ক্লাসের শেষ দিন ডিরেকশনের টিচার বলছিলেন- মনে রাখবেন পৃথিবীর সব কিছুই ডিরেকটরের শত্রু। কথাটা আমি একেকবার একেক কিসিমে আবিষ্কার করি আর লিখে রাখি। কিন্তু পরেরবার গিয়ে আবিষ্কার করি নতুন নতুন শত্রু
কী একটা কুবুদ্ধির কারণে ভাবলাম দুইটা নাটক একসাথে করে নিলে কিছু সুবিধাই হবে। দুই শুটিংয়ের দ্বিতীয়টা অশরণ। শুটিং শুরু করেই টের পেলাম আগের নাটকের তিন দিনের ক্লান্তি কামড়ে ধরেছে আমাকে আর আমার টিমকে অশরণের প্রথম শটেই। ধরা তাহলে শুরু হলো আমার...
আগের রাতে আগে প্যাকআপ করে পরেরদিন সকাল সকাল হাজির হয়ে দেখি হাউজ খালি। চারটা ছেলেই পালিয়ে গেছে। এখন সেট টানবে কে?
ডাকো মালিককে। শোনো তার হাজারো যুক্তি। তারপর ধরে আনো লোক। মাঝখান থেকে বুকে জ্বালা ধরা তিনটা ঘণ্টা নেই। একটু পরেই যাবে কারেন্ট...
একটা সেটে কাজ শুরু করে পরের সেটের আর্টিস্টকে আনতে পাঠানো হলো গাড়ি। হেঁটে গেলে লাগে দশ মিনিট। কিন্তু এক ঘন্টা যায়- দেড় ঘন্টা যায়। না আছে গাড়ির খবর না আছে আর্টিস্টের। অতো দেরি হচ্ছে কেন? ফোন করো আর্টিস্টকে। কিন্তু ফোন করতেই আর্টিস্টের উল্টা ঝাড়ি- গাড়ি কই?
গাড়ি কই?
গাড়ি দশ মিনিটের রাস্তার মাঝখানে নষ্ট হয়ে বসে আছেন...
কারেন্ট যখন নাই তখন হয় যাও রাস্তায় না হয় বারান্দায়। কিন্তু খুটখাট খুটখাট। আশপাশের বাড়িওয়ালারা বাড়ি মেরামতের আর সময় পায়নি। তাই এই ইট ভাঙা আর গ্রিল কাটার আয়োজন। সুতরাং ফিরে এসে বসে থাকো কারেন্ট আসার অপেক্ষায়...
ছোটবেলায় যখন উলু উড়তো তখন ধরে ধরে বোয়ামে রাখতাম দোয়াংয়ে আঠা লাগিয়ে পাখি ধরার জন্য। সন্ধ্যাবেলা ইনারা এলেন শৈশবের হিসাব বুঝিয়ে দিতে। ক্যামেরায় আর্টিস্ট দুইজন তো উলু দুইশো। বন্ধ করো লাইট। বন্ধ করো ক্যামেরা। চলো বাড়ি যাই। কাল খুব সকাল থেকে শুরু হবে কাজ...
সকাল সাতটা। সব ঠিকঠাক শুধু হাউজে কারেন্ট নেই
হাউজের ইলেক্ট্রিসিটি প্রিপেইড কানেকশন। লাইন কাটা। নয়টায় অফিস খুললে মালিক গিয়ে বিল দেবেন। তিনি গেলেন বিল দিতে। ওখানে দীর্ঘ লাইন পার করে তিনি আমাদের জন্য কারেন্ট নিয়ে এলেন দুপুর একটায়। তখন আবার রুটিন লোডশেডিংয়ের সময়...
এক আর্টিস্ট শুরু করল পাউলি। মনে মনে বললাম খাড়াও চান্দু। সঙ্গে সঙ্গে প্লান চেঞ্জ। সেট চেঞ্জ করে নিয়ে যাওয়া হলো স্টোর রুমে। জানালা নেই। ফ্যান নেই। ওই গুদামেই সিদ্ধ করব হালাকে
শট আমি আর ওকে করি না। টানা দুই ঘণ্টা গরমে প্যাদানি দিয়ে আধমরা করে হিসাব করে দেখি আমার নিজের হিসাবের তিন তিনটা ঘণ্টা নেই...
আড়াই দিনের দিনের শুটিং গড়ালো চারদিনে। দিনে দুইবার লোডশেডিং বাদ দিলেও রাত দশ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যাবার কথা। কিন্তু আটটার দিকে এলেন ঝড়। এদিকে ওল্টান সেদিনে ওল্টান আর শেষমেশ টান দেন কারেন্টের কানে ধরে। আর সেই কারেন্ট উনি ফিরিয়ে দেন রাত দশটায়। কিন্তু যা লণ্ডভন্ড করে দিয়ে গেছেন তা ঠিক করতে করতে এগারোটা...
সিন করা হলো একটা। এখনও দুইটা বাকি। অত রাত পর্যন্ত কি লোকজন না খেয়ে কাজ করবে? সুতরাং খাবার বিরতি। খাও- গ্যাজাও- রেস্ট নাও তারপর আবার শুটিং...
রাত সাড়ে তিনটায় শুরু হলো শেষ সিন শুটিং। প্রথমেই ক্লোজগুলো নিয়ে নেবো? কিন্তু এ কী? সবগুলো আর্টিস্টে চোখ ফোলা। কারণ কী? কারণ ক্লান্তি আর ঘুম...
ক্লোজআপ বাদ। মিড শটে সংলাপ বলো। কিন্তু এই কী সংলাপ? এই সংলাপতো আমি লিখি নি? তাহলে?
তাহলে আর কী? আর্টিস্ট বলে যাচ্ছে তার আগে শুটিং করা কোনো এক নাটকের সংলাপ। কারণ মাথা আউলা। কারণ ঘুম আর ক্লান্তি...
আচ্ছা সই। এইবার ধরে ধরে করো। কিন্তু শটের মাঝখানে আর্টিস্টের চিৎকার। ধাম করে কিছু একটা এসে পড়েছে তার মাথায়। কী পড়লো? হ্যান্ডবোর্ড
হ্যান্ডবোর্ড যে ধরে রেখেছিল সে ঘুমিয়ে পড়েছে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
শেষ শট শুরু হলো রাত সাড়ে চারটায়। মিউট শট। ক্যামেরার কিছু কাজ আছে শটটা শুরু হবার পরে। আমি ক্যামেরা থেকে আড়ালে মনিটরে বসা। শট শুরু। কিন্তু ক্যামেরাতো নড়ে না। ভাবলাম ক্যামেরাম্যান দুয়েক সেকেন্ড সময় নিচ্ছে। নিক। কিন্তু এ্যাকটিং শেষ হয়ে যাচ্ছে ক্যামেরা স্থির। শট কেটে দিয়ে ডাক দিলাম- মানিক...
মানিক কই?
ক্যামেরাম্যান মানিক ক্যামেরার নিচে ফ্লোরের মধ্যে ঘুমে...
এই অশরণটা যাচ্ছে ঈদের চতুর্থ দিন ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটায় বিটিভিতে। এডিটিংয়েও এর কাহিনী অনেক। আমার খাইসলতের দোষে সমস্যাগুলোতো আছেই। বেশি বকবক করার মতো করে লিখিও অনেক বেশি। তারপর সেটে বসে কাটতে কাটতে দরকারি সিনও কেটে ফেলে দেই...
অশরণ নাটকের গল্প
..............................................
অশরণ
কাহিনীসূত্র: বাণী বৈশাখী
নাটক ও নির্মাণ: মাহবুব লীলেন
অভিনয়:
আনিসুর রহমান মিলন- নাজনীন হাসান চুমকি- চৈতালী সমদ্দার- ওয়াহিদা মল্লিক জলি- রহমত আলী
প্রচার: ৫ অক্টোবর- রাত সাড়ে আটটা। বিটিভি
মন্তব্য
ও আপনেও আমার মতো খারাপ? সারা রাত শুটিং না করলে নাটক শেষ হয় না?
আমি প্রতিবার নাটক বানানোর পরে ভাবি ডিরেকশনটা অনেক খাটনির... তারচেয়ে ঘরে বসে বসে নাটক লেখা কত আরামের। আর জীবনে ডিরেকশনের নাম নিমুন না...
