অন্য ঘরে চলে যাবো?
- হ্যাঁ
- আমার ফোনের চার্জারটা ওখানে। একটু দেবে?
পরদিন ভোরবেলা মাথায় হাত রাখতেই সোফার উপরে ঘুমানো মিথুন ধড়মড় করে জেগে উঠে হড়বড় করে মিনুকে কিছু একটা বোঝাতে চেষ্টা করে। মিনু আস্তে করে শুধু জিজ্ঞেস করে- চা খাবি?
মিনু দুইকাপ চা বানিয়ে হাজির হয় বাসরঘরের দরজায়। লিজাকে ডেকে তুলে এক ঝলকে ঘরটা দেখে নেয়- ভাইয়া চা খেতে চাইলো তাই নিয়ে এলাম... দরজা খোলা থাকুক। ভাইয়াকে পাঠিয়ে দিচ্ছি
ড্রয়িং রুমে মানুষ রেখে কেউ বেডরুমে চা দেয়? মিনুকে একটা ঝাড়ি দিয়ে যখন মিথুন বেডরুমের দিকে যাচ্ছে তখন মিনু তার ফোনের চার্জারটা ধরিয়ে দেয়- এটা নিয়ে যা
দরজা ধরে দাঁড়িয়ে থাকা লিজা মিথুন ঢোকার সাথে সাথে আবার দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়ায়। মিথুন চায়ের কাপ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু লিজা দাঁড়িয়েই থাকে... নিজেরটা নিয়ে বের হয়ে আসতে আসতে মিথুন পেছনে শুধু দরজা বন্ধ হবার একটা শব্দ শোনে
এই বাড়িটা টিকে আছে মায়ের ঝাড়ির উপর। নাস্তার টেবিলে ছেলের বাম চেয়ারে নতুন বৌয়ের বসার কথা। বৌতো বসতে একটু হেসিটেট করবেই। তাই বলে সেখানে মিনু বসে পড়বে? আর বসলো তো বসলো; আবার বলে এক জায়গায় বসলেই হলো। এবং তাদের বাপও কি না সমর্থন দেয় মেয়েকে। যেমন বাপ তেমন ছেলে মেয়ে। না বোঝে নিয়ম। না বোঝে সিস্টেম
বিয়ের জন্য অফিস থেকে দু সপ্তার ছুটি নেয়া। গেছে দুইদিন। এই কয়দিন মিথুন যদি অন্য কোথাও চলে যায় তবে লিজার ভালো লাগবে। কিন্তু পরের দিনের বৌভাত? লিজার সহজ প্রশ্ন- বৌভাত ক্যানসেল করা যায় না?
করাতো যায়ই। কিন্তু মাকে সামলানো?
মাকে সামলানোর সহজ উপায় হলো তার ঝাড়িগুলোকে বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়ে নিজের কথাটা কনফিডেন্টলি বলা- অফিস ইমার্জেন্সি মা। কিচ্ছু করার নেই
- এমন চাকরির দরকার নেই। ছেড়ে দে
মিথুন জানে বাবার সমর্থনটা পাওয়া যাবে। আর বাবার সমর্থন পাওয়া মানে মায়ের ঝাড়িগুলো বাবার দিকে ঘুরে যাওয়া...
