জ্বর বিত্তান্ত

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ২৯/০৬/২০১৩ - ১২:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলা ঘরের বেড়ায় এসে হাজির হতো শত শত প্রাণী আর মানুষ। জ্বর ঘন হয়ে চোখ ঝাপসা হয়ে উঠলে সেইসব প্রাণী আর মানুষদের কেউ লাফাতো; কেউ মিশে যেত একটার সাথে আরেকটা। আমাদের ঘরে বেড়াগুলো ছিল ইকড়ের তৈরি। ইকড় নল খাগড়ার মতো এক ধরনের তৃণ যা পাহাড়ে হয়। লম্বালম্বি ইকড় বিছিয়ে আড়াআড়ি বাঁশের পাত; যাকে আমরা বলতাম খাপ; বাঁশের বেত দিয়ে খাপের সাথে ইকড় আটকে তৈরি করা হতো বেড়া। ঘরের সাথে বেড়া দাঁড় করানোর পর এঁটেল মাটির সাথে গোবর মিশিয়ে বেড়া লেপে দেয়া হতো। কিন্তু বেড়ার লেপ শুকিয়ে গেলে সেইসব বেড়ায় তৈরি হতো শত শত এলোমেলো রেখা আর ছোট ছোট ফাটল। সেই ফাটলগুলো তৈরি করত হাজারে হাজার ফিগার। কিন্তু জ্বর না হলে সেইসব দেখতে পাওয়া যেত না। জ্বর হলেই বেড়ার ফিগারগুলো নড়েচড়ে উঠত। কোনোটা লেজ নাড়া কুকুর তো কোনোটা খাপ ধরা বাঘ; সাপ শিয়াল মানুষ কিংবা নাম না জানা অন্য কোনো প্রাণী। মাঝে মাঝে দুয়েকটা গাছগাছালিও থাকতো সেখানে। মাঝে মাঝে আমি নখ দিয়ে বেড়ার মাটি চিরে একটার সাথে আরেকটার সম্পর্কও তৈরি করে দিতাম। হয়ত দেখা গেলো হাত ছাড়া একটা মা; তার থেকে একটু দূরে একটা শিশু। আমি উঠে মায়ের হাত বানিয়ে শিশুটিকে মায়ের হাতে তুলে দিতাম। কিংবা দেখা গেলো একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে; তার সামনে একটা বাঘ। আমি নখ দিয়ে দাগ টেনে লোকটির হাতে একটা লাঠি ধরিয়ে দিতাম যাতে সে বাঘকে ভয় দেখাতে পারে...

জানালার ঠিক বাইরেই ছিল একটা যমজ তালগাছ। এক বীজে দুই তালগাছ। তালগাছটা একেবারে জানালার সামনে। বাতাসবিহীন দুপুরবেলা সবকিছু যখন স্থির তখন দেখা যেত তালগাছের মাত্র একটা পাতা আড়াআড়ি নড়ছে। পাত্রগোত্রজাত আমাদের দাইমা বলতেন দুপুরবেলা তালের পাতা দিয়ে ভূতে কান চুলকায়। তাই বাতাস না থাকলেও মাঝে মাঝে তালের মাত্র একটা পাতা নড়ে। জ্বরের সময় সেই ভূতের সাথেও আমার বেশ খাতির জমে উঠত। অনেকক্ষণ ধরে একটা পাতা দিয়ে কান চুলকানোর পর আমি তাকে আরেকটা পাতা ঠিক করে দিতাম। একটু পরে দেখা যেত ওই পাতাটা নড়ে উঠছে....

মাঝে মাঝে বিছানা থেকে এক পা নামিয়ে ছুঁয়ে দেখতাম মাটির দাওয়া। মাটির সমস্ত শীতলতা আমার এক পা দিয়ে শরীরে উঠে আসতো; আমি চোখ বন্ধ করে নিজের ইচ্ছামতো সেই শীতলতা সমস্ত শরীরে চালনা করতাম। পা থেকে উঠে এসে হাত; মাথা; অন্য হাত হয়ে আবার যখন অন্য পায়ের পাতার দিকে শীতলতা নেমে যেতে থাকত তখন সেই পায়ের পাতা মাটিতে ছুঁইয়ে মাটির শীতলতাকে আবার ফিরিয়ে দিতাম মাটিতে....

