সালটা ১৯৯০র দিকে। সাপ্তাহিক ফেঞ্চুগঞ্জ সমাচার পত্রিকার সম্পাদক ছড়াকার শারিক শামসুল কিবরিয়া সিলেট শহরে বসালেন সুপ্রিয় কম্পিউটার
তখন মানুষ মসজিদে ঢোকার থেকেও বেশি সতর্ক হয়ে হাত পা ধুয়ে কম্পিউটারের কাছে যায়
আর আমাদের মতো ছিরিছাদবিহীন মানুষকে বারো হাত দূরে থেকে আঙুল তুলে মনিটর দেখিয়ে বলা হয়- ওই যে। ওটা কম্পিউটার। কাছে যাওয়া ঠিক না। কম্পিউটারে ভাইরাস চলে যেতে পারে
সারাদিন ধুলোবালিতে গড়াগড়ি করি। ডাক্তার-মাস্টাররাতো আগেই শিখিয়ে দিয়েছে ধুলোবালিতে রোগজীবাণু থাকে
সুতরাং আমরাও বিশ্বাস করি আমাদের শরীরে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে
কাছে গেলে যা অত সুন্দর জিনিসটাকে নষ্ট করে ফেলবে
০২
একজন অপারেটর সাহেবের কঠোর সুপারভিশনে কম্পিউটার থাকেন এসি রুমে। আর তার মালিম শারিক ভাইসহ আমরা গরমের মদ্যে বসে আড্ডা দেই আর সাহিত্য করি
সেখানে নানা লোক আসে সাহিত্য ছাপাতে
কিন্তু বেশিরভাগই সঙ্গে শুধু টাকা আর কিছু মানুষের নাম নিয়ে এসে বলে- ম্যাগাজিন হবে
শারিকভাই আমাদেরকে ধরিয়ে দেন
আমরা বসে বসে প্রথম পাতার জন্য ডিসি সাহেবের বাণী লিখি
সভাপতির কক্তব্য লিখি
সম্পদকীয় লিখি
সাহিত্য সম্পাদকের জন্য কবিতা লিখি
এবং এর পরেও যদি ওপাতা ফাঁকা থেকে যায় তাহলে নিজের নামে মারুফ লেখে ছড়া আর আমি লিখি কবিতা
এসি রুমের মধ্যে কম্পিউটর সাহেব থাকায় শারিক ভাইয়ের ব্যবসা শৈনৈ শৈনৈ করতে থাকে
আর আমাদের মতো প্রেসের কবিদের কবিতা ছেড়ে বিনি মাগনায় শুরু করতে হয় প্রুফ দেখা
দেখতে দেখতে এক সময় রেট ঠিক করে ফেলি- পাতা বিশ টাকা
এই ছোটোলোকি কাজটা আর মারুফ করে না
এবং আমি হঠাৎ আবিষ্কার করি পৃথিবীতে আমি একজন প্রায় সর্বশ্রেষ্ঠা প্রুফ রিডার
কারণ আশেপাশে আর কেউ বাংলা জানে না
পাড়াভিত্তিক ম্যাগাজিনের সাহিত্য সম্পাদককে যদি জিজ্ঞেস করি আপনার নামের উদ্দিন দীর্ঘ ইকার না হ্রস্ব ইকার
সে নির্বিকারভাবে বলে- একটা লিখে দিলেই হলো
সুতরাং আমি লিখি
ভুল বানান যতটা না শুদ্ধ করি তার চেয়ে শুদ্ধ বানান কেটে ভুলই করি বেশি
আর গুণে গুণে বিশটাকার সাথে পাতার সংখ্যা গুণ দেই
মাঝে মাঝে কেউ বেয়াদবি করলে ভেতরের লেখা উল্টাপাল্টা করে দিয়ে মনে মনে বলি- যা এইবার বুঝে খা
একবার একজন কম্পিউটার রুমে ঢুকে যাবার কারণে ভয়ানক ঝাড়ি দিলো
তার সম্পাদনার সারা ম্যাগাজিন যত্ন করে দেখলাম
শুধু তার নামটা কেটে শুভঙ্কর দাস থেকে করে দিলাম- ভঙ্কর দাস
০৩
পত্রিকায় যখন নামে সাংবাদিক কিন্তু কামে প্রুফ রিডার হিসেবে কামলাগিরি শুরু করলাম- তখন এই প্রুফের যন্ত্রণা আর লোকজনের ইচ্ছামতো বানান ঠিক করার নাম দিয়েছিলাম- গোলাম আযম খেদানো
সেই গোলাম আযমকেও বাংলাদেশ থেকে খেদানো গেলো না
আর আমার কপাল থেকে প্রুফ দেখাও গেলো না
০৪
বেশি বড়ো লেখা আর ঘুরাইন্না প্যাঁচাইন্না শব্দে আর্টিক্যাল দিয়েছিল বলে বদর উদ্দিন উমরের একটা লেখা পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিলাম উদর উদ্দিন বুমর নামে
পরে সম্পাদক জিজ্ঞেস করায় বললাম- আমি তো লেখার প্রুফ দেখেছি। লেখকের নামতো দেখার কথা না আমার...
সেই সকাল থেকে বারো হাজারি ইউনিকোড আর তেরো হাজারি স্টাইলে লেখা সচল সংকলনের অক্ষর ভাঙা আর শব্দ মেরামত করতে করতে ব্যাথা হয়ে যাওয়া মেরুদণ্ড নিয়ে এখন মনে হচ্ছে- দেই
একটা অটো কমান্ড দিয়ে সবার নামের প্রথম অক্ষরটা শেষে আর শেষ অক্ষরটা প্রথমে এনে বসিয়ে দেই
ধরলে তো সবাই সম্পাদকদের ধরবে
আমার কী?
মন্তব্য
এর নাম বুঝি নিরীহ শত্রুতা?
এটা নিরীহ হলে ভয়াবহ কোনটা?
তবে আপনার এজাতীয় লেখা নিয়ে বই করলে তো বেস্ট সেলার হয়ে যাবে।
সাথে খেলাপী সিরিজ তো আছেই।
জ্বি
কিন্তু রিনিন্দিতা ওউধুরী তো কিছু লেখেন না
জ্বী স্যার, আমি লিখি আর আপনি শত্রুতা করে সব উল্টা পাল্টা করে ফেলবেন তাই না?
খবর আছে কিন্তু..! বুইঝ্যা-শুইন্যা কইলাম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদীপম বসু= বণদীপম রসু
চলবে?
তবুও রক্ষা 'নহবুব লীলেমা'র মতো লিঙ্গ পরিবর্তন তো হচ্ছে না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পছন্দ হইছে।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মনে আছে... অনেকদিন আগে আপনার নাম দিছিলাম বাহবুব ভীলেন?
আমার নামের বানান যদি ভুলোইছে (আমার লেখা ছাপা হবে কী না তা না জাইন্যাই পাঠ লই) তাইলে কিন্তু খবরাছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নামে কি বা আসে যায় ???????????
একজনের নামও যদি ভুল হয় সেটা হবে আমারটা, তাই প্রথম থেকেই ভাব ধরে রাখলাম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপনার তো চিন্তার কিছু নেই, আপু। তা-তা তো তা-তা -ই থেকে যাবে। আমার নাম রশতিয়াক ইউফ টাইপ কিছু হলে লীলেনদা'র জন্য সতর্কবাণী -- আমার নানার কাছ থেকে সাবধান। লেখা নানা-ই পড়ে, আর নানার একটা বন্দুক আছে।
সব নাম কিন্তু অটোমেটিক চেঞ্জ করা হবে না
কিছু নাম বদলাতে হবে ম্যানুয়ালি এবং ক্রিয়েটিভলি
যেমন তানবীরা তালুকদার= তালুবীরা তানকদার বা আলুবীরা তানকুদার
ব্যাপার্না। দেন সব উল্টায়... দুই দিনের দুনিয়া
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নাম উল্টাইলে অসুবিধা নাই। শুধু বইয়ের শুরুতে একটা নোট দিয়ে পাব্লিককে জানায় দিলেই হবে। বইয়ের কাটতি বাড়বে
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
নোটটা হবে এইরকম
পাঠকবৃন্দ
বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো অটোমেটিক পদ্ধতিতে ইউনিকোডে প্রকাশিত হয়েছে এই বই
ইউনিকোডের অটোমেটিক মেশিন বাংলা সব শব্দ চিনলেও বাঙালিদের নাম এখনও ঠিকঠাক মতো চিনে উঠতে পারেনি
এখনও সে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি যে মো: আব্দুর রাজ্জাকের নাম ম দিয়ে শুরু হয় না আ দিয়ে
সুতরাং লেখা পড়ার পরে লেখকদের সঠিক নাম টেলিফোন করে জেনে নেবেন মামীশ ভাইয়ের কাছ থেকে
নিরীহই বটে!