মিথুন বের হয়ে যেতেই লিজার মনে হয় এ বাড়িতে সে বহুদিন থেকেই ছিল। শ্বশুরের সর্বক্ষণ হাসি- মিনুর ম্যানেজ করে চলা আর মায়ের ঝাড়ি। সবকিছুতেই যেন সে বহুদিন থেকে অভ্যস্ত এবং সাবলীল। শুধু প্রতিটা ঝাড়ি যখন মিথুনের দায়িত্বহীনতাকে দোষ দিয়ে শেষ হয়। তখন যেন কোথায় একটু অস্বস্তি হয়
বৌভাত ক্যানসেল হবার পরে মিনুর ফ্রেন্ড পিন্টু জেদ ধরে বসে- তাকে বিয়েতে বরযাত্রী নেয়া হয়নি বৌভাতের কথা বলে। এখন বৌভাত ক্যানসেল তাই তাকে কমপেনসেট করতে হবে। এবং সেটা হবে নতুন ভাবীর হাতের রান্না খাইয়ে
বিস্ময়ে লিজা হা হয়ে যায়। একটা ছেলের সাথে মিনু ইচ্ছা করে মেশে? তবুও সে রাজি হয় মিনুর জন্য। কিন্তু পিন্টুকে চিনতে তার এখনও বাকি। ডায়নিংয়ে খাবার বেড়ে দিয়ে সে ঘরে এসে বসেছিল। পিন্টু শুরু করে দরজা ধাক্কানো। দরজা খুলেও রেহাই নেই। তার হাতে একটা শাড়ি। এবং সেই শাড়ি পরেই লিজাকে টেবিলে গিয়ে তাকে বেড়ে খাওয়াতে হবে। আফটার অল সে একজন হবু জামাই
যে মিনু অতদিন তাকে সামলে সামলে রেখে এসছে। এই প্রথমবার মিনু তার কোনো সাহায্যে আসে না। নির্বিকার মিনু বলে- ওর কথা না শুনলে ওর পাগলামি আরো বাড়বে। এখন তুমি কী করবে করো...
ডায়নিংয়ে পিন্টুর বকবক। মিনুর সাথে খুনসুটি আর রান্নার প্রসংশা কখনও ভালো লাগা- কখনও বিরক্তি লাগলেও একেবারে খারাপ লাগে না লিজার। পিন্টু যখন জেদ ধরে তাকে খেতে বসায় এবং নিজে বেড়ে দেয় তখনও খারাপ লাগে না। কিন্তু কথা বলতে বলতে যখন পিন্টু বলে উঠে- মিথুন ভাই শুধু একটা হতভাগাই না; একটা স্টুপিড। নাহলে এমন বৌ আর এমন রান্না রেখে সে নাকি অফিস করতে যায়...
এই কয়দিনে শুধু একটা হিসাব এখনও সে মিলাতে পারেনি। তা হলো; যে কোনো প্রসঙ্গে মিথুনকে ঝাড়ি দেবার পথ খুঁজে বের করায় মায়ের অসাধারণ কৃতিত্ব। যে প্রসঙ্গই আসুক না কেন সেটা গিয়ে শেষ হবে মিথুনকে গালাগলি করে। আর মিনুর অসাধারণ ম্যানেজমেন্ট। যেন উত্তরগুলো তৈরি করাই থাকে। তবুও লিজার নিজেকে অপরাধী মনে হয়। আর কৃতজ্ঞতা বাড়ে মিনুর উপর। মেয়েটা সব জেনেও একটা কথাও বলেনি তাকে। কিন্তু যখন জানায় মিথুনের বারো দিন শেষ। কাল সকাল বেলা আসবে তখন লিজার মুখ থেকে বের হয়ে আসে- আমার ভয় করে মিনু
- ভাইয়াকে তোমার ভয় করে?
- ছেলেরা খুব খারাপ হয়
লিজা মিনুর চোখ দেখে ভয় পেয়ে যায়। মিনুর চোখে রাগ না অভিমান?
সকালে বাড়ি ফিরে আবার তাড়াহুড়ো করে অফিস চলে যাবার অপরাধে মা একটা রায় ঘোষণা করেন- আজ বিকেলেই বৌ নিয়ে মিথুনকে বড়ো মামার বাসায় যেতে হবে। মিনু যেন তার ভাইকে জানিয়ে দেয়...
মামার বাসার কাছাকাছি এসে লিজা রিকশা থামিয়ে দেয়- দাওয়াতটা ক্যানসেল করা যায় না?
লিজা তাকিয়ে থাকে মিথুনের দিকে। মিথুন নিজের মোবাইল বের করে- বড়ো মামা। আজ সকালেই আমি বসের বাসায় একটা ইনভাইটেশন একসেপ্ট করে ফেলেছি। কিন্তু বিকেলে বাসায় এসে শুনি মা তোমার ওখানে আমাদের যাবার কথা ঠিক করে রেখেছে। এখন...
মিথুনও কী অবলীলায় সবকিছু ম্যানেজ করতে পারে। তাকে কি একটা থ্যাকংস দেয়া উচিত?
কিন্তু মাকে এতো রাগতে দেখেনি এর আগে- মামার দাওয়াত ক্যানসেল করতে পারলি। বসের দাওয়াত ক্যানসেল করলে কী হতো? আত্মীয়-স্বজন থেকে বস তোর কাছে বড়ো?
