নাড়িসূত্র

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: সোম, ১৫/০২/২০১০ - ৪:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মায়ের সাত সন্তান আজ সারারাত ঝগড়া করলাম কখনও একসাথে কখনও আলাদা। কখনও ঝগড়ার জন্য ঝগড়া। কখনও ঝগড়া থামানোর জন্য ঝগড়া। ভাই-বোন। বোন-বোন। ভাই-ভাই। মা-ছেলে। মেয়ে-মা...

সবাই সবাইরে দোষে। সবার সবারে অসহ্য লাগে। সবাই সবাইরে বলে তোর সাথে এই শেষ মুখ দেখা জীবনে আমার...

শুধু একজন সারাজীবনের মতো আজকেও আগাগোড়া নিশ্চুপ আর নির্লিপ্ত ঘুমে এইসব হৈচৈয়ের ভেতর। তিনি বাবা
আর একজন অনেক চেষ্টাতেও ঘুমানোর সুযোগ পাচ্ছেন না অফুরন্ত অভিযোগ শেষ না হওয়ায়। তিনি মা

আর আমি জেগে আছি ভোরবেলা সবাইকে ডেকে দেয়ার জন্য

নির্লিপ্ত জনক আর ত্যক্তবিরক্ত জননীকে মার্কিন মুল্লুকের বিমানে তুলে দিতে সকালে সবাই যাবে এয়ারপোর্ট। তারপর দুপুরের মধ্যেই যার যার মতো ঝগড়াহীন আলাদা হয়ে যাবে সবাই...

এবং তারপর হয়ত আবার ঝগড়ার সুযোগ হবে আমাদের যখন ওই দুইজনের কারো কফিন আনতে আমরা এয়ারপোর্টে যাব...
২০১০.০২.১৫ সোমবার


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শেষের প্যারাটার জন্য মন্তব্য করা কঠিন হয়ে গেল।

সাবিহ ওমর এর ছবি

এর ভয়েই আমি কোনদিন বড় হতে চাইনি...

তিথীডোর এর ছবি

সক্কালবেলাতেই মনখারাপ করিয়ে দিলেন লীলেন্দা...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তুলিরেখা এর ছবি

তবু জীবন বয়ে চলে।
বালি ঘড়ি বালি ঘড়ি বালি ঘড়ি....
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার লেখা ঠিক সাইজ করতে পারি না বলে মন্তব্য করা হয় না। তবু আজকে করছি।

আজকের লেখাটা বড়োই নিদারুণ, এমন কড়া বাস্তবের মুখোমুখি হওয়া ভয়াবহ রকমের আতঙ্কজনক। অথচ নানা চেহারায় সে বজ্জাত সামনে এসে দাঁড়ায়, পালাবার পথ থাকে না। এমনকি নির্লিপ্তিও ঢাল হতে পারে না। ভয়ানক!

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

মন খারাপ

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

"সবাই সবাইরে বলে তোর সাথে এই শেষ মুখ দেখা জীবনে আমার..."

এই কথাটা আসলে ভয়ানকভাবে সত্য। পরে কারো কারো সাথে হয়তো কালে-ভদ্রে দেখা হয়। তবে ততক্ষণে দু'জনেই ভিন্ন মানুষে পরিণত হয়।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

এই ভয়ানক মন খারাপ করা ব্যাপারটা আসলে আপনজনদের মাঝে ঘটেই থাকে।
সময়ে ঠিক ও হয়ে যায়।ঝগড়া কোন চিরস্থায়ী বিষয় না।
মা বাবা ভাই বোন সবাই ভাল থাকবেন।

টুটুল [অতিথি] এর ছবি

সব সত্য সহ্য করা যায় না। এটিও এমনি।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বালিঘড়িবালিঘড়িবালিঘড়ি...

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গিললাম


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নীল রোদ্দুর এর ছবি

মন খারাপ

--------------------------------------------------------
যখন প্রাণের সব ঢেউ
জেগে ওঠে, কথা বলে, রক্তের আশ্চর্য কলরবে
বৃষ্টির দুপুরে মনে পড়ে
বর্ষার মতন গাঢ় চোখ মেলে তুমি আছ দু'দিনের ঘরে।।
[শামসুর রাহমান]

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ছুঁয়ে গেলো লেখাটা..

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।