মাত্র দশ মিনিট আগে ফয়সলকে ঝাড়ি দিয়েছি। চাকরির একটা এ্যাপ্লিকেশন লিখতে বলেছিল। বলেছি- এমএ পাশ করেও যে ছেলের অন্যকে দিয়ে এ্যাপ্লিকেশন লেখাতে হয় তার চাকরি চাওয়ারই অধিকার নেই
প্রতিদিনই প্রান্তিকের আড্ডা কিংবা রিহার্সেল শেষ করে আমাদের বর্ধিত আড্ডা হয় রিকাবিবাজারে পংখী ভাইয়ের দোকানে। আমি আর ফয়সল মাত্র এসে বসেছি; এমন সময় হুড়মুড় করে এসে ঢুকে পড়লেন আরকুম শাহ শিল্পী গোষ্ঠীর অধিকারী মুহিব আলী ভাই। আমাকে দেখেই বললেন- ওহ সাহিত্যিক ভাই তুমি আছ? আমার একটা জিনিস লেখানো দরকার
মুহিব আলী ভাই দোকানের কাউন্টার থেকে একটা কলম আমার সামনে রেখে কিছু না বলে বের হয়ে গেলেন
লেখালেখি করার অপরাধে বহু অনুরোধের আসর সহ্য করতে হয়
অনুষ্ঠানের চিঠি- প্রেমপত্র- অভিনন্দনপত্র- দোকানের লিফলেট- নির্বাচনী প্রচারণার স্ক্রিপ্ট- বিয়ের কার্ড এমনকি জীবিত দুইজন মানুষের আগাম এপিটাফ পর্যন্ত লিখেছি। মুহিব আলী ভাই আর কী লেখাবে? বড়োজোর দরখাস্ত কিংবা আরকুম শাহ শিল্পী গোষ্ঠীর কোনো লিফলেট হয়তো লিখতে বলবে। বিরক্ত হলেও কিছু করার নেই। সিনিয়র মানুষ...
মুহিব আলী ভাই একটু পরে এসে ঢুকলেন। হাতে একটা ফুল স্কেপ কাগজ এবং সঙ্গে আরো কয়েকজন লোক
কাগজটা আমার সামনে পেতে দিলেন- আমার জিনিসটা একটু লিখে দাও
আমি কাগজ ভাঁজ করে মার্জিন ঠিক করে কলম ধরার আগেই তিনি তাড়া দিলেন- লেখো অদ্য ১৯ এপ্রিল রোজ শনিবার ১৯৯৭ ঈসায়ী...
যাক। দরখাস্তই। আমাকে আর কষ্ট করে শব্দ খুঁজতে হবে না...
আমি লিখতে থাকলাম ডিকটেশন অনুযায়ী- আমি মো: মুহিব আলী; সাং- ধরাধরপুর; দক্ষিণ সুরমা; সিলেট... বাগবাড়ি নিবাসী মো: রইস উদ্দিন আহমদের নিটক হইতে নগদ তিনশত পঞ্চাশ টাকা মূল্যে...
আমি তাকালাম মুহিব আলী ভাইয়ের দিকে। কিছু বলার আগেই তিনি তাড়া দিলেন- লেখো লেখো। আমি বলছি তুমি লেখো- নগদ তিনশত পঞ্চাশ টাকা মূল্যে একটি কালো বকরি ক্রয় করিলাম...
ঠা ঠা করে হেসে উঠলো ফয়সল- সাবাশ চুদির ভাই সাহিত্যিক
এ্যাপ্লিকেশন লিখতে জাত যায়; এখন ছাগলের রসিদ লেখো
ততক্ষণে লেখা শেষ
আমার হা করা অবস্থায় মুহিব আলী ভাই এক কাপ চা স্পন্সর করে চলেও গেছে। আমি লেখার পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া চায়ে চুমুক দিতে দিতে চিন্তা করছিলাম ছাগলের রসিদ লেখানোর জন্য তার সাহিত্যিক দরকার পড়লো কেন? নাকি সাহিত্য আর ছাগলের রসিদে মূলত কোনো পার্থক্যই নেই? এবং এই কথাটা আমরা না বুঝলেও মুহিব আলী ভাইরা ঠিকই বোঝে?