লিজা এই প্রথম আবিষ্কার করে মিনু যেমন মায়ের সবগুলো কথার একটা করে উত্তর দেয়। মিথুন তার উল্টো। সে মায়ের একটা কথারও উত্তর দেয় না। যা বলার বলে বসে থাকে। মা ক্রমাগত বকে যাচ্ছেন। লিজার বারবার মনে হচ্ছিল মায়ের ঘরে আসার আগে মিনুর কাছ থেকে দুয়েকটা উত্তর শিখে আসলে ভালো হতো
মায়ের ঘর থেকে বের হয়ে নিজের ঘরে এসে দেখে মিনু খাবার নিয়ে বসা- ডায়নিংয়ে খাওয়া যাবে না। মা টের পেয়ে যাবে। এখানেই খেতে হবে
এই মানুষগুলো এরকম কেন? লিজার চোখে ব্যাথা করে। কোনোমতে শুধু বলে- তোমার ভাইও খায়নি কিছু...
মিনু বের হয়ে যাবার পরে লিজা আবিষ্কার করে এই পরিবারের মানুষগুলো যেন অন্যরকম। নিজের যে পরিবার দিয়ে সে এতোদিন সবাইকে মেপে এসছে এরা যেন একটু আলাদা। এরা সারাক্ষণ মনে রাখে পরিবারে অন্য মানুষের অস্তিত্ব। আর সেই কারণেই কি লিজাও স্বীকার করে নিলো মিথুনের অস্তিত্ব? না হলে মিথুন খায়নি এই কথা কেন তার মুখ থেকে বের হয়ে এলো?
যতক্ষণ পর্যন্ত না মা-বাবা ঘুমান ততক্ষণ মিথুন ড্রয়িং রুমে কাটায় টিভি দেখে। মা-বাবা ঘুমিয়ে পড়লে ঘুমিয়ে পড়ে সোফায়। আবার সেই ভোর বেলা; মা উঠার আগেই বের হয়ে যায় হাঁটতে। ... আস্তে আস্তে নিজের ঘরে লিজার যেন কোথায় একটু অস্বস্তি হয়। এবাড়ির লোকগুলোকে সে হয়তো অসুবিধায় ফেলে দিয়েছে। কিন্তু কেউ তাকে কিছু বলে না কেন? মিনুতো জানে। মিথুনও কিচ্ছু বলে না। তাহলে...
লিজার মনে পড়ে ড্রয়িং রুমে প্রচণ্ড মশা। একটা কয়েল জ্বালিয়ে ড্রয়িং রুমে গিয়ে হাজির হয়- আসোলে আমার জন্য সবার এমন অসুবিধা...
- কেউ কিছু বলেছে?
- না কিন্তু...
- কিন্তু কী?
- আমার ভয় করে...
মিথুন হেসে উঠে। গা জ্বালানো হাসি। লিজা কয়েলটা রেখে বের হয়ে যেতে আরেকবার তাকায় মিথুনের দিকে। মিথুনেরই তো উচিত তার উপর রাগ করা। কিন্তু তার রাগ হচ্ছে কেন? মিথুন তাকিয়ে আছে তার দিকে- যাও শুয়ে পড়ো। গুড নাইট
লিজার পা নড়ে না। তাকে কি লিজার কিছু বলা উচিৎ? লিজা মুখ খোলে কিন্তু মিথুন থামিয়ে দেয়- যাও শুয়ে পড়ো অনেক রাত হয়েছে...
মিথুন কি তাহলে বুঝে ফেলেছে কথাগুলো লিজা গুছিয়ে বলতে পারবে না এজন্য থামিয়ে দিয়েছে? মিথুনকে কি একটা থ্যাকংস দেয়া উচিত তার? সে আবার মিথুনের দিকে তাকায়। কিন্তু ততক্ষণে মিথুন লাইট অফ করে দিয়েছে- গুড নাইট
সকাল বেলা মা তাকেই সরাসরি কথাটা জিজ্ঞেস করে বসেন- মিথুন কি তোমার সাথে ঝগড়া করেছে কাল রাতে?
- না কেন?
