আমাদের গ্রামে হেলাল চোরা খুব জনপ্রিয় ছিল মাইর খাওয়ার জন্য। যখন-তখন যে কারো তাকে লাত্থিগুঁতা দেবার অধিকার ছিল বলে তার নামে থানায় যেমন কোনো মামলা ছিল না তেমনি তাকে নিয়ে কোনো বিচার সালিশও হতো না কোনোদিন। কারো ইচ্ছা হলে তার উঠানে গিয়ে ডাক দিলেই হতো- এই হারামজাদা বাইরে আয় তোরে পিটাব এখন...
কিলের পরিমাণ যতক্ষণ সহ্যের ভেতরে থাকত ততক্ষণ হেলাল জানতেও চাইত না কোন কিল কীসের জন্য দেয়া হচ্ছে তাকে। কিন্তু তার যদি মনে হতো যে সাম্প্রতিক ডিম-মুরগি-আলু-কলা হাতানোর তুলনায় কারো লাথির ওজন খানিকটা ভারী; তাহলেই সে ঘুসি পাকিয়ে ফেলত- খবরদার...
চোরায় যখন গেরস্তকে ধমক দিয়ে বসে তখন তাকে ডাকাত হিসেবে গণ্য করা চিরায়ত নিয়ম। সেই নিয়মে ধমকের সঙ্গে সঙ্গেই দর্শক-কিলারু-গ্রামবাসী সকলে মিলে তার উপর শুরু করত ডাকাত-প্যাদানি মাইর...
হেলালের মায়ের কোনো বিকার ছিল না ছেলের কিলগুঁতা খাওয়ার বিষয়ে। কিন্তু তার দুশ্চিন্তা ছিল হেলালের ধমক দেবার বদ অভ্যাস নিয়ে। কেননা একবার গ্রামপিটুনি শুরু হয়ে গেলে দূরে দাঁড়িয়ে ছেলের অজ্ঞান হয়ে যাবার অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করার থাকত না তার...
অভ্যাসের কারণে ছোট মাইর সহ্য করা আর জ্ঞান হারিয়ে বড়ো মাইর বুঝতে না পারাই ছিল সার্বজনীন কিলাধিকারের দেশে সম্মানিত ভোটার হেলাল উদ্দিনের সর্বপ্রধান যোগ্যতা কিংবা জনপ্রিয়তার চাবি...
২০১৩.০৮.০১ বিষুদবার
মন্তব্য
বুড়ো আঙ্গুল উঁচাইলাম।
বুইঝা শুইনা বুড়া আঙুলের ব্যবহার কইরেন। একবার উত্তরার কোনো এক ইস্কুলের ছাত্ররা রেব-রে দেখে বুড়া আঙুল উঁচাইছিল সাবাশ দিবার জন্য
কিন্তু রেব মনে করল পিচ্চিরা তাগোরে কাঁচকলা দেখাইতাছে; তাই সবগুলারে ইস্কুল বাস থেকে নামিয়ে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখল অনেক্ষণ
নিশ্চয়-ই! মানুষ জন্তুটার চরম আনন্দ মানুষ পিটানোয়। আর দুনিয়া তো হেলাল-এর হায়ারআর্কি!
এত ছোট্ট লেখাতেও এমন চাবুক হাঁকড়ানো -
- একলহমা
কী আর করা
বড়ো লেখা মগজে আসে না
গপের মাঝে এক ধরনের বিষাদ ছড়িয়ে আছে
ক্যাম্নে?
শেষ প্যারাতে এসেই গল্পটি ধরতে পারলাম- অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া। স্যালুট আপনাকে।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
ধন্যবাদ
বহুদিন পর লীলেন্দা’র গল্প!
হ। তাব্দায়ন চলিতেছে
গল্প পড়ার আনন্দময় অভিজ্ঞতা।
ধন্যবাদ।
-----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ধন্যবাদ
ব্যাপার কী ! হঠাৎ লাথিগুঁতা নিয়ে পড়লেন ! আপনে কি ভোটার না নাকি ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কী আর করা
এন্টিভাইরাস দিয়া প্রটেকশন রাখলেও ভার্চুয়াল লাথিগুতা কপালে অটোমেটিক ইনস্টল হয়ে যায়
হেলাল চোরাদের পিটাইতে খুব সুখ। একটাই খালি মুশকিল, মাঝে মধ্যে ঘাড় ত্যারা করে।
আব্দুল্লাহ এ এম
একটু ত্যাড়ামি থাকলে কিন্তু পিটানোর জোশ বাড়ে
হুমমম...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আইচ্ছা
পাঞ্চলাইনটা সেইরকম হয়েছে গো দাদা!
____________________________
পাঞ্চলাইনটার জন্য।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
facebook
দারুণ।
আমরা সবাই চোরা----
স্বয়ম
সম্মানিত ভোটার হেলালুদ্দিনের পিঠে কি আপীল বিভাগীয় গ্রামবাসীদের কর্তৃক গোআ‘র ফাঁসি না দেয়ার কিলাধিকারটিও প্রয়োজিত হবে?
- পামাআলে
আশা করি, ভোটার হেলালুদ্দিনের পিঠে আপীল বিভাগ গ্রামবাসীদের কর্তৃক গোআ’র ফাঁসি না দেয়ার কিলাধিকারটি প্রয়োজিত হবে না।
- পামাআলে
দারুণ
দারুন
ইসরাত
অল্প কথায় কী দারুণ একটা গল্প!
ভয়ংকর সুন্দর এই গল্প
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন