ভাইভা বোর্ডে নাকি এক ইংরেজ বঙ্কিমের কাছে জানতে চেয়েছিল- বাংলায় আপদ আর বিপদ শব্দের পার্থক্য কী?
বিএ পাশের জন্য দরকারি নম্বর থেকে ছয় কম পাওয়া বঙ্কিম উত্তর দিয়েছিল- পরীক্ষায় আসার পথে উষ্ঠা খেয়ে আমার ঠ্যাং ভেঙে গেলে সেটা হতো বিপদ। আর বাঙালি হয়ে ইংরেজের কাছে বাংলা পরীক্ষা দেয়াটা আপদ
এই উত্তরের জন্যই ছয় গ্রেস পেয়ে প্রথম বিএ পাশ বাঙালি হয়ে যান বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কিন্তু বাংলাদেশের বারান্দায় বসে বাঙালের বাংলা শিক্ষা কোন পদ?
এর উত্তর এরা দিতে রাজি না। তারা বিধান দিয়েই খালাস- আগে কম্লার গন্ধ কাটাও তারপরে অন্য কথা
এই বদনামটা মুজতবা আলীর আমদানি। রবীন্দ্রভক্ত সৈয়দ মুজতবা আলী গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে পড়তে। গিয়েই সাহিত্যের প্রতি নিজের টান-আগ্রহ এসব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সামনে বিশাল এক লেকচার। রবীন্দ্রনাথ পুরোটা শুনলেন মনোযোগ দিয়ে। কিন্তু যখনই মুজতবা আলী বলতে চাইলেন তিনি সিলেট থেকে এসছেন। তখনই রবীন্দ্রনাথ তাকে থামিয়ে দিলেন- তোমার বাড়ি যে সিলেট তা তোমার কথার মধ্যে কমলার গন্ধ থেকেই অনুমান করেছি
সেই থেকে বাংলা বলার সময় সিলেটি টানের নাম কমলার গন্ধ। সিলেটিরা কমলা বলে না। বলে কম্লা
আমার গলায় পুরো কম্লা বাগান। এই কম্লাবাগিচা উপড়াতে হলে আমাকে আলাজিব নাড়াতে হবে- জিব মোচড়াতে হবে- ঠোঁট ঘষটাতে হবে- তালু চটকাতে হবে এবং তারপর মুখের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে চিল্লাচিল্লি করতে হবে। এতে যদি মোমবাতির শিখা এক তালে কাঁপে তবে বুঝতে হবে ঠিক আছে। আর যদি লাফালাফি করে তবে ধরে নিতে হবে নিশ্বাস ঠিক নাই আমার
শালার। ...শেরে বাংলার নাম থেকে শেরে বাংলা টাইটেল খুলে এনে লিটন মিয়ার নামে ঝুলিয়ে দেয়া উচিত। উনি বাংলার সব জানেন। বাংলার ভুল ধরতে জানেন। গলায় কম্লাবাগান খুঁজে বের করতে পারেন। কিন্তু কোনো কিছুই ঠিক করে দিতে পারেন না
- কর্মশালা তোমাকে কিচ্ছু শেখাবে না। কর্মশালা তোমাকে তোমার দুর্বলতাগুলো ধরিয়ে দেবে আর বলে দেবে দুর্বলতা কাটানোর উপায়। বাকিটা তোমার প্রাকটিস। ইচ্ছে হলে করবে। না হলে নাই
প্র্যাকটিস মানেই তো হারমোনিয়াম নিয়ে হাহাহা- হুহুহু কিংবা হেঁড়ে গলায় ক-চ-ট-ত-প। খ-ছ-ঠ-থ-ফ আর তার সাথে বডি ফিটনেসের নামে লাফালফি....