আর যদি বৃষ্টি হতো। তবে ছাতা মাথায় দিয়ে খালি পায়ে গিয়ে হাজির হতাম বেলেমাটির উঠানে। পায়ের পাতা দিয়ে আস্তে আস্তে আঘাত করলে বালি সরে গিয়ে ছোট্ট একটা গর্ত হতো পায়ের পাতা ডুবিয়ে রাখার মতো। দুই পা ডুবিয়ে আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম; আমার পায়ের পাতার উপর দিয়ে গড়িয়ে যেত বৃষ্টির জল। বৃষ্টি ধরে এলে দুই পায়ের সমান দুটো ছোট গর্তের উপর দিতাম কয়েকটা লাফ; সাথে সাথে ছিটকে স্বচ্ছ বালিগুলো উঠে আসতো সমস্ত শরীরে। তারপর ঘরে এসে দাঁড়িয়ে থাকতাম। পানি শুকিয়ে গেলে আপনাতেই একটা একটা করে স্বচ্ছ বালি কণা গড়িয়ে পড়তো পায়ের পাতার কাছে; মোলায়েম দানা দানা বালি...

জ্বর হলে আমি মুড়ি খেতাম। প্রথমে মুঠো ভরে কিছু মুড়ি খেয়ে মুড়িগুলোকে পুরো বিছানায় ছড়িয়ে দিতাম। তারপর সেগুলোকে একটা একটা করে তুলে মুখে দিতাম। কোনোটা পুরো মুড়ি; কোনোটা অর্ধেক মুড়ি অর্ধেক চাল। কোনোটা খোসাসহ ধান; দাঁত দিয়ে ভুসি খুঁটলে নিখাদ একটা চাল বের হয়ে আসতো ভেতর থেকে। কোনোটা একেবারে কালো; পোড়া কিংবা মরা মুড়ি; আর মাঝে মাঝে খড়াৎ করে দাঁতে বাজতো একটা নিখাদ কাঁকড়...

আর রাতের বেলা; হারিকেনের আলোয় আমি ঘুরে বেড়াতাম পাহাড়ের ভেতর। বিছানার চাদরের উঁচুনীচু ভাঁজ; কাঁথার ভাঁজ আর হারিকেনের আলো মিলে তৈরি হতো বিশাল বিশাল পাহাড়। একটার সাথে আরেকটা লাগোয়া; মাঝে মাঝে কোনো পাহাড় পছন্দ না হলে আমি হাত দিয়ে ছুঁয়ে পাহাড় বদলে দিতাম....

বহু বহু বছর পরে আবার জ্বর হলো আমার। আমার পাশে এখন আর ইকড়-মাটির বেড়া নেই; ইট সিমেন্টের উপর রং করা দেয়াল। আমি দেয়ালের দিকে তাকাই; সেখানে একটাও রেখা নেই; একটাও ফিগার নেই; সব একঘেয়ে অস্তিত্বহীন একটানা রং...

গড়ান দিয়ে বিছানার কোনায় এসে আমি মেঝের মোজাইকগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। মনে হয় শত শত নুড়ি পাথরের মোজাইকে সেই ছবিগুলো পাওয়া যেতে পারে। মোজাইকে ফিগার হতে পারে; যদি তা একটার সাথে আরেকটা জুড়ে দেয়া যায়। কিন্তু মোজাইকের পাথরগুলোকে তো আর নখ দিয়ে দাগ টেনে জোড়া দেয়া সম্ভব না। মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে আমি মোজাইকদের ঝাড়ি লাগাই...

আমার ঝাড়ি খেয়ে মোজাইকগুলা হাসে- মামা; এইটা তোমার গ্রাম না যে তালতো ভাইয়ের ভায়রা ভাইয়ের মামাতো ভাইয়ের বেয়াইর পোলারেও তুমি সম্পর্ক জোড়া দিয়া ভাতিজা কইবা। এইটা হইল কোটি কোটি একলা মানুষের ঢাকা শহর। এই শহরে সক্কলে মোজাইকের মতো একলগে একলা একলা থাকে...

বৌম্যাডাম জীবনে প্রথম আমার জ্বর দেখলেন। আমার নামে বাচালতার অভিযোগ থাকলেও শরীর খারাপের সময় আমি যে একেবারে চুপচাপ থেকে ঝিমাই সে বিষয়ে সবিস্তারে ইতিহাস বর্ণনা করে; সাক্ষী হিসাবে মাসহ পরিবারের অন্যসকল পুরোনো সদস্যদের নাম রেফারেন্স দিয়ে ঝিমানো শুরু করেছিলাম। ঝিমানোর আগে ইতিহাস এবং কার্যকারণ বর্ণনা করাটাও আমাকে শিখতে হয়েছে ঠেকায় পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পরও আমি কথা বলি না। এইটা নিয়ে প্রথম প্রথম বৌম্যাডাম বহুত ঝামেলা করেছেন। কিছু বললে উত্তর দিতাম না কিংবা হ্যা হু বলে পাশ কেটে যেতাম। শেষ পর্যন্ত বৌম্যাডাম এই বিষয়ে মায়ের কাছে অভিযোগ করার পর তিনি একদিন আমাকে ঝাড়ি লাগালেন- তোর এইসব আজব বিষয় সে জানবে কী করে?

কথা ঠিক। স্বাধীনতা বিসর্জনের পর ক্ষুদ্র জায়গায় স্বাধিকার বজায় রাখতে হলে বহু ব্যাখ্যা আর কৈফিয়ত দিতে হয়। তাই এরপর থেকে সব বিষয়েই আমি আগাম ব্যাখ্যা আর কৈফিয়ত দিয়েই অনুমতি গ্রহণ করি। যেমন- আমার বংশে কাঁঠাল খেলে আর ভাতের ধার ধারে না কেউ; তাই রাতের খাবার থেকে আমাকে অব্যাহতি দেয়া হউক। কিংবা আমার দাদার বাড়িতে দিনের বেলা ঘরে আগুন লাগলেও ভাতঘুম ছেড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেনি কেউ; তাই বংশের ঐতিহ্য হিসাবে আমি নির্ঝঞ্ঝাট ঘুমের অনুমতি চাই...

মোজাইকের সাথে আমার কথা বলা দেখে বৌম্যাডাম হা করে তাকিয়ে থাকেন। সাথে সাথে আমার মনে পড়ে এই বিষয়ে তো তাকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি আমার। আমি সবিস্তারে ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে জানাই- জ্বর উঠলে আমি মুড়ি খাই...

দোকানের দিকে রওয়ানা হবার সময় বৌম্যাডাম একটা লিস্টি ধরিয়ে দিলেন। দোকানে গিয়ে দেখি সেই লিস্টিতে আমার মুড়ির বদলে ঝালমুড়ি লেখা। মেজাজটা খিঁচড়ে গেলো। আমি লিস্টির ঝালমুড়ির সাথে আরেক প্যাকেট শুধু মুড়ি নিয়ে ফিরে এসে বললাম- আমার মুড়ি খাওয়ার স্বাধীনতার উপরও আপনি কলম চালাবেন এইটা কেমন কথা?

বৌম্যাডাম আমার আপিলে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিলেন না। উল্টা হুকুমজারি করলেন- মুড়ি খাও অসুবিধা নাই। কিন্তু বিছানার উপর মুড়ি ছড়ানো যাবে না...
-চাটলাম না আপনার বিছানা। আমি ফ্লোরের মধ্যে মুড়ি ছড়িয়ে খাবো...

কিন্তু অ্যা মা। এইগুলা তো সেই মুড়ি না। এইগুলা সব সাদা সাদা একই সাইজের বাতাসি মুড়ি...। আমি মুড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে আছি। বৌম্যাডাম একটা ঝাড়– নিয়ে এসে মুড়িগুলো ঝাঁট দিতে দিতে আদেশ করলেন- তোমার জ্বর অনেক বেড়ে গেছে; যাও বাথরুমে গিয়ে মাথায় পানি দিয়ে এসো...

মাথায় পানি দিয়ে বের হয়ে আমি সারা ঘর চক্কর দিতে শুরু করলাম- দেরে বাজান দে। সান্নিক সান্নিক। দেরে বাজান এই দিকে দে। সান্নিক রে বাজান সান্নিক সান্নিক...

হঠাৎ দেখি বৌম্যাডাম ফোন হাতে নিচ্ছেন। দৌড়ে গিয়ে ধরলাম- কাউরে ফোন করার দরকার নেই। এইটা জ্বরের ঘোরে বকবকানি না। মাথায় পানি দিতে গিয়ে বড়োচাচার কথা মনে পড়ে গেলো। উনার প্রেশার উঠে গেলে আমরা তার মাথায় পানি ঢালতাম। আর উনি তালুতে আস্তে আস্তে চাপড় দিতে দিতে হাহুতাশ করতেন- দেরে বাজান দে; সান্নিক সান্নিক। সান্নিক রে বাজান সান্নিক...

বৌম্যাডাম ফোন রাখলেন। বললাম- সব স্বাধীনতা তো গেছে। অন্তত অসুখ-বিসুখ উদযাপনের জন্য কিছু স্বাধীনতা দিয়েন। বৌম্যাডাম ঝাড়– উঁচিয়ে অন্যঘরে যেতে যেতে বললেন- কোনো উল্টাপাল্টার স্বাধীনতা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না...

মর শালা। সব শাসকেরই এক সুর। স্বাধীনতার দাবিরে তারা সকলেই উল্টাপাল্টা হিসাবে দেখে। নাহ। এইরকম পরাধীন জ্বর রাখার চেয়ে ওষুধ খেয়ে জ্বর বিদায় করাই ভালো...
২০১৩.০৬.২৮ শুক্রবার


মন্তব্য

রণদীপম বসু এর ছবি

বিদায় হইছে ? না কি এখনো আরো গোটাকয়েক সান্নিক-জ্বর প্রসূত বিপ্লবী লেখার এলেম তৈরি হচ্ছে !

এইটাই জ্বর হওয়ার উপকারিতা, অন্তত বাদাইম্যা লোকদের জন্য ! সচলে মাঠে মারা যাওয়া একটা স্বাধীনতার চিৎকার শোনার ক্যাচাল তৈরি হয়। হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাদাইম্যা ছাড়া শান্তি উদযাপন কী সম্ভব স্যার?

 রাজীব রহমান এর ছবি

যাক জ্বর গেছে তাহলে ..
ছোট বেলায় জ্বরের ঘোরে মাথায় অদ্ভুত কিছু খেলা করত । লেখা দারুন লাগল ।।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হ। জ্বর খুব ক্রিয়েটিভ অসুখ

নজমুল আলবাব এর ছবি

শেষ পর্যন্ত একটা বউ ম্যাডাম জোগাড় হলো বলে আমরা কিছুমিছু গল্প পেলাম। ভালো, ভালোতো

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হ। সক্রেটিস কইয়া গেছেন বিবাহ করলে দার্শনিক হওয়া যায়; যদিও তারে দার্শনিক বানাইতে গিয়া তার বৌয়ের নামটা এখন একটা গালিতে পরিণত হইছে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই পোস্ট ভাবী পড়ছে?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বৌরে লুকাইয়া কিছু করার স্বাধীনতায়ও হস্তক্ষেপ?

সুমাদ্রী এর ছবি

দারুণ লীলেনদা! স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়?

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অত বিপ্লবী আমি না
দরকার হইলে ঢোঁড়া সাপের মতো বুকে হাইটা বাচুম

অতিথি লেখক এর ছবি

"নাহ। এইরকম পরাধীন জ্বর রাখার চেয়ে ওষুধ খেয়ে জ্বর বিদায় করাই ভালো..."
হো হো হো পুরাই একমত।
প্রথম যেদিন মহাভারত নিয়ে আপনার লেখা পড়ি সেদিন থেকেই আপনার লেখার আমি মুগ্ধ অনুরাগী। প্রতিটি পাঠে সেই অনুরাগ আরো গভীর হয়েছে। এই লেখা পড়েও একই অনুভব।
- একলহমা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জ্বর বিদায় কইরা দিছি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তুলিরেখা এর ছবি

লেখক আর কবিদের কাছে জ্বর হলো রীতিমতন আশীর্বাদ। বিনা মাদকে কড়া নেশা, আর হাজারে হাজারে গল্প কবিতা গান। অল ন্যাচারাল। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইতো। গুণী ছাড়া গুণের কদর বুঝবে কে?
জ্বর মানে হলো অখণ্ড নিজস্ব সময়; পুরা ক্রিয়েটিভ

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

লেখার শিরোনাম দেখে আর শুরুটা পড়ে মনে হয়েছিল ছোটবেলা থেকে এই পর্যন্ত সব স্টেজের জ্বরের গল্প শুনবো। এটা তো দেখি শুরু আর বর্তমান সময় , মাঝের সময় নাই। ওটাও দিতেন। একেবারে জ্বরের ক্রমবিকাশ হাসি
জ্বর মানে হলো অখণ্ড নিজস্ব সময়; পুরা ক্রিয়েটিভ চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি তো খুবই সৌভাগ্যবান(ছিলেন), জ্বর হইলে মুড়ি খাইতেন! আমাদের খাইতে হইত রবিনসন্স বার্লি নামক অতি অখাদ্য একটা বস্তু, খাওয়ার সাথে সাথে বমনোদ্রেক হতো। তখন ভাবতাম জ্বর হইলেই তেমনটা হয়, এখন জানি সেটা হইত রবিনসন্স বার্লি খাওয়ার কারনে।

আব্দুল্লাহ এ এম

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি আপনার বৌম্যাডাম কে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা হাততালি
ইসরাত

তারেক অণু এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে
ইস, কি দারুণ, হৃদয় ছোঁয়া সেই পাহাড় তৈরির বর্ণনা, আর বেড়ার গল্প।

স্যাম এর ছবি

পাহাড় বানানোটা আমারো ভাল লেগেছে -

তাপস শর্মা এর ছবি

রোগাবাক্য ( ইয়ে রোগের প্রলাপ ) ব্যাবহার করেও যে এমন লেখা সম্ভব তা আপনিই পারেন

০২

জ্বর হলে আমিও মুড়ি খাই

০৩

এইবার কথাকলি না দিলে আর খেলুম না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।