সামনে আরো তিনটা নাটক বানাইতে হইবো এক ঘণ্টার... আর একটা ধারাবাহিক
চুমকি আছে আপনের নাটকে? সে কিন্তু আমার প্রতিবেশি... তার উপরে আবার বন্ধুর বউ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার অবস্থা আরো খারাপ
সেটে গেলে আর বাজেটের দিকে খেয়াল থাকে না আমার
লোকজন তো আমারে গালাগালি করে আরামের গোলামি ছেড়ে এসে এইসব করার জন্য
কিন্তু কী আর করা
খাইসলত যায় না মরলে...
০২
আপনার প্রতিবেশী কে না বলেন তো?
আরে চুমকি তো আমগো তুষারের বউ। একই বাড়িতে থাকে চুমকি তুষার, ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুল আর ফটোগ্রাফার রফিকুর রহমান রেকু। অম্লান থাকতো... সে গতমাসে ঐ বাড়ি ছাইড়া একই গলিতে অন্য বাড়িতে উঠছে।
আমার নিজেরও ঐ বাড়িতে উঠার কথা ছিলো। আমার বর্তমানের বাড়িটা বেশি পছন্দ হওয়ায় সেই বাড়িতে উঠলাম না। কিন্তু আমরা সব থাকি একই গলিতে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সব মিস করতেছি...।
আপনাদেরকে যে কে বুদ্ধি দেয় দেশ ছাড়ার বুঝি না
আমার মা বলে ছাড়লাম দেশের নাম কী?
বুঝছি
আপনি থাকতে পারবেন না
চলে আসেন এই ধুলাবালি জলকাদার দেশে
কী হবে অত পড়াশোনা করে আর অত আরামের লাইফে
লীলেন ভাই, আপনি মিয়া কোন নাট্যকারই না ! যা-ই কইলেন, আর যা ঘটলো, এই মাটিতেই ল্যাবড়া মাইরা ঘুম, মাথার মধ্যে কই থাইকা কী ধড়াশ কইরা পইড়া যায়, নায়িকার ঠোঁটে পূর্বজন্মের মধুসংলাপ, আরো যা যা, এইগুলান কাট কইরা কি ভালা কাজ করছেন ? আরে ভাই এই সিনগুলানরে সাজাইয়া এডিট কইরা ছাইড়া দিতেন, দেখতেন কী ফাটাফাটি অবস্থা লাইগ্যা যাইতো।
নাহ্, আপনেরে দিয়া নাটকও হইবো না। বড় হতাশ হইলাম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমারে দিয়া যে কিচ্ছু হইব না সেইটা বুঝি বইলাই তো একটা ছাইড়া আরেকটা ধরি
পরের টার্গেট নাচেগানে ভরপুর ফিলিম
'সূর্যের আলো চান্দে পইড়া
করে টিম টিম
বন্ধু আমায় খাওয়াই দিছে
কাচা ঘোড়ার ডিম
নাচো তা ধিম ধিদিম...'
বুঝলাম, ফিলিমের কপালেও দূর্গতি আসিতেছে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনাদের দুই জনের বানানো নাটক দেখুম কইরা পুরা পরিবারের সদস্যদের দুইদিন আগ থেক্কাই বুকিং দিয়া রাখছি
কল্পনা
.............................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
বুকিংটা বিদ্যুত্ বিভাগকে দিয়েছেন তো?
.......................................................................................
Simply joking around...
টেকা দিয়েন কিন্তু মাথা গুইনা
বুঝলাম এ জন্যই দর্শকের শরণ নিচ্ছেন !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
দর্শক না দেখলে যে বিজ্ঞাপন নাই আর বিজ্ঞাপন না থাকলে যে প্রডিউসারের প্যাদানিটা আমার ঘাড়েই পড়বে...
এই তাহলে ঘটনা!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এইডাই
আনিসুর রহমান মিলন রাজি হল আপনার নাটকে রাজ করতে? আপনি তাকে নিয়ে আপনার বইয়ে যা লিখেছেন, এরপর হয় তার সুইসাইড করা উচিত ছিল, নাহয় নাম বদলে চেহারা প্লাস্টিক সার্জারি করে ফেলা উচিত ছিল...
আর এসব কিছুই না করলে আপনার সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকারই তো কথা না... যাহোক, স্টোররুমে নিয়ে কি ওকেই সেদ্ধ করলেন?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এইটা মিলনের কপাল...
তবে একবার বটি দা নিয়ে আমারে তাড়া করেছে আমারই বাসায়
কোনোমতে রেহাই পেয়েছি
ইদানীং পয়সা পাত্তি করে ফেলেছে অনেক
জানি না বন্দুক টন্দুক কিনে ফেললে আমার অবস্থা কী হয়
একজন তো ঘোষণাই দিয়েছে সে গাড়ি কিনলে প্রথম কাজটাই হবে আমার উপর দিয়ে তুলে দেয়া...
টেনশিত আছি
০২
স্টোর রুমে মিলন না অন্য একজনকে সিদ্ধ করেছি
মিলন এ্যাকটিংয়ে অনেক অনেক সিরিয়াস এবং কোঅপারেটিভ
যদিও ওর মুখটা আস্ত একটা বস্তি
হুম ..................... এইবার তাইলে নাটক ।
নিবিড়
হ ভাইজান
মনে মনে বললাম খাড়াও চান্দু। সঙ্গে সঙ্গে প্লান চেঞ্জ। সেট চেঞ্জ করে নিয়ে যাওয়া হলো স্টোর রুমে। জানালা নেই। ফ্যান নেই। ওই গুদামেই সিদ্ধ করব হালাকে
শট আমি আর ওকে করি না। টানা দুই ঘণ্টা গরমে প্যাদানি দিয়ে আধমরা করে হিসাব করে দেখি আমার নিজের হিসাবের তিন তিনটা ঘণ্টা নেই...
এইটাই হইলো নিয়তি, কাপড় না ভিজাইয়া সাতার দেয়া যায় না।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কিন্তু তারপরেও মাঝে মাঝে যে এইসব করা লাগে
না হলে পাবলিক পায়ে পিষে চলে যায়
নজু ভাইজানের নাটক দেখলাম।
আপনেরটারও দেহুমনে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
এইবার তো ভয় লাগছে আমার
যাক নাটক নির্মাণের নেপথ্য কাহিনী বলে দিয়েছেন। এই বার দর্শকরা অন্তত নাটকের সমালোচনা করার আগে হিসেব করবে।
শেষ পর্যন্ত নাটকের ঘোষনা দিলেন! নিজের ঢাক নিজে না বাজালে ফেটে যেতে পারে তাই তো?
ধন্যবাদ সময়মতো সচলে ঘোষনা দেওয়ায়।
সত্যি মিলন কেন রাজী হলেন আপনার নাটকে কাজ করতে বলুনতো?আপনি ই বা কিভাবে একে ম্যানেজ করলেন?
সমালোচনা করার সুযোগ এবং অধিকার সম্পূর্ণটাই রইল দর্শকদের
আমি শুটিংয়ের হ্যাপাগুলোর একটা তালিকার তৈরি করার জন্য প্রতিবারই কিছু না কিছু নোট করে রাখি
সেখান থেকেই অশরণের হ্যাপাগুলো তুলে দিলাম
মোটেই তা অজুহাত হিসেবে নয়
এই নোটগুলো দিয়ে হয়তো এক সময় একটা সংকলন হলেও হয়ে যেতে পারে
০২
মিলন রাজি না হওয়ার কোনো কারণ নেই
ফ্রেন্ডশিপ এবং কাজ এখন পর্যন্ত আমরা আলাদা আলাদ করেই রাখি
ফ্রেন্ডশিপের গ্যাঞ্জাম কাজে ঝামেলা করে না আর কাজের গ্যাঞ্জাম ঝামেলা করে না ফ্রেন্ডশিপে
০৩
মিলন কাহিনী অনেককে কনফিউজ করতে পারে তাই সেই কাহিনী এখানে তুলে দিলাম
দারুণ আইডিয়া! শুটিং এর হ্যাপা নিয়ে আর ও লিখবেন?
সত্যজিতের একেই বলে শুটিং এর মতো?
আপনার এজাতীয় লেখা গুলো খুবই ইন্টারেস্টিং হয় ।
আপনার প্ল্যান শুনে তো আগেই পড়ার লোভ হচ্ছে। কিন্তু এটা কিরকম বিরতিতে আসবে তাই ভাবছি।
আগে সচলে দিয়ে দেবেন। আমরা এত ধৈর্য ধরতে পারব না।
এইটা আসবে আজ থেকে ৪০ বছর পরে
বাব্বাহ! নাটক করতে গিয়ে যদি এই সিনেমা হয়, তাহলে লীনেন ভাই ছি!নেমায় নামলে তখন কি হবে? SEA-নামা?
-- ভাঙ্গা মানুষ
খালি নামা?
এক্কেরে হাত পাও ছাইড়া পতন...
কিন্তু সব পতনই নাকি বড়োই মধুর আর দ্রুত আর অনায়াস...
তাই না নেমে আর উপায় কী?
কে বা কারা ইউটিউবে নাটক আপ্লোড করেন...দয়া করে ইগুলিও কইরেন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমরা ননটেকি বাঙালরা লেখা আপলোড করা পর্যন্ত শিখিয়াসযথেষ্ট অগ্রসর হইয়াছি
আর অগ্রসর হইবার সম্ভাবনা নাহি
সুতরাং ইহা আমাদিগের জন্য প্রযোজ্য নহে
হুমম...তাহলে তো ৫ তারিখ রাত আটটা তিরিশ মিনিটে বিটিভি দেখতে হবে
যদি বেশি কষ্ট না হয়...
উপরের ছবির আফামনির পাউটি লিপস দেইখা দিল ঠান্ডা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আইচ্ছা জানাইয়া দিমুনে তারে
একটা সিডি করে পাঠিয়ে দিননা লীলেন ভাই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
জ্বি
তুমি ফুরুত করে দেশে আসো আর চলে যাও
এখন সিডি গিয়ে তোমাকে কোন জায়গায় খুঁজবে?
অনেক দেশি চ্যানেলই দেখা যায় ইন্টারনেটের দৌলতে। কিন্তু বিটিভি, মনে হয়, সেই লিস্টিতে নেই। তবে নাটক-সিরিয়ালের অজস্র সাইটগুলোর কোনও একটিতে পেয়ে যাবো নিশ্চয়ই। ভিডিও কোয়ালিটি খুব ভালো সচরাচর হয় না বটে, তবে তা সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপনমুক্ত। আহ্! কী শান্তি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
অনেকের কাছেই শুনি বাংলা নাটক ইন্টারনেটে পাওয়া যায়
সেগুলো কোন নেটে পাওয়া যায় বলেন তো?
(আমাদের নেটের স্পিড সাপেক্ষ এ্যাড্রেস অগ্রাধিকারযোগ্য)
নাটক + ডাউনলোড লিখে গুগলালে অজম্র সাইট পাবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা নামে একটা জিনিষের শ্যুটিং শুরু করে দেন বস। আর শ্যুটিঙের কী দরকার, খালি অংশগুলো জোড়া দিয়ে দিলেই হবে। দেড় ঘন্টার সুপার হিট!
একবার আমরা কয়েকজন বন্ধু অভিনয় করছিলাম। তেমন কিছুই না। স্ক্রীপ্ট সবার মাথায়। সবাই যেটা করছে খুব স্বাভাবিক আচরণ (অভিনয় না)। যেমনটা আমরা হরহামেশাই করি। এমনকি আড্ডায় ব্যবহৃত খিতাবি নাম গুলাও চামে ডায়ালগে ঢুকাইয়া দেয়া হইছে। বেশ প্রসংশিত হইছিলো জিনিষটা।
পরে অবশ্য কয়েকজন কইছিলো, তোমাগো আড্ডাগুলারেও এক কইরা স্ক্রীপ্ট ছাড়াই একটা নাটক দাঁড় করায়া ফেলা যায়।
অশরণের সাফল্য কামনা করি। দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে না বলে খারাপ লাগাটা কাটছে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা শুট করা কিন্তু নরমাল শুটিং থেকে বেশি কঠিন
কারণ সবচে জটিল অংশগুলোই মগজের মতো এমন জায়গায় ঘটে যেখানে ক্যামেরা পৌঁছাতে পারে না
এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর হয় কোনো ভিজিবিলিটি থাকে না
না হয় ছড়িয়ে থাকে এখানে ওখানে
ফলে বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা শুট করতে হলে পুরো এ্যারেঞ্জ করেই শুট করা লাগবে
০২
আমি প্রতিটা কাজের শেষে নিজের ঘাটতি আর ঝামেলাগুলো একটু এক্টু করে নোট করে রাখি
হয়তো এর থেকে কোনো কিছু দাঁড়াবে কোনো একদিন
- এক্সট্রা একটা ক্যামেরা সেটে রেখে দিলেই হয় বস। এই ক্যামেরার কাজ হবে এরে তারে তাক করা। তাইলেই আর নতুন করে শ্যুট করার দরকার নাই। খালি জোড়া আর তালি। পুরা হিট জিনিষ হবে বস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জ্বি স্যার
আপনি দেশে আসলে সেই ক্যামেরার দায়িত্ব আপানাকেই দেয়া হবে
চলে আসেন
ফেব্রুয়ারীতে দেশে এসে আপনার একটা নাটক দেখবই দেখব।
আমার অপটু হাতে একটি ছোট্ট নাটক নেখা আছে। পাঠিয়ে দেবো?
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
গত ফেব্রুয়ারিতেও শুনলাম আপনি এসছেন
ফোনে বোধহয় আলাপও হয়েছে একদিন
এবার আশা করি দেখাও হবে
বই বের হচ্ছে?
০২
নাটক লেখা থাকলে পাঠিয়ে দেন
আপনার শুটিং যদি এই দ্যাশে হইতো তাইলে বিহাইন্ড দ্যা ক্যামেরা নিয়া এতো চিন্তা করা লাগতোনা। এই দ্যাশে টয়লেট ছাড়া মোটামুটি সব জায়গাতে সিসি টিভি লাগানো থাকে। পরবর্তী শুটিংটা লন্ডনে করেন, আর আমারে একটা ভিলেনের চরিত্র দিয়েন।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
লন্ডনে নাটক শুট করে আপনাকে ভিলেনের চরিত্র?
নিজের কপালে নিজে কুড়াল মারতে বলেন?
আপনাকে ভিলেন বানালে লন্ডনের নারী জাতির পায়ের স্যান্ডেল একটাও তাদের পায়ে থাকার কথা না
যতদূর জানি সবগুলো এসে পড়বে আমার কপালে
০২
লোকজন বলে তারা নাকি আপনাকে নায়কই দেখতে চায়?
বাব্বাহ! আমরা কত আরামে নাটক গুলো দেখি, এর পেছনে যে এত খাটুনি আর কষ্ট সেটার ব্যাপারে কোনও আইডিয়াই ছিলনা।
সবার ঘুমায়ে পরা শুনে হাসতে হাসতে পরে গেলাম
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নাটক বানাতে গিয়ে ঘুমালে সেটাকে বলে ক্লান্তি
আর নাটক দেখতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সেটাকে বলে বিরক্তি
দেখা যাবে তুমি আমার নাটক দেখতে দেখতেই ঘুমিয়ে পড়েছ
নাটক হয়ে যাবার পরে এসব কিছুই মধুর মনে হওয়ার কথা নাকি লীলেন ভাই? এসব না হলে কি আর মজা হয়? মিয়া দেশে গেলাম, দুই একটা সুন্দর নায়িকার সাথে চিন-পরিচয়ও তো করায় দিতে পারতেন!
আনিসুর রহমান মিলন এর তিন-চারটি নাটক দেখেছি। সে তো দুর্দান্ত অভিনেতা। দুর্দান্ত।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
দেশে আসার পরে যে লোকের সুন্দরীদের খাতায় অটোগ্রাফ দিতে দিতে ডাক্তারের কাছে গিয়ে হাতের ব্যথার চিকিৎসা করাতে হয় তাকে আমি কারো সাথে পরিচয় করাবো নাকি তার পেছন পেছন ঘুরে নিজে পরিচিত হবো দুয়েকজনের সাথে?
নিজের দোষ ঢাকতে এহেন মিথ্যা গুজব! আপত্তি জানাইলাম।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আপনার সেই আশায় গুড়ে বালি, ভাবসিলাম এইবার দ্যাশে গিয়া লীলেন ভাইরে আজিজে খাওয়াইয়্যা দুই একটা বালিকার সাথে পরিচয় হমু....সারা সন্ধ্যা ঘুরলাম, রাইতের বেলা আজিজে খাওয়াইলাম, মাগার বালিকার সাথে পরিচয় তো দূরের কথা , কোন সচল বালিকা টেলিফোনে কথা বলছে সেই নামটা পর্যন্ত বলে নাই!!
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
দুনিয়ায় অত কিছু বোঝেন আর এইটা বোঝেন না যে আজকের যুগে কাউরে খিচুড়ি খাইয়ে কোনো কাজ হয় না
আসার সময় বাম হাতের কড়ে আঙুলে ঝুলিয়েও তো দুয়েকটা বিলাতি বোতল নিয়ে আসতে পারতেন...
না হয় আপনিই খেতেন
আমরা দেখতাম কীভাবে খায়
বিলাতি বোতল খেয়ে আপনি যদি বালিকার বদলে বালিকার মায়ের কাছে তুলে দ্যান সেই ভয়ে আনি নাই।
নাটকের ভিলেন চরিত্রে যদি আপনি খানার দৃশ্য রাখেন আমি আপত্তি করবো কেন , পরিচালকের নির্দেশতো মানতেই হবে।
------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
যাক , নাটক দেখে একটা কড়া সমালোচনা মেরে দিয়ে নাট্যকার কাম পরিচালকের বারো বাঁজিয়ে দেব ইনশাল্লাহ ।
তবে সমালোচনায় মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনতে চাইলে নাটক প্রচারিত হওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে ব্যক্তিগত ভাবে মোবাইলের যোগাযোগ করতে পারেন ।
সর্বাংশে স্বাগতম
বারোটা বাজার অপেক্ষায় থাকলাম
০২
মোবাইল খুব খারাপ জিনিস
তাই ব্যবহার করা ঠিক না
কাউকে উৎসাহিত করাও ঠিক না
এত্তো কাহিনীতে ভরপুর নাটক দেখাই লাগবো। কাইলকা হইতেছে। হুম্ম।
--------------------------------------------------------
বিজ্ঞাপনের ভারে আর রাত দশটার খবরে যদিও ছেদ ঘটেছে বারবার তবুও নাটকটির শেষ দেখেই উঠেছি।
অভিনন্দন 'অশরণ'-এর নাট্যকার ও পরিচালক মাহবুব লীলেনকে।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমিও অভিনন্দন দিতে চাই লীলেন ভাইকে... নাটকের কাহিনীর চেয়ে পাত্র-পাত্রীদের অভিনয়ই ভালো লেগেছে... স্বল্প চরিত্রে (আমার মতে স্বল্প সংলাপেও) এই নাটক অনেক ভালো হয়েছে... এ পরিচালকের কৃতিত্ব...
নজরুল ভাইয়েরটা মিস করসিলাম, তাই আজকে মুমু যখন ফেইসবুকে কইল লীলেনদারটা দেখায় তাড়াতাড়ি দেখতে গেলাম । দেখলাম, ভালই লাগল, অভিনন্দন লীলেনদা
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নিজে দেখতে পারি নাই বইলা মন্তব্যও নাই! বিটিভি নভেম্বর-ডিসেম্বরে পুন:প্রচার করার আশায় রইলাম।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
খবরের আগ পর্যন্ত দেখছি। তট্টুক ভাল্লাগছে। কিন্তু খবেরর পরেরটুক ফস্কায়া গেছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অভিনন্দন লীলেন!
দুয়েকটা ছোটখাটো বিষয় বাদ দিলে অভিনয়,পরিচালনা সব ভাল লেগেছে।
এবার নতুন কাহিনী নিয়ে ঝঁপিয়ে পড়ুন।
মানুষ যে কষ্ট করে নাটকও দেখে তা আমার কাছে এক বিস্ময়
যারা দেখেছেন কষ্ট করে সবার জন্য কৃতজ্ঞতা আমার
তা আপনারা কষ্ট করে নাটক তৈরী না করলে তো আমাদের ও কষ্ট করা লাগে না।
হা. হা. হা.
ধারাবাহিক নাটকটা ভালো লেগেছে ।
ধারাবাহিক বলতে হচ্ছে কারন বিজ্ঞাপনের ফাকে ফাকে যেটুকু দেখিয়েছে , এতে করে বিজ্ঞাপনের আগের অংশে কী ছিল ভুলে গেছি ।
একবার গুনেছি , একুশটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে ৩/৪ মিনিটের দৃশ্যের পরে । কী নেই সেই বিজ্ঞাপনে !!! মোবাইল কোম্পানি আছে ৩টা ( একটেল , বাংলা লিংক আর সিটিসেল । গ্রামীন আছে কি না মনে নাই । ) , নারকেল তেল আছে , ক্রিম আছে , মেয়েদের ফরসা হওয়ার ক্রীম আছে , সোয়াবিন তেল আছে ।
একটা নাটকরে নষ্ট করার জন্য এই স্পনসররাই যথেষ্ঠ ।
নতুন মন্তব্য করুন