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
আহা...সিলেটের সেই দিনগুলি...
আম্বরখানায় প্রেসে বসে কত দিন গেছে..এই প্রুফ-রিডিং দেখে আর মশার কামড় খেয়ে।
বস্, "সন্ধানী" নাট্যদলের আরজু ভাইকে চিনতেন?
কিংবা সাস্ট-এর শাকিল ভাই?
আপনের নাম কী সেইটা আগে কন
২০০২ সাল পর্যন্ত সিলেট শহরে টরেবরে করা ১৬ থেকে ৩৬ বছর পর্যন্ত সব মেয়ে আর ২৩ থেকে ৫২ পর্যন্ত সব ছেলেকেই কীভাবে যেন চিনে ফেলতাম
আপনি কোন দলের?
কোন সালে আপনার বয়স কত ছিল?
আপনি কোথায় টরেবরে করতেন?
হা হা হা..
বস্,
আমি সিলেট থাকছি ২০০৫ এর পর থেকে..মাজার গেইটের উল্টো দিকে "চয়ন-২৮"এ বাসা ছিল।
একটা ছোটো চাকরি করতাম-অফিস ছিল "মধুবন"-এ
নাম উল্টাই দেন ঠিকাছে- মর্তে তো একদিন হবেই।
=============================
তোমার নাম দেখি ফল্ট টলারেন্ট!! আগুপিছু করে লাভ হবেনা!!
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খেকয!! আবীরা হইয়া যাইতে পারে।
=============================
অথবা "হয়রান আবীর"
কিছু লোকের নাম আছে তিন তলা বাড়ির দোতলার বাসিন্দাদের মতো
ভূমিকম্পে বিল্ডিং উল্টে তিন তলার লোক হয়ে যেতে পারে এক তলার বাসিন্দা আর এক তলাওযালারা চলে যেতে পারে তিন তলায়
কিন্তু দোতলার লোক দোতলাতেই থাকবে। তাদের চিন্তা কী ভূমিকম্পে?
একবার কীযে ঝামেলায় পড়ছিলাম মালেক উকিল কে বালেগ উকিল আর কামাল হোসেন কে মাকাল হোসেন করে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আসলাম সানী একবার আল মুজাহিদীকে নাকি একটা বই উৎসর্গ করেছিলেন
উৎসর্গের লাইনগুলো ছিল এরকম
আল মুজাহিদীর 'আ' এর স্থলে 'বা' পড়িলে কী হয়?
ছিঃ ছিঃ শ্রদ্ধাস্পদেষু...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
মমতাজ আপু থেইক্কা গান ধার কইরা গাওয়া লাগে, "হিডেন ভিলেন যে ডেইঞ্জার ম্যান... ও সে যে ডেইঞ্জার ম্যান"।
-----------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
ডেইঞ্জার ম্যান?
গানের লিংক চাই!!
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
এই যে নেন ডেঞ্জারম্যান...
বস। বিসমিল্লাহ বইলা দ্যান উল্টাইয়া। কী আছে জেবনে?
--------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ভালই বুদ্ধি দেন সবি উল্টায়া দেন
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আহা , সেই দিনগুলো....।
পাঠকদের জন্য তৎকালীন সময়ের একটা মজার কাহিনী বলি ।
তখন সিলেটের এমন কোন ম্যাগাজিন , সংকলন এগুলো বের হতো না ,যেখানে মাহবুব লীলেন আর রেজুয়ান মারুফের লেখা নাই ।
তো , আমি একবার বের করলাম প্রাঙ্গন নামে একটা পাড়াতুতো সংকলন । সোজা হিসাব হচ্ছে পাড়ার আশেপাশের সব দোকানদার বাধ্যতামূলক বিজ্ঞাপন দিবে , বিজ্ঞাপন দেয়ার পরে যে জায়গা খালি থাকবে ( যদি থাকে ) তাহলে সেখানে দুই একটা লেখা যাবে ।
প্রথমেই আমি কসম করলাম যে মাহবুব লীলেন আর রেজোয়ান মারুফের কাছে লেখা চাওয়া যাবে না । আমার সংকলন হবে সিলেটের একমাত্র সংকলন যেখানে এই দুইজনের লেখা নেই , একারনেই এটা ইতিহাসের সবচাইতে আলোচিত সংকলন হবে বলে আমি বিশ্বাস করতাম ।
পরের কাহিনী খুবই খারাপ । মধুবন মার্কেটের দুতলায় একটা কম্পিউটারের দোকানে ফরমেট করতে গিয়ে দেখা গেল , এক পৃষ্ঠা খালি যায় । ইতিমধ্যে আমি নিজেই পাড়ার বিভিন্ন জনের নামে ৮/১০টা কবিতা , ২টা গল্প , ১টা প্রবন্ধ লিখে ফেলেছি । একই সাথেসভাপতি সহ সবার বানীও লেখা শেষ ।
আমার অবশ্য এই খালি যাওয়া পৃষ্ঠাটিতে লিখতে অসুবিধা ছিল না , কিন্তু আমার সহসম্পাদক কবির জোর আপত্তি জানাল । বলে , কী ব্যাটা , খালি তোর লেখা দিয়া তো এইটা নষ্ট কইরা দিবি ।
একটা সত্যিকারে কবির কবিতা টবিতা দে ।
আমরা সেই চিন্তা নিয়ে মধুবনের রেস্টুরেন্টে খেতে বসলাম । মনে খুবই চিন্তা কারন পরের দিন পাড়ার ফাংশনে এই সংকলন যেতেই হবে , হাতে সময় নাই ।
এই সময় দেখি মাহবুব লীলেন কাকে সাথে নিয়ে যেন সেখানে চা খাচ্ছেন । মুখ কালা করে তার সামনে গিয়ে বললাম - লীলেন ভাই , সংকলন করছি , একটা লেখা জরুরী দরকার ।
মুখ কালা করে তার সামনে গিয়ে বললাম - লীলেন ভাই , সংকলন করছি , একটা লেখা জরুরী দরকার । মন খারাপ
আরিফ ভাই আমি এখনো হাসতেই আছি
............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
ম্যাগাজিন ম্যাগাজিনের লেখা নিয়ে কিছু লিখলে বোধহয় বিশাল একটা বই হয়ে যাবে
সম্পাদকদের স্টাইলও ছিল খুব সোজা- সবার লেখা থাকতে হবে। যত বেশি লেখা তত বেশি উন্নত ম্যাগাজিনের মান। কিন্তু ম্যাগাজিনের সাইজ হতে হবে অবশ্যই সর্বোচ্চ দুই ফর্মা এবং ওই দুই ফর্মার মধ্যেই প্রচ্ছদ আর ব্যাক কভার
কিন্তু পত্রিকার পাতায় বেশি জায়গা দখলের ধান্দায় আমরা লিখতাম সব লম্বা লম্বা লেখা
এক্ষেত্রে সম্পাদকদের নীতি ছিল খুব সোজা- লেখার নাম আর লেখকের নামের সাথে প্রথম বারো লাইন ছেপে দেয়া
অতি ভদ্র দুয়েকজন অবশ্য জিজ্ঞেস করতেন- প্রথম বারো লাইন ছাপবেন নাকি শেষ বারো লাইন?
এই অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য শুরু করলাম লেখার সাইজ সাইডে দিয়ে বাড়ানো
এক লাইনের মধ্যে চার লাইনের মাল ঢুকিয়ে দেয়া
এইটা কয়েকদিন চলার পরে দেখি এক সম্পাদক আমাকে বলে দিলো লেখা হতে হবে বারো লাইনের মধ্যে এবং প্রতি লাইনে বারোটার বেশি শব্দ থাকতে পারবে না
কারণ তিনি ম্যাগাজিনের ভেতরে লেখা ছাপাবেন দুই কলামে...
০২
আমার লেখা এখনও পাশ দিয়ে যে লম্বা হয় সম্ভবত ম্যাগাজিনের পাতায় সেই জায়গা দখলের প্রাকটিস করার কারণেই
আমি ৯২ সালে একটা পাড়াতুতো ছোটখাটো কী জানি বাইর করলাম। তরিকা সেই একই, দোকানদারদের বাধ্যতামূলক বিজ্ঞাপন। (এসব ক্ষেত্রে আবার কেউ কেউ বিজ্ঞাপন দিতো না, টাকা দিয়ে বলতো তার নামে কবিতা গল্প কিছু একটা ছাপতে)।
কিন্তু আমি ঘাড় ত্যাড়া কইরা চিন্তা করলাম এইটার একটা আন্তর্জাতিক বা জাতীয় মোচড় দেওয়া প্রয়োজন। সেই তাগিদে ছুটলাম শামসুর রাহমান, সুফিয়া কামাল, গুণদাদের কাছে। ছোটমানুষ হওনের কিছু সুবিধা আছে, কান্দাকাটি কইরা লেখা বাইর করলাম। শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণ (উনি পুরান কবিতা ছাপার অনুমতি দিছিলেন, নতুন মাল দেন নাই), সুফিয়া কামাল, মাহবুবুল আলম, কাজী রোজী ছাড়া বাকী সব আমাদের দুই বন্ধুর লেখা... (ও, পাড়াতো সুবিধা নিয়া সেখানে আব্দুল হাই শিকদারও ঢুকছিলো এক কবিতা নিয়া)
ভালো কথা মনে হইছে, সংকলনটার গোটা দুয়েক কপি সম্ভবত এখনো আমার কাছে আছে, এবং আমি নিশ্চিত সুফিয়া কামালের কবিতাটা পৃথিবীতে আর কোথাও ছাপা হয় নাই। কারন উনি কোনো কপি রাখছিলেন না, দিয়া দিছিলেন আমার হাতে। এই কবিতাটা জাতিরে দেওয়া উচিত...
খুঁজতে হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"লেখা হতে হবে বারো লাইনের মধ্যে এবং প্রতি লাইনে বারোটার বেশি শব্দ থাকতে পারবে না"
আহারে !
নবীন লেখক-কবিদের প্রতিভা নষ্টের উদ্দেশ্যে এতো জুলুম চলেছে !!
০২
ভঙ্কর দাস
উদর উদ্দিন বুমর
আপনি তো সাংঘাতিক রকম নিরীহ দেখি !!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
লীলেন,
বহুদিন পরে মজার একটা লেখা পড়লাম।
বদরুদ্দীন উমরের ঘটনা পড়ে বেদম হেসেছি।
আরো আসুক----
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সংকলনে আপনার লেখাও নিশ্চয়ই আছে। নিজের নাম উল্টায়া কি রাখবেন?
হেঃ হেঃ আগে তো লেখার যোগ্যতা অর্জন করি। তারপর নামের কথা চিন্তা করা যাবে!!!!
লীলেনদার নাম উল্টানোর চাইতে এমনিতেই বেশি ভালো শোনায়। তবে বানানে সামান্য ভুল করা যেতে পারে।
মহাবুব লীলেন।
ঐ মিয়া এই ফাইযলামিটা তো আমি করতে চাইছিলাম, আপনি করলেন কেন
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
প্রুফ রিডার সাহেব আসলেই ভালো মানুষ। তিনি শুধু অন্যের নামই বিকৃত করেন, তা তো নয়! নিজের লিঙ্গ পরিবর্তনেও তিনি সিদ্ধহস্ত
পুনশ্চ. সম্পাদনা করে বানান ঠিক করে লাভ নেই। স্ক্রিন-শট নিয়ে রেখেছি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সম্পাদনা করবো কোন দুঃখে?
মানুষ মাত্রই ভুল করে (ম্যান ইজ মর্টাল) এবং মানুষ হিসেবে আমারও যে ভুল হতে পারে তার দুযেকটা প্রমাণ না থাকলে তো পাবলিকে আমারে ধরে কইন্নাইবে (শব্দটা কুমিল্লার। কনুই দিয়ে গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে পাঁজরের হাড় ভাঙার নাম কইন্নানো)
সূতারাঙ
যে নিজের নাম বুল কড়ে সে অইন্যের নাম কড়তেই পাড়ে
তাই ণা?