- সকাল বেলা তাকে ড্রয়িং রুমে শুয়ে থাকতে দেখলাম
কী বলা উচিত তার এখন? শ্বাশুড়িকে কি তবে সব বলবে সে? কিন্তু মিনু বাঁচিয়ে দেয় আবার- রাতে অফিসের কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিল বোধহয়...
কিন্তু দুপুরেই মিনুকে ফোনে একেবারে ভেঙে পড়তে দেখে লিজার নিজেকে অসহায় লাগে। মিনু তার ভাইয়ের সাথে কথা বলছে ফোনে- আমার পক্ষে আর মাকে নয়ছয় বোঝানো সম্ভব না। তোর যা ইচ্ছা তা কর
লিজা ভেঙে পড়ে
...বলা উচিত। কেন সে সবাইকে এমন অসুবিধায় ফেলে দিলো। কেন সে খাপ খাওয়াতে পারছে না। বলা উচিত। মিনুকেই বলা যায়...
সেই ছোটবেলা থেকে জমা হওয়া স্মৃতি। ...বাড়িতে একা থাকা। মা বাবার সারাক্ষণ ঝগড়া। আর আত্মীয় স্বজনদের সুযোগ নেয়া... মা বাবাকে কিছুই বলতে না পারা। মা বাবার কিছুই খেয়াল না করা... একা। একেবারে একা লিজার ভেতরে আত্মীয়-স্বজন আর ছেলেদের প্রতি তৈরি হওয়া ভয়াবহ ঘৃণা আর ভয়...
লিজা মিনুর চোখের দিকে তাকাতে পারে না। শুধু টের পায় মিনুর একটা হাত তাকে ছুঁয়ে রেখেছে। ...এই স্পর্শ সহানুভূতির
কিন্তু পরদিন সকালেই মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। আবারও ইনভাইটেশন। ছুটির দিনে মিথুনের এক ফ্রেন্ডের বাসায় দুপুরে খাবার দাওয়াত। মিনু বলেছে মা তাকে যেতে বলেছেন। কোনো উপায় নেই
রিকশা থেকে নামার পরে যখন জিজ্ঞেস করে- এটা কার বাসা; মিথুন নির্বিকারভাবে উত্তর দেয়- কারো না
- তাহলে?
- তোমাকে নিয়ে একটু ঘুরতে এলাম
মেজাজ ঠিক রাখা কঠিন। মিথ্যে বলে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে এসছে। লিজা বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশায় উঠে পড়ে। মিথুন অতক্ষণ দাঁড়িয়ে হাসছিল। এবার এগিয়ে এসে আস্তে করে বলে- মা কিন্তু জানে আমরা লাঞ্চ পার্টিতে আছি
- মায়ের সাথে এভাবে মিথ্যে বলা ঠিক হয়নি
মিথুন হাসছে- বিয়ের পরদিন থেকেই তো মায়ের সাথে মিথ্যে বলে আসছি
ওই মিথ্যেগুলো তার পক্ষে ছিল বলে কোনোদিন খেয়াল করেনি।কিন্তু তাই বলে ফাজলামি করার জন্য মায়ের সাথে মিথ্যে বলা....
- মিনু বলে দিয়েছে আমাদেরকে রেস্টুরেন্টে খেয়ে যেতে হবে। দুপুরে বাসায় কোনো খাবার হবে না
- মিনু জানে এই প্ল্যান?
- এটাতো তারই প্ল্যান
- ভাই-বোন দুইটাই সমান শয়তান
লিজা নেমে যায় রিকশা থেকে। মিথুন আবারও হেসে উঠে- আমি ভেবেছিলাম মিনুকে তোমার পছন্দ হয়েছে। কিন্তু এখন দেখছি তাকেও তুমি সহ্য করতে পারো না
- না না। এমনি বলেছি। মিনু খুব ভালো মেয়ে
- আর আমি?
লিজা পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে। কী বলবে সে... কিন্তু বেশিক্ষণ ভাবার সুযোগ দেয় না মিথুন। ঠা ঠা করে হেসে উঠে- সবুজ টিপে কিন্তু তোমাকে দারুণ লাগে
এক টানে টিপটা খুলে ছুঁড়ে ফেলে হাঁটতে থাকে লিজা...
