এক হিন্দি ডাক্তার হাত পা নেড়ে অনেকক্ষণ ধরে আমাকে বুঝিয়ে জিজ্ঞেস করল- কী বুঝলেন?
বললাম- বুঝলাম যে আমার শরীরের ডান-বাম দুইটা দুই কোম্পানির তৈরি আর ধোলাইখালে লোকাল নাটবল্টু দিয়ে ফিটিংয়ের কারণে এখন লুজ হাডিড ঘর্ঘর করে...
মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে ডাক্তার জিজ্ঞেস করে- ধোলাইখাল কী?
বললাম- ধোলাইখাল আমাদের বিশ্বকর্মার দপ্তর। ওখানে সবকিছু জোড়াতালি হয়...
ডাক্তারটা একটু টাল কিসিমের। কিছু বোঝে কি বোঝে না তাও বোঝা যায় না। কিন্তু বের হবার সময় হারামজাদা একটা প্যাজগি লাগিয়ে দিলো। বলল- আচ্ছা বিড়ি খাওয়ার সময় একটা জিনিস একটু খেয়াল করবেন তো; জিনিসটা খেতে টেস্টি মনে হয়- না তিতা লাগে...
আচ্ছা দেখব' বলে বের হয়ে এসে বিড়িতে টান দিয়ে দেখি- নাহ; বস্তুটাতো একটু তিতা তিতাই লাগে...
০২
লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছি না ভুলে গেছি না আদৌ কোনোদিন কিছু লিখতাম সেইটা এখন আমার এক ধান্দার বিষয়
বহু বছর ধরে প্রতিদিন রাত সাড়ে এগারোটার পরে ঘণ্টা দুয়েক শব্দটব্দ নিয়ে নাড়াচাড়া করতাম; মাঝে মাঝে দুয়েকটা বাক্যও তৈরি করে ফেলতাম আর কয়েকদিন পরে এর মাথা ওর ঘাড়ে কিংবা এর লেজ ওর পেছনে গিটঠু দিয়ে হাবিজাবি দুচার পাতা বানিয়ে ফেলে নিজের কাছে বলেও ফেলতে পারতাম ইহা একখান রচনা; রচিয়াছি মুই...
কিন্তু আমার সেই টাইমটাকেই সরকার বেছে নিলো দেশের বাত্তিসংকট মোকাবেলার উপযুক্ত সময় হিসেবে গত বেশ কয়েকমাস ধরে
বাসায় ঢুকে বিড়ি টান দিতে না দিতেই সরকারের খেয়াল হয় কারেন্টের স্টক সীমিত; সুতরাং লাগাও আন্ধার থেরাপি...
অন্ধকারে খাওয়া হয়; বিড়ি হয়; মোবাইলে খুটখাট হয়; গরমে ঘাম হয়; মেজাজ খিটখিটে হয়; পরদিনের গোলামির কথা খেয়াল হয় এবং হাড়ে হাড্ডিতে ব্যথাটেথা নিয়ে মনে হয়- অন্যকিছু না হলেও ঘুমে কোনোদিন অরুচি হয় না আমার...
তারপর একখান ঘুম হয়; শব্দগুলোর সাথে দূরত্ব হয়; সকালে উঠতে দেরি হয়; গোলামকেন্দ্রে দৌড়াতে হয়; দৌড়াতে দৌড়াতে খেয়াল হয় বাত্তি এসছিল লাইট অফ করার সময় আর অফ করার সময় ঘরে বাত্তি থাকার কথা মনে করতে না পারায় তালাবন্ধ ঘরে বাত্তিরা সারাদিন জ্বলতে জ্বলতে মাসের শেষে অন্ধকারবাসের ফি হিসাবে কিছু টাকা সরকারের ঘরে তুলে দিয়ে প্রমাণ করে ছাড়বেন আমিও আছিলাম জনৈক দেশদরদী মানুষ...
০৩
এক চ্যাংড়া পোলা যে নিজেকে সাংবাদিক আর সচেতন আর সৎ হিসেবে প্রমাণ দিয়ে কথা শুরু করে; দাঁত মুখ চুল খিঁচিয়ে ঝোলা থেকে একখান ফটোকপি তাক করে আমাকে আক্রমণ করে বসল সৎ হবার প্রতিজ্ঞা করার জন্য। এইবার নাকি বন্যার সিজনে যত না পানির বন্যা হয়েছে তার থেকে বেশি বন্যা বয়ে যাচ্ছে প্রতিজ্ঞা করার...
