২৪জন সচল আর একজন মুক্তিযোদ্ধা এই গল্পের চরিত্র। কিন্তু গল্পটা একজন বীরাঙ্গনার
২৪জন সচল আর সেই মুক্তিযোদ্ধা এই কাহিনীর গল্পকার। কিন্তু কাহিনীটা আমার
গল্প লিখতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত গল্পটা লিখতে না পারাই গল্পের কাহিনী
এবং এই কাহিনীটাই আমার এবারের বই তৃণতুচ্ছ উনকল্প
০২
ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে এক বীরাঙ্গনার বিলাপের কথা শুনেছিলাম
৭২ এ সদ্য স্বাধীন দেশে সে চিৎকার করতে করতে রাস্তায় দৌড়ে বিলাপ করত: ও মাইও মাইও গো... মাইয়া লোকরে অত অত্যাচার
তারপর বহুবছর গল্পটাকে আর একটা ফোঁটাও এগোতে না পেরে ২০০৮ এর মার্চে শরণাপন্ন হয়েছিলাম সচলায়তনের সদস্যদের কাছে
অনুরোধ করেছিলাম যার যা ইচ্ছা যেন কমেন্ট দেন গল্পটা তৈরি করার জন্য
সঙ্গে এও বলেছিলাম; যে যাই কমেন্ট দেন না কেন
সবার কমেন্টটাই নিজের নাম-নিকসহ হুবহু থাকবে গল্পে
প্রথমবার গল্পটাতে কাহিনী যোগ করেছিলেন ১৮জন
তারপর আমি গল্পটা লিখতে বসে মনে হয় আরো কিছু কমেন্ট দরকার
তখন আবার অনুরোধ করি সচল সদস্যদের কাছে ২০০৮এর অক্টোবরে
এইবার কাহিনী যোগ করেন আগের দুইজন আর নতুন ৬জন
দাঁড়ি কমাসহ সবার কমেন্টগুলো নিয়ে আমি গল্পটা লিখতে বসি
একবার দুইবার তিনবার এবং চারবার
লিখতে লিখতে চরিত্র হিসেবে ঢুকিয়ে ফেলি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে
মুক্তিযোদ্ধা নিজামউদ্দিন লস্কর
আমার হিসাবমতে যিনি ২৫মার্চের গণহত্যার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদকারী
তারপরেও বীরাঙ্গনার গল্পটা দাঁড়ায় না। কিন্তু তৈরি হয়ে যায় আমার গল্পটা
একেকজনকে একেকবার একেকটা নাম বলি আমি এই গল্পের
ইতি অঙ্গনা নাতি বীর
উড়োগল্প
এবং শেষ পর্যন্ত (আপাতত) বলছি- তৃণতুচ্ছ উনকল্প
কে জানে এই বইয়ের নাম কী হবে ছাপার সময়
০৩
এই একটা গল্প দিয়েই এবারের বই বের করার প্ল্যান ছিল না আমার
প্ল্যান ছিল ৪-৫টা গল্প দিয়ে এবারের বইটা করব
সেগুলো অনেক আগেই রেডি
হঠাৎ মনে হলো এই গল্পটাও দিয়ে দেই বইয়ে
কাজ করতে গিয়ে দেখলাম গল্পটার আয়তন দুশো প্রষ্ঠার উপরে
শুরু করলাম ছোট করা
ছোট করতে করতে এসে যে জায়গায় ঠেকল ছাপা হলে তাকে বলে ৪ ফর্মার বই
মানে ৬৪ পৃষ্ঠা
শুনে আহমেদুর রশীদ ধমক দিলো- ওটা আলাদা বই করো
ধমক খেয়ে ভাবলাম হোক
একটা গল্পেই একটা বই হোক
এবারেই হোক
০৪
প্রকাশনা বিভাজনের কারণে আহমেদুর রশীদ এটাকে বলছে উপন্যাস
কিন্তু এটাকে কী বলা উচিত আমি জানি না
আমার কাছে শ্রেফ একটা হাবিজাবি লেখা। যেখানে বাস্তব চরিত্র নিয়ে গল্প তৈরি করায় আমি বোধহয় বেশ দুঃসাহসী হয়ে গেছি আরো
বইটা হয় হবে একেবারে গু
না হলে হয়ত একটা কিছু
০৫
যে বীরাঙ্গনাদের নিয়ে গল্প লিখতে গিয়ে অত কিছু করেও গল্পা লিখতে পারলাম না
আমার এই ব্যর্থতার স্মারক অগুনতি সেই বীরাঙ্গনাদেরই উৎসর্গ করা
মন্তব্য
শুভেচ্ছা, লীলেন ভাই। বই হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকবো। কবে পাবো ...
আশা করছি এই সপ্তার মধ্যে চলে আসবে
প্রচ্ছদ হয়নি
শেষ পর্যন্ত নজরুলকে আধা ঘণ্টার সময় দিয়েছিলাম প্রচ্ছদ করতে
সে নিয়েছে একদিন
কালকের মধ্যে যদি না দেয় তবে প্রচ্ছদ ছাড়াই বের করব
(৬৪ পৃষ্ঠার বই লিখে এক পৃষ্ঠার প্রচ্ছদের জন্য মানুষকে তেলাতে আর কত ভাল্লাগে?)
০২
শিমুল কিন্তু এই গল্পের একজন চরিত্র আর গল্পকার
কী একটা হাবিজাবি করে দিলাম তো শেষ পর্যন্ত, আপনি আবার ভদ্রতা করে বললেন পছন্দ হইছে...
নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো এই প্রচ্ছদ শেষতক আলোর মুখ দেখলেই হয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি যে অত দুর্গতিময় (দ্রুত গতিতে দুর্গতের সহায়) সেটা কে জানতো বলেন
এইবার আলোর মুখ দেখানোর দায়িত্ব আপনার
অবশেষে আপাত অসমাপ্ত গল্প শেষ করার জন্য অভিনন্দন।
বই বের হচ্ছে এটাই বড় কথা।
আমাদের মতো পাঠকেরা কবি মাহবুব লীলেনের বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না এবার।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
এইটা কী বললেন জলিল ভাই
লিখতে না পারলে দরকার হয় ছোটবেলার ছবি দিয়ে হলেও এ্যালবাম টাইপের একটা বই বের করে ফেলব
বই তো হতেই হবে
বইয়ের কাহিনী কি আগে সচলে দিচ্ছেন না একেবারে বই হিসেবেই আমরা পাব?
কবে নাগাদ বের হচ্ছে?
সচলে দেয়ায় প্রকাশকের নিষেধ আছে আপাতত
আমার বই নাকি দুই তিন কপির বেশি বিক্রি হয় না
সচলে দিযে দিলে সেটাও যাবে
নামটা বড় কঠিন লাগছে স্যার।
নামকরণ ও কি আগে খোলাসা করা যায় না?
আপনার বই ই বোধহয় একটু ভিন্নভাবে আসছে।
তাই আমার মতো পাঠকের কৌতুহল ও বেশী।
আমারে অত কিছু জিগান ক্যান
আপনি নিজেও তো ওই গল্পের লেখক
বইটা হয় হবে একেবারে গু
না হলে হয়ত একটা কিছু
সবকিছু শুনে তো মনে হচ্ছে 'একটা কিছু'ই হবে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
সেই গল্পের একজন চরিত্র মুজিব মেহদী যদি বলেন একটা কিছু হবে
তাহলে তো ভরসা করতে হয়
লীলেন ভাই তাইলে শেষ করতে পারলেন গল্প টা । লেখক ভাড়া নিছিলেন নাকি শেষ পর্যন্ত ????
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
লেখক ভাড়া নেইনি
অন্যদের লেখা ধার করে চালিয়ে দিয়েছি
দুই সচলের দুই খসড়া উপন্যাসের দুইটা পর্ব
একজনের স্মৃতিকথার বেশ কিছু অংশ
আর ২৪জন সচলের কমেন্ট
অবলীলায় ঢুকে গেছে এই গল্পে
হিসাব করলে দেখা যাবে আমার রচনা ১০% আর ধার করা ৯০%
শুভেচ্ছা,বই পড়ার অপেক্ষায় আছি,
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এটা আমার এই গল্পের একটা অংশ
জালাল ভাই হয়ত কিছু বলতে পারেন এই তথ্যটা নিয়ে
শুভেচ্ছা গুরু ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আহমেদুরের ঘাড়ে স্টিলের একটা তাক এইবার না বানালেই নয়....