লাইটটা খুব আস্তে অন করে লিজা। মিথুন ঘুমিয়ে আছে না চোখ বন্ধ করে আছে দেখার জন্য এগিয়ে যেতেই আস্তে করে মিথুনের চোখ দুটো খুলে যায়
লিজা কিছু বলতে পারে না। শুধু কপালে হাত দিয়ে দেখায়- টিপ
সেই সবুজ টিপ। মিথুন ঠাঠা করে হেসে উঠে। তার দিকে তাকিয়ে লিজার মনে হয় এই শয়তানটাকে ভয় নয়; ভরসাও করা যেতে পারে
লিজাও হেসে উঠে মিথুনের সাথে...
২০০৭.০৬.০৯ শনিবার
কাহিনীসূত্র: বাণী বৈশাখী
মন্তব্য
আপনাকে চিনি না তবে আপনার নামের ক'টা বই আমার চোখে পড়েছে। আপনার বইগুলোর বাধাই ভাল হয়। বেশ খরচ করেন।
আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিবেন?
আমি নাফে মোহাম্মদ এনাম। নিজেকে হরর গল্পকার হিসেবে পরিচয় দিতে বেশ লাগে। ভাব গম্ভীর লেখা পছন্দ করি না।
০১৭১১ ৩১৮৩০৩
এই মোবাইল নম্বরটা আমার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে কাজ করে
আমার সবগুলো বইয়ে এবং সব জায়গায় আমার ইনকামিং নম্বর এই একটাই
০২
হরর গল্প বহুদি পড়ি না
দুয়েকটা দেন না
পড়ি
নীড়পাতার দুনম্বর পৃষ্টায় স্বপ্ন ভয়ংকর নামে একটা আছে। আশা করি এখনই পড়বেন এবং আপনার একটা মন্তব্য পেশ করবেন। আর হ্যা-আপাতত আরেকটা কাজ করতে পারেন-www.youtube.com/nafeeanam
এ পেজটা িভজিট করতে পারেন।
অপার্থিব নামের একটা হরর শর্টফিল্ম আছে। আমার করা।
"শয়তানটাকে ভয় নয়; ভরসাও করা যেতে পারে"---------------------- ভরসা করলে শয়তানের উপর করাই ভালো...............
আমরা তো শয়তানের ভরসাতেই আছি
না হলে এতো নাচগান এতো রং
এর সবকিছুই তো তিনার রাজ্যে নিষিদ্ধ
জয় বাবা শয়তান...
শুধু কপালে হাত দিয়ে দেখায়- টিপ ...
সেই সবুজ টিপ। ...
লিজার মনে হয় এই শয়তানটাকে ভয় নয়; ভরসাও করা যেতে পারে ...
ভালো-গল্প।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
এই নাটকগুলো কি টিভিতে দেখা যায়? তাহলে টিভি দেখা শুরু করা যেত। বেশ লাগলো।
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
দেখানোর জন্যই তো বানালাম
কিন্তু যদি বলে এসব আতলামি তাহলে দেখাবে না
নির্ভর করে তাদের মর্জির উপর
তাদের মর্জির কারণে আমার আরো দুটো নাটক আটকে আছে
এটাকে আতলামি মনে হলে ওদের বিশেষ সাহিত্য পাঠ করা উচিত। এটা তো একটা মনোরম উপভোগ্য টিভি গল্প।
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সরি বুঝলাম না কেন মেয়েটা এমন করছে, মিথুন কে অন্য রুমে থাকতে হচ্ছে কেন?
--------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
প্রশ্ন: ০১
কেন মেয়েটা এমন করছে?
উত্তর
০১
এর মাথায় ডিফিট আছে তাই এমন করছে
০২
পাত্র পছন্দ হয় নাই তাই এমন করছে
০৩
বিয়া করলেই স্বামীর সঙ্গে এক ঘরে ঘুমাতে হবে এমন কথা নাই তাই এমন করছে
০৪
বিয়ার কাবিনে সব কথা লেখা থাকলেও আরেক বেটার সাথে একঘরে থাকতে হবে বলে কোনো কথা লেখা ছিল না বলে এমন করছে
০৫
ছোটবেলা থেকে ছেলেদের দ্বারা এবিউজড হতে হতে ছেলেদের ব্যাপারে তার মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে তাই এমন করছে
প্রশ্নঃ ০২ মিথুন কে অন্য রুমে থাকতে হচ্ছে কেন?
উত্তর
০১
বৌকে দেখে ভয় পেয়ে সে অন্যরুমে থাকে
০২
বৌয়ের নাক ডাকার শব্দে তার ঘুম আসে না বলে সে অন্যরুমে থাকে
০৩
বৌটার দাঁত কটমটি বেরাম আছে। রাইতের বেলা উঠে কামড়ানো শুরু করে বলে মিথুন অন্যরুমে ঘুমায়
০৪
মিথুন এর আগে অন্য কোনো মেয়ের সাথে এক রুমে থাকেনি বলে বিয়ের পরেও অন্যরুমে ঘুমায়
০৫
লিজাকে লিজার মতো থাকতে দিয়ে আস্তে আস্তে সবকিছুতে অভ্যস্ত করানোর জন্য মিথুন তাকে কোনো জোর করেনি
কারণ সে বুঝতে পেরেছে লিজার অবচেতন মনে কোনো আতঙ্ক কাজ করছে
সেটা দূর হতে সময় যেমন লাগবে
তেমনি লিজার প্রয়োজন পড়বে নিজের মতো থাকার সুযোগ
তাই সে অন্যরুমে থাকে
এইবার মুমু
একটু কষ্ট করে খুঁজে বের করো তো কোন উত্তরগুলো সঠিক?
লীলেন ভাই, গল্পটা সুন্দর হয়েছে। এই গল্পকে কেউ আতলামি বললে কিছুই বলার নেই। আমার তো মনে হয়েছে এটা আদর্শ একটা টিভি নাটক হবে।
আপনি কি নিয়মিত টিভির জন্য নাটক লেখেন? এরপর কোন নাটক প্রচারিত হলে আগেই প্লীজ মেসেজ দিয়ে জানাবেন
নিয়মিত লিখি না
শুধু নিজে যে নাটকগুলো বানাই সেগুলো লিখি
অন্য কাউকে দেই না
টিপের ব্যাপারটা দারুণ লাগলো।
ছোটবেলায় কেন যেন এইরকম নাটক আর সিনেমা বেশি দেখতে চাইতাম, যেখানে বিয়ের অনেক পরে দুজনের মধ্যে ভাব হবে।
মিষ্টি লাগলো গল্পটা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হ
বিটিভির জন্য বানিয়েছি তো
তাই খুঁজে খুঁজে তথাকথিত মিষ্টি ঘটনাই খুঁজে বের করেছি
চমৎকার লীলেন ভাই ! জমজমাট একটা টিভি নাটকের গন্ধ পেলাম।
পুনশ্চঃ নাটক যদি বানানই, প্লীজ নায়িকা প্রভাকে নেবেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
না না, মিথিলা!
কিরে প্রভাই কেন?
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধেইশ ! প্রভার নাগাল আর কুনো মডেলতো দেহি না, যারে তাবদা খায়া ভুদাই হয়া যাই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মডেলগোরে দেইখা বোদাই হইতে আমারো আপত্তি নাই
কিন্তুক মডেলগোরে এ্যাকটিংয়ের লাইগা কাস্টিং দিয়া চোদনা বনতে রাজি না...
ফুলদানি ড্রয়িং রুমেই থাকুক ফুল রাখার লাইগা
সেইটারে দিয়া কলসির কাম চালাইতে গেলে ঝামেলা আছে
নাটকটা গত সপ্তায় শুটিং করে ফেলেছি
এবং আপনার প্রভাকে নিতে পারিনি
দুঃখিত (আহারে...)
লীলেনদা জম্পেশ গল্প, দারুন হইসে । কবে আইবো ?
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এডিটের কাজ চলছে
মিউজিকের জন্য এখনও সুইটেবল কাউকে খুঁজে পাচিছ না
আশা করছি জুনে প্রচার হবে
আপনি সব ধরণের লেখা লিখতে পারেন ।
আপনার নাটকের গল্প আর অন্য গল্পের মাঝে অনেক তফাত তাই না?
এটা কি কোন সেন্সরশীপের কারণে?
আগের নাটকের এডিটিং কি শেষ?
তফাত তো অবশ্যই আছে
সাধারণত ফিল্ম কিংবা খিন্ড নাটকের গল্পের ফর্মেট হয় কথা উপন্যাসের আদলে
যেখানে একটা পরিণতি থাকে
ছোটগল্প দিযে খণ্ড নাটক বানানো প্রায় অসম্ভব
বরং ছোটগল্প দিযে সিরিয়েল নাটক বানানো অনেক সোজা
০২
সেন্সরশীপতো আছেই
লিখিত অলিখিত
তার উপরে আছে বিভিন্নধরনের মোল্লাগোষ্ঠী এবং বণিকগোষ্ঠীর মর্জি
মোল্লাগোষ্ঠী বসে থাকে একেকটা চেয়ারে। তারাই বিধান দেয়- এইটা কিছু হয় নাই
ওইটা হইছে আন্ধাইর ফিলিম (শর্ট ফিল্ম)
কিংবা ওইটা হইলো আতলামি
আর বণিক গোষ্ঠী সোজা বলে দেয়- এইটা পাবলিক খাইব না
পয়সা দিমু না। রাস্তা মাপেন
তার উপরে আছে আমাদের মহান মূল্যবোধ...
যার চেহারা জীবনেও কেউ দেখেনি কিন্তু যে কেউ এর দোহাই যে কোনো সময় দিতে পারে
০৩
আগেরটা আর এইটা একসাথে শুটিং করেছি
একসাথেই এডিট চলছে
০৪
অন্যপ্রসঙ্গঃ
আপনার না লেখা দেবার কথা
সেই লেখা কই স্যার?
আতলামো কে বলবে? অতি অতুলনীয় সুন্দর একটি গল্প।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নাটকের প্রচার সময়, তারিখ , চ্যানেল সহ সব বিস্তারিত সচলায়তনে সব সচল অচলদের জন্য জানাবেন। আমরা দেখার অপেক্ষায় .........
ইশ, লেখার কথা বলে তো ভয় পাইয়ে দেন।
ওসব পারি না।
আহা পড়তে আর কমেন্ট করতে কী মজা!
যদি লিখি অন্য নামে লিখতে পারি। কেউ চিনবে না। ঝাড়ি খেলে ও অন্যে খাবে। আমাকে তো কেউ খুজেঁ পাবে না । হা. হা. হা.।
ভাল থাকুন। আমাদের জন্য ভাল লিখুন।
- নাটকের শ্যুটিং শ্যাষ?
ঠিকাছে, নেক্সট টাইম নাটকটার রিমেক হইলে আমারে নায়কের পাটটা দিয়েন। আর অত দূরে দূরে রাইখেন না। দুয়েকটা চাকভুম চাকভুম গানের সীন ও রাইখেন
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অবশ্যই আপনারে নায়ক বানামু আমি এবং অব্যশই অবশ্যই সেখানে আপনার একটা লটঘট গানের সিন থাকবে
তো গানটা সিলেক্ট করে ফেলেছি আপনার জন্য
এইবার রিহার্সেল করতে থাকেন
গল্প হিসেবে চমৎকার, ভাল্লাগছে।
নাটক হবে কিনা জানি না, নাটকের কিছু বুঝি না।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
একটা হলেই সই
বাকিটা বাকিই থাকুক না হয়
সচলায়তনের সাথে প্রথম পরিচয়ের পর থেকে আপনার গল্পগুলি পড়ছি। এই নাটকের গল্পগুলি আপনার অন্য গল্পগুলির থেকে খুব অন্যরকম। একটা ফুর্তি ফুর্তি ভাব থাকে। সেই সাথে একটা দঃখ দুঃখ ভাবও থাকে। মানে, পড়তে ফুর্তি লাগে, দেখতে পারছি না বলে দুঃখ লাগে।
নাটকটা শুনে শুধু ভাল লেগেছিল ------- গল্পটা পড়ে বেশ ভাল লাগছে----- তবে গল্প আর নাটকের মাঝে হয়তো কিছু পার্থক্য থাকে ------ যেমন এক লক্ষ কারণ থাকলেো ঠিক কি কারণে মেয়েটা এমন করছে তা নাটকে পরিস্কার হ 'য়া দরকার আসলে নাহলে মূল ঘটনাই কেমন অস্পষ্ট হয়ে যাবে------ হয়তো নাটকে তা রেখেছিস--------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
নতুন মন্তব্য করুন