আমি তারে যত বোঝাই যে আমি মূলত সুযোগের অভাবে চরিত্রবান- সাহসের অভাবে সৎ আর ক্ষমতার অভাবে শান্তিপ্রিয়; তত সে হাউমাউ করে আর বলে কিছু একটা প্রতিজ্ঞা করতেই হবে
সমাজের সচেতন মানুষ হিসেবে সে নিজেই নিজের উদ্যোগে এইসব প্রতিজ্ঞার কলেমা পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে এবং নিজের উদ্যোগেই সে প্রতিজ্ঞাকারীদের ইমান মনিটর করবে এবং একহাজার মানুষকে প্রতিজ্ঞামুমিন বানাতে পারলে সেইসব দলিল নিয়ে জমা দেবে প্রতিজ্ঞাপ্রতিষ্ঠানে এবং প্রতিজ্ঞার প্রতি তার এই ইমান দেখে সেই প্রতিষ্ঠান হয়ত তাকে একখান চাকরি দিলেও দিতে পারে প্রতিজ্ঞামুনশির পদে...
আমি এক ঠ্যাঙের উপর বকাসনে দাঁড়িয়ে অন্য হাঁটুতে কাগজটা রেখে প্রতিজ্ঞা লিখলাম- বিড়ি খাওয়া ছেড়ে দেবো...
লেখাটা দেখে প্রতিজ্ঞাঠাকুর চোখ দিয়ে লালা ফেলতে ফেলতে বলল- সময় লিখেন; কবে ছাড়বেন তারিখ লিখেন
আমি এবার আগের লেখাটার পাশে ব্রাকেট দিয়ে লিখলাম- মরে যাবার পর...
অক করে একটা শব্দ করে ফ্রিজে রাখা কুরবানির মাংসের মতো শক্ত আর কালো হয়ে সে দাঁড়িয়ে থাকল আমার মুখের দিকে তাকিয়ে- এইটা কী লিখলেন?
বললাম- লিখলাম যে আমি প্রতিজ্ঞা করছি মরে যাবার পরে আর বিড়ি খাবো না... তুমি তোমার পুরো প্রতিজ্ঞাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে মনিটর করে দেখতে পারো; যদি মরার পরেও আমাকে বিড়ি খেতে দেখো তাহলে আমি তোমাদের প্রতিজ্ঞাপ্রতিষ্ঠানে বিনা পয়সায় নাইটগার্ডের ডিউটি দেবো সারাজীবন...
কাগজ কলমটা ওর হাতে গুঁজে দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে হাঁটতে হাঁটতে ভাবলাম ইস্কুলের রচনায় লেখা কোনো প্রতিজ্ঞার বারান্দা পর্যন্ত যেতে না পারলেও এই প্রতিজ্ঞার একচুলও নড়ন চড়ন হবে না আমার... যদিও কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমি নিশ্চিত ছিলাম আরো দুয়েকটা পাতা লিখে ফেলার প্রতিজ্ঞা বিষয়ে। কিন্তু এখন মনে হয় সেই প্রতিজ্ঞাটাও অনেক প্রতিজ্ঞার মতো রাখতে পারবো না নিজের কাছেই নিজে
০৪
আগে এর মাথা ওর ঘাড়ে জোড়া দিয়েই লিখতাম; গত বছর সরাসরি চব্বিশজন লেখকের টুকরা টাকরা লেখা জোড়া দিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিলাম পুরো একটা বই; বইটা নেড়েচেড়ে আমার এক শব্দখাদক বললেন- এইটাতো একটা নকশি কাঁথা হলো; ছিঁড়ে যাওয়া শাড়ির পাড় থেকে সুতা তুলে ছেঁড়া ছেঁড়া শাড়ির টুকরা জোড়া দিয়ে শীত নিবারণ; নকশি কাঁথা শিল্প নয়; নকশি কাঁথা দারিদ্র্যের প্রকাশ... অবশ্য নতুন কাপড়ে নতুন সুতায় নকশি কাঁথা এখন কারখানায় তৈরি করে স্টাইল বলে চালিয়ে দেয়া হয়। তুমি এক কাজ করো; যেহেতু আর লিখতে পারবে না কিছুই; সেহেতু পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এজেন্সি ভাড়া করে নিজের নামে বই লিখিয়ে ফেলো; পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলবে- যুগ পাল্টেছে; এখন আর সময় নষ্ট করে নিজের লেখা নিজে লেখার কোনো মানেই হয় না। তাই আমি এখন থেকে আমার সব লেখা এজেন্সিকে দিয়ে লেখাব; এইটাই আমার স্টাইল আর মৌলিকত্ব...
