তখন মেঘলা দিন। পরানমাঝির মাথার উপরে পুরোনো খড়ের চাল; পায়ের নিচে চাল চুঁইয়ে পড়া পানিতে কাদাকাদা মেটেল মেঝে আর বাঁশের খুঁটিগুলো নরম মাটিতে পড়োপড়ো প্রায়...
পরানমাঝি তার স্বপ্নটাকে পানিরোধী কলাপাতায় মুড়ে একটা গাছের খোঁড়লে লুকিয়ে ঘরমিস্ত্রির কাজে লেগে যায়। ইটের বেড়া; রড-সিমেন্ট-পাথরের পিলার; ছাদের ঢালাই আর পাকা মেঝের উপরে টাইলস বসানোর কাজ শেষ হতে না হতে বর্ষা কেটে জানালায় উঁকি দেয় রোদেলা সকাল...
স্বপ্নটার গায়ে এবার রোদ লাগাতে হয়....
পরানমাঝি এবার তার গচ্ছিত স্বপ্নটা গাছের খোঁড়ল থেকে বের করে আনে। তার হাতে উঠে আসে খোঁড়লের অন্ধকারে পচে ফুলে ছত্রাকের শিকড়ে জড়ানো একটা স্বপ্নমণ্ডের দলা; যা আর আকাশে উড়ানোর মতো স্বপ্ন-কাঠামোয় নেই; বরং অন্যের স্বপ্নভূমিতে ছিটানোর মতো নগণ্য এক জৈবসার...
২০১১.০৪.০৭ বিষুদবার
মন্তব্য
হতাশ করা লেখা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হতাশ হয়ে লেখা
আমার পড়া সবচেয়ে ছোট উপন্যাস
মেরেছে। উপন্যাস?
ভালো লেগেছে
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ স্যার
লেখা ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ
দিনলিপি যদি এমন হয় তবে রোজ লেখা উচিত
এইসব দিনলিপির জন্য একেকটা চিপা খেতে হয়
দৈনিক কি আর এমন চিপা পাওয়া যায় কিংবা দৈনিক এমন চিপা খেলে কি আর লেখার অবস্থা থাকবে?
একটা স্বপ্নকে এভাবে পচিয়ে দিলেন !! আপনে মানুষ খারাপ !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি পচাইনি স্যার। আমি পচনের আবিষ্কারক মাত্র
নতুন মন্তব্য করুন