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আমার বই কই? (কান দিয়া ধোঁয়া বাইরনের ইমোটিকন জানি কেম্নে দেয়?)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আহমেদুর সাহেব স্টিলের তাক বানানোর আগে পাইলিংটা একটু করে নিও
হাতে পাবার অপেক্ষায়।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গ্রেট!
অপেক্ষায় ...
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আহমেদুর রশীদ জানিয়ে দিয়েছে এবার বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের দায়িত্ব পুরোটাই লেখকদের
আমি ঠিক করেছিলাম আমার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন আমার গল্পের চরিত্রেরা
কিন্তু কাল এনকিদু বলল আমার গল্পের চরিত্রেরা সবাই নাকি থাকেন বিদেশে
পরে খুঁজে দেখলাম কথাটা প্রায় সত্য
একমাত্র তুমিই আছো দেশি চরিত্র
সুতরাং বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের দাযিত্বটাও তোমার
আয় হায়! কন কী বস!
আমি? সাইফুল?! অন্য কারো কথা বলতে গিয়া ভুলে আমারে কইয়া ফালান নাই তো?!
আমি ওইখানে চরিত্র হইছি? আমার কি তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ইনপুট ছিল?
আচ্ছা, আমিই যদি হয়ে থাকি, তাইলে আমার তো সেইরকম প্লেজার! অবশ্যই করবো! হিহিহিহি!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লেখার জন্য আপনার এই সংগ্রামটা দেখে সেটা নিয়েই একটা গল্প লিখতে ইচ্ছে করছে...
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
এইটা একটা দুর্দান্ত বই হবে৷ খুব ইচ্ছে করছে দেখতে৷
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এই বইয়ে আপনার চরিত্র গল্প
দুটোই জুড়ে আছে বিশাল জায়গা
বইটা কি বের হয়েছে?
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
এতো কঠিন নাম, উচ্চারণ করতে পারি না। আমার আবার উচ্চারণেও সমস্যা আছে। বুঝছি, স্টলের ললনাকে বলা যাবে না বইয়ের নাম, ডিসপ্লে থেকে নিয়ে বলতে হবে এই বইটা দ্যান।
প্রথম যখন লীলেনজী পোষ্ট দিয়েছিলেন, আমি অনেকক্ষণ ভেবেছিলাম, কিন্তু কী লিখব ভেবে না পেয়ে ক্ষ্যামা দিয়েছিলাম। দ্বিতীয় পোষ্ট আমার চোখে পড়েনি, ওই সময়টায় অন্তর্জালে আমি খুব অনিয়মিত ছিলাম বলে। আজ সকালে এই পোষ্ট দেখার পর আগের দুটো পোষ্টেও ঘুরে আসি, আব সাথে সাথেই মনে পড়ে যায় এক নারীর কথা, ছেলেবেলায় দেখা পাগলিনী এক নারী, একাত্তর যার একমাত্র মেয়েকে নিয়েছিল আর তাকে বানিয়েছিল রাস্তার ভিখারি, পাগলিনী.. চম্পার মা পাগলী!!
ক্ষণিকের মধ্যেই ঝিলিক দিয়ে গেল এক বীরাঙ্গনার গল্প...
আর দমুর বলা উত্তরপাড়ার মানসিক ভারসাম্যহীন সেই মেয়েটা, সবই যেন ছবির মত দেখতে পেলাম।
সেই তো গল্প এল, কিন্তু বড় দেরীতে!
বইটির সাফল্য কামনা করি।
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
আপনি ওইদিন না করলেন সেখানে আপনি কমেন্ট করেননি
পরে গিয়ে দেখি আপনি কমেন্ট করেছেন এবং যথারীতি একটা চরিত্র হয়ে বসে আছেন গল্পে
আর দময়ন্তীর গল্পটা তো জুড়ে আছে বিশাল জায়গা
সঙ্গে সঙ্গে সেও
অসাধারণ কিছুই হবে। গুরু আপনেরে সালাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমারো একই অবস্থা। কিছুতেই কিছু লিখতে পারলাম না। সব কেমন স্থবির হয়ে গেলো। কিছুতেই সম্ভব হয়নি।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
অপেক্ষায় থাকলাম ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
লেখাটা তা হলে শেষ হল, অভিনন্দন গুরু।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
লেখাটা শেষ হলো পুতুলের শেরালী উপন্যাসের পুরো একটা পর্ব আর পুতুলকে নিয়ে
(চিন্তা করছি এখন থেকে নিজে না লিখে ধার করে চালিয়ে দেবো)
এই উইকএন্ডে পাবো না?
=============================
সুপ্রিয় সুহৃদ: হ্যাঁ, মনে আছে--- আপনার এই গল্পটায় আমি ও লিখেছিলাম কিছু, ওটা আছে না'কি সম্পাদকের কাঁচিতে ---?
যেহেতু দেশে নেই, তাই সংগ্রহ করতে পারছিনা, আপনি ই বুক করলে হয়তো পড়তে পারতাম ---
না'হলে দেশে যাওয়া হলে কখনো --- অবশ্যই পড়ে নেবো, আগ্রহী আমি জানতে পরে কি দাঁড়ালো গল্পটা ----
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
যা লিখেছিলেন আগাগোড়া তার সবটাই আছে
দাঁড়ি কমা পর্যন্ত (শুধু বাক্যের শেষের দাঁড়িটা বাদ দিয়েছি আমার বদ অভ্যাসের কারণে। আর কিছু বানান ইউনিফর্ম করা হয়েছে পুরো টেক্সেট এর সাথে)
আপনি নিজেও আছেন বিশাল অংশ জুড়ে
নামটাই দারুণ হয়েছে আর শেষতক আশা অনুভূতি নাড়ানিয়া একটা কিছুতো হবেই। সৈয়দ দেলগীর এর বই কবে আসবে? আপনার প্রচ্ছদকারীর প্রচ্ছদ অতি শীঘ্রই আলোর মুখ দেখুক-অগ্র জনের বক্তব্যের কটুক্তি কিনা জানি না, তবে অজ্ঞ জনের ভাষায় না পড়া বইযের প্রচ্ছদ'কে সাহসী ঘৃণার উচ্চারণ বলা যায়।
অফ টপিক: ২৪+১ কপি তো বিক্রি হবেই নিদেন পক্ষে ১২+১ এর চেয়ে কম হলে গোটা ৬+১। এবার তবে ২/৩ কপি চেয়ে বেশী বিক্রি হবেই- সেই ভয় আর নয়।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
নামটা অসাধারণ। এক কপির জন্য অগ্রিম বুকিং দিলাম।
নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
যাক্, ভাগ্যিস আমি সেই গল্পটা পড়িনি ! আর পড়লেও কোন মন্তব্য করার দুর্মতি হয় নি ! হাহ্ হাহ্ হা ! তাহলে আমিই প্রকৃত পাঠক এবং একমাত্র, বুঝা যাচ্ছে !
সবাই যখন লেখক, তখন একমাত্র পাঠক হিসেবে আমার কদরটাই তো এখন বিশাল ব্যাপার হবে দেখছি !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বাঁচন নাই
পরেরবার এর দ্বিতীয় খণ্ড বের করে ফেলব এর পাঠক এবং সম্ভাব্য পাঠকদের নিয়ে
আর তখন আপনার এই কমেন্টাও ঢুকে যাবে গল্পের ভেতরে
গল্পটা হবে এরকম:
তৃণতুচ্ছ উনকল্প বইটা পড়ে যখন সবাই বইয়ের ভেতরে তাদেরকে চূড়ান্তরকম হেস্তনেস্ত করার জন্য আমাকে চিবিয়ে খাওয়ার প্লান করছেন আর আফসোস করছেন সেই পোস্ট দুটোতে কমেন্ট করার জন্য। তখন অতক্ষণ ধরে গাছতলায় চুপচাপ ইয়োগা করা রণদীপম বসু হঠাৎ একটা লম্ফাসন দিয়ে সবার মাঝখানে এসে হাত তালি দিতে দিতে নৃত্যাসন করে বলতে লাগলেন- যাক্, ভাগ্যিস আমি সেই গল্পটা পড়িনি ! আর পড়লেও কোন মন্তব্য করার দুর্মতি হয় নি ! হাহ্ হাহ্ হা !
