মানুষ ঘুমানোর জন্য কত হাবিজাবি ঘাসপাতা বড়িটড়ি খায়। মেডিটেশন- এক্সারসাইজ- ডাক্তার কতকিছু করে। কিন্তু আমি অনেক ডাক্তারকে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি- ঘুম কমানোর কোনো ওষুধ নেই?
আমি একেবারে পেটভরে ঘুমাই। এই ঘুম আশেপাশের বহু মানুষকে বহুবার বেক্কল বানালেও গতকাল আমাকে বানিয়ে দিয়েছে রাম বেক্কল
বন্ধের দিন বিষুদবার রাতে ঘুমিয়ে শুক্র- শনি পার করে রোববার সকালে উঠেছি বহুদিন। আশেপাশের লোকজন এটা জানে। এই ক্ষুদ্র ঘুমে আমি বিড়ি খাওয়া এবং ফোনে কথা বলা ছাড়া কিছুই করি না। বিড়িতে কোনো প্রব্লেম এখনও হয়নি কিন্তু ফোনে নাকি বেশ ঝামেলা হয়। আমি নাকি পরে মনে করতে পারি না কার সাথে কী কথা বলেছি। এমনকি কারো কারো সাথে যে আমার কথা হয়েছে সেটাই নাকি বেমালুম ভুলে যাই
সকালে উঠার জন্য দুইটা মোবাইলে তিন মিনিট পরপর ছয়টা এ্যালার্ম দিয়ে রাখি। একটু দূরে রাখি ঘড়ি। কিন্তু ঘুমের মধ্যেই সবগুলো অফ করে দিয়ে এসে আবার ঘুমাই। ...একটা বাইদানি আছে। সকাল বেলা পাঁচ মিনিট পরপর ফোন করে। উঠার প্রমাণ হিসেবে তাকে ফোনে বাথরুমের দরজা খোলার শব্দ না শোনানো পর্যন্ত ফোন করতেই থাকে। কিন্তু তারপরও প্রায় দিন আমি সব ঝামেলা পার করে দিয়ে এসে আবার ঘুমাই। প্রায় দিনই তারপরেও আমি ঘুমাই
ঘুমের মধ্যে আমাকে কেউ টাচ না করলেই হলো। টাচ করার সাথে সাথে ঘুম ভেঙে যায়। এছাড়া আশপাশে দুনিয়া জ্বলে গেলেও আমার কোনো ঝামেলা হয় না। মাত্র কিছুদিন আগে আমার ছোটভাই কলিং বেল টিপতে টিপতে শেষ পর্যন্ত দরজার লক ভেঙে বাসায় ঢুকেছে। আমি শুধু সকাল বেলা উঠে দেখলাম দরজাটা ভাঙা এবং আমার দুই ফোনে তার পঞ্চাশটার মতো মিসকল
আমার ঘুমের একটা বড়ো অংশ কাটাই গাড়িতে। ট্রেনে চড়ে নামব লাকসাম; নেমেছি চিটাগাং। বাসে করে নামব বগুড়া; চলে গেছি দিনাজপুর। ...লং রুটের এইসব ইতিহাসতো আছেই। তার উপর প্রতিদিনের শর্ট রুটের চার- সাড়ে চার ঘণ্টা জার্নির আশি ভাগই আমি কাটাই ঘুমে
গত কয়েক বছর ধরে আমি কামলা খাটি গুলশান এলাকায়। বছর চারেক আগে পর্যন্ত গুলশান থেকে ছোট একটা এসি বাস কমলাপুর পর্যন্ত যেতো। বাসটা দারুণ। বসলে সিটের রেলিং একেবারে ঘাড়ের কাছে এসে ঠেকত এবং বাসের ঝাঁকুুনির সময় রেলিংটা ম্যাসেজারের কাজ করত। প্রায় বিকেলেই এই বাসে আমি ঘুমানোর জন্য উঠতাম। গুলশান থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। লাস্ট স্টপেজে গিয়ে ওরা আমাকে ডেকে তুলত। আর আমি নেমে এক কাপ চা খেয়ে তারপর যেখানে যাওয়া দরকার চলে যেতাম রিকশায়...
সেই বাসটা এখন নেই। তাই অন্য বাস ধরে টানা তিন বছর আমাকে বেইলি রোডে যেতে হতো। ওখানে একটা নাইট ইস্কুলে আমি পড়তাম। কিন্তু ৮০% ক্ষেত্রেই আমি বেইলি রোড নামতে পারিনি। হয় নেমেছি কাকরাইল- না হয় পল্টন- না হয় ফকিরাপুল। না হয় একেবারে মতিঝিলে ওদের লাস্ট স্টপেজে...