০৫
এই দেশে একবার ভিনগ্রহ থেকে সাইন্স ফিকশনের প্রাণী এসে এক বেকার ছেলের গলায় শেকল বেঁধে নেতা তৈরির ফর্মুলা আর ডাইস হাতে দিয়ে বলল- এই ফর্মুলায় তুই তোর দেশের জন্য বারোটা মডেল নেতা বানাবি; তবেই তোর মুক্তি... তারপর সেই ছেলেটা গেলো ভিনগ্রহের মডেলে দেশের জন্য বারোজন নেতা বানাতে....
এই দেশে এক বাজারলক্ষ্মী নারী; সারাদিন পারফিউম মেখে চকচকে অফিস আর বাড়িগুলোতে ঘুরতে ঘুরতে রাতে নিজের ঘরে এসে শরীরে কেরোসিন মাখে শরীর থেকে মানুষের দুর্গন্ধ ছাড়াতে...
এই দেশে এক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধের দিনে একইসাথে যুদ্ধ করেন পাকিস্তান আর ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে; একই সঙ্গে যুদ্ধ করেন রাজাকার আর প্রবাসী সরকারের নেতাদের বিরুদ্ধে; তাকে লড়তে হয় স্বাধীনতার জন্য; তাকে লড়তে হয় সম্মানের জন্য; তাকে লড়তে হয় অবরুদ্ধ দেশের নারীদের রক্ষার জন্য; তাকে লড়তে হয় শরণার্থী শিবিরের নারীদের পতিতালয়ে বিক্রি বন্ধের জন্য...
আমার প্রতিজ্ঞা ছিল এইসব গল্প একদিন আমি লিখে ফেলব; কিন্তু আদৌ আর কিছু লেখার হয়ে উঠবে বলে মনে হয় না আমার...
কেউ আছেন গল্পগুলো লিখে দেবার জন্য?
২০০৯.০৬.০১ সোমবার
মন্তব্য
এবার নতুন একটা প্রতিজ্ঞা করুন- আপনার সব গল্প অন্যকে দিয়ে লেখাবেন।
ব্যস , কাজ হয়ে যাবে।
হেইয়াইতো কইলাম
পাবলিকে বেগার দিতে রাজি না হইলে কেমনে পেরতিগগা করি
তয় আমনেই শুরু হরতারেন
জ্বি স্যার ।
আমি লিখলে তো মহামতি লীলেন সম্পর্কে যতটুকু জানি তা নিয়ে একটা রচনা লিখতে পারি।
অনুমতির অপেক্ষায় আছি।
আর আপনি শুদ্ধ বাংলার পরিবর্তে আঞ্চলিক ভাষায় লেখা শুরু করেন।
নতুনত্ব আসবে।
প্রথমে সিলেটের ভাষায় শুরু করেন। মৌলিক ,অনুবাদ যাই হোক না কেন।
ভেবে দেখেন স্যার।
অয়
আফনার বুদ্দি নিয়া বাদো মাসো ফকির অইতাম?
