এক সময় দৌড়ের উপরে মাথায় কোনো আউলা চিন্তা এলেই কাগজে টুকে রাখতাম পরে গুছিয়ে কিছু লিখব বলে। তারপর শুরু করলাম কম্পুতে নোট নেয়া। তারপর গত দুই বছর ধরে সেই নোটগুলো ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লেখা শুরু করলাম। তারপর তাকিয়ে দেখি কাগজে- কম্পুতে- নেটে হাজারে হাজারে নোট কিন্তু কিছুই আর গোছানো হয়নি। লেখাও হয়নি কিছুই। হওয়ারও সম্ভাবনা নেই
এবং তারপর হঠাৎ খেয়াল করলাম- এক লাইনেই যদি যা বলার তা বলে দেয়া যায় তবে হাজার লাইন লেখার দরকারটাই কী?
সেই চিন্তা থেকেই এবার একটা পকেট সাইজ এক লাইনের সংকলন বের করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। এবং সেই বইয়ের প্রাথমিক বাছাই পুরোটাই এখানে তুলে দিলাম। পুরো ধারণা এবং লাইনগুলো একবার পরীক্ষা করে নেয়ার আশায়
০২
স্পর্শ দিয়ে আটকানো যায় না যাকে; কামড় দিয়ে আটকে কীসের লাভ?
০৩
ছেড়ে চলে এলেও ফেলে আসা যায় কি অন্তরে লেগে থাকা কোনো এক মানুষের দাগ?
০৪
ঘর থেকে তাকে বাইরে এনে পথ দেখ বলে আমি ঢুকে যাই ঘরে
০৫
দূরে থাকা মানুষ কাছে এলে হয়ে উঠে কাছে থাকা এক দূরের মানুষ
০৬
ভালোবাসা মূলত পরস্পরের পিঠ চুলকানোর মতো একঘেয়ে এক পুরোনো কৌশল
০৭
যাকে বলিনি সে নাহয় জানেনি কিন্তু যে বলেনি সে তো জানে সেই কথাটি জানা হয়নি আমার...
০৮
গণিত প্রশ্ন দিয়ে শুরু হয়ে উত্তরে শেষ হয় আর ভালোবাসা উত্তর দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হয় প্রশ্নে...
০৯
কুত্তার মতো ঘেউ ঘেউ না করলে ভালোবাসাও বোঝে না মানুষ
১০
এক জায়গার অসহায়ত্ব অন্য জায়গায় অভিমান হয়ে রক্ত ঝরায় অন্য কারো বুকে
১১
স্বপ্নে যে ফুলবাগানের মালি দুঃস্বপ্নে সে ফুলখোর ছাগল আর বাস্তবে সে মালিকে ক্রসফায়ার করা ঠোলা
১২
কিছু মানুষ কাছে থাকলে গায়ে জ্বলে আর দূরে গেলে মোচড়ায় কইলজা
১৩
প্রতিদিন দেখা হওয়া মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা এক অসম্ভব কাজ
১৪
কার পাশে বসে কে কার কথা ভাবে আর কার দিকে তাকিয়ে কে হাসে কার নামে; জানে কেউ?
১৫
যে কোনো সময় যে আসতে পারে তার জন্য অপেক্ষা করে না কেউ
১৬
বদলে যাওয়া মানুষ কষ্ট বাড়ায় আর বদলাতে না পারা মানুষ বাড়ায় বিরক্তি
১৭
সময়মতো গুডবাই না বললে কিছু সম্পর্ক ক্যান্সার হয়ে যায়...
১৮
হাজার পূর্ণিমাকে অমাবস্যা বানাতে যথেষ্ট একটা না-পড়া দীর্ঘশ্বাস
১৯
মাঠের ঘন-ঠান্ডায় নিজের শরীর পেতে দিয়ে পথনারী উষ্ণতা বিলায় অন্যের দেহে
২০
কোনো কিছুই আটকাতে পারে না বলে দুর্বলরা উদার হয় আর যে কোনো কিছুর বল্গা টানতে পারে বলে উদার হয় সবলরা
২১
অন্ধকে দেখিয়ে আর বধিরকে শুনিয়ে শেষ হয় সবাক চলচ্চিত্রের দৈনিক প্রিভিউ
২২
কেউ গায়ে বাতাস লাগায় আর কারো গায়ে লাগে বাতাসের আঁচ
২৩
তালাবদ্ধ দরজায়ও মাঝে মাঝে নক করে মানুষ। পোড়া বাড়িতেও হাঁক দিয়ে আশা করে সাড়া
২৪
ঘর থেকে পালিয়ে যায় অন্য এক ঘরে; বন থেকে পালিয়ে অন্য বন; তবে পালানোটা কেন দরকার হয়?
২৫
পথ দেখাতে দেখাতে পথ নিয়ে যায় অন্যপথের ধারে। পথ চেনাতে চেনাতে চিনিয়ে দেয় ভুল পথের মুখ
২৬
যত পথ হাঁটি না জেনেই হাঁটি; কিছুদূর হেঁটে দেখি বেশি তার ভুল কিছুটা সঠিক; আবার না জেনেই হাঁটার আগে বলি- হে আমার অখণ্ড অতীত; পুনর্জন্মে আমি সেই দুঃসাহসী ভুলগুলোই করব আবার...
২৭
শত্রুর হাতে ছোরা দিয়ে বলি ভদ্রতা বজায় রেখেন...
২৮
ধীরে কাঁদো চোখ। অনেক জল ফেলতে হবে আরো
২৯
ঘর মানে বালির উপর পায়ের নখ দিয়ে টানা এক অস্পষ্ট রেখা
৩০
দেশের দাবি ছেড়ে দিলেও ছোট ছোট নিজস্ব দ্বীপের দাবি ছাড়ে না মানুষ
৩১
ভেতরে বাইরে যে কাঁদে তার চোখ শুকনোই থাকে
৩২
ভেসে যাবার প্লান করে তলিয়ে যাই আর তলিয়ে যেতে যেতে আটকে যাই কাদায়....
৩৩
যাওয়া আর ফিরে যাওয়ার মাঝে থাকে হতাশার ফারাক
৩৪
যে বস্তু বাজারে বিকায় না সেই বস্তুকেই বণিকেরা নিলামে উঠায়
৩৫
ছুটতে ছুটতেই শেষ হয়ে যায় ছুটি পেলেই ছুট দেবার দিন
৩৬
শরীরে জ্বর হলে মাথায় পানি দেয় কিন্তু মগজের জ্বরে কোথায় পানি দেবার নিয়ম?
৩৭
পাতালে গিয়েও কেউ কেউ করে পতনের ভয়
৩৮
মোবাইল ক্যামেরায় ফ্লাশ জ্বালিয়ে তুলি কৃষ্ণপক্ষ চাঁদের ছবি...
৩৯
নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেয়ে ক্লান্তিকর হতভাগ্য আর কিছু নেই
৪০
কান্না এক ধরনের দৃষ্টি আকর্ষণের কৌশল
৪১
কাদার মধ্যে সিকি খুঁজতে গিয়ে আধুলি হারাই
৪২
বাড়ি ভাঙে বাইরে থেকে আর ভেতর থেকে ঘর
৪৩
যে ঠকে সেও কাউকে না কাউকে ঠকায়...
৪৪
গৃহহীন আর গৃহছাড়াকে মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলে মানুষ
৪৫
অভিমান এক ধরনের দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল
৪৬
যে চাষা বিক্রি জানে না তার ফসল জমিতেই পচে...
মন্তব্য
প্রবাদের মতন লাগে যেন!
তবে ৪৬ নম্বরটায় মনে হয় আরেকটা সম্ভাবনা আছে, চোরে নিতে পারে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জিনিসটা আমিও খেয়াল করলাম
বাংলায় স্টেটমেন্ট আকারে কিছু বললে তা অনেকটা প্রবাদের মতো হয়ে যায়
অথবা এক কথায় প্রকাশিত ভাবগুলোকেই মূলত বাংলায় প্রবাদ কিংবা ডাকের কথা কিংবা বচন বলে
হয়ত এগুলোও তাই
০২
চোরে নেবার কথাটা সৈয়দ হক বলে দিয়েছেন তার ঈর্ষা নাটকে
আরো কয়ডা যোগ করেন... ভালোই তো লাগতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাছাই করলাম এই কয়টা
এর মধ্যে ২৫-৩০টা দিয়ে সংকলন করব চিন্তা করছি
যোগ করার মতো স্টক আর নাই আপাতত
তবে পুরানা নোট খুঁজে হয়ত আরো কিছু পাওয়া যাবে
লীলেন ভাই, ফেসবুকে আগেই পড়েছি, কয়েকটা বাদে।
১-৪৬ পর্যন্ত, কয়েকটা বাদে বাকীগুলো একদিন কোথায় গিয়ে ঠাঁই পাবে, তা কিছুটা বুঝতে পারছি।
তবে,
৪৫ নম্বরটার কথা বলি, অভিমান কিন্তু আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে বেড় হওয়া কিছুকে বুঝি। অবশ্য
৪০ টা এরকম হলেও কিন্তু ১০০% সত্য।
তোমার কথায় এখন মনে হচ্ছে অভিমান শব্দটার উপর অবিচার করা হয়ে গেছে। এবং অর্থটাকে ছোট করে ফেলা হয়ে গেছে
