অমরতা

বিগড়ে দেয়ার কাজটা নিয়মিত করুন, প্লীজ।

এই তো মহা বিপদে পড়লাম
কবিতা বলে কিছু লিখলে লোকজন বলে সেমেটিক ধর্মগ্রন্থ হয়ে যায়
গল্পের নামে কিছু লিখলে বলে উনিশ শতকের ইউরোপের জাবর কাটা...

কিন্তু আমি সবগুলোকেই বলি হাবিজাবি
যেভাবে আমি বকবক করি
ঠিক ওভাবেই বকবকানিগুলোকে কীবোর্ডে টাইপ করে রেখে দেই

এবং সচেতনভাবে ফর্ম-সংজ্ঞা-ঐক্য এই জাতীয় বস্তুগুলোকে এড়িয়ে যাই
(মাথায় ঢোকে না বলে)

আকতার ভাই, লীলেন ভাই তো আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়া দিলেন।

দেখা যাচ্ছে, এরম মনে করাতে আমি একা না, আরো অনেকেই শামিল।

কবিতা বোধহয় আর লেখা হবে না
গত বইমেলায় আমার কবিতার বই (হাবিজাবি?) বের হবার পরে বুদ্ধিজীবীদের গালি খেয়ে মনে মনে ৫০০বার কান ধরে উঠবস করেছি

নো মোর কবিতা....
নো মোর আবর্জনা...

০২

কথাকলি গোছাতে পারছি না
সিকোয়েন্স অনুযায়ী লিখতে গিয়ে একটার ভেতরে আরেকটা ঢুকে যাচ্ছে
লেখার পরে সেগুলোকে আবার বাছাই করে করে বের করতে গিয়ে টাইম যাচ্ছে অনেক

আর এই কয়দিন একেবারে কুত্তা দৌড়ের উপর যাচ্ছে

ভাবছিলাম ওইটা কবি নজরুলের কবর
এক পুরিয়া গাঁজা খুজতে গেছিলাম
কিন্তু গিয়া দেখি মাটির নিচে আরেক বেটা ঘুমায়

কিন্তু পারদর্শী হয়ে লাভ কী
আপনার সামনে পড়লে তো সকল কীর্তিই নাশ হয়ে যাবে

এই অনুভূতিটা হয়েছিল কবি কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ারের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে
শেষ পর্যন্ত একটা সিগারেট জ্বালিযে তার কবরে ফেলে দিয়ে এসছি সে খাওয়ার জন্য

আমি জানি না আমার এই চেষ্টাটা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে
লেখালেখির শুরুর দিকে আমি প্রচণ্ড কঠিন কঠিন শব্দ এবং বাক্য বিন্যাসে লিখতাম
তারপর শুরু করি একেবারে মুখের ভাষায় লেখালেখি করা; হোক কবিতা কিংবা অন্য কিছু
আমার কথা বলার স্টাইল আর লেখার স্টাইল একেবারে এক
যে শব্দগুলো আমি কথা বলার সময় ইউজ করি না সেগুলো কোনোভাবেই লেখাতেও আনি না

এজন্য সাহিত্য বোদ্ধারা আমাকে প্রায়ই গালাগালি করেন
আমার এগুলোকে সহজিয়া পদ্ধতি বলে টিটকারিও মারেন

কিন্তু আমার মনে হয় শব্দ এবং বাক্যকে শুধু একটা মাধ্যমের বেশি কিছু ভাবলে লেখাটা মার খায়

জানি না আদৌ কোথাও দাঁড়াবে কি না
কিন্তু আমি বোধহয় সহজিয়াই থেকে যাবো শেষ পর্যন্ত

০২
আমার কবিতায় বদনাম হচ্ছে অতি গাদ্যিকতার
আর গদ্যে বদনাম হচ্ছে কাব্যিকতার
এই দুইটা নিয়ে বহুদিন হাবুডুবু খেয়ে এখন সবগুলোকেই বলি হয় হাবিজাবি না হলে স্রেফ লেখা

কী লেখা- কী বস্তু ওটা যার ইচ্ছা সে ভেবে নেবে
আমি মাপ চাই

ভাইজান
আপনার কোনো কামকাজ নাই সচলায়তন করা ছাড়া?

ফেলে দিলাম স্যার
শেষের দুই লাইন এখান থেকে এবং আমার মূল ফাইল থেকেও বাদ দিয়ে দিলাম

এখন মনে হচ্ছে শেষ দুই লাইন ছাড়াই এটার আবেদন বোধহয় বেশি

স্মরণ করছি আমার দ্বিতীয় কবিতার বই মাংসপুতুল ছাপানোর আগে তোমার কমেন্টগুলো
এবং সেই কমেন্ট অনুযায়ী লাইন ফেলে ফেলে কবিতাগুলোকে স্লিম করে তোলার ঘটনা

থ্যাকং ইউ স্যার

কারেন্ট নাই তো
মোমবাতি জ্বালিয়ে লেখা এজন্য একটু অন্ধকার
কারেন্টের লাইন পেলেই ফর্সা হয়ে যাবে

রেনেটের হিসাব ঠিকই আছে কিন্তু যোগ বিয়োগে একটু ভুল রয়ে গেছে
কবিরা মরলে ভূত হয় না
ইট আর কংক্রিট হয়
সেই ইট আর কংক্রিট দিয়ে নরকের মেঝে এবং নরকে যাবার রাস্তা বানানো হয়
এবং অবশেষে নারকীরা সারাদিন ধরে সেই ইট-কংক্রিট পা দিয়ে মাড়ায়...

০২

ঈশ্বর স্বর্গে ইন্টারনেট এ্যালাউ করেননি স্বর্গবাসীদের নৈতিক স্খলনের আশংকায়
তিনি ইন্টারনেট আবিষ্কারকের সাথে ইন্টারনেটকেও নরকে পাঠিয়েছেন
তাই ওখান থেকেই এখন সচলায়তন পড়া যায়
কবিতাটাও ওখান থেকে পাঠানো

আমার সঙ্গে অত শত্রুতা কেন?
মানুষ কাউকে সমাজ থেকে বের করে দিতে চাইলে প্রথম বলে- ও একটা কবি
তারপর চোখ টিপ দিয়ে বলে- কবি মানে তো বোঝো... পাগল

হাজর পাঁচেক হাবিজাবি এখানে ঢাললে শুধু সচলরাই না
সচলায়তনের অক্ষরগুলাও আমারে তেড়ে এসে কামড়াবে

মাইচ্চে রে
এতো দেখি বিরল প্রজাতীর প্রাণী
চিড়িয়াখানার লোকজন এখনও এর সন্ধান পায়নি...

বাইচ্চা গেছেন না পইড়া
(বুদ্ধিমানরা এইভাবেই বাঁচে)

আর নিম নাখারার শেষে কৈ মাছ নিয় না
ওইটা ছিল নিজেরে নিয়া লেখা

ফসিলের স্ক্রিপ্ট করেছিলাম
সুমন বানিয়েছে ওটা
কিন্তু কেউ চালায়নি

০২

নয়া দুইটা নিয়ে একটু ঝামেলায় ছিলাম
এডিট শেষ করলাম
এইমাসে বোধহয় কাজ করব আরেকটা
আর ঈদের জন্য ভাবছি
(সব কিছুই নির্ভর করে মহান টাকাওয়ালাদের উপর)

আপনি বরং কবিতা লেখা শুরু করেন
আমরা পড়ি