যে দেশে থাকেন তিনি সেটা তার দেশ না। যেটা তার দেশ তিনি তার নাগরিক না
যে দেশের নাগরিক তিনি সেখানে প্রবেশের অধিকার নেই তার...
তিনি এক দেশবিহীন বিহারি বৃদ্ধ। জন্মেছেন ভারতে- যেতে চেয়েছেন পাকিস্তানে- আটকে আছেন বাংলাদেশের জেনেভা ক্যাম্পে...
তাই তিনি হাঁটেন
নিঃশব্দে মোহাম্মদপুর থেকে উত্তরা- সাভার- গাজিপুর তিনি হাঁটতেই থাকেন
একই সাথে একই সময়ে পৃথিবীর বহু দেশে হাঁটার ক্ষমতা রাখেন তিনি। কারণ তার নিজস্ব কোনো দেশ নেই; আছে শুধু দেশে যাবার পথ...
হাঁটলে পথ পাওয়া যায় বলে আমরাও হাঁটি তার পিছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মাড়িয়ে এক উদ্বাস্তু বৃদ্ধের পেছনে হাঁটতে হাঁটতে আমরাও খুঁজি আমাদের গন্তব্য...
কেননা আমাদের সব গন্তব্যই এই দেশহীন বৃদ্ধের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরবাস...
২০১০.০৭.১২. সোমবার
মন্তব্য
সবার গন্তব্যই কি পরবাস? অনেকে তো দেশেও থাকতে চায়...চায় না ?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কেমন যেন করে উঠল বুকের ভিতরটা। প্রায়ই দেখি উনাকে হাঁটতে। আর তাঁর পিছনে থাকে সবসময় এক দল মানুষ। কত কি যে ভাবতাম এই বৃদ্ধ সম্পর্কে। আপনাকে ধন্যবাদ আমার ভুলটা ভাঙ্গানোর জন্য।
তার্কিক
আমার এই লেখা থেকে তথ্য পাওয়া যাবে না। তথ্যের জন্য রণদার নিচের লিংকটা দেখা যেতে পারে
কষ্ট লাগল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই হাঁটা বাবার নাম হচ্ছে জুলফিকার আলী হায়দার, ভক্তদের কাছে তিনি হায়দার বাবা, আর কৌতুহলী দর্শকদের কাছে হাঁটা বাবা।
তাঁকে নিয়ে কয়েক মাস আগে অন্য এক ব্লগে একটি সচিত্র পোস্ট দিয়েছিলাম। কৌতুহল হলে দেখতে পারেন এখানে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই পোস্ট পড়ে আপনার ঐ পোস্টের কথাই মনে পড়েছিল
আমারও...
রণ'দার লেখাটা পড়লাম। একটা তথ্য দিতে পারি। আমি তাকে অসুস্থ হয়ে মাঝরাতে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে দেখেছি। সুতরাং তিনি যে অসুস্থ হন না তা কিন্তু না
তবে আপনার ব্যাখ্যা তার ভণ্ডত্বর বিষয়ে আর আমার ব্যাখ্যা তার উদ্বাস্তুতার বিষয়ে
১
উদ্বাস্তু ভণ্ড হলেও উদ্বাস্তু
ভণ্ড উদ্বাস্তু হলেও ভণ্ড
তবে, স্বাভাবিক মানুষের দুনিয়ায় অস্বাভাবিক মানুষমাত্রই ভণ্ড না
২
'পায়ের তলার মাটি' যদি রাষ্ট্রের রূপকমাত্র হয়, তবে হাঁটাবাবার কেসের লিটারারি ভ্যালু আছে বৈকি!
_____________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
আজ থেকে ১৫-১৬ বছর আগে এই ভদ্রলোক অনেকটা সুস্থ ছিলেন। আমার মনে আছে পাড়ার পোলাপাইনরা মিলে ক্রিকেট খেলার সময় একাধিকবার এসে ব্যাটিং এর চেষ্টাও করেছেন!
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
গন্তব্যহীনদের জন্য কিজে মন্ত্ব্য করব খুঁজে পাচ্ছি না?
ও ভাই আমার মন্তব্যটা আপনি একটু করে দিননা।
যখন মানুষের এই সব কষ্টের কথা শুনি বা ভাবি তখন জাগতিক আনন্দ, উৎসব এমনকি শিল্প সাহিত্যের চর্চাকে অর্থহীন মনে হয়।
আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে নির্ঘুম রাত পার করি, খেলা দেখার জন্য লাখ টাকার প্রজেক্টর কিনে আনি তখন ফিলিস্তিনে কত মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পায় না--বেঁচে থাকারই গ্যারান্টি নেই। তাদের জীবন তো কুকুর বেড়ালের জীবন থেকেও খারাপ। শুধু ফিলিস্তিন কেন পুরো পৃথিবীতেই কতো বৈষম্য। তার ইয়ত্ত্বা নেই। খুব খারাপ লাগে।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
কোন বিতর্ক তৈরি করার ইচ্ছে আমার নেই। এই মানুষগুলোকে নিয়ে আমার মনে জাগা কিছু প্রশ্ন শুধু বলছি।
দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে আর র্যাডক্লিফের ছুরি দিয়ে ভাগ করে বর্তমান ভারতের যে মানুষগুলোকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়েছিল চব্বিশ বছরে তাদের একটা অংশের কাছে এই দেশটা নিজের দেশ হতে পারলোনা কেন? সেটা কি তাদের মুখের ভাষা বাংলা নয় বলে?
ঐ মানুষদের একটা অংশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কিসের ভিত্তিতে পাকিস্তানী হানাদারদের সহযোগী হয়েছিল? হানাদারদের সরকারী ভাষা উর্দু বলে? যে মাটি একদিন তাদের আশ্রয় দিয়েছিল তার ভূমিপুত্রদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলেই কি দেশটা তাদের হয়ে যেত?
ষাটের দশকে পূর্ব বঙ্গে জন্মানো, অথবা স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে জন্মানো মানুষ যার পিতা-মাতা পাকিস্তান আমলে ভারত থেকে আগত, যাদের মুখের ভাষা উর্দু তাদেরকে কিসের ভিত্তিতে এই দেশের নাগরিক বলা হবেনা? তাদের কারো পূর্ব পুরুষ পাকিস্তানী হানাদারদের সহযোগী ছিল বলে? পিতার অপরাধে সন্তানকে কি দায়ী করা যায়?
যাদের পিতা-মাতা পাকিস্তানে যাবার অপশন দিয়েছিল তাদের একাংশ পাকিস্তানে যেতে না পারার কারণ পাকিস্তান সরকারের অনীহা আর বাংলাদেশ সরকারের অযোগ্যতা। বাংলাদেশ সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির জন্য পাকিস্তানের সাথে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর প্রশ্নে সব সময়ই আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। দু দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এই টানা-পোড়েনের জন্য কয়েক লাখ মানুষকে দশকের পর দশক ধরে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করা কি সমর্থনযোগ্য?
এই মানুষগুলোর আসল দেশ বর্তমান ভারতের সরকার ও সাধারণ জনগণের এই মানুষগুলোর ব্যাপারে মনোভাব কী?
দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে তখন জেনেভা ক্যাম্পে বসবাসকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও কি করা হবে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দেশভাগের সময় ভারত থেকে পাকিস্তানে আসা বিহারি মুসলিমদের পুনর্বাসন করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানে সম্ভবত বিহারের সাথে ভৌগলিক নৈকট্যের কারণে
৭১ এ এই বিহারিদের বক্তব্য ছিল- আমরা তো পাকিস্তান চেয়েছি। বাংলাদেশ নয়। তাই পাকিস্তানের পক্ষই আমাদের পক্ষ
৭২ থেকে বেশ কয়েকবার বিহারিদের (আটকেপড়া পাকিস্তানিদের) বাংলাদেশের নাগরিক হবার সুযোগ দেয়া হয়েছে। অনেকেই সেই সুযোগ গ্রহণ করেছে। অনেকে করেনি
যারা নাগরিকত্বের সুযোগ গ্রহণ করেছে তারা এখন বাংলাদেশি। আর যারা করেনি তারা এখনও জেনেভা ক্যাম্পের আওতা (অনেকে বলেন রেশনসহ বিভিন্ন সুযোগের জন্যও অনেকে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেনি)
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব যারা গ্রহণ করেনি তারা আটকে পড়া পাকিস্তানি হিসেবে গণ্য। কিন্তু যদ্দুর জানি পাকিস্তান এদেরকে তাদের নাগরিক মনে করে না। পাকিস্তান মনে করে তারা ভারতের নাগরিক (বিহারসূত্রে)। তারপরও বেশ কবার এদের পাকিস্তানে পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এর বিনিময়ে পাকিস্তান একটা শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশকে। তা হলো এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালির সংখ্যা চার লাখের বেশি। আর বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানির সংখ্যা দুই লাখের মতো। পাকিস্তান বিহারিদের বিনিময়ে সেই বাঙালিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়। বাংলাদেশ সরকার বেশি দূর আগাতে পারে না সেই চার লাখ বাঙালির পুনর্বাসনের কথা ভেবে
০২
কেউ কোনো দেশকে নিজের দেশ মনে না করলে দেশ হয় কেমনে?
শত শত বছর বিভিন্ন দেশে থেকেও ইহুদিরা সেসব দেশের প্রতি নিজেদের আনুগত্য প্রকাশ করেনি। আর এটা তো মাত্র চব্বিশ বছর
তবে বিহারিদের বাংলাদেশকে দেশ ভাবতে না পারার বড়ো কারণটাই হলো ভাষা আর সংস্কৃতি (হায় দ্বিজাতিতত্ত্ব!)
হয়তো এরা পাকিস্তানে ফিরে গেলেও একই সংকটে ভুগবে
০৩
এ যাবতকালে এই প্রশ্নের সবচে ভালো উত্তর দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ তার জোছনা ও জননীর গল্প উপন্যাসে। কথাটা এরকম: তোমরা (বাঙালিরা) হারলেও এটা তোমাদের দেশ থাকবে। কিন্তু পাকিস্তানিরা না জিতলে আমাদের (বিহারিরা) কোনো দেশ থাকবে না পৃথিবীর কোথাও...
০৪
এটা একটা প্রশ্ন। গোষ্ঠী হিসেব বিহারিরা অনেক জায়গায় যুদ্ধাপরাধে যুক্ত ছিল এ তথ্য প্রায় জায়গায়ই পাওয়া যায়। কিন্তু কারো নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ এখনও বোধহয় করেনি কেউ (তখন কি এদের কোনো সংগঠন বা নেতা ছিল?)
বিহারী যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আলু একটা ফিচার করেছিলো। সেখানে বহু লোকে একেবারে নাম ও অপরাধ নির্দিষ্ট করে অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি এখন কে কোথায় কী করে, সেটাও তারা জানিয়েছিলেন। তবে ঐ পর্যন্তই।
১
অপারেশন খরচাখাতা-র কথা মনে পড়ছে আপাতত। এছাড়াও আরো অনেক তো অবশ্যই আছে।
২
যে-ব্যক্তি (ঢালাও কোনো গোষ্ঠীর কথা বলছি না) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে সমর্থন করে, সে-ব্যক্তিকেই অনেকে সন্ত্রাসী মানবেন। আর সে যদি সন্ত্রাসে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় তাহলে রাষ্ট্র আর ব্যক্তির সন্ত্রাস একাকার হয়ে যায়।
৩
সৈয়দপুরের হত্যকাণ্ডের কথা পত্রিকায় এসেছে অনেক কিছুই। আমি বছর দুয়েক আগে ভুক্তভোগি অনেকের সাথে কথা বলেছিলাম। স্থানীয় ব্যবসায়ী নিঝু আগারওয়াল আমাকে তার অভিজ্ঞতা বলেছিলেন।
বিহারিদের অন্তত একজন মারোয়ারিদের অন্তত একজনকে গুলি করে হত্যা না করার সপক্ষে নিম্নোক্ত যুক্তি দিয়েছিল : 'বে-ধর্মীর বাচ্চা, তোকে মারার জন্য পাকিস্তান সরকার কেন গুলি খরচ করবে?’
এই হলো '৭১ এর ট্রেন টু পাকিস্তান ...
৪
উদ্বাস্তুদের প্রতি সহানুভূতি। খুনিদের প্রতি ঘৃণা।
৫
সকল গণহত্যাকারী চিরতরে বাস্তুচ্যুত হোক।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হাঁটা বাবার ছবি তুলেছিলাম একটা। তত্ত্বাবধায়ক আমলে ছাত্র বিক্ষোভের দিন। এমনিতে দলবল নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে হাঁটলেও সেদিন মিরপুর রোড ধরে যাওয়ার সময় সামনে গন্ডগোল দেখে উনি দিক পরিবর্তন করে ধানমন্ডির ভেতরে ঢুকেছিলেন।
...........................
Every Picture Tells a Story
আব্বা এনাকে ভালই সম্মান করেন, যদিও যান হয়তো কালেভদ্রে।
হুম।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হায়দার সাহেব সম্পর্কে আমি যা জানি তা হচ্ছে -
১) জনগণ ওনাকে হায়দার দরবেশ বলে ডাকে। একটু ভালভাবে বলতে গেলে অন্ধ জনগণ বলা যায়; যারা হুজুগে মেতে লৌকিক সাধারণ ব্যপারকে অলৌকিকত্বের পোশাক পড়ায়, তারা তো অন্ধই তাই না? এসব জনগণের ধারনা উনি বিরাট আল্লাহ্ওলা লোক, তাই ওনাকে দরবেশের খেতাব দিয়েছে।
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ, যেই লোক শেষ কবে গোসল করেছে তা সে নিজেই বলতে পারবে না, যেই লোক প্রসাব করে পানি ব্যবহার করে না (আমার ঘনিষ্ঠ এক পরিচিতর অফিস ছিল হায়দার সাহেবের মোহাম্মদপুরের বাসার পাশে, সেখান থেকেই উনি এ ঘটনা চাক্ষুষ করেন। দরবেশ সাহেব দাড়িয়ে দাড়িয়েই কাজ সারছিলেন।), যেই লোক নামায আদায় করে না - সে কি করে পীর-দরবেশ হতে পারে, তা আমার জানা নাই।
২) বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে পরে উনার এই হাঁটা-হাঁটির শুরু, যতদূর জানা যায় যুদ্ধের পরে যখন মুক্তিবাহিনীর হাতে বেশ কিছু যুদ্ধাপরাধী মারা যায়, সেই সময় বাঁচার তাগিদেই তার এই হাঁটা-হাঁটির সূচনা কারন স্বাধীনতা যুদ্ধে উনি পাক-বাহিনীর স্বপক্ষেই কাজ করেছিলেন।
হাঁটা-হাঁটি ছাড়া তার আর কোন ক্ষমতার কথা আমার জানা নাই। আমার ব্যক্তিগত ধারনা উনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
অনন্ত আত্মা
এই হাঁটাবাবা লোকজন নিয়ে রাস্তায় জাম তৈরি ছাড়া আর কিছু করতে পারেন বলে মনে হয় না। প্রায়ই দেখতাম রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ফাক ইউ সাইন দেখাচ্ছে একে ওকে। ঢাকার রাস্তায় যে কয়বার আর্মি নেমেছিলো, হাঁটাবাবা হাঁটাহাঁটি বাদ দিয়ে পাছা বাসায় রেখে বসে থাকতেন বলেই মনে হয়েছে। এর পেছনে কিছু লোক খুব ভক্তি নিয়ে হাঁটে। দেখলেই বোঝা যায় এই বলদের দেশটায় বহু ধাউড় বাটপার করে খেতে পারবে।
আপনি আগামীকাল রাস্তায় একটা লাল লুঙ্গি পরে হাঁটা শুরু করেন। পিছনে এনকিদু, নূপুর আর হয়রানরে একটা লাল কাপড় হাতে মাথা নিচু করে হাঁটতে বলবেন। একমাসের মধ্যে যদি আপনার আরো বিশ পঁচিশটা হাঁটার মুরিদ আর লুঙ্গিবাবা নাম না জুটসে, নাম ফিরায় রাখবো।
সত্যি
কুটুমবাড়ি
নতুন মন্তব্য করুন