বাদ দিয়ে দেবো ওটা
০২
বাকিগুলো সম্পর্কেও তোমার মতামত জানাও
ব্লগকে মনে হচ্ছে বৃষ্টিভেজা এটেল মাটির উঠোনের মতো। সাবধানে হাঁটতে হয়।
তোমার কথায় এখন মনে হচ্ছে অভিমান শব্দটার উপর অবিচার করা হয়ে গেছে। এবং অর্থটাকে ছোট করে ফেলা হয়ে গেছে
বাদ দিয়ে দেবো ওটা বাদ দিবেন কেনো।
এই দেখেন শুভাসীষ দাশ কী বলেছেন, সব ভালু পাইলাম আর পঁয়তাল্লিশ বেশি ভালু পাইলাম।
একটু ব্যাখ্যা করি আমার কথার,
মনে করুন, আমার বিয়েতে আপনাকে দাওয়াত করলাম, আপনি আসলেননা, আমার উচিৎ ছিল বিয়ের আগের দিন ফোন করে আপনাকে আবার মনে করিয়ে দেওয়া, কিন্তু আমি করিনি, বিয়ের পর যখন আপনার সাথে দেখা হলো, তখন আমার ফোনের দায়িত্ব এড়াতে যে রাগ প্রকাশ করলাম আপনার সাথে, সেটা দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল। যেটা আমরা হামিং বার্ডের পাখা নাড়ানোর মতো সেকেন্ডে ৮০বার করি। এটাকে আমি অভিমান বলিনা।
বরং
যাকে সবাই আমার বন্ধু বলে জানে, অথচ তাকে আমি বন্ধু বলে ডাক দেইনা। এমন প্রিয় কেউ যদি এরকম কোনো অনুষ্ঠানে না আসে, আর তার না আসাতে আমি রাগ করার পরও তা প্রকাশ করতে চাইনা(যদিও প্রকাশ হয়ে যায়)। ওটাকেই আমি অভিমান বলি।
তাই আমি বলতে পারি যে, "অভিমান প্রকাশ করা দায়িত্ব এড়ানোর একটা কৌশল"
বেশি মাতিলিছি!
সবগুলা স্ট্যাটাস দিতে মঞ্চায়
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মুই তো মোর স্ট্যাসারেথনই আনলাম
আমনে আবার স্ট্যাটাসে নিবেন?
পিতিমিটা গুল
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভালোই তবে "বাড়ি ভাঙে বাইরে থেকে আর ভেতর থেকে ঘর" এইরকমই একটা বচন আছে খনার।
...........................
Every Picture Tells a Story
খনার এরকম বচনের বিষয়টা চোখে পড়েনি
চেক করে দেখব
থাকলে বাদ দিয়ে দেবো স্যার
সেইরকম হইছে, আরো কিছু যোগ করে সংকলন বের করেন।
------------------------------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
যোগ করা যে কঠিন স্যার
আছে আরো অনেক। কিন্তু তার বেশিরভাগই ব্যক্তিপর্যায়ের সিদ্ধান্ত কিংবা বিশ্বারের মতো
যেগুলোর অর্থ অন্যের কাছে একেবারেই ভিন্ন হতে পারে
সেজন্য সেগুলো বাদ দিয়েছি
তবে বইটাতে আপাতত ২৫-৩০টার বেশি দেবার ইচ্ছা নেই
কম কথাতেই যখন বলার চেষ্টা করলাম তখন আর কথা বাড়িয়ে লাভ কী?
আপনার এই আইডিয়াটা এক কথায় অসাধারন!
প্রতিটা বাক্যের মধ্যেই ভাবনার প্রচুর খোরাক রয়েছে।
সিদ্ধান্তের মতো যে বাক্যগুলো সেখানে কোথাও কোথাও দ্বিমত থাকতে পারে।
সেগুলো হয়ত আপনার জন্য প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে। চাইতে আলোচনা হতে পারে, না চাইলে নাই। আপাতত সে আলোচনায় যাচ্ছি না।
আরেকটা বিষয় - যা কিছু ভেবে বাক্য গুলো তৈরী করা পাঠকদের মতামতে পরিবর্তন করতে গেলে কি সে ভাবটা হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকবে না?
ভিন্ন প্রসঙ্গ:
এবার কি স্যার সংক্ষেপে কাজ সারতে চাচ্ছেন?
যাই হোক, নতুন চমকের অপেক্ষায় থাকলাম।
আলোচনার জন্যই তো দিলাম
পাঠকের মতামতে ভাব হারিয়ে না গিয়ে আরো গভীরও তো হতে পারে
দেন তো। কী মতামত আপনার
০২
সংক্ষেপে কাজ সারছি না
কবিতা লিখতে পারি না আর কিংবা আর কবিতা হয় না বলে কবিতার বই হচ্ছে না
কিন্তু একটা গল্পের বই বের হবে এটার সাথে
১. যতদূর মনে পড়ে ২,৪,২০ নং স্ট্যাটাস এর বাক্য মূলটাই ভাল ছিল।
২. ১৩,১৭,২০নং এর বাক্যগুলো খুব একপেশে, চরম আর জেনারেলাইজ করে বলা মনে হয়।
যেমন১৩ নং এ কৃতজ্ঞ থাকাটা শুধু প্রতিদিনের দেখা হওয়ার কারণে শেষ হয়ে যাওয়াটা বিশেষ কোন কারণে সত্য হলেও সাধারণ ভাবে মেনে নেয়াটা বেশ কষ্টকর। হয়ত আচরণে কিছু সীমারেখা বজায় থাকলে উভয় পক্ষের মধ্যে জটিলতা থাকে না।
১৭ নংটা বেশ রূঢ় শোনাচ্ছে। এটাও খুব চরম সিদ্ধান্তের মতো । ক্যান্সার না হওয়ার জন্য গুডবাই বলতে হবে! তারপর গুডবাইয়ের যন্ত্রনা কি একটুও মনকে পোড়াবে না? সম্পর্ককে কত আদর-যত্ন দিয়ে লালন করতে হয়। সেটা কে ক্যান্সার পর্যন্ত গড়াতে দেয়া কিংবা তার আগে গুডবাই বলা কেমন যেন ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা মনে হয়। আমি আসলে সম্পর্কের দুদিকে মানুষের এত চরম অবস্থানে থাকার পক্ষপাতী না। অনেকের মধ্যে ভাল সম্পর্ক আজীবন টিকে আছে দেখা যায়। তাই যে কোন সম্পর্ক ভাল রাখার কোন উপায় দিতে পারলে ভাল হয়।
২০ নং টার বাক্যের চেয়ে ও মূলটা অনেক ভাল লেগেছিল। যদি ও
অসম্পূর্ন মনে হয় কারণ দুর্বল আর সবল ছাড়াও আর ও এক শ্রেনী থাকে যাদের অনেক সীমাব্দ্ধতা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই তারা উদার। রুচি বা মানসিকতা যাই বলেন এগুলোই তাদের এসব সবল দুর্বলের শ্রেণী থেকে আলাদা করে রাখে। কোন কিছু আটকাতে পারা বা না পারা তাদের জন্য বিষয় নয়।তাদের কথা ভাববেন না? আর সবল /দুর্বল ? এটাও তো আপেক্ষিক। কেউ পুরোপুরি সবল বা দুর্বল হতে পারে না।
২৪ নং বাক্যটা নিয়ে আর একবার ভাবা যায়?
৪০, ৪৩ ও চরম সিদ্ধান্তের মতো শোনায়।
কান্না ও অভিমানের মতো ভেতর থেকে উঠে আসা কোন গভীর অনুভূতির প্রকাশ। কখনো কখনো কেউ এটাকে কাজে লাগায়। তবে এটাকে এত খন্ডিত করে দেখলে বিষয়টাই যে গুরুত্বহীন হয়ে যায়।
আর ৪৩? কত মানুষ অন্যকে না ঠকিয়ে ও নিজে ঠকে যায় । হয়ত সে যার কাছে ঠকে সে অন্য কারো কাছে ঠকেছিল। মাঝপথে নিরপরাধ জন আরেকজনের অপরাধের শাস্তি ভোগ করে নিজে অপরাধী না হয়ে ও।কাজেই এটাও এখানে মানানসই মনে হচ্ছে না।
তাই বলছিলাম,মাঝামাঝি কিছু অবস্থা কিন্তু থাকে যেগুলো এখানে অনুপস্থিত। হয়ত এসবই বিশেষ কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখা । ফলে কিছু ক্ষেত্রে এগুলো সঠিক হলেও পূর্নাঙ্গ বা সার্বজনীন ভাব টা সব ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছেনা। এগুলো বিবেচনা না করলে বাক্যগুলো প্রবাদের মতো শোনালেও সব সময় গ্রহনযোগ্য হবে না, ক্ষেত্র বিশেষে হতে পারে।
আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কথাও কিন্তু আপত্তি না থাকলে দিতে পারেন। চাইলে সেগুলো নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
যাক,এগুলো সবই আমার ব্যক্তিগত মতামত। একমত হতে হবে এমন তো কথা নেই। এত প্যাঁচাল আপনার ধৈর্য্যচ্যুতি না ঘটালেই বাঁচি।
থ্যাংকু স্যার
ফাইনাল এডিট আর ফাইনাল সিলেশনে আপনার কমেন্টা কাজে দেবে খুব
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
নিজেরে কোনটা মনে হয়?
লীলেন ভাই, আমি নিশ্চিত এগুলো নিয়ে কিছু লেখার চিন্তা তোমার মাথায় ছিল। কিন্তু তুমি এখন ফাকি মারার তালে আছো। এরকম হলে খেলবো না। এই গুলো দিয়ে সংকলন বের করো আর যাই করো, এই গুলোর আসল লেখা চাই। অপেক্ষা করতে সমস্যা নেই।
আরেকটা কথা, কথাকলি'র সিরিজটা আবার শুরু হচ্ছে কবে?
ফাঁকি না
কোনো একদিন লিখব এরকম বিষয়ের তালিকা সত্যি সত্যি হাজার হাজার আমার
প্রতিদিনই ওগুলো বাড়ে
কিন্তু বছরে গিয়ে লেখা হয় দুটো কি চারটা
এবং এখন মনে প্রায় অসম্ভব ওসবের বেশিরভাগকে সাইজ করা
তবে এই থিম নিয়ে আমার তিন চার ধরনের (কবিতা গল্প নাটক) লেখার বদ অভ্যাস যেহেতু আছে সেহেতু এগুলোও যে অন্য কোথাও ঢুকে যাবে না তা কিন্তু না
কিন্তু
১০ ঘণ্টা গোলামি+ ৬ ঘণ্টা ট্রাফিক জ্যাম+২ ঘণ্টা খাওয়া দাওয়া হাগামুতা+২ ঘণ্টা থিয়েটার/আড্ডা+ ৪ ঘণ্টা ঘুম= ২৪ ঘন্টা
এই দৈনিক রুটিন থেকে ব্লেড দিয়ে কেটে বের করা লেখার টাইমে আদৌ লেখা সম্ভব কি না সেটাও ভাবতে হয় প্রায়ই
আপনার জবাব নাই; আমি মুগ্ধ হইলাম এই কথা বলতেই হচ্ছে। মুগ্ধতা স্বিকার করার ব্যপারে আমি বড় কৃপন; কিন্তু এখানে আর আটকানো গেল না।
অসামান্য, অতি অসামান্য!
সব ভালু পাইলাম আর পঁয়তাল্লিশ বেশি ভালু পাইলাম।
১৩ খুব ভালো পাইলাম
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
স্ট্যাটাস বলুন, এক লাইন বলুন, প্রবাদ বলুন আর প্রবচনই বলুন, এগুলো বই হিসেবেই ভালো। তাতে হাতের কাছে থাকে, দরকার মত পড়া যায়, অন্যকে বলা যায়।
২৪ ঘন্টার যে হিসেব দিলেন অমন হিসেব সব কবি-লেখকই দিতে পারবেন। তাই আপনার হিসেব গ্রহনযোগ্য নয়। আমার ভুল না হলে, আপনি লিখতে শুরু করেছেন নিজের অন্তর্গত তাগিদে। কিন্ত এখন আপনার পাঠককূল তৈরি হয়ে গেছে, তাদের দাবী আপনাকে মেটাতেই হবে। ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম যে, আপনি নিজের ইচ্ছেয় বিয়ে করেছেন, কিন্তু সন্তান জন্মালে তার চাহিদা-দাবী আপনাকে মেটাতেই হবে। সময় নেই, পারবো না বলে পার পাবেন না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জ্বি স্যার
আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে আমি ঘর জামাই পদে প্রমোশন পাবো
তখন খালি লেখা আর ঘুমই হবে আমার প্রধান কাজ
(ভালোয় ভালোয় দুই বছরের পারফর্মেন্সটা ধরে রাখতে পারলেই হয়)
বই আকারে সংগ্রহে রাখার প্রত্যাশায় রইলাম।
-----------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সংকলনের এক কপি উপহার পাবার প্রত্যাশা রইলো।
এক কপি স্ট্যটাস বইয়ের আশায় রইলাম , আমার দাবি বেশি কারন আমি মোটামুটি সব স্ট্যটাসেই কমেন্ট করেছি ঃ)
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন