আমাদের দুটো দরজাই সবার জন্য খোলা। শুধু মৌলবাদীদের আমরা আসতে দেই না। মূর্খদের থাকতে দেই না। আর স্বাধীনতা বিরোধীদের বের করে দেই। এছাড়া আমাদের কোনো নিয়ম নেই। কোনো গঠনতন্ত্র নেই
চশমার উপর দিয়ে নতুনদের দিকে তাকিয়ে ঝাড়া একটা লেকচার দিয়ে থামলেন অম্বরীষ দা- তোমাদের কারো কিছু বলার আছে?
- কিন্তু গ্রুপ করে আমার কী লাভ?
- কোনো লাভ নাই। এখন রওয়ানা দিলে শেষ বাস ধরতে পারবে। যাও বাড়ি যাও
কথার মাঝখানেই হাত ঢুকিয়ে দিলো শেরো ভাই। অম্বরীষ দা সেটাকে টেনে নিয়ে থিওরাইজ করলেন আবার- কোনো লাভ নেই। সময় এবং পয়সা দুটোই লস। বাড়িতে বাবা মায়ের ঠেঙানি খেতে হবে। পরীক্ষায় খারাপ করতে হবে। ব্যবসায় ফেল মারতে হবে- চাকরিতে শো-কজ খেতে হবে। কথাকলি তোমাকে কিছুই দেবে না। শুধু একটা আত্মবিশ্বাস দেবে। যে কোনো সময়- যে কোনো অবস্থায় নিজের বুক থাবড়ে বলা- আমি পারি
এই কনফিডেন্সটা দেবে কথাকলি
- হাঃ হাঃ হাঃ দাদা কি ওর অ্যান্টেনাকে নিজের মতো ভাবছেন? যা বলছেন সবই তো ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে
লিটনভাই কথা কেড়ে নিলো- শোনো। আমাদের ভালো লাগে তাই আমরা গ্র“প করি। তোমারটা তুমি বুঝে নেবে। গ্র“প করে তোমার লস হলে যেমন কেউ দায় নেবে না। গ্রুপ থেকে তোমার লাভ হলে কেউ ভাগও বসাবে না। ব্যাস
- বিকেলে তো আর কেউ বাড়িতে বসে থাকে না। মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েদের সাথে টাংকি মারে। এখানে আসলে অন্তত আকামের পরিমাণ কমবে
আক্তার ভাইর কথার উপরেই বঙ্গবন্ধু স্টাইলে হাত তুলে ফেলল এনাম ভাই- কথাকলি তোমাকে একটা বাঙালি বানাবে। বাঙালি বোঝো? দেখেতো মনে হয় না সংস্কৃতির ছিটে ফোঁটা তোমার ধারে কাছে দিয়ে গেছে
যে কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম বললাম তার মাত্র অর্ধেক। তাতেই বিরাশি হাজার হাইথট উত্তর
- তোমার উত্তর পেয়েছ?
একমাত্র জুয়েল ভাই-ই হাত ঢোকায় না। সরাসরি বলে। বললাম- মনে হয় আস্তে আস্তে বুঝতে পারব
- দ্যাটস রাইট। তাহলে এইবার মূল কথায় আসি। আমরা নতুন নাটক করছি
কথাকলির সভাপতি যেই হোক না কেন। কিংবা নাটকের ডিরেক্টর যাকেই বানানো হোক না কেন। কথাকলি চালায় চার খলিফা
লিটনের প্যাঁচালো বুদ্ধি। এনামের কূট-চাল। আক্তারের অর্গানাইজিং আর শেরোর তর্জন-গর্জন। লিটন ভাই চিন্তা করে গ্রান্ড মাস্টারদের মতো; আট চাল আগাম। তারপর চিন্তাটা বাতাসে ছেড়ে দিয়ে নিরীহ পাবলিকের মতো বসে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে এর পক্ষে বিপক্ষে কথা বলে একেবারে ঘুটু পাকিয়ে ফেলে এনাম ভাই। আচ্ছামতো লিটন ভাইকে ধোলাই দিয়ে লস অ্যান্ড বেনিফিটের মানদণ্ডে বিষয়টাকে জাস্টিফাই করে। লিটন ভাই যদি দেখে বেনিফিট বেশি তাহলে আগায় না হলে বেমালুম চেপে যায়
আক্তার ভাই অপেক্ষা করে ডিসিশনের। ডিসিশন হয়ে গেলে আয়োজন তার কাছে ডাল ভাত। আর শেরো ভাইর মূল কাজ হলো ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কথাকলির রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা
চার খলিফার তিনজনই গাধা খাটনি খাটে। শুধু এনাম ভাই-ই কামচোরা টাইপের। কিন্তু সে যে কামচোরা তা সাত আট বছরেও কারো পক্ষে ধরা সম্ভব না
নকশাল আন্দোলনের উপর ইন্ডিয়ান কোনো লেখকের ছোট দুইটা নাটক ধরা হলো- খুন আর প্রতীক্ষা
প্রথম কয়েকটা দিন নকশাল আন্দোলনের বিশাল বিশ্লেষণ। তারপর বসে বসে পড়া। তারপর রিহার্সাল। আমার অবাক লাগে। কথাকলির অনেককেই দেখি না রিহার্সালে। কাউকে জিজ্ঞেস করলে হাসে- সে আসবে কেন?
- কেন সে নাটক করবে না?
- ও কি কথাকলির মেম্বার যে কথাকলির নাটক করবে?
সিলেটের নাট্যকর্মী কে কোন দলের মেম্বার তা নাটক না দেখা পর্যন্ত কারো পক্ষে অনুমান করা সম্ভব না। সমানে সবাই সবার সেটে কাজ করছে- লাইট করছে- মিউজিক করছে- টিকিট বিক্রি; এমনকি হল পর্যন্ত ম্যানেজ করছে। আর নাটক শুরু হয়ে গেলে চুপিচুপি একটা টিকিট কিনে বসে পড়ছে গ্যালারিতে। বোঝার উপায় নেই এরা দলের না বাইরের দলের লোক
প্রতীক্ষা নাটকে দুইখান ডায়লগসহ আমকে একটা পাট দেয়া হয়েছে। প্রথম ডায়লগ- সেতো নেই। আর দ্বিতীয় ডায়লগ- ওতো চলে গেছে
প্রতিদিন রিহার্সাল করি- সেতো নেই। ওতো চলে গেছে। কিন্তু ঠিক জায়গা মতো বসাতে পারি না। হয় আগে দিয়ে ফেলি না হয় পরে। তার উপর আছে উচ্চারণ। - ও তো চোলে গ্যাছে। আমার হয়ে যায়- অ ত চঅলে গেছে
করলাম। ঝাড়া দেড়মাস- সেতো নেই। ওতো চলে গেছে। করলাম। এইবার শো
নাটক শুরুর অনেক পরে আমার ঢোকা। কিন্তু শুরু থেকেই এন্ট্রি উইংসে দাঁড়িয়ে থাকলাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাটক দেখছিলাম। কিন্তু এ কী?
রিহার্সালে কী দেখেছি আর এখানে কী? এই লাইট- এই মিউজিক- এই কস্টিউম...
কাউকে চিনি না আর। পুরো নাটকটাই অচেনা লাগে। সময় যত কাছে আসে ভেতরে ধুকধুক বাড়ে। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সংলাপ জপি- সেতো নেই। ওতো চলে গেছে
- ঢুকে কোথায় দাঁড়াবে খেয়াল আছে?
ফিসফিস করে কানের কাছে জিজ্ঞেস করল শেরো ভাই- ওই যে ওই প্ল্যাটফর্মটার উপর
- পায়ে ভর রেখে আস্তে আস্তে যেও। নাহলে ধুপধুপ শব্দ হবে। আর কোনায় পা দিও না
অন্যপাশ থেকে ফিসফিস করল আক্তার ভাই
আমি কারো কথা শুনছি না। শুধু জপে যাচ্ছি- ওতো চলে গেছে। সে তো নেই...