লুলাবর্ষ বাদ দেন, কতদিনে লীলেন-বর্ষ হয় সেটা বলেন। আপনার সর্বশেষ পোস্টের পরে ২৩৭৪ খানা পোস্ট দেয়া হয়েছে।
লিখতারিনা যে
আমি বিষয় দেই আপনি লেইখা দেন আমারে
কাকে কী বলে হেঃ হেঃ হেঃ
সচলে কামেল আদমী অনেকেই আছেন। কিন্তু ওস্তাদ ঐ একজনই...মহামতি লীলেন।
শীতনিদ্রা ভাঙল দেখে ভালো লাগলো। আবার ঘুমিয়ে পড়ার আগে কিছু লেখা লিখে ফেলুন। দরকার হলে সচল থেকে চান্দা তুলে জেনারেটর কিনে দিব। এটা শুধু একটা প্রতিজ্ঞাই না, একটা প্রমিস ও।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
জেনারেটরে আমি চান্দা দিচ্ছি না, এটাও একটা প্রতিজ্ঞা না প্রমিস। লীলেনদা অনেক ঝগড়া করে, উনাকে মশা কামড়াক, তেলাপোকায় কামড়াক ..................।
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আরে না না রন্টুবাই
অত কষ্ট কত্তৈব না
টেকা পাঠায়ে দিলে আমি নিজেই জনরটর কিনে তাতার মাথায় ঠাডা পড়ার কাহিনী লিখ্যালাইমু একদিনের মইদ্যে
এর মাথা ওর ঘাড়ে কিংবা এর লেজ ওর পেছনে গিটঠু দিয়ে হাবিজাবি দুচার পাতা বানিয়ে ফেলে নিজের কাছে বলেও ফেলতে পারতাম ইহা একখান রচনা; রচিয়াছি মুই...
হ
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হ
সংক্ষেপে এইডারে কয় তাতামাথা আর ঠ্যাঙ্গাতাতা
'নাটাঙ্গি' পড়লাম। চমৎকার একটা গল্পের গল্প - কিন্তু শেষটা যে ......
মানসিক 'লুলা'পর্ব কি তাহলে সেই বড় লেখাটাকেও আগাতে দিচ্ছে না?!
আর কীসের লেখা?
নিজে লেখার যুগ আছে নাকি এখনও?
ইঞ্জিনিয়াররা যদি কামলা দিয়ে বিল্ডিং বানিয়ে বলতে পারে এটা আমার তৈরি বাড়ি
ভাস্কররা যদি মিস্ত্রি দিয়ে মূর্তি বানিয়ে বলতে পারে এটা আমার তৈরি
তবে আমি কেন এজেন্সি দিয়ে লিখিয়ে বলতে পারবো না- এটা আমার লেখা?
০২
নাটাঙ্গির আগাগোড়া সবটাই নাটাঙ্গিক
লেখাটা পড়ে চমৎকার লাগলো। সচলে আসার পর এই প্রথম আপনার কোন পোস্ট পেলাম, এখন পুরানো পোস্টের আর্কাইভ ঘাঁটতে হবে আপনার লেখা পড়ার জন্য! আরেকটু বেশি বেশি লিখুন না প্লিজ।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
আমি লিখি না রে ভাই
আমি কাহিনীর দর্জিগিরি করি
আর বেশি বাতাস দিলে ফুলে গিয়ে শেষে দেখা যাবে আপনাকে নিয়েই লিখে বসেছি এক কাহিনী
বস দেশে থাকলে আপনার লেখালেখি আগাবে না, আপনারে ধরে বেধে মাস ছয়েকের জন্য কোন দ্বীপদেশে পাঠিয়ে দিতে হবে যেখানে আন্ধার থেরাপি নাই, চার পাশে সল্প বসনা ললনা, সামনে খোলা সাগর, পাশে আইসি কোল্ড স্ক্রু-ড্রাইভার, টেবিলে রুল টানা দিস্তা দিস্তা কাগজ আর ডজন খানেক পেন্সিল।![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
এইটাই আপনার থেরাপী বস, ভেবে দেখেন একটু
এইতো অতদিনে পাওয়া গেছে জনদরদী মানুষ
একটু ঠিকানাঠুকানাটিকেটটাকেটটাকাপয়সাএইসেইযোগাড়যন্ত্র করে দেন না
আপনি ছাড়া এই কাজ আর কেউ পারবে না
গুরু বিবাহ করিয়া ফালান, সব দুষ্ক দূর হইয়া যাইবে এনশাল্লাহ্ !![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
জামাইভাতা সহ একটা বৌ পাঠিয়ে দেন
শরীর কেমন এখন?
...........................
Every Picture Tells a Story
শরীরটা গতর হয়ে গেছে
তাহলে ডাক্তার রেখে কবিরাজ ধরেন
...........................
Every Picture Tells a Story
হ
আপনার বুদ্ধিতে গিয়া তিতাকারিষ্ঠ খাই
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
...
০১ পড়ে ভাবলাম মন্তব্য লিখবো এইরকম
০২ পড়ে ভাবলাম মন্তব্যটা ঐরকম লিখবো
০৩ পড়ে ভাবলাম
০৪ পড়ে...
০৫...
সবশেষে সব গুলায়া ফেললাম... এখন আর কোনো মন্তব্য নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাইলে ছয় নম্বর পয়েন্টে লিখেন
আমারও কোন মন্তব্য নাই। তবে লেখা না আসা, লিখতে না পারার জায়গাতে আমি আছি। দর্জিগিরি কত ভাল পেশা সেটা আজকাল বুঝতেছি!
খালি দর্জিগিরি করে আর চলে না
তাই পরের কাপড়ে পোদ্দারির মতলবে ধোপাগিরিও শুরু করলাম
হুমম...এই তাহলে ঘটনা!![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আরে না
ঘটনা আগেরটাই; যেটা আপনাকে বলেছিলাম
মিস হয়ে গেসলো লেখাটা। এক্টাই কথা, বাহ!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কপাল ভালো মিসেস হয়নি
কী জানি, মিসেস হৈলে হয়তো আরো খুশিই হৈতো!
![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ব্যাপার না। এটা হয়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমিও তাই বলি
পাঁচটা পর্বে পইড়া পাঁচরকম লাগলো।
কিন্তু মরার পর বিড়ি না খাওয়ার ডিসিশনটা কী ভাইবা চিন্তে নিছেন? পরে কিন্তু পরকালে আমারে বিড়ি খাইতে দেইখা- যতই আফসোস করেন- দিতাম না।
কারণ আপনে আমারে সিলেটি মেয়ে দ্যান নাই।![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ভাইবা চিন্তা নেই নাই মানে?
আমি বেক্কল হইলেও বুদ্ধি অত কম না
তোমার কী ধারণা পরকালে গিয়া আমি গঞ্জা থুইয়া বিড়ি ধরামু?
সিলেটি মাইয়া তো রেডি
কিন্তু সার্ভিস চার্জ ছাড়া কেমনে কী করি বলো?
০৫ পড়ে বলছি... কে পারবে আপনার মত করে এই কথা গুলা বলতে?
লিখেন পিলিয!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
লিখতার্লে কি আর ভাড়াইট্টা লেখক খুঁজি?
আহারে !![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
ডাক্তার আর চ্যাংড়া ছেলেটার বেহাল দশার কথা ভেবে মায়া লাগছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খালি ওগোর বেহালটা দেখলেন আমি পইড়া গেলাম আঙুলে ফাঁকে?
স্পেসিফিকেশন দেয়া হোক-পার কলম ফোটার রেইট কত। কম্পিতে লিখলে আলাদা প্রাইস।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
পাঁচ হাজার শব্দের প্রতি পিস সাড়ে আড়াইটা দরে (সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত) যতগুলা পারো দিয়ে দাও
বকেয়াতে নগদ মূল্যে কিনে নেবো সব
এই দেশে এক বাজারলক্ষ্মী নারী; সারাদিন পারফিউম মেখে চকচকে অফিস আর বাড়িগুলোতে ঘুরতে ঘুরতে রাতে নিজের ঘরে এসে শরীরে কেরোসিন মাখে শরীর থেকে মানুষের দুর্গন্ধ ছাড়াতে...
- লাইনগুলা একটা ধাক্কা দিল...অসাধারন লিখেছেন ভাইয়া...অসাধারন...
খালি এই দুই তিনটা লাইনেই কি আর চলে?
গল্প তো লেখা হয় না লাইনগুলো দিয়ে
আপনার লেখায় দারুণ তরতরে-ঝরঝরে আর সহজ একটা ব্যাপার থাকে... বেশ "ফ্লুইড" - সঠিক বাংলা শব্দটা খুঁজে পাচ্ছি না। গড়গড়িয়ে পড়ে ফেলি সবসময়। লিখতে থাকেন। এইসব কুযুক্তি দিয়ে ভক্ত পাঠককুলকে বিভ্রান্ত ও বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করবেন না। ধানাই পানাই বাদ দিয়ে আরো লিখতে থাকেন।
আপনি এজেন্সী দিয়ে লিখাবেন মানে? নিজেই এজেন্সী খুলেন, আমি আপনারে দিয়ে আমার আত্মজীবনী লেখায়ে নিবো![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
আপনি এজেন্সী দিয়ে লিখাবেন মানে? নিজেই এজেন্সী খুলেন, আমি
এই বুদ্ধিটাতো আগে মাথায় আসেনি
দেন আপনারে দিয়াই শুরু করি
মানি না, মানবো না।
![মন খারাপ মন খারাপ](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/2.gif)
আশঙ্কিত ফিল করতেছি।
বস, এইগুলা কথা কোয়েন না, ভাই না ভালো, বস না ভালো, এইসব অলক্ষুণে কথা মুখেও আইনেন না।
লেখেন, এখন না লিখলে আবার কয়দিন পরে লেখেন, কিন্তু লিখতে হবেই।
প্লিজ লাগে একহাজার বার।- এইগুলা কথা কোয়েন না গো!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অত অনুরোধ না করে কিছু টেকা পয়সা দিলে তো এমনিতেই শুরু করে দেই
টেকাপয়সাটা ঠিক কীজইন্যে? ঠিক কী শুরু করতে চান বস?
![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
লুলাবর্ষ কেন? 'লীলেন' থেকে লুলা?
আপনার অপ্রকাশিত 'জঞ্জাল' থেকে কয়েক পাতা করে আমাকে দিয়েন মাঝে মাঝে। নিজের নামে চালায়া দেব।
অনেকদিন পর ফিরলেন। ভাল লাগছে।
লীলেন থেকে লুলা না
হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা জিওগ্রাফি পাল্টাইয়া গেলে তারে লুলা কয়
০২
অপ্রকাশিত লেখা দান করা নিষেধ তয় বিক্রয়যোগ্য
০২
কতো করে কেজি?![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বস্ লিখা লাগবো না। এজেন্সিও ধরা লাগবো না ... .... ইদানিং ভয়েস থেকে সরাসরি লেখার সফটওয়্যার বের হয়েছে .... মাইক্রোফোনে খালি বলে যাবেন, কম্পিউটারে লিখবো ... অবশ্য বাংলা লিখার জন্য কিছু কাস্টমাইজেশন করায় নিতে হবে (আমার ধারণা সচলায়তনেই এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারার মত কামেল সচল আছেন) ... আপনে খালি যথারীতি প্রুফ রিডিং করবেন ...![চোখ টিপি চোখ টিপি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/3.gif)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ওই সফটওয়ারটা কই বলেন তো?
অনেক খুঁজালাম কিন্তু পাই নাতো
আর আপনি ফোন করলে ফোন ধরেন না কেন?
(আমি ফোনে টাকা ধার চাই না। সামনা সামনি চাইতে পারি)
এখনই ফোন করছি আপনাকে
আগের সেটটা অনেক সার্কাস দেখিয়ে গত পরশুর আগের দিন ঘুমিয়ে পড়লো। তাই গতকাল একটা নতুন এবং সস্তা (ছিনতাইকারীদের জন্য) সেট কিনলাম। ফোন করলে আর ছাড়াছাড়ি নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আপনার লেখার স্টাইল আর বক্তব্য আমার দারুন লাগে। বহুদিন আগে থেকেই ফলো করি আপনাকে। সুতরাং এত আজিরা প্যাঁচাল না পাইড়া লিখতে থাকেন লিলেন ভাই, আমরাও পড়তে থাকবো!
*
গোলামকেন্দ্র, গোলামি, গোলামগৃহ। হেহ হেহ। পারেনও!
*
মাঝখানে তো কারেন্টের অবস্থার বেশ উন্নতি হইছিলরে ভাই। তখন লেখা দিতে ফাঁকিবাজি করলেন কিল্লাই?!
ফাঁকিবাজি একখান ক্রিয়েটিভ কাম
তাই একটু কর্তে মঞ্চায় যে...
লীলেন ভাইয়ের লেখা আরও নিয়মিত পড়তে চাই...
- ফাঁকিবাজী কইরেন না বস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন