• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

নৈমিত্তিক

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১০/২০০৯ - ১২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেয়েটি বাসের রুট চেনে না। শহরের সবচেয়ে বড়ো ক্রসিংটা দুতিনবার এদিক সেদিক পার হয়- এই ট্যাক্সি...

অফিস দৌড়ের সকালে যে দুয়েকটা ট্যাক্সি ফাঁকা তারা কেউ তার গন্তব্যে যেতে রাজি নয়। ঘড়ি দেখে আর চারপাশ তাকায় মেয়েটি। খটখটে রোদে এসএমএস করে কোথাও...

রিকশাওয়ালাটা অনেকক্ষণ ধরে দেখছিল তাকে- আপা কই যাবেন?
- অমুকখানে
- চলেন

রিকশা গলির ভেতরে ঢুকে গেলে সে জানতে পায়- মেইন রোডে রিকশা চলে না তাই আপনেরে অন্যপথে নিয়ে যাই...

- তাড়াতাড়ি ভাই

গলি থেকে গলিতে রিকশা চলে। মানুষ গাড়ি ঠেলার ফাঁকে রিকশা চলে। মেয়েটা সময় দেখে আর পরিচিত রাস্তা খোঁজে। পরিচিত রাস্তা দেখলে হিসেব করা যাবে কতক্ষণ লাগতে পারে পৌঁছাতে...

রিকশাটা একটা কাঁচা বাজারের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে মানুষ হাঁটুরে গাড়ি আর সিগন্যাল কিংবা ট্রাফিকজ্যামের ভেতর। দাঁড়িয়ে থাকে। ঠিক এক জায়গায় অনেকক্ষণ। আমরা তাকে দেখি। চলবে মনে হয়। কিন্তু তবুও পরীক্ষা করা দরকার...

আমাদের একজন রাস্তা থেকে সবজির টুকরা কুড়িয়ে কুচি কুচি করে। রিকশার পাশ দিয়ে যেতে যেতে ফুল ছিটানোর মতো করে ছড়িয়ে দেয় তার উপর। কাজল দেয়া চোখ বড়ো বড়ো করে মেয়েটি তাকায়। কিচ্ছু বলে না। তার মানে ফিফটি ফিফটি। না হলে একটা চিৎকার কিংবা গালাগালি দিতো...

রিকশাটা দাঁড়িয়ে থাকে। মেয়েটা কোথাও ফোন করে। ফোনের ভাবও হতে পারে। দাম বাড়ানোর টেকনিক। আমাদের আরেকজন তার রিকশার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়- আমি কি উঠব?

কোনো শব্দ নেই। ফোনটা রেখে দিয়ে তাকায়। আমাদেরজন আবার বলে- আমি কি পাশে উঠব?

মেয়েটা সামনের পুলিশের গাড়ি দেখায়- আমি কিন্তু পুলিশ ডাকব
- হাঃ হাঃ হাঃ পুরাপুরি লাইনের জিনিস। বেশি রেটের সিগন্যাল দিলো...

আমাদেরজন পাল্টা সিগন্যাল দেয়- আমাকে একা মনে করার কারণ নেই। আরো ছয় সাতজন আছে

বেলাইনের লোক হলে বুঝবে শক্তি আর লাইনের লোক হলে বুঝবে কতজন সামলাতে হবে

মেয়েটা কিচ্ছু বলে না। রিকশাকে তাড়া দেয়- তাড়াতাড়ি যান

এইটাও দাম বাড়ানোর টেকনিক। পাত্তা না দিয়ে পকেটের টাকা মেপে নেয়া

রিকশা নড়ার এক ইঞ্চি জায়গা না থাকলেও সে আবার রিকশাওয়ালাকে তাড়া দেয়- তাড়াতাড়ি যান

এবার আমরাও সবাই মিলে রিকশাটাকে ঠেলতে থাকি- তাড়াতাড়ি। তাড়াতাড়ি। তাড়াতাড়ি যান...

রিকশার চাকা দুয়েক চক্কর আগায়। আবার দাঁড়ায়। আমরাও পেছন পেছন হাঁটি। রিকশা ঠেলতে থাকি। দেখা যাক নিজে থেকে কোনো রেট বলে কি না
- ভাই আপনার যাওয়া লাগবে না। আমাকে মেইনরোড পর্যন্ত নিয়ে যান

রিকশাওয়ালাকেই বলে

- আরে বাবা বলবি তো কত চাস? কিংবা কয়জন পর্যন্ত সামলাতে পারবি সেইটাও বল...

কিন্তু কিচ্ছু বলে না। সিগন্যাল ছোটে। রিকশা ঘোরে। বুঝতে পারছি না কী বলতে চায়। আমরাও রিকশা ধরে পেছন পেছন যাই
- এই ট্যাক্সি অমুকখানে যাবেন?
- না
- ডবল ভাড়া দেবো। চলেন

- আরেব্বাইস। ডাবল ভাড়ায় ট্যাক্সিতে উঠে পড়ল? তাহলে কি আমাদেরকে ট্যাক্সিতে করে নিয়ে যাবে?

আমরা ট্যাক্সি ধরে দাঁড়িয়ে থাকি। ট্যাক্সিওয়ালা আমাদের দিকে তাকায়। এবার একটা চিৎকার শুনি। একটানে ট্যাক্সি বের হয়ে চলে যায় আর আমরা বুঝে যাই বেলাইনের জিনিস। টাকা লাগতো না। ধরে নিয়ে গেলেই হতো...

০২

- গুডমর্নিং এভরিবডি..
- গুডমর্নিং গুডমর্নিং গুডমর্নিং...

সবাইকে ফর্মাবাঁধা হাসি আর সম্বোধন দিয়ে আমাদের সাথেই হাজিরা খাতায় সই করে মেয়েটি। কোথাও কিছুই ঘটেনি আজ। ঠিক টাইমেই অফিসে এসেছে সে...

২০০৯.১০.১২ সোমবার


মন্তব্য

পলাশ দত্ত এর ছবি

ভেজাইল্লা লেখা লীলেন ভাই। শেষে কী একটা প্যাচ দিছেন।

বাংলার স্বাধীন পুরুষটির শেষ স্বাধীন জন্মদিনে শুভেচ্ছা। ডাইরেক্ট।
:)
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

রণদীপম বসু এর ছবি

আসলেই তো ভেজাইল্যা লোক দেখি !

কেমনে কেমনে কী কইরা জানি কী একটা ভেজাল লাগাইয়া দিছে !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এস, কে, নির্ভানা এর ছবি

বুঝলাম বখাটের উত্পাত । ভাল হয়েছে গল্প ।

নির্ভানা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মেহদী হাসান খান এর ছবি

এবার বুঝলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

দারুণ লাগলো গল্প।

সাফি এর ছবি

খাসা!

অবাঞ্ছিত এর ছবি

সেইরকম লাগলো। :)
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মাথা ঘুরতাসে, এইডা কি লিখলেন ভাইজান? :S

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মাথা ঘুরবে কি, বুঝলাম না তো কিছুই (বিব্রত)

স্নিগ্ধা এর ছবি

'গল্প'ভালো লাগলো, পড়ে খারাপও লাগলো অবশ্য ......

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চমৎকার লাগলো!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের সমাজ কি আপনার গল্পের মতন এমনই চমৎকার রকমের বাজে হয়ে গেছে। হয়ে গেলে সমাধান পদ্ধতি নিয়েও লিখুন।
এস হোসাইন

-------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মূখ।"

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বহু আগে সমাধানের পদ্ধতি জেনেছিল আমাদের একজন
মানুষ খুন করার দায়ে সে এখন জাবজ্জীবন জেলে

সমাধানের পদ্ধতি জানার যোগ্যতা কিংবা সাহস কোনোটাই হয়ে উঠেনি বলে আমি এখনও বাড়িতে বসে পিসির কীবোর্ড টিপি....

অতিথি লেখক এর ছবি

--আরিফুল হোসেন

শেষের প্যাচটা ভালোই লাগল। "কিছুই হয় নি, কিছুই ঘটে নি"

প্রথম পুরুষের পাব্লিকগুলা বেশ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

গল্প পড়ে তাব্দা খাইলাম ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লীলেন প্রায়ই যে অভিযোগটা করেন তা হচ্ছে পাঠকরা তার লেখার গঠনমূলক সমালোচনা না করে প্রশংসা/বদনাম করেন; তার লেখার সীমাবদ্ধতা, ফাঁক-ফোকর নিয়ে কেউ কোন কথা বলেন না। আমার প্রশ্ন লীলেন কেন "ক্যাটেগরী: ব্লগরব্লগর | হাবিজাবি" দেন? তাহলে পাঠক কীকরে বুঝবেন এটা কি গল্প, নাকি গদ্য কবিতা, নাকি প্রবন্ধ, নাকি উপন্যাসের অংশ? পাঠক যদি জিনিষটা কী তাই বুঝতে না পারেন তা হলে লীলেনের লেখাকে কিভাবে বিচার-বিশ্লেষন করবেন?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একেবারে মনের কথাটাই বলে দিলেন। এটা যে বলতে চাইছিলাম সেটাও বুঝতে পারছিলাম না :)

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পাণ্ডব স্যার
আমার মধ্যে কিছু পুরোনো গোঁড়ামি আছে যে এখনও
এখনও যে আমি মনে করি পাঠক যদি পড়েই বুঝতে না পারে এইটা কী বস্তু তাহলে তার ব্যর্থতা পুরোটাই লেখকের

ইহা একখানা কবিতা কিংবা ইহা হয় গল্প এইটা বোধহয় লেখকের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না

তাই আমার পুরো আবর্জনাগুলোকেই হাবিজাবি নামে চালাই

কবিতা গল্প ইতিহাস কিছু না হোক
লেখা তো হলো?

০২

আর পাঠকের মতামত যে ভাবেই আসুক
পুরোটাই কিন্তু লেখককে প্লাস করে
গল্পের জন্য দেয়া মতামত যেমন কবিতায় কাজ করে তেমনি কবিতার জন্য দেয়া মতামতও কাজ করে গল্পে

সুতরাং আমার জন্য আসা সবগুলো মতামতই আমার লেখার জন্য
এরকম করেই ভাবি আমি

০৩

তবে মাঝে মাঝে প্রসংশার বন্যা দেখলে ভয় লাগে
এই না ভেসে গেলাম। এই না থেমে গেলাম
কারণ প্রসংশা করতে করতেই আমরা বহু মানুষকে থামিয়ে দিয়েছি
যতটা না থামানো গেছে কাউকে গালাগালি করে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া ভালো লাগল।
ধন্যবাদ।
দলছুট।

অনীক আন্দালিব এর ছবি

"আমাদের" সাথে "মেয়ে"টির কথোপকথনের মাঝে যে ব্যাখ্যাগুলো, সেটি না দিলে কেমন হতো ভাবছি। যেহেতু সংলাপ বা দৃশ্য দিয়েই বর্ণনা করছেন, সেখানে সংলাপ বা দৃশ্যের বাইরে কথার দরকার আছে কি?
এটা ছাড়া গল্পের বুনন চমৎকার। আশেপাশের পরিবেশ এমন পরিচিত, এই "আমাদের" চেহারা আর উক্তিগুলো এতো বাস্তব যে চমকেই যাচ্ছি! সুপার্ব!

নৈষাদ এর ছবি

কত চমৎকার করে কঠিন একটা ঘটনা লিখলেন। ... একজনকে জানি, বাস্তবেই কাছাকাছি অভিজ্ঞতা হয়েছিল...।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দারুণ লেখা- চমৎকার একটা টুইস্ট দিয়েছেন। ... সমালোচনা হচ্ছে এটা হাবিজাবি বা ব্লগরব্লগর নয়; একটা চমৎকার ছোটগল্প।
(y)

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভাইজান হাবিজাবি শব্দটা আমার লেখার ব্রান্ড নেম
আর ব্লগর ব্লগরটা অটোমেটিক চলে আসে

সচল নির্মাতারা এইটারে বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ রাখলে এইটা দিতাম না আমি

মূলত পাঠক এর ছবি

ক্যাটেগোরি-তে একটা মিনিমাম বাছতে হয়, এবং ডিফল্টে ব্লগরব্লগর দেওয়া থাকে, কিন্তু আপনি যদি অন্য কিছু বেছে নেন (যেমন ধরুন দিনপঞ্জি) তাহলে ব্লগরব্লগর'টা চলে যাবে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সচল হইলে তারাইতাম। আপাতত দাঁড়াইসি।
: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মাথার উপর দিয়া গেছে লীলেন ভাই। বুঝি নাই। আপনে একজন ব্যর্থ লেখক। :D
................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার এর ছবি

এই না হলে লীলেন! খুব ভালো লেগেছে। এই মোচড়টাই তোর নিজস্বতা। আমার এটা ভালো লেগেছে। এই যে অনেক পাঠকের গা ঘিনঘিন করে উঠল, কারো অভ্যস্ত পঠনে ঘা দিয়ে গেল। এখানেই সার্থকতা। আমাদের জীবন, আর আমাদের সাজানো গোছানো ভার্চুয়াল-জীবনের মধ্যে একটা মুখোমুখি সংঘর্ষ হল। এটাই এই লেখার সাফল্য। সচলে এসে লাভ হল, তোর লেখা নিয়মিত পড়তে পারব। আর বিপদ হল, মাঝে মাঝেই আমারও লিখতে ইচ্ছে করছে। সর্বনাশ হবে সেদিন, যেদিন আমি সত্যিই বিশ্বাস করব, আমিও লিখতে পারি।

রণদীপম বসু এর ছবি

সর্বনাশ হবে সেদিন, যেদিন আমি সত্যিই বিশ্বাস করব, আমিও লিখতে পারি।

(y)
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কল্পনা আক্তার এর ছবি

ভালো খারাপ দুটোই লাগলো।

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

জুয়েইরিযাহ মউ [অতিথি] এর ছবি

‌‌‌‌আমাদেরজন, আমাদের আরেকজন - এই প্রকাশভঙ্গিগুলো দারুণ লাগলো।

আল আমিন এর ছবি

মন্ত‍‌‍ব্য করার খায়েস বা চাপ কোনটাই নেই যোগ্যতা ও।মাহবুব লীলেনের উপস্থিতি টের পেলেই তাঁর সামনে আমার Face টা তোলে ধরার সুযোগ সহজে নস্ট করিনা।এখানে ও নজরে পড়তে উৎকৃষ্ট স্থান হিসেবে মন্ত্বব্য কলামে বসে পরলাম।লেখা পরলাম, বুঝিনি,কি করে বুঝব,দেখে দেখে বাংলা পরতে পারলেই তো সব বুঝা যায়না।তার পর ও এমনি এমনি তো অতো বড় হইনি!কিছুটা হলে ও তো বুঝি!!।আসলে ম্যাডামকে আমরা চিনতে পারিনি,কি করে চিনব বলুন?এরকম মেয়েরা কি এভাবে বের হয়?শালার গাড়ী ও নষ্ট হবার সময় পেলনা,ম্যাডামের বন্ধুদের কারো গাড়ী ছিলনা? দেখলেনতো ম্যাডাম কিন্ত একেবারেই ভয় পাননি,কেন পাবে?ম্যাডামের ভয় তো অনেক আগেই বাঘে খাইছেরে।যাই হোক আমাদের সাপে ভয় আছে ম্যাডামের ও,তাই বেশি খুরতে গেলামনা।তাছাড়া কারোতো কোনো দোষ দেখছিনা উনি তাল তলার আর আমরা বেল তলার এই যা,আমরা তো মাহবুব লীলেনের মতো ছাউনি তলা বা শেওড়া তলার কেউ না।

মাঝে মাঝে না মনে হয় আমি আর মাহবুব লীলেন তো একই জিনিষ,উনি লেখালেখি করেন,আমি ও লিখি! আমি উত্তর পত্রে লিখি আর উনি পাঠ,প্রশ্ন,নম্বর লিখেন এই যা!
আপনি দেখেন লেখেন আমরা ও দেখি, রিক্সা চালক ও দেখলো,নিয়ে গেল সবজি বাজারে আপনি আনলেন মানুষের সামনে।

anyway,ক্যাটাগরীর ব্যপারে আমাদের পাঠকদের বুঝতে হবে যে,শিল্পির লেখা বুদ্বা পাঠকদের কাছে নিজের পকেটের টাকার মতো,আমি তোলনা করছি না।

একটা নকল মারি,
জীবনে যা কিছু হয়েছে হিতকর,অর্ধেক তার করিয়াছি নিজে অর্ধেক তার পর।

মধুবন্তী (মেঘ)  [অতিথি লেখক] এর ছবি

লীলেন, আপনার লেখা কম পড়া হয় সচলে এতদিন রেগুলার ছিলাম না বলে.. এর আগেও অতি চমৎকার একটা গল্প "ইকো পার্ক" পড়ে বেশ ঝাঁকুনি খেয়েছিলাম। আজকের টুইস্টটাও দারুণ।

দ্রোহী এর ছবি

কী অসাধারণ!

আপনার মতো করে যদি লিখতে পারতাম!!!!!!!

অতিথি লেখক এর ছবি

রিকশা গলির ভেতরে ঢুকে গেলে সে জানতে পায়- মেইন রোডে রিকশা চলে না তাই আপনেরে অন্যপথে নিয়ে যাই...

ভেবেছিলাম রিকশাওলা মামাই কিছু একটা ঘটায়া ফেলবে...হি হি হি :)
অনেক মজা পাইলাম।

ভন্ড_মানব
একজন বেলাইনের লোক(!)

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

লুলাবর্ষ নিয়ে আর নিশ্চয়ই লিখতে হবে না আপনাকে তাই না স্যার?
আপনি বিরক্ত হবেন কি না জানি না তবে শুধু একজন সাধরণ পাঠকের সাধারণ কৌতুহল থেকে জানতে চাইছি-

গুডমর্নিং এভরিবডি..
- গুডমর্নিং গুডমর্নিং গুডমর্নিং...

সবাইকে ফর্মাবাঁধা হাসি আর সম্বোধন দিয়ে আমাদের সাথেই হাজিরা খাতায় সই করে মেয়েটি। কোথাও কিছুই ঘটেনি আজ।


গল্পটা নৈমিত্তিক বলেই কি কেউ কাউকে চিনেও চিনতে চাইল না?
নাকি পুরোটাই দুর্ঘটনা?

স্বাধীন এর ছবি

গল্প অসাধারণ হয়েছে।
ছোট্ট একটু অভিমত।

আমরা বুঝে যাই বেলাইনের জিনিস।

এই বাক্যেই সব বলা হয়ে গিয়েছিল। তাই
টাকা লাগতো না। ধরে নিয়ে গেলেই হতো...
, এই দু'টো বাক্য আমার কাছে না হলেও চলতো। শেষ বাক্য দু'টোর মতই কি সমাজের অবস্থা, সেটা চিন্তা করছি। আমারতো মনে হয় এখনো অতটা খারাপ হয়নি।

দুর্দান্ত এর ছবি

সব গল্প বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে তা তো নয়। ভাল লেখা বলেই কিছুটা বুজেছি। তাই হয়তো চাইছিলাম বিশ্বাস করে ফেলি, কিন্তু একটা খটকা লাগলো, যে মেয়ের গাড়ী আছে বা রোজ ট্যাক্সিতে যাতায়ত হয়, তার অফিসে কি হাজিরা খাতার প্রচলন থাকবে?

শেষ লাইনগুলিতে 'আমরা' দিয়ে আমি বুঝলাম বাজারের বখাটেরাও পুরুষ, আর মেয়েটার সহকর্মীরাও পুরুষ। শুধু পরিস্থিতির হেরফেরে আচরনের হেরফের হয়। এটা ভাল লেগেছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।