লাফালফি করলে শরীর শক্ত হয় জানি। কিন্তু ভোকাল কর্ড থেকে কমলা বাগান খেদানোইতো বিপদ। সিলেটিদের পুরো কমলা বাগানটাই ভোকাল কর্ডে। এরা কথা বলে বেজ ভয়েজে। যতক্ষণ পর্যন্ত না বেজ ভাঙা গেছে ততক্ষণ কম্লার রস পড়তেই থাকবে। কিন্তু বেজ ভাঙলে চলে আসে সুর। তখন সেটা হয়ে যায় সুনানগঞ্জের ভাষা
এবার সামলাও ঠেলা। স্বরধ্বনি- ব্যাঞ্জনধ্বনি- এ্যাকসেন্ট আর সুর... মুখ খুললেই বাঙালের বাঙালিত্ব নাই। তাই এখন থেকে বাংলায় কথা বলতে হবে মুখ বন্ধ করে হাত-পা নেড়ে
একটা গেজ দাঁতকে কেন্দ্র করে বাকি দাঁতগুলো বসানো। এবং দাঁতের চারপাশে চামড়া মাংস জড়ো করে পুরো মানুষ তৈরি করা। কথা বলার সময় যখন গেজ দাঁতটা বের হয় তখন মনে হয় একটা মেঠাই মার্কা হাসি বোধহয় দিলো। কিন্তু সেকেন্ডের মধ্যে কপাল কুঁচকে বঙ্গবন্ধুর স্টাইলে লেকচার দেয়া শুরু করল পাবলিক। হুদাকামে ঝাড়ি- থিয়েটার অতো সোজা না; এলাম আর করে ফেললাম। এর জন্য সাধনা লাগে- চর্চা লাগে। লাগে কমিটমেন্ট। ...তুমি তো টিকবে না। যারা থিয়েটার করে তাদের চেহারা দেখলেই বোঝা যায়...
-গুল্লি মারি তোর থিয়েটার। আমি কি তোর এখানে টিকতে এসছি? অভিনয় শেখানোর নাম করে তোরা আমার দশ টাকা মেরে দিয়ে একবার করাস লাফালাফি। আরেকবার পড়াস অ-আ-ক-খ। এখন আবার এসছে কমিটমেন্ট শেখাতে
পাবলিককে ধরে বসলাম একেবারে নির্ভুল সিলেটি ভাষায়। মারুফ দৌড়ে এসে টেনে না নিলে পুরো থিয়েটার শিখিয়ে দিতাম...
ইনি এনামুল মুনীর। কথাকলির দ্বিতীয় খলিফা
এতো পারফেক্ট আর ব্যালেন্স ফিগার খুবই কম দেখেছি আমি। কিন্তু ঝামেলা একটাই। বেহুদা লেকচার দেয়
২০০৮.০৫.৩১ শনিবার
মন্তব্য
দুর্দান্ত হচ্ছে!
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
সিলেটিদের পুরো কমলা বাগানটাই ভোকাল কর্ডে। এরা কথা বলে বেজ ভয়েজে। যতক্ষণ পর্যন্ত না বেজ ভাঙা গেছে ততক্ষণ কম্লার রস পড়তেই থাকবে। কিন্তু বেজ ভাঙলে চলে আসে সুর। তখন সেটা হয়ে যায় সুনানগঞ্জের ভাষা
সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী স্কুলে তখনকার সময়ে আমাদের মিলিটারী মেজাজের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আব্দুর রহমান তালুকদার স্যার। নন সিলেটি। তিনি ইংরেজি ক্লাস নিতেন। শব্দের উচ্চারণে ভীষণ খুঁতখুতে। ক্লাস টেনে আমাদের বিহারী সহপাঠি খোকন 'স' কে 'ছ' উচ্চারণে কথা বলতো। বিশেষ ধরনের কোয়ার্টার ফিট দৈর্ঘের বেতের সর্বোচ্চ ব্যবহার বিফল হবার পরও গরু মানুষ করার পবিত্র ব্রত ক্ষান্ত না দিয়ে শুরু করলেন বিশেষ চিকিৎসা। ততদিনে বেতের গুণে স্যারকে দেখলেই খোকনের 'স'এর জায়গায় 'ছ'এর ব্যবহার দ্বিত্ব পেরিয়ে ত্রিত্বের পর্যায়ে উন্নিত হয়েছে।
খোকনকে ঠিক করার মহান ব্রতে একদিন স্পেশাল ক্লাসের আয়োজন। বলো- শ্যাম বাজারের শশীবাবু সাদা সাদা শশা খাচ্ছেন। এবার বুঝুন ঠেলা ! ক্লাসের অবস্থা শেষপর্যন্ত কোথায় ঠেকেছে, তা কি আর বলতে হবে ? এক কথায় আমরা যারা তখনো স কে স বলেই ধরে রেখেছিলাম, আমাদেরও সেদিন সবার স আর স তে নাই, ছ পেরিয়ে নতুন নতুন বর্ণ সৃষ্টির ভয়ঙ্কর কৃতিত্বে লাফাতে শুরু করেছি !
আরেকজন স্যার ছিলেন হরিচরণ স্যার। একদিন আমাকে সরাসরি-এই তোর বাপ কই আছে রে ? অইঞ্জ ? মানে হবিগঞ্জ কি না। স্যারের ঠাট্টাটা ছিলো আমাকে নয়, হবিগঞ্জবাসিদের উচ্চারণরীতিকে কিঞ্চিত মশকরা করা।
মৌলভীবাজারবাসিরাও সম্ভবত মৌলীবাজার বলেন। কিন্তু সুনামগঞ্জবাসি সুনামঞ্জ বলেন কিনা আমার জানা নেই। আমি সুনামগঞ্জের অধিবাসী বলে নয়, লীলেন ভাইয়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলা। তবে নিজস্ব সুর বা রিদমকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তারপরেও টিপিক্যালিটিটা মনে হয় সিলেট মৌলভীবাজার আর হবিগঞ্জের লোকেরা সহজে ছাড়তে পারবেন না।
আমার মৌলভীবাজারের বন্ধু সহপাঠি রামা এখন রাজনগর কলেজের সিনিয়র শিক্ষক। সাতাশি সালে বিসিএস ভাইবা দিতে গেলে তৎকালীন পিএসসির চেয়ারম্যান আল হোসাইনীর ভাইভা বোর্ডে অভূতপূর্ব অবস্থার মুখোমুখি হয়। তার শুদ্ধ বলার বাহার দেখেই দয়াপরবশ হয়েই কিনা কে জানে, তাকে বলা হলো- মনে করুন আমরা আপনার অশিক্ষিত এলাকাবাসী শুদ্ধ ভাষা বুঝি না , আমাদেরকে আপনার আঞ্চলিক ভাষায় পরিবার পরিকল্পনার সুফল সম্পর্কে পাঁচ মিনিটের একটা বক্তব্য দিন।
অতঃপর তার অবস্থা এবার বুঝুন। কিছু না বললেই বরং সে শুদ্ধ ভাষার নামে যা বলছিলো ওটাকে আর মৌঃ ভাষায় রূপান্তরের প্রয়োজনই হতো না। কিন্তু এবার সে আঞ্চলিক ভাষার নামে যা শুরু করেছে তার কোন লেখ্যরূপ রয়েছে কি না তা বোধকরি আজো রামার জানা হয়ে ওঠেনি। যদিও সিলটি নাগরী নামে একটা স্বতন্ত্র ঐতিহ্যবাহী ভাষা রয়েছে।
সে যাক্, আমার বক্তব্য আসলে খুব সামান্য। লীলেনের বাড়ি যদি 'সিলট' বা 'মৌলীবাজার' হয়, তাহলে আবৃত্তি বা নাটকে কার পরামর্শে গিয়েছিলেন তাঁর পাত্তা লাগানো দরকার। আর বাড়ি 'অইঞ্জ' হলে সংগীতে বিশেষ সুনাম করতে পারতেন, বিশেষ করে মীরপ্রধান রাগসংগীতে। আর সুনামগঞ্জ হলে, তার জবার দেবেন লীলেন নিজে..।
এবার একটা হাসি দেই ? হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এইটুকু বললে তো শ আর ছ এর সমাধান হবে না। বলতে হবে-
শ্যাম বাজারের অসুস্থ শ্রীযুক্ত শ্রীশ সত্য শর্মা সোমবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে ব্যস্ত-সমস্ত হয়ে শহীদ মিনার পাদদেশে শ্রমিক শ্রেণীর স্বার্থে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে স্বস্ত্রীক স্বশরীরে উপস্থিত হলেন
০২
সুনামগঞ্জের লোকরা বলে সু..নামগঞ্জো
সু কে দীর্ঘ উ উচ্চারণ করে তারা
০৩
তোতলাকে নাটকে তোতলার পাট দিলে কিন্তু আর সে তোতলাতে পারে না
এর হচ্ছে সেই অবস্থা
০৪
দুইটার সাথেই আমার যোগ
দাদার বাড়ি মুলইবাজার (মৌলভীবাজার?) আর জন্ম সিলট
সিলেট এবং মৌলভীবাজারের লোকজনের জন্য কিন্তু প্রমিত বাংলায় দ্রুত আয়ত্ব করা সম্ভব
কারণ দুই ডাইলেক্ট এবং দুই এ্যাকসেন্টের মধ্যে বিস্তার ফারাক থাকার কারণেই
কান খুব দ্রুত পার্থক্যগুলো ধরতে পারে এবং উচ্চারণের মূল চাবি হলো কান
মানুষ যা শুনতে পারে তা উচ্চারণ করতে পারে। আর যা শুনতে পায় না তা জীবনেও উচ্চারণ করতে পারে না
অন্যভাবে বললে বলা যায় মানুষ যে শব্দ উচ্চারণ করতে পারে না সেই শব্দটি অন্য কেউ উচ্চারণ করলেও সে শুনতে পায় না কিংবা ভুল শোনে
বলা হয়ে থাকে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা সবচে কঠিন কুমিল্লার লোকজনের জন্য
এবং সবচে সহজ যাদের জন্য তাদের মধ্যে সিলেট অঞ্চল পড়ে
তুলনামূলকভাবে সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ (অবিগঞ্জো) অঞ্চলের লোকজনের জন্য শুদ্ধ বাংলা শেখা বেশ কঠিন
০৫
আমাকে কেউ বুদ্ধি দেয় নাই রে ভাই
সিনেমায় এ্যাকটিং ঠিকঠাক করে গিয়েছিলাম দশদিনে অভিনয় শিখতে
সেখানে গিয়েই না পড়লাম এই ফ্যাসাদে
না হলে তো সারা জীবন সাইফুর রহমানের মতো গাউগাউ করেই কাটিয়ে দিতে পারতাম নিশ্চিন্তে
হা হা হা!! জম্পেস !!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কমলা শব্দটি (এবং আরো অনেক) সিলেটিতে উচ্চারণ করার জন্যে ব্যঞ্জনবর্ণে ক এবং খ-এর মাঝামাঝি একটা বর্ণ থাকা উচিত। কমলা জাতীয় শব্দ বলার সময় ক হলে ঘাটতি পড়ে, খ আনলে বেশি হয়ে যায়!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ক গোত্রের বর্ণ সিলেটিতে মোট তিনটা
কি- কু এসব ক্ষেত্রে উচ্চারণ হয় একেবারে বাংলা ক এর মতো
কিন্তু ক- কা এর উচ্চারণ বাংলা ক এবং খ এর মাঝামাঝি
কিন্তু কোনোভাবেই খ এর মতো মহাপ্রাণ না
এবং ক এর মতো শার্প না
আবার খ এর উচচারণ বাংলা খ এর মতো শার্প না কিন্তু এর কাছাকাছি একটা মহাপ্রাণ ধ্বনি
০২
কম্লার ক্ষেত্রে আপনার উচ্চারণ পদ্ধতি ঠিক আছে
তুমুল হইতেছে। থাইমেন না গুরু।