২০০৮.০২.১৭ রোববার
মন্তব্য
মুহিব মিয়াদের ভাবাভাবিতে কি বা আসে যায়...
---------------------------------
রশীদের ভাষা শুনে তো মনে হচ্ছে দলিল ছিল, রশীদ না । আপনি যা ভাবছেন অবস্থা তাহলে তার থেকে একটু ভাল ।
- এনকিদু
হাসতে পারলাম না ঠিক, ভোদাই হইয়া গেলাম গা !
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বোদাই যে পদে পদে কত হতে হয় তার হিসেব দিলে পুরো সচলায়তনে ধরবে না
চাকরি করতে গেলে দেখবেন মিটিংয়ের সময় সবাই আপনাকেই বলছে মিনিটস লেখার জন্য। কারণ কী?
- আপনি সাহিত্যিক মানুষ
একবার আমার আগের খোঁয়াড়ে দুই কলিগ বিদেশ থেকে একখান ট্রেনিং শেষ করে এসে এক্সপেরিয়েন্স শেয়ারিং সেশনে বসলো
সবাই ঠিক করল আমি নোট নেবো এবং পরে তা এডিট করে সাবাইকে সার্কুলেট করব
তা আমি করলাম
এবং এমনভাবে করলাম যে যারা ট্রেনিংয়ে গিয়েছিল তারাও আর বুঝতে পারে না তারা কী ট্রেনিং নিয়েছে এবং এসে কী বলেছে
তারপর থেকে আমারে আর কেউ কিছু বলে না
আপনার মনের মাধুরির ধক তো দেখি বেশ কড়া!
হা হা হা হা
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সাহিত্যিক হলেন তো কী হলো? জনস্বার্থে শুধু ছাগলের রশিদ কেন দোকানের ক্যাশ মেমো ও তৈরী করে দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
অন্যপ্রসঙ্গ:
স্ক্র্রীপ্ট তো পাঠালেন না। দেখি তো সত্যিই বিরক্তিকর কিনা।
দোকানের ক্যাম মেমো তো সম্মানজনক বিষয়
এ যাবত কালে আমি অনুরোধের আসরে যত লেখা লিখেছি তা আমার রচনা সমগ্র (যদি কোনোদিন হয়) থেকে বড়ো হবে
আমি কিন্তু কুরবানরি গরুছাগলের হাটের লিফলেটও লিখে দিয়েছিলাম একবার
০২
আপনার ইমেইলটা দেখিনি আগে
এখন পাঠিয়ে দিলাম
তবে ম্যাক-এর নামটা বদলে দিয়েছি। এখন সে সজল (জনগণের ইচ্ছায় বদল)
এ তো দেখি আপনেরেই বকরি বানায়া থুইয়া গেল গা! করলডা কী? অ্যাঁ?
--------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
আর কইয়েন না ভাইজান
আমার এক ফ্রেন্ড থাকে পাশের বাসায়
রাতে খাবার খেয়ে আমার কাছে এসে বলে- তোর একটা কার্ড দে
আমি ভিজিটিং কার্ড বের করে দিলে সে ওটা দিয়ে দাঁত খিলাল করে
আমার কার্ডের নাকি এর চেয়ে ভালো ব্যবহার আর হতেই পারে না
০২
বইমেলায় আমার যতগুলো বই বের হয় সেগুলোর সাথে আমার কার্ডগুলো ছোলাওয়ালাদের দিয়ে দেবার পরামর্শ দেয় সে
বলে তাহলে ছোলাওয়ালা বইয়ের পাতায় ছোলা দিয়ে
লোকজনের হাতে কার্ড ধরিয়ে দিতে পারবে চামচ হিসেবে
রিকাবিবাজার দেখে ভাবি চেনা চেনা লাগে।
সিলেটি লোকজন তো কম নাই এখানে!
পংখী কি কমিশনার পংখী?
