আমি যখন ডুবি তখন সে ওঠে। আর সে যখন ডুব দেয় তখন পানির উপরে আমি। তার সাথে আমার চুক্তি একসাথে দুজন পানির উপরে ভেসে না উঠা পর্যন্ত আমরা ডুবতেই থাকব। মাত্র এক হাত দূরে
পান পানি নারী এই তিনে জৈন্তাপুরি। জৈন্তার নামের সঙ্গে গর্ব করে বলা তিনটি জিনিসের দ্বিতীয়টি এই পিয়াইন নদীর পানি। পঞ্চাশ ফুট নিচে একটি নুড়ি পাথর গড়ালেও পরিষ্কার দেখা যায়। ডুব দিয়ে চোখ খুললে বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায় পানির ভেতর বাইরে সব। সেই পানিতেই আমার ডুবে যাওয়ার বাজি এক চির পরিচিত অচেনা নারীর সাথে
আমি তাকে পরিষ্কার দেখি। তার মেরুন রঙের জামা- ওড়না এবং তাকে। শুধু তার মুখটা দেখি না আমি। তার মুখ না দেখলে তাকে ছোঁয়াও যাবে না কোনোদিন। আর তাকে ছুঁতে না পারলে আমাকে ডুবেই যেতে হবে দিনের পরে দিন
ছোটবেলায় পাটিগণিতে একটা অংক ছিল- 'ক' অত মাইল বেগে দৌড়াইতে আরম্ভ করিবার দশ মিনিট পরে যদি 'খ' তাহার দ্বিগুণ বেগে একই দিকে দৌড়াইতে থাকে তাহা হইলে কত মিনিট পরে 'খ' 'ক'কে ধরিতে পারিবে? এবং 'ক' ও 'খ' কতক্ষণ একই তালে একই সাথে দৌড়াইতে থাকিবে? অংকটা তখন আমি পারতাম। কিন্তু এই অংক করার জন্য 'ক' এবং 'খ' এর দৌড়ের গতিবেগ জানতে হয়। সেই দৌড়ের অংক দিয়ে এই ডুবের অংকও করে ফেলা যায়। কিন্তু বহুকাল ধরে অংক ছেড়ে দিয়েছি বলে ডুবের বাজি ধরার আগে জানা হয়নি তার ডোবার গতিবেগ কত আর কতক্ষণ পরে সে আমাকে দেখা দেবার জন্য পানির উপরে উঠে এসে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে স্থির...
২০০৮.০২.২৪ রোববার
মন্তব্য
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কিন্তু একটা উত্তর প্রয়োজন, এখন এই পাটিগাণিতিক প্রেমসমস্যার সমাধান কিভাবে হবে??
ডুবসাঁতার
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পাটিগণিতিক সমস্যার সমাধান ত্রিকোণমিতি
হুম... প্রথমে পলিটিক্যাল তারপর ডিপ্লোমেটিক আর এখন পাটিগণিত ব্যাপার টা চিন্তাজনক
নিবিড়
আসতে থাকুক
আসতে আসতে যখন ত্রিকোণোমিতিতে এসে পৌঁছাবে তখন না দেখা যাবে বান্দর নাচ
বেশ কয়েকবার পড়লাম স্যার .........
সেই জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটা ধন্যবাদ দিলাম স্যার
তবুও তো ভাগ্য ভালো যে গতিবেগের অংক করতে হইসে, যদি বাদরের তৈলাক্ত বাশ বেয়ে ওঠার অংক করতে হতো, তাহলে কী হতো চিন্তা করেন!
লেখা সম্পর্কে মন্তব্য আসলেই নিস্প্রয়োজন!
তৈলাক্ত বাঁশে বান্দরের অংক এইখানে পড়েন
- লীলেন্দা, আপনে ঠিক কইরা বলেন তো, কোন জিনিষ নিয়া আপনে লেখেন নাই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হান্ড্রেড পার্সেন্টের একশোভাগ নিশ্চয়তায় কনফার্মেশন দিচ্ছি যে আমি ধূসর গোধূলি নিয়ে কোনোদিন লিখি নাই
লীলেন'দা, খুবই অবাক হইলাম.. আসলেই কী নিয়ে আপনি লেখেন নাই! ট্যান্কি ভরার অংক করসেন তো নিশ্চয়ই?
হয় হয় হয়
করছি তো ট্যাংকি আর পানির কোবতে
'বেরসিক আরকিমিডিস বাথটাবে একাই ডুবে মরেছিল বলে যৌথ ওজনের কোনো সূত্র পৃথিবীতে আবিষ্কার করল না কেউ
না হলে তোমার যে ওজনদুটো সকলের আগেই চোখে পড়ে
তা আমি নিজের দুহাতেই রাখতাম সর্বক্ষণ....
এই টাইপের কিছু একটা লিখেছিলাম একবার
এবং শেষের দিকে আর্কিমিডিসকে জাহান্নামে পাঠিয়ে আবার ফিরে এসেছিলাম যৌথ বাথটাবে
এইটা কি পানি মিশ্রিত প্রেম-গণিত, না গণিত-প্রেম ?
প্রেম আর গণিত পরস্পর বিপরীতধর্মী হওয়ায় চেতনাগত পানীয় অবস্থার মধ্যে যখন প্রেম থাকে, তখন গণিত থাকে না। আবার যখন গণিত থাকে, তখন প্রেম থাকে না। কিন্তু প্রেম আর গণিত একত্রে রাখিলে কিছুই থাকে না। শুধুই তারল্য।
উপরোক্ত রাশিমালা বিশ্লেষণপূর্বক এই পোস্টটিকে বিশ্লেষণ করিলে দেখা যাইতেছে যে উহাতে প্রেমও নাই, গণিতও নাই। অর্থাৎ তারল্যটুকুই থাকিয়া যায়।
এইবার তারল্যের স্বভাব বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায় যে উহা মানবরাশির নাবালক বৈশিষ্ট্যজাত অবস্থা। সেই প্রেক্ষিতে বিবেচনা করিলে উক্ত পোস্টখানার কোথাও কোন সাবালক-প্রেমের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়া উঠে না। অর্থাৎ সম্পূর্ণতই নাবালক প্রেম। মানে জলীয় আবেগস্নাত অর্থহীন কিছু প্রলাপ মাত্র।
অতএব, সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ করিলে আমরা যাহা পাই তাহার মর্মার্থ হইতেছে উক্ত পোস্টখানা সত্যিই একখানা ব্লগরব্লগর পোস্ট। যাহা এক অর্থময় অর্থহীনতার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট লেখক-ব্লগার অত্যন্ত দক্ষতার সহিত এই অর্থহীনতাকে ফুটাইয়া তুলিতে সক্ষম হইয়াছেন। এইখানেই তাঁহার সাফল্য সার্থকভাবে পরিস্ফূট হইতেছে।
এই সার্থকতা দেখিয়া কবিরা এক্কেবারে তাব্দা খাইয়া নীরব হইয়া যান, এবং কেউ কেউ কাঁদিয়াও ফেলেন।
এমন অর্থময় অর্থহীনতাকে সঠিকভাবে ফুটাইয়া তোলা যেই সেই কর্ম নহে। সবাই তাহা পারেন না। যাহারা পারেন তাহাদের মস্তিষ্কের অর্থহীনতাকে কিছুতেই খাট করিয়া দেখিবার উপায় নাই। কেননা ওই অর্থহীনতার মধ্যেই জগতের সকল অর্থ লুকাইয়া থাকে। চাইলেই সকলে তা বুঝিতে পারে না। বুঝিবার মতো যথাযথ জ্ঞান সবার থাকে না।
তাই যাহারা বুঝিবেন না, তাহারা বোঝার চেষ্টা করিতে থাকুন। আর যাহারা বুঝিয়া ফেলিবেন, তাহারা কী বুঝিলেন, তাহা ভাবিতে থাকুন। ভুলেও প্রশ্ন করিতে যাইবেন না। তাহলে জগতের অর্থহীনতার শৃঙ্খলা নষ্ট হইয়া যাইবার সম্ভাবনা তৈরি হইয়া যাইতে পারে।
(সূত্র: গবেষণাসন্দর্ভ প্রথম পর্ব প্রথম খণ্ডের ভুমিকা পর্যায়)
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ইহা হয় ইয়োগা সাধনালব্ধ সুদেহী মন্তব্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ
আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আছে ।
আমি নদীর পাশে জাল নিয়ে দাঁড়াই । যে আগে মাথা তুলবে তাকেই জাল মেরে ধরে ফেলব ।
তার পর যে মাথা তুলবে তাকে ডেকে জালে ভরা অন্য জনকে তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমি বিদায় নিব ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কিন্তু ভাইজান
এইটা যদি মাছধরা হতো তাইলে তো আর কোনো সমস্যাই ছিল না
কিন্তু এইটারে কয় দশায় ধরা
জাল দিযে ধরা যায় না এই জিনিস
এই জিনিস ধরতে হয় ডুব দিয়ে
আপনার লেখাটা পড়ে এই গানটার কথা মনে হল।
"সহসা দেখি আমি, খুব কাছে যেন তুমি, ছুঁয়ে যাও, দেখে যাও, ধরা যে না দাও"
ভিডিওটা বেশী জুতের না, তবে এরা গায় খারাপ না। বন্ধুতা মিক্সড এল্বামে গানটির আসল ভার্সন আছে।
চির পরিচিত এক অচেনা মানুষ?
আমি অংকে কাঁচা। তাই প্রেমগণিত বুঝি নাই।
বাচ্চা মানুষ বুঝে কাজ নাই
আপনি না হয় আর জলের তলা থেকে না উঠলেন। চুপচাপ বসে থাকেন জলের তলাতে, দেখা না হয় জলের তলাতেই হোক !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তা দেখি সামরিক জান্তার মতো কথা বলে
যেতে পারি কেন যাবো?
ছুঁতে পারি কেন ছোবো?
(কৃতজ্ঞতা বুদ্ধদেব বসু)
এর একটা আর্ট আছে না?
যে যুগের যেই ভাও লীলেন ভাই !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খাইসে, লীলেন ভাই এইবার সত্যিই ডুবছে!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইবার মানে কী?
ডুবতে ডুবতেই তো এইবার এসে থৈ পানিতে দাঁড়িযে ডুব দিচ্ছি
আগে তো ডুবতাম অথৈ পানিতে
আহা !
ডুবতে ডুবতে তো আপনার হাড় কালা হইয়া যাইবে গো।
সাঁতার শিখে নেয়া যায় না, জনাব?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহারে বেআক্কেল
সাঁতার না জানা মানুষ বড়োজোর বাজি ধরতে পারে পানিকে ছোঁয়ার
পানিতে ডোবা কাউকে ডুব দিয়ে ছুঁতে হলে আগেই ওস্তাদ হয়ে নিতে হয় সাঁতারে
সুন্দর!
পড়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম --- আর তারপরে একটু হাসলাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আর আমি আপনার ভাবার কথা শুনে প্রথমে কিছুক্ষণ হাসলাম পরে আপনার হাসি দেখে ভাবতে বসলাম
অঙ্ক তো ভাই বুঝিনা তবে সমাধান আছে
পানি খান, ডুব দেন আর পানি খান, আবার ডুব দেন আবার পানি খান (ছোট বেলায় রোযার মধ্যে পুকুরে ডুব দিয়া যেভাবে পানি খেতেন ঐ অভিজ্ঞতা কাজে লাগান)।
ডুবে ডুবে পানি খান, একসময় পানি যখন শেষ হবে তখন দেখা হবে, অঙ্ক করা লাগবেনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
নতুন মন্তব্য করুন