সিলেটের মতো দুনিয়াতে অত বেশি জায়গার নাম কোনো শহরে আছে কি না আমার জানা নেই। এক নামের জায়গায় দাঁড়িয়ে বিড়ি টানলে ছাই গিয়ে পড়ে অন্য নামের জায়গায়। প্যাডেল আড়াই চক্কর ঘুরে আসার আগেই রিকশা চলতে শুরু করে বদলে যাওয়া নামের রাস্তায়। মেয়েরা যেখানে গেট দিয়ে ইস্কুলে ঢোকে সে জায়গা থেকে হেড মিস্ট্রেস যেখানে দাঁড়িয়ে ছাত্রীদের স্কুলে আসা তদারকি করেন সে জায়গার নাম ভিন্ন। আবার যখন তারা যার যার ক্লাসে গিয়ে বসে তখন হয়ত জায়গাগুলোর সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন নাম। তার উপরে শহরের বাড়িগুলো যেদিন থেকে দেয়ালে নম্বরপ্লেট সাঁটানো শুরু করল সেদিন থেকে নামপ্রিয় সিলেটের পাড়াগুলোয় যুক্ত হলো আরো এক সারি নাগরিক আবাসি নাম...
সেরকম শহরের ঘাড়ে একবার আমিও চাপিয়েছিলাম নতুন আরেকটা নাম। চোখের পলক ফেলার আগে পার হয়ে আসার মতো সেই গলিটা পার হয়ে গেলে পৃথিবীর অর্ধেক পথ পাড়ি দেয়া যেত বলে অন্তর্গলি এখনও পৃথিবীর দীর্ঘতম পায়ে হাঁটা পথ...
২০১১.০২.২৭ রোববার
মন্তব্য
ভালো লাগলো।
তবে, সিলেট সম্পর্কে এই তথ্য জানা ছিলো না।
জেনে আর কী হবে রে ভাই?
যা জানি তাই তো বদলে যাচ্ছে
রিকশাওয়ালাকে অমুক জায়গায় যাবে কি না জিজ্ঞেস করলে বলে ওটা অমুক জায়গা চিনি না প্রত্যয় না ব্যত্যয় সেটা বলেন
অন্তর্গলি'তে কেডা থাকতো আগে কন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বৈদেশে গেছো না? অখন নিজেই হিসাব কইরা লও অন্তর্গলি কই আর কেডা থাকে সেখানে
তৌ অসুবিধা কিতা? নাম মুখস্থ খরতে কিতা বেশি খষ্ট অইযায়নি?
মুগস্ত (আমরা মুগস্ত কই) করতে কষ্ট অয় না। কষ্ট অয় মনো রাখতে
আনাকামে বৈতল ওয়াত গেলায় কেনে?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কাম থাকলে তো তল থাকতো। কাম নাই দেখিয়াউতো তল ছাড়া বৈতল
নামগুলি কিন্তু খুব সুন্দর।
যেমন অগ্রনী, পল্লবী,তরংগ,দোয়েল, ফরিদাবাদ,বৈশাখি,শাপলা এরকম আরো কত কি! সিলেট আমার কাছে ভাল লাগত এই শহরটি, আধো গ্রাম-আধো শহর। যে কোনদিকে ১০ মিনিট হাটলেই গ্রামের দেখা মিলে। মনে শান্তি আসে।
১৯৯৯ সালে যখন এই শহরে যাই, সন্ধ্যা ৭ টায় জিন্দাবাজার থেকে মদিনা মার্কেট আসতে কোন রিক্সা পাইনি। পুরো শহর ফাকা, মনে হয়েছে ঘুমন্ত শহর। ২০০৫ সালে যখন চলে আসি দেখি রাত ১১টা বাজেও জ্যাম। এই না হলে সভ্যতার বিবর্তন!
পুরোনো জায়গা নাম বদলের বিষয়ে আমার আপত্তি আছে
নামগুলার সাথে কিন্তু জড়িয়ে থাকে লোক আর বৈজ্ঞানিক ইতিহাস
নতুন নাম করণের ক্ষেত্রে শুধু সৌন্দর্যের কথা বিবেচনা করা হয়
কিন্তু পুরোনো নামগুলো প্রত্যেকটাই ধারণ করে ওই এলাকার কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য আর ইতিহাস
ভূগোলবিদরা অনেকেই বলেন সিলেট এক সময় সমুদ্রগর্ভে ছিল কিংবা তার খুব কাছে দিয়ে সমুদ্র ছিল
এটা অনেকেই না জানলেও পুরোনো শহরের কেন্দ্র বন্দর বাজার (মূল নাম শুধু বন্দর) এখনও যে জাহাজঘাটের ইতিহাস ধরে রেখেছে তা কিন্তু ওইসব দোয়েল কোয়েল দিয়ে ধরে রাখা সম্ভব না
বন্দর- চালিবন্দর- কাষ্টঘর-তোপখানা-বারুতখানা-সোবহানিঘাট-দর্শন দেউড়ি- রাজার গলি- গৌড়গবিন্দের টিলা-হাওয়াপাড়া-বালুচর-টিলাগড়-জিন্দরবাজার এরকম অংস্য নাম কিন্তু কয়েক শতাব্দি আগের ইতিহাস ধারণ করা নাম...
চোখের পলক ফেলার আগে পার হয়ে আসার মতো সেই গলিটা পার হয়ে গেলে পৃথিবীর অর্ধেক পথ পাড়ি দেয়া যেত বলে অন্তর্গলি এখনও পৃথিবীর দীর্ঘতম পায়ে হাঁটা পথ...
হ
পুরান কথা মনে করে কান্নাকাটি করা বুড়া লোকের লক্ষণ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কমন পইড়া গেলো নি ভাইজান?
হ, কথা খাঁটি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি ঘর এলোমেলো করে রাখলে আমার আম্মা আমাকে বৈতল ডাকে। আমার খুবই প্রিয় একটা শব্দ বুঝতেই পারছেন হাহাহা...
মা জননী নিশ্চয়ই শুধু বৈতল ডাকেন না। মাঝে মাঝেই বলেন বৈতলের ঘরো বৈতল?
ইয়ে, বৈতল মানে কী?
বৈতল= তলাবিহীন= উদ্বাস্তু
আমার তো ধারণা ছিল বৈতল মানে "অলস"।
মনমাঝি
বিড়ি টা্না কমান
...........................
Every Picture Tells a Story
ইতা বৈতলী গফ হুনিয়া লাভ নাই।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
অন্তর্গলি নামটা এখনো সিলেটের কোন রাস্তা নেয় নি? বেড়ে কিন্তু!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আমাদের ছোটবেলায় বড় ভাইরা পিকনিক থেকে ফিরে এসে বলতো ইনডিয়ায় মুতে আসলাম। আমরা শুনে মজা পেতাম কিন্তু ঘটনার রহস্য ধরতে পারতাম না। পরে বড় হয়ে জানলাম যে মুজিবনগরে পোংটা পোলাপান পিকনিকে গিয়ে বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে সীমান্তের ওপারে মুতে দেয়, ঘটনা সত্যি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এখনো সিলডে যাইতাম পারলাম না। গফ শুনেই সারা। লেখা ভাল্লাগছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখাটা কি হুট করেই শেষ হয়ে গেলো?!!!
বন্দনা
নতুন মন্তব্য করুন