পণ্যচরিত

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শুক্র, ০৫/০৯/২০০৮ - ৬:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লুকানোর জায়গা না থাকলে পালিয়ে থাকা কঠিন। আর লুকানোর জন্য আড়ালের চেয়ে বেশি দরকার প্রশ্রয়ের। না হলে আশপাশের বিরক্তি আর বিরোধিতায় দুর্ভেদ্য আড়ালও প্রকাশিত হয়ে পড়ে খুব দ্রুত

১৭ দিনের বেশি পালিয়ে থাকা হলো না আমার। আমাকে পলাতক দেখে হৈচৈ করে উঠলেন জননী- তুই এইভাবে থাকলে সকলের বিপদ
বিষন্ন দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন জনক- কাজটা বোধহয় ঠিক হলো না মোটেও...

সহোদরদের আতঙ্কিত প্রশ্ন- কতদিন এইভাবে থাকার সাহস করি আমি?

আমি বলি- স্বাধীনতা সারা জীবনের জন্যই চাই

হাসতে হাসতে মুখের সবগুলো রেখা কুঁচকে আমাকে আবার ঠেলতে ঠেলতে রাস্তায় নামিয়ে দেয় তারা- যা ভাই যা। বহুত ঝামেলায় আছি। নতুন ঝামেলা ভাল্লাগে না। তুই ফিরে যা

রাস্তায় দেখলে কেউ অন্যদিকে তাকিয়ে হনহন করে হাঁটে। কে জানে যদি কোনো আশ্রয় চেয়ে বসি। শুভাকাঙ্ক্ষীরা দরজা আগলে দাঁড়িয়ে সহানুভূতির ছড়ায়- চলো তোমাকে আমরাই দিয়ে আসি। এইভাবে থাকা উচিত না তোমার

যারা বেশি মানবিক তারা দুচারদিন থাকার কথা বলে আমাকে বোঝাতে বসে; ফিরে না গিয়ে যেহেতু কোনো পথ নেই সেহেতু দেরি করা অযথাই লস...

জেলখানার বাইরে আমাকে কেমন বেখাপ্পা দেখায়। তাই কেউ টানে- কেউ ঠেলে- কেউ কাঁধে তুলে দিয়ে আসতে চায় আবার সেই জেলে...

যতটা সহজে পালিয়ে আসা গেছে লুকিয়ে থাকা হয়ে উঠে তার শতগুণ কঠিন। জেলখানায় গুটিকয় পাহারার চোখ; বাইরে শত শত চোর ধরা কল...

গাছ বিনা প্রশ্নে কিছু আড়াল সবাইকেই দেয়। ভাঙা দালান তাকিয়েও দেখে না কে লুকালো তার ভেতর। থৈ থৈ ভাসন্ত পানি সবকিছুকে বিন্দুর আকার দিয়ে অচেনা করে দেয় দূরের কারো চোখে। অন্ধকার কাউকে কোথাও চলে যেতে বলে না। শুধু বলে- সূর্য উঠলে তোর পিঠ লুকিয়ে রাখিস তুই। আর সূর্য বলে- আমি কাউকে দেখাই না কিছু। শুধু সবাইকে সবকিছু দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেই। নিজেকে লুকাতে চাইলে সে পথ তোকেই খুঁজে নিতে হবে বাপ...

১৭ দিন আমি প্রশ্রয়হীন পালিয়ে বেড়াই ভাঙা দালান- গাছের গোড়া- ভাসন্ত পানির বুক আর অন্ধকারের গভীরে। তারপর পালানোর ক্লান্তিতে শরীর ভারী হয়ে এলে ১৭ দিন পর আমাকে আবার ঠিক করে নিতে হয় আত্মসমর্পণের চিরায়ত নিয়ম

১৮ নম্বর দিনে আমি আবার গিয়ে হাত তুলে দাঁড়াব বাজারের গেটে- বান্দা হাজির জনাব...

আমার নিঃশেষিত শক্তি আর প্রশ্নহীন আনুগত্য নিশ্চিত হয়ে আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে মেশিনঘরে। বিশটা নখ তুলে ফেলে বসিয়ে দেয়া হবে সুদৃশ্য প্লাস্টিক পেইন্ট। বত্রিশটা দাঁত খুলে মাড়িতে গুঁজে দেয়া হবে টিসু পেপারের নরম প্যাড। প্রতিটা লোম তুলে ফেলে করা হবে সম্পূর্ণ আদিমতা মুক্ত এক পরিচ্ছন্ন মানুষ

তারপরে আমাকে গেঁথে দেয়া হবে শিকে
শিকের চারপাশে ধারালো ব্লেড। নিচে মাঝখানে আগুন; আগুনের দুইপাশে মসৃণ ড্রেন। আগুন স্থির হয়ে থাকবে শিখা বাড়িয়ে। ব্লেডগুলো স্থির ধার বাগিয়ে ধরে। ড্রেনগুলো অপেক্ষায় মসৃণতা নিয়ে। শুধু আমি ঘুরব ঘুরন্ত শিকের সাথে। যখন যে ব্লেডের কাছে যাব সেই ব্লেড তার ধর্ম মেনে কেউ কেটে নেবে চামড়া। কেউ কেটে নেবে চর্বি। কেউ কেটে নেবে মাংস আর কেউ পলিশ করে দেবে হাড়ের উঁচুনিচু বেয়াদব খাড়া। নিয়মের আনুগত্য মেনে রক্তের ফোঁটাগুলো চলে যাবে একপাশের নালায় আর চর্বির চাকাগুলো আগুনের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে গলে গলে অন্যপাশের নালায় উধাও হয়ে যাবে মেশিন ঘরের বাইরে কোথাও...

বাইরে সবকিছুই জমা হবে বিচিত্র রঙের পাত্র কিংবা ঝুড়িতে। চাক চাক মাংস। কাঠ কাঠ হাড়। সাদা সাদা চর্বি। কালো কালো রক্ত। চামড়া- নখ- চুল এমনকি ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত পর্যন্ত নির্ধারিত মূল্যের স্টিকারযুক্ত হয়ে উঠে যাবে মেগাশপের শোকেসের তাকে...

আমি বেঁচে যাব পালিয়ে বেড়ানো থেকে। সুহৃদেরা বেঁচে যাবে অস্বস্তি থেকে আর মধ্যবিত্ত জননী পেয়ে যাবেন বুকে আঙুল ঠুকে অহংকারের সুযোগ- এইভাবেই সন্তান বানাতে হয়। উন্মুক্ত বাজারে যার বালটাও বিক্রি হয় বহুমূল্য দামে...
২০০৮.০৯.০৫ শুক্রবার


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

বুঝলাম না। আপনে কি আবার চাকরিতে ঢুকলেন নাকি ?

নাকি নিছকই গল্প ?


অলমিতি বিস্তারেণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমিও কি আর ঠিকঠাক বুঝি যে কোন গত্ত থিকা আসি আর কোন গত্তে গিয়া সিঁধাই?

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

একে বলে গায়ে কাঁটা দেওয়া লেখা, অসাধারন লীলেন ভাই
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমাদের গায়ে যে কাঁটা ফোটে
সেগুলো আমাদেরই হাড্ডিতে বানানো সূঁচ...

অনিন্দিতা এর ছবি

পড়লাম।
আপনার গদ্য যথারীতি বরাবরের মতোই অসাধারন।
শুধু কেন কি প্রশ্নগুলো মাথায় ঘুরলেও করতে পারলাম না।
সব ঠিক হয়ে যাবে একসময়।
ভরসা রাখুন।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জ্বি স্যার
গাধার ভরসা অদেখা মেরুদণ্ডে আর দৃশ্যমাণ খুরে
নজর দূরবর্তী মূলায়...

০২
প্রশ্ন আমার মাথায়ও আছে
কিন্তু উত্তরের জন্য স্টকে আর কোনো শব্দ নেই

আকতার আহমেদ এর ছবি

কী.. আবার চাকরীতে ঢুকলেন নিকি? সবাই চাকরী করলে ক্যাম্নে কী !!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

চাকরি না
দিনমজুরি

শেখ জলিল এর ছবি

স্বরস্বতী, লক্ষ্মীভাগ্য নাকি একসাথে হয় না!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

স্বরস্বতী লক্ষ্মীতে মারামারি করে এক সময় দুইজনই উধাও হয়ে যায়
পড়ে থাকে পেটলা গণেশ...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

বুঝলাম-- বুঝার কিছু নাই। এই লাইনগুলা আসল- আমার কাছে

জেলখানার বাইরে আমাকে কেমন বেখাপ্পা দেখায়। তাই কেউ টানে- কেউ ঠেলে- কেউ কাঁধে তুলে দিয়ে আসতে চায় আবার সেই জেলে...

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কম বোঝা বুদ্ধিমানদের কাম

রণদীপম বসু এর ছবি

গাধাকে নাকি বলে দিতে হয়, গাধা, সামনে দেখো, ওই যে দেখছো, উহাকে গাধা বলে। শৈশবে আমার স্কুলের শিক্ষক প্রথমেই যে ডায়াগনোসিসটা করেছিলেন, সবার আশার মুখে ছাই দিয়ে সেইটাই আজো সত্য হয়ে রইলো, গাধা !

তাই আমাকে বলে না দিলে আমি কী করে বুঝবো-

আমি বেঁচে যাব পালিয়ে বেড়ানো থেকে। সুহৃদেরা বেঁচে যাবে অস্বস্তি থেকে আর মধ্যবিত্ত জননী পেয়ে যাবেন বুকে আঙুল ঠুকে অহংকারের সুযোগ- এইভাবেই সন্তান বানাতে হয়। উন্মুক্ত বাজারে যার বালটাও বিক্রি হয় বহুমূল্য দামে...

এইটা কী ?

সবাই যখন বলছে এটা দারুণ হয়েছে, নিশ্চয়ই দারুণ না হয়ে যায়ই না !
হা হা হা ! (গাধার হাসি)

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এটা গর্দভীকরণ প্রক্রিয়া

তানবীরা এর ছবি

আর মধ্যবিত্ত জননী পেয়ে যাবেন বুকে আঙুল ঠুকে অহংকারের সুযোগ- এইভাবেই সন্তান বানাতে হয়।

জীবন থেকে যারা আজীবন বঞ্চিত, কিছুটাতো তাদের চাই

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হ সেইটাতো ঠিকোই

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

তারপরও আচমকা এক একদিন আমার বনে চলে যেতে ইচ্ছে করে… প্রায় রাতেই স্বপ্ন দেখি, খাঁচা ভেঙ্গে আমি বের হয়ে এসেছি, শহরের রাজপথে পিচ ঢালা রাস্তায় খুরের আওয়াজ তুলে আমি বনের দিকে ছুটে যাচ্ছি, মিশে যাচ্ছি পশুর পালে… আহ কী আশ্চর্য স্বাধীনতা!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দৌড়াতে না পারলে দৌড়ের স্বপ্ন দেখলেও মনে হয় যেন বহু দূর দৌড়ে এলাম...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চাইলেই কি আর পালিয়ে থাকা যায়?
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সবাই ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিলে পালিয়ে থাকা কি সম্ভব?

তারেক এর ছবি

ভয়ংকর ভালো খবর। বেচাবিক্রি যখন হয়েই গেলেন তো শুভকামনা লীলেন ভাই। দেঁতো হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হ ভাইজান
এখন একটাই অনুরোধ বাকি আছে দোকানদারদের বলার
- যখন আমার কইলজা দিয়া সিঙাড়া বানাবি তখন আমারেও এক কামুড় দিস...

তারেক এর ছবি

হা হা হা। আহা সিঙাড়া।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

অম্লান অভি এর ছবি

উপায়ান্ত না দেখে অবুঝ বলির পাঠা হওয়ার মজাই আলাদা। কারণ ওই না হওয়ার সামর্থ্য যেহেতু আমাদের নাই। গদ্য পড়ে বৃত্ত ঘুরতে শুরু করলাম.........শেষ কি করলাম! হয়তো করলাম কারণ গতি বেগ আমাকে ভুলিয়ে দিল আমার যাত্রা বিন্দু। ১৮তম দিন না আসুক আমাদের আপ্লুত জীবনে, স্বাধীনতা ধুকে ধুকে পান করি ১৭ দিন জুড়ে।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হয়তো এর পরে কেউ লাত্থি মেরে গোলামি থেকে বের করে না দিলে দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়ে উঠা হবে না আর

তখন এই বেখাপ্পা ১৭ দিনই হয়ে থাকবে একেবারে নিজস্ব নবাবি সময়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কাবাব মে হাড্ডি আছে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

মাঝে মাঝে জেল পালালেই জেলের চাবুকের দাগ শুকিয়ে যাবে ... কাজেই আসেন জেল খাটি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সাইফুল আকবর খান [অতিথি] এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো লীলেন ভাই।
আপনার লেখা প্রথম পড়ছি না, তবে ব্লগ-এ পড়া এবং দস্তুরমতো কমেন্ট করে ফেলাটা আমার নতুনই বলতে পারেন। চিনেত পারছেন হয় তো। তবে না-পারলেও দোষ নাই।
শুরু-টা পড়ে কেন যেন মনে হচ্ছিল- বেশ লম্বা এক গদ্য হবে। অসুবিধা নাই। ফাঁদে পা দিলাম নিজেই, নিজেরই অদূরদর্শিতায়।
সঙ্গত কারণেই- আপনার গুঢ়তা খুঁজতে গিয়ে অনেকেই যেভাবে চাকরি-জুজু-কে ভয় পাওয়া কিংবা এড়িয়ে যাওয়া কিংবা শত্রু ঠাওরাতে লিপ্ত হয়েছেন কমেন্ট-এ, তাতে আচমকাই বহুদিন পর নিজের ছা-হীন ছা-পোষা দিনরাতের দিকে আঙুল উঠে গ্যালো যেন একটু! কী জানি! বয়স হয় তো হয়নি এখনও অতোটা, যে এই ভাবনাকে নিজের করে রাখতে পারবো লম্বা সময়। কিংবা বুদ্ধি!

হাসি

ভালো থাকবেন।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সাইফুল
আকবর
এবং খান

তিনটাই খুব পরিচিত নাম
কিন্তু তিনটা এক জায়গায় করলে যে কার নাম হয় সেটা ঠিক মাথায় আসছে না এই মুহূর্তে

কারণ দুঃস্বপ্ন দেখতে দেখতে অবশেষে অলরেডি ছোরার নিচে গলা পেতে দিয়েছি

সাইফুল আকবর খান [অতিথি] এর ছবি

আপনার চেনা ওই তিনটা নাম এক করলে
আমার নাম হয়!- আমি নিশ্চিত। হাসি

আমি ওই যে 'দেশ-নাটক'-এ চা-পুরি এনেছিলাম ছয়-মাস হাসি (বছর-কুড়ি আগে)। পরে, ২য় কিস্তিতে বিপ্লব (মুস্তাফিজ) ভাইয়ের ফিল্ম সোসাইটি-তে আর হ্যাট্রিক কিস্তি দেখা আবার আরো বহু পরে নাটক-পাড়ায়, আমার ২য় নাট্য-খায়েশ-এর সুবাদে, ওই চক্রের (circle) সূত্রে! পাসিং বাই 'হেলো হাই' 'কী-খবর, এই তো' এক-আধটু চলে কালে-ভদ্রে। 'চৈতি' নাম্নী এক অভিনেত্রীর মৌখিক ইনট্রো-সমেত ওর কাছ থেকে নিয়েই আপনার 'নিম নাখারা' পড়া হয়েছে এর মাঝে, তা-ও হবে এক বছরেরও আগে। বাই দ্য ওয়ে, পড়তে বা প'ড়ে ভালো লেগেছে ওই গদ্যগাথা।
এখনও না চিনলেও সমস্যা নাই। ওই একই কথা।
স্বপ্ন যতোদিন থাকে, সু-ই থাকুক তবু- শুভকামনা রইলো সেই মর্মে।
কথা বা লেখা-সাক্ষাত হয়ে যাবে হয়তো আবারও।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একটা পিচ্চি পোলার নাম অত ওজনদার অনুমান করি কেমনে?
কিন্তু এখন তো আরো টাসকি খাইলাম
বাংলাদেশের নাটকের লোক সচলাতন পড়ে?

তুমি কি বাংলাদেশে আছো না বাইরে কোথাও গিয়ে সচলায়তন দেখছ?

সাইফুল আকবর খান [অতিথি] এর ছবি

ভালো বলেছেন, যথারীতি।
যাক, অন্তত নামটা তো ওজনদার আছে একটু!- ভরসা জুটলো একটু হলেও। আর তার চেয়ে বেশি জুটলো স্নেহের আহ্লাদ। হ্যাঁ ভাই, আপনারন তুলনায় তো বেশ পিচ্চিই আমি। হাসি

নাটকের লোকও তো নেই সেভাবে আর! অকালমৃত্যু, কিংবা বেশি ভালো হলে শীতনিদ্রা এখানেও। সামনের সময় কী নিয়ে আসে বা কোথায় নিয়ে যায় দেখি।

আর, হ্যাঁ, এখনও দেশেই আছি, থাকবোও মনে হয় এই দেশেই। অচল দেশে থেকেই তবু সচলায়তন পড়ছি। দেখা যাক।

ভালো থাকেন লীলেন ভাই।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আহারে !
নবাবের মন নিয়ে গোলামী যে কেনো করতে হয় !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

নবাবকে নবাবের যথাযথ সম্মান দিতে জানে না বলেই তো পৃথিবীর বোশিরভাগ মানুষের গোলমি দশা কাটে না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।