কেউ একজন একজন কাঁধে হাত রাখল- রিল্যাক্স অ্যান্ড কুল
জুয়েল ভাই
- নার্ভাস? পলিটিক্স করা ছেলে এইসবে নার্ভাস হলে চলবে কীভাবে?
একটা ঝাঁকি দিলো এনাম ভাই...
সময় কাছাকাছি চলে এসছে। স্টেজের মধ্যে আমার দাঁড়ানোর জায়গাটাতে চোখ গেঁথে দাঁড়িয়ে আছি। এক দৌড়ে ওখানে দাঁড়িয়ে সোজা ডায়লগ দেবো। কেউ একজন খপ করে আমার হাত ধরে ফেলল। লিটন ভাই- আমি বলব কোন সময় যেতে হবে
লিটন ভাই হাত ছাড়ল না- তাড়াহুড়া না। ধীরে। উইথ প্রজেকশন অ্যান্ড ক্লিয়ারিটি
আমি ভয় পাচ্ছিলাম ঢুকতে না দেরি হয়ে যায়। দুবার একটু এগিয়ে উইংসের আরো কাছে যেতে চেয়েছি। লিটন ভাই টেনে ধরেছে- এখানে দাঁড়াও। সামনে গেলে অডিয়েন্স থেকে দেখা যাবে
আগের দৃশ্য শেষ। এর পরের দৃশ্যে আমি এবং শুরুতেই আমার এন্ট্রি। আমি ঝেড়ে দৌড় দিলাম। কিন্তু লিটন ভাই আবারও টান দিলো- দাঁড়াও লাইট আসুক
- যাও
লিটন ভাই একটা ধাক্কা দিলো
বুলেটের আর কী গতি। দিলাম একখান দৌড়। এক দৌড়ে আমার জায়গায়
কিন্তু এটা কোন জায়গা? সামনে অন্ধকার আর আশপাশে কেমন কেমন। কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। না কো আর্টিস্ট। না সেট। একবার ভাবলাম চলে যাই। কিন্তু যেতে হলে আমাকে তো ডায়লগগুলো দিয়ে যেতে হবে....
কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করার কথা- অমুক কোথায়?
আমি উত্তরে বলব- সেতো নেই
তারপর তারা দুজন আরো কিছু কথা বলার পরে আবার আমাকে আরেকজন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে- অমুক আসেনি?
আমি বলব- ও তো চলে গেছে
আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করেছে কি না আমি কিছুই মনে করতে পারছিলাম না। শুনতেও পাচ্ছিলাম না কিছুই। আমি একসাথেই ঝেড়ে দিলাম দুটো ডায়লগ- ওতো নেই। সেতো চলে গেছে
বলে আর দেখাদেখি নেই। সবচে কাছে যে উইংস পড়ল সেটা দিয়েই এক দৌড়ে বাইরে। অথচ আমার বের হবার কথা অন্য উইংস দিয়ে...
সামনেই লিটন ভাই। নির্লিপ্ত। - ঠিক আছে। শব্দ করো না। অডিয়েন্সে শব্দ চলে যায়
উইংসের পাশ থেকে সরে এসে একটা অন্ধকার দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে হিসাব মেলানোর চেষ্টা করছিলাম কী করার কথা আর কী করলাম আমি
- ওই হালা। আন্ধাইরে কী করস? প্রথম স্টেজে এটা হয়ই। আয় এদিকে আয়
সজল। আমাকে গ্রিনরুমে নিয়ে এলো। নাটক শেষ
- কংগ্রেচুলেশন
ঢুকতে ঢুকতে হাত বাড়িয়ে দিলো জুয়েল ভাই
ঘাড়ে একটা থাপ্পড় লাগাল মারুফ- নাটক তো করে ফেললি বেটা
কস্টিউম চেঞ্জ করতে করতে হাত দিয়ে গুঁতা মারল লিটন ভাই- কংগ্রেচুলেশন প্রথম মঞ্চে
প্রত্যেকে হয় কস্টিউম চেঞ্জ করছে। নয় মেকাপ তুলছে। সিলেট অডিটোরিয়ামের গ্রিনরুমে বসে সবার দিকে তাকাতে তাকাতে হঠাৎ আমার মনে হলো- আমি আর শুধু আমি না এখন। আমি একটা দল...
২০০৮.০৬.০৬ শুক্রবার
মন্তব্য
সেতো নেই। ওতো চলে গেছে।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমার বাপের জন্মেও কোনো কথা অতবার জপিনি
যতবার এই ডায়লগটা জপেছি
তাও শেষমেশ গণ্ডগোল
বাংলা মুখস্থ করেও যে বাঙালের পক্ষে বাংলা বলা সহজ না সেদিন টের পেয়েছিলাম
এর চেয়ে জরুরী বক্তব্য গঠনতন্ত্রে আর কি থাকতে পারে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এখন পর্যন্ত কথাকলির লিখিত কোনো কাগজপত্র নেই
কেউ জানে না কথাকলির কী নিয়ম
কিন্তু এখন পর্যন্ত নিয়ম ভাঙতে শোনা যায়নি কাউকে
- যাও
লিটন ভাই একটা ধাক্কা দিলো
এই মানুষ গুলো আমাকে ও হাঁটা শিখিয়েছে
কাঁধে হাত রেখেছে, ঝাঁকি দিয়ে টেনে ধরেছে
আর সময় মতো ধাক্কা দিয়ে চলতে শিখিয়েছে
লাল সালাম জুয়েল ভাই, লিটন ভাই, এনাম ভাই, আকতার ভাই ও শেরো ভাই। লাল সালাম লীলেন ভাই, যার হাত ধরে আমার কথাকলিতে আসা।
কথাকালিতে যারা কাজ করেছেন এবং করছেন তাদের একটা তালিকা করলে কেমন হয় লীলেন ভাই। আমার মনে হয় আপনি এটা করতে পারবেন।
শিপন
ইয়েস
একটা তালিকাতো করাই যায়
অন্যপ্রসঙ্গ
রূপক দা কানাডাতে কথাকলি নামে একটা রেডিও চ্যানেল চালু করার কথা শুনেছিলাম
ওটার কোনো খোঁজ জানো?
আরে আরে, এক পর্ব দেখি আরেক পর্বকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে!
এক টি চরিত্রকে এভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মূল ঘটনায় যাওয়াটা খুব ভাল লাগছে। এ টেকনিক কি আপনার নিজস্ব?
এতো সহজেই কারো উপর মুগ্ধ আর কারো উপর বিরক্ত হয়ে গেলে তো বিপদ
একটু দাঁড়ান না স্যার
সামনের সম্পর্ক- সংঘাত- ক্ষয়
একটা একটা করে আসতে দেন
পুরাতন লীলেন,
সেতো নেই
ওতো চলে গেছে
এখন নতুন লীলেন খেলবে ।
কথাকলির গঠনতন্ত্রে (বিপ্লব)
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পুরান লীলেনটা বড়ো আরামে ছিল
এরা কী না কি মাথায় ঢুকিয়ে চৌরাস্তার মধ্যে এন ছেড়ে দিয়ে গেছে...
বরাবরের মতোই চমতকার লিখেছেন ! পড়ার সময় ভীষণ আচ্ছন্ন করে রাখে আপনার বর্ণনা । নিজেকে কথাকলির একজন বলে মনে হয় । চলুক ...
নিজেকে কথাকলির লোক মনে করলেই আর কিছু লাগে না
সরাসরি কথাকলিতে গিয়ে ঝাড়ি দিতে পারেন- ওই তোমরা কারা? কে কতদিন থেকে কথাকলি করো হিসাব দাও
- কল কল কলকাকলী
দলের নাম কথাকলি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইস
আপনে যদি ওইখানে থাকতেন তাহলে আমি অন্তত আরো ২০টা কাহিনী পেতাম...
- আপনের লাইগ্যা জান কুরবান। বিশটা কেন আমি আপনেরে তিন কুড়ি ষাটটা কাহিনীই দিতে পারতাম। কিন্তু কথা হৈলো সেগুলা তখন আর বয়ান করার সুযোগ থাকতো না। কাহিনীর হাঙ্গামা ভাঙতে ভাঙতেই হাঁপানি উইঠা যাইতো।
আল্লাহ্ বাঁচাইছে, মুরুব্বী মানুষরে ক্লেশ দেওয়ার ধৃষ্টতার সুযোগ আসে নাই
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কী আর করা আমরা তো সাধারণ পাঠক। যখন যেটা মনে হয় অবলীলায় বলে ফেলি। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে পারি না।
অন্যপ্রসঙ্গ:
মেইল টা না দেখে থাকলে দেখতে পারেন।
"ওতো নেই। সেতো চলে গেছে"
হা হা হা
এইরকম আগুনের গোলাও যে একদা নার্ভাস হয়েছিল, ভাবতেই মজা লাগছে।
০২
"কথাকলি তোমাকে কিছুই দেবে না। শুধু একটা আত্মবিশ্বাস দেবে। যে কোনো সময়- যে কোনো অবস্থায় নিজের বুক থাবড়ে বলা- আমি পারি- এই কনফিডেন্সটা দেবে কথাকলি"
কনফিডেন্স তৈরীর এইরকম জায়গা আরো অনেক অনেক বেশি থাকতে হতো।
০৩
"আমার মনে হলো- আমি আর শুধু আমি না এখন। আমি একটা দল" - ভীষন শক্তিশালী একটা অনুভূতি। আর কি দরকার ?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পয়সা দেন
কনফিডেন্স তৈরির কারখানা বসাই
কাউকে জিজ্ঞেস করলে হাসে- সে আসবে কেন?
- কেন সে নাটক করবে না?
- ও কি কথাকলির মেম্বার যে কথাকলির নাটক করবে?
সিলেটের নাট্যকর্মী কে কোন দলের মেম্বার তা নাটক না দেখা পর্যন্ত কারো পক্ষে অনুমান করা সম্ভব না। সমানে সবাই সবার সেটে কাজ করছে- লাইট করছে- মিউজিক করছে- টিকিট বিক্রি; এমনকি হল পর্যন্ত ম্যানেজ করছে। আর নাটক শুরু হয়ে গেলে চুপিচুপি একটা টিকিট কিনে বসে পড়ছে গ্যালারিতে। বোঝার উপায় নেই এরা দলের না বাইরের দলের লোক।
এমন সহযাপন খুব বিরল।
জিজ্ঞাসু
সিলেটে এই জিনিসটা এখনও আছে
যতবারই আমরা বাইরে নাটক করতে গেছি
দেখা গেছে গাড়িতে কথাকলির মেম্বার ১০ জন হলে অন্য দলের মেম্বার ১০-১২জন
প্রতিবারই হোস্টদের বেক্কল বনে যেতে দেখেছি পরিচয় পর্বের সময়
তারা তাল মিলাতে পারে না কে কথাকলি আর কে না
আমি নিজেও যখন অন্য দলের সাথে গেছি কেউ জিজ্ঞেস না করলে সে ধরে নিয়েছে আমি হয়তো ওই দলেরই লোক
কাঁধের বোঝা বেশি ভারী হয়ে গেলেই মনে হয় এমনটা হয়। নির্দিষ্ট জায়গার আগেই ফেলে দেওয়া। সংলাপ জপার নমুনায় তাই মনে হয়েছে।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী
আর কইয়েন নারে ভাই
তখন আমি টানা ১৫-২০ মিনিট ঝাড়া লেকচার দিতে পারি
কিন্তু দুইটা লাইন বলা অত কঠিন হবে ভাবলে কি আর মঞ্চের দিকে পা বাড়াই?
বাংলাদেশ থেকে খুব সংগোপনে এই সংঘ জীবন যাপনের রীতি উঠে যাচ্ছে। আমি নেহায়েতই শিশু আপনার তুলনায়, তবু আমি নিজেই দেখেছি ছোট বেলায় পাড়ায় মহল্লায় লাইব্রেরী, যুব সংঘ কিংবা নাটকের দল। কিছুটা অতি নাগরিক জীবন, কিছুটা এক্সপোনেনশিয়ালি বেড়ে চলা ব্যস্ততা আর কিছুটা জামাত-শিবিরের পরিকল্পনার মাধ্যমে আজ হারিয়ে গিয়েছে এই চমৎকার রীতিগুলি।
আপনার এখন পর্যন্ত লেখাগুলিতে যে রকম ঋজু চরিত্রের বর্ণিল মানুষের দেখা পেয়েছি, সংঘ জীবনের অভাবেই হয়তো এমনটা আজ আর দেখা যাচ্ছে না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নগরে মানুষ মানুষকে ভালোবাসে গুণের জন্য
আর মফস্বলে কিংবা গ্রামে ভালো বাসে দুর্বলতার জন্য
কথাটা জেমস জয়েসের কাছ থেকে ধার করা
কিন্তু এটাকে আমি আমার নিজের কথা বলেই জানি
০২
নগরে বড়ো হওয়া আমার সব ফ্রেন্ড থেকেই আমি মানুষ হিসেবে কয়েকশো বছর পিছিয়ে পড়া
কিন্তু একটা দিকেই আমি তাদের থেকে এগিয়ে
তা হলো
অন্তত শ খানেক মানুষের নিশ্বাস আমি চিনি
অন্তত শ খানেক মানুষের অন্তর দেখেছি আমি
আর নগরে চিনি কয়েক হাজার মানুষের চকচকে মুখ
তাদের অন্তর আছে কি নেই। অথবা কোথায় থাকে তার ঠিকানাও জানি না আমি
কথাকলি' যে জায়গাটিতে যাওয়া আমার গুণে গুণে তিনদিন ----- তবে স্মৃতি আমার নিজের গ্রুপের চাইতে অনেক বেশী ----- এই গ্রুপটিতে গিয়ে ঢাকাবাসী হবার জন্য আমার প্রথম অনুশোচনা ---- আমাদের সময় থিয়েটারের ছেলেপেলেদের উচ্চারণের সমস্যায় শুদ্ধ ভাষায় নাটক করতে রীতিমত হিমসিম খেতে হত পরিচালকদের সেখানে অনেক সুন্দর ভাষায় কথা বলা মানুষগুলোকে দেখে সত্যিই আমি সেদিন বিস্মিত হয়েছিলাম --------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
কথাকলিকে দেয়া তোর পিতলের বাঁশিটি শেষ দিন পর্যন্ত ছিল
তারপর আমাদেরকে যখন উচ্ছেদ করে দেয়া হলো
সবগুলো স্মৃতির সাথে সেই বাঁশিটিও যেন হারিয়ে গেলো কোথায়...
কথাকলি-কাহিনীতে মজে যাচ্ছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
গ্যাপ পড়ে গেছিল। আবার সামিল হলাম।
কি মাঝি? ডরাইলা?
Sir sorry,bangla type korte pari na,tobe shike nebojoldi.bhalo lagce,sachal thakun.
সংঘ জীবন যাপনের রীতি উঠে যাচ্ছে কথাটা ঠিক না। হয়ত রুপ বদল হচ্ছে। নিচের লিংক গুলি তার প্রমান্ -
১) http://www.unysab.org
২) http://www.jaago.com.bd
নতুন মন্তব্য করুন