রণদা যখন নৃত্যাসনের সাথে সাথে সবাইকে নিয়ে হাস্যাসন করে যাচ্ছেন তখন একজন এসে থাপড়াসন দিয়ে বসিয়ে দিয়ে বলল- মিয়া বোঝেন তো না। লীলেন হারামজাদা আমাদের কমেন্টগুলোতে বইতে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে যে কেউ পড়লে মনে করে- আমরাও ওই বইয়ের লেখক
আর তখনই পাবলিকতো আমাদের পিটাতে আসে। বলে- তুমি ওইটা লিখতে গেছো কেন? যত বোঝাই আমি ওটা লিখিনি। ওই হারামজাদা আমাকে ওখানে লেখকের চরিত্রে নিয়ে কাটিং পেস্টিং করে দিয়েছে। কিন্তু কার কথা কে বোঝে বলেন? এই সমস্যা কি আমার একার? দেখেন না এখানে সবার মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। দাড়ি পেকে যাচ্ছে লীলেনের চরিত্র হয়ে?
ভুক্তভোগীর কথা শুনে রণদা একটা মাথাচক্করাসন দিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে অনুমান করলেন বিষয়টা ঠিক। এবং এখানে সমবেত সবার মধ্যে একমাত্র তিনিই গল্পের চরিত্রহীনাসনে আছেন। এইটা অনুমান করে একটা লম্বা বক্তৃতা দেবার উদ্দেশ্যে তিনি একটু গলাউচ্চাসনে শুরু করলেন- তাহলে আমিই প্রকৃত পাঠক এবং একমাত্র, বুঝা যাচ্ছে !
কিন্তু কার বোঝা কে বোঝে। সবাই আছে নিজের নিজের যন্ত্রণায়। এর মধ্যে তার এই বক্তৃতার ভূমিকা শুনে কেউ পাথর কেউ জুতা; যার যা কিছু ছিল হাতে নিয়ে তার দিকে তেড়ে আসলো। আর সমানে চিৎকার করতে লাগলো- এই চরিত্রহীন লোক এখানে কেন? বের করে দাও...
অবস্থা বেগতিক দেখে রণদীপম বসু আবার এক লম্ফাসন দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্তাসনে ঝুলে মনে মনে বলতে লাগলেন- সবাই যখন লেখক, তখন একমাত্র পাঠক হিসেবে আমার কদরটাই তো এখন বিশাল ব্যাপার হবে দেখছি !!
যারা ছিল তারা পাঠকের কদর দিতে বিশালভাবেই জানে। তারা আমাকে ছেড়ে রণদাকে কদর করা শুরু করে দিলো সমানে
কিল গুঁতা মারতে মারতে তাকে ঝুলন্তাসন থেকে পতিতাসন এবং পরে শবাশনে শুইয়ে যখন আমাকে মেরামত করার জন্য ফিরে তাকিয়েছে তখন আমি ছয় নম্বর লেকাল বাস ধরে গুলিস্তানের মোড়ে বিড়ি টানতে টানতে ভাবলাম- নাহ। রণদাকে একটা ধন্যবাদ দিতেই হয়
তিনি যদি আজ নিজেকে একমাত্র পাঠক দাবি না করতেন তাহলে আমাকে অতক্ষণে গুলিস্তানের বদলা আজিমপুরে থাকতে হতো
০২
দেখেন স্যার
আপনার কমেন্ট আগাগোড়া হুবহু আছে দাঁড়ি কমা পর্যন্ত
কিন্তু গল্পে ঢুকে গেছেন
খাড়ান
এইটার দ্বিতীয় খণ্ড লেখা শুরু করি
হুমম্ ! ইয়োগা শাস্ত্রে আরো এতোগুলো নতুন আসন যুক্ত হয়ে যাওযায় প্রীত হয়েছি তো বটেই। তবে সাথে সাথে নতুন আরো দুটো আসন আমদানি করা যে জরুরি হয়ে ওঠেছে, তা বুঝাই যাচ্ছে ! একটি মাহবুব লীলেনের আজিমপুর গমনকে নিরাপদ, স্থিতিশীল ও স্বাস্থ্যময় করতে কবরাসন। অন্যটি পাঠক-দর্শকদের জন্য তৃপ্তিকর হাস্যাসন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার কপালে কবরাসন নাই স্যার
ওটা হবে নর্দমাসন
নতুন মন্তব্য করুন