বর্ডার সাইড থেকে ইন্ডিয়ান শাড়ি- ফর্সা হওয়ার ক্রিম এনে বিক্রি করতাম গ্যাসফিল্ড আর ক্যান্টনমেন্টের আন্টিদের কাছে। কিছু পাবলিক বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলেক্ট্রনিক্স চুরি করত; বিক্রি করে দিলে অর্ধেক আমার। একটা স্কুল চুক্তিতে রেজিস্ট্রেশন এবং দেখে দেখে এসএসসি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। ওখানে আদম সাপ্লাই দিলে দুইদিকে কমিশন। তার সঙ্গে বাজারের পয়সা মারা
কঞ্জুস ছিলাম। একেবারে তক্তা কামড়ানো কঞ্জুস। বিড়ি দুই টুকরা করে দুইবার খেতাম। দুই কিলো রাস্তা বাজারের ব্যাগ টেনে হেঁটে আসতাম রিকশা ভাড়া হাতানোর জন্য
কিন্তু পুরোটা বিকেলই এখন কথাকলিতে মরে যায়। ইনকাম প্রায় বন্ধ। আগে সিনেমা টিনেমা দেখা ছাড়া টাউনে আসতাম না। বাসে হাফ ভাড়া দিয়ে কলেজ- হাফ ভাড়ায় ফেরত। মাঝোমাঝে ধমকের উপর দিয়ে মাগনাও চালিযে দেই
সিলেট থেকে ওদিকটার শেষ গাড়ি সন্ধ্যা সাতটায়। তারপরে কোনো আগামাথা নেই। কোনো কোনো দিন অনেক বেশি টাকা দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত কোনো বেবিটেক্সি হয়তো পাওয়া যায়। তারপর হাঁটা। কোনো দিন জাফলংয়ের ট্রাকের পেছনে লাফিয়ে উঠা। কোনো দিন পুরো উনিশ কিলোমিটার স্রেফ ঠ্যাঙাতে ঠ্যাঙাতে যাওয়া...
সিনেমাওয়ালাকে- অমুক দিন আসবো’ বলতে গিয়ে- আপাতত আসতে পারছি না’ বলে ফোন রেখে দিলাম। অথচ মারুফ ছাড়া কেউ কথাও বলে না তেমন। কিন্তু মেয়েগুলো মারুফের আশেপাশে যেভাবে কিরিবিরি করে; আমাকে দূরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কাছে গেলেও তাল মেলানো মুশকিল। কী সব ব্রান্ডের পোশাক আর ফাস্ট ফুডের নাম বলে। একটাও চিনি না। আর চান্স পেলেই লক্ষ লক্ষ বই আর লেখকের নাম বলে জিজ্ঞেস করে পড়েছি কি না
এইসব লেখকদের নাম আমার চৌদ্দ পুরুষেও শোনেনি। আমি যাদেরকে লেখক হিসেবে জানি তার মধ্যে বঙ্কিম আর রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কাউকেই এরা লেখক বলে না। সেবা প্রকাশনী- দস্যু বনহুর এইসব নাম শুনলে খিকখিক করে হাসে
অন্যরা যেমন তেমন। কচ্ছপ টাইপের হাড্ডি খিজিরের একেকটা কথা কইলজার ভেতরে ড্রিল মেশিন চালায়। অম্বরীষ দা বইয়ের নাম বলে পড়ার ডেডলাইন দিয়ে পরীক্ষার তারিখ দিয়ে দেয়। এনাম ভাই হাঁটার মধ্যেও দোষ খোঁজে আর লিটন ভাইয়ের সামনে মুখ খোলাই বিপদ- এটা এই হবে না ওই হবে। ওটার উচ্চারণ এইভাবে করতে হয়। সেটা বলতে গেলে ঠোঁট ফাঁক হবে না- দুই ঠোঁট জোড়া দিয়ে বাতাস বের করতে হবে...
সারাক্ষণ বিলাইদের মধ্যে ইন্দুর হয়ে থাকা। কিন্তু বইগুলো কোন দোকানে পাওয়া যায় তাও জানি না। জিজ্ঞেস করলে হাসবে বলে জিজ্ঞেসও করি না। শুধু বইগুলোর নাম মুখস্থ করে নোট বই বিক্রির দোকানগুলোতে গিয়ে জিজ্ঞেস করি। কিন্তু ওরাও আমার মতো। এই নামে যে কোনো বই আছে তাদের কেউই মনে করতে পারে না
ইনকাম বন্ধ। খরচ অনেক বেশি। নিজের জন্য বাজেট ঠিক করলাম ডেইলি দশ টাকা। সকালে বাসে হাফ ভাড়া দিয়ে তিন টাকায় কলেজ। দুপুরে কলেজ বাসে প্রান্তিকের কাছে রিকাবিবাজার। সন্ধ্যায় তিন কিলো হেঁটে বন্দর গিয়ে ছয় টাকার বাস। বাস না পাওয়া গেলে ভাড়ার টাকা বাঁচিয়ে নাক বরাবর হাঁটা...
নো লাঞ্চ- নো সিগারেট- নো চা। হাতের বাড়তি এক টাকায় বড়োজোর বাদাম কিংবা একটা চকলেট...
বিকেলের আগে প্রান্তিকে কেউ আসে না। আমি দুই আড়াইটায় চলে আসি। প্রান্তিকের পাশেই পাবলিক লাইব্রেরি। শুরু করলাম পড়া...
ওদের মুখে শোনা লেখক আর বই খুঁজে বসে বসে পড়ি। বসি দরজার উল্টো দিকে। যাতে প্রন্তিকে কেউ আসলে দেখা যায়। ...বিকেল হয়। একজন দুইজন করে আসে। মারুফের সাইকেল ঢুকতে দেখলে বের হয়ে আসি। আর ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে কচ্ছপকে ঢুকতে দেখলে হিসাব করি কয়টা বই পড়া হলো আমার...
কিন্তু মারুফের জন্যই এই কচ্ছপের কাছাকাছি আমাকে কিংবা আমার কাছাকাছি তাকে দাঁড়াতে হয়। একদিন প্রান্তিকের সামনে দাঁড়ানো। উল্টো দিকের মেডিকেল হোস্টেল থেকে শিবিরের এক পাণ্ডা বের হবার সময় আমাদেরকে দেখে থামল। আমাকে কলেজের কারণে চেনে। মারুফকে চেনে ছড়াকার হিসেবে। আমার আর মারুফের সাথে হাত মিলিয়ে সে কচ্ছপের দিকে হাত বাড়ালো...
কিন্তু কচ্ছপের দুটো হাতই প্যান্টের পকেটে ঢোকানো। পাণ্ডা আওয়াজ দিলো- হাতটা মেলানা ভাই...
- স্যরি। কোনো রাজাকারের সাথে হাত মেলাই না আমি
বাসদ পলিটিক্স করে কলেজে প্রায় নেতা হয়ে উঠা আমি চমকে ওর দিকে তাকালাম। এই কচ্ছপের খোলের নিচে এক ফোঁটাও হাড্ডি- মাংস নেই। পুরোটা আগুন...
ছড়াকার নাজমুস শামস সজল। কথাকলির একমাত্র নন-সিলেটি মেম্বার
২০০৮.০৬.০৪ বুধবার
মন্তব্য
ইয়া আমি প্রথমে কমেন্ট মারলাম।
আমার কিছু বন্ধুকেও দেখি সিগারেট দুইবার খায়। টাকা বাঁচানোর জন্য আমি সেই চেষ্টা করতে যেয়ে দেখি লাভের চেয়ে লস বেশী। কোনবারই খেয়ে সুখ পাওয়া যায় না। এখন সেই পথ থেকে ফিরে আসছি। যতদিন বেঁচে আছি, সিগ্রেটটা আরাম করে খাই।
--------------------------------
ক্লাস ফোর থেকে বিড়ি খাই
এই বিড়িই আমাকে ক্লাস ফোর থেকেই ইনকাম করায়
কিন্তু মাঝখানে কেন যেন ভয়ানক কিপটা হয়ে গিয়েছিলাম
আর কথাকলির প্রথম দুই বছর বিড়ি ছেড়ে দিয়েছিলাম ভাড়ার টাকার জন্য
তখন কোনো ইনকামই ছিল না আমার
তারপর আবার ধরি
এবং প্যাকেটে দশটার কম বিড়ি থাকলেই মাথা খারাপ হয়ে যায়
ঘাসের মতো খাই
চমত্কার। কথাকলির একেকটা মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার এই স্টাইলটা দুর্দান্ত ! আবারও বলি - চলুক..
কথাকলি বলতে কিন্তু কিছু মানুষকেই বোঝায়
এই মানুষগুলো না থাকলে আমার কথাকলিও করা হতো না
আর এই কাহিনীও লেখা হতো না কোনোদিন
আহা! আমাদের যশোরের পাবলিক লাইব্রেরীর কথা মনে করিয়ে দিলেন। কত শত শত ঘণ্টা যে কেটেছে ওখানে!!!
হায়রে সেসব দিন....
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
প্রথম প্রথম বসে বসে পড়তাম
পরে ঢুকতাম বই মারার জন্য
মোটামুটি বিশাল একটা স্টক ওখান থেকে মারা
খাইসে!! আপনি মিয়া তো বিরাট দুই নাম্বআর!!!
তবে বই মারলে অবশ্য গুনাহ হয়না! নাইলে আমিও তো দোজখ বাসি হইতাম এত দিনে!
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অপেক্ষায় ছিলাম কখন আসবে আপনার লেখা। দেখা মাত্র পড়ে ফেললাম এবং আবারো অপেক্ষা শুরু করলাম। নেক্সট প্লিজ....
কীর্তিনাশা
লেখাটা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে
পঙ্গপালের মতো ঘটনা একটার ভেতরে আরেকটা ঢুকে যাচ্ছে
তাছাড়া আমার পুরো লাইফই বলতে গেলে ৮৯ থেকে শুরু
ওই একই সময় পলিটিক্স- লেখালেখি-পড়াশোনা- আরো শতশত হাবিজাবি
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এহেন কাজ নেই করতাম না
সবগুলো থেকে ছেঁকে শুধু নাটক অংশটা এখানে আনতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছি
একটার লেজ ধরে অন্যটায় চলে যায়
অন্যগুলো নিয়ে আলাদা সিরিজ করব চিন্তা করছি
দৌড়াক। এতো কম করে লিখলে তো কয়েকবছরের সিরিজ হয়ে যাবে।
আপনার কিছু বর্ননায় পুরনো সিলেটকে দেখি। এখন তো সব বদলাইছে। স্মৃতি শুধু বদনা।
বেশি লিখলে লোকজন গালাগলি করে এজন্য কম কম করে লিখছি
দেখা যাক কতদূর যায় আর কতদূর টানতে পারি
০২
সিলেটকে সত্যি এখন আর চেনা যায় না
নিজের শহর মনে হয় না আর
বিভাগ হওয়ার পরে কী যেন হয়ে গেছে শহরটার
তাও তো ভালো ভাইঙ্গা দুইবার মারতেন। কিন্তু একটারে আমরা তিনচাইরজনে...
আহা কতনা দুঃসময় গেছে ওই ছাত্র কালে!
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
কী কারণে যেন আমার আশপাশের লোকগুলো সিগারেটে ভদ্রলোক ছিল
খেতোও না। খাওয়াতোও না
যার কারণে বিড়ি ভাগ করা খুব একটা হয়নি আমার
ভাল লাগছে খুব।
নন্দিনী
ধন্যবাদ স্যার
বাপ রে !
পোলা তো নয় যেন আগুনেরই গোলা !!
জীবনে কোন কাজটা আপনি করতে বাকি রেখেছেন বলেন তো !!!
জটিল...
০২
"এই কচ্ছপের খোলের নিচে এক ফোঁটাও হাড্ডি- মাংস নেই। পুরোটা আগুন" - অনুভব করলাম আমিও।
..............................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জীবনে একটা মিনিটের জন্যও ভদ্রলোক হতে পারলাম না
আফসোস....
০২
সজল এখনও সেই কচ্ছপ
এখনও সেই আগুন
কী চমৎকার লেখার ভঙ্গি আপনার!
সাথে আছি। থাকবো প্রতিটি পর্বেই।
কি মাঝি? ডরাইলা?
কোমরে গামছা- কান্ধে বন্দুক
থাইকেন
গামছা কাছি দিয়া
আর বন্দুক তাক কইরা
আহারে বড় মায়া লাগছে। এটা কি কথাকলির স্টাইল নতুন কাউকে এভাবে দূরে ছুঁড়ে কাছে টানা?
এটাই আগের পর্ব গুলো থেকে এটার বিশেষত্ব যেখানে মানুষটার পরবর্তী কাজকর্মের ইঙ্গিত কিছুটা পাওয়া যায়।
দুর্দান্ত!!!
জ্বি না
কাউরে পাত্তা দেয়া কথাকলির গ্রামারে নাই
পারলে পাত্তা আদায় করে নাও
নাহলে ফুটো
সোজা হিসাব
০২
মানুষগুলোকে আসতে দেন
এইমাত্র একজন ফোনে তার বায়োডাটা মনে করিয়ে দিলো
সাথে সাথে হুমকিও দিলো কিছু
যেন উল্টাপাল্টা কিছু না লিখি
অসাধারণ লীলেন ভাই। প্রতিটা পর্বই পড়ছি, পরীক্ষার কারণে সব লেখায় মন্তব্য করা হয় না। চালিয়ে যান, পরীক্ষা শেষ হলে সুদে আসলে সব মন্তব্য উসুল করে দেব একদম
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ
পরীক্ষায় ফেল করলেও আমি মাইন্ড করব না
লীলেন ভাই
আগের পর্বে শেরো ভাইকে নিয়ে একটা মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম।
একাডেমিতে বিজয় দিবসের রিহার্সাল করছিল বোন।
ছোট আমি ছোট্ট বাবু ঢুলছিলাম হান্নান ভাইয়ের অফিসে বসে।
শেরো ভাই ঢুকলেন রুমে।
জিগ্গেস করলেন কী কর।
হাবিজাবি কথা বলে বললেন, এটা কীসের খাতা? ছবি আঁকার?
দাড়াও একটা ছবি একে দিই।
তারপর পেস্নিলে ঘষে ঘষে নিমেষে একে ফেললেন
কলসি কাঁখে এক মেয়ের ছবি।
আমার হা করা মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন।
বুঝেছ। এটা যাদু। এটা ম্যাজিক।
কতকিছু দেখলাম তারপর লীলেন ভাই।
শুধু সেই ম্যাজিকের মুগ্ধতা আজো গেলনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ফ্রি হ্যান্ডে শেরো ভাইর স্কেচ অসাধারণ
আর আমাকে সবচে বেশি তাজ্জব করে শেরো ভাইর ক্যালিগ্রাফি
কিন্তু কেন যেন শেরো ভাই জিনিসটাতে কোনো যত্ন নিলো না আর
সিলেটকে সত্যি এখন আর চেনা যায় না
নিজের শহর মনে হয় না আর
বিভাগ হওয়ার পরে কী যেন হয়ে গেছে শহরটার
সেটাই । প্রেমিকাকে অন্যের বউ হতে দেখলে যেমন লাগে , কেমন যেন চিনি আবার চিনি না , সেরকম মনে হয় ।
হঠাৎ করে গেলে খারাপ লাগে
মনে হয় না এসে স্মৃতি নিয়ে থাকলেই বোধহয় ভালো হতো
সিলেটকে মহানগর ভাবতে আপত্তি আছে আমার
সিলেটের মহানগর হয়ে ঊঠার ঘোর বিরোধী আমি
বিভাগীয় শহরটা মৌলভীবাজার কিংবা অন্য কোথাও হলে সিলেটটা হয়তো সিলেলেটের মতোই থাকত- আত্মমগ্ন মফস্বল...
লীলেন ভাই নষ্টালজিয়ায় ভুগতাছি...
-অপূর্ব সোহাগ
পড়ছি এবং সত্যি দারুণ লাগছে। এই পর্বটা অতীব জটিল হয়েছে।
নাজমুস শামস সজল-এর জন্য আমার শ্রদ্ধা ও মুগ্ধতা।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এখন পর্যন্ত সজল আমার কাছে একটা বিস্ময়
মাত্র গত বছর ঢাকা ভার্সিটিতে ছাত্র আন্দোলনের সময় আবারও সজলের দৃষ্টিভঙ্গি আর সাহসের সাথে নিজেকে মিলিয়ে মনে হয়েছে
আমরা বকবক করে কিছু বিষয় প্রমাণ করি
আর সজল বিশ্বাস করেই পালন করে কিছু বিষয়
কথাকলির জন্য এত কষ্ট করতেন...
আমারো ভালো লাগছে সিরিজটা। এরপর?
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
এটা বেশি কষ্ট ছিল না
শুধু না খেতে খেতে ৯২তে এসে কঠিন জন্ডিস বাঁধিয়ে ফেললাম
কিন্তু কষ্টটা যেতো রাতে বাড়ি ফেরার সময়
কোনো গাড়ি নেই
মাঝে মাঝে ভাঙা ভাঙা গাড়ি পাওয়া যেত কিছু দূর পর্যন্ত
বাকিপথ হাঁটা
মাঝে মাঝে ট্রাকের পেছনে করে যেতে হতো শীতের রাতে (তাও নিতো না)
আর বেশ কয়েকদিন পুরা ১৯ কিলোমিটার হেঁটেই যেতে হয়েছে
অথচ ৯৯ ওই এলাকা যখন আমরা ছেড়ে চলে আসি তখন সেখানে সারারাত গাড়ি চলে
আর সময় লাগে মাত্র আধা ঘণ্টা
আর ৯৫-৯৬ পর্যন্ত রাস্তা এতো খারাপ ছিল যে প্রায় দুঘণ্টা মতো সময় লাগতো বাসে
পড়তেছি।
জমজমাট হইতেছে
আমাকে মাঝেমধ্যে শুক্রবারী বাজার পার হয়ে চিকনাগুল যেতে হয়। যাই, আর মাঝেমধ্যে আপনাদের ফেলে আসা ভিটেটার দিকে তাকাই। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
আমি ছিলাম পলেনের বন্ধু। মাঝে মধ্যেই আপনাদের বাসায় যেতাম ওর সাথে। যেতাম আসলে লোভে। সামনের রুমটাতে বিচ্ছিন্নভাবে লিটলম্যাগ পড়ে থাকতে দেখতাম। ওইগুলার লোভে যেতাম। আপনাকে পাওয়া যেতো না কখনো। বাইরে থাকতেন বেশীর ভাগ সময়। এরপর একদিন আপনার সাথে দেখা হল। আমার আগ্রহ দেখে অনেকগুলো লিটলম্যাগ আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। এর মধ্যে কিছু পত্রিকার নাম মনে আছে এখনো
শুদ্ধস্বর, গ্রন্থি, প্যারাডাইম, ঋতি, নদী পাখি মেঘ, হৃদি, ঘাস......
নতুন মন্তব্য করুন