জ্বি ভাইজান
আমি অধম জৈন্তাপুরি সিলেটি
এখনও চিন্তা করি এবং স্বপ্ন দেখি সিলেটি ভাষায়
লিখতে গেলেও প্রথমে ভাবি সিলেটি ভাষায় এবং পরে বাংলায় অনুবাদ করে করে লিখি
০২
এই পংখী কমিশনার পংখী না
রিকাবীবাজার পয়েন্টে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। ছাপড়া রেস্টুরেন্ট
(যদিও সব জিনিসের সাইজ হয় ছোট এবং দাম হয় ডবল)
ওর মালিক। পংখী ভাই
হা হা হা! লীলেন ভাই, আপনিতো এক কাপ চা অন্তত পেয়েছেন। আমাদের অবস্থা যে কী হবে ভেবে কুলহারা হচ্ছি।
আসেন
যারা লেখালেখি করেন তাদের জন্য বিশাল একটা প্রজেক্ট প্লান করেছি সামনের কুরবানিকে মাথায় রেখে
কুরবানির সময় ইন্ডিয়া থেকে যত গরু- উট আসবে সেগুলোকে কলাপাতায় কলেমা লিখে খাইয়ে মুসলমান বানিয়ে বাংলাদেশে ঢোকাবো
(এতে কুরবানিদাতাদের সওয়াব হবে অনেক বেশি)
যে কোনো লেখক এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন
সঙ্গে শুধু কলাপাতা নিয়ে আসলেই হবে
(চিনি মাখানো টিসু পেপারও হতে পারে)
প্রতিটা কলাপাতা দশ টাকা করে বিক্রি করলে এক সিজনেই কোটিপতি
আসেন
দেশের সমস্ত বর্ডারে পদ খালি
লীলেন ভাই, আমি এক পায়ে খাড়া। এখন যা করি তার থেকে কলাপাতা বেচা তিনশ' গুন ভালো। লেখার যা ছিরি একবার খেয়াল কইরা খালি দেইখেন। কী করবো ভাই, কিছুতেই যে উন্নতি হয় না। তাও আপনি যে প্রযেক্ট হাতে নিছেন তাতে যদি লেখক সমাজের একটা কুল কিনার হয়....ক্ষতি কি...
মন খারাপ কইরা লাভ নাই । আপনার লেখার দাম আছে বইলাই তো আপনারে দিয়া লেখাইছে ।
চিন্তা করেন , আপনার পাশে বসা ফয়সলরে তো এই রশিদ লেখার যোগ্যই মনে করে নাই ।
একটা পরিচিত কৌতুক নিশ্চয়ই মনে আছে?
এক শিখ সর্দারজী পাঁচসিকা পয়সা হারিয়ে ফেলেছে ঘোড়ার গোবরের গাদায়
সে গোবর ঘেঁটে পয়সা খোঁজে আর বলে ও আল্লা আমার পাঁচ শিকাটা বের করে দাও
ও ভগবান আমার পয়সাটা বের করে দাও
ও যিশু আমার সিকিটা গেলো কই
এক লোক এই অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করল- সর্দারজি। তুমি তো শিখ। তাহলে তুমি পয়সা খোঁজার বেলায় আল্লা- ভগবান- যিশুরে ডাকো। কিন্তু তোমার গুরু নানককে ডাকো না কেন?
সর্দারজির সোজা উত্তর- আমাকে কি তুমি অতই মূর্খ মনে করো যে পাঁচশিকা পয়সার জন্য আমি গুরু নানককে ঘোড়ার গোবরে নামাবো?
০২
এমনও হতে পারে মুহিব আলী ভাই একজন সামাজিক মানুষ ফয়সল কে দিযে ছাগলের রসিদ লিখিয়ে তাকে বেইজ্জতি করতে চায়নি...
ভাইয়া আসলেই আপনি যা জোস লেখেন।
প্রথমেই জ়ীবিত মানুষের এপিটাফ লেখার কথা শুনে যা হাসি পাইছিল ...
তারপর পড়া শেষ করার পর তা কয়েকগুন বেড়ে গেছে।শেষ পর্যন্ত ছাগলের রশিদ লিখতে হল আপনাকে।যাক সাহিত্যিক হিসেবে সব কিছু লেখার অভিজ্ঞতা হয়ে গেল বলতে পারেন।
আচ্ছা লীলেন ভাইয়ার কি হাতের লেখা খুব সুন্দর নাকি চিন্তা করছিলাম।কারন অনেকে মনে করে যে সাহিত্যিক মানুষের হাতের লেখা খুব সুন্দর হয়।হয়ত এই কারনেই নানান জিনিস লিখে দেবার আবদার সহ্য করতে হয় আপনাকে।
~~~টক্স~~~
আমার হাতের লেখা ভয়ানক পর্যায়ের জঘন্য
দুয়েক মাস পরে আমি নিজেই বুঝতে পারি না কী লিখেছিলাম
আমাকে দিয়ে যারা লিখিয়ে নেয় তারা সাথে সাথেই আবার কাউকে দিয়ে কপি করায় আমার সামনেই
ভাল বলেছে তো?
তো আপনি কী বললেন?
আমি আর কী বলব?
বলি ঠিক আছে। তাওতো একটা কাজে লাগলো
পাবলিক তো ছোলা খাওয়ার জন্য হলেও আমার আবর্জনাগুলো একটু হাতে তুলবে
ছাগলের রশিদ থেকে ব্লগ... আপনের তো এক জীবনেই ম্যলা উন্নতি... আর কি চান...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখালেখিতে আমার সর্বোচ্চা এম্বিশন হলো একটা জমির দলিল লেখা
যদিও আমি কোনো জমির দলিল লিখলে উত্তরাধিকারীরা সেই জমির মালিকানা দাবি করার সময় কী হ্যাপায় পড়বে আমি জানি না
কিন্তু সাহিত্য মিশ্রিত (কাব্য) করে একখান জমির দলিল লেখার বড়ো শখ আমার
এই ভাষায় একখান দলিল লিখে রেজিস্ট্রি করতে চাই
আপনার জীবনের ইচছে পূরনের সাথে সাথে এই সমাজ, এই বিশ্ব, এই মানব জাতি, বাঙ্গালী সংস্কৃতি একটি সাহিত্যিক কাব্যিক দলিল পাবে, সেটা কি বাঙ্গালীদের জন্য একটা কম অর্জন বলেন?
আপনি আর দেরী না করে আজই হাত দেন দলিলের কাজে, রবীন্দ্রনাথের পর আর এক বাঙ্গালী জাতীকে সাহিত্যে নোবেল দিয়ে সম্মানিত করুক।
লীলেন ভাই এগিয়ে চলুন আমরা আছি আপনার সাথে।
বীর লীলেন ভাই কলম ধর
দলিলের কাজে ঝাপিয়ে পড়
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কিন্তু দলিলটা লিখব কার?
আমার পক্ষে সারা জীবনেও কোনো জমি কেনার কোনো সম্ভাবনা নেই
যদি আপনি কিছু জমি কিনেন তাহলে আমি সেই দলিলটা লিখে দিতে পারি
আমার অবস্তহা আরো করুন। জমি দুরের কথা দুইটা গাছ লাগানোর ট্প কেনার সারমথ্যও আমার নাই। গরীব গরীব ভাই - ভাই। চলেন একটা কাল্পনিক দলিল - কাব্য লিখি। আপনি বলবেন আর লেখ্কএর ভূমিকায় এবার থাকব আমি।
আইডিয়াটা ভালো না ??
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
(মুখফোড়) দেয়া হইলো ।
*(মুখফোড়) সচলায়তনের সর্বোচ্চ সম্মাননা। [দ্রোহী বচন]
কানফোড় মানে কানে ছিদ্র করা
নাকফোড় মানে নাকে ছিদ্র করা
সুতরাং মুখফোড় মানে মুখে ছিদ্র করা
(মুখ সেলাই করে বন্ধ করে দেবার জন্য যে ছিদ্র করা হয় তাহাকে মুখফোড় বলে)
তা এটা কি সম্মানননা নাকি হুমকি?
(মিলিটারি কায়দায় কিন্তু সম্মানজনকভাবে হুমকি দেবার নিয়ম)
"কার্ড বের করে দিলে সে ওটা দিয়ে দাঁত খিলাল করে"
কঠিন!
এই গল্পটাও এখানে দিয়ে দিন।
নিশ্চয়ই ইন্টারেস্টিং হবে।
এর পরে লিখব আত্মহত্যার কাহিনী
আমার আশেপাশে অনেকগুলো আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে গেছে...
আমি লেখার পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া চায়ে চুমুক দিতে দিতে চিন্তা করছিলাম ছাগলের রসিদ লেখানোর জন্য তার সাহিত্যিক দরকার পড়লো কেন?
মুহিব আলী ভাইরা সব কাম পোক্ত কইরা করে। ছাগলের রসিদ আর কবিতায় হেগ মতে নো তফাত্
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
জ্বি হ ঠিকোই কইছেন পুতুল আলী ভাই
আমি টুকটাক লিখি বলে আমার বাবাও আমাকে দিয়ে কিছু উকিলিও লেখা লেখাতেন।
" কলিমুল্লাহর ছেলে পানাউল্লাহ্... ছয় শতাংশ রেখে মৃত্যূর পর তাহার সত্ বোন আজমতি বিবি উহার অর্ধেক ভাগ দাবী করিলো। কিন্তু... এইদিকে তিন পাখি আড়াই কাঠা জমি তাহার মৃত্যূর পূর্বেই গোপনীয় ট্রাস্টের ভিত্তিতে করিমুন্নেসা ওরফে আঙ্গুরী...( চলতেই থাকে)
আমি চেষ্টা করি একটু চেষ্টা করি যদি সাহিত্য টাহিত্য কিছু এই রসহীন দলিল টাতে আনা যায়...পেছন থেকে মাথায় থাবড়া খেয়ে বার বার ই থেমে যেতে হতো... হুংকারের সাথে মিশ্রিত কথাগুলো , যদিও অপমানকর ছিল...
"- ল্যাখ যা কইসি... আমার সাহিত্যিক আইসে... "
কি আর করা...ছাগু সাহিত্যক ছিলাম কি না...
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আমি কিন্তু একবার আদালতের রায়ের স্টাইলে একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছিলাম
কিন্তু ভাষাটা পুরো আয়ত্বে না থাকায় ওটা আর এগোয়নি
বড়ই দু:ষ্কের কাহিনী। ছাগলের রসিদ! তবে কাহিনীতে বড়োই ঝাঁঝালো রস! ভাল করেই ধরেছে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
লীলেন ভাই, ভালো করে ছাগলের ইতিহাস লেখতে থাকেন, পরকালে জাঝা আসলো বলে ...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি একটা নীতিশাস্ত্রের বই লেখার চিন্তা করছি
যেখানে একটা ছাগল হবে গুরু এবং শিষ্যরা হবে মানুষ
ছাগল তার শিষ্যদের নীতিবাক্য মুখস্থ করাবে
আর সব ছাত্ররা তার টোলে ভর্তি হবার আগে মন্ত্র পড়বে
সাহিত্য হোক, দলিল হোক বা ছাগলের রসিদ হোক, লেখকের কাজ লেখা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
তা ঠিক কিন্তু আপনার সব লেখায় এই ডান্ডাটা কিসের ( )?
কী জিগাইলেন, বুজতার্লাম্না
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নাকি আমার অধিকাংশ লেখায় ব্যাকেটবদ্ধ "সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ" জাতীয় ভ্যাজরভ্যাজরের কথা বলছেন? নিয়মিত পাঠকদের বিরক্তি উত্পাদন করতে পারে জেনেও নতুন পাঠকদের কথা ভেবেই তা লেখাগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে চলেছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
মুক্তি ফন্টে যদি সচলায়তন চালানো হয় তাহলে আপনার প্রতিটি লেখায় ইংরজি Y এর মতো একটা ডান্ডা দেখতে পাওয়া যায়
আমি ভেবেছি ওটা বোধহয় সন্ন্যাসীর ত্রিশূল
যা আপনি প্রতিটি কমেন্টে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেন
আবার সুতন্বীবাংলা ওএমজে তে এসে সেই ডান্ডাটা বাঁশের বেড়ার মতো খাড়া খাড়া ডান্ডায় পরিণত হয়
এখন তো মনে হচ্ছে আমিও বুঝতে পারলাম না জিনিসটা কী?
কিন্তু আপনার প্রায় সবগুলো কমেন্টেই আমি জিনিসটা দেখেছি
লেখার সাথে লেপ্টে থাকে একেবারে ত্রিশূলের মতো একখান ডান্ডা
আমি তো এমন কিছু দেখি না! সচলের ডিফল্ট ফন্ট ব্যবহার করি (আমার Maxthon ব্রাউজারে এই ফন্টটি অতি চমত্কার দেখায়। ফায়ারফক্সে সচলের নীড়পাতার ফন্ট দেখলে শ্রদ্ধা জাগে না।)। টাইপ করি বিজয়ের লে-আউটে। বিজয় আর ব্যবহার করি না যদিও, তবে টাইপের অভ্যেসটি রয়ে গেছে।
সমস্যাটা কোথায়, কেউ বলে দেবেন কি?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এই রে মন খারাপ করা কিছু পড়তে ইচ্ছে করে না।
মজার কিছু পড়তে চাই।
এর সঙ্গে ব্যর্থ আত্মহ্ত্যার কাহিনীগুলোও না হয় দিয়ে দেবো
ওগুলো কিন্তু বেশ মজার
আর দরকার পড়লে খুনের কাহিনীও জুড়ে দেবো
আমাকে একবার একজন জোড়াখুনের দায়িত্ব দিয়েছিল...
ও ভাই এই জীবনে কি করেন নাই আপনি!!! সাহিত্যিকরে জোড়া খুনের দায়িত্ব!!
কল্পনা আক্তার
..........................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আমার জীবনটা খুবই সাদামাটা
আমি কিছুই করিনি
কিন্তু মানুষ হিসেব নিরীহ বলে ঘটনাগুলোই এসে আমার ঘাড়ে পড়ে যায়
আর আমি গাধার মতো টানি
তবুও তো ছাগল, হাঁস-মুরগি বা শাক সবজি না
উনি যদি কাজটা ইচ্ছা করে করে থাকেন তাইলে ঠিক করেন নি।
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
শুনেছিলাম মুহিব আলী ভাই আরকুম শাহ এর গান নিয়ে নাকি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাবেন
তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়াও আছে
যখন যাবেন জানাবো
ধরে মাইর দিও
(তবে অবশ্যই আরকুম শাহ এর গানগুলো শোনার পরে। কারণ গানগুলো অনেক অনেক ভালো)
লীলেন ভাই চিন্তা করবেন না আমি সিরিয়াস মারামারির ব্যবস্থা করে রাখব, আপনি শুধু দিন তারিখ বলে দিয়েন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মন্তব্যসহ চরম রম্য
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমার ও একটা মজার ঘটনা মনে পড়ে গেল।
একদিন আমার এক কলিগ নুডুলস রান্না করে নিয়ে যেতে বলল্। আমি ও বক্সে নুডুলস নিয়ে অফিসে গেলাম্। বক্স খুলেই সে দেখল কোন চামচ নেই। আমার কাছে আছে কিনা জানতে চাইল। আমি না বলতেই আর দেরী করলো না । সাথে সাথে সে আর আরেকজন টেবিল থেকে ভিজিটিং কার্ড দুটো নিয়ে দ্রুত নুডুলস খাওয়া শুরু করলো। কার্ড দিয়ে তাদের খাওয়ার ধরণ দেখে আমি তো হা!
- হাছানি?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাক! এপিটাফ লেখার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন মানুষ পাওয়া গেল। পরে কাজে লাগবে লীলেন ভাইকে। হেহেহে।
- ফেরারী ফেরদৌস
হা হা হা
শেষ পর্যন্ত ছাগল বেচার রশিদ !
সাহিত্যিক সাহেবের প্রতিভা অভিনব কায়দায় সদ্ব্যবহার করতে পারার জন্য মুহিব আলী ভাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বইয়া বইয়া সচলে গুতাগুতি করি আর সাহিত্যর রস নিই, আপনার লেখায় ব্যাপক রস পাইলাম হোকনা ম্যা-ম্যা সাহিত্য, রসতো রসই কি বলেন……..!?
নতুন মন্তব্য করুন