ছোটবেলায় একখান গান শুনছিলাম - নামের বড়াই কোরো নাকো নাম দিয়ে কি হয় .............
অতএব ব্যাপার্না দেন সব উল্টায়া।
পুনশ্চ : পোস্ট এবং মন্তব্য সবই অতিব জটিল ও মজাদার হয়েছে!
হাসতেই আছি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মাথার মধ্যে এত ইতিহাস নিয়া রাইতে ঘুমান ক্যাম্নে? বালিশ তো এতদিনে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাবার কথা।
নাকি আগে থেকেই বালিশ ছাড়া ঘুমানোর প্র্যাকটিস শুরু করে দিসেন?
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ডেইলি মাথা পিছু ২৫ টাকা রেটে কলকাতার এক ডর্মে রাইতে ঘুমাইতে গিয়া শিখছি- বালিশ আনসাইন্টিফিক জিনিস
তাই তাদের ওখানে বালিশের কোনো নামগন্ধ নাই
খালি তক্তার খাট আর প্রায় তক্তা একেকটা তোষক
(আশা করি মুমু ছাড়া কেউ বিছানার চাদরের কথা জিজ্ঞেস করবে না)
সেই থেকে শেখা....
আমি শিখসি সেকেন্ড ইয়ারে ফুটবল খেলতে গিয়া বাম কাঁধের হাড় স্থানচ্যুত হয়ে যাবার পর। বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমাইলে আর ঘুমাইতে পারতাম না। কাঁধে প্রচন্ড ব্যাথা হত। পরে বালিশ ছাড়া ঘুমানোটাই অভ্যাস হয়ে গেসিল।
এখন ব্যাথাটা নাই। কিন্তু অভ্যাসটা আছে।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
বা: এই বুদ্ধিটা আমার হেব্বি পছন্দ হল ৷ এইবারে কারো লেখায় বেশী বানান ভুল দেখলেই তার নাম ধরে উল্টে দেব ৷ কেউ তেড়ে এলেই বলে দেব "আমি না, আমি না, আমি কিছু জানি না৷ ঐ যে লীলেন শিখিয়েছেন' ৷
কিন্তু আপনার সাথে আমার এট্টুস দরকার ছিল ৷ সামরানকে বললাম, তো সে আধখান খবর জেনে এলো ৷
-------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ডরাইছি
(সামরান আপনের যে বর্ণনা দিলো তাতে না ডরাইয়া উপায় নাই)
এই রে!
ও দমু, আগি খালি জিগাইসিলাম, আপনে বাংলায় পড়সেন না ইঞ্জিরিতে? আর কিসু কই নাই, লীলেনজীর দিব্যি
বাকি আধখান খবর আমি আরেকজনের কাছ থেকে নিয়েছিলাম, তোমাকেই জানানো হয়নি। পত্র পাঠাইতেসি খাড়াও।
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
আজ ছুটির দিন। অষ্ট্রেলিয়া ডে, পাবলিক হলিডে। কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই আরও একটা জলন্ত দিনের কথা ভেবে মুষড়ে ছিলাম। এই লেখাটা পড়ে এক্কেবারে মন ভাল হয়ে গেল। দুর্দান্ত আইডিয়া, মাথায় রাখলাম। সেই সাথে অপ্রাসঙ্গিক কিছু নিজেরও ঘটনা মনে পড়ে গেল। আরও লিখুন এরকম মন ভাল করে দেওয়া লেখা।
খুব মজাদার লেখা, পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো। সংকলনে লেখকটেখকদের সব নামের অক্ষরগুলো উল্টিয়েপাল্টিয়ে একটা রেকর্ড করে ফেলেন।
লাহবুব মীলেন ভাই!
ভালোই তো দিলেন ভাই!!
বেশ মজা পাইলাম বস। দেখতে পাচ্ছিলাম মনের চোখে মফস্বলীয় সেই ফ্লেজলিং সাহিত্য-শিল্প-কারখানা, আর সেখানকার সব উত্পাদন উত্পাটন।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন