পদবি নৌকা চালক। প্রশিক্ষণ বন্দুক চালনায়। নাম রতন সরকার
খাকি প্যান্ট-শার্টের সাথে পা কখনও খালি- কখনও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্যান্ডেল কিংবা বুট দিয়ে মোড়া। একটা সেমি অটোমেটিক চাইনিজ রাইফেল হাতে তাকে দৌড়াতে হয় কাঠচোরা ধরতে- হরিণচোরা পাকড়াতে- বনে ঢোকার পারমিট চেক করতে- পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে- ডাকাত দাবড়াতে- বাঘের মুখ থেকে লাশ ছাড়াতে এবং গ্রামে বাঘ ঢুকে গেলে গ্রাম পাহারা দিতে কিংবা বাঘকে আবার ফিরিয়ে আনতে বনে
রতন সুন্দরবনের বনপ্রহরী। পদে চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী। থাকে জঙ্গল অফিসে মেস করে। সরকার অফিসপ্রতি ইঞ্জিনচালিত একটা করে ট্রলার দেয়। সেই ট্রলারের চালক আর তেল তারা এদিক সেদিক থেকে জোগাড় করে চক্কর দেয় নদী ও বনে। বড়োসড়ো অফিসে দু-চারটা বন্দুক নিয়ে থাকে চার-পাঁচজন। ছোটখাটো অফিসে বড়োজোর বন্দুকবিহীন দুজন। এদের অফিসের পুকুরে বাঘ পানি খেতে এলে এরা দরজা বন্ধ করে অপেক্ষা করে কখন ফিরে যায়। বন্দুক উঁচিয়ে ডাকাতেরা গোসল করতে এলে এরা তাদের চা করে খাওয়ায় আর যাবার সময় বিনীতভাবে মনে করিয়ে দেয়- আমরা কিন্তু নিরীহ মানুষ...
তারপর এদের কেউ ঘুমায়; কেউ তাস পিটায়; কেউ জেলেদের কাছ থেকে মাছ নেয়। কেউ কাঠ-মাছ-হরিণ চোরাদের থেকে বখরা নেয়। কেউ বাড়িতে ফোন করার জন্য বের হয় মোবাইল নেটওয়ার্কের সন্ধানে আর রতনের মতো কেউ মাঝরাতে একা একা বেরিয়ে পড়ে মাছধরা নৌকায় চড়ে...
মাছধরার ভান করে রতনের নৌকা গিয়ে ভিড়ে কাঠচোরা ট্রলারের কাছে। ট্রলার থেকে কেউ আওয়াজ দেয়- কে যায়?
বিনীতভাবে রতন জানায়- আমরা মাছ ধরার নৌকা...
ওইসব ট্রলারে বন্দুকধারী পাহারাদার থাকে। তাদের দায়িত্ব ট্রলারকে বনের সকল বিপদ থেকে সামলে রাখা। তাই রতনের উত্তর নিশ্চিত হবার জন্য প্রশ্নকারী তাকে কাছে যাবার জন্য ডাকে- এইদিকে এইসো...
ছাদের উপর দাঁড়ানো দুজন। রতনের নৌকা একটু একটু আগায় আর বন্দুকধারী ট্রলারের ছাদে দাঁড়িয়ে গুনগুন করে গান গায়। বাকিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মাঝিদের মতো। ট্রলার দেখে বোঝার উপায় নেই এটা মাছধরা ছাড়া অন্য কিছুর ট্রলার। উপরে মাছধরার ভান করে এরা ট্রলারের নিচে করে কাঠ বেঁধে নিয়ে যায়...
আবছা অন্ধকারে ট্রলারের ছাদে দাঁড়ানো দুজন মানুষের অবয়ব পরিষ্কার হয়ে এলে রতনের হাত উঠে- ঠাস। এবং আরেকটা ঠাস এবং তৃতীয়টা ট্রলারের চালকের মাথা বরাবর- ঠাস
প্রথম আর তৃতীয়জন পড়ে যায় পানিতে। দ্বিতীয়জন গড়ায় ট্রলারের ছাদে। বাকিরা ট্রলারের এদিক সেদিক আড়াল নিয়ে চেষ্টা করে মাথা বাঁচাতে। রতন এইবার শুরু করে এলোপাথাড়ি ফায়ার। কিছু চিৎকার শোনা যায়। কিছু আর্তনাদ আর কিছু পানিতে গড়িয়ে পড়ার শব্দ। রতন এবার টার্গেট করে করে পানির ইঞ্চিখানেক নিচে ট্রলারের শরীরে বুলেট ঢোকায়। একটা... দুইটা... কয়েকটা। আস্তে আস্তে পানি ঢুকে কাত হয়ে পড়ে ট্রলার। কেউ লাফ দিয়ে অন্ধকারে সাঁতরায়। কেউ গোঙাতে গোঙাতে ডুবতে থাকে ট্রলারের সাথে। এবং কিছুক্ষণ পর পুরোটাই সুনসান। না কোনো সাঁতরানোর শব্দ। না কোনো ট্রলারের চিহ্ন। সবকিছুর উপর দিয়ে আবার বয়ে যায় সুন্দরবনের নদী। আর রতন ফিরে এসে একটা ঘুম দিয়ে উঠে হয় অন্যদের সাথে তাস পিটায় না হয় বের হয়ে পড়ে দৈনন্দিন প্রকাশ্য টহলে...
রতনের এই একরোখা আর তেল চিকচিক কালো শরীরটা সুন্দরবনে সকলেই চেনে; এই অবয়ব বনের সাথে বেইমানি করে না তাই বন কিংবা বাঘও বেইমানি করে না তার সাথে শুধু সাপ ছাড়া। প্রাণী জগতে এই সাপ প্রাণীটার নিয়ম কিংবা অনিয়ম বলতে কিছু নেই বলে তার সামনে থেকে ওরে বাপরে বলে লাফিয়ে সরে এসে রতন একটা বন্দুক হাতে আবার একা ঢুকে যায় বাঘের মুখ থেকে লাশ ছাড়িয়ে আনতে। লাশের চারপাশে চক্কর দিয়ে লাশ ঢেকে দাঁড়িয়ে থাকে আর লাশের আত্মীয়েরা লাশ তুলে নেয়। লাশ নিয়ে আত্মীয়েরা নৌকার দিকে ফেরে আর বাঘের চোখে চোখ রেখে রতন একটু একটু করে পিছু হেঁটে আগায়। রতন পেছায় নৌকার দিকে আর বাঘ আগায় রতনের দিকে। লাশ নিয়ে সবাই উঠে যায় নৌকায়। পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে রতন আর বাঘ। নৌকা চলতে শুরু করলে একসাথে লাফিয়ে উঠে দুজন। রতন পৌঁছে যায় নৌকায় আর ইঞ্চি দুয়েকের জন্য রতনের নাগাল না পেয়ে বাঘ লাফিয়ে পড়ে জলে...
বাঘের থাবা থেকে মানুষ আর মানুষের থাবা থেকে বাঘ; দুটোর জন্যই ডাক পড়ে তার। গাবোরার ডুমুরিয়া গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়লে গ্রামের লোক তাকে একটা ঝোপে ঘেরাও দিয়ে রাখে। কলাগাছিয়া জঙ্গল অফিসে সংবাদ এলে একটা বন্দুক হাতে ছুটে যায় রতন। গাছের আড়ালে নিজেকে বাঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বাঘ আর উত্তেজিত মানুষের মাঝখানে। তার থেকে দশ হাত সামনে বাঘ আর দশ হাত পেছনে কয়েকশো মানুষ। সে বাঘের চোখে তাকিয়ে বাঘকে আটকে রাখে মানুষের দিকে না আসার জন্য আর হাতের ইশারায় মানুষদের ঠেকিয়ে রাখে বাঘের দিকে না যাবার জন্য। রতন অপেক্ষা করে বনবিভাগ থেকে বড়ো কর্তারা যন্ত্রপাতি- ওষুধ আর খাঁচা নিয়ে এসে বাঘকে অজ্ঞান করে আবার বনে ছেড়ে দেবেন...
ঝোপের ভেতরে নড়াচড়া শুরু করে বাঘ। পেছনে উত্তেজিত হয়ে উঠে মানুষ। হঠাৎ একজন একটা সড়কি হাতে দৌড়ে যায় বাঘের দিকে। রতন বাঘকে শুধু একটা লাফ দিয়ে উঠতে দেখে। তারপর তার সামনে লুটিয়ে পড়ে সড়কিধারীর কাৎরানো শরীর। আরো দুজন এগিয়ে আসে; সেই দুজনও মাটিতে পড়ে কাৎরায়। এইবার একসাথে তেড়ে আসে সবাই। এইবার সবাইকে ডিঙিয়ে বাঘ ঢুকে যায় গ্রামের আরও ভেতরে। সড়কি লাঠি বল্লম নিয়ে বাঘের পেছনে ধাওয়া করে শত শত মানুষ। দৌড়াতে দৌড়াতে বাঘ গিয়ে উঠে গোলপাতায় ছাওয়া এক কুঁড়েঘরের চালে। মানুষের ভেতরে তখন তিনটা মৃত্যুর প্রতিশোধ নেশা। রতনকে ঠেলে সরিয়ে তারা মোটা দড়ির ফাঁস পরিয়ে বাঘকে মাটিতে নামায়...
তারপর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে রতন বুঝে পায় উত্তেজিত ক্ষতিগ্রস্ত ও অজ্ঞাতসংখ্যক গ্রামবাসীর হাতে নিহত বাঘের লাশ। সে লাশ সে পশু হাসপাতালে নিয়ে যায় পোস্ট মর্টেমের জন্য। তারপর ছাল ছাড়িয়ে কবর দিয়ে সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনের সাথে সরকারের ঘরে জমা দেয় ছাল...
ফটোগ্রাফার দলটার সাথে হাঁটতে হাঁটতে রতন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে- বন বাঘ আর মানুষ সব কি মাত্র একটা রাইফেল দিয়ে ঠেকানো যায়? আমি নৌকার চালক। বাঘের থাবা থেকে মানুষ। মানুষের কামড় থেকে বাঘ। ডাকাতের কবল থেকে সুন্দরবন। শিকারির বন্দুক থেকে হরিণ সব কি শুধু সাহস আর একটা বন্দুক নিয়ে ঠেকাতে পারি?
ছবি তোলা থামিয়ে ফটোগ্রাফার নয়ন তার দিকে তাকায়- তাহলে আর কী চাই?
রতন হাসে- অত সাহস দেখাব কীসের ভরসায়? বাঘ যদি আমারে থাবা দেয়? ডাকাতের গুলি যদি এসে লাগে? আমার কি কোনো ঝুঁকি ভাতা আছে নাকি আছে কোনো ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা? ডাকাত কিংবা কাঠচোরার গায়ে যদি আমার গুলি লাগে তবে কি হত্যার অভিযোগ থেকে আমি রেহাই পাব? নাকি ডাকাতের অস্ত্র আর জলযানের সমান কোনো অস্ত্র কিংবা জলজান আছে আমাদের?
একশ্বাসে কথাগুলো বলে রাইফেল বাগিয়ে ধরে গাছের গোড়া আর শণঝোপের দিকে শকুনের দৃষ্টি রেখে রতন হাঁটে ফটোগ্রাফারদের সাথে- আপনাদের তো বহু জানাশোনা আছে বহু মানুষের সাথে। সরকারকে বলেন না আমাদের জন্য একটা আইন করে দিতে; ডাকাত মারলে জবাবদিহি করতে হবে না কোনো বনকর্মীর...
ফটোগ্রাফার নয়ন চোখ কুঁচকে তাকায় মধ্যবয়স্ক এই বনকর্মীর দিকে- এই আইন দিয়ে আপনি কী করবেন?
বনের দিকে চোখ রেখেই উত্তর দেয় রতন- আমি কিছু করব না। এরকম একটা আইন থাকলে বনকর্মীরাই এক মাসের মধ্যে সুন্দরবন থেকে ডাকাতের নামগন্ধ মুছে দিতে পারে...