লীলেন ভাই, এই প্রবাস জীবনের একটা বড় সুফল হলো নানা জেলার লোকের কাছাকাছি আসতে পারা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কমিউনিটি হলো সিলেটি। যেকোন দেশেই যান জালালাবাদ এসোশিয়েশন কিংবা জালালাবাদ ইসলামিক ফেডারেশন টাইপ কিছু একটা পাবেন না, তা হতেই পারে না। এমন কি আমার ধারনা এ্যান্টার্টিকাতেও এমন ধরনের কিছু পাওয়া যাবেই যাবে। আগে আমার ধারনা ছিল জালালাবাদ কেইন হাউজ় আছে যে গ্রীনরোডে জালালাবাদ বলতে বুঝি এটাকেই বোঝায়।
তো এই ধরনের এসোশিয়েন থেকে আমি কি শিখলাম? শিখলাম রবীন্দ্র সংগীত। যদি কোন দিন জীবনে সুযোগ হয় আপনাকে সেই সিলটী রবীন্দ্র সংগীত শুনাইয়া দিব। ভাগ্যিস রবি ঠাকুর মরিয়া গিয়াছেন ।।।।।।।।।।।।।।।।।।। নইলে ।।।।।।।।।।।।।।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
খালি রবীন্দ্র সংগীত শুনেই এই অবস্থা?
রবীন্দ্রনাথের কচ ও দেবযানী সংবাদ কবিতার সিলেটি অনুবাদ শুনেছেন?
আমি ভাবিয়াছিলাম সিলেটী রবীন্দ্র সংগীত শোনানোর উছিলায় লীলেন ভাইয়ের বাসায় একটি সান্ধ্যকালীন ভোজনের আমন্ত্রন পাইবো। ভাবীর হাতের ভালো মন্দ দুইটি রান্না খাইয়া, তাহার সুখ্যাতি করিব। কিন্তু আপনআর উত্তর আমার সেই আশায় সিলেটী জইন্তাপুরী পাত্থর ফেকিয়া মারিল .........
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পাত্থর আরো বাকি আছে
আমি জীবনে সান্ধ্যাভোজন করেছি মাত্র তিনবার
তাও ঘাড়ে ধরে নিয়ে গিয়েছিল বলে
এবং জীবনে একবারের জন্যও কাউকে নিমন্ত্রণ দেবার উচ্চাশা প্রকাশ করিনি
(আশা করি করবও না)
০২
আমি নিজে ডাকার জন্য একখান ভাবী আছে
বাট অন্য কাউকে ডাকার সুযোগ এখনও দিতে পারিনি
আহারে নাই রান্ধুনির রান্না না জানি কত মধুর...
আজ সারাদিন গেস্ট হিসেবেও আমি সচলায়তনে লগইন করতে পারিনি। ভেবেছিলাম মডারেটরদের আর সচলদের মিটিঙে ইন করেছি বলেই হয়তো আমাকে ব্যান করে দিয়েছে।
আমার সাদামাটা গল্পের সাদামাটা নামকরণ নিয়ে আপনার এবং গল্প পাঠকদের উচ্ছ্বাসে নিজে যুক্ত হতে পারছিলাম না বলে খুব মনমরা ছিলাম। সচলায়তনে মেইল করেছি দুটো। লাস্টে আপনাকে। এখন মনে হচ্ছে সচল হওয়ার চাইতেও যেন এ অনেক আনন্দের।
তবে সিলোঠি ভাষায় রসের ময়ান দেখে আমার যে লোভ হচ্ছিলো না তা নয়। তাই একটু উঁকি না দিয়ে পারলাম না।
মন্টু ভাই সিলেটের মলীবাজারের এক শিশুসদনের সুপার ছিলেন। সেখানেই মহব্বত করে এক সিলোঠি নারীকে বিয়েও করে ফেলেন। তো ভাবি প্রথমবার যখন আমাদের বাসায় আসলেন, তার কথা কিছুই বুঝি না। পিচ্চি দেবর হিসেবে তার সঙ্গে আমার টক-ঝাল সম্পর্ক ছিলো।
একদিন রাগ করে বললেন, আমি যারামগি!
আমি তো হতবাক! আমার মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি অনুবাদ করলেন- আমি চলিয়া যায়াম!
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
আপনারার অউ একটা দুষ
হারাদিন মানষর মুকো ছাপার অক্ষর হুনতা চাইন
'চেনাদুঃখ চেনাসুখ
চেনাচেনা হাসিমুখ
চেনা আলো চেনা অন্ধকার'
এনাম ভাইয়ের একটা জিনিস আমার ভালো লাগতো । '৯২-'৯৩ এ যখন অনেক কট্টর আওয়ামী লীগার ও সিলেট শহরে মুজিব কোট পড়তে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতেন ,জাসদ থেকে ভেগে আসা নব্য জাতীয়তাবাদীদের ভয়ে-তখনো এই লোককে দেখেছি শহীদ মিনারে মুজিব কোট গায়েই প্রোগ্রাম করছেন ।
আমি দর্পণের প্রথম দিকের সদস্য ছিলাম বলে কথাকলি ছিলো প্রতিবেশী
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমি ৮৯ সালের একেকটা মানুষের নাম লিখছি আর আতংকে আক্রান্ত হচ্ছি
এই মানুষগুলোকে লিখতে লিখতে যখন আমি ২০০৭-৮ পর্যন্ত আসবো
তখন কতটুকু ক্ষরণ চিহ্নিত করতে পারবে আমার এই সিরিজ?
এনাম ভাই অনেকগুলো জায়গাতেই আমার আইডল ছিলেন
কিন্তু এনাম ভাই এখন কোথায়?
হয়তো ২০০০ সালের পরের এনাম ভাই নিয়ে কিছুই লিখব না আমি
এটা একটা ভয়ংকর প্রশ্ন । কারন প্রশ্নের তীর শেষ পর্যন্ত কাউকে ছাড়বেনা । কে কোথায় আছি শেষপর্যন্ত,কোথায় থাকার কথা ছিলো?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বেশিরভাগ বাঙালির পালানোর পথে কোথাও না কোথাও নদী পড়েছিল
আর সেই নদী তারা পাড়ি দিয়েছিল দাঁড়টানা নৌকায়
কারণ তখন অন্য কোনো যান্ত্রীক নৌকা ছিল না বাংলাদেশর নদীতে
কিন্তু তারপরও অনুদানের টাকায় মুক্তিযুদ্ধের ছবি বানাতে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদকে মুক্তিযুদ্ধের সময় ইঞ্জিন বোট দেখাতে হয়েছে যাদের হাতে পড়ে
এনাম ভাই এখন সেই শিবিরে
বাংলার নদীতে নৌকা দেখলেও গায়ে ফোসকা পড়ে যাদের...
লীলেন ভাই,
এই সিরিজটা পড়ে অনেকদিন পর মনে হচ্ছে
লীলেন ভাইয়ের লেখা পড়ছি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মাঝে মাঝে ধরিয়ে দিও কোন জায়গায় কী ঘষামাজা করতে হবে
দারুন। সিরিজ দৌড়াক। আমিও সাথে থাকি!
কি মাঝি? ডরাইলা?
বন্দুকে ঠিকঠাক মতো গুল্লি ভইরা লইয়েন দৌড়ানের আগে
আপনার লেখায় কম্লার গন্ধ নেই যে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ইতো দেখি আরোখ বগডুলোর পাল্লাত পড়লাম
কি মাইরখান খাইছি অউ ছাপার অক্ষর হিকার লাগি
অখনও যুদি লেখাত কম্লা পাওয়া যায় তাইলে তো লিটন বাই আমারে খুন করি নিজর গলাত ফাগা লাগাইব
সাথে ছিলাম , আছি ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
খিতারে লীলন বাই, কম্লা লইয়া আফনে ইতা খিতা মাত মাতইন? অয়, আমরার বাসাবুসা বালা না, তাইনের লাগি অত লেকা লেকন লাগে না খিতা? লেকাডা আফনে বালাই লেখছইন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অয় রে বাই
বাংলাদেশো থাকিয়া মানুষ হিন্দি বাষায় মাততো পারে
উর্দু মাততো পারে
জাপানি- চিনা- ইংলিশ বাষায় মাততো পারে
খালি সিলেটি মাতলেউ দুষ
কুনো দুষ নাই । মাতইন যত পারেন, আপনার মাতামাতি পড়তে মজা লাগে । লেখায় কম্লার গন্ধ আনার চেষ্টা করলাম । হইসে কম্লার মত ? নাকি বাতাবি লেবু হয়ে গেল
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অইছে না
সিলেটি বানাতে হলে আপনার শব্দগুলো নিচের তালিকা অনুযায়ী অনুবাদ করে নিতে হবে
পারেন= পারইন
লেখায়= লেখাৎ
গন্ধ= গন্দ
হইসে= অইছে
কম্লার মতো= কম্লার লাখান
নাকি= না কিতা
বাতাবি লেবু= মাতু/মাত্তু/ মাত্তু জামির
হয়ে গলো= অই গেলো
আগের পোস্টৎ মাতু জামিরের লাখান গন্দ অইছিল, এইবার কম্লার লাখান গন্দ অইসে না কিতা ?
এইবার একটু সাধারন বাংলায় লিখি :
জামালপুরের ভাষার সাথে কিছু মিল পাচ্ছি, পারইন, বুচ্ছইন এই ধরনের কথা জামাল্পুরের লোককেও বলতে শুনেছি ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সিলেটের ভাষা তিন দিকে ছড়িয়েছে কিংবা তিন দিক থেকে মিশে মিশে উজান সিলেটে গিয়ে একটা চেহারা পেয়েছে
হবিগঞ্জ অঞ্চলের ভাষায় সিলেটির সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লার শব্দ এবং এ্যাকসেন্ট মিশ্রিত
আবার সুনামগঞ্জ অঞ্চলের সাথে বৃহত্তর ময়মনসিং অঞ্চলের শব্দ এবং এ্যাকসেন্ট মিশ্রিত
আর জৈন্তা অঞ্চলের ভাষায় খাসিয়া এবং অহোমিয়া এ্যাকসেন্ট ও শব্দ মিশ্রিত
সিলেটে ভাষা কিন্তু অনেকগুলো
হবিগঞ্জ অঞ্চলের লোক সিলেটের কথা পুরোপুরি বোঝে না
আবার একই অবস্থা সুনামগঞ্জের ক্ষেত্রেও
আর জৈন্তার ভাষায় সিলেটের এ্যাকসেন্ট প্রাধান্য থাকলেও এটা একেবারে আলাদা ডাইলেক্ট
শব্দের উচ্চারণ পদ্ধতি এবং অনেকগুলো ধ্বনিও আলাদা
মুই কিন্তু জন্মসূত্রে জাইন্তাপুরি (জৈন্তাপুরি)
আপনারই মৌলিকত্ব। অদ্ভুত সুন্দর! অনেকক্ষন হাসলাম!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
বঙ্কিমের গল্পটা জানতাম না খুব মজা লাগল =) আপনার সিলেটি টিউটরিয়েল এ সিলেটিও শিখলাম কিছু আরো লিখেন
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আন্দু-দুন্দু হিকলেউ অইতনায়
পরিককা দেওয়া লাগব
এই ফাঁকে একটা সিলেটি অভিধান করে ফেলো।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
যার যা ধান্দা
এই কাজতো তুমিও করতে পারো
অন্যপ্রসঙ্গ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী সিলেটি ধ্বনিতত্ত্ব নামে একটা বই করেছিলেন ৫০ এর দশকে
একটু খোঁজ লাগাতে পারো?
শুভেন্দু ইমামের কাছে পেতে পারো।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
নাই
জানামতে আসদ্দর আলীর কাছে একটা কপি ছিল
আমাকে দূর থেকে দেখিয়েছেন
ধরতেও দেননি
ঐবইটার মালিক তুমি ও হতে পারতে।
সুযোগটা এখনো আছে কি-না, খবর নিবো?
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
টুটুল ভাই কি ইংগিত দিল এইটা? হাসতেই আছি, আছি...
তয় চান্স মনে হয় আর নাই। স্যার মারা যাওয়ার আগেই শুনছিলাম ফরজ কাজ আদায় করে গেছেন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
লীলেনের কপালে দেখছি খালি ইয়ে আছে কিন্তু ইয়ে নাই
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
যতদুর জানি লীলেন পরিচিত উঠান ময়লা করেনা
দেখেন কোথায় কি করে বসে আছে আমরা খবর ও জানিনা
সিপন তালুকদার
মানে কী?
বাংলায় বলো
পড়ছি।
--------------------------------
হু... সচলায়তন আজ দুইভাগে বিভক্ত... একদল সিলোটি... আরেকদল বাঙ্গালী।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দিলেন তো মাঝখানে হাত ঢুকিয়ে
কত কষ্ট করে পাবলিকদের গালাগালি করার একটা বুদ্ধি বের করলাম
প্রথমে জন্মস্থানের লোকজনকে গালাগালি করে যদি প্রমাণ করতে পারি যে আমি এমনি এমনিই গালাগালি করি
তাহলে কিছুদিন পরে নিশ্চিন্তে চৌষট্টি জেলার অন্যান্য পাবলিকদেরকেও ঝাড়তে পারবো
খাড়ান
অন্য জেলাও কাভার করব সমানতালে...
তাই ত দেখছি । সচলায়তনে সিলেটিদের দেখি রমরমা :-)আমার অবশ্য মজাই লাগছে...
নন্দিনী
সিলেটির বিপরীতে বাঙালি হয় না
বাঙালিরা মোট দুই জাতের সিলেটি আর বেঙ্গলি
চাটগাঁইয়ারা যেমন বলে চাটগাঁইয়া আর বইঙ্গা
বস।
পর্বগুলোর সাইজ মনে হয় আরেকটু বড় করতে পারেন।
সাথে আছি।
কি মাঝি? ডরাইলা?
বড়ো হলে লোকজন ঝাড়ি দেয়
এইজন্য ছোট রাখছি
তবে কিছু কিছু পর্ব মনে হয় অনেক বড়ো হবে
সিলেটি ভাষা তো জটিল !
এই ভাষা কিছুক্ষণ শুনলে মনে হয় বলি, হয়েছে, এইবার বাংলায় অনুবাদ করে বলেন।
কমলার গন্ধে মন মাতলো। সিলেটি 'মাতলো' না, বাংলা 'মাতলো'।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বগুড়ার ভাষাও কিন্তু আমাদের কানের ছিদ্র পিছলে চলে যায়
বাঙালের বাংলা শিক্ষা মাহবুব লীলেন খুব রসিয়ে লিখেছেন কয়েক সিক্কা ছেড়েছেন খুব উপভোগ করলাম লেখার হাত ভালো, আরও লিখুন লেখার হাত সবার থাকে না, মাহবুব লীলেন-এর আছে তবে কোলকাতা বাসী বলে অনেক কথা ঠিক বুঝিনি, তবু অনুমান করে মজা পেয়েছি চালিয়ে যান
ধন্যবাদ সহ,
বিনীত, __মনোজকুমার দ. গিরিশ ০৭/০৭/২০০৮ কোলকাতা
নতুন মন্তব্য করুন