কিন্তু গতকালের ঘটনা আরেক কাঠি সরেস। বিকেলের জ্যাম শুরু হবার আগেই বের হয়ে গেলাম। যাব শাহবাগ। এখন গুলশান থেকে শাহবাগ সরাসরি কোনো গাড়ি যায় না। মৎস্য ভবন নেমে হয় হেঁটে; না হয় অন্য বাস ধরে যেতে হয় শাহবাগ
পোনে পাঁচটায় বাসে উঠলাম গুলশান এক নম্বর থেকে। এটা মহাখালি- মগবাজার- বেইলি রোড- কাকরাইল হয়ে প্রেস ক্লাবের দিকে যায়। আমি নামব মৎস্য ভবন। ...একটু পরে তাকিয়ে দেখি গুলশান দুই নম্বর দেখা যায়। এই বাসতো গুলশান দুইয়ে আসার কথা না। তাহলে?
ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা বাজে। তার মানে বাস আমাকে নিয়ে মতিঝিল গিয়ে আবার পেসেঞ্জার নিয়ে ঘুরে চলে এসেছে গুলশান। এবং এই পুরো চক্করের মাত্র কয়েকটা সেকেন্ড আমি ছিলাম ঘুমে....
২০০৮.০৫.১৪ বুধবার
মন্তব্য
আপনার সুবর্ণিত ঘুমের বহর দেখে হিংসে হচ্ছে। আহা! আপনার মতো যদি ঘুমোতে পারতাম! বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ঘুম একেবারেই হতে চায়না।
আসলে আপনি একজন সুখী মানুষ। এই সুখ যেন চিরস্থায়ী হয়!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
আমি অভাবী মানুষ রে ভাই
ঘুমের জন্য কয়েকট মিনিট সময়ও রাখলেও লোকজন হৈচৈ করে উঠে
এজন্য প্রায়ই আমি লোকজনকে বলি আমি অমুক জায়গায়- তমুক জায়গায়
আজ বাসায় নেই
তারপর দেই ঘুম
আরে আপনারো এই রোগ আছে নাকি!!! আমি তো ভাবতাম আমি একাই ডাক্তার কে অই প্রশ্ন করি!!
----
স্পর্শ
তার মানে আপনারও আমার মতো ভেতরে কোনো দুই নম্বরি নাই
যাদের ভেতর পরিষ্কার তারাই কেবল পেটভরে ঘুমানোর ক্ষমতা রাখে
আর যাদের মনের ভেতরে নানারকম দুই নম্বরি-কৃমি কিংবা বিষ থাকে
তারা মুরগির বাচ্চাদের মতো ঘুম- ঘুম বলে ট্যাঁও ট্যাঁও করে...
যাক
আমি ছাড়াও আরো একজন সাদা দিলের মানুষ পৃথিবীতে আছে জেনে পুলকিত হইলাম
হে হে হে!!
নিজেকে সাদা দিলের মানষ জেনে!
খুশি খুশি লাগছে!!
---
স্পর্শ
- হিসাবে তো মিললো না।
আমি তো মানুষ হিসাবে আগাগোড়াই দুই নাম্বার! কিন্তু ঘুমের কারণে গন্তব্য প্রায়ই মিস হয়ে যায়। ঘুমের ঘোরে ফোনে কথা বলি ঠিকই কিন্তু জাগার পরে কেউ জিজ্ঞেস করলে মনে হয় এরকম জিনিষতো আমি স্বপ্নে দেখেছি, বাস্তবে আবার কখন কথা বললাম! সুন্দর একটা বিছানা দেখলে ইচ্ছা করে, "আহ্ যদি একটা জম্পেশ ঘুম দেয়া যেতো এখনই"! ছোটবেলায় ঘুমাতাম এক জায়গায়, সকালে আব্বার ঘন্টাখানেকের খোঁচাখুঁচিতে চোখ অল্প খুলে আবিষ্কার করতাম আরেক জায়গায়। একবার ভাবছিলাম ঘুম কমানোর জন্য মেডিটেশনে ভর্তি হমু কী না! ডাক্তার এক কাজিনরে জিজ্ঞেসও করছিলাম, ঘুমের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার এই ঘুম অরিজিন্যাল ঘুম না
এইটা নকল ঘুম
মানে ঘুমের ভান আর কি
- বিলিভ খান হিডেন ভাই।
আমি দুই নাম্বার হইলেও আমার ঘুমটা রেডকাউ বাটারঅয়েলের মতো এক নাম্বার, ঈমানে কই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি রাতে ঘুমাতে পারি না...দিনের বেলায় ঘুমিয়ে বেশী আরাম পাই...গত চার মাসের ছুটিতে মনে আছে, ভোরে ঘুমাতে যেতাম...দুপুরে উঠতাম...তারপর ভাত খেয়ে এসে কিছুক্ষণ পিসিতে গুতাগুঁতি করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুম...সেই দিন গুলা মনে পড়ছে...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।
ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।
দিন-রাত-কাদা পানি- মদ গাঁজা এমনকি ছ্যাকা
যাই হোক না কেন
আমার ঘুম সেই ঘুমই....
ঘুমের মত আরামের জিনিস আর কি আছে দুনিয়ায়। কোন বেকুবরা যে স্বেচ্ছায় সাতসকালে উঠে ব্যায়াম করতে যায়, বুঝি না।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সেইসব হতভাগারাই যায়
যাদের শুধু ঘুম না
কলকব্জায় পর্যন্ত ঠাডা পড়ে থাকে
আমার বন্ধুকে কোন ছুটিরদিনে সকালবেলা কখনোই ফোন করা যায় না। যত দরকারই হোক তাকে জানাতে হয় অবশ্যই দুপুর ১:৩০টার পরে।কোন কোন সময় অবশ্য আরো পরে। এর আগে করলে নিশ্চিন্ত মনে ফোন কেটে দেয়। না হয় ভীষণ ঝাড়ি দেয় ঘুম ভেঙ্গে দিলে। দিনটা ঈদ বা নববর্ষ হোক সবসময় এক অবস্থা।
একমাত্র গভীর রাতেই জেগে থাকে। যত রাজ্যের কাজ তখন নাকি করতে হয়।
আপনিও দেখি সেইরকম। সৃষ্টিশীল লোক জনের নাকি ঘুম কম হয়। আপনি দেখি উল্টো।
কিছু ঘুম আমাদের ধার দেন!
মাপ করেন। অন্যদিকে যান
সব ফকিরকে আমি ভিক্ষা দেই না
লীলেন ভাইরতো দেখি জাপানী অভ্যাস ,,, জাপানীরাও দেখি বাস-ট্রেন যেটাতেই উঠুক, সিট পেলেই হলো ,,, সাথে সাথে ঘুম ,,,, এমনকি মাঝে মাঝে দুএকটাকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাতেও দেখা যায়
তবে আপনার সাথে এদের পার্থক্য হলো, এরা নিজের স্টপেজ আসলে ঠাস করে জেগে উঠে, তারপর গটগট করে বের হয়ে যায় ,,, ভাবসাব এমন যেন তার শরীরে কোন এ্যালার্মক্লক ফিট করা ছিলো!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জাপানিদের ব্যাপারে আমার একটু অন্য রকম দৃষ্টিভঙ্গী
এদেরকে আমার ঠিক রক্তমাংসের মানুষ মনে হয় না
মনে হয় কলকব্জা আর প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি মানুষ
কথাটা বলেছিলাম আমার এক ফ্রেন্ড এক জাপানীকে বিয়ে করার পরে
এবং এইজন্য সে আমাকে দুই ঘন্টা জাপানীদের মানবিক আচরণের উপর লেকচার শুনিয়েছিল
কিন্তু আমার দৃষ্টিভঙ্গী এখনও চেঞ্জ হয়নি
এবং আমি কোনোভাবেই ওদের মতো শরীরে ঘড়ি সেট করতে রাজি না
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবের কাছাকাছি ,,, আমারও মাঝেমাঝে নিজেকে যন্ত্র মনে হয়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ঘুম কমানোর ওষুধ একটা আছে ,,,, এনার্জি ড্রিংকস
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
খুব মজা পেলাম পড়ে, আমার কখনই এত ঘুমানোর সৌভাগ্য হয়নি
হাহাহা স্লিপিং বিউটি
-----------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
যা ঘুমানোর এখনই ঘুমিয়ে নাও
সামনে যখন ১০-১২টা বাচ্চার মা হবে তখন ঘুম যাদুঘরে গিয়ে উঠবে
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিই প্রায় প্রতিটা রাত। সকাল বেলা তাই উঠতে একটু দেরী হয়। এই মাত্র ঘুম থেকে উঠেই আপনার ঘুম সংক্রান্ত মজার লেখাটি পড়লাম। ঘুমকে বোধহয় সুখ বলা যায়, আর আপনাকে সুখী? আর আমরা যারা নিশাচর অথবা ঘুমোতে পারি না তাদেরকে কী বলবেন?
ভাল-লাগলো লেখাটি ...।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
ঘুমাতে চাইলেই কিন্তু ঘুমানো যায়
কারণ ঘুম একটা টেকনলজি
ঘুমের সময় হাবিজাবি চিন্তা না করলেই হলো
ব্যাস ঘুম
কাদা পানি আছে কি না কিংবা পৃথিবী পুড়ে গেলো কি না তা যদি ঘুমের সময়ও ভাবেন তবে ঘুমাবেন কেমনে?
মাহবুব লীলেন - আপনি ধর্মে বিশ্বাস না করতে পারেন, নৈতিকতা ফৈতিকতাকে যাদুঘরে পাঠাতে পারেন, অলৌকিক কোন কিছু শুনলে আপনার হয়তো হাসিই পায়, কিন্তু তারপরও আপনাকে একটা কথা বলি -
পৃথিবীর তাবৎ ঘুম 'বঞ্চিত ও নিপীড়িত' মানুষের পক্ষ থেকে যে 'অভিশাপ' আপনার ওপর এইমাত্র বর্ষিত হলো, তার ফল আপনি পাবেনই পাবেন
শকুনের দোয়ায় গরু মরে না...
কথাটা আমি মানি এবং বিশ্বাসও করি
যারা ঘুমাতে পারে না তারা অনন্তকাল ধরে না ঘুমিয়েই কাটাবে
আর আমি ঘুমাবো
কারণ ঘুমের জন্যও বিশেষ যোগ্যতা লাগে....
আহারে....
আফসোস সেইসব বাধ্যতামূলক নাইটগার্ডদের জন্য
(যারা রাতে ঘুমাতে পারে না তারা তো নাইটগার্ডই?)
আমি তো জানতামই আপনি ওসব 'অসত্য' কিন্তু প্রচলিত বিশ্বাসের আশ্রয় নেবেন, আচ্ছা ঠিক আছে দেখা যাক ?
ধর্ম এবং প্রচলিত বিশ্বাসগুলো তো আছেই সুবিধামতো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য
এবং যারা এই দুই জিনিস বিশ্বাস করে না তারাই তো সবচেয়ে বেশি অধিকার রাখে ওগুলো ব্যবহার করার
আমারও ঘুমে অলসতা নেই। বন্ধুবান্ধবের বচসা শুনতে হয়েছে অনেক এই ঘুমের জন্য। সবাই মিলে রাতজেগে আড্ডা দিতে গিয়েছি কোন বন্ধুর বাসায়। সবাই আড্ডা মারছে আর আমি ঘুমাচ্ছি পাশেই। এনিয়ে ঘুম থেকে জেগে তাদের গালমন্দ সবসময়ই শুনতে হতো। তবে জাপানীদের মতো ঘড়ি ফিট করা থাকলে ঘুমের মজা ব্যাহত হবে নিশ্চিত। তারা রক্তমাংসের মানুষের চেয়ে আলাদাই হবে হয়তো। তবে ঘুম পুরাণের ঘুম একটু এক্সট্রাঅর্ডিনারি বটে।
জিজ্ঞাসু
এখন পর্যন্ত ভদ্রভাবে যারা আমাকে বিয়ের দাওযাত কিংবা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছে তাদের কারো দাওয়াতেই আমি যাইনি বললে চলে
কিন্তু কেউ গালাগালি করে দিলে মাঝেমধ্যে যেতে হয়
কিছুদিন আগে এরকম এক বাসায় গিয়েছিলাম সকাল এগারোটায়
সোফায় ঘুমাতে ঘুমাতে সন্ধ্যাবেলা দেখি ঘাড়ে ব্যথা করে
এটা কি আসলেই সত্যি? এত নিরাসক্ত ভঙ্গীতে বললেন মনে হলো কিছুই ঘটেনি। কারো কোন ভাবান্তর নেই।
আহা কী মজা!
সত্য মানে?
একেবারে যন্ত্রণাদায়ক সত্য
আমি সব সময় বুয়ার কাছে একটা চাবি দিয়ে দেই
সে তার ইচ্ছা মতো এসে সকাল বিকেল রাতে রান্নাবান্না করে দিয়ে যায়
লক ভাঙার পরে চার দিন ছিল ওই অবস্থায়। ভেতর থেকে দরজা লাগাতে হয়েছে বলে সেই চারদিনের তিনদিনই সকালে বুয়া এসে ঘুরে গেছে দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে
আর একদিন কে যেন দরজাটা খুলে দিয়েছিল
পরে পকেটের টাকা গুণে নতুন লক লাগিয়ে সেই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেয়েছি
আমার ঘুমও বেশ উচ্চফলনশীল জাতের। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, তখন আমি স্কুলে পড়ি। এক গভীররাতে বাসার কাছের এক বিল্ডিং এ আগুন লাগলো। এমনিতেই বাসা অনেক বেশি দূরে না, তার উপর দমকা হাওয়া - সোজা কথা আমাদের বাসা পর্যন্ত আগুন এসে পড়া বিচিত্র না। বাসার সবাই জেগে গিয়েছে, সবাই চিন্তা করছে কি করবে। জরুরী কাগজপত্র, টাকা পয়সা এসব আলাদা করে বেঁধেও ফেলা হয়েছে, যাতে অন্তত এগুলো বাঁচানো যায়। সেই আগুন আর শেষ পর্যন্ত আর আমাদের বাসা অব্দি আসেনি, বাসার সবাই সেটা নিয়ে বিস্তর কথা বার্তা বলে ঘুমাতেও চলে গিয়েছে।
এসবের কিছুই আমি জানি না। পরের দিন খুব একটা বিজ্ঞের ভঙ্গিতে আমার বড় বোনকে জিজ্ঞেস করলাম, কার রাতে আগুন লেগেছিলো নাকি ?
ও আমাকে জানালো, আমাকে অসংখ্যবার ডেকেছে, আমি না উঠাতে ক্লান্ত হয়ে আমাকে আর ডাকেনি। মাঝে মাঝে সন্দেহ লাগে আগুন সত্যি সত্যি বাসা পর্যন্ত এসে পড়লেও আমাকে টেনে তোলা যেত তো !!
পুনশ্চঃ কোন হতভাগাদের কুনজরেই কে জানে, মাস কয়েক আগে কিছুদিনের জন্য ইনসমনিয়াতে ভুগলাম। নিকৃষ্টতম রোগ। আমার শত্রুর যেন এই রোগ হয়
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি তখন থাকতাম আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে
একদিন সকালে বোধহয় বাথরুমে পানি ছিল না
হারামজাদা সবগুলো টেপের নব নাড়াচাড়া করে প্রায় সবগুলো খোলা রেখেই বের হয়ে গেছে
আমি ঘুমাচিছ। এবং অবশ্যই ফ্লোরে
তারপর দুপুরবেলা দেখি কারা যেন দরজা ধাক্কায় এবং বাসার নিচে প্রচুর লোকের চিৎকার
উঠে দরজা খুলতেইদেখি বাড়িওয়ালা। জিজ্ঞেস করে- ঘটনা কী?
ঘটনা দেখতে তাকাতেই দেখি দুটো বাথরুম থেকে পানি এসে আমার ড্রয়িং রুমের সবগুলো বইয়ের প্যাকেট ভিজিয়ে বেডরুমে ঢুকে আমি যেখানে শুয়েছিলাম সেই তোষকও এর মধ্যে ভাসিয়ে দিয়েছে
এবং বেডরুম পার হয়ে বারান্দা হয়ে বাইরে নিচের দোকান পর্যন্ত ভিজিয়ে দিচেছ। এবংএরাই গিয়ে বলেছে বাড়িওয়ালাকে
এবং ইহাকেই বলে ঘুম
(যাদের এমন ঘুমের যোগ্যতা নেই তারা দয়া করে আফসোস করেন...)
লীলেনদা... রাইত ম্যালা হইছে... যান... ঘুমানগা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই সইন্ধ্যারে রাইত কয় কেডায়?
হাহা লীলেনদা, আমারও একই কাহিনী হইসে ভার্সিটিতে পড়ার সময়, তয় আপনের মত পুরা ডবল ট্রিপ না, দেড় ট্রিপ । বারিধারা থিকা বাসে উঠসি মতিঝিল নামুম, অনেক টায়ার্ড আসিলাম দিসি ঘুম, ঘুম থিকা উইঠা দেখি রাত্র হইয়া গেসে আমি এখনও রামপুরা ক্রস করি নাই, কাহিনী কি ? হাই মাই তুইল্লা আরেকটু ভালমত দেখলাম আমার বাস রাস্তার উলটা সাইডে মানে আমারে নিয়া সে আবার বারিধারা যাইতাসে, আমি এমন বলদ আগে কখনো হই নাই, আস্তে আস্তে এদিক ওদিক তাকাইয়া চিউ চিউ কইরা নাইমা গেলাম, হালার বাস মতিঝিল গিয়া আবার রামপুরা পর্যন্ত আইসা পড়সে ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
একবার এক পরিবহণ মালিককে আমি ঢাকা শহরে স্লিপিং বাস চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম
গাড়িটা থাকবে এসি। এবং দুই তলা তিন তলা সিট
এই গাড়ি সারা শহরে খালি চক্কর দেবে আর লোকজন ঘণ্টা হিসেবে টিকিট করে ঘুমানোর জন্য উঠবে
কারণ বেশিরভাগ লোকেরই কামলা খাটার পরে বাসায় গিয়ে দুয়েক ঘণ্টা ঘুমানেরা চান্স নেই। এরকম বাস থাকলে তারা নিশ্চিন্তে একটা ঘুম দিয়ে সরাসরি সন্ধ্যার আড্ডায় চলে যেতে পারে
কিন্তু ওই লোকটা আমাকে পাত্তা দিলো না। এবং আর কোনো পরিবহণ মালিকের সাথে আমার পরিচয় না থাকায় আমার প্লানটাও কারো সাথে শেয়ার করতে পারছি না
আছে নাকি কেউ পরিচিত?
এই ব্যবসাটা কিন্তু অনেক লাভজনক হবে
আইডিয়াটা জটিল ! কিন্তু যদি করতেই হয় কয়েকটা জিনিস ভাইবা দেখতে হইব ।
১. যেহেতু সবাই ঘুমাইতেই বাসে উঠব, সেহেতু চোর বাটপারের দল বেশি উঠব । ওগো লেইগা তো তখন পোয়াবারো, ঘুমের ভান কইরা চুরি করব, তাই এক্সট্রা সিকিউরিটি লাগব ।
২. শুইনা পরিবহন মালিকেরা হাইসা উড়াইয়া দিব, ভাইবা দেখব না ব্যাপারটা ।
আমার পরিচিত কোন পরিবহন মালিক নাই, পাইলে আপনারে ডাক দিমু নে, দুইজনে মিলা তখন হেরে বুঝান যাইব ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ইস এরকম যদি করা যেত ....তাহলে লন্ডন থেকে ঢাকা যাবার পথে দুবাই পর্যন্ত টিকেট কেটে আপনার মতো কঠিন একট ঘুম দিয়ে ঢাকা এসে নামতাম। মাঝে অর্ধেক টিকিটের টাকা বেঁচে যেতো।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
যাদের মনে দুইনম্বরি চিন্তা থাকে তাদের জন্য এই পদ্ধতি কার্যকর নয়
আমি করলে দুই নাম্বারি আর নিউটন বাবাজি করলে ঐটা নিউজ!
নিউটনযে একবার টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠছিলো হেই গল্প মনে নাই...?? যেইনা টিকিট চেকার ওনারে ধরলো, জিজ্ঞেস করলো আপ্নে কই যাবেন ? বেটায় কয় আমার টিকিট হারায়া ফালাইছি...ওইখানে লেখাআছিল আমি কই যামু, তাইলে তো এখন আমার নাইম্যা যাওন লাগে...
.আসলে ফাকুল্লা টিকিটই কিনে নাই.....
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আমার চেনা-জানা সকলেই জানে, আমাকে বেলা দুটোর আগে ফোন করা নিষেধ। জাগবো সারা রাত, তারপর ভোরের আলো দেখে যাবো ঘুমোতে - এই হলো নিয়ম। ঘুম আমি রীতিমতো উপভোগ করি। আমার প্রিয়তম কাজের তালিকায় ঘুম (ঘুম কি কাজ? ) অন্যতম।
কোনওদিন পেট ভরে ঘুমোতে না পারলে জীবনটা অসহনীয় মনে হতে শুরু করে। তবে সেই "কাজা" ঘুম আমি পরে সুদাসলে উশুল করে ছাড়ি।
বাসে-ট্রামে-ট্রেনে ঘুমনোর মজাই আলাদা! একবার ইংল্যান্ড যাবার পথে ইউক্রেন থেকে বেলজিয়াম পর্যন্ত ট্রেনে প্রায় সারাটা পথ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়েছি।
যে-জীবন বা জীবনপদ্ধতি আমাকে আমার প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুমোতে বাধ্য করবে, তা আমি এড়িয়ে যাবো যথাসাধ্য। ঐশ্বর্যময় কিন্তু নির্ঘুম (বা কমঘুম) জীবন আমি চাই না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- এই নিয়া কলেজে থাকা কালীন এক বন্ধু আমারে ক্ষেপাতো!
সকালে বৃষ্টি হলেই হৈছে। আমাকে ডাকলে নাকি বলতাম বৃষ্টি হইতাছে তার মানে ঘুমটা ভালো হবে। ঐ ব্যাটা বলতো, এখন ঘুম ভালো হবে মানে, তাইলে সারারাত কী করলি?
কিংবা শালার কোনো গ্যাড়াকলে পড়ে একরাত কোনোভাবে ঘুম কম হলে, পরের তিনদিন আমি বিছানা ছাড়তাম না। জিজ্ঞেস করলে বলতাম, এক রাতের ঘুম তিন রাতেও পোষায় না। আমি সেদিনের বকেয়া ঘুম ঘুমাচ্ছি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
@ সন্ন্যাসী
আমি কিন্তু বকেয়া ঘুম নামে একটা টার্ম ব্যবহার করি
ধরেন কয়েকদিন আমার ঘুম থেকে এক ঘণ্টা দুই ঘণ্টা করে বকেয়া থেকে গেলো
তখন আমি সব ঘুম জমিয়ে অফিস টফিস ফাঁকি দিয়ে এক দিনে এক ঘুমে সবগুলো বকেয়া ঘুম সুদে আসোলে পরিশোধ করি
@ ধূগো
লোকজন বলে গরমের দিন কারেন্ট গেলে নাকি ঘুম হয় না
আমি দেখি আমি আরো ভালো ঘুমাই
পাবলিকের মুখে শুনেছি টেনশন ফেনশন থাকলে নাকি ঘুম নষ্ট হয়
কিন্তু আমার হিসেব হলো টেনশনের সময় আরো জম্পেশ ঘুম আসে আমার
কাজের চাপ যত বাড়ে আমার ঘুমও তত বাড়ে
আসোলো এটা একটা যোগ্যতা
যারা বিড়ি খায় না তাদের যেমন বিড়ির ক্ষতিকর দিক নিয়ে কোনো কথা বলারই অধিকার নেই
ঠিক তেমনি যাদের ঘুমের যোগ্যতা নেই। তাদেরও ঘুম নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার নেই
ঠিক কি না কন
আপনি বলেন বকেয়া ঘুম, আর আমি বলি নামাজীয় টার্মে - কাজা (নাকি কাযা?) ঘুম
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
..আহ্ । এরকম যদি ঘুমাতে পারতাম!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আছে কিন্তু দারোগা থেকেও কঠিন
একেবারে জাত খাইস্টা
প্রতিদিন সকাল বেলা ঝাড়ি খেয়ে দিন শুরু করতে কার ভাল্লাগে বলেন?
বহুবার বলেছি একটু ভদ্রভাবে ডাকলেই তো হয়
কিন্তু তা না
রীতিমতো খিটখিট করে ডাকে
আর প্রায় সময়ই মিথ্যা কথা বলে
বলে সে নাকি ছয়বার ডেকেছে। আটবার ডেকেছে
(আমি না হয় ঘুমের ফোনগুলো মনে করতে পারি না। তাই বলে প্রতিদিন এমন হয়?)
গতকালেরটা মারাত্মক হইছে -
এইটা বুঝি নাই। আরেকটু বিস্তারিত বললে ভাল্লাগতো
যে কথায় কথায় খিটখিট করে আর শিঙা লাগিয়ে রক্ত টেনে খায় তাহাকে বাইদানি বলে
ও!
এই জন্যই আপনি রক্তচোষা উকুন নিয়ে কলমবাজি করছিলেন।
উকুন প্রজেক্ট ফেইল
কারণ উকুন তো দূরের কথা কুত্তা দিয়ে কামড়ালেও এই বাইদানি টেরই পায় না
সাংঘাতিকা!!!
অনেক ঘুম হলো.....
নেক্সট?
রাস্তার গল্প
বেশী দেরী করলে ঘুম চলে আসবে। তাড়াতাড়ি লেখেন।
বাপ রে !
এই রকম ঘুমের মালিকের সাথে কুম্ভকর্ণের দেখা হলে নির্ঘাত সে শরমিন্দা হয়ে আত্মহত্যা করতে যেত !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আত্মহত্যা তো এখন আমার করতে ইচ্ছে করছে
একসময় আমার বাসাটা পুরোপুরি একটা কমিউনিটি সেন্টার ছিল
কতজন থাকতো আর কতজন আসতো তার হিসেব কেউই জানত না
মাত্র কিছুক্ষণ আগে আমার এক নিয়মিত গেস্ট স্মরণ করিয়ে দিলো যে সে আমার কাছ থেকে সজাগ অবস্থায় যতবার টাকা ধার নিয়েছে সবগুলো সে ফেরত দিযেছে
কিন্তু প্রায় দিনই ঘুমন্ত অবস্থায় সে নাকি টাকা ধার নিতো আমার কাছ থেকে। সেই টাকাগুলোর একটাও ফেরত দেয়নি
কারণ ওগুলো পরে আমি আর মনেও করতে পারি না
০২
এখন মনে হচ্ছে আমার ছোটবোন প্রায়ই সকাল বেলা যখন আমি ঘুমিয়ে থাকি তখন এসে টাকার কথা বলে....
কলেজে এক সিনিয়র ছিল। একবার ক্রিকেট কম্পিটিশনে তিনি খুব সহজ একটা ক্যাচ ধরতে পারলেন না। কারণ তিনি ফিল্ডিং করার ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নিচ্ছিলেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমি একবার মোটর সাইকেল চালানো অবস্থায় ঘুমিয়ে রাস্তা ছেড়ে ধানক্ষেতে ঢুকে গিয়েছিলাম
লীলেন তো দেখই ঘুমন্তপ্রতিভা!(‘ন্ত’ বাদ দিয়ে পড়ুন)
আমাদের এক কবিবন্ধু বাস করেন বস্টনে। বদিউজ্জামান নাসিম। তাঁর ভাষ্য-‘ঘুমাইতে ঘুমাইতে ঘুমাইতে টায়ার্ড হইয়া বিছানায় উইঠা বসি, তারপর একটু রেস্ট নিয়া আবার ঘুমাই.......’।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
প্রতিভা মানে?
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যদি সাহিত্য রচনা করা যেত কিংবা বিজ্ঞান গবেষণা করা যেত তাহলে শেক্সপিয়র-আইনস্টাইনরা পুনর্জন্ম নিয়ে আমার কাছে আসতো আমার সাহিত্য আর বিজ্ঞানে তালিম নেবার জন্য
০২
ঘুমাতে ঘুমাতে আসোলেই কিন্তু মাঝে মাঝে টায়ার্ড লাগে রিটন ভাই
তখন আমি উঠে এক মগ চা আর দুইটা বিড়ি খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে তারপর আবার ঘুমাই
কী দরকার বলুন তো ঘুমিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারানোর?
আপনার মতো বহুমূখী প্রতিভাকে আমরা হারাতে চাই না।
মাঝখানে পাঠকদের যাও ছিটেফোঁটা ঘুম ছিল তাও পালাবে।
এবার নিজে নিজে সময় মতো ঘুম থেকে উঠুন আর আমাদের জন্য মজার মজার লেখা ছাড়ুন।
জীবনে প্রথমবারের মত মনে হচ্ছে একজন সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বী পেলাম।
আমার লম্বা ঘুমানেোর রেকর্ড নাই। একাধারে সর্বোচ্চ ১৭ ঘন্টা ঘুমাবার সুযোগ পেয়েছিলাম। তারপর জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে একজন আমাকে জাগিয়ে দিয়েছিল। আরেকবার শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল ব্যাপারটা।
আমার অসাধারনত্ব হচ্ছে -- আমি ঘুমিয়ে পড়লে মারা যাই। কেউ একজন এসে আমাকে জাগিয়ে না তোলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকি। ৭ ঘন্টাই হোক আর ৭০ ঘন্টাই হোক আমার জন্য কোন ব্যাপার না। না ঘুমিয়ে একটানা ৬ দিন থেকেছি। সামান্য শারিরীক সমস্যা ছাড়া বড় কোন সমস্যা হয়নি।
কি মাঝি? ডরাইলা?
লেখাটা পড়লাম দেরিতে। পড়তে পড়তে মন্তব্য হিসেবে যা লিখবো ভেবেছিলাম, রিটন দেখি সেটা দিব্যি লিখে দিয়েছেন। এখন বুঝলাম, সেদিন রাতে তিনি ফোনে আমার কাছে আমাদের বন্ধুর ওই উক্তিটি কেন যাচাই করে নিলেন!
ঘুমাতে আমিও খুব ভালোবাসি। কিন্তু একখান কথা। ষোলো-সতেরো বছর বয়স থেকে আমি গড়ে চার-পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুমাই না। আমার হিসাবটা এরকম: স্বাস্থ্যকেতাবের বিধান অনুযায়ী দিনে যদি গড়ে আট ঘণ্টা ঘুমাই এবং আমার আয়ু যদি হয় ষাট বছরের, তাহলে আমি ঘুমিয়ে কাটালাম বিশ বছর। একটিমাত্র মনুষ্যজন্মের এক তৃতীয়াংশ সময় ঘুমিয়ে কাটাবো - এই অপচয়ের আতংকে আমি ঘুমাতে পারি না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নতুন মন্তব্য করুন