বনে বনে ঘোরে বলে বাড়ি গেলে দু বছরের ছেলেটা তার সাথে কথা বলতে চায় না। নয় বছরের মেয়েটা হিসাব করে বাবা আর কতদিন পরে অবসর নিয়ে পুরোপুরি বাড়ি আসবে; এইসব গল্পের ফাঁকেও রতনের চোখ গাছের আগায় খুঁজতে থাকে বানর- পাখি- গাছের গোড়ায় হরিণ। যে বন থমথমে; বানর পাখি কিংবা হরিণের কোনো চিহ্ন নেই। সেই বনের দিকে ভুলেও কাউকে পা ফেলতে দেয় না রতন। প্রতিটা বনে রাইফেল রেডি করে সবার আগে পা নামায় রতন। নেমেই খোঁজে বাঘের পায়ের ছাপ। দেখে নেয় কতক্ষণ কিংবা কয়দিন আগে বাঘ এই দিকে গেছে। এবং তারপর সবাইকে ডাকে- আসেন...
ভাঁটায় ধরা নদীতে ফটোগ্রাফারদের ট্রলারটা আটকে গেলে হিরণ পয়েন্টের কাছে নদীর ভেতর নেমে পড়ে তারা। হাঁটু পানি ভেঙে বালুচর পার হয়ে কেওড়া- গর্জনবন পাশ কাটিয়ে তারা হাঁটতে থাকে। সামনের বড়ো মাঠ পার হয়ে মিঠাপানির পুকুরটা ফেলে পরিত্যক্ত হেলিপ্যাড পাড়ি দিলেই ছোট্ট রাস্তাটা সোজা গিয়ে উঠে গেছে জঙ্গল অফিসে। ছবি তুলতে তুলতে তারা সেদিকেই আগায়। ছবি তোলে- বন দেখে- গল্প করে আর হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে বড়ো মাঠ পার হয়ে পুকুরের দিকে আগাতেই তারা শোনে শণঝোপের ভেতর থেকে কলজে কাঁপানো একটা হুংকার...
মাত্র হাত দশেক সামনে বাঘের বিস্ময় কাটিয়ে উঠার আগেই ফটোগ্রাফাররা দেখে বাঘ আর তাদের ঠিক মাঝখানে লাফিয়ে এসে পড়েছে রতন- এলার্ট...
মন্তব্য
একজন এমদাদের চরিত্রকে, তার দায়িত্ব-ভারে ন্যুজ জীবনকে এখানে স্বল্প পরিসরে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি। আপনার বর্ণনা বরাবরের মতই অসাধারণ।
আর, সত্যিই কি হাত দশেক সামনে বাঘ পড়েছিল?
ধৈবত
হেই ভাইজান। সত্যি মিথ্যা জিগাইলে তো বিপদে পড়ে যাব
সত্যি ঘটনাটা এখানে। মুস্তাফিজ ভাইয়ের 'এলাট' সুন্দরবন-এ
খাইছে!!! এক্কেরে বাঘের সামনে? কন কী?
আমার তো ঘুম প্রায় হারাম হয়ে গেল পরের পর্বের অপেক্ষায়।
এমদাদকে নিয়ে কিছু বলার নাই। কিছু মানুষের শুধু প্রাণ দেয় সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু তার জীবনকে গড়ে, ছাকে, শুষে আর বঞ্চিত করে স্বয়ং মানুষ আর তার সভ্যতার মুখোশ এই সমাজ, রাষ্ট্রব্যবস্থা।
আপনার লেখার সমতুল্য কোনো প্রশংসনীয় শব্দ আমার এই তুচ্ছ ভান্ডারে নেই।
-অতীত
এখনই ঘুম হারাম হয়ে গেলে কেমনে হবে? মাত্র তো বাঘের হুংকার শোনালাম। পরের পর্বে সরাসরি সুন্দরবনের বাঘ
অনেক দিন আগে আর একটি লেখাতেও গার্ড এমদাদ দেখা দিয়েছিলেন।
হ্যাঁ। সেই একই এমদাদ
জলজান? নাকি জলযান?
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
জলযান হবে। ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ
অনেকদিন পর আবার নিয়মিত লেখা ধরছেন তাইলে
আগেও মনে হইছিল আজকে পড়তে পড়তে আবার মনে হল অভিজ্ঞতার ভিতর থেকে যে লেখা গুলো আপনার লেখা হয় সেগুলোই আপনার সেরা লেখা, চিত্রল প্যাপিরাস
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
চিত্রল প্যাপিরাস.......
অসাধারণ সিরিজ , পড়েছি আগেরগুলো এবং চলতে থাকুক
আরিফিন সন্ধি
খালি অসাধারণ বললে যে চলবে না। কিছু ধরিয়েও দেয়া লাগবে চলার জন্য
বাঘের কাছে ধরিয়ে দিলে চলবে?
একটা খেলনা বন্ধুক সাথে, আসা করি বাঘ মামা তাতেই কুপোকাত
বইমেলাতে কি আসছে এটা?
আরিফিন সন্ধি
বন্দুক লাগবে না মামা এমনিতেই আসবেন
এই মেলাতে আসবে আশা করি
খেরো খাতার লেথা হিসাবে ঠিক আছে। কিন্তু বইয়ের জন্য প্রতিটি পর্বেরই আরো ডাল পালা মেলানো দরকার। আরো কিছু ভেতর-বাহিরের পর্যবেক্ষন, আরো কিছু গভীর বর্ননা।
সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু ডালপালা মেলাতে গিয়ে যদি ছড়িয়ে যাই সেই ভয়ে একটু গুটিয়ে থাকি
কারণ মালমসলা তো বেশি নাই ভেতরে
যদি নির্দিষ্ট কোনো দিক ধরিয়ে দেয়া যায় কিং নির্দিষ্ট কোনো গাইডলাইন তবে আমার জন্য খুবই সুবিধার হয়
লিলেন'দা, অসীম সাহসী মানুষেরও ছোট খাটো বিষয়ে দুর্বলতা থাকে। এমদাদের চরিত্র যদি বাস্তব থেকে নেয়া হয় তাহলে বলবো ওর দুর্বলতা সাপ। এমদাদ সাপ দেখে ভয় পায়।
আমার ধারণা সব গুলো পর্ব লেখা হয়ে গেলে কিছু কিছু জায়গায় টিউন করে নিতে হবে নইলে একটানা পড়তে গেলে একটু খাপছাড়া লাগতে পারে।
...........................
Every Picture Tells a Story
সাপের কথা কোথায় সাঁটা যায় ভাবছি। রিভিউ করার সময় ঢুকিয়ে দেবো
০২
প্রাথমিকভাবে দাঁড় করিয়ে দ্বিতীয় দফায় ওই কাজটাই করার প্লান স্যার
এই কাজটার বিপজ্জনক দিক হচ্ছে সত্য ঘটনাকে গল্পে ঢোকানো। মিথ্যা দিয়ে জোড়া দেয়া যাচ্ছে না। বড়োজোর প্রায়সত্য পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে (যেমন বাঘের মুখোমুখি হওয়া)
এইজন্য প্রথমে জিনিসগুলোকে গাঁথার চেষ্টা করছি। তারপর বিন্যাস তারপর রূপ
লীলেন ভাই ............ বই পাচ্ছিতো বই মেলায়। চমৎকার হচ্ছে সিরিজটা। কিন্তু এটা মনে হচ্ছে তোমাদের এইবারের ট্যুরের গল্প না।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
বই আশা করি পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু এখনও অনেক ঝামেলা বাকি
আর কোনটা কোনবারের ট্যুর সেটা বোঝা গেলে তো পুরাটাই মাটি
এই পর্ব টা আগেরটার চেয়েও ভালো হয়েছে।
চালিয়ে যান এই শুভকামনা রইলো।
বই প্রকাশিত হলে তার শেষের দিকে এমদাদের একখানা ছবি থাকলে ভালো হবে।
--
কালো ও সাদা
জয়তু
ফাঁক ফোঁকর ধরিয়ে দিলে আরেকটু সুবিধা হয়
আর ছবি দেবো না
কথা দিয়ে যে এমদাদকে চেনা আর চেনানো যায় ততটুকুতেই থাকব
নতুন মন্তব্য করুন