সে আমাকে ছুঁয়ে ফেলেও টের পেতে দেয় না সে ছুঁয়ে ফেলেছে আমায়
আর আমিও ভান করি যেন তার কোনো ক্ষমতাই নেই আমাকে ছোঁয়ার
সে তার হাতগুলো চোখের সামনে বাড়িয়ে পলায়ন পথের খিলগুলো নাড়াচাড়া করে আবার গুটিয়ে নিয়ে শুধু হাসে
আমিও স্বীকার করি না কিছুই- আর সেও অপেক্ষা করে যেন আমি নিজেই তাকে বলি সে আমাকে ছুঁয়ে গেছে বহুদিক থেকে বহুবার
কোনো এক অজান্তে তাকে ছুঁয়েও ছোঁয়ার কথা টের পাইনি বলে এবার সে আমাকে ছুঁয়ে আমাকেই জানাতে রাজি নয় তার নাগালের কতটুকু ভেতরে চলে গেছি আমি
২০০৮.১০.২৭ সোমবার
মন্তব্য
পড়লাম স্যার।
কিছু কবিতা (হাবিজাবি?) পড়লে একধরণের অস্বস্তিতে ভুগি যখন দেখি কিছু বুঝি কিছু বুঝি না। ভাল লাগল কিন্তু কেন তার উত্তর খুঁজে পাই না।হয়ত কবিতার নিয়ম ই এই।বোঝা না বোঝার মাঝখানে পড়ে আমরা পাঠকরা দিশেহারা হই।
অথবা আমি হয়ত কিছুই বুঝিনা।
আমিও আপনার মতো হ্যাঙ্গিং অবস্থায় ঝুলন্ত
আমিও লেখার পরে পড়ে বুঝিনি কী লিখলাম
(এইজন্যই নিজের লেখা কোনোদিন পড়ি না)
কবিদের বোধ হয় এটাই মজা।
কবিতাটা এমনভাবে লেখেন যে এটা নিজে ছাড়া অন্যেরা ধরতে পারে না। তারা নিজের মত করে বোঝে বা কিছুই বোঝে না(আমার মতো)। নানা রকম গবেষণা করতে থাকে। আর কবি দূরে দাঁড়িয়ে মিটি মিটি হাসেন। জানতে চাইলে আপনার মতো বলেন যে নিজেও কিছু বোঝেন নি। আপনার মুখে ও সেকরম হাসি দেখতে পাচ্ছি!
স্যার এসব ধানাই পানাই বাদ দিয়ে কবিতা (হাবিজাবি?)দেওয়ার সময় প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দেবেন। তাহলে আমার মতো কবিতা মূর্খ পাঠকের কিঞ্চিত সুবিধা হয়।
তার মানে দাঁড়াচ্ছে শানে নুজুল যুক্ত কবিতা--?
একদা তাহার কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে বসিয়া থাকিয়াও কিছু হইতেছিল না শুধু অস্বস্তি ছাড়া
তখনি আকাশ হইতে তাহার মাথায় নামিয়া আসিল কবিতার পঙক্তি
'হে রাস্তা তুমি ঠিকঠাকই আছো
শুধু বন্ধ করিয়া দিয়াছ যাতায়াত'
এইভাবে লিখব স্যার?
এ ব্যাপারে প্রতিমন্তব্য করার সাহস এখন ও হয়নি।হবে বলে ও মনে হয় না।
সুতরাং ......................
শিরোনামটা পড়ে লেখাটা পড়ি... বুঝি না কিছু... তারপর আবার শিরোনামটা পড়ি... তখন বুঝি...
তারপর আবার পড়ি... তারপর মনে হয় এবার আমো গেলো ছালাও গেলো... শিরোনাম লেখা কিছুই বুঝলাম না...
তারপর আবার পড়ি...
এবার বুঝি যে ইহাতে কিছুই বুঝিবার নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- যট্টুক বুঝছিলাম, এই মন্তব্য পইড়া সেইটাও ভুইলা গেছি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ! আমারো একই দশা !
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমি ইহাই বুঝিলাম যে কেবল নজরুল ভাই-ই কবিতাটা বুঝিয়াছেন। আর কেউ নয়।
এবং এই সাথে ইহাও বলিতে হয় যে, যেহেতু একজন হলেও কবিতাটা বুঝিয়া ফেলিয়াছেন, অতএব কবি এখানে ব্যর্থ হইয়াছেন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নজরুল আংকেল কি যে বলেন
আপনি কষ্ট করে পড়ে বুঝবেন কেন
আমাকে বললে আমি আপনার বাড়ি গিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে আসবো
ও হ্যাঁ আপনার মেয়ে কেমন আছে আংকেল?
নজু ভাই না বুঝেই পাঁচ তারা দিলেন, বুঝলে কতো দিতেন??
শিরোনামে যেহেতু লেখা আছে পলিটিক্যাল কাজেই বেশি বুঝনের কাম নাই। এইটা বোধহয় একটা দ্বিধাযুক্ত অবগুন্ঠন উন্মোচনের সূচনাপর্ব।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
বাহ । তরতাজা পলিটিক্যাল কবিতা
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভালোইতো চলছে বড় ভাই......কি বলেন?
আমার সব ভুলাইয়া দিলরে বাঁচা নজরুল ভাইয়ে.............
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
কিছু একটা বুঝছি কিন্তু কমু না কী বুঝছি। শেষে যদি না মিলে!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
সেদিন ট্যাক্সি করে নজু ভাইয়ের বাসা ফিরছি আমি, আপনি আর আহমেদুর রশীদ (টুটুল ভাই)। বাইরে বৃষ্টির তুমুল উৎপাত। কনকনে হাওয়ার তান্ডব। কথা চলছে আমাদের। কতোকিছু যে নিয়ে। আপনিই মুলত কথক। আপনি বললেন, গত ১ বছরে একটাও কবিতা নাকি লেখা হয়নি আপনার। মানে আপনার ভাষ্যমতে, লিখতে পারেননি। আর আজ অফিসে এসেই সচল খুলে পেলাম আপনার একটি তরতাজা কবিতা। যদিও ট্যাগ হাবিজাবি। এই তো লীলেন্দা, কবিতা কন্যা আবার ডাকছে আপনাকে। জেগে উঠছে আড়মোড়া ভেঙ্গে।
কবিতা কন্যাটন্যা তো জানি না
তবে নজরুল আংকেল আর নূপুর আন্টির কন্যা যে সেদিন আমাকে পছন্দ করেছে সেইটা মনে আছে
আরে এইটা নাকি কেউ বুঝে না! আমি তো পুরাপুরি বুঝছি। এক্কেবারে জলবৎতরলং।
কিন্তু কাউরে কমু না ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হুম্।
পলিটিক্যাল বটে!
_ সাইফুল আকবর খান
না বুইঝাই পাঁচতারা।
লীলেন ভাই কবিতা লিখা ছাইড়া ভাল করছেন; হাবিজাবি লিখেন।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
সে আমাকে ছুঁয়ে ফেলেও টের পেতে দেয় না সে ছুঁয়ে ফেলেছে আমায়
আর আমিও ভান করি যেন তার কোনো ক্ষমতাই নেই আমাকে ছোঁয়ার
অ ন ন্য সা ধা র ণ
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
এইখানেতো দেখি রাজনীতির মইধ্যে দেখি পলিটিক্স ঢুইকা গ্যাছে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পানির মত কঠিন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হুম ! (ভাব কর্লাম বুঝছি, আসলে বুঝিনাই )
তাইলে এইটা কীইইইইইইইইইইই্্্্্্্্??????
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
উদ্ধৃতি দিতে গিয়ে দেখি পুরাটাই তুলে দিতে হয়! দুর্দান্ত লেখা! অসম্ভব ভালো লাগলো...
এইভাবে ছোঁয়াছুঁয়ি করলে কি হয়?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নতুন মন্তব্য করুন